HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৯

HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download
এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Home Science 1st Paper Srijonshil question and answer pdf download.

উচ্চ মাধ্যমিক

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
প্রথম পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
৯ম অধ্যায়

HSC Home Science 1st Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

১. ইউসুফ সাহেব গাজীপুরে একটি বাংলো তৈরি করেছেন। তিনি বাড়ির পিছনের অংশে বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগান। সামনে ফুলের বাগান করেন। তার বন্ধু এরপ বাগান দেখে নিজের বাড়িতেও বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন।
ক. গুল্মজাতীয় গাছ কোথায় লাগাতে হবে?
খ. ফুলের বাগান করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে?
গ. ইউসুফ সাহেব বাংলোর পিছনের অংশে কীভাবে গাছ লাগালে উপকৃত হবেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইউসুফ সাহেবের বন্ধুর বাড়িতে ঘরোয়া বাগানই উপযুক্ত হবে- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গুল্মজাতীয় গাছ বাড়ির প্রাচীরের পাশে লাগাতে হবে।

খ. আঙিনার সামনের অংশে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুলের বাগান করতে সবাই পছন্দ করে। এক্ষেত্রে গোলাপ, রঙ্গন, কাঁঠালচাঁপা, জবা ইত্যাদি গাছ একবার লাগালে বহু বছর ফুল দেয়। গুল্মজাতীয় গাছ প্রাচীরের পাশে এবং মৌসুমি ফুলের গাছ সম্মুখভাবে লাগাতে হবে। এতে করে বড় গাছের ছায়া ছোট গাছে পড়াবে না এবং ছোট গাছগুলো সতেজ হবে। তাই ফুলের বাগান করার ক্ষেত্রে সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

গ. ইউসুফ সাহেব নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাংলোর পিছনের অংশে গাছ লাগালে উপকৃত হবেন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ইউসুফ সাহেব গাজীপুরে একটি বাংলো তৈরি করেন। তিনি বাংলোর পিছনের অংশে বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি লাগিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি যদি নিয়ম মেনে গাছপালা লাগান তবে উপকৃত হবেন। এক্ষেত্রে বাড়ির সামনের এবং পিছনের অংশে গাছ লাগানোর পূর্বে পরিকল্পনা করে নিতে হবে। এতে গাছপালা বেড়ে উঠতে সমস্যা হবে না এবং সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। বাড়ির পিছনের অংশে বড় বৃক্ষগুলো প্রাচীরের সাইডে লাগানো যায়। এসব বড় বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে নারকেল, সুপারি, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, সফেদা ইত্যাদি। বাকি অংশ মাচা করে লতানো গাছ যেমন- লাউ, কুমড়া, শিম, করলা ইত্যাদি উৎপাদন করা যায়। গুল্মজাতীয় গাছগুলোও প্রাচীরের সাইডে লাগাতে হবে এবং যে অংশে রোদ আসে সেখানে বেড তৈরি করে সবজি চাষ করা যাবে। ইউসুফ সাহেব তার বাংলোর পিছনের অংশে এভাবে গাছ লাগালে উপকৃত হবেন।

ঘ. ‘‘ইউসুফ সাহেবের বন্ধুর বাড়িতে ঘরোয়া বাগানই উপযুক্ত হবে।’’ মন্তব্যটি যথার্থ।
কারণ শহরাঞ্চলে বাগানের ছোঁয়া পেতে ঘরোয়া বাগান বা ইনডোর গার্ডেনই উপযুক্ত মাধ্যম। ইউসুফ সাহেব গাজীপুরে বাংলো তৈরির উদ্দেশ্যে বাড়ির পিছনের অংশে নানা ধরনের গাছপালা লাগিয়েছেন। তার বন্ধু এ পরিবেশ দেখে তিনিও নিজ বাড়িতে বাগান করতে উৎসাহিত হন। এক্ষেত্রে ঘরোয়া বাগানের কোনো বিকল্প নেই। ঘরের কোণে ছোট ছোট টবে ফার্ন, পাম, মানি পস্ন্যান্ট, ক্যাকটাস, পাতাবাহার গাছ লাগানো যায়, যা কক্ষের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। তবে ঘরের ভেতরের এ গাছগুলোকে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হয়। রোদ না পেলে এসব গাছের সতেজতা হ্রাস পায় এবং মরে যায়। আবার বারান্দায় ছিকা করে গাছ লাগালে লতা ছিকা বেয়ে ঝুলে পড়ে এবং বেশ দৃষ্টিনন্দন হয়। এভাবে ঘরোয়া বাগান অসীম প্রকৃতিকে গৃহসীমায় এনে দেয় এবং সবুজের স্পর্শ পেতে সাহায্য করে। ইউসুফ সাহেবের বন্ধুর শহরের বাড়িতে এ ঘরোয়া বাগানই এনে দিতে পারে সবুজ প্রকৃতির স্বাদ। তাই বলা যায়, ইউসুফ সাহেবের বন্ধুর বাড়িতে ঘরোয়া বাগানই উপযুক্ত।

২. শেফালী তার ছোট ফ্ল্যাটটির বারান্দায় বিভিন্ন ফুলগাছ, সবজি জাতীয় গাছ। ও গুল্ম দিয়ে শ্রীবৃদ্ধি করেন। তিনি নিয়মিত এগুলোর যত্ন করেন। তার এ বারান্দায় গাছ লাগানো দেখে প্রতিবেশীরাও উদ্বুদ্ধ হলেন।
ক. বাগানের জন্য কোন মাটি সবচেয়ে ভালো?
খ. বাগান করার বিবেচ্য বিষয় সম্পর্কে লেখ।
গ. শেফালী কীভাবে বারান্দার গাছগুলোর যত্ন নেন- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শেফালীর কার্যক্রম প্রতিবেশীদের বাগান করার উদ্বুদ্ধ করল- আলোচনা কর।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বাগানের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।

খ. বাগান করার মাধ্যমে নির্মল বিনোদন লাভ করা যায় এবং আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া যায়। বাগান করার জন্য কতকগুলো বিষয় বিবেচনা করতে হয়। যেমন-
১. উন্মুক্ত বা ছাদে বাগান করতে হবে,
২. ঋতু অনুসারে বাগানে ফুল-ফল বা সবজি লাগাতে হবে,
৩. বাগান এমন হবে যাতে হাঁটাচলা ও বাগানের যতণ নেওয়ার জন্য খোলা জায়গা থাকে,
৪. বাড়ির পিছনে সবজি বাগান করতে হবে এবং
৫. নিয়মিত বাগানের পরিচর্যা করতে হবে।

গ. শেফালী তার ফ্ল্যাটের বারান্দায় বিভিন্ন ফুলগাছ ও সবজি জাতীয় গাছ লাগিয়েছেন। তিনি নিয়মিত এগুলোর যত্ন নেন। এজন্য তিনি পানি দেন, পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য কীটনাশক স্প্রে করেন, আগাছা পরিষ্কার এবং প্রয়োজন মতো সার প্রদান করেন। চারার গোড়ায় মাঝে মাঝে খুঁচিয়ে মাটি আলগা করে দেন, যাতে দ্রুত পানি চুষে নিতে পারে। এছাড়া পচা পাতা, ঝরা পাতা ও মরা পাতাও তিনি পরিষ্কার করেন। এভাবে শেফালী তার গাছের যত্ন নেন।

ঘ. শেফালী তার ছোট ফ্ল্যাটের বারান্দায় ফুলগাছ, সবজি জাতীয় গাছ ও গুল্ম দিয়ে শ্রীবৃদ্ধি করেন। তার এ কার্যক্রম প্রতিবেশীদের বাগান করতে উদ্বুদ্ধ করে। কারণ শেফালী বাগান করার মাধ্যমে যেমন মানসিক প্রশান্তি লাভ করে, তেমনি আর্থিকভাবে লাভবান হন। শেফালী তার বাগান হতে টাটকা সবজি পান। এসব সবজি বাজার থেকে কিনতে হলে তাকে অর্থ ব্যয় করতে হতো। তাছাড়া এমন স্বাস্থ্যসম্মত সবজিও পেতেন না। আবার ফুল তাকে আনন্দ দেয়, নির্মল ভালোবাসা তৈরি করে, গুল্ম বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে মন জুড়িয়ে দেয়। ফলে মন প্রফুল্ল হয় এবং সজীবতা লাভ করে। এসব কারণে শেফালীর প্রতিবেশীরা বাগান করতে উৎসাহী হয়।

৩. মিতু তার বাড়ির পিছনের অংশে কবুতর, হাঁস-মুরগি পালন করেন। এগুলো তাদের আমিষের যোগান দেয়। ফলে এ খাতে তাদের পরিবারকে বেশি খরচ করতে হয় না। তিনি তার বাড়ির সামনের প্রাঙ্গণে ছেলেমেয়েদের খেলার ব্যবস্থা রাখেন। তার সন্তানদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সন্তানরাও বিনোদনের সুযোগ পাচ্ছে।
ক. শহরাঞ্চলের বাড়ির ছাদে কী পালন করা যায়?
খ. ফুল, ফল ও সবজি বাগানের প্রয়োজনীয়তা কী? ব্যাখ্যা কর।
গ. মিতু কীভাবে খাদ্য খাতে খরচ কমান? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মিতু তার সন্তানদের পাশাপাশি প্রতিবেশীর সন্তানদের উপকৃত হচ্ছে- বিশ্লেষণ কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শহরাঞ্চলের বাড়ির ছাদে মুরগি, কবুতর, কোয়েল পাখি পালন করা যায়।

খ. সবুজ শ্যামল গাছ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গাছের কোনো বিকল্প নেই। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, বায়ুদূষণ রোধসহ শত শত টন কার্বন শোষণ করে বৃক্ষ পরিবেশ অক্ষত রাখে। গাছের পরিবেশগত মূল্য অপরিসীম। গৃহাঙ্গনে বা ছাদে সবুজ বনায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। গৃহাঙ্গন বড় হলে বাড়ির সম্মুখ অংশে ফুলের বাগান থাকলে বাড়ির সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। পিছনের অংশ বা সাইডে সবজি বাগান, বনজ, ফলদ ও ওষুধি গাছ লাগানো যায়। এতে বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হয়।

গ. উদ্দীপকের মিতু বাড়ির পিছনের অংশে কবুতর, হাঁস-মুরগি পালন করেন। এগুলো তাদের আমিষের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। এছাড়াও আমি মনে করি, মিতু একটি নকশা পরিকল্পনা গ্রহণ করে বাড়ির পিছনের অংশ ছাড়াও বাড়ির সামনের অংশ, ছাদ, বারান্দায় ফল, সবজিসহ অন্যান্য চাষ করে তিনি খাদ্য খাতে খরচ কমাতে সক্ষম হয়েছেন।
বাড়ির সামনের অংশের ব্যবহার : উদ্দীপকে মিতা বাড়ির সামনের অংশে বিভিন্ন সবজির চাষ করে তিনি খাদ্য খরচ কমাতে পারেন। এতে খরচ কমার পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও তিনি পূরণ করতে পারছেন।
বাড়ির বারান্দায় অংশের ব্যবহার : বারান্দায় ফুলগাছ ছাড়াও ফল, সবজি গাছ যেমন- কাঁচা মরিচ, লেবু ধনে পাতা, বেগুন, টমেটো ইত্যাদি গুল্মজাতীয় গাছের আবাদও তিনি করে থাকেন এবং তিনি খাদ্য খরচ কমাতে সক্ষম হচ্ছেন।
বাড়ির ছাদের অংশের ব্যবহার : আমি মনে করি, উদ্দীপকের মিতু বাড়ির ছাদের অংশে বড় পরিসরে সবজির চাষ করে থাকেন। আমরা জানি, শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদকে যদি সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করা যায় তবে সবুজের বিপস্নব ঘটানো সম্ভব। তিনি হয়তো বাড়ির ছাদের অংশ ফল, সবজি চাষ করেও তার খাদ্যের খরচ কমাতে সক্ষম হচ্ছেন।
বাড়ির পিছনের অংশের ব্যবহার : উদ্দীপকের মিতু বাড়ির পিছনের অংশে হাঁস-মুরগি পালন করে আমিষের চাহিদা তো মেটাচ্ছেনই পাশাপাশি আমি মনে করি, তিনি মাচায় সবজি এবং ফলের চাষ করছেন। আর উল্লিখিত এসব পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমেই উদ্দীপকের মিতুর মতো পরিবারের খাদ্য খাতে খরচ কমানো সম্ভব।

ঘ. হ্যাঁ, আমি মনে করি, উদ্দীপকের মিতুর এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে তার সন্তানদের পাশাপাশি প্রতিবেশীর সন্তানরাও উপকৃত হচ্ছে। গৃহ প্রাঙ্গণ, ছাদ ও বারান্দার ব্যবহার বৃদ্ধি করে এক একটি বাড়ি হয়ে উঠতে পারে উৎপাদনকেন্দ্র বা সৌন্দর্যের আধার হিসেবে। সবুজ শ্যামল গাছ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গাছের কোনো বিকল্প নেই। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, বায়ুদূষণ রোধসহ শত শত টন কার্বন শোষণ করে বৃক্ষ পরিবেশ অক্ষত রাখে। পরিবেশকে প্রাধান্য দিয়ে সবুজ দেশ গঠনে সবার সচেতনতা আবশ্যক। বর্তমানে নগরজীবনে স্বাস্থ্যঝুঁকি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণ মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। পড়াাশুনায় মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কমায়, অবসাদগ্রস্ততা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি করে, সামাজিক শান্তি নষ্ট হয়। জলবায়ুর ওপর বিরূপ প্রভাব দেখা দেয়। তাই সবুজ বনায়ন তৈরিতে সবার সচেতনতা আবশ্যক। গৃহপ্রাঙ্গণ বড় হলে বাড়ির সম্মুখ অংশে ফুলের বাগান থাকলে বাড়ির সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে। গৃহের প্রাঙ্গণে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা যায়। যেমন- ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, র‍্যাকেট, বাস্কেট বল ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ খেলাধুলার ব্যবস্থা রাখা যায়। এতে আননদ, বিনোদন পাওয়া যায়, আবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা হয়।
উপরিউক্ত আলোচনা শেষে আমি বলতে পারি, উদ্দীপকের মিতুর পরিবারে এ ধরনের পরিবেশ বজায় রেখেছে বিধায় মিতুর সন্তানদের পাশাপাশি প্রতিবেশীর সন্তানরাও উপকৃত হচ্ছে।

৪. সারোয়ার সাহেব ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। চাকরিসূত্রে তিনি যেখানে বদলি হয়েছে সেখানকার কোয়ার্টারে থাকেন। তার বাসার ছাদটি বেশ বড়। তিনি সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফুলের গাছ লাগিয়েছেন। এগুলোকে তিনি এবং তার স্ত্রী মিলে পরিচর্যা করেন।
ক. পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে কিসের কোনো বিকল্প নেই?
খ. বায়ুদূষণ মস্তিষ্কের ওপর কীরূপ প্রভাব ফেলে?
গ.সারোয়ার সাহেব পরিবেশ রক্ষায় কীভাবে অবদান রাখছেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সারোয়ার সাহেব তার কর্মকান্ডের মাধ্যমে নানাভাবে উপকৃত হবেন- মন্তব্যটি যথার্থতা যাচাই কর।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গাছের কোনো বিকল্প নেই।

খ. বায়ু দূষণ মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বর্তমানে ক্রমাগতভাবে বায়ু দূষিত হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এ বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে যে বায়ু দূষণ মস্তিষ্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর কারণে পড়াাশুনায় মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি কমে যায়। অবসাদগ্রস্ততা ও অস্থিরতা বৃদ্ধি পায়। এভাবে বায়ু দূষণ মস্তিষ্কের ওপর প্রচন্ড নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

গ. সারোয়ার সাহেব পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছেন। সবুজ শ্যামল গাছ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। আর পরিবেশ রক্ষায়ও গাছের অবদান বলে শেষ করা যাবে না। গৃহ প্রাঙ্গণ, ছাদ ও বারান্দার ব্যবহার বৃদ্ধি করে এক একটি বাড়ি হয়ে উঠতে পারে উৎপাদন কেন্দ্র বা সৌন্দর্যের আধার। গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখা যায়। উদ্দীপকের সারোয়ার সাহেবকে পরিচর্যা করতে দেখা যায়। তিনি একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি চাকরিসূত্রে যেখানে বদলি হয়েছেন সেখানকার কোয়ার্টারে থাকেন। তার বাসার ছাদটি বেশ বড় এবং তিনি সেখানে নানা ধরনের ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছেন। এ গাছগুলোকে তিনি এবং তার স্ত্রী মিলে পরিচর্যাও করেন। এভাবে গাছ লাগানোর মাধ্যমে তিনি তার বাড়ির ছাদকে আকর্ষণীয় করে তোলার পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও সচেষ্ট হয়েছে। প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় গাছের কোনো বিকল্প নেই। গাছের পরিবেশগত মূল্যও অপরিসীম। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, বায়ু দূষণ রোধসহ শত শত টন কার্বন শোষণ করে বৃক্ষ। এর মাধ্যমে তারা পরিবেশকে অক্ষত রাখে। তাই যারা বৃক্ষের পরিচর্যা করেন তারাও পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। উদ্দীপকের সারোয়ার সাহেব গাছ পরিচর্যার মাধ্যমে এ মহৎ কর্মকান্ড-ই অংশ নিয়েছেন এভাবেই তিনি পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় অবদান রাখছেন।

ঘ. সারোয়ার সাহেব গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি নানাভাবে উপকৃতও হবেন।
গৃহ প্রাঙ্গণ, ছাদ ও বারান্দাকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করতে পারি। এখানে বাগান তৈরি করা যায় এবং নানা ধরনের গাছ লাগিয়ে বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা যায়। গাছ প্রাণীর জীবনধারণের জন্য যেমন অপরিহার্য তেমনি এর পরিবেশগত মূল্যও অপরিসীম। গাছ আমাদেরকে নানাভাবে উপকার করে থাকে। উদ্দীপকের সারোয়ার সাহেবকে গাছ লাগিয়ে এর পরিচর্যা করতে দেখা যায়। তিনি তার কোয়ার্টারের ছাদে নানা রকম ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছেন এবং সেগুলোকে তিনি পরিচর্যা করেন। গাছ যেভাবে সকলের উপকার করে সারোয়ার সাহেব সেসব উপকার পাবেন। তার গাছপালা আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ করে, বায়ু দূষণ রোধ করে এবং শত শত টন কার্বন শোষণ করে উপকার সাধন করতে পারবে। সারোয়ার সাহেবও তার পরিবারের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও অনেকাংশে হ্রাস পাবে। বায়ু দূষণ মস্তিষ্কের ওপর যে ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে তা গাছপালা অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। সারোয়ার সাহেবও এ ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। এসবের পাশাপাশি বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সারোয়ার সাহেবের এ উদ্যোগ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারবে।। সারোয়ার সাহেব গাছ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষায় যেভাবে ভূমিকা রাখতে পারবেন তেমনি বেশকিছু উপকারও পারেন।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে বলা যায় যে, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।

৫. অনিমা রানির বাড়ির পিছনের অংশে অনেকখানি জমি পতিত পড়ে রয়েছে। নোংরা জমে এখান থেকে সবসময় দুর্গন্ধ বের হয়। তিনি মাঝে মাঝে জায়গাটি পরিষ্কার করলেও এর সদ্ব্যবহার করতে পারেন না।
ক. গৃহ প্রাঙ্গণে বা ছাদে সবুজ বনায়নের জন্য কী প্রয়োজন?
খ. সবুজ বনায়ন তৈরিতে সকলের সচেতনতা আবশ্যক কেন?
গ. উদ্দীপকের অনিমা রানি তার জায়গাটিকে কীভাবে কাজে লাগাতে পারেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. অনিমা রানির সঠিক পদক্ষেপই তার বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গৃহ প্রাঙ্গণে বা ছাদে সবুজ বনায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা।

খ. সকলের সম্মিলিত প্রয়াস এবং সচেতনতাই সবুজ বনায়ন তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারে বলে এটির জন্য সকলের সচেতনতা আবশ্যক। সবুজ বনায়ন আমাদের নানা সমস্যা সমাধানে সহায়তা করতে পারে। গৃহ প্রাঙ্গণে বা ছাদে সবুজ বনায়নের জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। আর এ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস একান্ত প্রয়োজন। তবেই সবুজ বনায়ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। তাই সবুজ বনায়ন তৈরিতে সকলের সচেতনতা আবশ্যক।

গ. উদ্দীপকের অনিমা রানি তার জায়গাটিকে পশুপাখি পালনের ব্যবস্থা করে কাজে লাগাতে পারেন।
বাড়ির প্রাঙ্গণে বা ভবনের ছাদে উপযুক্ত প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছ লাগিয়ে এবং গৃহপালিত পশুপাখি লালন-পালন করে পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায় এবং অর্থও উপার্জন করা যায়। বাড়ির পিছনের অংশ গৃহপালিত পশুপাখি লালন-পালন করার সর্বোত্তম স্থান। উদ্দীপকের অনিমা রাণীর বাড়ির পিছনের অংশে অনেকখানি জায়গা পতিত পড়ে রয়েছে। নোংরা জমে এখান থেকে সবসময় দুর্গন্ধ বের হয়। তিনি মাঝে মাঝে জায়গাটি পরিষ্কার করলেও এর সদ্ব্যবহার করতে পারেন না। এ জায়গাটিকে তিনি কাজে লাগাতে পারেন যদি তিনি এখানে পশুপাখি লালন-পালন করেন। বাড়ির পিছনের প্রাঙ্গণ পশুপাখি লালন-পালন করার জন্য উপযুক্ত স্থান। এখানে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল লালন-পালনের ব্যবস্থা করা যায়। গরু-ছাগল পালনের জন্য এখানে গোয়ালঘরও তৈরি করা যায়। হাঁস- মুরগি ও কবুতরের ঘরও তৈরি করা যায়। উদ্দীপকের অনিমা রাণী তার বাড়ির পিছনের পতিত জায়গাটি পশুপাখি লালন-পালনের কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে তার জায়গাটির সদ্ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এভাবেই অনিমা রানী তার জায়গাটিকে কাজে লাগাতে পারেন।

ঘ. অনিমা রানির সঠিক পদক্ষেপই তার বাড়িকে সৌন্দর্যের আধার করে তোলার পাশাপাশি উৎপাদন কেন্দ্রেও পরিণত করতে পারেন। মানুষের বসবাসের জন্য যে বাসগৃহ প্রয়োজন সেখানকার বিভিন্ন জায়গার সদ্ব্যবহার করার মাধ্যমে বাসগৃহকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব হয়। তবে এর জন্য প্রয়োজন সঠিক পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টা। বর্তমান সময়কালে আবহাওয়া ও জলবায়ুর দূষণ প্রতিরোধে সবুজ বনায়ন শুরু করা যায় গৃহ থেকেই। নানা প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগিয়ে এবং গৃহপালিত পশুপাখি লালন-পালনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণের পাশাপাশি অর্থও আয় করা যায় যা বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করে। উদ্দীপকের অনিমা রানিও তার বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে পারেন। তিনি যদি তার বাড়ির পিছনের পতিত জায়গাটিতে পশুপাখি লালন-পালন করেন তবে তিনি উপকৃত হবেন। এর মাধ্যমে তিনি তার ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অর্থও উপার্জন করতে পারবেন। আবার যদি তিনি তার বাড়িতেই নানা ধরনের গাছ লাগান তবে এর মাধ্যমেও উপকৃত হতে পারবেন। এতে করে তিনি বাড়ি থেকেই বিভিন্ন জিনিস উৎপাদন করতে পারবেন এবং সেগুলো থেকে অর্থ আয় করে উপকৃতও হতে পারবেন।
তাই বলা যায়, অনিমা রানির সঠিক পদক্ষেপই তার বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত করতে পারে। আর এ প্রেক্ষিতে প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।

৬. শায়লা বেগম গাছপালা খুব পছন্দ করেন। কিন্তু তার বাসার বারান্দায় জায়গা খুব অল্প। তাই জায়গার অভাবে তিনি কোনো ধরনের গাছ লাগাতে পারেন না। তার ধারণা এত অল্প জায়গায় কোনোকিছুই ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না।
ক. ছাদে বাগান করতে হবে কিসের সাথে সামঞ্জস্য রেখে?
খ. বাগান নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয় কেন?
গ. শায়লা বেগম কীভাবে তার বারান্দার জায়গার সদ্ব্যবহার করতে পারেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শায়লা বেগমের ধারণার সাথে কি তুমি একমত? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ছাদে বাগান করতে হবে ছাদের আয়তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে।

খ. বাগান ও বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষার জন্য বাগান নিয়মিত পরিচর্যা করা হয়। বাড়ির আঙিনায় সবজি বা ফুলের গাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি করা যায়। কিন্তু শুধু বাগান তৈরি করলেই হয় না, এর যথাযথ পরিচর্যাও করতে হয়। যদি নিয়মিত পরিচর্যা করা না হয় তবে বাগান ও বাড়ির সৌন্দর্য নষ্ট হয়। তাই বাগান ও বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষার্থে এর নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়।

গ. শায়লা বেগম তার বারান্দায় ছোট ছোট টবে ফুল, ফল বা সবজির গাছ লাগিয়ে রেখে বারান্দার জায়গার সদ্ব্যবহার করতে পারেন। নিজের বসবাসের জায়গা যেমনি হোক না কেন একটু চিন্তা করে পরিকল্পনা করলেই গৃহ প্রাঙ্গণ, ছাদ ও বারান্দার উপযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়। তবে এর জন্য যথাযথ পরিকল্পনা এবং উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শহর এলাকায় পাকা বা ফ্ল্যাট বাড়িতে টব/ড্রাম পাকা করে আধার তৈরি করে ফুল, ফল ও সবজি আবাদ করা যায়। উদ্দীপকের শায়লা বেগমের বাসার বারান্দার জায়গা খুব স্বল্প। তিনি গাছপালা খুব পছন্দ করেন। কিন্তু বারান্দার জায়গা কম হওয়ায় তিনি সেখানে কোনোকিছুর আবাদ করেননি। কিন্তু তিনি তার বারান্দার জায়গাটির সদ্ব্যবহার করতে পারেন। শহর এলাকায় পাকা বা ফ্ল্যাট বাড়িতে টবে /ড্রাম পাকা করে আধার তৈরি করে ফুল, ফল ও সবজি আবাদ করা যায়। বারান্দায় মাটির ছোট, বড় টবে/মাটির পাত্রে গোলাপ, বেলি, বিভিন্ন ক্যাকটাস, ঝাউগাছ, পাতাবাহার, মানিপস্ন্যানট ইত্যাদি গাছ লাগানো যায়। আবার ছিকা বা রডের স্ট্যান্ড তৈরি করেও টব রাখা যায়। এসব ফুলগাছ ছাড়াও বারান্দায় গুল্মজাতীয় গাছেরও আবাদ করা যায়। এভাবে বারান্দার অল্প জায়গাকেও ব্যবহার করা যায়। উদ্দীপকের শায়লা বেগমও এভাবে তার বারান্দার জায়গার সদ্ব্যবহার করতে পারেন।

ঘ. না, শায়লা বেগমের ধারণার সাথে আমি একমত নই।
বারান্দায় জায়গা কম হলেও সেখানে পরিকল্পনামাফিকভাবে গাছপালা লাগালে সেগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। শহর এলাকার বারান্দা বা ছাদে জায়গার স্বল্পতা দেখা যায়। কিন্তু যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করলে এবং পরিকল্পনা করে গাছপালা লাগালে তাতে বারান্দা ও ছাদের শ্রীবৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি বনায়নও করা যায়। উদ্দীপকের শায়লা বেগমকে দেখা যায় জায়গার স্বল্পতাজনিত সমস্যার সম্মুখীন হতে। তিনি গাছপালা খুব পছন্দ করেন। কিন্তু বাসার বারান্দায় জায়গা খুব অল্প হওয়ায় তিনি কোনো ধরনের গাছ লাগাতে পারেন না। তার ধারণা এত অল্প জায়গায় কোনোকিছুই ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারবে না। কিন্তু শায়লা বেগমের এরূপ ধারণা সঠিক নয়। বারান্দার জায়গা অল্প হলেও যথাযথ পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যবহার করলে সেখানেও গাছপালা বেড়ে উঠতে পারে। সেক্ষেত্রে বারান্দায় মাটির ছোট, বড় টবে/মাটির পাত্রে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ লাগানো যায়। বারান্দায় ফুলগাছ ছাড়াও ফল, সবজি যেমন- কাঁচামরিচ, লেবু, ধনেপাতা, বেগুন, টমেটো ইত্যাদি গুল্মজাতীয় গাছেরও আবাদ করা যায়। এতে করে বারান্দায় স্বল্প জায়গা থাকলেও গাছপালা ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারে। তবে বারান্দায় গাছপালায় যেন রোদ পর্যাপ্ত লাগে সে বিষয়টিও খেয়াল রাখতে হবে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায় যে, আমি শায়লা বেগমের ধারণার সাথে একমত নই।

৭. মাসুদ সাহেব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। অবসর সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে তিনি তার বাড়ির ছাদেই গড়ে তুলেছেন সবজির বাগান। লাউ, পুঁই, টমেটো ইত্যাদি নানা ধরনের সবজি রয়েছে তার সবজি বাগানে। তিনি সেগুলোর পরিপূর্ণ যত্ন ও পরিচর্যাও করেন।
ক. শহরের বাড়িতে কী উন্মুক্ত স্থান?
খ. গৃহের প্রাঙ্গণে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা দরকার কেন?
গ. মাসুদ সাহেব তার ছাদের যথাযথ ব্যবহার করেছেন কীভাবে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মাসুদ সাহেবের মতো সবাই যদি অবসর সময়কে কাজে লাগায় তবেই সবুজের বিপস্নব ঘটানো সম্ভব- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শহরের বাড়িতে ছাদ হলো উন্মুক্ত স্থান।

খ.গৃহের প্রাঙ্গণে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা দরকার কারণ এতে করে আনন্দ বিনোদনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও করা যায়। গৃহের প্রাঙ্গণে ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট, র‍্যাকেট, বাস্কেট বল ইত্যাদি অভ্যন্তরীণ খেলাধুলার ব্যবস্থা করা যায়। গৃহের প্রাঙ্গণে জায়গা থাকলে শিশুরা সেখানে ছোটাছুটি করতে পারে এবং সাইকেল চালাতে পারে। এতে করে একদিকে যেমন নির্মল আনন্দ পাওয়া যায় তেমনি স্বাস্থ্য সুরক্ষাও করা যায়। এসব কারণেই গৃহের প্রাঙ্গণে খেলাধুলার ব্যবস্থা করা দরকার।

গ. মাসুদ সাহেব তার ছাদে সবজির বাগান করার মাধ্যমে ছাদের যথাযথ ব্যবহার করেছেন।
নিজের বসবাসের জায়গাটিকে একটু পরিকল্পনা করে ব্যবহার করতে পারলেই এর উপযোগিতা বৃদ্ধি করা যায়। শহরের বাড়িতে ছাদ হলো। উন্মুক্ত স্থান। ছাদে পরিকল্পনা করে সবজি ও ফলের বাগান করার মাধ্যমে ছাদের জায়গা যথাযথ ব্যবহার করা যায়। উদ্দীপকের মাসুদ সাহেব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি তার অবসর সময়কে কাজে লাগানোর জন্য বাসার ছাদেই গড়ে তুলেছেন সবজির বাগান। লাউ, পুঁইশাক, টমেটো ইত্যাদি নানা ধরনের সবজি রয়েছে তার বাগানে। তিনি এগুলোর পরিপূর্ণ যত্ন ও পরিচর্যাও করেন। শহরের বাড়িতে ছাদই হলো উন্মুক্ত স্থান যেখানে সবজি ও ফলের বাগান করা যায়। ছাদে যেসব সবজি লাগানো যায় তার মধ্যে রয়েছে লাউ, শিম, ঝিঙে, কুমড়া, পুঁই, শসা, করলা ইত্যাদি। মরিচ, লেবু, টমেটো, বেগুন ইত্যাদি গুল্মগাছও লাগানো যায়। এতে করে ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি বাড়িকে উৎপাদন কেন্দ্রেও পরিণত করা যায়। উদ্দীপকের মাসুদ সাহেবও তার ছাদে সবজির বাগান গড়ে তুলেছেন এবং সেগুলোকে যত্নও করেছেন। এভাবেই তিনি তার ছাদের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন।

ঘ. মাসুদ সাহেবের মতো যদি সবাই অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে শহরের বাড়ির ছাদের যথাযথ ব্যবহার করে তবেই সবুজের বিপস্নব ঘটানো সম্ভব।
প্রতিটি বাড়ি বা ভবনকে সবুজ বনায়নের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ও নান্দনিক করে তোলা যায়। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগ গ্রহণ। শহরের বাড়িতে ছাদই হলো উন্মুক্ত স্থান এবং এর যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমেই সবুজের বিপস্নব ঘটানো যায়। উদ্দীপকের মাসুদ সাহেব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি তার অবসর সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে ছাদেই গড়ে তুলেছেন। সবজির বাগান। লাউ, পুঁই, টমেটো ইত্যাদি নানা ধরনের সবজি। রয়েছে তার সবজি বাগানে। তিনি সেগুলোর যত্ন ও পরিচর্যা করেন। তার ছাদেই তিনি সূচনা করেছেন সবুজের বিপস্নবের। শহরের প্রতিটি বাড়ির ছাদকে যদি এমনভাবে ব্যবহার করা যায় তবে সবুজের। ঘটানো সম্ভব। নিজের উৎপাদিত সবজি একদিকে যেমন তৃপ্তি দেবে। তেমনি অর্থের সাশ্রয়ও হবে। অবসর সময়কে সুষ্ঠভাবে কাজে লাগানোর এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। এছাড়াও পরিবারের সবাই মিলে যদি কাজ করা যায় তবে সবার মাঝে মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। উদ্দীপকের মাসুদ সাহেব তার অবসর সময়কে যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে সবুজ বনায়নের অংশীদার হয়েছেন। তার মতো করে সবাই যদি নিজেদের অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়ির ছাদের যথাযথ ব্যবহার করেন তবেই সম্ভব সবুজের বিপস্নব ঘটানো।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে বলা যায় যে, প্রশ্নের মন্তব্যটি যথার্থ।

৮. তিথিদের বাড়ির সামনে বেশ খোলা জায়গা রয়েছে। তারা বিকালে এখানে বসে আড্ডা দেয়। কিন্তু তিথি তার বাড়ির এ জায়গাটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চায়। সেজন্য সে পরিবারের সদস্যদের সাথে আঙিনার ব্যবহারের পরিকল্পনা করতে শুরু করে।
ক. আঙিনার যেদিকে রোদ থাকে সেদিক কী করতে হবে?
খ. আঙিনার পরিকল্পনা করতে হয় কেন?
গ. তিথি তার বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাড়ির সামনের অংশকে কীভাবে ব্যবহার করতে পারে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তিথির আঙিনার ব্যবহারের পরিকল্পনা করা কি সমর্থনযোগ্য? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. আঙিনার যেদিকে রোদ থাকে সেদিক বাগান করতে হবে।

খ. আঙিনায় ফুল-ফল-সবজির উৎপাদন যেন ভালো হয় সেজন্য আঙিনার পরিকল্পনা করতে হয়। আঙিনার সৌন্দর্যবর্ধন করার পাশাপাশি এখানে বিভিন্ন ধরনের ফসলও চাষ করা যায়। তবে এর আগে আঙিনার পরিকল্পনা করা জরুরি। আঙিনার যেদিকে রোদ থাকে সেদিকে বাগান করতে হবে। কেননা গাছের বেড়ে ওঠার জন্য রোদের প্রয়োজন হয়। আবার আঙিনার যেদিকে ছায়া থাকে সেদিকে হাঁস-মুরগি-কবুতর ইত্যাদি পালনের ব্যবস্থা করা যায়। আর এসব বিষয় নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই আঙিনার পরিকল্পনা করতে হয়।

গ. তিথি তার বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাড়ির সামনের অংশে ফুলের বাগান করে জায়গাটিকে ব্যবহার করতে পারে।
বাড়ির আঙিনার খোলা জায়গাকে কাজে লাগিয়ে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। বাড়ির সামনের অংশকে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে লাগানোর সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত। উদ্দীপকের তিথিদের বাড়ির সামনে বেশ খোলা জায়গা রয়েছে। তারা বিকালে এখানে বসে আড্ডা দেয়। তিথি তার বাড়ির এ সামনের অংশটিকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে চায়। সে এ অংশকে বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে লাগাতে পারে। আঙিনার সামনের অংশে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুলের বাগান করতে সবাই পছন্দ করে। গোলাপ, রঙ্গন, কাঠালিচাঁপা, জবা ইত্যাদি গাছ একবার লাগালে বহু বছর ফুল দেয়। এসব গাছ প্রাচীরের সাইডে এবং সম্মুখভাবে মৌসুমি ফুল লাগাতে হবে। এতে বড় গাছের ছায়া ছোট গাছের ওপর পড়াবে না। ফলে সব ধরনের গাছই সুন্দরভাবে বেড়ে উঠবে এবং বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। উদ্দীপকের তিথিও তার বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনে বাড়ির সামনের অংশের জায়গাটিতে এভাবে ফুলের গাছ লাগাতে পারে। এর ফলে তার বাড়ির জায়গাটির যেমন যথাযথ ব্যবহার হবে তেমনি তার বাড়ির সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে।

ঘ. হ্যাঁ, তিথির আঙিনার পরিকল্পনা করা সমর্থনযোগ্য।
কারণ, বাড়ির প্রাঙ্গণে বা ভবনের ছাদে উপযুক্ত প্রজাতির ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ লাগানো যায়। এতে করে বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নিজেদের চাহিদাও পূরণ করা যায়। তবে এর জন্য পরিকল্পনা পূর্ব থেকেই করা থাকলে ভালো হয়। পরিকল্পনা থাকলে গৃহ প্রাঙ্গণ বা ছাদের জায়গার যথাযথ ব্যবহারও করা যায়। উদ্দীপকের তিথির বাড়ির সামনে বেশ খোলা জায়গা রয়েছে। তারা বিকালে এখানে আড্ডা দেয়। কিন্তু তিথি তার বাড়ির সামনের অংশের জায়গাটিকে ব্যবহার করতে চায়। এ উদ্দেশ্যে সে তার বাড়ির সদস্যদের সাথে আঙিনার পরিকল্পনা করতে শুরু করে। আঙিনা ব্যবহারের পূর্বে পরিকল্পনা করে নিলে জায়গার যথাযথ ব্যবহার করা যায়। আঙিনায় গাছ লাগানোর পূর্বে বেশকিছু বিষয় বিবেচনা করতে হয়। যেমন- আঙিনার যেদিকে রোদ থাকে সেদিকে বাগান করতে হয় এবং যেদিকে ছায়া থাকে সেদিকে গৃহপালিত পশুপাখি পালনের ব্যবস্থা করতে হয়। এছাড়াও বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বাড়ির সামনের অংশে নানা ধরনের ফুল গাছ লাগানো যায়। তবে কোন গাছ প্রাচীরের সাইডে এবং কোনোগাছ সম্মুখভাবে লাগাতে হয় সেগুলো পরিকল্পনার মাধ্যমেই ঠিক করতে হয়। তাই উদ্দীপকের তিথির আঙিনার পরিকল্পনা করাকে নিঃসন্দেহে সমর্থনযোগ্য বলা যায়।

৯. আনিস সাহেব ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় একটি জায়গা কিনেছিলেন। তিনি সেখানে গ্রামের মতো পরিবেশ তৈরি করতে চান। তাই বাড়ির পিছনের অংশে তিনি নানা ধরনের গাছগাছালি লাগিয়েছিলেন। অপরদিকে, তার ভাই আফসোস করে তাকে বলে যে, তার শহরের বাড়িতে এমন পরিবেশের অভাব তিনি সবসময় অনুভব করেন।
ক. গুল্মজাতীয় গাছ কোথায় লাগাতে হবে?
খ. ফুলের বাগান করার ক্ষেত্রে কোন বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে?
গ. আনিস সাহেব বাড়ির পিছনের অংশে কীভাবে গাছ লাগালে উপকৃত হবেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আনিস সাহেবের ভাইয়ের বাড়িতে ঘরোয়া বাগানই উপযুক্ত হবে- মন্তব্যটির যথার্থতা যাচাই কর।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গুল্মজাতীয় গাছ প্রাচীরের সাইডে লাগাতে হবে।

খ. ফুলের বাগান করার ক্ষেত্রে বাগানের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি গাছ লাগানোর নিয়মের প্রতিও খেয়াল রাখতে হবে। আঙিনার সামনের অংশে বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য ফুলের বাগান করতে সবাই পছন্দ করে। এক্ষেত্রে গোলাপ, রঙ্গন, কাঁঠালিচাঁপা, জবা ইত্যাদি গাছ সেগুলো একবার লাগালে বহু বছর ফুল দেয় সেগুলো প্রাচীরের সাইডে এবং মৌসুমি ফুলের গাছ সম্মুখভাবে লাগাতে হবে। এতে করে বড় গাছের ছায়া ছোট গাছে পড়াবে না এবং ছোট গাছগুলো সতেজ হবে। ফুলের বাগান করার ক্ষেত্রে এসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।

গ. আনিস সাহেব নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাড়ির পিছনের অংশে গাছ লাগালে উপকৃত হবেন।
বাড়ির সামনের অংশে এবং বাড়ির পিছনের অংশে গাছ লাগানোর পূর্বে পরিকল্পনা করে নিলে উপকৃত হওয়া যায়। এতে গাছপালা বেড়ে উঠতেও সমস্যা হয় না এবং সৌন্দর্যবর্ধনও করা যায়। উদ্দীপকের আনিস সাহেব ঢাকার অদূর আশুলিয়ায় জায়গা কিনেছিলেন। তিনি সেখানে গ্রামের মতো পরিবেশ তৈরি করতে চান। তাই বাড়ির পিছনের অংশে তিনি বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি লাগিয়েছিলেন। এক্ষেত্রে তিনি যদি নিয়ম মেনে গাছপালা লাগান তবে উপকৃত হবেন। বাড়ির পিছনের অংশে বড় বৃক্ষগুলো প্রাচীরের সাইডে লাগানো যায় এসব বড় বৃক্ষের মধ্যে রয়েছে নারকেল, সুপারি, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, সফেদা ইত্যাদি। বাকি অংশ মাচা করে লতানো গাছ যেমন- লাউ, কুমড়া, শিম, করলা ইত্যাদি উৎপাদন করা যায়। গুল্মজাতীয় গাছগুলো প্রাচীরের সাইডে লাগাতে হবে এবং যে অংশে রোদ সেখানে বেড তৈরি করে সবজি আবাদ করা যায়। উদ্দীপকের আনিস সাহেব যদি তার বাড়ির পিছনের অংশে এভাবে গাছ লাগিয়ে থাকেন তবে উপকৃত হবেন। গাছ লাগানোর এসব নিয়মগুলো অবলম্বন করে বাড়ির পিছনের অংশে গাছ লাগালে কাঙি্ক্ষত ফললাভ করা সম্ভব হয়।

ঘ. শহরাঞ্চলে সবুজের পরশ পেতে ঘরোয়া বাগান বা ইনডোর গার্ডেনই উপযুক্ত মাধ্যম।
শহরাঞ্চলে গৃহ প্রাঙ্গণ এবং ছাদই হলো উন্মুক্ত স্থান। এখানেই সবুজ বনায়ন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়। তবে শহরাঞ্চলে সবুজের পরশ পেতে ঘরোয়া বাগান বা ইনডোর গার্ডেনও হতে পারে উত্তম মাধ্যম। উদ্দীপকের আনিস সাহেব ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় জায়গা কিনেছেন। সেখানে গ্রামের মতো পরিবেশ তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি বাড়ির পিছনের অংশে নানা ধরনের গাছপালা লাগিয়েছেন। আনিস সাহেবের ভাই এ পরিবেশ দেখে আফসোস করেন এবং বলেন যে, তার শহরের বাড়িতে তিনি এ ধরনের পরিবেশের অভাব অনুভব করেন। শহরাঞ্চলে সবুজের স্পর্শ পেতে চাইলে ঘরোয়া বাগানের কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ঘরের কোণে ছোট ছোট টবে ফার্ন, মানি পস্ন্যান্ট, ক্যাকটাস, পাতাবাহার গাছ লাগানো যায় যা কক্ষের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। তবে ঘরের ভিতরের এসব গাছগুলোকে মাঝে মাঝে রোদে দিতে হয়। রোদ না পেলে এসব গাছের সতেজতা হ্রাস পায় এবং এগুলো মরে যায়। আবার বারান্দায় ছিকা করে গাছ লাগানো লতা ছিকা বেয়ে ঝুলে পড়ে এবং বেশ দৃষ্টিনন্দন হয়। এভাবে ঘরোয়া বাগান অসীম প্রকৃতিকে গৃহসীমায় এনে দেয় এবং সবুজের স্পর্শ পেতে সাহায্য করে। আনিস সাহেবের ভাইয়ের শহরের বাড়িতে এ ঘরোয়া বাগানই এনে দিতে পারে সবুজ প্রকৃতির স্বাদ।
তাই সার্বিক বিবেচনায় প্রশ্নের মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায়।

১০. তানজিলা বেগম বাসার ছাদে হরেক রকমের ফুল এবং ফলের গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাসায় না থাকলে কেউ তার গাছগুলোতে পানি দেয় না। হঠাৎ একদিন তানজিলা বেগম লক্ষ করলেন যে, তার গাঁদা ফুলের গাছটি শুকিয়ে গেছে।
ক. গাছের জন্য কোন মাটি সবচেয়ে ভালো?
খ. গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি কীভাবে খেয়াল রাখতে হবে?
গ. উদ্দীপকের গাছটি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কোন কারণটি দায়ী? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের তানজিলা বেগম কি পরিবেশবান্ধব জীবন গঠনে ভূমিকা রেখেছেন? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গাছের জন্য দোআঁশ মাটি সবচেয়ে ভালো।

খ. গৃহপালিত প্রাণীর সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পরিপূর্ণ খেয়াল রাখতে হয় বেশকিছু বিষয়ের দিকে মনোযোগী হয়ে। বাড়িতে হাঁস- মুরগি, গরু, ছাগল ইত্যাদি পালন করলে এদের খাচা, খোপ বা ঘর নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। এদেরকে সময়মতো খাবার এবং পানি সরবরাহ করতে হবে। এসব প্রাণীকে সংক্রামক রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য পশু চিকিৎসকের পরামর্শও গ্রহণ করতে হবে। এভাবে গৃহপালিত প্রাণীর খেয়াল রাখতে হবে।

গ. উদ্দীপকের গাছটি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব কারণটি দায়ী।
গৃহপ্রাঙ্গণ, ছাদ ও বারান্দায় গাছ লাগানোর পাশাপাশি এগুলোর পরিচর্যাও করা প্রয়োজন। যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে গাছপালা শুকিয়ে মরে যায়। গাছপালাকে যথাযথভাবে বড় উঠতে দেওয়ার জন্য পরিপূর্ণ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ অত্যাবশ্যক। উদ্দীপকের তানজিলা বেগম তার বাসার ছাদে হরেক রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছেন। কিন্তু তিনি বাসায় না থাকলে কেউ তার গাছগুলোতে পানি দেয় না। হঠাৎ একদিন তিনি লক্ষ করলেন যে, তার গাঁদা ফুলের গাছটি শুকিয়ে গেছে। আর এর জন্য যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবই দায়ী। গাছপালা লাগানোই শেষ নয় বরং এর পাশাপাশি এদের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। অন্যথায় গাছপালা বেড়ে উঠতে পারে না। গাছপাল লাগানোর সময় মাটি প্রস্তুত করার পর পানির ব্যবস্থা নিতে হয়। আবার গাছপালা পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ আলো ও পানি জরুরি। এর অভাব হলে গাছপালা শুকিয়ে মরে যায়। উদ্দীপকের ঘটনায় এ দিকটিরই প্রতিফলন ঘটেছে। উদ্দীপকের তানজিলা বেগমের গাঁদা ফুলের গাছটি শুকিয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী পর্যাপ্ত যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পাওয়ার কারণেই তার গাঁদা ফুলের গাছটি শুকিয়ে গেছে যা যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাব কারণটিকেই দায়ী করে।

ঘ. হ্যাঁ, উদ্দীপকের, তানিজলা বেগম গাছপালা লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ বান্ধন জীবন গঠনে ভূমিকা রেখেছেন।
জীবনব্যবস্থা উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি নির্ভরতার পাশাপাশি প্রকৃতি নির্ভরও প্রয়োজনীয়। পরিবেশবান্ধন জীবন গঠন বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এটি নিশ্চিত করতে গাছপালা লাগানো অত্যাবশ্যক। উদ্দীপকের তানজিলা বেগম তার বাসার ছাদে হরেক রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগিয়েছেন। এগুলো তার বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব জীবন গঠনেও সহায়তা করবে। জীবনব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য প্রযুক্তি নির্ভরতার, পাশাপাশি প্রকৃতি নির্ভরতাও জরুরি। প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে নগরায়ণ ও আবাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা মানবজীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ। পরিবেশবান্ধব জীবন গঠনের জন্য আমাদের উচিত প্রতিটি বসতবাড়ি, ভবনের ছাদ, বারান্দা এগুলোকে গাছপালায় বেষ্টিত করা। উদ্দীপকের তানজিলা বেগমের ছাদে হরেক রকম ফুল ও ফলের গাছ লাগানো এ প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে। তিনি তার এ উদ্যোগের মাধ্যমে প্রকৃতির কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করেছেন এবং প্রকৃতি বিশুদ্ধ রাখারও প্রয়াস চালিয়েছেন। তার গৃহীত এ উদ্যোগ পরিবেশবান্ধন জীবন গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে বলা যায় যে, ছাদে গাছ লাগানোর মাধ্যমে উদ্দীপকের তানজিলা বেগম পরিবেশবান্ধব জীবন গঠনে ভূমিকা রাখে।
Share:

0 Comments:

Post a Comment