HSC যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ২

HSC যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Logic 2nd Paper Srijonshil question and answer pdf download.

উচ্চ মাধ্যমিক

যুক্তিবিদ্যা
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
২য় অধ্যায়

HSC Logic 2nd Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

১. গনি মিয়া একজন গরিব কৃষক। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া অল্প কয়েক খ- জমিই তার সম্বল। অল্প জমিতে অধিক ফসল পাওয়ার আশায় তিনি জমিগুলোকে উর্বরতার ভিত্তিতে দু'ভাগে ভাগ করে উর্বর জমিতে তরমুজ এবং অনুর্বর জমিতে পুকুর খনন করে মাছের চাষ করলেন। তরমুজের ফলন খুব ভালো হয়েছে। তিনি তরমুজগুলোকে তাদের আকার, আকৃতি ও রংয়ের ভিত্তিতে ভাগ করেন।
ক. যৌক্তিক বিভাগ কী?
খ. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি কখন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে গনি মিয়ার জমি ভাগ করার পদ্ধতি যৌক্তিক বিভাগের কোন নিয়মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়া যৌক্তিক বিভাগের যথার্থ নিয়ম পালন করেছে? পাঠ্যবিষয়ের আলোকে যুক্তি দেখাও।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. একটি নীতির ভিত্তিতে কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন উপজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াই হলো যৌক্তিক বিভাগ।

খ. বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ মূল পদের চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়মানুযায়ী, বিভক্ত উপজাতির ব্যক্ত্যর্থ মিলিতভাবে মূল পদ বা জাতির ব্যক্ত্যর্থের সমান হবে। কিন্তু কোনো বিভাগে উপজাতির ব্যক্ত্যর্থ জাতির চেয়ে বেশি হলে যে ভ্রান্তি ঘটবে তা-ই অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি। যেমন- মুদ্রাকে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, ব্রোঞ্জ এবং ব্যাংক নোটে বিভক্ত করলে ‘মুদ্রার’ ব্যক্ত্যর্থ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে অতিব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে।

গ. উদ্দীপকে গনি মিয়ার জমি ভাগ করার পদ্ধতি যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুসারে, 'কোনো জাতিবাচক পদের বিভক্তকরণে একটি মূলনীতি অনুসরণ করতে হবে।' যেমন- ‘মানুষ’ পদকে ‘সততা’ নামক গুণের মানদ-- সৎ ও অসৎ শ্রেণিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়া হলো যৌক্তিক বিভাগ। কারণ ‘সততা’ হলো একটি মূলনীতি, যার আলোকে মানুষ পদকে বিভক্ত করা হয়েছে।
উদ্দীপকের গনি মিয়া জমি ভাগ করার ক্ষেত্রে ‘উর্বরতা’ নামক একটিমূলনীতির অনুসরণ করেছেন। এ নীতির ভিত্তিতে তিনি নিজের জমিগুলোকে উর্বর ও অনুর্বর জমিতে বিভক্ত করেছেন। তাই বলা যায়, গনি মিয়ার জমি ভাগ করার পদ্ধতি যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. না, তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়া যৌক্তিক বিভাগের যথার্থ নিয়ম পালন করেনি। নিচে এ বিষয়ে যুক্তি দেখানো হলো-
যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম অনুসারে কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত উপজাতিতে বিভক্ত করতে হলে একটি মূলসূত্র গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, একের অধিক নীতির আলোকে কোনো পদকে বিভক্ত করলে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে। উদ্দীপকের গনি মিয়া তরমুজগুলোকে একই সাথে আকার, আকৃতি ও রং এরূপ তিনটি নীতির আলোকে ভাগ করেছে। এ কারণে তার এ কর্মকান্ড- সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
আমরা জানি, যৌক্তিক বিভাগের নিয়মানুযায়ী সাধারণত জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদকে বিভক্ত করা যায়, একক কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে নয়। কিন্তু, গনি মিয়া এ নিয়মটির লঙ্ঘন করে জমির তরমুজগুলোকে ভাগ। করেছে। ফলে এ ক্ষেত্রে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তির সৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবেই তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়ার কর্মকান্ড- যৌক্তিক বিভাগের অন্যতম দুটি নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে।
পরিশেষে বলা যায়, সংকর বিভাগ ও গুণগত বিভাগ উভয়ই ভ্রান্ত বিভাগ যার দৃষ্টান্ত গনি মিয়ার কর্মকান্ড- পরিলক্ষিত হওয়ার কারণে বলা যায়ত তরমুজ ভাগ করার ক্ষেত্রে গনি মিয়া যৌক্তিক বিভাগের যথার্থ নিয়ম পালন করেনি।

২. দৃশ্যকল্প-১: বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার ৮০% মুসলিম এবং ২০% অমুসলিম।
দৃশ্যকল্প-২: সজলপুর গ্রামে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে আজিজ হলো সবচেয়ে সৎ, মেধাবী, সুখী ও ধার্মিক ব্যক্তি।
দৃশ্যকল্প-৩: মানুষের হাত, পা, চোখ, কান, নাক ও চুল রয়েছে।
ক. 'Dichotomy' শব্দটি কোন দুটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত?
খ. দ্বিকোটিক বিভাগের সুবিধাগুলো লেখো।
গ. দৃশ্যকল্প-২ এ যৌক্তিক বিভাগের কোন নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে?
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ ও দৃশ্যকল্প-৩ এ যৌক্তিক বিভাগের যে দুটি অনুপপত্তি ঘটেছে সেগুলো বিশ্লেষণ করো।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. 'Dichotomy' শব্দটি গ্রিক 'Dicha' ও 'Temno' এ দুটি গ্রিক শব্দ থেকে উদ্ভূত।

খ. দ্বিকোটিক বিভাগ একটি নির্ভুল আকারগত বিভাগ প্রক্রিয়া। এ বিভাগ প্রক্রিয়ায় কোনো ভ্রান্তি বা অনুপপত্তি ঘটার আশঙ্কা থাকে না। পাশাপাশি এ বিভাগে পদের বিভক্তকরণে কোনো বাস্তব জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এখানে কেবল একটি জাতিকে পরস্পর দুটি বিরোধী উপজাতিতে ভাগ করা হয়। এ কারণে বলা হয়, দ্বিকোটিক বিভাগ প্রক্রিয়া একটি সহজ-সরল প্রক্রিয়া।

গ. দৃশ্যকল্প-২ এ যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়মের লঙ্ঘন ঘটেছে।
যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়ম অনুসারে, একটি শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদকে ভাগ করতে হয়; কোনো বিশেষ বস্তু বা ব্যক্তিকে নয়। অর্থাৎ আমরা কোনো শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদকে তার অন্তর্গত নিম্নতর উপজাতিতে বিভক্ত করতে পারি। যেহেতু ব্যক্তি বা বস্তুর নিম্নতর শ্রেণি বা উপজাতি নেই তাই তাদের যৌক্তিক বিভাগ সম্ভব নয়।
দৃশ্যকল্প-২ এ বর্ণিত, আজিজ হলো সৎ, মেধাবী, সুখী ও ধার্মিক ব্যক্তি। এখানে শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদের পরিবর্তে বিশেষ ব্যক্তিকে বিভাজন করা হয়েছে। যা সুস্পষ্টই যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়মের লঙ্ঘন।

ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ গুণগত বিভাগ এবং দৃশ্যকল্প-৩ এ অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে। নিচে উভয় অনুপপত্তির বিশ্লেষণ করা হলো-
কোনো জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের পরিবর্তে যদি বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণে ভাগ করা হয়, তবে গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- দৃশ্যকল্প-২ এ ‘আজিজকে' সৎ, মেধাবী, সুখী ও ধার্মিক পদে বিভক্ত করা হয়েছে। এখানে ‘আজিজ’ কোনো জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদ নয় বরং একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম। এ ধরনের অনুপপত্তিকে যুক্তিবিদগণ গুণগত বিভাগ অনুপপত্তি বলে চিহ্নিত করেছেন।
অন্যদিকে, কোনো জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের পরিবর্তে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করা হলে অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- দৃশ্যকল্প-৩ এ মানুষকে তার হাত, পা, চোখ, কান, নাক ও চুলে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ মানুষকে তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করার কারণে অঙ্গগত বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে। তাই বলা যায়, গুণগত বিভাগ ও অঙ্গগত বিভাগ দুটি ভ্রান্ত বিভাগ। যার
দৃষ্টান্ত দৃশ্যকল্প-২ ও দৃশ্যকল্প-৩ এ পরিলক্ষিত হয়।

৩. তমা বললো, 'যখন কোনো পদকে মাত্র দুটি মূলসূত্রের আলোকে আলাদা করা হয় তখন অনেক সমস্যা দূর করা সহজ হয়।' রেখা মানুষ পদকে বিভাজন করতে গিয়ে বললো, ‘‘মানুষ হলো সভ্য, শিক্ষিত ও সৎ জীব। ’’
ক. অঙ্গগত বিভাগ কী?
খ. অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।
গ. তমার বক্তব্য তোমার পাঠ্যবইয়ের কোনটিকে নির্দেশ করে?
ঘ. রেখার বক্তব্যে যৌক্তিক বিভাগের যে অনুপপত্তি ঘটেছে তা ব্যাখ্যা করো।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভক্ত করা হলে যে ভ্রান্তি ঘটে, তাকেই বলে অঙ্গগত বিভাগ।

খ. যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়ম লঙ্ঘন করলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ মিলিত ভাবে বিভাজ্য জাতিটির ব্যক্তর্থের সমান হবে। কিন্তু এ নিয়ম লঙ্ঘন করে যদি বিভক্ত উপজাতিগুলোর ব্যক্ত্যর্থ ঐ পদের ব্যক্তর্থের চেয়ে বেশি হয়, তাহলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- মুদ্রাকে স্বর্ণ, রৌপ্য, তাম্র, ব্রোঞ্জ ও ব্যাংক নোটে বিভক্ত করা হলে অতিব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে।

গ. তমার বক্তব্য পাঠ্যবইয়ের দ্বিকোটিক বিভাগের দিকটি নির্দেশ করে।
দ্বিকোটিক বিভাগে ‘বিরোধ নিয়ম’ ও ‘মধ্যম রহিত নিয়ম’ - এই নীতির আলোকে কোনো শ্রেণিবাচক বা জাতিবাচক পদকে দুটি উপজাতিতে ভাগ করা হয়। যাদের একটি হয় সদর্থক পদ অপরটি নঞর্থক পদ। এ দুটি নিয়মের কারণে দ্বিকোটিক বিভাগে বিভক্ত দুটি উপজাতি পরস্পর বিরুদ্ধ পদ হয়।
উদ্দীপকের তমা বলে, ‘যখন কোনো পদকে মাত্র দুটি মূলসূত্রের আলোকে আলাদা করা হয়, তখন অনেক সমস্যা দূর করা সহজ হয়।' তমার এ বক্তব্যের মাধ্যমে পাঠ্যপুস্তকের দ্বিকোটিক বিভাগের দিকটি প্রতিফলিত হয়।

ঘ. রেখার বক্তব্যে যৌক্তিক বিভাগের সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়ম অনুযায়ী, একটি পদকে বিভক্ত করার সময় একটি মূলসূত্র গ্রহণ করতে হবে। যদি এই নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনো পদকে একাধিক সূত্রের ভিত্তিতে বিভক্ত করা হয়, তবে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে। যেমন- ‘মানুষ' পদটিকে একই সাথে ‘বর্ণ’ ও ‘উচ্চতা’ অনুসারে ভাগ করলে যে উপশ্রেণির উদ্ভব হবে তা হলো, ‘লম্বা ও ফর্সা মানুষ' এবং 'বেঁটে ও কালো মানুষ'। এ বিভাগ প্রক্রিয়ায় সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে। কারণ এখানে দু'টি মূল সূত্রের ওপর নির্ভর করে ‘মানুষ’ জাতিকে বিভক্ত করা হয়েছে।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় রেখা মানুষ পদকে সভ্য, শিক্ষিত ও সৎ জীবে বিভাজন করেছে। অর্থাৎ সে মানুষ পদকে সভ্যতা, শিক্ষা ও সততা নামক তিনটি সূত্রের আলোকে বিভাজন করেছে। এতে তার বক্তব্যে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
পরিশেষে বলা যায়, সংকর বিভাগ একটি ত্রুটিপূর্ণ বিভাগ প্রক্রিয়া। সাধারণত কোনো জাতিবাচক পদকে একাধিক নীতির আলোকে বিভক্ত করলে এরূপ ত্রুটি ঘটে। উদ্দীপকের রেখা তিনটি সূত্রের আলোকে মানুষ পদকে বিভক্ত করেছে। তাই তার বিভক্তকরণে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

৪. ঘটনা-১: মানুষকে সৎ, সুখী ও বিদ্বান পদে বিভক্ত করা হলো।
ঘটনা-২: ফাতেমার ব্যবহৃত গহনাটি স্বর্ণালী, ভারি ও মূল্যবান অংশে বিভক্ত করা হলো।
ক. গুণগত বিভাগ কী?
খ. যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে যৌক্তিক বিভাগ কীভাবে পৃথক?
গ. ঘটনা-১ এ কোন অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ঘটনা-১ ও ঘটনা-২ বর্ণিত বিষয়টি যৌক্তিক বিভাগের সাথে কীভাবে সম্পর্কযুক্ত? বিশ্লেষণ করো।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো জাতিবাচক বা শ্রেণিবাচক পদের পরিবর্তে বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে তার বিভিন্ন গুণে বিভক্ত করলে যে ভ্রান্তি ঘটে তাই গুণগত বিভাগ।

খ. প্রকৃতিগত দিক থেকে যৌক্তিক বিভাগ যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে পৃথক।
যুক্তিবিদ্যায় ব্যবহৃত পদের দুটি দিক থাকে। একটি হলো পদের গুণগত দিক বা জাত্যর্থ এবং অন্যটি পরিমাণগত দিক বা ব্যক্ত্যর্থ। পদের গুণগত দিক বা জাত্যর্থ যৌক্তিক সংজ্ঞায় আলোচনা করা হয়। অন্যদিকে, পরিমাণগত বা ব্যক্ত্যর্থ যৌক্তিক বিভাগে আলোচনা করা হয়। এ কারণেই যৌক্তিক বিভাগ যৌক্তিক সংজ্ঞা থেকে আলাদা।

গ. ঘটনা-১ এ পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
যৌক্তিক বিভাগের উপজাতিগুলো একটি থেকে অন্যটি আলাদা হবে। কিন্তু কোনো জাতির বিভাজ্য উপজাতিগুলো একটি অন্যটির সাথে মিলেমিশে থাকলে সেই বিভাজ্য প্রক্রিয়াটি ভ্রান্ত হয়। এ ভ্রান্ত প্রক্রিয়াই হলো পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তি।
ঘটনা-১ এ ‘মানুষ’ পদকে সৎ, সুখী ও বিদ্বান এই তিনটি উপজাতিতে বিভক্ত করা হয়েছে। এতে করে একটি উপজাতি অন্য উপজাতির সাথে মিশে পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

ঘ. ঘটনা-১ ও ঘটনা-২ এ বর্ণিত পরস্পরাঙ্গী বিভাগ এবং সংকর বিভাগ অনুপপত্তি যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম বিরুদ্ধ। তাই বৈসাদৃশ্যের প্রেক্ষাপটে উভয় বিষয় যৌক্তিক বিভাগ থেকে ভিন্ন।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুসারে, কোনো পদের যৌক্তিক বিভাগে সর্বদা একটি নীতি অনুসরণ করতে হবে। কোনোভাবেই একের অধিক নীতি অনুসরণ করা যাবে না। এ নিয়ম অনুসারে ‘শিক্ষা’ মূলনীতির ভিত্তিতে ‘মানুষ’ জাতিকে ‘শিক্ষিত’ ও ‘অশিক্ষিত' এ দুটি উপজাতিতে ভাগ করা যায়। যৌক্তিক বিভাগের এ নিয়ম লঙ্ঘন করলে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। অনুরূপভাবে যৌক্তিক বিভাগের চতুর্থ নিয়ম লঙ্ঘনের কারণে পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
ঘটনা-১ এর দৃষ্টান্তে বিভাজ্য উপজাতিগুলো একটি অন্যটির সাথে পরস্পর অবিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে বলে এটি পরস্পরাঙ্গী বিভাগজনিত অনুপপত্তির দৃষ্টান্ত। যা যৌক্তিক বিভাগের চতুর্থ নিয়ম বিরুদ্ধ। আবার ঘটনা-২ এ গহনাকে স্বর্ণালী, ভারি ও মূল্যবান এ তিন পদে বিভক্ত করে বর্ণ, ওজন ও মূল্য নামক তিনটি সূত্রের আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। তাই এই দৃষ্টান্তে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে। এটি যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়ম বিরুদ্ধ।
পরিশেষে বলা যায়, পরস্পরাঙ্গী বিভাগ অনুপপত্তি এবং সংকর বিভাগ অনুপপত্তি উভয়ই ভ্রান্ত বিভাগ প্রক্রিয়া। এ কারণে এ দুটি বিভাগ যৌক্তিক বিভাগ থেকে আলাদা।

৫. মনিরের মৃত্যুর পর তার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় সমাধানের জন্য ঐ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিপূর্ণ একরাত্রি হয়ে রাষ্ট্রীয় আইন ও নীতি অনুযায়ী মনিরের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে কৃষি ও অকৃষি সম্পত্তি ভাগ করে দেন। ফলে সম্পত্তি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যার নিষ্পত্তি হয়।
ক. যৌক্তিক বিভাগের মূলসূত্র কয়টি?
খ. সর্বনিম্ন উপজাতিকে ভাগ করা যায় না কেন?
গ. উদ্দীপকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সম্পত্তি ভাগাভাগি ক্ষেত্রে যুক্তিবিদ্যার কোন বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া যায়? এর বৈশিষ্ট্যগুলো ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে যুক্তিবিদ্যার যে বিষয়টির ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তার প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করো।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যৌক্তিক বিভাগের মূলসূত্র একটি।

খ. সর্বনিম্ন বা ক্ষুদ্রতম উপজাতির কোনো নিম্নতর উপজাতি থাকে না বলে এর যৌক্তিক বিভাগ করা সম্ভব নয়।
যৌক্তিক বিভাগের উপজাতি হলো শ্রেণিবাচক পদ। এ জাতীয় পদকে বিভক্ত করলে একক ব্যক্তি বা বস্তুকে পাওয়া যায়। যৌক্তিক বিভাগের নিয়মানুযায়ী যেহেতু একক ব্যক্তি বা বস্তুর বিভাজন করা যায় না, তাই ক্ষুদ্রতম উপজাতিকেও বিভক্ত করা যায় না।

গ. উদ্দীপকে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে সম্পত্তি ভাগাভাগির ক্ষেত্রে যৌক্তিক বিভাগের ‘একটি মূলসূত্র’ নীতি অনুসরণ করেছেন।
যৌক্তিক বিভাগে কোনো জাতিবাচক পদকে বিভক্ত করতে হলে একটি মূলসূত্র অনুসরণ করতে হবে। যেমন- মানুষ জাতিকে ‘সততা' নামক একটি মূলসূত্র অনুসারে 'সৎ মানুষ’ ও ‘অসৎ মানুষ' এই দুটি পদে বিভক্ত করা যায়। অন্যথায় একের অধিক নীতি অনুসরণ করলে অনুপপত্তি ঘটবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায়, মনিরের সম্পত্তি তার ছেলেমেয়ের মধ্যে বণ্টন করে দেওয়ার ক্ষেত্রে গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ‘রাষ্ট্রীয় আইন ও নীতি’ নামক একটি নীতি অনুসরণ করেছেন। তাই বলা যায়, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কার্যক্রম যৌক্তিক বিভাগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকে যুক্তিবিদ্যার যৌক্তিক, বিভাগের দৃষ্টান্ত পরিলক্ষিত হয়। নিচে যৌক্তিক বিভাগের প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করা হলো-
যুক্তিবিদ্যায় পদের পরিমাণগত বা সংখ্যাগত দিক বলতে পদের ব্যক্ত্যর্থকে বোঝায়, যা যৌক্তিক বিভাগে আলোচনা করা হয়। এ বিভাগের মাধ্যমে যুক্তিবাক্যে ব্যবহৃত পদসমূহের সংখ্যা বা পরিমাণগত বিষয় সুস্পষ্ট করা হয়। বস্তুত যৌক্তিক ব্রিভাগে একটি মূলনীতির ভিত্তিতে কোনো বৃহত্তম শ্রেণিকে তার অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কিছু নিয়ম অনুসরণ করে পদের যৌক্তিক বিভাগ করা হয়।
যৌক্তিক বিভাগ প্রক্রিয়া একটি জাতি তার অন্তর্গত উপজাতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট জ্ঞান প্রদান করে, যা সঠিক অনুমান গঠন বা যুক্তি প্রণয়নে কার্যকর ভূমিকা পালনে সহায়ক হয়।
তাই বলা যায়, যুক্তিবিদ্যার শিক্ষার্থী হিসেবে যৌক্তিক বিভাগ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞান অর্জন করা উচিত।

৬. আবু তাহের সবসময় কঠিন করে কথা বলে। তার কথার মর্মার্থ বুঝতে সবারই কষ্ট হয়। একদিন সে হাতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলে, ‘হাতি হলো প্রচন্ডমত্ত বিপুল দেহধারী চতুষ্পদ আত্মা।' এ কথা শুনে জীববিজ্ঞানের ছাত্র কামরুজ্জামান বলে, ‘এলিফাস ম্যাক্সিমাস, লক্সোডন্টা এবং লক্সোডন্টা সাইক্লোটিসতএ তিনটি হলো হাতির প্রজাতি। যার প্রথমটি এশীয় হলেও অন্য দুটি আফ্রিকান। হাতি বলতে এই তিনটি প্রজাতিকেই বোঝায়।
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞার কয়টি নিয়ম আছে?
খ. যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে কীভাবে পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়?
গ. উদ্দীপকের আবু তাহেরের বক্তব্যে কোন ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের কামরুজ্জামানের বক্তব্য কি যথার্থ? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞার পাঁচটি নিয়ম আছে।

খ. যৌক্তিক সংজ্ঞায় পূর্ণ জাত্যর্থ প্রকাশের মাধ্যমে পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়।
যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো কোনো পদের পূর্ণ জাত্যর্থের প্রকাশ। এ কারণে কোনো পদের সংজ্ঞায় আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করতে হয়। যেমন- ‘মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব’। এখানে ‘মানুষ’ পদের পূর্ণ জাত্যর্থ হিসেবে আসন্নতম জাতি ও বিভেদক লক্ষণ উল্লেখ করা হয়েছে। এ কারণে এটি মানুষ পদের যথার্থ সংজ্ঞা। তাই বলা যায়, জাত্যর্থের মাধ্যমে যৌক্তিক সংজ্ঞায় পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ পায়।

গ. উদ্দীপকের আবু তাহেরের বক্তব্যে দুর্বোধ্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
কোনো পদের সংজ্ঞায় সহজ-সরল বা সুস্পষ্ট ভাষা ব্যবহার না করে জটিল বা দুর্বোধ্য ভাষা ব্যবহার করলে দুর্বোধ্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- ‘বক হলো শ্বেত-শুভ্র, দীর্ঘ-গ্রীবা, স্থিতাচারী, সুশ্রী বিহঙ্গ’। এখানে ‘বক' পদের সংজ্ঞায় দুর্বোধ্য শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যবহৃত ভাষাগুলো জটিল প্রকৃতির।
উদ্দীপকে বর্ণিত আবু তাহের হাতির সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলে, 'হাতি হলো প্রচন্ডমত্ত বিপুল দেহধারী চতুষ্পদ আত্মা'। এরূপ দুর্বোধ্য ভাষায় সংজ্ঞা দেওয়ার কারণে তার বক্তব্যে দুর্বোধ্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

ঘ. হ্যাঁ, উদ্দীপকের কামরুজ্জামানের বক্তব্যে যথার্থ। কারণ সে একটি নীতির আলোকে হাতির যৌক্তিক বিভাগ করেছে।
একটি মূলসূত্র বা নীতির ভিত্তিতে কোনো শ্রেণি বা জাতিকে তার অন্তর্ভুক্ত নিম্নতর শ্রেণি বা উপজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক বিভাগ বলে। এ বিভাগে কোনো পদকে বিভাজন করার ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি নীতি অনুসরণ করতে হয়, কোনোভাবেই একের অধিক নয়। যেমন- 'শিক্ষা' নামক নীতির ভিত্তিতে ‘মানুষ’ জাতিকে ‘শিক্ষিত’ ও ‘অশিক্ষিত' এ দুটি উপজাতিতে ভাগ করা যৌক্তিক বিভাগের একটি দৃষ্টান্ত।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায়, কামরুজ্জামান প্রজাতির ভিত্তিতে হাতিকে এলিফাস ম্যাক্সিমাস, লক্সোডন্টা এবং লক্সোডন্টা সাইক্লোটিসতএ তিন ভাগে বিভক্ত বলে উল্লেখ করেছে। যার প্রথমটি এশীয় হাতি ও অন্য দুটি আফ্রিকান হাতি। বস্তুত হাতি বলতে এই তিনটি প্রজাতিকেই বোঝায়। এ কারণে কামরুজ্জামানের বক্তব্য যৌক্তিক বিভাগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, যৌক্তিক বিভাগ একটি মানসিক প্রক্রিয়া। যেখানে একটি মূলসূত্র বা নীতির ভিত্তিতে কোনো জাতি বা শ্রেণিকে তার অন্তর্গত উপজাতি ও উপশ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। এরূপ দৃষ্টান্ত কামরুজ্জামানের বক্তব্যে পরিলক্ষিত হয়। এ কারণে তার বক্তব্য যথার্থ বলে মনে করি। প্রশ্ন।

৭. তাহের সাহেব প্রতিদিন সকালে পার্কে হাঁটতে যান। একদিন হাঁটতে গিয়ে হঠাৎ করেই তার বাল্যবন্ধু এনামুলের সাথে দেখা হয়। এরপর তারা পার্কে বসে গল্প করেন। ফেরার সময় তাহের সাহেব বন্ধুকে বাসায় আসতে বলেন। বাসায় ফিরে তিনি পরিবারের সবার কাছে তার বন্ধু সম্পর্কে বলেন, এনামুল বেশ শিক্ষিত, দেখতে ফর্সা ও উচ্চতায় লম্বা।
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞার ইংরেজি শব্দ কী?
খ. বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে কেন?
গ. তাহের সাহেবের বক্তব্যে কোন অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তাহের সাহেবের বক্তব্যে ‘মানুষ’ পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রকাশ পেয়েছে কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যৌক্তিক সংজ্ঞার ইংরেজি শব্দ হলো Logical Definition।

খ. জাত্যর্থের গুণ উল্লেখ করার কারণে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
কোনো পদের সংজ্ঞায় জাত্যর্থের অতিরিক্ত গুণ উল্লেখ করা হলে এবং সেই গুণটি যদি ঐ পদের উপলক্ষণ হয় তাহলে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন বিচারশীল প্রাণী। এখানে ‘বিচারশীল’ গুণটি মানুষ পদের উপলক্ষণ। এ কারণে এখানে বাহুল্য সংজ্ঞাজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

গ. তাহের সাহেবের বক্তব্যে সংকর বিভাগ নামক অনুপপত্তি ঘটেছে।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুযায়ী, কোনো পদের বিভক্তকরণে একটি মূলসূত্র অনুসরণ করতে হবে। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করে একাধিক মূলসূত্র অনুসরণ করা হলে বিভাগটি ভ্রান্ত হবে। আর এরূপ ভ্রান্ত বিভাগের নাম সংকর বিভাগ। যেমন- 'মানুষ' জাতিকে সৎ, ফর্সা ও জ্ঞানী এ তিনটি উপজাতিতে বিভক্ত করা হলে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে। কারণ এখানে পদের বিভক্তকরণে একটির পরিবর্তে তিনটি সূত্র (সততা, বর্ণ ও জ্ঞান) অনুসরণ করা হয়েছে। উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায়, তাহের সাহেব তার বন্ধু এনামুল সম্পর্কে বলেন, সে বেশ শিক্ষিত, দেখতে ফর্সা ও উচ্চতায় বেশ লম্বা। অর্থাৎ তিনি এক্ষেত্রে একটির পরিবর্তে তিনটি সূত্র (শিক্ষা, বর্ণ ও উচ্চতা) অনুসরণ করেছেন। এ কারণেই তার বক্তব্যে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

ঘ. না তাহের সাহেবের বক্তব্যে ‘মানুষ' পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা প্রকাশ পায়নি।
যৌক্তিক সংজ্ঞা হলো কোনো পদের জাত্যর্থ বা অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ করার মাধ্যম। যেমন- মানুষ পদের মৌলিক ও আবশ্যিক গুণ হলো ‘জীববৃত্তি’ ও ‘বুদ্ধিবৃত্তি’। তাই ‘মানুষ হয় বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন জীব'ত এটি বলার মাধ্যমে মানুষ পদের পূর্ণ জাত্যর্থ বা যৌক্তিক সংজ্ঞা দেওয়া হবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় তাহের সাহেব তার বন্ধুকে শিক্ষিত, ফর্সা ও উচ্চতায় লম্বা বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এগুলো মানুষ পদের মৌলিক গুণ নয়, বরং অবান্তর লক্ষণ মাত্র। এ কারণে তাহের সাহেবের বক্তব্যে মানুষ পদের অপরিহার্য অর্থ বা জাত্যর্থ প্রকাশিত হয়নি।
পরিশেষে বলা যায়, জাত্যর্থ হলো পদের মৌলিক ও সাধারণ গুণাবলির প্রকাশ। কিন্তু উদ্দীপকে তাহের সাহেবের বক্তব্যে জাত্যর্থের এই দিকটি উপেক্ষিত হয়েছে। অর্থাৎ তিনি মানুষ পদের সংজ্ঞা না দিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন।
তাই বলা যায়, কোনো পদের যৌক্তিক সংজ্ঞা দেওয়ার সময় অবশ্যই অবান্তর লক্ষণ পরিহার করে বিভেদক লক্ষণ ও আসন্নতম জাতির আশ্রয় নিতে হবে। তবেই তা যথার্থ সংজ্ঞা বলে বিবেচিত হবে।

৮. মোকাররম হোসেন একদিন উপজাতিদের জীবনযাত্রার মান ও ধরনের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী তিনি উপজাতিদের বিভিন্ন শ্রেণি যেমন- গারো, মারমা, সাঁওতাল ইত্যাদিতে ভাগ করে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে দেখালেন। তিনি প্রতিবেদনটি পড়ে মোকাররম হোসেনকে বলেন, এটি আরও মার্জিত ও স্পষ্ট করে উপস্থাপন করতে হবে যাতে কোনোরূপ অস্পষ্টতা না থাকে।
ক. বাহুল্য সংজ্ঞা কী?
খ. প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞা বলতে কী বোঝ?
গ. মোকাররম হোসেনের কার্যক্রমে যুক্তিবিদ্যার কোন প্রত্যয়ের সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো পদের সংজ্ঞায় জাত্যর্থের অতিরিক্ত কোনো গুণের উল্লেখ থাকলে এবং সে গুণটি উপলক্ষণ হলে তাকে বাহুল্য সংজ্ঞা বলে।

খ. প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞায় কোনো নির্দেশক বস্তুর সংজ্ঞা দেওয়া হয়।
নির্দিষ্ট দৃষ্টান্তের সাহায্যে যখন কোনো ব্যক্তির কাছে সংশ্লিষ্ট শব্দ বা পদের অর্থ ব্যাখ্যা করা হয় তখন এ ব্যাখ্যার প্রক্রিয়াকেই প্রদর্শনমূলক সংজ্ঞা বলা হয়। এ ধরনের সংজ্ঞায় কোনো পদকে সরাসরিভাবে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পার্থিব বস্তু বা সত্তার মাধ্যমে সংজ্ঞায়িত করা হয়ে থাকে।

গ. মোকাররম হোসেনের কার্যক্রমে যৌক্তিক বিভাগ প্রত্যয়ের সাদৃশ্য রয়েছে।
সাধারণত একটি নীতির ভিত্তিতে কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত উপজাতিতে বিভক্ত করা হলে তাকে যৌক্তিক বিভাগ বলা হয়। বস্তুত যৌক্তিক বিভাগ হলো এক প্রকার মানসিক প্রক্রিয়া। যেখানে একটি বৃহত্তম শ্রেণিকে তার অন্তর্গত ক্ষুদ্রতম শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। উল্লেখ্য যে, যৌক্তিক বিভাজন প্রক্রিয়ায় সবসময়ই একটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় মোকাররম হোসেন জীবনযাত্রার মান ও ধরন অনুযায়ী উপজাতিদের গারো, মারমা, সাঁওতাল ইত্যাদিতে যৌক্তিকভাবে বিভক্ত করেছে। অর্থাৎ তিনি একটি নীতির আলোকে উপজাতিদের বিভক্ত করেছেন। এ কারণে মোকাররম হোসেনের কার্যক্রমে যৌক্তিক বিভাগ প্রত্যয়ের সাদৃশ্য বিদ্যমান।

ঘ. প্রতিবেদনটিকে আরও মার্জিত ও স্পষ্ট করে উপস্থাপন করতে হবে- উদ্দীপকে বর্ণিত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তার বক্তব্য যৌক্তিক সংজ্ঞার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পদ বা বিষয়কে স্পষ্ট ও প্রাঞ্জল করে তোলা হয়। যাতে করে উক্ত পদ বা বিষয় সম্পর্কে কোনোরূপ অস্পষ্টতা না থাকে। উদ্দীপকের মোকাররম হোসেন একটি প্রতিবেদন তৈরি করে তার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে দেখালে তিনি মার্জিত ও স্পষ্ট করে উপস্থাপনের বিষয়টি উল্লেখ করেন। তার এ বক্তব্যে যৌক্তিক সংজ্ঞার প্রাসঙ্গিকতার বিষয়টি ফুটে উঠেছে।
বস্তুত মানুষের চিন্তাধারাকে সহজ-সরল, সুস্পষ্ট ও বোধগম্য করে তোলার ক্ষেত্রে যৌক্তিক সংজ্ঞার ভূমিকা আপরিহার্য। সাধারণত কোনো পদের অর্থ বিশ্লেষণ করতে সমার্থক শব্দ বা প্রতিশব্দ ব্যবহার করা হলে সেই পদের প্রকৃত অর্থ প্রকাশ পায় না। কিন্তু পদের অপরিহার্য অর্থ প্রকাশ করলে সেই পদের অর্থ স্পষ্ট ও বোধগম্য হয়। অর্থাৎ যৌক্তিক সংজ্ঞার মাধ্যমে কোনো দুর্বোধ্য বিষয়কে সুবোধ্য করা যায়, জটিল বিষয়কে সরল করা যায় এবং কঠিন বিষয়কে সহজ করা যায়। পাশাপাশি শব্দ ও পদের অপ্রাসঙ্গিকতা দোষ বর্জন করা যায়। এর ফলে শব্দভান্ডার বৃদ্ধি পায় এবং পদের তত্ত্বগত অর্থ সুস্পষ্ট হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, কোনো পদ বা বিষয়ের অস্পষ্টতা নিরূপণের পাশাপাশি অসংগতি দূর করার ক্ষেত্রে যৌক্তিক সংজ্ঞা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ কারণে বলা যায়, প্রথম আলোর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার উক্তিটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

৯. আববার মৃত্যুর পরই আলী ও রিয়াজ দু'ভাই এর মধ্যে বড় একটা আম গাছের ভাগ নিয়ে গোলমাল শুরু হলো। রিয়াজ বললো, ‘‘আম গাছের পাতা, ডাল, কান্ড যা আছে তার প্রত্যেকটার ভাগ আমার চাই।’’ প্রতিবেশী আরজ আলী বললেন, ‘‘আলীর তুলনায় তুমি বিদ্বান, ফর্সা, লম্বা ও সুন্দর হবে এমন অযৌক্তিক ভাগের কথা কীভাবে তুললে?’’
ক. যৌক্তিক বিভাগ কী?
খ. সংকর বিভাগ অনুপপত্তি কেন ঘটে?
গ. উদ্দীপকে রিয়াজ সম্পর্কে আরজ আলীর ধারণা বিভাগের কোন ধরনের অনুপপত্তি?
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত রিয়াজের বক্তব্যে যে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে পাঠ্যবিষয়ের আলোকে তার ব্যাখ্যা দাও।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. একটি সূত্র বা নীতির ভিত্তিতে কোনো জাতি বা উচ্চতর শ্রেণিকে তার অন্তর্গত উপজাতি বা নিম্নতর শ্রেণিসমূহে বিভক্ত করার প্রক্রিয়াকে যৌক্তিক বিভাগ বলে।

খ. যৌক্তিক বিভাগে একাধিক নীতি অনুসরণ করার কারণে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটে।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুসারে, কোনো পদের বিভাগায়নে একটি নীতি অনুসরণ করতে হয়। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রে একটি মূলনীতির পরিবর্তে একাধিক নীতি অনুসরণ করা হলে বিভাগ প্রক্রিয়ায় যে ভ্রান্তির সৃষ্টি হয়, তাকে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি বলে। যেমন: মানুষকে শিক্ষিত ও সৎ নামক পদে বিভক্ত করলে ‘শিক্ষা’ ও ‘সততা’ নামক দুটি নীতি অনুসরণ করতে হয়। এ কারণে এটি সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তির দোষে দুষ্ট হবে।

গ. উদ্দীপকে রিয়াজ সম্পর্কে আরজ আলীর ধারণা হচ্ছে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি।
যৌক্তিক বিভাগে একই সময়ে একটি মূলনীতির ভিত্তিতে কোনো জাতি বা শ্রেণিবাচক পদের যৌক্তিক বিভাগ করা হয়। যদি কোনো পদের যৌক্তিক বিভাগ করার সময় একের অধিক মূলনীতি অনুসরণ করা হয়, তাহলে বিভাগ ত্রুটিপূর্ণ হয়। যৌক্তিক বিভাগের এ ত্রুটিকে সংকর বিভাগ অনুপপত্তি বলে।
উদ্দীপকের আরজ আলী রিয়াজ সম্পর্কে যে বক্তব্য প্রদান করেছেন, সেখানে একই সাথে অনেকগুলো মূলনীতির উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে সেখানে যৌক্তিক বিভাগের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি প্রকাশ পেয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত রিয়াজের বক্তব্যে অঙ্গগত বিভাগজনিত অনুপপত্তি পরিলক্ষিত হয়।
অঙ্গগত বিভাগ হলো যৌক্তিক বিভাগের একটি ত্রুটিপূর্ণ বা ভ্রান্ত বিভাগ। সাধারণত কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে তার অন্তর্গত বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বা অংশসমূহে বিভক্ত করলে অঙ্গগত বিভাগ নামক অনুপপত্তি ঘটে। এ বিভাগের বিভক্ত বিষয়গুলো আমাদের কাছে দৃশ্যমান থাকে। যার ফলে বিভক্ত বিষয়গুলোকে আমরা সামগ্রিক ধারণা থেকে আলাদা করতে পারি। যেমন কোনো গাছকে তার মূল, কান্ড, শাখা, পাতা, ফুল ও ফল অংশে বিভক্ত করলে তা হবে অঙ্গগত বিভাগ।
উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনায় রিয়াজ আম গাছকে পাতা, ডাল ও কান্ড- বিভক্ত করেছে। অর্থাৎ সে যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়ম লঙ্ঘন করে কোনো বস্তুকে তার বিভিন্ন অংশে বিভক্ত করেছে। এ কারণে তার বক্তব্যে অঙ্গগত বিভাগজনিত অনুপপত্তি পরিলক্ষিত হয়।
যৌক্তিক বিভাগের প্রথম নিয়মে বলা হয়েছে, সর্বদা একটি জাতিবাচক পদকে বিভক্ত করতে হবে, কোনো বিশেষ ব্যক্তি বা বস্তুকে নয়। কিন্তু এই নিয়ম লঙ্ঘন করে উদ্দীপকের রিয়াজ বিশিষ্ট পদ আম গাছকে বিভাজন করেছে। এ কারণে তার বক্তব্যে অঙ্গগত বিভাগজনিত অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হয়েছে।

১০. দৃশ্যকল্প- ১:
মানুষ→ সৎ, লম্বা, ফর্সা
দৃশ্যকল্প- ২:
প্রাণী→ মানুষ, গরু, ঘোড়া, ছাগল
দৃশ্যকল্প- ৩:
মানুষ→ এশিয়াবাসী, অস্টেলিয়াবাসী, আমেরিকাবাসী, আফ্রিকাবাসী, ইউরোপবাসী, বনমানুষ
ক. দ্বিকোটিক বিভাগ কী?
খ. সর্বনিম্ন উপজাতিকে বিভক্ত করা যায় না কেন?
গ. দৃশ্যকল্প-১ এ কী ধরনের অনুপপত্তি ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এবং ৩ এর মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করো।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. দ্বিকোটিক বিভাগ হলো কোনো জাতিকে তার অন্তর্গত দুটি বিরুদ্ধ উপজাতিতে বিভক্ত করার প্রক্রিয়া।

খ. সর্বনিম্ন বা ক্ষুদ্রতম উপজাতির কোনো নিম্নতর উপজাতি থাকে না বলে এর যৌক্তিক বিভাগ করা সম্ভব নয়।
যৌক্তিক বিভাগের উপজাতি হলো শ্রেণিবাচক পদ। এ জাতীয় পদকে বিভক্ত করলে একক ব্যক্তি বা বস্তুকে পাওয়া যায়। যৌক্তিক বিভাগের নিয়মানুযায়ী যেহেতু একক ব্যক্তি বা বস্তুর বিভাজন করা যায় না, তাই ক্ষুদ্রতম উপজাতিকেও বিভক্ত করা যায় না।

গ. দৃশ্যকল্প-১ এ সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
যৌক্তিক বিভাগের দ্বিতীয় নিয়মানুযায়ী কোনো পদের বিভক্তকরণের সময় একটিমাত্র মূলসূত্র অনুসরণ করতে হবে। এ নিয়মটি লঙ্ঘন করে যদিএকাধিক মূলসূত্র অনুসরণ করা হয় তাহলে বিভাগটি ভ্রান্ত হবে। আর এরূপ ভ্রান্ত বিভাগের নাম সংকর বিভাগ। যেমন- 'মানুষ' জাতিকে সৎ ফর্সা ও জ্ঞানী এ তিনটি উপজাতিতে বিভক্ত করা হলে সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটবে। কারণ এখানে পদের বিভক্তকরণে একটির পরিবর্তে তিনটি মূলসূত্র (সততা, বর্ণ ও জ্ঞান) গ্রহণ করা হয়েছে।
দৃশ্যকল্প-১ এ 'মানুষ' পদকে সৎ, লম্বা ও ফর্সা এ তিনটি উপজাতিতে বিভক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এখানে যৌক্তিক বিভাগে একটির পরিবর্তে তিনটি সূত্র (সততা, উচ্চতা ও বর্ণ) গ্রহণ করা হয়েছে। এভাবে দৃশ্যকল্প-১ এ ‘মানুষ’ পদকে তিনটি সূত্রের মাধ্যমে বিভক্ত করায় সংকর বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।

ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ অব্যাপক বিভাগ এবং দৃশ্যকল্প-৩ এ অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটেছে। নিচে উভয় বিভাগ প্রক্রিয়ার মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা করা হলো-
আমরা জানি, যৌক্তিক বিভাগের বিভক্ত উপজাতিগুলোর মিলিত সংখ্যা জাতির সংখ্যার চেয়ে কম হলে অব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- দৃশ্যকল্প-২ এ প্রাণী জাতিকে মানুষ, গরু, ঘোড়া, ছাগল উপজাতিতে বিভক্ত করা হয়েছে। ফলে উপজাতিগুলোর পরিমাণ জগতের সমস্ত প্রাণীর পরিমাণের চেয়ে কম হয়েছে। অর্থাৎ জগতের অন্যান্য প্রাণীর নাম বিভাজন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়েছে। এ কারণে দৃশ্যকল্প-২ এ অব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
অন্যদিকে, যৌক্তিক বিভাগের বিভক্ত উপজাতিগুলোর মিলিত সংখ্যা জাতির সংখ্যার চেয়ে বেশি হলে অতিব্যাপক বিভাগ অনুপপত্তি ঘটে। যেমন- দৃশ্যকল্প-৩ এ উল্লেখিত মানুষ পদকে এশিয়াবাসী, অস্ট্রেলিয়াবাসী, আমেরিকাবাসী, আফ্রিকাবাসী, ইউরোপবাসী ও বনমানুষে বিভক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ উপজাতিগুলোর মিলিত সংখ্যা জাতির সংখ্যা থেকে বেশি হয়েছে। এর ফলে অতিব্যাপক বিভাগজনিত অনুপপত্তি ঘটেছে।
পরিশেষে বলা যায়, অব্যাপক ও অতিব্যাপক উভয়ই ত্রুটিপূর্ণ বিভাগ প্রক্রিয়া। এরূপ ত্রুটি বা অনুপপত্তি নিরসনে আমাদের যৌক্তিক বিভাগের তৃতীয় নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ যৌক্তিক বিভাগের বিভক্ত- উপশ্রেণিগুলোর বিভাজ্য জাতির সমান ব্যক্ত্যর্থ রাখতে হবে।
Share:

0 Comments:

Post a Comment