HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৪

HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download
এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Home Science 2nd Paper Srijonshil question and answer pdf download.

উচ্চ মাধ্যমিক

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
৪র্থ অধ্যায়

HSC Home Science 2nd Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

১. আনোয়ারা পারভীন তার ১ মাস বয়সী নাতনির জন্য বাজার থেকে প্রয়োজনীয় নানা দ্রব্যাদি আগেই ক্রয় করেছেন। এবার তিনি তার নাতনির জন্য কিছু জিনিস আনতে আবার বাজারে গেলেন। সেগুলো ব্যবহার করা শেষ হয়েছে। এসব জিনিসের মধ্যে রয়েছে- বেবি সোপ, মগ, বেবি শ্যাম্পু ও বেবি অয়েল।
ক. সদ্যোজাত শিশুকে গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি কত আগে থেকে ক্রয় করতে হবে?
খ. প্রসবের প্রস্তুতি কীভাবে নিতে হয়?
গ. আনোয়ারা পারভীন তার নাতনির জন্য যেসব জিনিস আনতে আবার বাজারে গেলেন সেগুলো কী ধরনের সামগ্রী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘আনোয়ারা পারভীনকে নাতনির জন্য আরও নানা ধরনের দ্রব্য ক্রয় করতে হবে যা উদ্দীপকের আলোচনায় অনুপস্থিত রয়েছে"- বিশ্লেষণ কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সদ্যোজাত শিশুকে গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রসরের প্রত্যাশিত তারিখের দুই সপ্তাহ আগে থেকে ক্রয় করতে হবে।

খ. চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সাথে সাক্ষাৎ করে প্রসবের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। প্রসবের প্রস্তুতি পূর্বে থেকে গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Expected Date of Delivery বা প্রসরের প্রত্যাশিত তারিখের দুই সপ্তাহ আগেই কোথায় প্রসব হবে। অর্থাৎ বাড়িতে, হাসপাতালে নাকি ক্লিনিকে তা নিশ্চিত করে নিতে হবে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় অন্যান্য প্রস্তুতিও আগে থেকেই নিয়ে রাখতে হবে।

গ. আনোয়ারা পারভীন তার নাতনির জন্য যেসব জিনিস আনতে বাজারে গেলেন সেগুলো হলো গোসলের সামগ্রী। নবজাতকের আগমনে পরিবারে নানা ধরনের পরিবর্তন আসে। তাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য পরিবারের সকল সদস্যকে পূর্ব থেকেই নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয়। প্রসবের প্রত্যাশিত তারিখের দুই সপ্তাহ আগে থকেই সদ্যোজাত শিশুকে গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করে রাখতে হয়। নবজাতকের জন্য নানা ধরনের সামগ্রীর প্রয়োজন পড়ে। এর মধ্যে গোসলের সামগ্রী অন্যতম। গোসলের সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিকের বড় গামলা, মগ, বেবি সোপ, বেবি শ্যাম্পু, বেবি অয়েল ইত্যাদি। উদ্দীপকের আনোয়ারা পারভীনকে এসব দ্রব্যই ক্রয় করতে দেখা যায়, যা নবজাতকের গোসলের সামগ্রীকেই নির্দেশ করে।

ঘ. উদ্দীপকের আনোয়ারা পারভীনকে তার সদ্য প্রসূত নাতনির জন্য আরও অনেক ধরনের দ্রব্য ক্রয় করতে হবে, যার কথা উদ্দীপকে অনুপস্থিত রয়েছে। নবজাতকের জন্মের পূর্বেই পরিবারের সদস্যদের সকল প্রস্থুতি গ্রহণ করে নিতে হয়। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্থুতি হলো নবজাতকের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়। প্রসবের প্রত্যাশিত তারিখের দুই সপ্তাহ আগে থেকেই সদ্যোজাত শিশুকে গ্রহণ করার জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করে রাখতে হয়। এসব দ্রব্য বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয়। উদ্দীপকের উল্লিখিত এসব দ্রব্য নবজাতকের গোসলের সামগ্রীকে নির্দেশ করে। তবে এর বাইরেও নবজাতকের জন্য আরও নানা প্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয় করতে হয়। যেমন- নরম সুতি কাপড়, বড়/ছোট টাওয়াল, হালকা রঙের সুতি জার্মা, শীতের দিনে উল বা ফ্লানেলের জামা/ সোয়েটার/ মোজা/টুপি, ডায়াপার, মল পরিষ্কারের জন্য ওয়েট টিস্যু, বিছানা, কাঁথা, ছোট কম্বল, ছোট বালিশ, রাবার ক্লথ, মশারি ইত্যাদি।
উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দেখা যায়, নবজাতকের জন্য নানা ধরনের দ্রব্যের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু উদ্দীপকে এসব দ্রব্যের আলোচনা অনুপস্থিত রয়েছে।

২. সোহানার কন্যাসন্তান হয়েছে আজ দুদিন হলো। চিকিৎসক সবসময় নবজাতককে মোটা কাপড় পেঁচিয়ে রাখার পরামর্শ দিলেন এবং মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে বললেন। সোহানা চিকিৎসকের পরামর্শমতো কাজ করায় সোহানার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তান বেশ ভালো আছে।
ক.নবজাতককালের সময়কাল কত দিন?
খ. নবজাতকের শ্বসনক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দাও।
গ. সোহানার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে চিকিৎসক মোটা কাপড় পেঁচিয়ে রাখতে বলার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘সোহানার নবজাতকের ভালো থাকা তার অভিযোজনের সফলতারই প্রমাণ বহন করে’’- বিশ্লেষণ কর।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নবজাতককালের সময়কাল হলো ১৪ দিন।

খ. নবজাতকের জন্মগ্রহণের পর নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজন করতে তাকে প্রথম শ্বসনক্রিয়া সংঘটিত করতে হয়। নাভিরজ্জু কাটার পর প্রথমবারের মতো নবজাতক বায়ু থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করে। এর মাধ্যমে প্রথম শিশুর ফুসফুস কার্যক্রম শুরু করে এবং তার শ্বসনক্রিয়া শুরু হয়। নতুন এ অভিজ্ঞতা শিশুর মধ্যে শারীরিক পরিবর্তন ঘটায় এবং শিশু কাঁদে। এভাবেই নবজাতকের শ্বসনক্রিয়া শুরু হয়।

গ. সোহানার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে চিকিৎসক মোটা কাপড় পেঁচিয়ে রাখতে বলার কারণ হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। জন্মগ্রহণের পর থেকে নবজাতককাল আরম্ভ হয়। এ সময়কাল ১৪ দিন। এটি নবজাতকের বিকাশ পর্যায়ের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়। এ সময় নবজাতককে নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজন বা খাপ খাওয়াতে হয়। এক্ষেত্রে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারটি বিবেচনায় রাখা আবশ্যক। সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এ কাজটি করা জরুরি। নবজাতকের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কম থাকে। মায়ের গর্ভের তাপমাত্রা ১০০° ফা. এবং গর্ভের বাইরের তাপমাত্রা এর চেয়ে কম। তাই মোটা কাপড় পেঁচিয়ে নবজাতকের দেহের তাপমাত্রা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। এতে করে নবজাতকের নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়াতে সুবিধা হয়। উদ্দীপকের সোহানাকেও চিকিৎসক এ কারণেই সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে মোটা কাপড় পেঁচিয়ে রাখতে বলেছিলেন।

ঘ. উদ্দীপকের সোহানার সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তান ভালো থাকায় এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, তার নতুন পরিবেশে অভিযোজন সফল হয়েছে। জন্মগ্রহণের পর থেকেই নবজাতককাল আরম্ভ হয়। এ সময়কাল ১৪ দিন। নবজাতককাল হচ্ছে বিকাশ পর্যায়ের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত সময়। এ সময় নবজাতককে নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজন করতে হয় বা খাপ খাওয়াতে হয়। চিকিৎসকের পরামর্শমতো উদ্দীপকের সোহানাও তার নবজাতককে সবসময় মোটা কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে রাখে এবং বুকের দুধ খাওয়ায়। তার পদ্ধতি ঠিক থাকায় তার নবজাতকও সুস্থ আছে। নবজাতকের নতুন পরিবেশের সাথে অভিযোজনের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বিবেচনায় রাখতে হয় সেগুলো হলো- শ্বসনক্রিয়া, রক্ত সঞ্চালন খাদ্য গ্রহণ ও রেচন এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ। শ্বসনক্রিয়া নাভিরজ্জু কাটার পর শুরু হয়, রক্ত সঞ্চালন আরম্ভ হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। মায়ের দুধ খাওয়ার মাধ্যমে খাদ্য গ্রহণ ও মলমূত্র ত্যাগ করার মাধ্যমে রেচন এবং মোটা কাপড় পেঁচিয়ে নবজাতকের দেহের তাপমাত্রা রক্ষার ব্যবস্থা করতে হয়। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই একমাত্র আদর্শ খাদ্য। এসব প্রক্রিয়া ঠিকমতো সংঘটিত হওয়ায় উদ্দীপকে সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাসন্তানও সুস্থ আছে। তাই বলা যায়, সোহানার নবজাতকের ভালো থাকায় তার অভিযোজন ক্ষমতার সফলতারই প্রমাণ বহন করে।

৩. রাশেদা বেগম পুত্রসন্তানের মা হয়েছেন। চিকিৎসক তাকে বিশেষভাবে নির্দেশ দিলেন প্রথম দুধ শিশুকে পান করানোর জন্য। তিনি বললেন এতে রাশেদার সন্তান ভবিষ্যতে সুস্থ থাকবে। এছাড়া তিনি রাশেদার ছেলের সুস্থতা পরিমাপ করার পর স্কোর ৭ নির্ধারণ করলেন এবং রাশেদাকে নিশ্চিত থাকার আশ্বাস দিলেন।
ক. নবজাতকের সুস্থতা মূল্যায়নের ছক কে নির্ধারণ করেন?
খ. Apgar Score নির্ধারণ করা হয় কীভাবে?
গ. উদ্দীপকের রাশেদাকে চিকিৎসক যে বিশেষ নির্দেশনা দিলেন তার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকের চিকিৎসকের রাশেদাকে নিশ্চিত থাকতে বলার পিছনে স্কোর ৭ এর ভূমিকা অপরিসীম’’- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নবজাতকের সুস্থতা মূল্যায়নের ছক নির্ধারণ করেন আমেরিকার ডা. ভার্জিনিয়া আপগার।

খ. বেশ কয়েকটি বিষয় পরীক্ষা করার মাধ্যমে Apgar Score নির্ধারণ করা হয়। দেহের রং, হৃৎস্পন্দন, মুখভঙ্গি, সঞ্চালন দক্ষতা ও শ্বাস-প্রশ্বাস ইত্যাদি বিষয়ের পরীক্ষার ভিত্তিতে স্কোর নির্ধারিত হয়ে থাকে। নবজাতকের জন্মের পরপরই ৫টি বিষয় পরীক্ষা করে প্রতিটি বিষয়ের জন্য ০-২ নং পর্যন্ত দেওয়া হয়। ২ হলো সবচেয়ে ভালো। মোট স্কোর ১০ হলো সবচেয়ে উত্তম। স্কোর সাধারণত ৭ থেকে ১০- এর মধ্যে থাকলে তাকে ভালো বলে ধরা হয়। স্কোর ৪ থেকে ৭ হলে নবজাতককে জীবন রক্ষাকারী পদক্ষেপ নিতে হয়। স্কোর ৩ বা এর নিচে হলে জরুরিভাবে জীবন রক্ষার জন্য সব ধরনের সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করতে হয়।

গ. উদ্দীপকের রাশেদার চিকিৎসক বিশেষভাবে প্রথম দুধ পান করানোর যে নির্দেশ দিলেন তার কারণ হলো নবজাতকের সুস্থতা বিধান করা। জন্মগ্রহণের পরপরই নবজাতকের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য বিশেষভাবে যত্নবান হওয়া আবশ্যক। নবজাতকের স্বাস্থ্যরক্ষা ও সুস্থতা নিশ্চিত করতে মাকে বিশেষভাবে সচেতন হতে হয়। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই একমাত্র আদর্শ খাদ্য। তাই এ সময় নবজাতককে অন্য সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। উদ্দীপকের রাশেদাকে চিকিৎসকের এরূপ বলার উদ্দেশ্য হলো তার সন্তান যেন সুস্থ থাকে। নবজাতককে সব ধরনের রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য মায়ের প্রথম দুধ পান করানো অত্যাবশ্যক। এতে হলুদ বর্ণের আঠালো পদার্থ Colostrum থাকে, যা শিশুর টিকা হিসেবে কাজ করে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই নবজাতকের জন্য মায়ের প্রথম দুধই সকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে। উদ্দীপকের চিকিৎসকও এ কারণেই রাশেদাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন যেন তার প্রথম দুধ নবজাতককে পান করানো হয়।

ঘ. সন্তানের সুস্থতা পরিমাপের স্কোর-৭ হওয়ার কারণেই উদ্দীপকের চিকিৎসক রাশেদাকে নিশ্চিন্ত থাকতে বলেছেন। নবজাতকের সুস্থতা পরিমাপ করার জন্য একটি বিশেষ পদ্ধতি সারাবিশ্বে সমর্থিত। এ বিশেষ পদ্ধতিটি হলো একটি ছক, যা ১৯৫৩ সালে আমেরিকান ডা. ভার্জিনিয়া আপগার নবজাতকের সুস্থতা মূল্যায়নের জন্য নির্ধারণ করেছিলেন। এ ছক অনুযায়ী নবজাতকের স্কোর যদি ৭ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকে তবে তাকে ভালো বলে ধরা হয়। উদ্দীপকের চিকিৎসক রাশেদার ছেলের সুস্থতা পরিমাপ করে স্কোর-৭ নির্ধারণ করেন। এর মাধ্যমে বোঝা যায়, নবজাতকের অবস্থা ভালো। তাই চিকিৎসকও রাশেদাকে ছেলের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকতে বললেন। জন্মের পর পরই নবজাতকের দেহের রং, হৃৎস্পন্দন, মুখভঙ্গি, সঞ্চালন দক্ষতা ও শ্বাস-প্রশ্বাস বিষয়গুলো পরীক্ষা করা হয়। প্রতিটি বিষয়ের জন্য ০ থেকে ২ নং পর্যন্ত দেওয়া হয়। ২ হলো সবচেয়ে ভালো। মোট স্কোর যদি ১০ হয় তবে সবচেয়ে উত্তম। স্কোর সাধারণত ৭ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকলে তাকে ভালো বলে ধরা হয়। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, নবজাতকের স্কোর যদি ৭ হয় তবে তার শারীরিক সুস্থতার ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। উদ্দীপকের রাশেদা বেগমের ছলের স্কোর-৭ নির্ধারিত হয়েছিল বলেই চিকিৎসক তাকে নিশ্চিন্ত থাকতে বলেছেন। তাই বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।

৪. তাহেরার মেয়ের বয়স ৭ দিন। তার শাশুড়ি নবজাতকের পরিচর্যা করার ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ। তাই তাহেরার মেয়ের যত্ন তিনিই নিচ্ছেন। তিনি প্রতিদিন নবজাতককে সকালের নরম রোদ পোহাতে নিয়ে যান। এর কার্যকারিতা সম্পর্কে তেমন একটা না জানলেও এটি যে নবজাতকের উপকারে আসবে তা তিনি জানেন।
ক. নবজাতককে কমপক্ষে কয়দিন পর গোসল করাতে হয়?
খ. শিশুর পরিচর্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে কেন?
গ. উদ্দীপকের তাহেরার শাশুড়ির কার্যক্রম নবজাতকের পরিচর্যায় কীরূপ ভূমিকা রাখবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকে তাহেরার শাশুড়িকে নবজাতকের পরিচর্যায় আরও অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে’’- বিশ্লেষণ কর।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নবজাতককে কমপক্ষে তিন দিন পর গোসল করাতে হয়।

খ. শিশুর পরিচর্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে যেন তার শারীরিক সুস্থতা বিধান করা যায়। আজকের শিশু আগামীদিনের নাগরিক। শিশুর সঠিক পরিচর্যার ওপরই তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। জন্মের পরপরই তার সঠিক পরিচর্যা করা হলে ভবিষ্যতের ভিত্তি মজবুত করা সম্ভব হবে। এসব কারণেই শিশুর পরিচর্যাকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

গ. উদ্দীপকের তাহেরার শাশুড়ির কার্যক্রম নবজাতকের পরিচর্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। প্রাণিজগতে মানবশিশু সবচেয়ে বেশি অসহায়। তাই জন্মগ্রহণের পরই নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। পরিচর্যার ফলেই নবজাতককে দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ সবলভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়। নানাভাবে নবজাতকের পরিচর্যা করা যায়। নবজাতককে রোদ পোহানো এ পরিচর্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। উদ্দীপকের তাহেরার মেয়েকে তার শাশুড়ি নবজাতকের পরিচর্যা করার ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ বলে তিনিই তাহেরার মেয়ের পরিচর্যা করছেন। তিনি প্রতিদিন নবজাতককে সকালের নরম রোদ পোহাতে নিয়ে যান। তিনি এর কার্যকারিতা সম্পর্কে ততটা না জানলেও এটি জানেন, এ প্রক্রিয়া নবজাতকের উপকারে আসবে। নবজাতকের শরীরে তেল মালিশ করে সকালের নরম রোদে রাখলে এতে ভিটামিন 'ডি' সঞ্চিত হয় এবং হাড় শক্ত হয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের তাহেরার শাশুড়ির কার্যক্রম নবজাতকের পরিচর্যায় বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ঘ. উদ্দীপকের তাহেরার শাশুড়ি নবজাতককে রোদ পোহানোর পাশাপাশি আরও নানাভাবে পরিচর্যা করতে হবে। প্রাণিজগতে মানবশিশু সবচেয়ে বেশি অসহায়। তাই জন্মগ্রহণের পর নবজাতকের বিশেষ পরিচর্যা ও যত্নের প্রয়োজন হয়। নবজাতক অবস্থায় শিশু মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি হয়। এ মৃত্যুরোধ করার জন্য বিশেষ পরিচর্যা আবশ্যক। পরিচর্যার মাধ্যমেই নবজাতককে দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থ সবলভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়। তবে এর বাইরেও নবজাতককে আরও নানাভাবে পরিচর্যা করতে হবে তাহেরার শাশুড়িকে। যেমন ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে নবজাতককে গোসল করানো, নবজাতকের যেন জীবাণুর সংক্রমণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা, নবজাতক মলমূত্র ত্যাগের পর তা দ্রুত পরিষ্কার করা, নবজাতকের ঘুমের জন্য আরামদায়ক ও নিরিবিলি পরিবেশের ব্যবস্থা করা, নবজাতকের জন্য আরামপ্রদ পোশাকের সরবরাহ করা, নবজাতকের চোখ, কান ও নাক পরিষ্কার করে দেওয়া ইত্যাদি। উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায়, নবজাতকের পরিচর্যায় অনেক বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। তাই উদ্দীপকের তাহেরার শাশুড়িকেও নবজাতকের পরিচর্যায় আরও নানা বিষয়ে যত্নবান হতে হবে।

৫. শাহনাজের সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে জন্মের সময়। তার গায়ের বর্ণ নীল হয়ে গিয়েছে। শিশুটির এ অবস্থা দেখে চিকিৎসক বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। চিকিৎসক এবং তার সহযোগীরা তাদের সাধ্যমতো শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে চেষ্টা করতে লাগলেন।
ক. নবজাতকের কতদিন বয়সে সামান্য জন্ডিস দেখা দিতে পারে?
খ. নবজাতক সংক্রমিত হয় কীভাবে?
গ. উদ্দীপকের শিশুটির জন্য চিকিৎসকদের চিন্তিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের নবজাতকের মাঝে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে এটিই কি যেকোনো নবজাতকের একমাত্র স্বাস্থ্য সমস্যা? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নবজাতকের ৩/৪ দিন বয়সে সামান্য জন্ডিস দেখা দিতে পারে।

খ. নবজাতকের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে বলে সে সহজেই জীবাণু দ্বারা সংক্রমিক হয়। জন্মের পর নবজাতকের অবস্থা বেশ নাজুক থাকে। এ সময় তার নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। নবজাতকের ত্বক, নাভির ক্ষত, খাদ্যনালি ও শ্বাস- প্রশ্বাসের মাধ্যমে জীবাণু দেহে প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে ধনুষ্টংকার, নিউমোনিয়া, উদরাময়, সেপ্টিসেমিয়া ইত্যাদি রোগে শিশু আক্রান্ত হয়। অনেক সময় অবস্থা বেশি জটিল হলে শিশু মৃত্যুবরণও করতে পারে।

গ. উদ্দীপকের শিশুটির জন্য চিকিৎসকদের চিন্তিত হওয়ার কারণ হলো তার শারীরিক অবস্থার জটিলতা। নবজাতর্কের জন্মগ্রহণের পর নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যার মধ্যে কিছু সমস্যা স্বাভাবিকভাবেই হয় এবং সেরেও যায়। তবে কিছু সমস্যা হয় মারাত্মক ও জটিল। সদ্যোজাত শিশু যদি নীল হয়ে যায় তবে সেটি তার জটিল ও মারাত্মক অবস্থাকেই প্রকাশ করে। উদ্দীপকের শাহনাজের সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের বেশ কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দিয়েছে জন্মের সময়। তার গায়ের বর্ণ নীল হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসক বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তিনি এবং তার সহযোগীরা শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে সাধ্যমতো চেষ্টা করতে লাগলেন। তাদের শিশুটিকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ার কারণ হলো শিশুটির শারীরিক অবস্থার জটিলতা। নবজাতকের শ্বাসকার্য ঠিকমতো না চললে, ফুসফুসের রোগ হলে, হৃদরোগ হলে ও মস্থি ষ্কে আঘাত পেলে নবজাতকের দেহের বর্ণ নীল হয়ে যায়। এটি নবজাতকের জন্য জটিল ও মারাত্মক অবস্থা। এতে নবজাতকের মস্থি ষ্কের ক্ষতি হতে পারে, তার প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে এবং অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। উদ্দীপকের শিশুটির অবস্থা এরূপ জটিল হওয়ার কারণেই চিকিৎসকগণ তাকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।

ঘ. না, উদ্দীপকের নবজাতকের মাঝে যে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটিই যেকোনো নবজাতকের একমাত্র সমস্যা নয়। জন্মগ্রহণের পর মানবশিশু সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় থাকে। এ সময় নবজাতকের অবস্থা খুব নাজুক থাকে। জন্মগ্রহণের পরপরই নবজাতকের মধ্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে কিছু সমস্যা থাকে স্বাভাবিক এবং কিছু সমস্যা থাকে মারাত্মক বা জটিল। উদ্দীপকের শাহনাজের সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের গায়ের বর্ণ নীল হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকগণ বেশ চিন্তিত হয়ে পড়লেন। তাদের এ চিন্তার কারণ হলো শিশুটির মারাত্মক বা জটিল অবস্থা। নবজাতকের শ্বাসকার্য ঠিকমতো না চললে, ফুসফুসের রোগ থাকলে, হৃদরোগ থাকলে বা মস্থি ষ্কে আঘাত পেলে তার গায়ের বর্ণ নীল হয়ে যায় এবং এটি নবজাতকের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক অবস্থা। কিন্তু যেকোনো নবজাতকের জন্য এটিই একমাত্র স্বাস্থ্য সমস্যা নয়। এর বাইরেও নবজাতকের আরও নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন- অনেক নবজাতকের জন্মগত ত্রুটি থাকতে পারে, জ্বর হতে পারে, খিঁচুনি হতে পারে, বমি হতে পারে, যেকোনো রোগের জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে, জন্ডিস দেখা দিতে পারে, পেটে ব্যথার সমস্যা হতে পারে এবং চোখের সংক্রমণও হতে পারে। অতএব দেখা যায়, একজন নবজাতকের নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের নবজাতকের মাঝে যে ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিয়েছে তা যেকোনো নবজাতকের একমাত্র স্বাস্থ্য সমস্যা নয়।

৬. লিপি সদ্য মা হয়েছে। প্রসবকালে তার তেমন কোনো জটিলতা ছিল না। তবে প্রসব-পরবর্তী পর্যায়ে তার নিদ্রাহীনতা ও খাওয়ায় অরুচি দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক লিপির নবজাতককে সবল রাখার জন্য লিপিকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাদ্য খেতে বললেও লিপি তা করতে পারছে না।
ক. শিশুর আদর্শ খাদ্য কী?
খ. প্রসব-পরবর্তী মায়ের যত্ন নিতে হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের লিপির সমস্যার বিপরীতে তার পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা কেমন হতে হবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের চিকিৎসকের লিপিকে সুষম খাদ্য খেতে বলা লিপির নবজাতককে সুস্থ রাখতে কতখানি গুরুত্ববহ? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শিশুর আদর্শ খাদ্য হলো মায়ের দুধ।

খ. প্রসব-পরবর্তীকালে মায়ের নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ সময় পরিবারের সকলের সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। প্রসব-পরবর্তী মায়ের যত্ন নেওয়ার জন্য তার স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা, খাদ্য, বিশ্রাম ও ব্যায়াম, পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। নবজাতকের সুস্থতা নিশ্চিত করতেই প্রসব-পরবর্তী পর্যায়ে মায়ের যত্ন নেওয়া আবশ্যক।

গ. উদ্দীপকের লিপির সমস্যার বিপরীতে তার পরিবারের ভূমিকা ইতিবাচক এবং সহযোগিতামূলক হতে হবে। প্রসব-পরবর্তী পর্যায়ে মায়ের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হয়। এ সময় মায়ের যত্নের উদ্দেশ্য হলো মায়ের স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ও জীবনযাত্রা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। এ উদ্দেশ্যে প্রসূতি মায়ের বিভিন্ন বিষয়ে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন হয়। তবে এ সময় পরিবারের সদস্যদের সমর্থন থাকা জরুরি। প্রসবের পর ১০% থেকে ২০% মায়ের মানসিক অসংগতি দেখা দেয়। যেমন- বিষণ্নতা, নিদ্রাহীনতা, নবজাতকের প্রতি অনুভূতিহীনতা, খাওয়ায় অরুচি, একাকিত্ব ইত্যাদি। এ সময় মাকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য নবজাতকের বাবা ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতা আবশ্যক। এ সময় মায়ের বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে হবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের লিপির সমস্যার বিপরীতে তার পরিবারের ভূমিকাও এরূপ সহযোগিতামূলক ও ইতিবাচক হতে হবে।

ঘ. উদ্দীপকের চিকিৎসকের লিপিকে সুষম খাদ্য খেতে বলা লিপির নবজাতককে সুস্থ রাখতে অনেকখানি গুরুত্ববহ। মায়ের দুধ শিশুর আদর্শ খাদ্য। এ দুধে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সব কয়টি পুষ্টি উপাদান থাকে। তাই দুধ উৎপাদন ও মায়ের দুর্বলতা রোধ করার জন্য এ সময় মাকে নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। যদি তা না হয় তবে এর প্রভাব পড়ে নবজাতকের ওপর। এজন্য প্রসূতি মাকে দৈনিক গড়ে ৬৫০ থেকে ৮৫০ মিলিলিটার দুধ উৎপাদন করতে হয়। মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র আদর্শ খাদ্য যাতে শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় সকল পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। তাই দুগ্ধ উৎপাদন ও মায়ের দুর্বলতা রোধের জন্য মাকে নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে দেখা যায়, নবজাতকের সুস্থতার জন্য প্রসূতি মায়ের দুধ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এটি উৎপাদনের জন্য প্রসূতি মাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের চিকিৎসকের লিপিকে সুষম খাদ্য খেতে বলা লিপির নবজাতককে সুস্থ রাখতে অত্যন্ত গুরুত্ববহ।

৭. রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্রসন্তান বেশ সুস্থ সবল আছে। রিমার মা জন্মের পর শিশুটির মুখে মধু দিতে চাইলেন। কিন্তু রিমা বাধা দিল এবং বলল, এ সময় শিশুটির কেবল মায়ের বুকের দুধ খাওয়া প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রিমা তার ছেলেকে বুকের দুধ ব্যতীত অন্য সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকল প্রায় ৬ মাস।
ক. মায়ের প্রথম দুধকে কী বলে?
খ. নবজাতকের খাদ্য কীরূপ হওয়া উচিত?
গ. উদ্দীপকের রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তকে কি তুমি সমর্থন কর? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মায়ের প্রথম দুধকে শালদুধ বা Colostrum বলে।

খ. নবজাতকের খাদ্য তার উপযোগী হতে হবে। জন্মের পর মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য। নবজাতকের জন্মের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মায়ের দুধ খাওয়াতে হবে। এ দুধকে শালদুধ বলা হয়, যা নবজাতকের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। মায়ের দুধ ব্যতীত নবজাতককে অন্য যেকোনো খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। এটিই নবজাতকের জন্য আদর্শ খাদ্য।

গ. উদ্দীপকের রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকার কারণ হলো তার সন্তান যেন মায়ের দুধের সকল পুষ্টি গুণাগুণ গ্রহণ করতে পারে। জন্মের পর মায়ের দুধ শিশুর একমাত্র খাদ্য। জন্মগ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের প্রথম দুধকে বলা হয় শালদুধ যা শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল বুকের দুধই দিতে হবে। জন্মের পর মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য। জন্মগ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। এ দুধকে শালদুধ বা Colostrum বলা হয়। এটি হলুদ বর্ণের এবং গাঢ় আঠালো হয়। শালদুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাকে ডায়রিয়া, জন্ডিস ও শ্বাসনালির ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। নবজাতককে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই দিতে হবে। এর বাইরে নবজাতককে অন্য সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ঘ. হ্যাঁ, উদ্দীপকের রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। জন্মের পর মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য। জন্মগ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ দিতে হবে। এ দুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করে। তাই শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই খাওয়াতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে রিমা তার ছেলেকে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত বুকের দুধ ব্যতীত অন্য সব ধরনের খাবার দেওয়া থেকে বিরত থাকল। রিমার এ সিদ্ধান্তটি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। জন্মের পর মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য। জন্মগ্রহণের পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে মায়ের দুধ দিতে হবে। মায়ের প্রথম দুধকে শালদুধ বলা হয়, যা শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের চেয়ে আদর্শ খাদ্য আর কিছুই হতে পারে না। এ সময় নবজাতককে বাইরের কোনো দুধ, চিনি, মধু, পানি ইত্যাদি দেওয়া যাবে না। শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই দিতে হবে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় উদ্দীপকের রিমার সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তকে আমি পুরাপুরি সমর্থন করি।

৮. আইরিন নাহার নিজে একজন চিকিৎসক এবং মা। তিনি শিশুর বিকাশের জন্য মায়ের প্রথম দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেন। কেননা, তিনি নিজেও এর কার্যকারিতার প্রমাণ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি মনে করেন শিশুর জন্মের পর মায়ের দুধের থেকে উপকারী খাবার আর কিছুই হতে পারে না।
ক. শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে কী?
খ. শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শালদুধের ভূমিকা বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের আইরিন নাহারের মায়ের প্রথম দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের ‘মায়ের দুধের থেকে উপকারী খাবার আর কিছুই হতে পারে না' উক্তিটির যথার্থতা যাচাই কর।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে শালদুধ।

খ. শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শালদুধের ভূমিকা অপরিসীম। মায়ের প্রথম দুধকে বলা হয় শালদুধ। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং তাকে সুস্থ রাখে। মায়ের দুধের মতো সুষম খাবার শিশুর জন্য আর কিছুই হয় না। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগায় শালদুধ। এ দুধ খেলে শিশুরা অত্যধিক বুদ্ধিমান হয়। তাই বলা যায়, শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে শালদুধের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ. উদ্দীপকের আইরিন নাহারের মায়ের প্রথম দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়ার কারণ হলো শিশুর ভবিষ্যৎ বিকাশ সুনিশ্চিত করা। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধের চেয়ে আদর্শ খাদ্য আর কিছুই হতে পারে না। মায়ের প্রথম দুধকে বলা হয় শালদুধ যা শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে। শিশু সুস্থ থাকে এবং সকল প্রকার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা অর্জন করে। তাই চিকিৎসকগণ নবজাতকের জন্য মায়ের বুকের দুধকেই একমাত্র আদর্শ খাদ্য বলে মনে করেন। এরূপ পরামর্শ দেওয়া সম্পূর্ণ সঠিক ও যৌক্তিক। মায়ের প্রথম দুধে কলোস্ট্রামের বর্ণ হলুদ ও আঠালো হয়। একে শালদুধও বলা হয়। এটি শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাকে সুস্থ রাখে। মায়ের দুধ সুষম হয় বলে নবজাতককে এ দুধ সুষম খাদ্য সরবরাহ করে। তাই মায়ের প্রথম দুধ নবজাতকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

ঘ. উদ্দীপকের ‘মায়ের দুধের থেকে উপকারী খাবার আর কিছুই হতে পারে না’ উক্তিটি মায়ের দুধের গুণাগুণকেই উপস্থাপন করে। জন্মের পর মায়ের দুধই শিশুর একমাত্র খাদ্য। মায়ের বুকের দুধে যেসব উপাদান থাকে সেগুলো শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সহায়ক। তাই শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত কেবল মায়ের বুকের দুধই দিতে হয়। নবজাতককে সব ধরনের খাদ্য উপাদান সরবরাহ করে মায়ের বুকের প্রথম দুধ। তাই যেকোনো শিশুর জন্য এর থেকে উপকারী খাবার আর কিছুই হতে পারে না। মায়ের প্রথম দুধকে শালদুধও বলা হয়। শালদুধ শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশুকে সুস্থ রাখে। মায়ের দুধ সুষম হয় এবং এ দুধ তাকে সব ধরনের সুষম খাদ্য সরবরাহ করে। দুধের ল্যাকটোজ, ল্যাকটো অ্যালবুমিন ও ক্যাজিন শিশু সহজে হজম করতে পারে বলে তার পেটের পীড়া হয় না। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পরিপূর্ণ পুষ্টি যোগায় মায়ের বুকের দুধ। বুকের দুধ খেলে শিশুরা অধিক বুদ্ধিমানও হয়। অতএব বলা যায়, মায়ের বুকের দুধ শিশুর জন্য অত্যন্ত উপকারী ও কার্যকর। তাই প্রশ্নে উল্লিখিত উদ্দীপকের উক্তিটি যথার্থ।

৯. শাহেদা প্রথমবারের মতো মা হয়েছে। তার শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় সে বারবার স্তন পরিবর্তন করে থাকে। সে মনে করে এতে তার শিশু স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে। কিন্তু সে যখনই এরকম করে তখনই তার শিশু কান্নাকাটি শুরু করে। শাহেদা এর কারণ উপলব্ধি করতে পারে না। অপরদিকে, তার শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ায় সুস্থও হতে পারছে না।
ক. দুধ খাওয়ানো শেষে শিশুর পিঠের ওপর কয়বার চাপ দিতে হবে?
খ. বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে মাকে কোন কোন বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে?
গ. উদ্দীপকের শাহেদার শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘উদ্দীপকের শাহেদা যদি বুকের দুধ পান করানোর নিয়ম সম্পর্কে অবগত না হয় তবে তার শিশুর আরও সমস্যা হতে পারে"- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. দুধ খাওয়ানো শেষে শিশুর পিঠের ওপর ২/৩ বার চাপ দিতে হবে।

খ. বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে মাকে নানা বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। যেন শিশু বুকের দুধ সেবনে কোনো অসুবিধা না হয়। এক্ষেত্রে তাকে সঠিকভাবে বসার ভঙ্গি, শিশুর দুধ খাওয়ার ধরন, শিশুর পরিতৃপ্তির অনুভব, শিশুর আরামবোধ করা, শিশুকে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করা ইত্যাদি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সঠিকভাবে না জানলে তার উপকারিতা শিশু পুরাপুরি পায় না। তাই এক্ষেত্রে মাকে উপরিউক্ত বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

গ. উদ্দীপকের শাহেদার শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি না পাওয়ার কারণ হলো শাহেদার বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সঠিক না হওয়া। নবজাতকের জন্য মায়ের দুধই একমাত্র আদর্শ খাবার। মায়ের দুধ সেবন করেই শিশু শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে। তবে শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর সময় মাকেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। অন্যথায়, শিশু মায়ের দুধ পান করে পর্যান্ত পুষ্টি গ্রহণ করতে পারবে না। শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর সময় মাকে অনেকগুলো বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হয়। এক্ষেত্রে মাকে এক স্তন থেকে সম্পূর্ণ দুধ খাওয়ানোর পর প্রয়োজনে অন্য স্তন দিতে হবে। বারবার স্তন পরিবর্তন করলে শিশু ঠিকমতো পুষ্টি পায় না। কারণ, শিশু যখন স্তন পান করতে শুরু করে, তখন দুধে জলীয় অংশ মিশে থাকে যা শিশুর তৃষ্ণা মেটায়। পরের দুধ অপেক্ষাকৃত ঘন হয় এবং এর পুষ্টিমান বেশি। তাই বারবার স্থান পরিবর্তন করা হলে শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না।

ঘ. উদ্দীপকের শাহেদা যদি বুকের দুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে অবগত না হয় তবে তার শিশুর আরও নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। শিশুকে মায়ের বুকের দুধ পান করানোর সময় অনেকগুলো বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। যদি এসব নিয়ম সম্পর্কে অবগত হওয়া না যায় তবে শিশুর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। শিশুর দুধ সেবনে পরিতৃপ্তি নাও আসতে পারে, সে আরাম অনুভব করা থেকে বিরত থাকতে পারে এবং সর্বোপরি সে মায়ের বুকের দুধের পুষ্টি গ্রহণ করা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় মাকে মানসিক প্রস্থুতি গর্ভাবস্থাতেই গ্রহণ করতে হবে। দুধ খাওয়ানোর সঠিক পজিশন ও ভঙ্গি জানতে হবে, শিশু ঠিকমতো দুধ খেতে পারছে কি না সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর পেটের বাতাস বের করে ঢেকুর তুলতে সাহায্য করতে হবে যেন সে আরাম পায় এবং সর্বোপরি শিশুকে মায়ের বুকের দুধের পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে বারবার স্তন পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। অতএব দেখা যায়, শিশুকে বুকের দুধ পান করানোর জন্য এসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় শিশুর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। উদ্দীপকের শাহেদার জন্যও এসব বিষয় সম্পর্কে অবগত হওয়া জরুরি। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে বলা যায়, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।

১০. সাফায়েত ও সাবা দম্পতি তাদের শিশুপুত্রকে নিয়ে টিকাকেন্দ্রে আসলেন। তাদের সন্তানের বয়স ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ায় তারা তাকে টিকা দিতে নিয়ে এসেছেন। চিকিৎসকের মতানুযায়ী এ টিকা দুটি তাদের শিশুকে অনেক রোগের হাত থেকে রক্ষা করবে।
ক. টিকা কী?
খ. শিশুকে টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ. উদ্দীপকের দম্পতি তাদের শিশুকে কোন কোন টিকা দিতে নিয়ে এসেছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের শিশুটির বয়স বিবেচনায় তাকে আরও বেশ কয়েকটি টিকা প্রদান করতে হবে- বিশ্লেষণ কর।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. টিকা হলো এক প্রকার ওষুধ, যা পরীক্ষাগারে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে রোগের জীবাণু অথবা জীবাণু থেকে উৎপন্ন রস (টেক্সিন) থেকে তৈরি।

খ. শিশুর রোগ প্রতিরোধ করার জন্য শিশুকে টিকা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। টিকা হলো এক প্রকার ওষুধ। টিকা শিশুর শরীরে প্রবেশ করানোর পরই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তবে গুণগতমানসম্পন্ন টিকাই কার্যকর এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। শিশুর টিকা দেওয়া থাকলে সে বিভিন্ন রোগ মোকাবিলা করতে পারে। তাই শিশুর দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করার জন্য টিকা দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গ. উদ্দীপকের দম্পতি তাদের শিশুকে পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন (ডিপিটি) ও হেপাটাইটিস বি, হিব টিকা দুটি দিতে নিয়ে এসেছেন। টিকা হলো এক ধরনের ওষুধ। টিকা শিশুর শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। তবে গুণগতমানসম্পন্ন টিকাই কার্যকর এবং রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। উদ্দীপকের চিকিৎসকের এ কথা থেকেই ধারণা করা যায়, এ টিকা দুটি হলো পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন (ডিপিটি) এবং হেপাটাইটিন বি, হিব। জন্মের পর থেকে ১১ মাস এবং ১৫ মাস বয়সের শিশুদের টিকা দান করতে হয়। শিশুর ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর তাকে ৩ ডোজের পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন (ডিপিটি) ও হেপাটাইটিস বি, হিব টিকা দেওয়া হয়। এ টিকা দুটি শিশুকে ডিপথেরিয়া, হুপিংকাশি, ধনুস্টংকার, হেপাটাইটিস বি, হিমোফাইলাস, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা করে। এসব রোগের হাত থেকে শিশুকে রক্ষা করার জন্যই উক্ত দুটি টিকা দেওয়া আবশ্যক।

ঘ. উদ্দীপকের শিশুটির বয়স ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ায় তাকে বেশ কয়েকটি টিকা প্রদান করা জরুরি। টিকা হলো এক প্রকার ওষুধ, যা শিশুর দেহে প্রবেশ করানোর পর থেকে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্ধি পায়। তবে টিকা গুণগতমানসম্পন্ন হওয়া অনিবার্য। শিশুর জন্মের পর থেকেই টিকা দেওয়া শুরু করতে হয়। তার বয়স ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হলে তাকে অনেকগুলো রোগ প্রতিরোধের জন্য ভিন্ন ভিন্ন টিকা দিতে হয়। শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হলে তাকে পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন (ডিপিটি) ও হেপাটাইটিস বি, হিব ছাড়াও আরও অনেক টিকা দিতে হয়। শিশুকে নিউমোকক্কালজনিত নিউমোনিয়া প্রতিরোধে পিসিভি ভ্যাকসিন দিতে হয়, এবং পোলিও মাইলাইটিস রোগ প্রতিরোধ করতে ওপিভি টিকা দিতে হয়। এগুলো শিশুর ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পরই দিতে হয়। উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, শিশুর বয়স ৬ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার পর তাকে অনেকগুলো টিকা দিতে হয়। অর্থাৎ, উদ্দীপকের শিশুটিও এ বয়সী হওয়ায় তাকেও এসব টিকা প্রদান করতে হবে।
Share:

0 Comments:

Post a Comment