HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ১

HSC গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download
এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Home Science 1st Paper Srijonshil question and answer pdf download.

উচ্চ মাধ্যমিক

গার্হস্থ্য বিজ্ঞান
প্রথম পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
১ম অধ্যায়

HSC Home Science 1st Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

১. নাবিহার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কিন্তু সে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পায়নি। তার বাবা তাকে বললেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি ভালো বিষয়ে ভর্তি হতে পার। এজন্য পড়াাশুনায় মনোযোগী হও। এ কথায় নাবিহার মন খারাপ হলো। মন খারাপ দেখে বাবা বললেন, অবস্থার প্রেক্ষিতে লক্ষ্যকে পরিবর্তন করতে হয়।
ক. গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা লেখ।
খ. গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রেষণা সৃষ্টিকারী ধারণাসমূহ লেখ।
গ. উদ্দীপকে নাবিহার লক্ষ্যটি কোন ধরনের ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘লক্ষ্য পরিবর্তনশীল’ - উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অজর্নের জন্য মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পাদকসমূহের ব্যবহারে পরিকল্পনা, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করা হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা।

খ. প্রেষণা এমন একটি শক্তি, যা ব্যক্তিকে কোনো বিশেষ কাজের দিকে টেনে নিয়ে যায়। মানুষকে তার জীবনযাত্রায় বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে গিয়ে ছোট বড় নানা ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কিছু নির্দেশক রয়েছে। নির্দেশকগুলোর নাম মূল্যবোধ, লক্ষ্য ও মান। গৃহ ব্যবস্থাপনায় এগুলোকে প্রেষণা সৃষ্টিকারী ধারণা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

গ. উদ্দীপকের নাবিহার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। তার এ স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যটি হলো দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত।
যেকোনো কাজের সঠিক বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষাকে লক্ষ্য বলে। তবে সব আকাঙি্ক্ষত পরিস্থিতি বা ঘটনা লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময়, নির্দিষ্ট মূল্য ও নির্দিষ্ট আঙ্গিকে হয়ে থাকে। নিকেল ও ডরসী লক্ষ্যকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। যেমন- ১. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, মধ্যবর্তীকালীন লক্ষ্য ও ৩. তাৎক্ষণিক লক্ষ্য। নাবিহার স্বপ্ন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত লক্ষ্যকে স্থায়ী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ লক্ষ্য সময়সাপেক্ষ এবং এটা সবসময় বিরাজমান। যেহেতু এ লক্ষ্য মধ্যবর্তী লক্ষ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, সেহেতু এর গুরুত্ব বেশি। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ব্যক্তি ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে থাকে এবং লক্ষ্য অর্জিত হলে তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করে।

ঘ. লক্ষ্য পরিবর্তনশীল- প্রশ্নোক্ত উক্তিটি যথার্থ বলে আমি মনে করি। কারণ পরিবারের বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্যের পরিবর্তন হয়। আমাদের পারিবারিক জীবনচক্রে বিভিন্ন স্তরে ও ক্রমে ক্রমে লক্ষ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়। পারিবারিক জীবনে লক্ষ্যের পরিবর্তন অনবরত ঘটে। আবার কখনো ধারাবাহিকভাবে ঘটে। কখনো কখনো কোনো লক্ষ্যকে একেবারে বাদ দেওয়া হয়, আবার কখনো উদ্দেশ্য সাধন কষ্টকর বলে তাকে অযৌক্তিক মনে হয়। পরিবারের সদস্যদের মনোভাব ও আগ্রহ অনেক সময় নতুন লক্ষ্যের সৃষ্টি করে। মৃত্যু, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, বেকারত্ব, চাকরিচ্যুতির মতো দুঃসময়েও হঠাৎ লক্ষ্য পরিবর্তন করতে হয়। এ ঘটনাগুলো পারিবারিক জীবনে অনেক পরিবর্তন আনে। এক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্দেশ্যগুলোকে পুনরায় বিবেচনা করে দেখার প্রয়োজন। পরিবারের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা আছে। আর এ চাহিদা হতে নিজস্ব পছন্দ তৈরি হয়। যখন সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্তের ওপর লক্ষ্য স্থির করা হয় তখন দ্বন্দ্ব কম হয় এবং লক্ষ্য অর্জনও সহজতর হয়। কতকগুলো লক্ষ্য প্রত্যেক পরিবারেই বিরাজমান। আর এ প্রধান লক্ষ্যগুলোকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হয় অন্যান্য ছোটবড় লক্ষ্য। উদ্দীপকের নাবিহার এইচএসসি পরীক্ষায় কাঙি্ক্ষত ফলাফল লাভ করতে না পারায় তার বাবা তাকে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্য পরিবর্তন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো একটি ভালো বিষয়ে ভর্তি হতে বলেন। সুতরাং দেখা যায়, অবস্থার পরিবর্তনের কারণে লক্ষ্যও পরিবর্তন হয়।

২. নোশিনদের পরিবারে সবাই রুটিনমাফিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। নোশিনের স্বপ্ন দাদার মতো ডাক্তার হওয়া। বরাবরই নোশিন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে। অন্যদিকে, নোশিনের বান্ধবী লিসা অলস প্রকৃতির। পড়াাশুনায় অমনোযোগী। ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। আর ফলাফলও ভালো করে না।
ক. গৃহ ব্যবস্থাপনার সংজ্ঞা দাও।
খ. লক্ষ্য একটি চলমান প্রক্রিয়াত বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে নোশিনের স্বপ্নে কোন ধরনের লক্ষ্য প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে নোশিন ও লিসার প্রেষণা সৃষ্টিকারী ধারণাসমূহ বিশ্লেষণ কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পরিবারের লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য বিভিন্ন সম্পদ ব্যবহারের পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন করাকে গৃহ ব্যবস্থাপনা বলে।

খ. লক্ষ্য একটি চলমান প্রক্রিয়া। লক্ষ্য বলতে বোঝায়, ‘‘ভবিষ্যতের আকাঙি্ক্ষত ঘটনা বা পরিস্থিতি।’’ লক্ষ্য অর্জন করা সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। লক্ষ্য অর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে এবং সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন করতে হবে। অল্প কাজ করলেই কিছু লক্ষ্য অর্জন করা যায়। আবার কিছু লক্ষ্য অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হয়। যেমন কেউ যদি ডাক্তার হতে চায় তাহলে তাকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং মেডিকেল কলেজে ভর্তির দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা একটি চলমান প্রক্রিয়া।

গ. উদ্দীপকে নোশিনের স্বপ্নে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য বা দূরতম লক্ষ্য প্রকাশ পেয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য বা চূড়ান্ত লক্ষ্যকে স্থায়ী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ লক্ষ্য সময়সাপেক্ষ। এ লক্ষ্য সবসময় মানুষের সচেতন মনে অবস্থান করে। এটি স্থায়ী লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জিত হলে মানুষ জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। যেমন লক্ষ্য অনুযায়ী পেশা গ্রহণ করে জীবনে প্রতিষ্ঠা লাভ করা যায়। উদ্দীপকে নোশিনের স্বপ্ন দাদার মতো ডাক্তার হওয়া। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনের জন্য তাকে বিজ্ঞান বিভাগে সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং মেডিকেলে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। আর এর জন্য তাকে নিয়মিত কলেজে যাওয়া, মনোযোগ সহকারে পড়াাশোনা করা, শ্রেণির কাজ ইত্যাদি করতে হবে। এ লক্ষ্যকে একটি চলমান প্রক্রিয়াও বলা যেতে পারে।

ঘ. নোশিনের পরিবার একটি সচেতন পরিবার। তাদের পরিবারের সবাই রুটিনমাফিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত। নোশিনও তেমনি রুটিনমাফিক জীবনযাপন করে। নোশিন তার দাদাকে দেখে উৎসাহিত হয় এবং অনুপ্রেরণা পায়। তার দাদা একজন ডাক্তার। সেও স্বপ্ন দেখে তার দাদার মতো ডাক্তার হওয়ার। তাই সে পড়াাশোনায় মনোযোগী এবং পরীক্ষায় বরাবরই ভালো ফলাফল করে। অতএব, আমরা বলতে পারি, নোশিনের মধ্যে যে প্রেরণা কাজ করে তার মূলে রয়েছে তার পরিবার।
অপরদিকে, লিসা অলস প্রকৃতির মেয়ে। যার ফলে সে পড়াাশোনায় অমনোযোগী। ভবিষ্যৎ নিয়ে তার কোনো পরিকল্পনাই নেই। সে কোনো স্বপ্ন দেখে না। সে ফলাফলও ভালো করে না। তার মধ্যে কোনো প্রেরণা কাজ করে না। কারণ সে কাউকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়নি। সে তার পরিবারের কাছ থেকে স্বপ্ন দেখার প্রেরণা পায়নি। অতএব আমরা বলতে পারি, লিসার অবস্থানের জন্য অনেকাংশেই তার পরিবার দায়ী।

৩. রামিসার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া কিন্তু সে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ পেয়েছিল। তাই তার বাবা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে ভর্তি হতে বললেন। কিন্তু এতে তার মন খারাপ হলো। তাই বাবা বললেন, ‘‘অবস্থার প্রেক্ষিতে লক্ষ্যকে পরিবর্তন করতে হয়।’’
ক. লক্ষ্য কী?
খ. পরিমাণগত মান সম্বন্ধে সচেতন থাকা প্রয়োজন কেন?
গ. রামিসার স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রামিসার বাবার উক্তিটি আলোচনা কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যেকোনো কাজের সঠিক বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষাই লক্ষ্য।

খ. পরিমাণগত মান সাধারণত কোনো কিছুর ওজন, ঘনত্ব, আকার পরিমাপ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। গৃহস্থালির ক্ষেত্রে তা সের, ছটাক, মণ, মাইল, গজ, পাউন্ড, কেজি ইত্যাদি হিসেবে পরিচিত। পরিবারের অর্থের বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন চাহিদার জন্য খরচ হয়। কিন্তু পারিবারিক জীবনে চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্পদ সীমিত। এজন্য পরিমাণগত মান সম্বন্ধে সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়।

গ. রামিসার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়া। তার এ স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যটি হলো দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত লক্ষ্য।
যেকোনো কাজের সঠিক বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষাকে লক্ষ্য বলে। তবে সব আকাঙি্ক্ষত পরিস্থিতি বা ঘটনা লক্ষ্য নয়। লক্ষ্য নির্দিষ্ট সময় নির্দিষ্ট মূল্য ও নির্দিষ্ট আঙ্গিকে হয়ে থাকে। নিকেল ও ডরসী লক্ষ্যকে তিন ভাগে ভাগ করেছেন। যথা— ১. দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, ২. মধ্যবর্তীকালীন লক্ষ্য ও ৩. তাৎক্ষণিক লক্ষ্য।' রামিসার স্বপ্ন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত। কেননা, দীর্ঘমেয়াদি বা চূড়ান্ত লক্ষ্যকে স্থায়ী লক্ষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ লক্ষ্য সময়সাপেক্ষ এবং এটা সবসময় বিরাজমান। যেহেতু এ লক্ষ্য মধ্যবর্তী লক্ষ্যের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, সেহেতু এর গুরুত্ব বেশি। দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে ব্যক্তি ধাপে ধাপে অগ্রসর হয়ে থাকে এবং লক্ষ্য অর্জিত হলে তার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী জীবন অতিবাহিত করে।

ঘ. রামিসার বাবার উক্তিটি হলো- ‘‘অবস্থার প্রেক্ষিতে লক্ষ্যকে পরিবর্তন করতে হয়।’’ এ উক্তিটি সম্পূর্ণ সঠিক ও যথার্থ।
কেননা, পরিবারের বিভিন্ন দুঃসময়ের ক্ষেত্রে লক্ষ্যের পরিবর্তন হয়। আমাদের পারিবারিক জীবনচক্রে বিভিন্ন স্তরে ও ক্রমে ক্রমে লক্ষ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়। পারিবারিক জীবনে লক্ষ্যের পরিবর্তন অনবরত ঘটে। আবার কখনো ধারাবাহিকভাবে ঘটে। কখনো কখনো কোনো লক্ষ্যকে একেবারে বাদ দেওয়া হয়, আবার কখনো উদ্দেশ্য সাধন কষ্টকর বলে তাকে অযৌক্তিক মনে হয়। পরিবারের সদস্যদের মনোভাব ও আগ্রহ অনেক সময় নতুন লক্ষ্যের সৃষ্টি করে। মুত্যু, দুর্ঘটনা, অসুস্থতা, বেকারত্ব, চাকরিচ্যুতির মতো দুঃসময়েও হঠাৎ লক্ষ্য পরিবর্তন করতে হয়। এ ঘটনাগুলো পারিবারিক জীবনে অনেক পরিবর্তন আনে। এক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্দেশ্যগুলোকে পুনরায় বিবেচনা করে দেখার প্রয়োজন। পরিবারের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা আছে। এ চাহিদা হতে নিজস্ব পছন্দ তৈরি হয়। যখন সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্তের ওপর লক্ষ্য স্থির করা হয় তখন দ্বন্দ্ব কম হয় এবং লক্ষ্য অর্জনও সহজতর হয়। কতকগুলো লক্ষ্য প্রত্যেক পরিবারেই বিরাজমান। আর এ প্রধান লক্ষ্যগুলোকে কেন্দ্র করে নির্ধারিত হয় অন্যান্য ছোটবড় লক্ষ্য।
উদ্দীপকের রামিসাও এইচএসসি পরীক্ষায় কাঙি্ক্ষত ফলাফল লাভ করতে না পারায় তার বাবা তাকে ডাক্তার হওয়ার লক্ষ্য পরিবর্তন করে ইংরেজিতে ভর্তি হতে বলেন।
সুতরাং দেখা গেল, অবস্থার পরিবর্তনের কারণে লক্ষ্যও পরিবর্তন হয়।

৪. সালাম একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তার মা-বাবার ইচ্ছা সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াাশোনা করবে। কিন্তু মা-বাবা লক্ষ করেছেন সালাম প্রায়ই কলেজে যেতে চায় না। পড়াাশোনায় তেমন মনোযোগ নেই। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবার-পরিজন খুবই চিন্তিত।
ক. মূল্যবোধ বলতে কী বোঝ?
খ. কীভাবে লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয় লেখ।
গ. উদ্দীপকে সালামের কার্যক্রমে কোন ধরনের লক্ষ্যের ঘাটতি রয়েছে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে লক্ষ্যের পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা কর।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মূল্যবোধ হলো প্রচলিত মান, যা আচরণকে নিয়মমাফিকভাবে প্রভাবিত করে।

খ. লক্ষ্যকে কেন্দ্র করেই আমাদের সকল কর্মকান্ড আবর্তিত হয়। পরিবারে প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু লক্ষ্য থাকে। যখন সম্মিলিতভাবে কোনো কাজ স্থির করা হয়, তখন দ্বন্দ্ব কম হয়। ফলে লক্ষ্য অর্জনও সহজতর হয়। লক্ষ্য নির্দিষ্ট হলেই তা অর্জনের কার্যাবলিও সঠিকভাবে সম্পাদিত হবে।

গ. উদ্দীপকে সালামের কার্যক্রমে তাৎক্ষণিক লক্ষ্যের ঘাটতি রয়েছে। তাৎক্ষণিক লক্ষ্য হলো ছোট ছোট লক্ষ্য, যার মধ্যে খুব বেশি কাজের প্রয়োজন হয় না। অল্প কাজ করলেই অনেক সময় লক্ষ্যটি অর্জন করা যায়। সালামের মা-বাবার ইচ্ছা সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াাশোনা করবে। এটা দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য। এ দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনের জন্য তার মধ্যবর্তীকালীন লক্ষ্যগুলো হলো- বিজ্ঞান বিভাগে পড়াালেখা করা, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হওয়া এবং ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির জন্য দক্ষতা অর্জন করা। এ সকল লক্ষ্য অর্জনের জন্য সালামকে নিয়মিত কলেজে যাওয়া, মনোযোগ দিয়ে পড়াাশোনা করা, শ্রেণির কাজ ঠিকমতো সম্পন্ন করা ইত্যাদির প্রতি মনোনিবেশ করতে হবে। এসবই তার তাৎক্ষণিক লক্ষ্যের অন্তর্ভুক্ত।
কিন্তু সালামের পড়াাশোনায় তেমন আগ্রহ নেই, প্রায়ই কলেজে যেতে চায় না। অর্থাৎ তার তাৎক্ষণিক লক্ষ্যের ঘাটতি রয়েছে।

ঘ. যেকোনো কাজের সঠিক বাস্তবায়নের আকাঙ্ক্ষাকে লক্ষ্য বলে। লক্ষ্য ব্যক্তিগত জ্ঞান, দক্ষতা ও কর্ম আচরণকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে পরিবারের বিভিন্ন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্যের পরিবর্তন হয়। আমাদের পারিবারিক জীবনচক্রে বিভিন্ন স্তরে ক্রমে ক্রমে লক্ষ্যের পরিবর্তন সাধিত হয়। কখনো কখনো কোনো লক্ষ্যকে একেবারে বাদ দেওয়া হয়, আবার কখনো উদ্দেশ্য সাধন কষ্টকর বলে তাকে অযৌক্তি মনে হয়, কখনো বা লক্ষ্য অর্জন অধিক কষ্টসাধ্য হয়। কখনো কখনো স্বল্পমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনে সফলতা না এলে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যে পরিবর্তন দেখা দেয়। পরিবারের সদস্যদের মনোভাব ও আগ্রহ অনেক সময় নতুন লক্ষ্যের সৃষ্টি করে। যেমনটি আমরা উদ্দীপকের সালামের মধ্যে লক্ষ করছি। উদ্দীপকে দেখা যায়, সালামের বাবার ইচ্ছা সে ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াাশোনা করবে। অর্থাৎ সে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু সালামের পড়াাশোনায় তেমন আগ্রহ নেই, সে প্রায়ই কলেজ যেতে চায় না। বিষয়টি নিয়ে তার পরিবার-পরিজন খুবই চিন্তিত। এক্ষেত্রে পারিবারিক সম্পদের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক উদ্দেশ্যগুলোকে পুনরায় বিবেচনা করে দেখার প্রয়োজন। পরিবারের প্রত্যেকেরই নিজস্ব কিছু চাহিদা আছে। এ চাহিদা হতে নিজস্ব পছন্দ তৈরি হয়। আর এভাবেই লক্ষ্যের পরিবর্তন হয়ে নতুন লক্ষ্যের সূচনা হয়। অতএব বলা যায়, লক্ষ্য একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। মানুষ যা চায় বা যা হতে চায়, তাই তার জীবনের লক্ষ্য। জীবন চলার পথে যেকোনো সময় মানুষের এ চাওয়া পাওয়া বা লক্ষ্যের পরিবর্তন হতে পারে। যখন সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ওপর লক্ষ্য স্থির করা হয় তখন দ্বন্দ্ব কম হয় এবং লক্ষ্য অর্জনও সহজতর হয়।

৫. সুরভী হাসান তার পরিবারের কর্ত্রী। পরিবারের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ তিনিই করেন। সম্প্রতি তার বিদ্যুৎ বিল পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ আসায় বাজেটে ঘাটতি পড়াল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি পরিবারের সকল সদস্যকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বললেন। এর ফলে পরের মাসেই তিনি বিদ্যুৎ বিলের কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হলেন।
ক. গ্রস ও ক্যান্ডেলের মতে গৃহ ব্যবস্থাপনা কী ধরনের প্রক্রিয়া?
খ. গৃহ ব্যবস্থাপনাকে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার বলা হয় কেন?
গ. সুরভী হাসানের কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হওয়ার পিছনে গৃহ ব্যবস্থাপনা কীভাবে ভূমিকা রেখেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সুরভী হাসান নিকেল ও ডরসির প্রদত্ত ধারণাকে বাস্তব রূপদান করে অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন— বিশ্লেষণ কর।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গ্রস ও ক্যান্ডেলের মতে, গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো মানসিক প্রক্রিয়া।

খ. গৃহ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে গৃহ পরিচালনা করা যায় বলে একে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার বলা হয়। গৃহ ব্যবস্থাপনা এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পরিবারগুলো পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিবারের মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে উদ্দেশ্য অর্জন এবং পারিবারিক সম্পদসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়। পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনে গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি সুশৃঙ্খল নিয়মের মতো কাজ করে। এ কারণেই গৃহ ব্যবস্থাপনাকে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার বলা হয়।

গ. সুরভী হাসানের কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হওয়ার পিছনে গৃহ ব্যবস্থাপনা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে পরিবারগুলো পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিবারের মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙি্ক্ষত উদ্দেশ্য অর্জন করে। উদ্দীপকের সুরভী হাসানও এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হয়েছেন। সুরভী হাসান তার পরিবারের কর্ত্রী হিসেবে পরিবারের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব- নিকাশ রাখেন। সম্প্রতি বাসার বিদ্যুৎ বিল পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ আসায় তার পারিবারিক বাজেটে ঘাটতি পড়াল। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য তিনি পরিবারের সকল সদস্যকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে বললেন। তার আয়ত্তের মধ্যে থেকেই সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হলেন। পরের মাসেই তার বিদ্যুৎ বিল বাজেটের মধ্যে আসল। গৃহ ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যই এটা। এ কারণেই গৃহ ব্যবস্থাপনাকে লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার বলা হয়। দার্শনিক ও বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘‘তুমি যা চাও তা লাভ করার জন্য তোমার যা কিছু আছে, তা ব্যবহার করাই ব্যবস্থাপনা।’’ পারিবারিক সম্পদসমূহ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের একটি প্রক্রিয়া হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা। আর এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করেই সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে উদ্দীপকের সুরভী হাসান তার কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছেন। এভাবেই সুরভী হাসানের ক্ষেত্রে গৃহ ব্যবস্থাপনা সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

ঘ. পারিবারিক সম্পদসমূহের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হওয়ায় সুরভী হাসান নিকেল ও ডরসির প্রদত্ত ধারণাকে বাস্তব রূপদান করে অনবদ্য দৃষ্টান্ত রেখেছেন।
নিকেল ও ডরসির মতে, গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো পারিবারিক জীবনের প্রশাসনিক দিক। তারা গৃহ ব্যবস্থাপনার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা উদ্দীপকের সুরভী হাসান অনুসরণ করে সফলতা অর্জন করেছেন। গৃহ ব্যবস্থাপনায় মানবিক ও পার্থিব সম্পদের পরিকল্পনামাফিক ব্যবহারকে নিকেল ও ডরসি সমর্থন দিয়েছিলেন যা সুরভী হাসানও করেছেন। সুরভী হাসান, তার পরিবারের কর্ত্রী হওয়ায় পারিবারিক আয়-ব্যয়ের হিসাব-নিকাশ তিনিই করেন। সম্প্রতি তার বিদ্যুৎ বিল পূর্বের তুলনায় দ্বিগুণ আসায় পারিবারিক বাজেটে ঘাটতি পড়ে। এতে সুরভী হাসান চিন্তিত হয়ে পড়ালেন। ফলে তিনি পরিবারের সকল সদস্যকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সচেতন হতে বলেন। সম্পদের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি পরের মাসেই বিদ্যুৎ বিলের ক্ষেত্রে কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সফল হলেন। নিকেল ও ডরসি গৃহ ব্যবস্থাপনার এ ধরনের প্রক্রিয়ার প্রতিই সমর্থন জানিয়েছেন। তাদের মতে, পারিবারিক লক্ষ্যসমূহ অর্জনের জন্য মানবিক ও পার্থিব সম্পদসমূহের পরিকল্পনা করা, নির্দেশনা প্রদান, পথপ্রদর্শন, সমন্বয় সাধন ও মূল্যায়ন এবং গৃহ ও গৃহের বাইরে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও দলীয় সম্পর্ক সুষ্ঠুভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাই হচ্ছে গৃহ ব্যবস্থাপনা। তাদের এ মতামতকে কাজে লাগিয়েই সুরভী হাসান গৃহ ব্যবস্থাপনায় সফলতা অর্জন করেছেন।
তাই উপরিউক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সার্বিক দিক বিবেচনা শেষে বলা যায়, প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।

৬. শুভ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সম্প্রতি বন্ধুদের উৎসাহে পড়ে সে পাশের বাসার ইতিকে চিঠি ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে বিরক্ত করে। বিষয়টি ইতির অভিভাবক টের পেয়ে শুভর বাবা-মাকে জানায়। কিন্তু শুভর বাবা-মা ছেলের অপরাধ মানতেই চান না। কিন্তু পরে বিষয়টি প্রমাণিত হয় এবং শুভর অভিভাবক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
ক. নিকেল ও ডরসি গৃহ ব্যবস্থাপনাকে পারিবারিক জীবনের কী দিক বলে অভিহিত করেছেন?
খ. গৃহ ব্যবস্থাপনা বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের ঘটনায় নিকেল প্রদত্ত ধারণা কাঠামোর কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি কি গৃহ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা উপস্থাপনে সক্ষম? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. নিকেল ও ডরসি গৃহ ব্যবস্থাপনাকে পারিবারিক জীবনের প্রশাসনিক দিক বলে অভিহিত করেছেন।

খ. গৃহ ব্যবস্থাপনা বলতে এমন একটি প্রক্রিয়াকে বোঝায় যার মাধ্যমে পারিবারিক সম্পদসমূহের সুষ্ঠু ব্যবহারের মাধ্যমে কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব। এর দ্বারা পরিবারগুলো পরিকল্পনা, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়নের মাধ্যমে পরিবারের মানবীয় ও অমানবীয় সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙি্ক্ষত উদ্দেশ্য অর্জন করে। গ্রস ও ক্যান্ডেলের মতে, গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো একটি মানসিক প্রক্রিয়া। সহজ ভাষায় গৃহ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে পারিবারিক লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার। গৃহ পরিচালনা তথ্য ব্যবস্থাপনার জন্য একাধিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয়। পারিবারিক সম্পদসমূহ ব্যবহার করে কাঙি্ক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমই হলো গৃহ ব্যবস্থাপনা।

গ. উদ্দীপকের ঘটনায় নিকেল প্রদত্ত ধারণা কাঠামোর পরিবারের মূল্যবোধের দিকটি প্রকাশ পেয়েছে।
নিকেলের মতে, সমাজে পরিবার তার মূল্যবোধ ও বিশেষ ভূমিকা নিয়ে অবস্থান করে। পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্ব পরিবারকে সিদ্ধান্ত প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সাহায্য করে। উদ্দীপকের ঘটনায় পরিবারের এ ভূমিকার দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে। উদ্দীপকের শুভ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। সম্প্রতি বন্ধুদের উৎসাহে পড়ে সে পাশের বাসার ইতিকে চিঠি ও ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়ে বিরক্ত করে। বিষয়টি ইতির অভিভাবক টের পান এবং শুভর বাবা-মাকে অবগত করেন। শুভর বাবা-মা প্রথমে ছেলের অপরাধ মানতেই চাননি। কিন্তু পরে বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় শুভর অভিভাবক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। নিকেলের মতে, এটাই হলো পারিবারিক মূল্যবোধ। পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির বিভিন্ন সমস্যা ও দ্বন্দ্ব পরিবারকে সিদ্ধান্ত প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করে। পরিবার তার লক্ষ্য অর্জনের জন্য সঞ্চিত তথ্য বা জ্ঞান সৃজনশীল শক্তি দ্বারা পরিকল্পনামাফিক কাজে লাগান। এ বিষয়টিই দেখা যায়, উদ্দীপকের শুভর বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে। তারা পারিপার্শ্বিক সমস্যা লক্ষ করে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন, যা তাদের পারিবারিক মূল্যবোধকেই উপস্থাপন করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনায় নিকেল 'প্রদত্ত ধারণা কাঠামোর পারিবারিক মূল্যবোধের দিকটিই প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. না, উদ্দীপকটি গৃহ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা উপস্থাপনে সক্ষম নয়।
গৃহ ব্যবস্থাপনা একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যাকে পারিবারিক লক্ষ্যার্জনের হাতিয়ারও বলা হয়। নিকেল ও ডরসি একে পারিবারিক জীবনের প্রশাসনিক দিক বলে উল্লেখ করেছেন। নিকেলের মতে, পরিবার যে মূল্যবোধ নিয়ে সমাজে অবস্থান করে সে দিকটি উদ্দীপকে প্রকাশ পেলেও গৃহ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য দিক এখানে অনুপস্থিত। উদ্দীপকে উল্লিখিত শুভ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তার বাবা-মা শুভকে অনেক বিশ্বাস করেন বিধায় তার কৃতকর্মের কথা শুনেও তারা বিশ্বাস করেননি। কিন্তু পাশের বাড়ির ইতিকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাটি প্রমাণিত হলে শুভর বাবা-মা তা বিশ্বাস করেন এবং শুভর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। এটি নিকেল প্রদত্ত গৃহ ব্যবস্থাপনা কাঠামোর পারিবারিক মূল্যবোধের দিকটিকে মাত্র তুলে ধরে, যা গৃহ ব্যবস্থাপনার সামগ্রিকতা নয়। পারিবারিক সম্পদসমূহের পরিকল্পনামাফিক ব্যবহার, পরিবারের চাহিদার পরিতৃপ্তি বিধান করা, শারীরিক ও মানসিক কর্মপদ্ধতির সমষ্টি হিসেবে গৃহকে পরিচালনা করা, পরিবারের পরিচালনায় উপযুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ ইত্যাদি নানা বিষয়ও গৃহ ব্যবস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এসব বিষয় উদ্দীপকের ঘটনায় উপস্থাপিত হয়নি। এখানে কেবল পারিবারিক মূল্যবোধ রজায় রাখার দিকটি প্রকাশ পেয়েছে, যা গৃহ ব্যবস্থাপনার একটি ক্ষুদ্রাংশ মাত্র, সামগ্রিকতা নয়। গৃহ ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য আরও অনেক বিষয় আছে, যা উদ্দীপকে অনুপস্থিত। তাই উদ্দীপকটি গৃহ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা উপস্থাপনে সক্ষম নয়।

৭. সজল-সুমি দম্পতির উভয়েই চাকরিজীবী। তাদের দুজনের মিলিতভাবে আয় ৪০,০০০ টাকা। সুমি চাকরি করার পাশাপাশি পরিবারের ব্যয় নির্ধারণেও সচেতন। তাই তিনি আয় অনুযায়ী ব্যয় করেন এবং সঞ্চয়ের দিকেও খেয়াল রাখেন। তাদের পরিবারের উদ্বৃত্ত বাজেট সাংসারিক প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ক. বর্তমান যুগে পরিবার কি একক হিসেবে বিবেচিত?
খ. গৃহ ব্যবস্থাপনার স্তর সম্পর্কে ধারণা দাও।
গ. উদ্দীপকে গৃহ ব্যবস্থাপনার কোন উদ্দেশ্যটি প্রতিফলিত হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা প্রদানে সফল নয়— মন্তব্যটি যথার্থতা বিচার কর।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বর্তমান যুগে পরিবার একটি অর্থনৈতিক একক হিসেবে বিবেচিত।

খ. গৃহ ব্যবস্থাপনা হলো এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া যার বিভিন্ন স্তরের মাধ্যমে পারিবারিক সম্পদসমূহকে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যায়। গৃহ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন স্তর বা পর্যায় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা প্রণয়ন, সংগঠন, নিয়ন্ত্রণ ও মূল্যায়ন। এসব স্তর ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করার মাধ্যমে মানবীয় ও বস্তুবাচক সম্পদ ব্যবহারে সচেতন হওয়া যায়। এর ফলশ্রুতিতেই পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব হয়। উপযুক্ত বিষয়গুলোই হলো গৃহ ব্যবস্থাপনার স্তর।

গ. উদ্দীপকে গৃহ ব্যবস্থাপনার আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগ সম্পর্কে ধারণা গঠনের উদ্দেশ্যটি প্রতিফলিত হয়েছে।
বর্তমান যুগে পরিবার একটি অর্থনৈতিক একক হিসেবে বিবেচিত হয়। কেননা আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগের সম্পর্ক তৈরিতে পরিবার বর্তমানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। উদ্দীপকে এ বিষয়টিই লক্ষ করা যায়। উদ্দীপকের সজল-সুমি দম্পতির মিলিতভাবে আয় হলো ৪০,০০০ টাকা। সুমি চাকরি করার পাশাপাশি পরিবারের ব্যয় নির্ধারণের ব্যাপারেও খেয়াল রাখেন। তিনি আয় অনুযায়ী ব্যয় করার পাশাপাশি সঞ্চয়ের দিকেও খেয়াল রাখেন। ফলে তার পরিবারের উদ্বৃত্ত বাজেট প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতেও সহায়ক ভূমিকা পালন করেন। গৃহ ব্যবস্থাপনার একটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলো অর্থ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আয়ের সাথে সংগতি রেখে ব্যয় নির্ধারণ করা এবং আয় বৃদ্ধির উপায় উদ্ভাবন করা। এ কারণেই বর্তমান যুগে পরিবার একটি অর্থনৈতিক একক হিসেবে বিবেচিত হয়। পরিবারের আয়, ব্যয়, সঞ্চয় ও বিনিয়োগ বৃহদার্থে দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উদ্দীপকের সজল-সুমি দম্পতি তাদের পরিবারকে সেভাবে পরিচালনা করছে। এর মাধ্যমে তারা আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করতে সক্ষম হবে, যা অর্থনৈতিক একক হিসেবে পরিবারের ভূমিকাকে তুলে ধরে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে গৃহ ব্যবস্থাপনার আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগ সম্পর্কে ধারণা গঠনের উদ্দেশ্যটিই প্রতিফলিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকটি গৃহ ব্যবস্থাপনার একটি উদ্দেশ্যকে কেবল প্রতিফলিত করায় এটি গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা প্রদানে সফল নয়।
গৃহ ব্যবস্থাপনা হচ্ছে একটি জীবনব্যাপী কর্মকেন্দ্রিক বিষয়। গৃহ ব্যবস্থাপনা নানা উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই তার কার্যাবলি পরিচালনা করে থাকে। এসব উদ্দেশ্যের পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত, যা উদ্দীপকের প্রেক্ষিতে পুরাপুরি আসেনি। উদ্দীপকের সজল-সুমি দম্পতির মিলিতভাবে ৪০,০০০ টাকা আয় আছে। সুমি তার পরিবারের আয়ের সাথে সংগতি রেখে ব্যয় করেন এবং সঞ্চয়ের দিকেও খেয়াল রাখেন। বর্তমান যুগে পরিবার আয়, ব্যয় ও বিনিয়োগ সম্পর্কে ধারণা গঠন করে অর্থনৈতিক একক হিসেবে ভূমিকা রাখছে। গৃহ ব্যবস্থাপনার এ উদ্দেশ্যটিই ফুটে উঠেছে উদ্দীপকে। কিন্তু এর বাইরেও গৃহ ব্যবস্থাপনার আরও অনেক উদ্দেশ্য আছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মূল্যবোধ ও লক্ষ্য নির্ধারণ, সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা, সময় ও শক্তি সম্পর্কে ধারণা গঠন করা, উন্নয়নমূলক কাজে অংশগ্রহণ করা, সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, গৃহ পরিকল্পনা ও নির্বাচনে সচেতন হওয়া, সুষ্ঠু পারিবারিক জীবন গঠন করা ইত্যাদি।
এসব উদ্দেশ্যের কোনোটিই উদ্দীপকের সজল-সুমি দম্পতির ঘটনায় তুলে ধরা হয়নি। আয়ের সাথে সংগতি রেখে ব্যয় করা এবং সঞ্জয় করাই গৃহ ব্যবস্থাপনার একমাত্র উদ্দেশ্য নয়। এর বাইরেও গৃহ ব্যবস্থাপনার আরও অনেক উদ্দেশ্য রয়েছে। কিন্তু উদ্দীপকে এসব বিষয় অনুপস্থিতিই রয়ে গেছে।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকটি গৃহ ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা প্রদানে সফল নয়।

৮. পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি রহমান সাহেব। তিনি সবাইকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সৎ পথে চলার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার তরুণ নাতি-নাতনিরা নিজেদের ইচ্ছা অনুসারে জীবনযাপন করে। দাদার কথায় তারা কর্ণপাতও করে না। কিন্তু দাদা তার নীতিকথা শুনিয়েই যান এ আশায় যে, হয়তো তার কথা মেনে সবাই সুশৃঙ্খলভাবে জীবনযাপন করতে উদ্বুদ্ধ হবে।
ক. মূল্যবোধ মানুষের কী ধরনের সম্পদ?
খ. মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকের রহমান সাহেবের আচরণে মূল্যবোধের কোন বৈশিষ্ট্যটি উপস্থিত? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘একজনের মূল্যবোধ অন্যজনের নিকট গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে’’— উক্তিটির যথার্থতা উদ্দীপকের আলোকে যাচাই কর।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মূল্যবোধ মানুষের আত্মিক সম্পদ।

খ. ব্যক্তির কাছে যেসব বিষয় কাঙি্ক্ষত ও প্রিয় এবং যেসব বিষয় ব্যক্তির আচার-আচরণ ও কার্যাবলিকে প্রভাবিত করে সেটিই হলো মূল্যবোধ। এটি মানুষের একটি আত্মিক সম্পদ এবং তার ইচ্ছার মানদ-। ব্যক্তির আচরণে মূল্যবোধের প্রভাব খুব বেশি। এটি মানুষের আদর্শ ও রীতিনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে। কোনো বস্তু বা পরিস্থিতির মূল্য সম্বন্ধে ব্যক্তির অনুভূতি বা কোনো উদ্দীপকের প্রতিক্রিয়া বোঝা যায় মূল্যবোধ দ্বারা। এটি জীবনকে অর্থপূর্ণ করে ব্যক্তিকে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হতে সাহায্য করে। তাই প্রতিটি মানুষের জীবনে মূল্যবোধ বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

গ. উদ্দীপকের রহমান সাহেবের আচরণে বয়সের সাথে মূল্যবোধ স্থায়ী হওয়ার বৈশিষ্ট্যটি উপস্থিত।
মূল্যবোধ ব্যক্তির আচার-আচরণকে অত্যন্ত প্রভাবিত করে। সমাজ, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদির ভিত্তিতে মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। ব্যক্তিবিশেষে মূল্যবোধের গুরুত্ব বিবেচনার ক্ষেত্রে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। মূল্যবোধের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার মধ্যে একটি হলো বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এটির স্থায়ী রূপলাভ করা। রহমান সাহেবের ক্ষেত্রে এ বিষয়টিই পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকের রহমান সাহেব তার পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি হওয়ায় তিনি সবাইকে সঠিক নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তিনি সবাইকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সৎ পথে চলার পরামর্শ দিলেও তার তরুণ নাতি-নাতনিরা এ কথায় কর্ণপাতও করেন না। রহমান সাহেবের মাঝে এরূপ ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে তার মূল্যবোধ থেকেই। তার মূল্যবোধ তাকে সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করার শিক্ষা দিয়েছে। মূল্যবোধ মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে আরও বেশি স্থায়ী হয় বলে জানা যায়। বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি রহমান সাহেবের মাঝেও বয়স বৃদ্ধির কারণে মূল্যবোধ আরও দৃঢ় হয়েছে। এ কারণেই তিনি তার নিজস্ব মূল্যবোধকে বজায় রাখার পাশাপাশি অন্যদেরও এটি গ্রহণে উৎসাহিত করছেন। এর মধ্যে তার মূল্যবোধের স্থায়ী অবস্থানের বিষয়টি সহজেই অনুমেয়। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রহমান সাহেবের আচরণে মূল্যবোধের ব্যক্তির বয়স বৃদ্ধির সাথে স্থায়ী হওয়ার প্রবণতার বৈশিষ্ট্যটিই উপস্থিত।

ঘ. ‘একজনের মূল্যবোধ অন্যজনের নিকট গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে'— উক্তিটি যথার্থ ও সঠিক।
উদ্দীপকে রহমান সাহেবের মূল্যবোধকে তার নাতি-নাতনিরা গ্রহণ না করায় প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে সঠিক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ব্যক্তির আচরণে মূল্যবোধের প্রভাব খুব বেশি। তবে ব্যক্তিবিশেষে মূল্যবোধের গুরুত্ব বিবেচনার ক্ষেত্রে তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। আবার মানুষের চাহিদা ও অভিজ্ঞতার সাথে সাথে মূল্যবোধের পরিবর্তন হয়। মূল্যবোধের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের মাঝে এমন একটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে যে, একজনের মূল্যবোধ অন্যজনের নিকট গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। উদ্দীপকের ঘটনাটি এরই প্রমাণ দেয়। রহমান সাহেব পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি। তার মূল্যবোধ তাকে ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে সৎ পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু তার নাতি-নাতনিদের মূল্যবোধ আবার ভিন্ন। এ কারণেই তারা স্বেচ্ছাচারী জীবনযাপন করে। রহমান সাহেব তার মূল্যবোধকে প্রাধান্য দিয়ে নাতি-নাতনিদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে চাইলেও তারা রহমান সাহেবের কথাকে গুরুত্ব দেয় না। অর্থাৎ তাদের কাছে রহমান সাহেবের মূল্যবোধ মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। মূল্যবোধের এটি একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ব্যক্তির মূল্যবোধ সব ক্ষেত্রে অভিন্ন হয় না। ব্যক্তিবিশেষে মূল্যবোধের তারতম্য ঘটে। তাই একের মূল্যবোধ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। উদ্দীপকে এ বিষয়টিই প্রতিফলিত হয়েছে। রহমান সাহেবের কথাকে অগ্রাহ্য করে তার নাতি-নাতনিরা মূলত তার মূল্যবোধকেই অবমূল্যায়ন করেছে। এর দ্বারা প্রমাণিত হয়, একের মূল্যবোধ অন্যের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।
তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় উদ্দীপকের প্রেক্ষিতে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটিকে যথার্থ বলা যায়।

৯. আশিকের দাদা ও বাবা তাদের পারিবারিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে খুব যত্নের সাথে গড়ে তুলেছেন। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যথেষ্ট মূল্যায়নও করেন। উত্তরাধিকারসূত্রে এবার দায়িত্ব পড়াল আশিকের ওপর। আশিক তার দাদা ও বাবার পথ অনুসরণ করে। সবার মন যুগিয়ে সততা ও দক্ষতার সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করতে লাগল আশিক।
ক. ব্যক্তির আচরণে কিসের প্রভাব খুব বেশি?
খ. মূল্যবোধ কীভাবে গড়ে ওঠে?
গ. আশিকের মূল্যবোধের পিছনে মূল্যবোধের কোন ভিত্তিটি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘‘ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেন্দ্র করে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে।’’— উদ্দীপকের আশিকের ক্ষেত্রে উক্তিটি কতখানি প্রযোজ্য? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ব্যক্তির আচরণে মূল্যবোধের প্রভাব খুব বেশি।

খ. মূল্যবোধ সমাজ, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য, শিক্ষা, ধর্ম ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। ব্যক্তির আচরণ মূল্যবোধ দ্বারা প্রভাবিত হয়। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই নানাভাবে মূল্যবোধের ভিত্তি গড়ে ওঠে। মানুষ তার চাহিদা, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, শখ ইত্যাদি কীভাবে পূরণ করবে তা মূল্যবোধের ভিত্তি তৈরি করে দেয়। মানুষের পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, সমাজব্যবস্থা, সংস্কৃতি ইত্যাদি বিষয়ই নির্ধারণ করে দেয় তার মূল্যবোধ কীভাবে গড়ে উঠবে। এ কারণেই ব্যক্তিবিশেষে মূল্যবোধের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। কেননা মূল্যবোধের ভিত্তি সর্বত্র অভিন্ন হয় না। এভাবেই নানা প্রভাবকের সাহায্যে ব্যক্তির মূল্যবোধ গড়ে ওঠে ও বিকশিত হয়।

গ. আশিকের মূল্যবোধের পিছনে মূল্যবোধের পারিবারিক রীতিরীতি ও ঐতিহ্য ভিত্তিটি সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।
পরিবারের মাধ্যমে শিশুকাল থেকেই মূল্যবোধ গঠনের ভিত্তি রচিত হয়ে থাকে। পরিবার থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাই মানুষকে মূল্যবোধ গঠনে সাহায্য করে থাকে। পরিবার, সম্প্রদায়, সমাজ ইত্যাদি থেকে মানুষ যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তার ভিত্তিতেই বিকশিত হয় মূল্যবোধ। আশিকের মূল্যবোধ গড়ে তোলার পিছনে তার পরিবার সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে। উদ্দীপকের আশিক পারিবারিক সূত্রে ব্যবসায়ের দাবিদার হয়েছে। তার দাদা ও বাবা তাদের পারিবারিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত যত্নের সাথে গড়ে তুলেছেন। তাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা- কর্মচারীদেরকেও তারা যথেষ্ট মূল্যায়ন করেন। আশিক তার দাদা ও বাবার নীতিকে নিজের মধ্যে ধারণ করেছে। কেননা পারিবারিক ঐতিহ্য ও রীতিনীতিই তাকে তার মূল্যবোধ শিখিয়েছে। এ কারণেই দাদা ও বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করে তিনিও সবার মন যুগিয়ে সততা ও দক্ষতার সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারছেন। পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করতেই আশিক তার মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়েছেন। আর পরিবারের কাছ থেকেই তিনি এ জ্ঞানলাভ করেছেন।
তাই বলা যায়, আশিকের মূল্যবোধের পিছনে পারিবারিক ঐতিহ্য ও রীতিনীতি ভিত্তিটিই সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে।

ঘ. ‘ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেন্দ্র করে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে', প্রশ্নে বর্ণিত উক্তিটি উদ্দীপকের আশিকের ক্ষেত্রে পুরাপুরি প্রযোজ্য। কারণ মূল্যবোধের ভিত্তি গড়ে ওঠে পারিপার্শ্বিক পরিবেশকে কেন্দ্র করেই। ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেন্দ্র করেই মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। পরিবারের মাধ্যমে শিশুকাল থেকেই মূল্যবোধ গঠনের ভিত্তি রচিত হয়। তবে মূল্যবোধ সৃষ্টিতে ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলই মুখ্য ভূমিকা পালন করে। উদ্দীপকের আশিকের ক্ষেত্রেও এ বিষয়টির প্রভাব লক্ষ করা যায়। তার দাদা ও বাবা তাদের পারিবারিক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত যত্নের সাথে গড়ে তুলেছেন। দাদা ও বাবাকে যেভাবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে দেখেছে, সেভাবেই পরিচালনা করতে দেখা যায় আশিককে। পারিবারিক ঐতিহ্য ও রীতিনীতিই আশিককে শিখিয়েছে সবার মন যুগিয়ে সততা ও দক্ষতার সাথে ব্যবসায় পরিচালনা করতে। আশিককে এ শিক্ষা দিয়েছে তার ব্যক্তিগত মূল্যবোধ। আর এ মূল্যবোধের বিকাশ ঘটেছে আশিকের নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেন্দ্র করে। ব্যক্তির মূল্যবোধ সৃষ্টিতে নিজস্ব পরিমন্ডল এভাবেই সাহায্য করে। যেমন- শৈশবে পরিবার থেকেই মানুষ সৎ পথে চলার, বড়দের সম্মান করার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার মূল্যবোধ অর্জন করে। আবার সমাজ থেকে সামাজিক রীতিনীতি অনুসারে চলার মূল্যবোধ অর্জন করে। অর্থাৎ ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলই তার মূল্যবোধ তৈরি করে দেয়। আশিকও তার নিজস্ব পরিমন্ডল থেকে শিক্ষা নিয়েই পারিবারিক ব্যবসায় পরিচালনার নিয়ম শিখেছে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকের আশিকের ক্ষেত্রে প্রশ্নের মন্তব্যটি পুরাপুরি প্রয়োজ্য।

১০. ফজলুল করিম সাহেব একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার পরিবারের অনেক সদস্যই তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য নানাভাবে প্ররোচিত করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ। পরিবারের শিক্ষাকে স্মরণে রেখে তিনি কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় দেন না। তাই বরাবরই তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন।
ক. শাড়ি পরিধান করা কী ধরনের মূল্যবোধ?
খ. মূল্যবোধের বিকাশে ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডল কীভাবে ভূমিকা রাখে?
গ. ফজলুল করিমের আচরণে মূল্যবোধের গুরুত্বের কোন দিকটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মূল্যবোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সার্বিক ধারণা দিতে উদ্দীপকটি কি সফল? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. শাড়ি পরিধান করা রীতিভিত্তিক মূল্যবোধ।

খ. মূল্যবোধের বিকাশে ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডল প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখে। ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডলকে কেন্দ্র করেই মূল্যবোধের বিকাশ ঘটে। পরিবার, সম্প্রদায়, সমাজ ও বিশ্বের সদস্য হিসেবে ব্যক্তি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করে তা থেকেই ব্যক্তির মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। পরিবারের মাধ্যমে শিশুকাল থেকেই মূল্যবোধ গঠনের ভিত্তি রচিত হয়। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কিছু মূল্যবোধ দৃঢ় হয় এবং কিছু মূল্যবোধ হারিয়ে যায়। আবার কিছু মূল্যবোধ পরিশোধিত হয়ে মার্জিত ও সুন্দর রূপ ধারণ করে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকেই মানুষ তার মূল্যবোধ অর্জন করে থাকে। এভাবেই মূল্যবোধের বিকাশে ব্যক্তির নিজস্ব পরিমন্ডল প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা রাখে।

গ. ফজলুল করিমের আচরণে মূল্যবোধের গুরুত্বের ব্যক্তিকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করার দিকটির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
মূল্যবোধ ব্যক্তির আচরণকে অধিক মাত্রায় প্রভাবিত করে থাকে। ব্যক্তিবিশেষে মূল্যবোধের তারতম্য পরিলক্ষিত হয়। তবে ব্যক্তির জীবনে মূল্যবোধের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। উদ্দীপকের ফজলুল করিমের আচরণে মূল্যবোধের গুরুত্বের এ দিকটিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। উদ্দীপকের ফজলুল করিম সাহেব একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার পরিবারের অনেক সদস্যই তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য নানাভাবে প্ররোচিত করতে থাকে। কিন্তু তিনি সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ব্যক্তি। পরিবারের শিক্ষাকে স্মরণে রেখে তিনি কোনো ধরনের স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় দেন না। তাই বরাবরই তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হন। মূল্যবোধের গুরুত্বের এটি একটি অন্যতম দিক। মূল্যবোধ ব্যক্তিকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে থাকে। মানুষ যখন মূল্যবোধ সচেতন হয়, তখন সে লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে এবং লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। উদ্দীপকের ফজলুল করিম সাহেব এ বিষয়ের প্রমাণ দিয়েছেন। তার মূল্যবোধই তাকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করেছে। মূল্যবোধের গুরুত্বের উক্ত দিকটিই তাই প্রকাশ পেয়েছে উদ্দীপকের ফজলুল করিমের আচরণে।

ঘ. না, মূল্যবোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সার্বিক ধারণা দিতে উদ্দীপকটি সফল নয়।
ব্যক্তির জীবনকে অর্থপূর্ণ করে তুলতে মূল্যবোধের গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতিটি ব্যক্তির জীবনেই মূল্যবোধের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু মূল্যবোধের গুরুত্বের এ ব্যাপক ও বিস্তৃত দিকটি উদ্দীপকের স্বল্প পরিসরে উপস্থাপিত হয়নি। উদ্দীপকে দেখা যায়, ফজলুল করিম সাহেব একজন সৎ ও ন্যায়পরায়ণ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার পরিবারের অনেক সদস্যই তাকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার জন্য নানাভাবে প্ররোচিত করতে চেষ্টা করেন। কিন্তু ফজলুল করিম সাহেব তার পরিবারের শিক্ষাকে কখনো বিস্মৃত হন না। তাই তিনি সর্বাবস্থায় নিজের মূল্যবোধকে কাজে লাগিয়ে স্বজনপ্রীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এর ফলে তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে সক্ষম হন। উদ্দীপকের ফজলুল করিম সাহেবের ঘটনায় মূল্যবোধ যে মানুষকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করে এ গুরুত্বের দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে। কিন্তু মূল্যবোধের আরও অনেক গুরুত্ববহ দিক রয়েছে। যেমন- গৃহ ব্যবস্থাপনার প্রতিটি পর্যায় বা স্তরকে পরিচালনায় মূল্যবোধের গুরুত্ব রয়েছে, পরিবারের অর্থ ব্যবস্থাপনাকে প্রভাবিত করে মূল্যবোধ, সময় ও শক্তিকে সচেতনভাবে ব্যবহার করতে শেখায় মূল্যবোধ, মূল্যবোধই পরিবারের যাবতীয় কার্যাবলি পরিচালিত ও বাস্তবায়িত করে। মূল্যবোধের এরূপ নানামুখী গুরুত্বের দিকগুলো উদ্দীপকে অনুপস্থিত। উদ্দীপকে কেবল মূল্যবোধের একটি গুরুত্বের দিককেই উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্য দিকগুলো এখানে অনুপস্থিতই রয়ে গেছে।
তাই বলা যায়, মূল্যবোধের গুরুত্ব সম্পর্কে সার্বিক ধারণা দিতে উদ্দীপকটি সফল নয়।
Share:

0 Comments:

Post a Comment