পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি | ভাবসম্প্রসারণ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি | ভাবসম্প্রসারণ

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
[বরিশাল বোর্ড ২২, দিনাজপুর বোর্ড ২২]

মূলভাবঃ সৌভাগ্য নিয়ে পৃথিবীতে কোনো মানুষের জন্ম হয় না। কর্মের মাধ্যমে মানুষ তার ভাগ্য গড়ে তোলে। পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে।

ভাবসম্প্রসারণঃ যিনি জন্ম দান করেন তিনি প্রসূতি। মা যেমন সন্তানের প্রসূতি, তেমনি পরিশ্রম হলো সৌভাগ্যের প্রসূতি বা উৎস। মানুষকে তার কর্মফল ভোগ করতে হয়। ভালো কাজের ফল ভালো, মন্দ কাজের ফল মন্দ। কোনো কাজই সহজ নয়। আবার কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজও সহজ হয়। জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনো তার ভাগ্যকে গড়ে তুলতে পারেনি। জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি লাভ করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। ছাত্রজীবনে কঠোর পরিশ্রম করে শিক্ষালাভ না করলে ভবিষ্যৎ জীবনে সাফল্য লাভ সম্ভব নয়। পরিশ্রম ছাড়া জাতীয় উন্নতিও লাভ করা যায় না। পৃথিবীতে এমন একটি জিনিসও নেই যা শ্রমলব্ধ নয়। আমাদের সমাজ ও সভ্যতা বর্তমান পর্যায়ে আসার মূলে রয়েছে পরিশ্রম। যুগ যুগ ধরে তিল তিল পরিশ্রমের মাধ্যমে সভ্যতার উৎকর্ষ সাধিত হয়েছে। মানব কল্যাণে আবিষ্কারকগণ পরিশ্রম করে আবিষ্কার করেছেন বিভিন্ন সূত্র। পরিশ্রম না করে অলস বসে থাকলে কখনো ভালো ফল এসে ধরা দেয় না। ভালো ফল ধরা দেয় তখনই যখন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফলাফলকে নিজের করে নিতে হয়।

মন্তব্যঃ শ্রমই হলো উন্নতির চাবিকাঠি। যে জাতি পৃথিবীতে যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই জাতির অগ্রগতি অর্জন করা যায়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post