সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১৩

সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১৩
১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম হলো-
[ক] পরশুরাম
[খ] নীললোহিত
✅ ভানুসিংহ ঠাকুর
[ঘ] গাজী মিয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভানুসিংহ ঠাকুর
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম- ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’।
পরশুরাম
🔶 রাজশেখর বসুর ছদ্মনাম- ‘পরশুরাম’।
নীললোহিত
🔶 সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম- ‘নীললোহিত’।
গাজী মিয়া
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম- ‘গাজী মিয়া’।
🔶 তিনি এ ছদ্মনাম ব্যবহার করে রচনা করেন- রসরচনা ‘গাজী মিয়ার বস্তানী’ (১৮৯৯)।

২. ‘দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] রফিকুল ইসলাম
[খ] রশীদ করিম
✅ মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
[ঘ] কর্নেল সিদ্দিক মালিক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং
🔶 ‘দ্য লিবারেশন অব বাংলাদেশ’ গ্রন্থের রচয়িতা- ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল সুখওয়ান্ত সিং ('The Liberation of Bangladesh' -১৯৭৮)।
🔶 গ্রন্থটি রচিত হয়- মুক্তিযুদ্ধে তিনি যেসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন তার ওপর ভিত্তি করে।
রফিকুল ইসলাম
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম’।
রশীদ করিম
🔶 সাহিত্যিক রশীদ করিমের বিখ্যাত উপন্যাস- ‘উত্তর পুরুষ’ (১৯৬১), ‘প্রসন্ন পাষাণ’ (১৯৬৩)।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

৩. বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা কয়টি?
[ক] এগারটি
[খ] নয়টি
✅ দশটি
[ঘ] আটটি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা বর্ণমালায় মাত্রাবিহীন বর্ণের সংখ্যা- ১০টি।
🔶 এর মধ্যে- স্বরবর্ণ ১১টি, ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
🔶 ৫০টি বর্ণের মধ্যে- মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি, অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি, পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি।
🔶 মাত্রাবিহীন ১০টি বর্ণের মধ্যে- ৪টি স্বরবর্ণ এবং ৬টি ব্যঞ্জনবর্ণ।

8. ‘তার বয়স বেড়েছে কিন্তু বুদ্ধি বাড়েনি’ -এটা কোন ধরনের বাক্য?
✅ যৌগিক বাক্য
[খ] সাধারণ বাক্য
[গ] মিশ্র বাক্য
[ঘ] সরল বাক্য

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যটি যৌগিক- কারণ, এখানে দুটি নিরপেক্ষ বাক্য রয়েছে।
🔶 বাক্যটি দুটি অব্যয় দ্বারা যুক্ত- ১. তার বয়স বেড়েছে, ২. তার বুদ্ধি বাড়েনি।

৫. ‘একাদশে বৃহসঙতি’ এর অর্থ কি?
[ক] আশার কথা
✅ সৌভাগ্যের বিষয়
[গ] মজা পাওয়া
[ঘ] আনন্দের বিষয়

৬. লিঙ্গান্তর হয় না এমন শব্দ কোনটি?
[ক] সাহেব
[খ] বেয়াই
[গ] সঙ্গী
✅ কবিরাজ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লিঙ্গান্তর হয় না এমন পুরুষবাচক শব্দ- কবিরাজ, ঢাকী, কৃতদার।
🔶 অন্য শব্দগুলোর লিঙ্গান্তর- সাহেব - বিবি, বেয়াই-বেয়াইন, সঙ্গী - সঙ্গিনী।

৭. সাধু ভাষা সাধারণত কোথায় অনুপযোগী?
[ক] কবিতার পংক্তিতে
[খ] গানের কলিতে
[গ] গল্পের কলিতে
✅ নাটকের সংলাপে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধুরীতির বৈশিষ্ট্য- ১. এ রীতি নাটক, সংলাপ ও বক্তৃতায় অনুপযোগী। ২. এ ভাষারীতি গুরুগম্ভীর ও তৎসম শব্দবহুল। ৩. এ ভাষারীতি সুনির্ধারিত ব্যাকরণ নিয়ম অনুসারে চলে এবং এর পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট। ৪. এ রীতিতে সর্বনাম ও ক্রিয়াপদ বিশেষ গঠন পদ্ধতি মেনে চলে।

৮. দুটি পুরুষবাচক শব্দ রয়েছে কোনটির?
✅ ননদ
[খ] প্রিয়া
[গ] শিষ্যা
[ঘ] আয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ননদের দুটি পুরুষবাচক শব্দ- ননদ-দেবর/ননদাই।
🔶 অন্য শব্দগুলোর একটি করে পুরুষবাচক শব্দ- প্রিয়-প্রিয়া, শিষ্য-শিষ্যা, খানসামা-আয়া।

৯. বিভক্তিহীন নাম শব্দকে কি বলে?
[ক] নামপদ
[খ] উপপদ
✅ প্রতিপাদিক
[ঘ] উপমিত

১০. কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
[ক] তুই বাড়ি যা
[খ] ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
✅ কাল একবার এসো
[ঘ] দূর হও

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অনুরোধ অর্থে- কাল একবার এসো।
🔶 আদেশ অর্থে- তুই বাড়ি যা।
🔶 প্রার্থনা অর্থে- ক্ষমা করো মোর অপরাধ।
🔶 ভৎর্সনা অর্থে- দূর হও।

১১. ধাতুর পর কোন প্রত্যয় যুক্ত করে ভাববাচক বিশেষ্য বুঝায়?
[ক] আন
✅ আই
[গ] আল
✅ আও

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে বলে- ভাববাচক বিশেষ্য।
🔶 সাধারণত ভাববাচক বিশেষ্য গঠিত হয়- ধাতু বা প্রতিপাদিকের পর আই ও আও প্রত্যয় যুক্ত হয়ে। যেমন : চড় + আই = চড়াই; পাকড় + আও = পাকড়াও।

১২. বচন অর্থ কি?
✅ সংখ্যার ধারণা
[খ] গণনার ধারণা
[গ] ক্রমের ধারণা
[ঘ] পরিমাপের ধারণা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বচন অর্থ- সংখ্যার ধারণা।
🔶 ব্যাকরণের একটি পারিভাষিক শব্দ- ‘বচন’।
🔶 ব্যাকরণে বিশেষ্য বা সর্বনামের সংখ্যাগত ধারণা প্রকাশের উপায়কে বলে- বচন।

১৩. ‘মরি মরি! কি সুন্দর প্রভাতের রূপ’-বাক্যে ‘মরি মরি’ কোন শ্রেণীর অব্যয়?
[ক] সমন্বয়ী
✅ অনন্বয়ী
[গ] পদান্বয়ী
[ঘ] অনুকার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যেসব বাক্য অন্য পদের সাথে কোনো সম্বন্ধ না রেখে স্বাধীনভাবে নানাবিধ ভাব প্রকাশে ব্যবহৃত হয় তাকে বলে- অন্বন্বয়ী অব্যয়।
🔶 উচ্ছ্বাস প্রকাশে- মরি মরি! কী সুন্দর প্রভাতের রূপ।

১৪. ‘দোলনা’ শব্দের সঠিক প্রকৃতি-প্রত্যয় কোনটি?
✅ দুল্ + না
[খ] দোল্ + না
[গ] দোল্ + অনা
[ঘ] দোলনা + আ

১৫. ‘কৌশলে কার্যোদ্ধার’ - কোনটির অর্থ?
[ক] গাছে তুলে মই কাড়া
[খ] এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো
✅ ধরি মাছ না ছুঁই পানি
[ঘ] আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধরি মাছ না ছুঁই পানি
🔶 ধরি মাছ না ছুঁই পানি- কৌশলে কার্যোদ্ধার।
গাছে তুলে মই কাড়া
🔶 গাছে তুলে মই কাড়া- সাহায্যের আশা দিয়ে সাহায্য না করা।
এক ক্ষুরে মাথা মোড়ানো
🔶 এক ক্ষুরে মাথা কামানো- একই স্বভাবের।
আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া
🔶 আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়া- দুর্লভ বস্তু হাতে পাওয়া।

১৬. ‘সন্ধি’ ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচ্য বিষয়?
[ক] রূপতত্তব
✅ ধ্বনিতত্তব
[গ] পদক্রম
[ঘ] বাক্য প্রকারণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ধ্বনিতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- সন্ধি, ণ-তব বিধান, ষ-তব বিধান, ধ্বনির উচ্চারণস্থান, উচ্চারণপ্রণালী ইত্যাদি।
🔶 শব্দতত্তব/রূপতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- শব্দ, প্রত্যয়, পুরুষ, উপসর্গ, কারক ও বিভক্তি, বচন, সমাস, লিঙ্গ ইত্যাদি।
🔶 বাক্যতত্তেবর আলোচ্য বিষয়- পদবিন্যাস, বাক্যরীতি, বাক্য বিন্যাস, বাচ্য পরিবর্তন, বাগধারা, বাক্য সংকোচন, বিরাম চিহ্ন ইত্যাদি।

১৭. কোনটি অপ্রাণীবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়?
[ক] বৃন্দ
[খ] কুল
[গ] বর্গ
✅ গ্রাম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
গ্রাম
🔶 অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- গ্রাম। যেমন- গুণগ্রাম (গুণাবলী)।
বৃন্দ, বর্গ
🔶 উন্নত প্রাণিবাচক (মনুষ্য) শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- বৃন্দ, বর্গ, গণ, মন্ডলী। যেমন : সুধীবৃন্দ, মন্ত্রিবর্গ।
কুল
🔶 প্রাণিবাচক ও অপ্রাণিবাচক শব্দের বহুবচনে ব্যবহৃত হয়- কুল, সকল, সব, সমূহ। যেমন : কবিকুল, পক্ষীকুল।

১৮. বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক কোনটি?
✅ শব্দ
[খ] বর্ণ
[গ] ধ্বনি
[ঘ] চিহ্ন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শব্দ
🔶 বাক্যের ক্ষুদ্রতম একক- শব্দ।
🔶 একাধিক ধ্বনির অর্থবোধক মিলনকে বলে- শব্দ।
বর্ণ
🔶 ধ্বনি নির্দেশক চিহ্নকে বলা হয়- বর্ণ।
ধ্বনি
🔶 মানুষের বাকপ্রত্যঙ্গ দ্বারা উচ্চারিত আওয়াজকে বলে- ধ্বনি।

১৯. সন্ধির প্রধান সুবিধা কি?
[ক] পড়ার সুবিধা
[খ] লেখার সুবিধা
✅ উচ্চারণের সুবিধা
[ঘ] শোনার সুবিধা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সন্ধির সুবিধা দুটি- ক. স্বাভাবিক উচ্চারণে সহজপ্রবণতা, খ. ধ্বনিগত মাধুর্য সম্পাদন।

২০. কোন বানানটি শুদ্ধ?
✅ সমীচীন
[খ] সমিচীন
[গ] সমীচিন
[ঘ] সমিচিন

২১. কোন বইটি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নয়?
[ক] শেষের কবিতা
✅ দোলন-চাঁপা
[খ] সোনার তরী
[ঘ] মানসী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দোলন-চাঁপা
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের কাব্যগ্রন্থ- ‘দোলন চাঁপা’।
শেষের কবিতা, সোনার তরী, মানসী
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত গ্রন্থ- ‘শেষের কবিতা’ (উপন্যাস), ‘সোনার তরী’ (কাব্যগ্রন্থ), ‘মানসী’ (কাব্যগ্রন্থ)।

২২. কাজী ইমদাদুল হক-এর ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের উপজীব্য কি?
[ক] চাষী জীবনের করুণ চিত্র
[খ] কৃষক সমাজের সংগ্রামশীল জীবন
✅ তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র
[ঘ] মুসলিম জমিদার শ্রেণীর জীবন কাহিনী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী ইমদাদুল হক তার ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসে অত্যন্ত দক্ষতার সথে তুলে ধরেছেন- তৎকালীন মুসলিম মধ্যবিত্ত সমাজের চিত্র তথা নানা দোষ-ত্রুটি।
🔶 এ উপন্যাসে দেখানো হয়েছে- ধর্মীয় গোঁড়ামি আর সামাজিক কুসংস্কার যে মুসলিম সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছিল এবং ইংরেজি শিক্ষায় সংস্কারমুক্ত মন নিয়ে যে ধ্বংসকে প্রতিরোধ করা যায় তা।
🔶 এ উপন্যাসে তার নিজের রচনা- ত্রিশটি পরিচ্ছেদ।
🔶 লেখকের মৃত্যুর পর শিক্ষাবিদ আনোয়ারুল কাদির কর্তৃক কাজী ইমদাদুল হকের খসড়া অনুসরণ করে রচিত- বাকি এগারোটি পরিচ্ছেদ।

২৩. ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির পটভূমিতে রচিত ‘কবর’ নাটকের রচয়িতা কে?
[ক] কবির চৌধুরী
✅ মুনীর চৌধুরী
[গ] সৈয়দ শামসুল হক
[ঘ] মুনতাসীর মামুন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুনীর চৌধুরী
🔶 বিখ্যাত নাট্যকার মুনীর চৌধুরী রচিত নাটক- ‘কবর’।
🔶 নাটকটি রচিত- ’৫২-এর ভাষা আন্দোলনের পটভূমিতে।
🔶 তিনি নাটকটি রচনা করেন- ১৯৫৩ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বসে।
🔶 নাটকটি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অভিনীত হয়- ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজবন্দীদের দ্বারা।
কবির চৌধুরী
🔶 জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরী অনূদিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘শহীদের প্রতীক্ষায়’ (১৯৬৯), ‘জননী সাহসিকা’ (১৯৮৪), ‘অমা রজনীর পক্ষে’ (১৯৬৬)।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হকের কাব্যনাট্য- ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ (১৯৭৬), ‘নুরুলদীনের সারা জীবন’ (১৯৮২)।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature. GK-Bangla-Literature-BCS-and-Govt-Job-Preparation

২৪. বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন ‘চর্যাপদ’-এর আবিষ্কারক-
[ক] ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] ডক্টর সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
✅ হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
[ঘ] ডক্টর সুকুমার সেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
🔶 বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য সংকলন চর্যাপদের আবিষ্কারক- হরপ্রসাদ শাস্ত্রী।
🔶 হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর প্রকৃত নাম- হরপ্রসাদ ভট্টাচার্য।
🔶 তিনি জন্মগ্রহণ করেন- ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দের (১২৬০ বঙ্গাব্দ) ৬ই ডিসেম্বর খুলনা জেলার কুমিরা গ্রামে।
🔶 হরপ্রসাদের শিক্ষাজীবনে অর্জিত উপাধি হলো- ‘শাস্ত্রী’।
🔶 তিনি ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি পান-১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 সরকার তাঁকে ‘মহামহোপাধ্যায়’ উপাধি প্রদান করে- মহারানী ভিক্টোরিয়ার ৬০তম রাজ্যাঙ্কে।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন- শিক্ষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক।

সুকুমার সেন
🔶 প্রখ্যাত ভাষাতত্তববিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার- সুকুমার সেন।

২৫. হিন্দি ‘পদু-মাবৎ’-এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা-
[ক] দৌলত উজির বাহরাম খান
[খ] সৈয়দ সুলতান
[গ] আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ
✅ আলাওল

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 হিন্দি ‘পদু-মাবৎ’-এর অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ কাব্যের রচয়িতা- আলাওল।
🔶 মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যের একটি জনপ্রিয় প্রণয়কাব্য- আলাওলের শ্রেষ্ঠ রচনা ‘পদ্মাবতী’।
🔶 আরাকান রাজসভার কবি আলাওল প্রধানমন্ত্রী মাগন ঠাকুরের অনুরোধে হিন্দি ‘পদুমাবৎ’ কাব্য অবলম্বনে এটি রচনা করেন- ১৬৫২ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 হিন্দি কাব্যে সুফিবাদের প্রতিফলন আছে, কিন্তু বাংলায় তা পরিণত হয়েছে- লৌকিক প্রেমকাব্যে।

২৬. ‘তত্তববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয়-
[ক] ১৮৪১ সালে
[খ] ১৮৪২ সালে
[গ] ১৮৫০ সালে
✅ ১৮৪৩ সালে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘তত্তববোধিনী পত্রিকা’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ১৮৪৩ সালে।
🔶 ১৮৩৯ সালে জোড়াসাঁকোর ঠাকুর বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত হয়- তত্তববোধিনী সভা।
🔶 এই সভার মুখপত্র হিসেবে ১৮৪৩ সালে প্রকাশিত হয়- ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকাটি।
🔶 সংবাদ প্রচারের চেয়ে এ পত্রিকার লক্ষ্য ছিল- ব্রাহ্ম সমাজের মাহাত্ম্য প্রচার।
🔶 পত্রিকাটির সম্পাদক ছিলেন- অক্ষয় কুমার বড়াল।

২৭. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
[ক] অব্যয় ও শব্দাংশে
[খ] নতুন শব্দ গঠনে
✅ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পেছনে
[ঘ] ভিন্ন অর্থ প্রকাশে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কতগুলো বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি ধাতু বা শব্দের পূর্বে বসে নতুন শব্দ গঠন করে ও অর্থের পরিবর্তন সাধন করে, এই রূপ বর্ণ বা বর্ণসমষ্টিকে বলে- উপসর্গ।
🔶 ক্রিয়া ও নাম প্রকৃতির সঙ্গে যে ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি যুক্ত হয় তাকে বলে- প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় শব্দ বা ধাতুর পরে বসে গঠন করে- নতুন অর্থবোধক শব্দ।

২৮. যে ছন্দের মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা চার, তাকে বলা হয়-
✅ স্বরবৃত্ত
[খ] পয়ার
[গ] মাত্রাবৃত্ত
[ঘ] অক্ষরবৃত্ত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
স্বরবৃত্ত
🔶 স্বরবৃত্ত- মূল পর্বের মাত্রা সংখ্যা ৪।
🔶 বাংলা ছন্দ তিন প্রকার- ক. অক্ষরবৃত্ত খ. মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত গ. স্বরবৃত্ত।
মাত্রাবৃত্ত
🔶 মাত্রাবৃত্ত বা বর্ণবৃত্ত- মূল পর্ব সাধারণত ৬ মাত্রার হয়।
অক্ষরবৃত্ত
🔶 অক্ষরবৃত্ত- মূল পর্ব ৮ বা ১০ মাত্রার হয়।

২৯. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
[ক] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
✅ ভারতচন্দ্র রায়
[গ] মদনমোহন তর্কালংকার
[ঘ] কামিনী রায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভারতচন্দ্র রায়
🔶 অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী এ প্রার্থনাটি করেছেন- অন্নদা দেবীর কাছে।
🔶 ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ লাইনটি- ভারতচন্দ্র রায়ের ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 ‘কবিকঙ্কণ’ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘চন্ডীমন্ডল’।
মদনমোহন তর্কালংকার
🔶 ‘কাব্যরত্নাকর’ মদনমোহনের মৌলিক কাব্যগ্রন্থ- ‘রসতরঙ্গিনী’ ও ‘বাসবদত্তা’।
কামিনী রায়
🔶 কবির প্রধান কাব্যগ্রন্থ- ‘আলো ও ছায়া’ (১৮৮৯) নির্মাল্য (১৮৯১), গুঞ্জন (১৯০৫), ধর্ম্মপুত্র, পৌরাণিকী (১৮৯৭), বালিকা শিক্ষার আদর্শ ইত্যাদি।

৩০. পর্তুগীজ ভাষা থেকে নিম্নোক্ত একটি শব্দ বাংলা ভাষায় আত্তীকরণ করা হয়েছে-
[ক] টেবিল
[খ] চেয়ার
✅ বালতি
[ঘ] শরবত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বালতি
🔶 বালতি- পর্তুগিজ শব্দ।
🔶 আরো কিছু পর্তুগিজ শব্দ- আনারস, আলপিন, আলমারি, গুদাম, চাবি, পাউরুটি ইত্যাদি।
টেবিল
🔶 টেবিল- ইংরেজি শব্দ।
চেয়ার
🔶 চেয়ার- ইংরেজি শব্দ।
শরবত
🔶 শরবত- আরবি শব্দ।

৩১. ‘লাঠালাঠি’ শব্দটির সমাস-
[ক] দ্বন্দ্ব
✅ বহুব্রীহি
[গ] কর্মধারয়
[ঘ] তৎপুরুষ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 লাঠালাঠি সমস্তপদটি অন্তর্গত- ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাসের।
🔶 ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস হয়- ক্রিয়ার পারসঙরিক অর্থে।
🔶 এ সমাসে যুক্ত হয়- পূর্বপদে ‘আ’ এবং উত্তরপদে ‘ই’। যেমন : হাতে হাতে যে যুদ্ধ- হাতাহাতি।

৩২. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছে নিম্নোক্ত একটি ভাষা থেকে-
[ক] সংস্কৃত
[খ] পালি
✅ প্রাকৃত
[ঘ] অপ্রভ্রংশ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, বাংলা ভাষার উদ্ভব- খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে গোড়ীয় প্রাকৃত ভাষা থেকে।
🔶 অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের মতে, বাংলা ভাষার জন্ম হয়েছে- মাগধী প্রাকৃত থেকে।
🔶 আয়ারল্যান্ডের খ্যাতিমান ভাষাতত্তববিদ জর্জ আব্রাহাম গ্রিয়ারসন মনে করেন, বাংলা ভাষা জন্ম নিয়েছে- মাগধী প্রাকৃতের কোনো পুর্বাঞ্চলীয় রূপ থেকে।
🔶 প্রাকৃত শব্দের শাব্দিক অর্থ- সাধারণ।
🔶 প্রাকৃত বলতে বোঝায়- সাধারণ জনগণের মুখের ভাষা।
🔶 বাংলা ভাষা অন্তর্ভুক্ত- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর।
🔶 বাংলা ভাষার আগমন শৃংখল- ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠী> শতম > আর্য> ভারতিক> প্রাচীন ভারতীয় আর্য> প্রাচীন ভারতীয় কথ্য আর্য> আদিম প্রাকৃত> প্রাচীন প্রাচ্য> মাগধী প্রাকৃত/গৌড়ী প্রাকৃত/মাগধী অপভ্রংশ/গৌড় অপভ্রংশ> বাংলা।

৩৩. শব্দার্থ অনুসারে বাংলা ভাষার শব্দ সমষ্টিকে ভাগ করা যায়-
[ক] দুই ভাগে
✅ তিন ভাগে
[গ] চার ভাগে
[ঘ] পাঁচ ভাগে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অর্থগতভাবে বাংলা শব্দ ৩ প্রকার- যৌগিক, রূঢ় বা রূঢ়ি, যোগরূঢ়।
🔶 উৎপত্তি অনুসারে শব্দ ৫ প্রকার- তৎসম, অর্ধ-তৎসম, তদ্ভব, দেশি, বিদেশি।
🔶 গঠনগত দিকে শব্দ ২ ভাগে বিভক্ত- মৌলিক ও সাধিত।

৩৪. ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’, ‘উন্নতজীবন’ প্রভৃতি গ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] এস ওয়াজেদ আলী
[খ] এয়াকুব আলী চৌধুরী
✅ মোঃ লুৎফর রহমান
[ঘ] মোঃ ওয়াজেদ আলী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোঃ লুৎফর রহমান
🔶 চিন্তাশীল ও যুক্তিবাদী প্রাবন্ধিক ডা. লুৎফর রহমান রচিত বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘মানবজীবন’, ‘মহৎজীবন’ ও ‘উন্নতজীবন’।
এস ওয়াজেদ আলী
🔶 এস ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ- ‘মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ’, ‘ভবিষ্যতের বাঙালি’।
এয়াকুব আলী চৌধুরী
🔶 এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত গ্রন্থ- ‘ধর্মের কাহিনী’, ‘শান্তিধারা’, ‘মানব মুকুট’।
মোঃ ওয়াজেদ আলী
🔶 মোঃ ওয়াজেদ আলী রচিত গ্রন্থ- ‘মরুভাস্কর’, ‘মহামানুষ মুহসীন’, ‘মণিচয়নিকা’।

৩৫. ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের রচয়িতার নাম-
[ক] তালিম হোসেন
✅ ফররুখ আহমদ
[গ] গোলাম মোস্তফা
[ঘ] আবুল হোসেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ
🔶 ‘সিরাজাম মুনীরা’ কাব্যের রচয়িতার নাম- ফররুখ আহমেদ।
তালিম হোসেন
🔶 তালিম হোসেন রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘দিশারী’, ‘শাহীন’।
গোলাম মোস্তফা
🔶 গোলাম মোস্তফা রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘রক্তরাগ’, ‘বুলবুলিস্তান’, ‘হাসনাহেনা’।
আবুল হোসেন
🔶 আবুল হোসেন রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘নববসন্ত’, ‘স্বাগত সংলাপ’।

৩৬. ‘ষড়ঋতু’ শব্দের সন্ধি বিচ্ছেদ-
[ক] ষড় + ঋতু
[খ] ষড়ূ + ঋতু
[গ] ষট + ঋতু
✅ ষট্ + ঋতু

৩৭. ‘বীরবল’ নিম্নোক্ত একজন লেখকের ছদ্মনাম-
✅ প্রমথ চৌধুরী
[খ] ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
[গ] সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] নবীনচন্দ্র সেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
প্রমথ চৌধুরী
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম- বীরবল।
🔶 এ ছদ্মনামে তিনি লিখেছেন- ‘বীরবলের হালখাতা’।
ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়
🔶 বাংলা সমালোচনা সাহিত্যে মার্কসীয় নন্দনতত্তব প্রয়োগের পুরোধা- ধূর্জটি প্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
🔶 তিনি ছিলেন- বাংলা উপন্যাসে চেতনা প্রবাহ রীতির অন্যতম প্রবক্তা ও ভারতীয় ক্লাসিক সঙ্গীতের একজন বিশিষ্ট সমালোচক।
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 সুধীন্দ্রনাথ দত্তের উপাধি- ‘ক্লাসিক কবি’।
🔶 তার প্রধান পরিচয়- বঙ্গদেশে আধুনিক কবিতার প্রধান প্রবক্তা হিসেবে।

৩৮. ‘লাপাত্তা’ শব্দের ‘লা’ উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
✅ আরবি ভাষা থেকে
[খ] ফরাসি ভাষা থেকে
[গ] হিন্দি ভাষা থেকে
[ঘ] উর্দু ভাষা থেকে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 আরবি ভাষা থেকে যে উপসর্গগুলো বাংলায় এসেছে- আম, খাস, লা, গর ইত্যাদি।
🔶 ফারসি থেকে আগত উপসর্গ- কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, কম।
🔶 উর্দু ও হিন্দি থেকে আগত উপসর্গ- হর।

৩৯. ১৯৯৪ সালে যে প্রবন্ধকার বাংলা একাডেমী পুরস্কার পেয়েছেন-
[ক] হুমায়ুন আজাদ
[খ] আহমদ রফিক
✅ ওয়াকিল আহমদ
[ঘ] আবদুল মতিন খান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ওয়াকিল আহমদ
🔶 ১৯৯৪ সালে বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. ওয়াকিল আহমদ।
হুমায়ুন আজাদ
🔶 নারীবাদী লেখক হুমায়ুন আজাদ বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৮৬ সালে।
আহমদ রফিক
🔶 আহমদ রফিক বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৭৯ সালে।

8০. ‘কেউ মালা, কেউ তসবি গলায়, তাইতো জাত ভিন্ন বলায়’ এই পংক্তিটি নিচের একজনের লেখা-
✅ লালন শাহ
[খ] সিরাজ সাঁই
[গ] মদন বাউল
[ঘ] পাগলা কানাই

8১. ‘অক্ষির সমীপে’র সংক্ষেপ হলো-
✅ সমক্ষ
[খ] পরোক্ষ
[গ] প্রত্যক্ষ
[ঘ] নিরপেক্ষ

8২. ‘হযরত মুহম্মদ ছিলেন একজন আদর্শ মানব’ বাক্যটি নিম্নোক্ত একটি শ্রেণীর-
[ক] মিশ্র
[খ] জটিল
[গ] যৌগিক
✅ সরল

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এটি সরলবাক্য কারণ- বাক্যটিতে একটি কর্তা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া রয়েছে।
🔶 জটিল বা মিশ্র বাক্যে থাকে- একটি প্রধান ও এক বা একাধিক অপ্রধান বাক্য।
🔶 যৌগিক বাক্যে সংযুক্ত থাকে- দুটি বাক্য অব্যয় দ্বারা।

8৩. ‘মধুর চেয়েও আছে মধুর
সে আমার এই দেশের মাটি
আমার দেশের পথের ধুলা
খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি।’

কবিতার এই অংশ বিশেষের রচয়িতা-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান
✅ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] নির্মলেন্দু গুণ

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

8৪. কোন গ্রন্থটি ঢাকা হতে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল?
[ক] মেঘনাদবধ কাব্য
[খ] দুর্গেশনন্দিনী
✅ নীলদর্পণ
[ঘ] অগ্নিবীণা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ- ‘নীলদর্পণ’।
🔶 প্রচলিত তথ্য মতে ঢাকায় সর্বপ্রথম ছাপাখানা প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৮৬০ সালে।
🔶 এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন- সুন্দর মিত্র।
🔶 ছাপাখানার নাম ছিল- ‘বাংলা প্রেস’।
🔶 ১৮৬০ সালে ঐ ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়- দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ‘নীলদর্পণ’।
🔶 বাংলাদেশে প্রথম ছাপাখানা স্থাপিত হয়- রংপুরে, ১৮৪৭ সালে।
🔶 মুনতাসীর মামুন রচিত ‘ঢাকার প্রথম’ গ্রন্থের তথ্য মতে, ঢাকা থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থ- ১৮৪৯ সালে কাটারা প্রেস থেকে ইংরেজি ভাষায় মুদ্রিত ব্যাপ্টিস্ট মিশনারিদের একটি রিপোর্ট। এর নাম 'The First Report of the East Bengal Missionary Society MDCCC XL VIII with an Appendix etc. '
🔶 ১৮৪৯ সালে ঢাকার কাটারা প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়েছিল একটি ইংরেজি-বাংলা পুস্তিকা- 'Scriptural Reddles in Bengali Rendered into English Verse, with English Notes & c' যার অর্থ ধর্ম পুস্তক সম্বন্ধীয় প্রহেলিকা ও ইংরেজি কবিতা ছন্দে অর্থযুক্ত তর্জমা। পূর্ব বাংলায় এর আগে কোনো মুদ্রিত বইয়ে বাংলা অক্ষর ব্যবহৃত হয়নি। সে হিসেবে বইটিকে ঢাকা থেকে প্রকাশিত প্রথম বাংলা বই হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি শুধু ঢাকার নয়, পূর্ববঙ্গে বা বাংলাদেশে মুদ্রিত প্রথম বাংলা বই।

8৫. ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ কথাটি কার?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] মীর মশাররফ হোসেন
[ঘ] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 চরণটি সংগৃহীত- বঙ্কিমচন্দ্রের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘কপালকুন্ডলা’ থেকে।
🔶 উপন্যাসের নায়িকা কপালকুন্ডলা কথাটি বলেছিল- নায়ক নবকুমারকে উদ্দেশ্য করে।
🔶 বাংলা সাহিত্যের রোমান্টিক উপন্যাস হিসেবে- ‘কপালকুন্ডলা’র স্থান অতি উচ্চে।

8৬. প্রত্যয়গতভাবে শুদ্ধ কোনটি?
[ক] উৎকর্ষতা
[খ] উৎকর্ষ
✅ উৎকৃষ্ট
[ঘ] উৎকৃষ্টতা

8৭. ‘অচিন’ শব্দের ‘অ’ উপসর্গটি কোন অর্থে ব্যবহৃত?
[ক] নেতিবাচক
[খ] বিয়োগান্ত
✅ নঞর্থক
[ঘ] অজানা

8৮. Intellectual শব্দের বাংলা অর্থ-
[ক] বুদ্ধিমান
[খ] মননশীল
✅ বুদ্ধিজীবী
[ঘ] মেধাবী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বুদ্ধিজীবী
🔶 Intellectual শব্দের অর্থ- বুদ্ধিজীবী, মনীষী।
বুদ্ধিমান, মেধাবী
🔶 ‘বুদ্ধিমান’ ও ‘মেধাবী’-এর ইংরেজি- Intelligent, learned, wise।
মননশীল
🔶 ‘মননশীল’-এর ইংরেজি- Thoughtful, reflective।

8৯. কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’ কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?
[ক] বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] বীরজাসুন্দরী দেবী
[ঘ] মুজাফফর আহমদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম তার ‘সঞ্চিতা’ কাব্যগ্রন্থটি উৎসর্গ করেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নজরুলকে উৎসর্গ করেন- তার ‘বসন্ত’ নাটকটি।
🔶 কাজী নজরুল তার ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যটি উৎসর্গ করেন- বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে।

৫০. কোন উপন্যাসটির রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ?
[ক] বিষবৃক্ষ
[খ] গণদেবতা
[গ] আরণ্যক
✅ ঘরে-বাইরে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ঘরে-বাইরে
🔶 ঘরে-বাইরে উপন্যাসটির রচয়িতা- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বিষবৃক্ষ
🔶 বিষবৃক্ষ উপন্যাসটির রচয়িতা- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
গণদেবতা
🔶 গণদেবতা উপন্যাসটির রচয়িতা- তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
আরণ্যক
🔶 আরণ্যক উপন্যাসটির রচয়িতা- বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post