সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১২

সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১২
১. কোন সাহিত্যাদর্শের মর্মে নৈরাশ্যবাদ আছে?
[ক] রোমান্টিসিজম
[খ] আধুনিকতাবাদ
✅ উত্তরাধুনিকতাবাদ
[ঘ] বাস্তববাদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উত্তরাধুনিকতাবাদ
🔶 সাহিত্যের অধুনা ধারা উত্তরাধুনিকতাবাদ, এ সাহিত্যাদর্শের মর্মে আছে- নৈরাশ্যবাদ।
রোমান্টিসিজম
🔶 রোমান্টিসিজম বা রোমান্টিকতা হলো- জীবনের বাস্তব রূপের ওপর কল্পনার আরোপ চিত্রিতকর রহস্যময় কোনো চেতনার অনুসন্ধানের মাধ্যমে কল্পনার আলোয় জীবনকে বাস্তবাতীত করে দেখা।
আধুনিকতাবাদ
🔶 আধুনিকতাবাদ হলো- দেবমহিমা ছেড়ে মানব জীবনের গুণগান প্রধান বাস্তুতান্ত্রিক সাহিত্য।
বাস্তববাদ
🔶 বাস্তববাদ হলো- জগৎ, জীবন ও প্রকৃতিকে বস্তুনিষ্ঠ ও যথাযথভাবে বর্ণনা করার সাহিত্য।

২. ‘কাশবনের কন্যা’ গ্রন্থটির লেখক কে?
[ক] আবুল কালাম শামসুদ্দিন
✅ শামসুদ্দিন আবুল কালাম
[গ] আবুল ফজল
[ঘ] জসীম উদ্দীন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শামসুদ্দিন আবুল কালাম
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক শামসুদ্দীন আবুল কালামের উপন্যাস- ‘কাশবনের কন্যা’।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন (১৮৯৭-১৯৭৮ খ্রি)
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর অন্যতম পরিচয়- বাঙালি মুসলমানদের সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ।
🔶 সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল কালাম শামসুদ্দীনের উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘কচিপাতা’ (শিশু সাহিত্য, ১৯৩২), ‘অনাবাদী জমি’ (অনুবাদ, ১৯৩৮), ‘ত্রিস্রোতা’ (অনুবাদ, ১৯৩৯), ‘খরতরঙ্গ’ (১৯৫৩) ইত্যাদি।
🔶 আবুল কালাম শামসুদ্দীন-এর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ- অতীত দিনের স্মৃতি (১৯৬৮)।

আবুল ফজল (১৯০৩-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 আবুল ফজল ছিলেন- সাহিত্যিক এবং মুসলিম সাহিত্য সমাজ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক।
🔶 আবুল ফজল সম্পৃক্ত ছিলেন- শিখা পত্রিকার সঙ্গে।
🔶 আবুল ফজল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হন- ১৯ এপ্রিল, ১৯৭৩।
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল ফজলের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘চৌচির’ (১৯৩৪), ‘প্রদীপ ও পতঙ্গ’ (১৯৪৭), ‘রাঙ্গা প্রভাত’ (১৯৬৪) ইত্যাদি।

জসীম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের উপন্যাস- ‘বোবা কাহিনী’ (১৯৬৪)।

৩. ‘শাশ্বত বঙ্গ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
[ক] কাজী মোতাহের হোসেন
[খ] আবুল হুসেন
✅ কাজী আবদুল ওদুদ
[ঘ] কাজী আনোয়ারুল কাদির

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আব্দুল ওদুদ -এর একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘শাশ্বত বঙ্গ’ (১৯৫১)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘রবীন্দ্রকাব্য পাঠ’ (১৩৩৪ বাং), ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’ (১ম খন্ড- ১৩৬৯, ২য় খন্ড, ১৩৭৬ বাং) ইত্যাদি।

আবুল হুসেন (১৮৯৬-১৯৩৬ খ্রি)
🔶 চিন্তাবিদ ও প্রাবন্ধিক আবুল হুসেন -এর উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘বাংলার বনশী’ (১৯২৫), ‘বাঙালী মুসলমানদের শিক্ষা সমস্যা’ (১৯২৮) ইত্যাদি।

কাজী মোতাহের হোসেন (১৮৯৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন- শিখা পত্রিকার ২য় ও ৩য় বর্ষের সম্পাদক।
🔶 তিনি যুক্ত ছিলেন- ‘বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন’ নামক সাহিত্যিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলনের সাথে।
🔶 ‘শিখা’ গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন- মুসলিম সাহিত্য সমাজ।
🔶 সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানী কাজী মোতাহার হোসেন -এর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘নজরুল কাব্য পরিচিতি’ (১৯৫৫), ‘সেই পথ লক্ষ্য করে’ (১৯৫৮), ‘গণিত শাস্ত্রের ইতিহাস’ (১৯৭০) ইত্যাদি।

8. ‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে-
✅ ফারসি ও ইংরেজি শব্দে
[খ] ফরাসি ও ইংরেজি শব্দে
[গ] ফারসি ও ফরাসি শব্দে
[ঘ] ফারসি ও হিন্দি শব্দে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘বেটাইম’ শব্দটি গঠিত হয়েছে- ফারসি ও ইংরেজি শব্দযোগে।
🔶 ‘বেটাইম’ শব্দটি একটি বিশেষ্য, যার অর্থ- অসময়।
🔶 ‘বে’ ও ‘টাইম’ একত্রে যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে বেটাইম। এখানে ‘বে’ উপসর্গটি- একটি ফারসি উপসর্গ এবং ‘টাইম’ শব্দটি একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সময়।

৫. ‘হাত-ভারি’ বাগধারার অর্থ-
[ক] দাতা
[খ] কম খরচে
[গ] দরিদ্র
✅ কৃপণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘হাতভারি’ একটি বিশেষণ, যার অর্থ- কৃপণ, কিছু দিতে বা খরচ করতে চায় না এমন। যেমন-ও যেমন হাতভারী লোক, ওর বউ তেমনি দরাজ।

৬. ‘লাজ’ কোন ধরনের শব্দ?
✅ বিশেষ্য
[খ] বিশেষণ
[গ] ক্রিয়া-বিশেষণ
[ঘ] বিশেষ্যের-বিশেষণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘লাজ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার দুটি অর্থ রয়েছে- লজ্জা বা শরম এবং খই।
🔶 লাজ-এর বিশেষণ লাজুক, যার অর্থ- লজ্জাশীল বা বলতে ও মিশতে লজ্জাবোধ করে এমন।

৭. ঢাকার ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’-এর প্রতিষ্ঠা কোন খ্রিস্টাব্দে?
✅ ১৯২৬
[খ] ১৯১১
[গ] ১৮৬৪
[ঘ] ১৯০৫

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুক্তবুদ্ধি চর্চার উদ্দেশ্যে কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন, আব্দুল কাদির, আবুল ফজল, কাজী মোতাহের হোসেন প্রমুখ ঢাকায় ১৯২৬ সালে গড়ে তোলেন- ‘মুসলিম সাহিত্য সমাজ’ নামে এ সংগঠনটি।
🔶 এ সংগঠনের কাজ শুরু হয়- নব্য শিক্ষিত প্রগতিশীল তরুণদের নিয়ে নিয়মিত সাহিত্য সমাবেশ অনুষ্ঠান করা ও পত্রিকা প্রকাশের মধ্য দিয়ে।
🔶 এর কর্মকান্ড অচিরেই সুধীমহলে পরিচিতি লাভ করে- বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনরূপে।
🔶 এ সংগঠনটির কার্যক্রম এক সময় বন্ধ হয়ে যায়- ‘মুসলিম সাহিত্য-সমাজ’-এর মুখপত্র ‘শিখা’য় মুক্ত চিন্তা ও যুক্তিনির্ভর নানা রচনা প্রকাশ হলে ঢাকার প্রতিক্রিয়াশীল মহলের রোষানলে পড়ে।

৮. ‘সঞ্চিতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[ঘ] জীবনানন্দ দাশ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি.)
🔶 কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটি কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চিতা’।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি)
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বলাকা’ (১৯১৫), ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২), ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৮৮৩), ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬), ‘মানসী’ (১৮৯০), ‘সোনারতরী’ (১৮৯৪), ‘ক্ষণিকা’ (১৯০০), ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০), ‘পুনশ্চ’ (১৯৩২), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১) ইত্যাদি।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২ খ্রি.)
🔶 কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সবিতা’ (১৯০০), ‘সন্ধিক্ষণে’ (১৯০৫), ‘বেণু ও বীণা’ (১৯০৬), ‘কুহু ও কেকা’ (১৯১২) ‘কাব্য সঞ্চয়ন’ (১৯৩০) ইত্যাদি।
জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪ খ্রি.)
🔶 কবি জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘ঝরা পালক’ (১৯২৮), ‘ধূসর পান্ডুলিপি’ (১৯৩৬) ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪৮), ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭), ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ (১৯৬১) ইত্যাদি।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

৯. চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র?
[ক] চন্ডীমঙ্গল
✅ মনসামঙ্গল
[গ] ধর্মমঙ্গল
[ঘ] অন্নদামঙ্গল

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মনসামঙ্গল
🔶 মঙ্গলকাব্যগুলোর মধ্যে প্রাচীনতম- মনসামঙ্গল।
🔶 এর প্রধান চরিত্র- চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, দেবী মনসা ও লখিন্দর।
🔶 মনসামঙ্গলের আদিকবি- কানাহরি দত্ত।
🔶 মনসামঙ্গল রচনাকারী অন্যান্য কবি- বিজয়গুপ্ত, পুরুষোত্তম, নারায়ণদেব এবং বিপ্রদাস পিপিলাই।
চন্ডীমঙ্গল
🔶 মঙ্গলকাব্যের প্রধান দেবতারা হচ্ছেন- মনসা, চন্ডী ও ধর্মঠাকুর।
🔶 এদের মধ্যে মনসা ও চন্ডী- স্ত্রীদেবতা।
🔶 এদেরকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে- মনসামঙ্গল, চন্ডীমঙ্গল ও ধর্মমঙ্গল।
🔶 কালক্রমে এদের সাথে যুক্ত হয়- শিবায়ন বা শিবমঙ্গলও।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের প্রধান চরিত্র- সত্য, পার্বতী, কালকেতু, ফুল­রা, ভাড়ূদত্ত।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের আদিকবি- মানিক দত্ত।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের দুজন শ্রেষ্ঠকবি- দ্বিজ মাধব ও মুকুন্দরাম।
🔶 সমগ্র মঙ্গলকাব্যধারার শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে বিবেচিত- মুকুন্দরাম।
ধর্মমঙ্গল
🔶 ধর্মমঙ্গলের প্রধান চরিত্র- লাউসেন, কর্ণসেন, মহামদ, গৌড়েশ্বর প্রমুখ।
🔶 ধর্মমঙ্গলের আদিকবি- ময়ূর ভট্ট।
🔶 ধর্মমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- ঘনরাম চক্রবর্তী।
🔶 ধর্মমঙ্গল রচনাকারী আরও কবি- সীতারাম দাস, সহদেব, নরসিংহ, হৃদয়রাম, গোবিন্দরাম প্রমুখ।
অন্নদামঙ্গল
🔶 চন্ডীর বহু নামের মধ্যে একটি হলো- ‘অন্নদা’।
🔶 মধ্যযুগের শেষ বড় কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত বিখ্যাত কাব্য অন্নদামঙ্গল রচিত- অন্নদার নামে। এই কাব্য মঙ্গলকাব্য নয়।
🔶 অন্নদামঙ্গলের প্রধান চরিত্র- দেবী, ঈশ্বরী পাটনী, হরিহোর, ভবানন্দ, মানসিংহ প্রমুখ।

১০. ‘ইউসুফ জোলেখা’ প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছেন-
[ক] দৌলত উজির বাহরাম খান
[খ] মাগন ঠাকুর
[গ] আলাওল
✅ শাহ মুহম্মদ সগীর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শাহ মুহম্মদ সগীর
🔶 ফারসি ‘ইউসুফ-জুলেখা’ প্রণয়কাব্যের অনুবাদক- শাহ মুহম্মদ সগীর।
🔶 কাব্যটি রচিত- পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে এবং ছোট ছোট ঘটনায় বিভক্ত।
🔶 তিনি ছাড়াও মধ্যযুগে ‘ইউসুফ-জুলেখা’ কাব্য রচনা করেন- আব্দুল হাকিম, শাহ গরীবুল্লাহ, গোলাম সফাতুল্লাহ, সাদেক আলী ও ফকির মোহাম্মদ।

দৌলত উজির বাহরাম খান
🔶 মধ্যযুগীয় বাংলা ভাষার কবি- দৌলত উজির বাহরাম খান।
🔶 তাঁর প্রকৃত নাম- আসাউদ্দীন।
🔶 তাঁর দুটি আখ্যানকাব্য- ‘লায়লী-মজনু’ ও ‘ইমাম বিজয়’।
🔶 উভয় কাব্যের উৎস্য- আরবি সাহিত্য।
🔶 প্রথম লায়লী-মজনুর মতো বিশ্বখ্যাত বিরহমূলক প্রেমকাহিনী নিয়ে বাংলা ভাষায় কাব্য রচনা করেন- বাহরাম খান।
মাগন ঠাকুর
🔶 মধ্যযুগের ‘চন্দ্রাবতী’ কাব্যের রচয়িতা- মাগন ঠাকুর।
🔶 তিনি ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাঁরই পৃষ্ঠপোষকতায় মহাকবি আলাওল রচনা করেন- ‘পদ্মাবতী’ ও ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ কাব্য।
আলাওল
🔶 মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা- আলাওল।
🔶 আলাওল আরাকান রাজসভায় স্থান পান- কোরেশি মাগন ঠাকুরের আনুকূল্যে।
🔶 তাঁর প্রধান রচনাগুলোর মধ্যে আখ্যানকাব্য- পদ্মাবতী, সতীময়না লোরচন্দ্রানী, সপ্তপয়কর, সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল, সিকান্দরনামা, গীতিকাব্য তোহফা, সঙ্গীতবিষয়ক কাব্য রাগতালনামা প্রভৃতি।

১১. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ‘ভ্রান্তিবিলাস’ কোন নাটকের গদ্য অনুবাদ?
[ক] মার্চেন্ট অব ভেনিস
✅ কমেডি অব এররস
[গ] অ্যা মিডসামার নাইটস ড্রিম
[ঘ] টেমিং অব দ্য শ্রু

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি) ‘ভ্রান্তিবিলাস’ রচনা করেন- ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (১৫৬৪-১৬১৬ খ্রি) রচিত প্রথম নাটক ‘দ্য কমেডি অব এররস’ (১৫১২-৯৩) অবলম্বনে।
🔶 তিনি শেক্সপিয়রের এ নাটকটির বঙ্গানুবাদ করেন- ১৮৬৯ সালে।
🔶 তার অন্যান্য অনুবাদ গ্রন্থ- বেতালপঞ্চবিংশতি (হিন্দি বৈতালপচ্চীসীর বঙ্গানুবাদ (১৮৪৭), ‘শকুন্তলা’ (কালিদাসের ‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম’ নাটকের উপাখ্যান ভাগের বঙ্গানুবাদ, ১৮৫৪) এবং ‘সীতার বনবাস’ (ভবভূতির উত্তরকান্ডের বঙ্গানুবাদ, ১৮৬০)।

১২. কখনো উপন্যাস লেখেননি-
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] জীবনানন্দ দাশ
✅ সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
[ঘ] বুদ্ধদেব বসু

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একজন বিখ্যাত কবি- সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০ খ্রি)।
🔶 তিনি অনেক কবিতা ও গদ্য রচনা করলেও রচনা করেননি- কোনো উপন্যাস।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) রচিত উপন্যাস- ‘বাঁধনহারা’ (১৯২৭), ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০) ও ‘কুহেলিকা’ (১৯৩১)।
জীবনানন্দ দাশ
🔶 জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাস- মাল্যবান, সুতীর্থ, জলপাইহাটি, জীবন প্রণালী, বাসমতীর উপাখ্যান ইত্যাদি।
বুদ্ধদেব বসু
🔶 কবি ও কথাসাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪ খ্রি) রচিত উপন্যাস- সাড়া (১৯৩০), ‘সানন্দা’ (১৯৩৩), ‘লাল মেঘ’ (১৯৩৪), ‘পরিক্রমা’ (১৯৩৮), ‘কালো হাওয়া’ (১৯৪২), ‘নির্জন স্বাক্ষর’ (১৯৫১), ‘তিথিডোর’ (১৯৫২), ‘নীলাঞ্জনের খাতা’ (১৯৬০), ‘বিপন্ন বিস্ময়’ (১৯৬৯), ‘রাতভর বৃষ্টি’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

১৩. ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থের রচয়িতা-
[ক] শওকত ওসমান
[খ] জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত
ড় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
[ঘ] হাসান আজিজুল হক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭ খ্রি)
🔶 ‘দুধেভাতে উৎপাত’ গল্পগ্রন্থটি (১৯৮৫) রচিত- বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কর্তৃক।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য রচনা- চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭), ‘খোয়াবনামা (১৯৯৬) ইত্যাদি।
শওকত ওসমান (১৯১৭-১৯৯৮ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক শওকত ওসমানের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ- ‘প্রস্তর ফলক’ (১৯৬৪), ‘উপলক্ষ’ (১৯৬৫), ‘জন্ম যদি তব বঙ্গে’ (১৯৭৫) ইত্যাদি।
জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত (১৯৩৯-)
🔶 খ্যাতিমান গল্পকার জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ-‘দুর্বিনীতি কাল’, ‘বহে না সুবাতাস’, ‘পুনরুদ্ধার’ ইত্যাদি।
হাসান আজিজুল হক (১৯৩৬-)
🔶 হাসান আজিজুল হকের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ- ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘অন্তজ ও একটি করবী গাছ’ ‘জীবন ঘষে আগুন’ ইত্যাদি।

১৪. রোহিণী-বিনোদিনী-কিরণময়ী কোন গ্রন্থগুচ্ছের চরিত্র?
[ক] বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-চরিত্রহীন
[খ] কৃষ্ণকান্তের উইল-যোগাযোগ-পথের দাবি
[গ] দুর্গেশনন্দিনী-চোখের বালি-গৃহদাহ
✅ কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’-এর চরিত্র- রোহিণী, ভ্রমর, হরলাল ও গোবিন্দলাল।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চোখের বালি’-এর প্রধান চরিত্র- বিনোদিনী ও মহেন্দ্র।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত ‘চরিত্রহীন’-এর প্রধান চরিত্র- কিরণময়ী ,সতীশ, সাবেত্রী ও দিবাকর।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘বিষবৃক্ষ’-এর প্রধান চরিত্র- কুন্দননন্দিনী, নগেন্দ্রনাথ, হীরা ও সূর্যমুখী।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘চতুরঙ্গ’-এর প্রধান চরিত্র- দামিনী, শচীশ ও শ্রী বিলাস।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘যোগাযোগ’-এর প্রধান চরিত্র- মহিম, সুরেশ, অচলা ও মৃণাল।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র রচিত ‘দুর্গেশনন্দিনী’-এর প্রধান চরিত্র- আয়েশা ও তিলোত্তমা।

১৫. ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এ প্রার্থনাটি করেছে-
[ক] ভাঁড়ূদত্ত
[খ] চাঁদ সওদাগর
✅ ঈশ্বরী পাটনী
[ঘ] নলকুবের

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে’ এ প্রার্থনাটি করেছে- মধ্যযুগের সর্বশেষ বড় কবি ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর রচিত ‘অন্নদামঙ্গল’ কাব্যের অমর চরিত্র ঈশ্বরী পাটনী অন্নদা দেবীর কাছে।
🔶 চন্ডীমঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- ভাঁড়ূদত্ত।
🔶 মনসামঙ্গলের উল্লেখযোগ্য চরিত্র- চাঁদ সওদাগর।

১৬. ‘হ্ম’-এর বিশ্লিষ্ট রূপ-
[ক] ক + ষ
[খ] ক + ষ + ণ
[গ] ক + ষ + ম
✅ হ + ম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 দুই বা তার চেয়ে বেশি ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে কোনো স্বরধ্বনি না থাকলে- সে ব্যঞ্জনধ্বনি দুটি বা ধ্বনি কয়টি একত্রে উচ্চারিত হয়।
🔶 এরূপ যুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির দ্যোতনার জন্য দুটি বা অধিক ব্যঞ্জনবর্ণ একত্রিত হয়ে গঠিত হয়- সংযুক্ত বর্ণ (Ligature)।
🔶 এখানে এরূপ একটি সংযুক্ত বর্ণ- ‘হ্ম’।
কারণ, হ + ম = হ্ম।
ক + ষ = ক্ষ।
ক + ষ + ণ = ক্ষ্ম।
ক + ষ + ম = ক্ষম।

১৭. নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে-
✅ কল্যাণীয়েষু
[খ] সুচরিতেষু
[গ] শ্রদ্ধাস্পদাসু
[ঘ] প্রীতিভাজনেষু

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 নারীকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে- কল্যাণীয়েষু।
🔶 নারীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সম্ভাষণ- কল্যাণবরাষু, পরম কল্যাণীয়াষু।
🔶 পত্রের উপরাংশে বাম পাশে যাকে পত্র লেখা হয় তাকে যে সম্বোধন করে পত্রের মূল বক্তব্য আরম্ভ করা হয় তাকে বলে- সম্ভাষণ।
🔶 সম্ভাষণ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে- পত্র প্রাপকের শ্রেণীভেদে।
🔶 সাধারণত সম্বোধনে পুরুষের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- দোয়াবরেষু, দোয়াবর, কল্যাণবরেষু, কল্যাণীয়বরেষু ইত্যাদি।
🔶 বন্ধু-বান্ধবদের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- সুহৃদবরেষু, প্রিয়, প্রিয়বরেষু, প্রিয়বন্ধুবরেষু, প্রীতিভাজনেষু, সুচরিতেষু, সুচরিতাষু ইত্যাদি।
🔶 গুরুজনদের ক্ষেত্রে সম্ভাষণ- শ্রদ্ধাভাজনেষু, শ্রদ্ধাস্পদেষু (পুং), শ্রদ্ধাস্পদাষু (স্ত্রী) ইত্যাদি।

১৮. ‘পেয়ারা’ কোন ভাষা থেকে আগত শব্দ?
[ক] হিন্দি
[খ] উর্দু
✅ পর্তুগীজ
[ঘ] গ্রিক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পর্তুগীজ
🔶 বাংলা ভাষা গোড়াপত্তনের যুগে সামান্য সংখ্যক শব্দ দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও এ ভাষার শব্দের সম্ভার বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে- নানা ভাষার সংস্পর্শে এসে।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘পেয়ারা’ শব্দটি এভাবেই এসেছে- পর্তুগীজ ভাষা থেকে।
🔶 পর্তুগীজ ভাষা থেকে আগত এরূপ আরো কিছু শব্দ- আনারস, আলপিন, আলমারি, গির্জা, গুদাম, চাবি, পাউরুটি, বালতি।
হিন্দি
🔶 হিন্দি ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- ঘর, পেট, নাক, চাকু, জঙ্গল, চাউল ইত্যাদি।
উর্দু
🔶 উর্দু ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- হাওয়া, আম, গরম মসলা, তেল ইত্যাদি।
গ্রিক
🔶 গ্রিক ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- দাম, সুরঙ্গ ইত্যাদি।

১৯. সমার্থক শব্দগুচ্ছ সনাক্ত করুন-
[ক] দীর্ঘিকা, নদী, প্রণালী
✅ শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ
[গ] গাঙ, তটিনী, অর্ণব
[ঘ] স্রোতস্বিনী, নির্ঝরিণী, সিন্ধু

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘নদী’র সমার্থক শব্দ- শৈবলিনী, তরঙ্গিনী, সরিৎ, স্রোতস্বিনী, তটিনী, প্রবাহিনী, কল্লোলিনী, গাঙ।
🔶 কোনো শব্দের সম অর্থপূর্ণ অন্য শব্দই হলো- প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ।
🔶 দীর্ঘিকা’র সমার্থক শব্দ- দিঘি, বড়পুকুর।
🔶 প্রণালী’র সমার্থক শব্দ- নর্দমা, জলনালী, পদ্ধতি, রীতি, কার্যক্রম।
🔶 অর্ণব-এর সমার্থক শব্দ- সমুদ্র, সাগর, সিন্ধু, বারিধি, জলধি, পারাপার, রত্নাকর, জলনিধি, নীলাম্বু, অম্বুধি, সরোধি, পাথার, বারীশ, উদধি, পয়োনিধি, অম্বুনিধি, তোয়াধি, বারিনিধি, বারীন্দ্র।

২০. শুদ্ধ বানানের শব্দগুচ্ছ সনাক্ত করুন-
[ক] ভবিষ্যত, ভৌগলিক, যক্ষমা
✅ যশলাভ, সদ্যোজাত, সম্বর্ধনা
[গ] স্বায়ত্তশাসন, আভ্যন্তর, জন্মবার্ষিক
[ঘ] ঐক্যতান, কেবলমাত্র, উপরোক্ত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 উপরিল্লিখিত অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান হলো- ভবিষ্যত → ভবিষ্যৎ, ভৌগলিক → ভৌগোলিক, যক্ষমা → যক্ষা, আভ্যন্তর → অভ্যন্তর, ঐক্যতান → ঐকতান, কেবলমাত্র → কেবল, উপরোক্ত → উপর্যুক্ত।
🔶 অন্য শব্দগুলো শুদ্ধ এবং ‘জন্মবার্ষিক’ শব্দের শব্দরূপ নেই।

২১. ‘প্রাতরাশ’-এর সন্ধি-
[ক] প্রাত + রাশ
[খ] প্রাতঃ + রাশ
✅ প্রাতঃ + আশ
[ঘ] প্রাত + আশ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 প্রাতরাশ শব্দটি গঠিত- সংস্কৃত ‘প্রাতঃ (=র)’-এর সাথে ‘আশ’ যুক্ত হয়ে।
🔶 ‘প্রাতরাশ’ শব্দটির অর্থ- প্রাতভোজন বা সকালের নাশতা।

২২. যে পদে বাক্যের ক্রিয়াপদটির গুণ, প্রকৃতি, তীব্রতা ইত্যাদি প্রকৃতিগত অবস্থা বোঝায়, তাকে বলা হয়-
[ক] ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
✅ ক্রিয়াবিশেষণ
[গ] ক্রিয়াবিশেষ্যজাত বিশেষণ
[ঘ] ক্রিয়াবিভক্তি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ক্রিয়াবিশেষণ
🔶 ক্রিয়ার স্থান, কাল ও কারণাদির বৈশিষ্ট্য বা প্রকৃতিগত অবস্থা যেসব শব্দ দ্বারা প্রকাশিত হয় তাদের বলে- ক্রিয়া-বিশেষণ।
যেমন- ধীরে যাও, সুন্দর গায় ইত্যাদি।
ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য
🔶 যে বিশেষ্য ক্রিয়ার কোনো নাম বোঝায় তাকে বলে- ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য। যেমন- খাওয়া, যাওয়া, গমন ইত্যাদি।
ক্রিয়াবিভক্তি
🔶 ক্রিয়া বা ধাতুর সঙ্গে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে বিবিধ ক্রিয়াপদ গঠন করে তাকে বলে- ক্রিয়াবিভক্তি। যেমন- খা + ইব = খাইব।

২৩. ‘রামগরুড়ের ছানা’ কথাটির অর্থ-
[ক] কাল্পনিক জন্তু
✅ গোমড়ামুখো লোক
[গ] মুরগি
[ঘ] পুরাণোক্ত পাখি

২৪. নিচের কোনটিতে বিরামচিহ্ন যথাযথভাবে ব্যবহৃত হয়নি?
[ক] ডিসেম্বর ১৬, ১৯৭১
[খ] ২৬ মার্চ, ১৯৭১
✅ ঢাকা, ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২
[ঘ] পয়লা বৈশাখ, চৌদ্দশো সাত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যে ‘কমা’ বসানোর বিভিন্ন নিয়মের মধ্যে একটি নিয়ম হলো- মাসের তারিখ লিখতে বার ও মাসের পর ‘কমা’ বসাতে হয়।
🔶 সুতরাং (গ) উত্তরটিতেই যথাযথ বিরাম চিহ্ন ব্যবহৃত হয়নি।
🔶 বাক্যের অর্থ সুস্পষ্টভাবে বোঝানোর জন্য বাক্যের মধ্যে বা শেষে ব্যবহৃত হয়- বিভিন্ন বিরাম বা যতিচিহ্ন।
🔶 এরকম একটি গুরুতবপূর্ণ চিহ্ন- ‘কমা’ বা ‘পাদচ্ছেদ’ (,)।

২৫. ‘বামেতর’ শব্দটির অর্থ-
[ক] বামচোখ
✅ ডান
[গ] ইতর
[ঘ] বাম দিক

২৬. প্রথম বাংলা ‘থিসরাস’ বা সমার্থক শব্দের অভিধান সংকলন করেছেন-
✅ অশোক মুখোপাধ্যায়
[খ] জগন্নাথ চক্রবর্তী
[গ] মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান
[ঘ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি) সম্পাদনা করেন- ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ (দুই খন্ড), যা তার জীবনের প্রথম একটি কাজ।

২৭. ‘নিরানববইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ-
[ক] তীরে পৌঁছার ঝক্কি
✅ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি
[গ] মুমূর্ষু অবস্থা
[ঘ] আসন্ন বিপদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘নিরানববইয়ের ধাক্কা’ বাগধারাটির অর্থ- টাকা জমানোর লোভ, অর্থাৎ সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি।

২৮. যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়-
[ক] দ্বন্দ্ব সমাস
[খ] অব্যয়ীভাব সমাস
[গ] কর্মধারয় সমাস
✅ নিত্য সমাস

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
নিত্য সমাস
🔶 যে সমাসের ব্যাসবাক্য হয় না, কিংবা তা করতে গেলে অন্য পদের সাহায্য নিতে হয়, তাকে বলা হয়- নিত্য সমাস।
দ্বন্দ্ব সমাস
🔶 যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো সংযোজক অব্যয় দ্বারা যুক্ত থাকে এবং পূর্বপদ ও পরপদ উভয়ের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে বলে- দ্বন্দ্ব সমাস। যেমন- দোয়াত ও কলম = দোয়াত-কলম, কাঁচা ও পাকা = কাঁচা-পাকা ইত্যাদি।
অব্যয়ীভাব সমাস
🔶 অব্যয় পদ পূর্বে বসে যে সমাস পূর্বপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে বলে- অব্যয়ীভাব সমাস। যেমন- কূলের সমীপে = উপকূল, আমিষের অভাব = নিরামিষ ইত্যাদি।
কর্মধারয় সমাস
🔶 যে সমাসে প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের বিশেষণরূপে অবস্থান করে এবং সমস্তপদে পরপদ তথা দ্বিতীয় পদের অর্থ প্রাধান্য থাকে, তাকে বলে- কর্মধারয় সমাস। যেমন- নীল যে আকাশ = নীলাকাশ।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

২৯. বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ কার রচনা?
✅ দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত
[খ] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[গ] সুকুমার সেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্ত (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি)
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন কর্তৃক রচিত ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ গ্রন্থটি ।
🔶 তাঁর বঙ্গ-সংস্কৃতি সেবার আর এক শ্রেষ্ঠ নিদর্শন- ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ ও ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ সম্পাদনা।

সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 ভাষাতাত্তিবক পন্ডিত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- 'The Origin and Development of the Bengali Language'।
🔶 রবীন্দ্রনাথ তাঁকে প্রদান করেন- ‘ভাষাচার্য’ উপাধি।
🔶 তাঁর প্রাপ্ত অন্যান্য উপাধি হলো- ‘সাহিত্য বাচসঙতি’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৯-এ মে ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ (১ম ও ২য় খন্ড) এবং ‘ভাষা ও সাহিত্য’।

সুকুমার সেন (১৯০১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 পন্ডিত ও শিক্ষাবিদ সুকুমার সেন রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা’, ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ খন্ড) ও ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের গদ্য’।
🔶 সুকুমার সেন ছিলেন- সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের সুযোগ্য ছাত্র।
🔶 বিশ্বভারতী তাকে উপাধি প্রদান করে- ‘দেশিকোত্তম’।

৩০. ‘ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ কে রচনা করেন?
[ক] ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
✅ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] মুহম্মদ এনামুল হক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ছিলেন- শিক্ষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যিক।
🔶 ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃত বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজিতে তিনি রচনা করেন- ৩৮০টিরও বেশি গ্রন্থ।
🔶 তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা- সরল ভাষা প্রকাশ বাঙালা ব্যাকরণ, Bengali Phonetic Reader, পশ্চিমের যাত্রী, রবীন্দ্র সঙ্গমে প্রভৃতি।

ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর (১৮২০-১৮৯১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট লেখক, সমাজ সংস্কারক ও চিন্তাবিদ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘সংস্কৃত ব্যাকরণের উপক্রমণিকা’ ও ‘ব্যাকরণ কৌমুদী’ (১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ভাগ)।

মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘বাংলা ব্যাকরণ’।

মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক রচিত বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ- ‘ব্যাকরণ মঞ্জুরী’।

৩১. ‘পদাবলী’র প্রথম কবি কে?
[ক] শ্রীচৈতন্য
[খ] বিদ্যাপতি
✅ চন্ডীদাস
[ঘ] জ্ঞানদাস

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
চন্ডীদাস (আনুমানিক ১৩৭০-১৪৩৩)
🔶 বাংলা ভাষায় বৈষ্ণব পদাবলীর আদি রচয়িতা- চন্ডীদাস।
🔶 এ নামে চারজন কবি হলেন- বড়ূ চন্ডীদাস, দ্বিজ চন্ডীদাস, দীন চন্ডীদাস ও চন্ডীদাস। এই চারজন পরস্পর পৃথক না একই ব্যক্তি এ নিয়ে বাংলা সাহিত্যে সমস্যা রয়েছে যা পরিচিত- ‘চন্ডীদাস সমস্যা’ নামে।
🔶 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ কাব্যের রচয়িতা- বড়ূ চন্ডীদাস।
🔶 চন্ডীদাসের বিখ্যাত উক্তি- ‘সবার উপর মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’।

শ্রীচৈতন্য
🔶 প্রকৃত নাম- বিশ্বম্ভর মিশ্র।
🔶 তিনি নদীয়া জেলার নবদ্বীপ শহরে জন্মগ্রহণ করেন- ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে।
🔶 তাঁর পিতা জগন্নাথ মিশ্র ও মা শচীর আদিভূমি ছিল- সিলেট।
🔶 তাঁর ডাক নাম- নিমাই।
🔶 তাঁর গুরু ছিলেন- বিষ্ণুপন্ডিত।

বিদ্যাপতি
🔶 বিদ্যাপতি জন্মগ্রহণ করেন- আনুমানিক ১৩৭৪ খ্রিস্টাব্দে মিথিলার সীতামারী মহকুমার বিসফি গ্রামে।
🔶 তাঁদের পারিবারিক উপাধি ছিল- ঠক্কর বা ঠাকুর।
🔶 তিনি বহু গ্রন্থ ও পদ রচনা করেন- মৈথিলি, অবহট্ঠ ও সংস্কৃত ভাষায়।
🔶 তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তি- ব্রজবুলি ভাষায় রচিত রাধাকৃষ্ণের লীলাবিষয়ক পদগুলি।
🔶 তিনি উদ্ভাবন করেন- ব্রজবুলি ভাষা।
🔶 নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন- বিদ্যাপতির পদাবলির প্রামাণ্য সংকলন।
🔶 বিদ্যাপতির উপাধি- কবি কণ্ঠহার, অভিনব জয়দেব, মিথিলার কোকিল, কবি শেখর, কবিরঞ্জন, পন্ডিতঠাকুর, রাজপন্ডিত, সদুপাধ্যায় প্রভৃতি।
জ্ঞানদাস
🔶 চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি- জ্ঞানদাস।
🔶 তিনিই প্রথম পদ রচনা করেন- ‘ষোড়শ-গোপাল’-এর রূপ বর্ণনা করে।
🔶 তাঁর রচিত বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ- ‘মাথুর’ ও ‘মুরলীশিক্ষ’।

৩২. দোভাষী পুঁথি বলতে কি বোঝায়?
কদুই ভাষায় রচিত পুঁথি
ড়কয়েকটি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথি
গতৈরি করা কৃত্রিম ভাষায় রচিত পুঁথি
ঘআঞ্চলিক ভাষায় রচিত পুঁথি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা, হিন্দি, ফারসি, আরবি, তুর্কি ইত্যাদি ভাষার শব্দ ব্যবহার করে মিশ্রিত ভাষায় রচিত পুঁথিই- দোভাষী পুঁথি।

৩৩. ‘সঞ্চয়িতা’ কোন কবির কাব্য সংকলন?
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
[গ] কাজী নজরুল ইসলাম
[ঘ] জসীমউদ্দীন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৯৪১ খ্রি) অন্যতম কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চয়িতা’।
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
🔶 কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের (১৮৮২-১৯২২ খ্রি) উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বেনু ও বীনা’ ‘কুহু ও কেকা’, ‘সন্ধিক্ষণ’ ইত্যাদি।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি) কাব্য সংকলন- ‘সঞ্চিতা’।
জসীমউদ্দীন
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) কাব্য সংকলন- ‘রাখালী’, ‘বালূচর’, ‘ধানক্ষেত’ ‘মাটির কান্না’, ‘সুচয়নী’ ও ‘রূপবতী’।

৩৪. রবীন্দ্রনাথের কোন গ্রন্থটি নাটক?
[ক] চোখের বালি
[খ] বলাকা
[গ] ঘরে-বাইরে
✅ রক্তকরবী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রক্তকরবী
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪)।
🔶 তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘চিত্রাঙ্গদা’ (১২৯৯), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০৯), ‘রাজা’ (১৯১০), ‘অচলায়তন’ (১৯১১), ‘ডাকঘর’ (১৯১২), ‘তাসের দেশ’ (১৯৩৩), ‘চন্ডালিকা’ (১৯৩৩) ইত্যাদি।
চোখের বালি, ঘরে-বাইরে
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘চোখের বালি’ (১৯০৩) এবং ‘ঘরে বাইরে’ (১৯১৬)- রবীন্দ্রনাথ রচিত উপন্যাস।
বলাকা
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘বলাকা’ (১৯১৫) তার রচিত- কাব্যগ্রন্থ।

৩৫. কোন কবিতা রচনার কারণে নজরুল ইসলামের কারাদন্ড হয়েছিল?
[ক] বিদ্রোহী
✅ আনন্দময়ীর আগমনে
[গ] কান্ডারী হুশিয়ার
[ঘ] অগ্রপথিক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক বছরের জন্য কারারুদ্ধ হন- ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ এবং ‘বিদ্রোহীর কৈফিয়ৎ’ রচনার জন্য।
🔶 তিনি উল্লেখিত কবিতাগুলো রচনা করেন- পৌরুষ ও শক্তির চিত্ত চাঞ্চল্যে, গণচেতনা ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির আকাংক্ষায় উদ্ভাসিত হয়ে।

৩৬. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা কোনটি?
✅ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী
[খ] মুক্তি
[গ] হেবা
[ঘ] বিদ্রোহী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা (গল্প) ‘বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী’ প্রথম প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘সওগাত’ পত্রিকায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দের (১৯১৯ খ্রি.) জ্যৈষ্ঠ সংখ্যায়।
মুক্তি
🔶 তার রচিত প্রথম কবিতা ‘মুক্তি’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য পত্রিকা’র শ্রাবণ সংখ্যায় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
বিদ্রোহী
🔶 তার শ্রেষ্ঠ বিদ্রোহাত্মক কবিতা ‘বিদ্রোহী’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘বিজলী’ সাপ্তাহিক পত্রিকার ২২ পৌষ সংখ্যায় ১৩২৮ বঙ্গাব্দে।

৩৭. সওগাত পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
✅ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
[খ] আবুল কালাম শামসুদ্দীন
[গ] কাজী আবদুল ওদুদ
[ঘ] সিকান্দার আবু জাফর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন (১৮৮৮-১৯৯৪ খ্রি)
🔶 সওগাত পত্রিকার সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন।
🔶 কোলকাতা থেকে সচিত্র মাসিক সাহিত্যপত্র ‘সওগাত’ প্রকাশিত হয়- ১৩২৫ বঙ্গাব্দের (১৯১৮ খ্রি) অগ্রহায়ন থেকে।
🔶 মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন পশ্চাৎপদ মুসলমান সমাজকে প্রগতির পথে নিয়ে যান-পত্রিকাটিতে নবীন-প্রবীণ মুসলমান সাহিত্যিকমন্ডলীর মুক্তবুদ্ধি ও স্বাধীন চিন্তা-সমৃদ্ধ রচনা প্রকাশ করে।
আবুল কালাম শামসুদ্দীন (১৮৯৭-১৯৭৮ খ্রি)
🔶 সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ আবুল কালাম শামসুদ্দীন সম্পাদনা করেন- সাপ্তাহিক ‘মুসলিম জগৎ’ (১৯২৪ খ্রি), ‘দৈনিক জেহাদ’ (নভেম্বর, ১৯৬২) ইত্যাদি পত্রিকা।
🔶 তাছাড়া তিনি কাজ করেছেন- ‘সওগাত’ পত্রিকার সম্পাদনা বিভাগেও।
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০ খ্রি)
🔶 লেখক ও চিন্তাবিদ কাজী আব্দুল ওদুদ সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি নিযুক্ত হন- ১৯৬৫ সালে নব পর্যায়ে প্রকাশিত ‘তরুণপত্র’ পত্রিকার।
সিকান্দার আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)
🔶 কবি, নাট্যকার ও সাংবাদিক সিকানদার আবু জাফর মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন- ১৯৫৭-১৯৭০ পর্যন্ত।

৩৮. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থটির কবি কে?
✅ ফররুখ আহমদ
[খ] আহসান হাবীব
[গ] শামসুর রাহমান
[ঘ] হাসান হাফিজুর রহমান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি)
🔶 চলি­শের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)।

আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক ‘আহসান হাবীব’ -এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘রাত্রিশেষ’ (১৯৪৭), ‘ছায়াহরিণ’ (১৯৬২), ‘মেঘ বলে চৈত্রে যাবো’ (১৯৭৬) ইত্যাদি।
শামসুর রাহমান (১৯২৯-২০০৬)
🔶 কবি শামসুর রাহমান-এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে (১৯৬০), ‘রৌদ্র করোটিতে’ (১৯৬৩), ‘বিধ্বস্ত নীলিমা’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান-এর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৯৬৩), ‘আর্তশব্দাবলী’ (১৯৬৮) ইত্যাদি।

৩৯. ‘পথের দাবি’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
✅ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[খ] মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
[গ] সত্যেন সেন
[ঘ] সুকান্ত ভট্টাচার্য

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
🔶 খ্যাতনামা কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে লিখিত উপন্যাস, যা তৎকালীন সময়ে রাজরোষে বাজেয়াপ্ত হয়েছিল- ‘পথের দাবি’ (১৯২৬)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘পরিনীতা’ (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯১৪), ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ (১৯১৬), ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘চরিত্রহীন’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১ম পর্ব- ১৯১৭, ২য় পর্ব ১৯১৮, ৩য় পর্ব ১৯২৭, ৪র্থ পর্ব ১৯৩৩), ‘শেষ প্রশ্ন’ (১৯৩১), ‘বিপ্রদাস’ (১৯৩৫) ইত্যাদি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬ খ্রি)
🔶 কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘জননী’ (১৯৩৫), ‘দিবারাত্রির কাব্য’ (১৯৩৫), ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ (১৯৩৬), ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ (১৯৩৬), ‘ইতিকথার পরের কথা’ (১৯৫২) ইত্যাদি।
সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১ খ্রি)
🔶 সাহিত্যিক ও রাজনীতিবিদ সত্যেন সেনের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘ভোরের বিহঙ্গী’ (১৯৫৯), ‘অভিশপ্ত নগরী’ (১৯৬৭) ইত্যাদি।

8০. অপলাপ শব্দের অর্থ কি?
✅ অস্বীকার
[খ] মিথ্যা
[গ] প্রলাপ
[ঘ] অসদালাপ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘অপলাপ’ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত, যার শাব্দিক অর্থ- সত্য অস্বীকার, গোপন বা মিথ্যা উক্তি।

8১. পদ বা পদাবলী বলতে কী বুঝায়?
[ক] লাচাড়ী ছন্দে রচিত পদ্য বা কবিতাবলি
✅ পদ্যাকারে রচিত দেবস্ত্ততিমূলক রচনা
[গ] বাউল বা মরমী গীতি
[ঘ] বৌদ্ধ বা বৈষ্ণবীয় ধর্মের গূঢ় বিষয়ের বিশেষ সৃষ্টি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত বুঝায়- শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত স্তুতিমূলক কবিতাকে।
🔶 অন্যভাষায় পদ্যাকারে রচিত দেবস্তুতিমূলক রচনাই- পদ বা পদাবলী।
🔶 দ্বাদশ শতকে জয়দেব ‘গীতগোবিন্দ’ কাব্যে ব্যবহার করেন- ‘পদাবলী’ শব্দটি।
🔶 পদাবলী রচিত হয়েছে- উপনিষদে যে ব্রাহ্মকে রসস্বরূপ বলা হয়েছে এবং প্রিয়রূপে উপাসনা করতে উপদেশ দেয়া হয়েছে, সেই অনন্তরসের আধার শ্রীকৃষ্ণকে আস্বাদন করার ও করানোর জন্য।
🔶 পদাবলী সংকলনের মধ্যে প্রাচীনতম বলে মনে করা হয়- সপ্তদশ শতকের শেষভাগে বিশ্বনাথ চক্রবর্তী সংকলিত ‘ক্ষণদাগীতচিন্তামনি’-কে।
🔶 পদাবলীর বৃহত্তম ও অধিক প্রচারিত সংকলন- বৈষ্ণবদাস ওরফে গোকুলানন্দ সেনের ‘পদকল্পগুরু’ (৩১০১টি পদ)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, বিদ্যাপতি, চন্ডীদাস প্রমুখের ‘বৈষ্ণব পদাবলী’- অন্যতম পদাবলী।

8২. বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) কারা রচনা করেন?
[ক] ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও সৈয়দ আলী আহসান
[খ] ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মুহম্মদ আব্দুল হাই
[গ] মুহম্মদ আব্দুল হাই, আনিসুজ্জামান ও আনোয়ার পাশা
✅ মুহম্মদ আব্দুল হাই ও সৈয়দ আলী আহসান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আব্দুল হাই ও শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক সৈয়দ আলী আহসান যুগ্মভাবে রচনা করেন- বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (আধুনিক) গবেষণাগ্রন্থটি।

8৩. কোনটি ঠিক?
[ক] গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
[খ] বিদ্রোহী (কাব্য গ্রন্থ)
✅ পথের দাবী (উপন্যাস)
[ঘ] একাত্তরের দিনগুলো (উপন্যাস)

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
পথের দাবী (উপন্যাস)
🔶 কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক পটভূমিতে রচিত উপন্যাস- ‘পথের দাবী’ (১৯২৬)।
গোরা (নাট্যগ্রন্থ)
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাস- ‘গোরা’ (১৯১০)।
বিদ্রোহী (কাব্য গ্রন্থ)
🔶 ১৯২১ সালে সাপ্তাহিক ‘বিজলী’র ২২ পৌষ (১৩২৮) সংখ্যায় প্রকাশিত কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা- ‘বিদ্রোহী’, যা তাকে ‘বিদ্রোহী’ খ্যাতি এনে দেয়।
একাত্তরের দিনগুলো (উপন্যাস)
🔶 শহীদ জননী জাহানারা ইমামের (১৯২৯-১৯৯৪ খ্রি) মুক্তিযুদ্ধের ওপর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ- ‘একাত্তরের দিনগুলো’ (১৯৮৬)।

8৪. কোনটি হযরত মুহম্মদ (স)-এর জীবনী গ্রন্থ?
[ক] মরুমায়া
✅ মরুভাস্কর
[গ] মরুতীর্থ
[ঘ] মরুকুসুম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মরুভাস্কর
🔶 হযরত মুহাম্মদ (স)-এর জীবন নিয়ে লিখিত ‘মরু ভাস্কর’ (১৯৪১) গ্রন্থটি রচনা করেন- সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী (১৮৯৬-১৯৫৪ খ্রি)।
মরুমায়া
🔶 ‘মরুমায়া’ (১৯৩০) কাব্যগ্রন্থটি রচনা করেন- কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত (১৮৮৭-১৯৫৪ খ্রি)।
মরুকুসুম
🔶 ‘মরু কুসুম’ (১৯১৯) উপন্যাসটি রচনা করেন- সাহিত্যিক শাহাদাত হোসেন (১৮৯৩-১৯৫৩ খ্রি)।

8৫. পদাবলী লিখেছেন-
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[গ] ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত
[ঘ] কায়কোবাদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পদ বা পদাবলী বলতে সাধারণত বুঝায়- শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীচৈতন্যের লীলাকথা নিয়ে গান করার জন্য রচিত স্তুতিমূলক কবিতাকে।
🔶 বৈষ্ণব পদাবলীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পদাবলী রচনা করেন- ব্রজবুলি ভাষায়।
🔶 ‘ভানুসিংহ ঠাকুর’ ছদ্মনাম ব্যবহার করে তিনি রচনা করেন- গীতিকাব্য সংকলন ‘পদাবলী’।

8৬. ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’-এর সম্পাদক কে?
[ক] মুহম্মদ আব্দুল হাই
[খ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[গ] মুহম্মদ এনামুল হক
✅ আহমদ শরীফ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯)
🔶 ‘বাংলা একাডেমী সংক্ষিপ্ত বাংলা অভিধান’ (১৯৯২) সম্পাদনা করেন- বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আহমদ শরীফ।
মুহম্মদ আব্দুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহম্মদ আবদুল হাই রচনা করেন- ভাষা ও ধ্বনি বিষয়ক গ্রন্থ ‘ভাষা ও সাহিত্য’ (১৯৬০)।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদনা করেন- ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ (দুই খন্ড)।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক সম্পাদনা করেন- ‘বাংলাদেশের ব্যবহারিক অভিধান’ (স্বরবর্ণাংশ সম্পাদনা, ১৯৭৪)।

8৭. ‘ভিক্ষুকটা যে পিছনে লেগেই রয়েছে, কী বিপদ!’ -এই বাক্যের ‘কী’-এর অর্থ-
[ক] ভয়
[খ] রাগ
✅ বিরক্তি
[ঘ] বিপদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এরূপ ক্ষেত্রে বাক্যের ভাব বুঝেই ‘কী’ এর অর্থ নিরূপণ করতে হবে। সে হিসেবে এর অর্থ- ‘ভয়’ ‘রাগ’ বা ‘বিপদ’ নয়, অবশ্যই ‘বিরক্ত’।

8৮. ‘ঢাকের কাঠি’ বাগধারার অর্থ-
[ক] সাহায্যকারী
✅ তোষামুদে
[গ] বাদক
[ঘ] স্বাস্থ্যহীন লোক

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

8৯. ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
✅ অগ্নিবীণা
[খ] বিষের বাঁশী
[গ] দোলনচাঁপা
[ঘ] বাঁধনহারা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে) কাব্যের দ্বিতীয় কবিতা- ‘বিদ্রোহী’।

৫০. ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ গানের রচয়িতা কে?
✅ আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
[খ] আলতাফ মাহমুদ
[গ] আব্দুল লতিফ
[ঘ] আব্দুল আলীম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী রচিত একটি কবিতা- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রুয়ারি’ বিখ্যাত এ গানটি।
🔶 কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয়- হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩) গ্রন্থে। পরে এটি গানের রূপ নেয়।
🔶 গানটির প্রথম সুরকার ছিলেন- আব্দুল লতিফ।
🔶 বর্তমান সুরকার- আলতাফ মাহমুদ।
🔶 প্রথম পর্যায়ে গানটির শিল্পী ছিলেন- আব্দুল লতিফ, বর্তমানে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post