HSC অর্থনীতি ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৪

HSC অর্থনীতি ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Economics 1st Paper Srijonshil question and answer pdf download.

উচ্চমাধ্যমিক

অর্থনীতি
প্রথম পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
৪র্থ অধ্যায়

HSC Economics 1st Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

১. 
ডুয়োপলি বাজার কাকে বলে?
ক. ডুয়োপলি বাজার কাকে বলে?
খ. ক্ষতি অবস্থায় একটি র্ফাম স্বল্পকালে কখন উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যায়?
গ. উদ্দীপক থেকে মোট স্থির ব্যয়ের পরিমাণ নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকে বাজারে কোন ধরনের ভারসাম্য প্রকাশ পায় তা বিশ্লেষণ করো।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যে বাজারে কেবল দুইজন বিত্রেতা থাকে, কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা অসংখ্য থাকে তাকে ডুয়োপলি বাজার বলে।

খ. গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় অপেক্ষা দাম বেশি হলে ক্ষতি অবস্থায় একটি ফার্ম স্বল্পকালে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যায়। স্বল্পকালে ক্ষতির স্বীকার তথা গড় ব্যয়ের চেয়ে দাম কম হলে একটি ফার্ম ততক্ষন উৎপাদন চালিয়ে যাবে, যতক্ষন গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় অপেক্ষা বেশি হবে।

গ. উদ্দীপকের তথ্যের আলোকে নিচে স্থির ব্যয় পরিমাণ নির্ণয় করা হলো।
সাধারনত মোট ব্যয় (TC) থেকে মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় (TVC) বাদ দিলে মোট স্থির ব্যয় (TFC) পাওয়া যায়। অর্থাৎ, TFC = TC – TVC যেখানে TC = AC × Q এবং TVC = AVC × গ.
উদ্দীপকের চিত্রে লক্ষ করা যায় বিন্দুতে এবং এর ঢাল অপেক্ষা এর ঢাল কম হওয়ায় ভারসাম্য নির্ধারিত হয়। এক্ষেত্রে ২০ একক উৎপাদনে গড় ব্যয় ১২০ এবং গড় পরিবর্তনীয় ব্যয় ৪০ টাকা নির্ধারিত হয়। সুতরাং,
মোট ব্যয় (TC) = AC × Q = 120 × 20 = 2400
মোট পরিবর্তনীয় ব্যয় (TVC) = AVC × Q
= 40 × 20
= 800
⸫ মোট স্থির ব্যয় (TFC) = TC – TVC
= 2400 – 800
= 1600
অতএব উদ্দীপক থেকে মোট স্থির ব্যয়ের পরিমাণ ১৬০০ টাকা।

ঘ. উদ্দীপকের চিত্রে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কোনো ফার্মের স্বল্পকালীন ভারসাম্য প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে ফার্মটি ক্ষতি স্বীকার করেও উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্রে লক্ষ করা যায়, Bবিন্দুতে ভারসাম্য প্রয়োজনীয় শর্ত (MR = MC) এবং পর্যাপ্ত শর্ত (MR এর ঢাল অপেক্ষা MC এর ঢাল বেশি) পূরণ হওয়ায় এই বিন্দুতে ভারসাম্য অর্জিত হয়। এক্ষেত্রে ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ যথাক্রমে ৮০ ও ২০ টাকা। তাহলে মোট আয়, TR = 80 × 20 = 1600
আবার ফার্মটি ভারসাম্য অবস্থায় তথা ২০ একক উৎপাদনে গড় ব্যয় হয় ১২০ টাকা। তাহলে মোট ব্যয়, TC = 120 × 20 = 2400
কাজেই ফার্মটির ক্ষতির পরিমাণ (২৪০০ - ১৬০০) = ৮০০ টাকা।
তবে ফার্ম ৮০০ টাকা ক্ষতি করেও উৎপাদন চালিয়ে যাবে। কারণ এক্ষেত্রে মোট আয় দ্বারা স্থির ব্যয়ের কিছু অংশ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ, P > AVC অবস্থায় ফার্ম উৎপাদন চালিয়ে যাবে। সুতরাং উপযুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায় উদ্দীপকের বাজারে স্বল্পকালীন ভারসাম্য প্রকাশ পেয়েছে।

২. 
মনোপসনি বাজার কি?
ক. মনোপসনি বাজার কি?
খ. একচেটিয়া কারবারি কীভাবে দামের ওপর প্রভাব বিস্তার করে?
গ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত ফার্মটি মোট মুনাফা নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপকে চিত্রে রেখা SAC বিন্দুতে E স্পর্শ করলে মুনাফার ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন হবে? ব্যাখ্যা করো।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মনোপসনি বাজার হলো এমন এক ধরনের বাজার যেখানে বিক্রেতার সংখ্যা বেশি হলেও ক্রেতার সংখ্যা একজন।

খ. একচেটিয়া কারবারে বিবেচ্য দ্রব্যের নিকট পরিবর্তক না থাকায় বিক্রেতা ইচ্ছে অনুযায়ী দাম নির্ধারণ করতে পারে। এজন্য একচেটিয়া কারবারে ফার্মকে দাম সৃষ্টিকারী বলা হয়।
এ জন্য এচেটিয়া কারবারে বিক্রয়যোগ্য দ্রব্যটি কেবল একটি ফার্ম দ্বারা উৎপাদিত হয়। তাই একচেটিয়া কারবারি দ্রব্যের যোগান বাড়িয়ে বা কমিয়ে দ্রব্যটির দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তাই বলা যায় একচেটিয়া কারবারে তার ইচ্ছা অনুযায়ী দ্রব্যের যোগান পরিবর্তন করে দামের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত চিত্রের আলোকে ফার্মটির মুনাফার পরিমাণ নির্ণয় করা যায়।
উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্রে স্বল্পকালে কোনো ফার্মের ভারসাম্য দেখানো হয়েছে। ফার্মের যে বিন্দুতে প্রান্তিক আয় (MR) ও প্রান্তিক ব্যয় (MC) রেখা পরস্পর ছেদ করে সেখানে ফার্মটির ভারসাম্য অর্জন করে। এ অবস্থায় নির্ধারিত দামে মোট আয় (TR) এবং গড় ব্যয় (AC) রেখার ভিত্তিতে মোট ব্যয় (TC) নির্ধারিত হয়। আর TR ও TC এর ব্যবধান হলো মুনাফা।
উদ্দীপকের চিত্রে লক্ষ করা যায়, E বিন্দুতে MR ও MC রেখা পরস্পর ছেদ করেছে, তাই E বিন্দুতে ফার্মটি ভারসাম্য অর্জন করে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য দাম OP1 ও ভারসাম্য পরিমাণ OM।
সুতরাং মোট আয় (TR) = OP1 = OM = OP1 EM
আবার, AC রেখার ভিত্তিতে একক প্রতি ব্যয় OP2
কাজেই মোট ব্যয় (TC) = OP2 × OM = OP2 FM
সুতরাং, মুনাফা (π) = TR – TC = OP1 EM - OP2 FM = P2P1EF যা ফার্মের অস্বাভিক মুনাফা নির্দেশ করে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত চিত্রে SAC রেখা E বিন্দুতে স্পর্শ করলে ফার্মটি স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে। আমরা জানি, ফার্মের ক্ষেত্রে TR = TC হলে স্বাভাবিক মুনাফা TR > TC হলে অস্বাভাবিক এবং TR < TC হলে ক্ষতির সন্মুখীন হয়।
চিত্রে লক্ষ করা যায় প্রাথমিক গড় ব্যয় গড় রেখা (SAC) F বিন্দুতে ছেদ করে। যেখানে ফার্মটি P2P1EF পরিমাণ অস্বভাবিক মুনাফা অর্জন করে। এখন SAC রেখা যদি E বিন্দুতে ছেদ করে বা গড় ব্যয় রেখা SAC থেকে SAC1 হলে ফার্মটির প্রতি একক OP1। ফলে TC = OP1 × OM = OP1EM এক্ষেত্রে TR = OP1 × OM = OP1EM। অর্থাৎ TR = TC হওয়ায় মুনাফা শূন্য। অতএব মুনাফা (π) = OP1EM - OP1EM= ০। সুতরাং SAC রেখা E বিন্দুতে স্পর্শ করলে ফার্মটি স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করবে।

৩. নিম্নে বাজার ভারসাম্য একটি তালিকা দেওয়া হলো:

দ্রব্যের দাম

চাহিদার পরিমাণ

যোগানের পরিমাণ

 ৪

 ৭

 ৫

 ৫

 ৬

 ৬

 ৬

 ৫

 ৭

 ৭

 ৪

 ৮

 ৮

 ৩

 ৯

ক. বাজার ভারসাম্য কাকে বলে?
খ. দাম স্থির থেকে আয় বাড়লে চাহিদা রেখার কোন পরিবর্তন ঘটে না কেন?
গ. উপরোক্ত উদ্দপিকে ৪ টাকা দামে এবং ৮ টাকা দামে কোন ধরনের পরিস্থিতি উদ্ভব হবে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের তালিকার দাম সমূহ অপরিবর্তিত অবস্থায় চাহিদার পরিমাণ দ্বিগুণ হলে বাজার ভারসাম্য কীরূপ পরিবর্তন ঘটবে? ব্যাখ্যা করো।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দর কষাকষির ভিত্তিতে বাজার চাহিদা ও যোগানের যে সমতা পরিলক্ষিত হয় তাকে বাজার ভারসাম্য বলে।

খ. আয়ের সাথে দ্রব্যের চাহিদার সম্পর্ক ধনাক্তক। ভোক্তার আয় বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট দ্রব্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। আবার আয় হ্রাস পেলে দ্রব্যের চাহিদা হ্রাস পায়। তাই বলা যায় দ্রব্যের দাম স্থির থেকে ভোক্তার আয় বৃদ্ধি পেলে দ্রব্যের চাহিদাও বৃদ্ধি পায় এবং চাহিদা রেখা ঊদ্ধগামী হয়। এথেকে বোঝা যায় কোনো দ্রব্যের দাম স্থির থাকা অবস্থায় ভোক্তার আয় বাড়লে দ্রব্যটির চাহিদা বাড়ে।

গ. উদ্দীপকের প্রদত্ত সূচি পর্যালোচনা করে বলা যায়, দ্রব্যটির দাম ৫ টাকা দামে চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ সমান। ফলে ঐ দামে বাজার ভারসাম্য নির্ধারিত হয়। সুতরাং ভারসাম্য দাম ৫ টাকা এবং পরিমাণ ৬ একক নির্ধারিত হয়। এ অবস্থায় বাজারে স্থিতিশীলতা বিরাজ করে এবং দাম কিংবা পরিমাণ পরিবর্তনের কোনো প্রবণতা থাকে না।
এখন ধরা যাক দ্রব্যের দাম ৫ টাকা হতে ৮ টাকা হলো। এ অবস্থায় দ্রব্যটির চাহিদা ৭ একক এবং যোগান ৫ একক। এক্ষেত্রে যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে দ্রব্যটি পাওয়ার প্রতিযোগিতার দরুন দাম ঊর্দ্ধমূখী হবে। এ অবস্থায় বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দিবে এবং দাম ও পরিমাণ পরিবর্তনের প্রবণতা থাকবে।
আবার সূচি অনুযায়ী দ্রব্যটির দাম ৫ টাকা হতে বেড়ে ৮ টাকা হলে চাহিদা হবে ৩ একক, তখন দ্রব্যের যোগান হবে ৯ একক। এক্ষেত্রে চাহিদার তুলনায় যোগান অধিক হওয়ায় বিক্রেতাদের মধ্যে কম দামে দ্রব্যটি বিক্রির প্রতিযোগিতা দেখা দিবে। এর ফলে দাম নিমণমুখী হবে। এ অবস্থায় বাজারে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করবে।
সুতরাং বলা যায় ৪ টাকা ও ৮ টাকা দামে বাজারে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ও দাম এবং পরিমাণ অস্থিতিশীলতা বিরাজ করবে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত তালিকায় দেখা যায় দ্রব্যের দাম ৫ টাকা অবস্থায় চাহিদার পরিমাণ ও যোগানের পরিমাণ পরস্পর সমান হয়। বাজার ভারসাম্য শর্তানুসারে তাই ভারসাম্য দাম ৫ টাকা ও পরিমাণ ৬ একক নির্ধারিত।
এখন উদ্দীপকের তালিকায় উল্লেখিত দাম সমূহ অপরিবর্তিত থেকে চাহিদার পরিমাণ দ্বিগুণ হলে বাজার ভারসাম্য যে পরিবর্তন আসে তা নিচে ব্যাখ্যা করা হলো:

দ্রব্যের দাম

দ্রব্যের চাহিদা

দ্রব্যের যোগান

 ৪

 ১৪

 ৫

 ৫

 ১২

 ৬

 ৬

 ১০

 ৭

 ৭

 ৮

 ৮

 ৮

 ৬

 ৯

নতুন তালিকায় দেখা যায়, ৭ টাকা দামে দ্রব্যের দামে চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ সমান। বাজার ভারসাম্য শর্তানুসারে তাই নতুন ভারসাম্য দাম ৭ টাকা ও পরিমাণ ৮ একক নির্ধারন হয়।
প্রস্তুতকৃত তালিকাটি পর্যালোচনা কওে বলা যায় নতুন ভারসাম্য দাম ৭ টাকা, পূর্বের ভারসাম্য দাম ৫ টাকা থেকে বেশি। আবার নতুন ভারসাম্য পরিমাণ ৮ একক যা পূর্বের ভারসাম্য পরিমাণ ৬ একক। তাই দ্রব্যের দাম ও যোগান চাহিদার পরিমাণ দ্বিগুণ হওয়ায় ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ উভয় বেড়েছে।

৪. তানিয়া তার বাবার সাথে বইয়ের দোকানে যায়। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখে যে, সকল দোকানে দাম একই। এতে সে খুব আনন্দ পায়।
ক. অর্থনীতি বাজার কী?
খ. স্থানীয় বাজার বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের বাজারের ধরণ ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তানিয়ার আনন্দ বা ভালো লাগার কারণ ব্যাখ্যা করো।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. অর্থনীতিতে বাজার বলতে এমন দ্রব্যকে বোঝায় যা এক বা একাধিক অঞ্চলের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দর কষাকষির মাধ্যমে একটি নির্ধারিত দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

খ. যেসব দ্রব্যের ক্রয়-বিক্রেয় একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাকে স্থানীয় বাজার বলে।
স্থানীয় বাজারে দ্রব্যের চাহিদা ও উৎপাদন পরিমাণ কম হয়। এ বাজারে দ্রুত পচনশীল এবং সহজে পরিবহণযোগ্য নয় এমন দ্রব্য বেশি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়। এ বাজার নির্দিষ্ট অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। স্থানীয় বাজারে মাছ, মাংস, শাকসবজি, দুধ প্রভৃতি ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।

গ. উদ্দীপকের বাজারের ধরণ হলো পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক।
তানিয়ার বইয়ের দোকান থেকে বই কেনা হলো পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজারের পূণ্য। এর কারণ হলো সব বই এর দোকানে একই দাম বিরাজ করে। পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজারে বহু সংখ্যক ক্রেতা ও বিক্রেতা থাকে। বাজারে একটি সমজাতীয় দ্রব্য ক্রয়- বিক্রয় করা হয়। বইয়ের দোকানে বইও একটি সমজাতীয় পণ্য। এই বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা বিদ্যমান দামের সম্পর্কে পূর্ণভাবে সচেতন। এবাজারে পরিবহণ ব্যয় অনুপস্থিত থাকে। বই এবাজারেও এর দাম ধার্যেও সময় পরিবহণ ব্যয় অন্তভুক্ত হয়।
সুতরাং উদ্দীপকের বইয়ের বাজার হলো পূর্ণ প্রতিযোগিতার বাজার। সেখানে বহুসংখ্যক ক্রেতা-বিক্রেতা থাকায় কেউ একক ভাবে বইয়ের দামকে প্রভাবিত করতে পাওে না।

ঘ. পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের বৈশিষ্ট্যগুলোই তানিয়ার ভালো লাগার কারণ ছিল।
পূর্ণ প্রতিযোগিতার দ্বারা এমন একটি বাজার কাঠামো বোঝানো হয় যেখানে অসংখ্য ক্রেতা-বিক্রেতা সমজাতীয় দ্রব্য নির্দিষ্ট্য দামে ক্রয়-বিক্রয় করে। তাদেও কেউই এককভাবে বাজার দামকে প্রভাবিত করতে পারে না। এর সাথে বাজারে তাদের প্রবেশ ও প্রস্থানে কোনো বাধা থাকে না। এ বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় দামগ্রহীতা। কারণ যে দাম বাজারের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, ক্রেতা-বিক্রেতাকে সেই নির্দারিত দামকে মেনে চলতে হয়। এ সকল বৈশিষ্ট্যের কারণেই এ বাজার অন্য বাজার হতে আলাদা। এবাজারের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো সমজাতীয় অর্থাৎ প্রভেদীকৃত নয়। তাই নির্দিষ্ট দামের ভিত্তিতে সমজাতীয় দ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়ের সিদ্ধান্তে উক্ত বাজার পরিচালিত হয়। এবাজারে বহুসংখ্যক বিক্রেতা থাকে, যেখানে কোনো বিক্রেতা দাম ও পরিমাণের উপর এককভাবে প্রভব বিস্তার করতে পারে না। এখানে ক্রেতা স্বেচ্ছাধীনে ক্রয় কাজ পরিচালনা করে। অপর কারো দ্বারা সে পরিচালিত হয় না।
পূর্ণ প্রতিযোগিতার অধীনে বইয়ের অসংখ্য বিক্রেতা থাকলেও তারা বাজার দামকে প্রভাবিত করতে পারছে না। বাজার দামকে মেনে নিয়েই বিক্রেতা বই বিক্রি করছে। বাজারে এ ধরণের পরিস্থিতি দেখে তানিয়া আনন্দিত হয়েছিল।

৫. 
অর্থনীতিতে বাজার কাকে বলে?
ক. অর্থনীতিতে বাজার কাকে বলে?
খ. অর্থনীতিতে ফার্ম ও শিল্প কখন একই অর্থে ব্যবহৃত হয়?
গ. উদ্দীপক থেকে ফার্মের মোট আয়, মোট ব্যয় ও মুনাফার পরিমাণ নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী রেখা বিন্দুতে স্থানান্তর হলে ফার্মের মুনাফার ক্ষেত্রে কী পরিবর্তন ঘটবে?

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. অর্থনীতিতে বাজার বলতে এমন দ্রব্যকে বোঝায় যা এক বা একাধিক অঞ্চলের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দর কষাকষির মাধ্যমে একটি নির্ধারিত দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

খ. একচেটিয়া বাজারে ফার্ম ও শিল্প একই অর্থে ব্যবহৃত হয়।
অর্থনীতিতে সমজাতীয় দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনকারী কোনো একক প্রতিষ্ঠানকে ফার্ম বলে। অন্যদিকে কোনো সমজাতীয় দ্রব্য ও সেবা উৎপাদনে নিয়োজিত সকল উৎপাদন প্রতিষ্ঠন বা ফার্মের সমষ্টিকে শিল্প বলা হয়। একচেটিয়া বাজার একটি মাত্র ফার্ম বা উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পণ্যের সমস্ত যোগান নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া এ বাজারে উৎপাদিত পণ্যের কোনো নিকটতম বিকল্প পণ্য থাকে না। এরূপ বৈশিষ্ঠ্যের কারণে এ বাজারে ফার্ম ও শিল্প অভিন্ন হয়।

গ. উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্র হতে মোট আয়, মোট ব্যয় ও মুনাফা নির্ণয় করা হলো।
স্বল্পকালে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে যে অবস্থার ভারসাম্য অর্জন প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত শর্ত পালিত হয় তাকে ভারসাম্য অবস্থা বলে। অর্থাৎ ভারসাম্য বিন্দুতে (১) প্রান্তিক আয় (MR) = প্রান্তিক ব্যয় (MC) এবং (২) MC এর ঢাল > MR এর ঢাল হয়।
উদ্দীপকের প্রদত্ত চিত্রে লক্ষ করা যায় F বিন্দুতে স্বল্পকালীন প্রান্তিক ব্যয় (SMC) রেখা MR রেখাকে নিচের দিকে ছেদ করে। অর্থাৎ F বিন্দুতে SMC = MR এবং SMC এর ঢাল MR এর ঢাল অপেক্ষা বেশি। তাই F হলো ভারসাম্য বিন্দু। এক্ষেত্রে ভারসাম্য দাম OP0 এবং ভারসাম্য পরিমাণ OQ0। তাই মোট আয় TR = OP0 × OQ0 = OP0FQ0। আবার P = AC হওয়া মোট ব্যয়, TC = QF0 × OQ0 = OP0FQ0 এবং মুনাফা π = TR – TC = OP0FQ0 - OP0FQ0 = 0 । অর্থাৎ TR ও TC সমান হওয়ায় স্বাভাবিক মানাফা অর্জিত হয়েছে। পরিশেষে বলা যায় ফার্মের মোট আয় ও মোট ব্যয় OP0FQ0 পরিমাণ এবং মুনাফা হলো শূন্য তথা স্বাভাবিক।

ঘ. উদ্দীপক অনুযায়ী SAC রেখা F বিন্দুতে স্থানান্তারিত হলে P > AC হওয়ায় ফার্মটি অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করবে।
ভারসাম্য অবস্থায় SAC রেখা গড় আয় (AR) রেখার নিচে অবস্থান করবে তথা AR = P > AC হয়। তবে স্বল্পকালে ফার্ম অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে।
উপরের চিত্রে লক্ষ করা যায় F বিন্দুতে উভয় শর্ত পালিত হয়েছে। তাই ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ যথাক্রমে OP0 এবং OQ0। এখন SAC রেখা E বিন্দুতে স্থানান্তরিত SAC1 হলে এককপ্রতি গড় ব্যয় হয় O0E। ফলে মোট ব্যয় TC = O0E × OQ0 = OP1EQ0 এবং মোট আয় TR = OP0 × OQ0 =OP0FQ0
⸫ মুনাফা π = TR – TC
= OP0FQ0 – OP1EQ0
= P1EFP0
অর্থাৎ স্বল্পকালে ফার্মটি P1EFP0 পরিমাণ অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে।

৬. ক- বাজার যেখানে P = MR
খ- বাজার যেখানে P > MR
ক. ফার্ম কি?
খ. পৃথীবির সকল বাজার ব্যবস্থায় P = AR হয় বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকে দ্বিতীয় (খ) বাজারের TR রেখা অঙ্কন করো।
ঘ. উদ্দীপকের দুটি বাজারের মধ্যে কোন বাজারে ভোক্তারা অধিক সন্তুষ্টি অর্জন করে? ব্যাখ্যা করো।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. ফার্ম বলতে একটি বাণিজ্যিক সংগঠনকে বোঝায় যা উৎপাদনের সকল উপকরণকে একত্রিত করে উৎপাদন পরিচালনা করে।

খ. পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা সমজাতীয় পণ্য একটি নির্দিষ্ট দামে অবাধে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। ফলে কোনো একজন ক্রেতার পণ্যের বাজার চাহিদা রেখার স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আবার একজন বিক্রেতা পণ্যের মোট যোগানের একটি নগণ্য অংশ উৎপাদন করে। এই কারণে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পণ্যের দাম (P) গড় আয় (AR) এবং প্রান্তিক আয় পরস্পর (MR) সমান হয়।

গ. উদ্দীপকে দ্বিতীয় (খ) বাজার বা একচেটিয়া বাজারের TR রেখা অঙ্কন করা হলো।
কোনো দ্রব্যের সরবরাহ বা উৎপাদন যখন একজন মাত্র বিক্রেতা বা একটি উৎপাদন প্রতিষ্টানের হাতে থাকে সেরূপ বাজারকে একচেটিয়া বাজার বলে। একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতা বিক্রয় বেশির জন্য দাম হ্রাস করে বলে এ বাজারে মোট আয় TR অন্যান্য বাজার থেকে আলাদা। একচেটিয়া বাজারের TR রেখা অঙ্কন:
পাশের চিত্রে বাজারের একচেটিয়া TR রেখাকে নির্দেশ করে। চিত্রটির দিকে লক্ষ করলে দেখা যায় রেখা TR বক্র রৈখিক হয়েছে। কারণ বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে মোট আয় বৃদ্ধি পায় ক্রমহ্রাসমান হারে কিন্তু গড় ও প্রান্তিক আয় হ্রাস পায়।

ঘ. উদ্দীপকে দুইটি বাজারের মধ্যে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ভোক্তারা অধিক সন্তুষ্টি অর্জন করে।
পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দ্রব্য অভিন্ন হওয়ায় ক্রেতা যেকোনো বিক্রেতার কাছ থেকে তা কিনতে পারে, কিন্তু একচেটিয়া বাজারে সেটা পারে না। কারণ এখানে প্রত্যেক বিক্রেতার দ্রব্য পরস্পর থেকে কিছুটা ভিন্ন। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার সম্পর্কে ক্রেতার পূর্ণ ধারণা থাকে। তাই তার ঠকার কোনো সম্ভবনা নেই। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সমজাতীয় দ্রব্য কেনা-বেচা হয় বলে দ্রব্যের গুণাগুণ সম্পর্কে ক্রেতা নিশ্চিত থাকে। অন্যদিকে একচেটিয়া বাজারে দ্রব্যের দাম একই থাকে বলে ক্রেতা খরচের ব্যাপারে নিশ্চিত থাকে। এ বাজারে তাই কেনাকাটার বাজেট করা সহজ ও নিশ্চিত। কিন্তু পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে দাম বিভিন্ন হওয়ায় ক্রেতা খরচের ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারে না। এ বাজারে ক্রেতাকে তাই বাজেট প্রায় কাট-ছাঁট করতে হয়। পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতা অপেক্ষাকৃত কম দামে দ্রব্য কিনতে পারে। কারণ এখানে বিক্রেতার দাম প্রভাবিত করতে পারে না। একচেটিয়া বাজারে বিক্রেতা দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এজন্য এখানে ক্রেতাকে অপেক্ষাকৃত বেশি দামে দ্রব্য কিনতে হয়।
সুতরাং বলা যায়, একচেটিয়া ও পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজার দুটির মধ্যে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে ক্রেতা অধিক লাভবান হয় এবং সন্তুষ্টি অর্জন করে।

৭. 
ডুয়োপলি কী?
ক. ডুয়োপলি কী?
খ. একচেটিয়া বাজার কিভাবে অলিগোপলি বাজারে রূপান্তর হয়?
গ. উদ্দীপক হতে মুনাফা নির্ণয় করো।
ঘ. গড় ব্যয় ৬ হলে মুনাফার কী ধরনের পরিবর্তন হবে? ব্যাখ্যা করো।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যে বাজারে কেবল দুইজন বিত্রেতা থাকে, কিন্তু ক্রেতার সংখ্যা অসংখ্য থাকে তাকে ডুয়োপলি বাজার বলে।

খ. একচেটিয়া বাজারে কোনো ফার্ম যদি আর একটি একচেটিয়া বাজারের ফার্মের সাথে সংযোক স্থাপন করে তাহলে তাকে অলিগোপলি বাজার বলে।
উদাহারণস্বরূপ বলা যায়, ভারতের হিরো মোটর বাইক যখন জাপানের হোন্ডা মোটর বাইকের কোম্পনির সাথে মার্জ হয় বা সংমিলিত হয় তখন উক্ত কোম্পানিদ্বয় অলিগোপলি বাজারে রূপান্তর করে।

গ. উদ্দীপকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে স্বল্পকালে একটি ফার্মের ভারিসাম্য অবস্থা চিত্রের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। চিত্রটিতে দেখা যায় উৎপাদনকারী ফার্ম E বিন্দুতে ভারসাম্য অর্জনের শর্তদ্বয় পূরণ করে ভারসাম্য অর্জন করে। উক্ত বিন্দুতে নির্ধারিত ৬ টাকা দামে ফার্মের ভারসাম্য উৎপাদনের পরিমাণ হলো ১০০ একক।
এক্ষেত্রে মোট আয় (TR) = P×Q = 6×100 = 600
মোট ব্যয় (TC) = A×CQ = 5×100 = 500
⸫ মুনাফা (π) = TR – TC
= (600 - 500)
= 100
সুতরাং, উদ্দীপকে প্রদর্শিত ফার্মের মুনাফা হলো ১০০ টাকা।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত চিত্রের AC রেখা E বিন্দুতে স্পর্শ করলে ফার্মটি স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করবে। আমরা জানি, ফার্মের ক্ষেত্রে TR= TC হলে স্বাভাবিক মুনাফা,TR > TC হলে অস্বাভাবিক মুনাফা এবং TR < TC হলে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
চিত্রে লক্ষ করা যায়, প্রাথমিক গড় ব্যয় (AC), F বিন্দুতে ছেদ করে। যেখানে ফার্মটি ১০০ টাকা মুনাফা অর্জন করে। এখন AC রেখা E যদি বিন্দুতে ছেদ করে বা গড় ব্যয় AC রেখা থেকে AC1 হলে ফার্মটির এককপ্রতি ব্যয় হয় ৬ টাকা। ফলে মোট ব্যয় TC = (AC×Q)= (6×100) = 600 টাকা। এক্ষেত্রে TR = (P×Q) = 6×100 = 600 টাকা।
⸫মুনাফা (π) = TR – TC
= 600 – 600
= 0
সুতরাং, চিত্রের AC রেখা E বিন্দুতে স্থানান্তরিত হলে ফার্মটি স্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করে।

৮. নিচের সূচিতে একটি ফার্মের বিভিন্ন দামে বিক্রয়ের পরিমাণ দেওয়া হলো:

 দাম

 বিক্রয়ের পরিমাণ

 ১০

 ১

 ৯

 ২

 ৮

 ৩

 ৭

 ৪

 ৬

 ৫

ক. উৎপাদন কী?
খ. মূলধনকে উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের আলোকে AR রেখা অঙ্কন করো।
ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য কোন ধরনের বাজারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে তুমি মনে কর? ব্যাখ্যা করো।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর

ক. যে পদ্ধতিতে একটি নির্দিষ্ট কারিগরির ভিত্তিতে বস্ত্তগত উপকরণকে বস্ত্তগত উৎপাদনে রুপান্তর কওে উপযোগ সৃষ্টি করা হয় তাকে উৎপাদন বলে।

খ. মূলধন হলো উৎপাদনের উৎপাদিত উপাদান।
মানুষের শ্রম দ্বারা উৎপন্ন সম্পদের যে অংশ সরাসরি ভোগের কাজে ব্যবহৃত না হয়ে উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত হয় তাকে অর্থনীতিতে মূলধন বলে। এ অর্থে কারখানা ঘর, যন্ত্রপাতি, গুদামঘর ইত্যাদি হলো মূলধন। প্রকৃতি প্রদত্ত সম্পদ মূলধন নয়; এটি তখনই মূলধনে রূপান্তরিত হবে যখন সেটা মানুষ চেষ্টা ও পরিশ্রম দ্বারা গঠিত হবে।

গ. উদ্দীপকের আলোকে AR রেখা অঙ্কন করতে প্রথমেই সূচির মাধ্যমে AR বা গড় আয় নির্ণয় করা প্রয়োজন।
চিত্রে ভূমি অক্ষে বিক্রয়ের পরিমাণ (Q) এবং লম্ব অক্ষে গড় আয় (AR) নির্দেশ করা হয়েছে। বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে গড় আয় (AR) হ্রাস পায়। বিক্রয়ের পরিমাণ ১, ২, ৩, ৪ ও ৫ এ বৃদ্ধির ফলে গড় আয় ১০, ৯, ৮, ৭ ও ৬ এ হ্রাস পায়, যা চিত্রে a, b, c,d ও e বিন্দু দ্বারা নির্দেশ করা হয়েছে। এখন a, b, c,d ও e বিন্দুগুলো যোগ করে AR রেখা টানি। যা সারণির তথ্য থেকে পাওয়া AR রেখা।

ঘ. উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্য প্রতিযোগিতামূলক বাজারের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ বলে আমি মনে করি।
চিত্রে অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের TR, AR ও MR অঙ্কন:
উপরের সারণিতে উল্লেখিত মান সমূহের প্রয়োজনিয় পরিমাপের সাহায্যে চিত্রে রূপ দেওয়া হলো। চিত্রে লক্ষ করা যায়, বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে মোট আয় (TR) ক্রমহ্রাসমান হারে বৃদ্ধি পায় এবং গড় আয় (AR) ও প্রান্তিক আয় (MR) উভয় হ্রাস পায়। তবে অপূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধির সাথে সাথে মোট আয় বৃদ্ধি পায় ক্রমহ্রাসমান হারে। কিন্তু গড় আয় ও প্রান্তিক আয় অধিক হ্রাস পায় বলে AR রেখা MR রেখার উপর অবস্থান করে।

৯. মি. রাজিব একটি ব্যক্তিগত ফার্মের মালিক। তার ফার্মে উৎপাদিত দ্রব্য আর কেউ উৎপাদন করতে পারে না। তিনি নিজেই দ্রব্যের দাম যোগান নির্ধারণ করেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তিনি অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করলেও মাঝে মাঝে লোকসানের শিকার হন।
ক. বাজার কী?
খ. একটি প্লান্ট নিয়ে কি একটি ফার্ম হতে পারে? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের উল্লেখিত ফার্মের বৈশিষ্ঠ্য ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. রাজিবের ফার্মের অস্বাভাবিক মুনাফা চিত্রের মাধ্যমে দেখাও।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বাজার বলতে এমন দ্রব্যকে বোঝায় যা এক বা একাধিক অঞ্চলের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দর কষাকষির মাধ্যমে একটি নির্ধারিত দামে ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে।

খ. একটি প্লান্ট নিয়ে একটি ফার্ম গড়ে উঠতে পারে-কথাটির সত্যতা রয়েছে।
একই ব্যবস্থাপনা বা মালিকানায় উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ এক বা একাধিক প্লান্ট থাকতে পারে। এ প্লান্টগুলোর সমষ্টিই হলো ফার্ম। সাধারণত প্লান্ট একই ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় বলে এর পরিধি সীমিত। একটি প্লান্ট একটি বিশেষ ধরনের পণ্য উৎপাদনে সচেষ্টা হয় বলে ফার্মের সাথে এর তেমন কোনো পার্থক্য নেই।

গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত মি. রাজিবের ফার্মের উৎপাদিত দ্রব্য একচেটিয়া বাজারের উৎপাদিত পণ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূণ্য।
যে বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও একজনমাত্র বিক্রেতা বা উৎপাদক থাকে এবং পণ্যটির কোনো নিকট পরিবর্তক থাকে না, তাকে একচেটিয়া বাজার বলে। সাধারণত এ বাজারে একক ভাবে বিক্রেতা বা উৎপাদক তার ইচ্ছে মতো দ্রব্যের দাম ও যোগান নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া উৎপাদক যে দ্রব্যটির উৎপাদন ও বিক্রয় করে সে দ্রব্যের তেমন কোনো পরিবর্তক দ্রব্য থাকে না। যেমন- বাংলাদেশে তিতাস গ্যাস, অক্রিজেন ইত্যাদির বাজার।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায় রজিব যে ধরনের দ্রব্য উৎপাদন করলে তা অন্য কেউ করে না। এমনকি তিনি নিজেই দ্রব্যের দাম ও যোগান নির্ধারণ করেন। তাই কোম্পানি ইচ্ছে অনুসারে দ্রব্যের দাম বাড়াতে পারে। কাজেই বলা যায় রাজিবের উৎপাদিত পণ্যটি একচেটিয়া বাজারের পন্য।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত মি. রাজিবের ফার্মটি বলতে একচেটিয়া বাজার কে ইঙ্গিত করে। নিচে এ ফার্মের অস্বাভাবিক মুনাফা চিত্রের মাদ্যমে দেখানো হলো:
একচেটিয়া বাজারে ফার্মের স্বল্পকালীন গড় আয় (AR) বা দাম (P) যদি স্বল্পকালীন গড় ব্যয়ের (AC) চেয়ে বেশি হয় তাহলে স্বল্পকালে অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করবে।
চিত্রে MC হচ্ছে প্রান্তিক ফার্মের ব্যয় রেখা এবং MR হচ্ছে প্রান্তিক আয় রেখা।E বিন্দুতে MC রেখা MR রেখাকে নিচের দিকে থেকে ছেদ করে উপরের দিকে উঠে যাওয়ায় ভারসাম্য অর্জিত হয়েছে। ফলে OP1 ভারসাম্য দাম এবং OQ0 ভারসাম্য পরিমাণ, এখানে OQ0 উৎপাদন স্তরে গড় আয় গড় ব্যয়ের চেয়ে কম। তাই ফার্মটি অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করবে।
⸫ মুনাফা (π) = (AR×Q) – (AC×Q)
= P1Oq0d – P2OQ0b
= P1P2bd
সুতরাং, ফার্ম ভারসাম্য বিন্দু E-তে অস্বাভাবিক মুনাফা অর্জন করেছে।

১০. 
স্বাভাবিক মুনাফা কী?
ক. স্বাভাবিক মুনাফা কী?
খ. গড় আয়, প্রান্তিক আয় ও দাম রেখা ভূমি অক্ষের সমান্তরাল হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ণয় করো।
ঘ. উদ্দীপক হতে মোট আয় (TR), মোট ব্যয় (TC) ও মুনাফার পরিমাণ নির্ধারণ করো।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যে ফার্মে বা বাজারে স্বল্পকালে মোট আয় ও মোট ব্যয় হয় সেটাই হলো সেই ফার্মের স্বাভাবিক মুনাফা।

খ. পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অসংখ্য ক্রেতা ও বিক্রেতা একটি সমজাতীয় পণ্য নির্দিষ্ট দামের অবাধে ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে। ফলে কোনো একজন ক্রেতার পক্ষে পণ্যের বাজার চাহিদা স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব হয় না। আবার একজন বিক্রেতার পণ্যের মোট যোগানের একটি নগণ্য অংশ উৎপাদন করে। এই কারণে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারে গড় আয়, প্রান্তিক আয় ও দাম রেখা ভূমি অক্ষে সমান্তরাল হয়।

গ. উদ্দীপকে পূর্ণ প্রতিযোগিতামূলক বাজারের চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। নিচে চিত্রের সাহায্যে ভারসাম্য দাম ও পরিমাণ নির্ণয় করা হলো:
স্বল্পমেয়াদে কোনো ফার্ম তখনই ভারসাম্য অবস্থায় পেীছে যখন নিম্নোক্ত শর্ত পালিত হয়। পূর্ণ প্রতিযোগিতার অধিনে ভারসাম্যের শর্ত দুইটি। যথা: ফার্মের প্রান্তিক আয় ও প্রান্তিক ব্যয় পরস্পর সমান হবে। অর্থাৎ MR = MC হবে। ভারসাম্য বিন্দুতে MC রেখার ঢাল > MR রেখার ঢাল হবে। বা MR রেখা MC রেখাকে নিচের দিকে ছেদ করে উপরে যাবে।
উদ্দীপকের চিত্রে OQ0 উৎপাদন স্তরে E বিন্দুতে ভারসাম্যের প্রয়োজনীয় ও পর্যাপ্ত শর্ত পূরণ হয়। তাই এক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জিত হয়।
অতিরিক্ত মুনাফার পরিমাণ = (OP0EQ0 – OP1FQ0) = P1P0EF পরিমাণ।
অতএব উদ্দীপকের চিত্রে ভারসাম্য দাম OP0 এবং ভারসাম্য পরিমাণ OQ0 নির্ধারিত হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত চিত্রের আলোকে ফার্মের মোট আয়, মোট ব্যয় এবং মুনাফার পরিমাণ নির্ণয় করা হলো।
ফার্মের যে বিন্দুতে প্রান্তিক আয় (MR) প্রান্তিক ব্যয় (MC) রেখা পরস্পর ছেদ করে এবং (MR) রেখা এর ঢাল অপেক্ষা (MC) এর ঢালকে নিচের দিক হতে ছেদ করে সেখানে ফার্মটির ভারসাম্য অর্জন হয়। এ অবস্থায় নির্ধারিত দামে মোট আয় TR এবং গড় ব্যয় AC রেখার ভিত্তিতে মোট ব্যয় TC নির্ধারিত হয়। আর TR ও TC এর ব্যবধান হলো মুনাফা।
উদ্দীপকের চিত্রে লক্ষ করা যায়, E বিন্দুতে MR রেখা MC পরস্পর ছেদ করেছে এবং এখানে MR এর ঢাল অপেক্ষা MC এর ঢালকে নিচের দিক হতে ছেদ করে। তাই E বিন্দুতে ফার্মটি ভারসাম্য অর্জন করে। এক্ষেত্রে ভারসাম্য দাম ও ভারসাম্য পরিমাণ যথাক্রমে OP0 ও OQ0। সুতরাং মোট আয় (TR) = OP0 × OP0 = OP0EQ0
আবার AC রেখার ভিত্তিতে একক প্রতি ব্যয় OP কাজেই মোট ব্যয় (TC) = OP1 × OQ0 = OP1FQ0
সুতরাং, মুনাফা (π) = TC – TR = OP1FQ0 - OP0EQ0 = P1P0EF । যা ফার্মের অস্বাভাবিক মুনাফা নির্দেশ করে।
Share:

0 Comments:

Post a Comment