সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১১

সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১১
১. সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’-এর সম্পাদক কে?
[ক] মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ
[খ] মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লা
✅ শেখ আব্দুর রহিম
[ঘ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শেখ আব্দুর রহিম
🔶 সাপ্তাহিক ‘সুধাকর’ (১৮৯৪), মাসির ‘মিহির’ (১৮৯২), মাসিক ‘হাফেজ’, ‘মোসলেম ভারত’ প্রভৃতি পত্রিকার সম্পাদনা করেন- শেখ আবদুর রহিম।
মুন্সি মোহাম্মদ রিয়াজউদ্দিন আহমদ
🔶 ‘মুসলমান’ (১৮৮৪), সাপ্তাহিক ‘নব সুধাকর’ (১৮৮৫), ‘ইসলাম’ (১৮৮৫) ইত্যাদি পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- মুন্সী মোহাম্মদ রেয়াজুদ্দীন আহমদ।
মুন্সি মোহাম্মদ মেহের উল্লা
🔶 মুন্সী মেহেরুল্লাহ ছিলেন- ধর্মপ্রচারক। তিনি কোনো পত্রিকা সম্পাদনা করেননি। তিনি ‘খ্রিস্টান ধর্মের অসারতা’ নামে একটি প্রচার পুস্তিকা প্রকাশ করেন।
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
🔶 মাসিক ‘নূর’ (১৯১৯) ও সাপ্তাহিক ‘সুলতান’ (১৯২৩) পত্রিকা সম্পাদনা করেন- ইসমাইল হোসেন সিরাজী।

২. মাসিক মোহাম্মদী কোন সালে প্রকাশিত হয়?
[ক] ১৯২৬
✅ ১৯২৭
[গ] ১৯২৮
[ঘ] ১৯২৯

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 দৈনিক আজাদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মোহাম্মদ আকরম খাঁর সম্পাদনায় ১৯০৩ সালের ১৮ আগস্ট কলকাতায় আত্মপ্রকাশ করে- ‘মোহাম্মদী’।
🔶 পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে- দৈনিক, সাপ্তাহিক, মাসিক, এমনকি বার্ষিক হিসেবেও।
🔶 মোহাম্মদ আকরম খাঁর সম্পাদনায় ‘সাপ্তাহিক মোহাম্মদী’ নামে প্রকাশিত হয়- ১৯১০ সালে।
🔶 এটি দৈনিক পত্রিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে- ১৯২২ সালে।
🔶 ‘মাসিক মোহাম্মদী’ আবার নতুনভাবে প্রকাশিত হয়- ১৯২৭ সালের ৬ নভেম্বর।
🔶 ‘বার্ষিক মোহাম্মদী’ সাহিত্যপত্রও প্রকাশিত হয়- ১৯২৮ সালের ডিসেম্বর মাসে।

৩. কোন পত্রিকাটি ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়?
[ক] কালিকলম
[খ] প্রগতি
✅ কল্লোল
[ঘ] সবুজপত্র

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কল্লোল
🔶 দীনেশরঞ্জন দাসের সম্পাদনায় ১৯২৩ সালে প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকাটি।
কালিকলম
🔶 শৈলজানন্দের সম্পাদনায় সচিত্র মাসিক ‘কালিকলম’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
প্রগতি
🔶 বুদ্ধদেব বসু ও অজিত দত্তের সম্পাদনায় সচিত্র মাসিক ‘প্রগতি’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৭ সালে।
🔶 বুদ্ধদেব বসু পরিচিত- সাহিত্যিক, গদ্যশিল্পী, সমালোচক, সম্পাদক হিসেবে।
🔶 বুদ্ধদেব বসুর জন্ম- ৩০ নভেম্বর, ১৯০৮ সালে, কুমিল্লায়।
সবুজপত্র
🔶 প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় ‘সবুজপত্র’ প্রকাশিত হয়- ১৯১৪ সালে।

8. ঢাকা থেকে ত হয় কোন পত্রিকাটি?
[ক] অরণি
[খ] পরিচয়
[গ] নবশক্তি
✅ ক্রান্তি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলো হলো- ক্রান্তি, কবিতা কুসুমাবলী, মনপঞ্জিকা, বঙ্গবন্ধু, ঢাকা প্রকাশ, মহাপাপ, বাল্যবিবাহ, বেঙ্গল টাইমস ইত্যাদি।

৫. গ্রিক শব্দ কোনটি?
[ক] তুফান
[খ] লুঙ্গী
[গ] কুশন
✅ দাম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দাম
🔶 ‘দাম’ হচ্ছে- গ্রিক শব্দ।
তুফান
🔶 ‘তুফান হচ্ছে- চীনা শব্দ।
লুঙ্গী
🔶 লুঙ্গী হচ্ছে- বর্মি শব্দ।

৬. বাংলা ভাষায় কয়টি খাঁটি উপসর্গ আছে?
[ক] উনিশ
[খ] কুড়ি
✅ একুশ
[ঘ] বাইশ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষায় খাঁটি বাংলা উপসর্গ রয়েছে- ২১টি; অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
🔶 সংস্কৃত উপসর্গের সংখ্যা- ২০টি।

৭. ‘শিশুরাজ্যে এই মেয়েটি একটি ছোটখাট বর্গির উপদ্রব বলিলেই হয়।’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গল্পের সংলাপ?
[ক] একরাত্রি
[খ] শুভা
✅ সমাপ্তি
[ঘ] পোস্টমাস্টার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সংলাপটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা ‘মৃন্ময়ী’ সম্পর্কে- লেখকের উক্তি।

৮. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
[ক] বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
✅ বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
[গ] বাংলা সাহিত্যের কথা
[ঘ] বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
🔶 বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ- দীনেশচন্দ্র সেনগুপ্তের ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’।
🔶 এটি প্রকাশিত হয়- ১৮৯৬ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় ‘মৈমনসিংহ গীতিকা’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৩ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় ‘পূর্ববঙ্গ গীতিকা’ প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক ইতিহাস গ্রন্থ- বঙ্গভাষা ও সাহিত্য (১৮৯৬)।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের বাংলা সাহিত্য বিষয়ক ইতিহাস গ্রন্থ- বঙ্গ সাহিত্য পরিচয় (১৯১৪)।
🔶 দীনেশচন্দ্র সেনের ইংরেজিতে রচিত গ্রন্থ- History of Bengali Language and Literature.
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
🔶 ‘বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস’ (৫খন্ড)-এর রচয়িতা- ড. সুকুমার সেন।
বাংলা সাহিত্যের কথা
🔶 ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ (২খন্ড) -এর রচয়িতা- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা ভাষার ইতিহাস সম্পর্কিত গ্রন্থ- বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত।
বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা
🔶 গোপাল হালদার রচিত বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস বিষয়ক গুরুতবপূর্ণ গ্রন্থ- বাংলা সাহিত্যের রূপরেখা।

৯. কত খ্রিস্টাব্দে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘জগত্তারিণী’ পদক লাভ করেন?
[ক] ১৯১৬
✅ ১৯২৩
[গ] ১৯৩৩
[ঘ] ১৯০৩

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অপরাজেয় কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার সামগ্রিক সাহিত্যকর্মের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘জগত্তারিণী’ স্বর্ণপদক লাভ করেন- ১৯২৩ সালে।
🔶 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ডি লিট’ উপাধি লাভ করেন- ১৯৩৬ সালে।
🔶 তিনি হুগলীতে জন্মগ্রহণ করেন- ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৮৭৬ সালে।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর কথাসাহিত্য মূলত গড়ে উঠেছে- গ্রামীণ বাংলার সমাজজীবন আশ্রয় করে।
🔶 শরৎসাহিত্যে নারী উপস্থাপিত হয়েছে- মমতাময়ী সর্বংসহারূপে।
🔶 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়-এর আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস- শ্রীকান্ত।
🔶 লেখকের বিখ্যাত রচনা- ‘শ্রীকান্ত’, ‘দেবদাস’, ‘গৃহদাহ’ ইত্যাদি।
🔶 তিনি মৃত্যুবরণ করেন- ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে।

১০. রাজা রামমোহন রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কি?
[ক] মাগ্ধীয় ব্যাকরণ
✅ গৌড়িয় ব্যাকরণ
[গ] মাতৃভাষা ব্যাকরণ
[ঘ] ভাষা ও ব্যাকরণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 রাজা রামমোহন রায় প্রথম বাঙালি হিসেবে ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ রচনা করেন- ১৮৩৩ সালে।
🔶 পাঠ্য পুস্তকের বাইরে সর্বপ্রথম বাংলা গদ্য রীতির ব্যবহার করেন- রাজা রামমোহন রায়।
🔶 রামমোহন রায়ের কয়েকটি রচনা- ‘বেদান্তসার’ (১৮১৫), ‘বেদান্ত গ্রন্থ’, ‘ভট্টাচার্যের সহিত বিচার’ (১৮১৭), ‘গোস্বামীর সহিত বিচার’ (১৮১৮), ‘পথ্য প্রদান’ (১৯২৩), প্রবর্তক ও নিবর্তকের সম্বাদ’ (১৮১৮) প্রভৃতি।

১১. ‘মেছো’ শব্দের প্রকৃতি-প্রত্যয় কি?
[ক] মাছ + ও
[খ] মেছ + ও
[গ] মাছি + উয়া > ও
✅ মাছ + উয়া > ও

১২. কোন সন্ধিটি নিপাতনে সিদ্ধ?
[ক] বাক্ + দান = বাগদান
[খ] উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
✅ পর + পর = পরস্পর
[ঘ] সম + সার = সংসার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কোনো নিয়ম অনুসরণ না করে যখন সন্ধি সাধিত হয় তখন তাকে বলে- নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি।
পর + পর = পরস্পর
🔶 প্রশ্নের সন্ধিগুলোর মধ্যে ‘পর + পর = পরস্পর’ ছাড়া অন্য সন্ধিগুলো- ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে সম্পন্ন হয়েছে।
বাক্ + দান = বাগদান
🔶 ‘বাক্ + দান = বাগদান’-এটি ব্যঞ্জন সন্ধি। এর নিয়ম হচ্ছে- ক, চ, ট, ত, প বর্ণের পর স্বরবর্ণ থাকলে ক, র, ট, ত, প যথাক্রমে গ, জ, ড, দ, ব-এ পরিণত হয়।
উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ
🔶 ত কিংবা দ-এর পর চ কিংবা ছ থাকলে- ত ও দ স্থলে চ হয়। যেমন- উৎ + ছেদ = উচ্ছেদ।
সম + সার = সংসার
🔶 ‘ম-এর পরে ব, র, র, শ, ষ, স বা হ থাকলে-পূর্ববর্তী ম স্থানে ং হয়। যেমন- সম + সার = সংসার।

১৩. বাংলা মৌলিক নাটকের যাত্রা শুরু হয় কোন নাট্যকারের হাতে?
[ক] মধুসূদন দত্ত
[খ] দীনবন্ধু মিত্র
[গ] জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর
✅ রামনারায়ণ তর্করত্ন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রামনারায়ণ তর্করত্ন
🔶 উনিশ শতকের গোড়ার দিকে সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ শুরু হলেও প্রকৃতপক্ষে মৌলিক বাংলা নাট্যসাহিত্যের সূত্রপাত হয়- রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘কুলীনকুল সর্বস্ব’ (১৮৫৪) ও তারাপদ শিকদারের ‘ভদ্রার্জুন’ (১৮৫২) নাটক থেকে।
মধুসূদন দত্ত
🔶 পাশ্চাত্যের নাট্যরীতিতে বাংলা নাটক রচনা করেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 প্রথম বাংলা সার্থক ট্রাজেডি- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘কৃষ্ণকুমারী’ নাটক।
🔶 মাইকেল মধুসূদন বাংলা কাব্যে প্রবর্তন করেন- অমিত্রাক্ষর ছন্দের।
🔶 মধুসূদন প্রথম অমিত্রাক্ষর ছন্দের ব্যবহার করেন- ‘পদ্মাবতী’ নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে।
🔶 মাইকেল জন্মগ্রহণ করেন- ২৫ জানুয়ারি, ১৮২৪, যশোরের সাগরদাঁড়ি গ্রাম।
🔶 তার ঐতিহাসিক বিয়োগান্ত নাটক- ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১)।
🔶 তার দুটি পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত নাটক- ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৯) ও ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০)।
দীনবন্ধু মিত্র
🔶 মধুসূদনের সমসাময়িক সার্থক নাট্যকার ছিলেন- দীনবন্ধু মিত্র।
🔶 তার রচিত বিখ্যাত নাটক- ‘নীল দর্পণ’ (১৮৬০), ‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩) ‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) ইত্যাদি।
🔶 বৃটিশ কলকাতার নব্যশিক্ষিত যুবকদের মদ্যপান ও পতিতাসঙ্গ নিয়ে ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু রচিত প্রহসন- ‘সধবার একাদশী’।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের মূল বিষয়বস্ত্ত- সমকালীন সমাজবাস্তবতা।
🔶 ‘নীলদর্পণ’ নাটকের সংলাপে ব্যবহার করেন- যশোরের গ্রাম্য আঞ্চলিক ভাষা।
🔶 বহুবিবাহ সমর্থনকারীদের ব্যঙ্গ করে দীনবন্ধু রচিত নাটক- বিয়ে পাগলা বুড়ো।
জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৪. প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে পরোক্ষ কোনো বস্তুর তুলনা করলে প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়-
[ক] উপমিত
[খ] উপমান
✅ উপমেয়
[ঘ] রূপক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
উপমেয়
🔶 প্রত্যক্ষ কোনো বস্তুর সাথে অন্য কোনো পরোক্ষ বস্তুর তুলনা করা হলে ঐ প্রত্যক্ষ বস্তুটিকে বলা হয়- ‘উপমেয়’।
উপমান
🔶 ‘উপমান’ শব্দের অর্থ- ‘তুলনীয় বস্তু’।
🔶 যার সাথে উপমা দেয়া হয় বা তুলনা করা হয় তাকে বলে- ‘উপমান’। যেমন- ‘পদ্মআঁখি’ শব্দটিতে পদ্মের সাথে আঁখির উপমা দেয়া হয়েছে। সুতরাং ‘পদ্ম’ উপমান এবং ‘আঁখি’ উপমেয়।
উপমিত
🔶 ‘উপমান’ ও ‘উপমেয়’ পদের সমাস হলে যদি উপমেয়ের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয় তাকে বলে- উপমিত সমাস। যেমন- পুরুষ সিংহের ন্যায় = পুরুষসিংহ।
রূপক
🔶 যে স্থলে উপমান ও উপমেয় সমাস হয়েছে এবং উভয়ের মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয়েছে তাকে বলে- রূপক সমাস। যেমন- ফুল রূপ কুমারী = ফুলকুমারী।

১৫. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল’ পংক্তির রচয়িতা-
[ক] রামনারায়ণ তর্করত্ন
[খ] বিহারী লাল
[গ] কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার
✅ মদনমোহন তর্কালংকার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পঙক্তিটির রচয়িতা- মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭- ১৮৫৮)।
🔶 কবি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন- ‘শিশু শিক্ষা’ (১ম ও ২য় ভাগ-১৮৪৯ এবং ৩য় ভাগ-১৮৫০) নামক শিশুতোষ গ্রন্থ রচনা করে।
🔶 ‘পাখি সব করে রব, রাতি পোহাইল’ পঙক্তিটি- এ গ্রন্থের প্রথমভাগের একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় শিশুতোষ কবিতা।
🔶 কবির অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ হচ্ছে- ‘রসতরঙ্গিনী’ ও ‘বাসবদত্তা’।

১৬. ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’-এর রচয়িতা কে?
[ক] সিকান্দার আবু জাফর
✅ আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
[গ] ফররুখ আহমদ
[ঘ] আহসান হাবীব

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
🔶 ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’- আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ রচিত কাব্যগ্রন্থ (১৯৮১)।
🔶 আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বিখ্যাত দুটি কবিতা- ‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি’ এবং ‘কোনো এক মাকে’।
🔶 লেখকের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সাতনরী হার’(১৯৫৫), ‘কখনও রং কখনও সুর’ (১৯৭০), ‘কমলের চোখ’, ‘সহিষ্ণু প্রতিক্ষা’ (১৯৮২), ‘প্রেমের কবিতা’ ‘নির্বাচিত কবিতা’ ইত্যাদি।
সিকানদার আবু জাফর
🔶 সিকান্দার আবু জাফর জন্মগ্রহণ করেন- খুলনার তেতুলিয়া গ্রামে।
🔶 লেখক বাংলা সাহিত্যে স্মরণীয়- কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার, গল্পকার ও সম্পাদক হিসেবে।
🔶 মুক্তিযুদ্ধের সময়ে প্রেরণা যোগায়- লেখকের ‘আমাদের সংগ্রাম চলবেই, জনতার সংগ্রাম চলবেই’ গানটি।
🔶 সিকানদার আবু জাফরের কাব্যগ্রন্থগুলো হচ্ছে- ‘প্রসন্ন প্রহর’, ‘বৈরীবৃষ্টিতে’, ‘তিমিরান্তক’, ‘কবিতা’ ইত্যাদি।
ফররুখ আহমদ

আহসান হাবীব
🔶 বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি, লেখক ও সাংবাদিক- আহসান হাবীব।
🔶 তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ছায়াহরিণ (১৯৬২), আশার বসতি (১৯৭৫)।
🔶 তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস- অরণ্যে নীলিমা (১৯৬২)।

১৭. ‘জীবনে ও জ্যাঠামি ও সাহিত্যে ন্যাকামি’ সহ্য করতে পারতেন না-
[ক] বঙ্কিমচন্দ্র
[খ] সৈয়দ মুজতবা আলী
✅ প্রমথ চৌধুরী
[ঘ] প্রমথনাথ বিশী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘জ্যাঠামি’ শব্দের অর্থ- বাচালতা, পাকামি, অকালপক্কতা ইত্যাদি আর ‘ন্যাকামি’ শব্দের অর্থ- সারল্য বা সাধুতার ভানকারী, অজ্ঞতার ভান ইত্যাদি।
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক প্রমথ চৌধুরী ছিলেন- মার্জিত রুচি, প্রখর বুদ্ধিদীপ্ত ও অপূর্ব বাক-চাতুর্যের অধিকারী।
🔶 সাহিত্যের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তার মত হলো- ‘সাহিত্যের উদ্দেশ্য হচ্ছে সকলকে আনন্দ দান করা, কারও মনোরঞ্জন নয়। সাহিত্য ছেলের হাতের খেলনাও নয়, গুরুর হাতের বেতও নয়।’

১৮. ‘এ মাটি সোনার বাড়া’-এ উদ্ধৃতিতে ‘সোনা’ কোন অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে?
✅ বিশেষণের অতিশায়ন
[খ] রূপবাচক বিশেষণ
[গ] উপাদানবাচক বিশেষণ
[ঘ] বিধেয় বিশেষণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিশেষণ পদ যখন দুই বা ততোধিক বিশেষ পদের মধ্যে গুণ, অবস্থা, পরিমাণ প্রভৃতি বিষয় তুলনায় একের উৎকর্ষ বা অপকর্ষ বুঝিয়ে থাকে তাকে বলে- ‘বিশেষণের অতিশায়ন’।
🔶 ‘এ মাটি সোনার বাড়া’ শব্দ- খাঁটি বাংলা শব্দের অতিশায়ন। এখানে মাটিকে সোনার চেয়ে বড় বা মূল্যবান মনে করা হয়েছে।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

১৯. ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’ কে রচনা করেন?
[ক] সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
[খ] সুকুমার সেন
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] মুহম্মদ এনামুল হক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলেন- একজন বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ।
🔶 তিনি তার জীবদ্দশায় রচনা করেন- বহু গবেষণা, ভাষাতত্তব ও প্রবন্ধ গ্রন্থ।
🔶 এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- বাংলা সাহিত্যের কথা (১ম খন্ড, ১৯৫৩; ২য় খন্ড, ১৯৬৫), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৩১), বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত (১৯৬৫) ইত্যাদি।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় (১৮৯০-১৯৭৭ খ্রি)
🔶 সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়ের উল্লেখযোগ্য এ জাতীয় গ্রন্থ- 'The origin and Development of the Bengali Language' বাঙ্গালা ভাষাতত্তেবর ভূমিকা, ভাষা প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ ইত্যাদি।
সুকুমার সেন (১৯০১-১৯৯২ খ্রি)
🔶 সুকুমার সেনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- বাঙ্গালা সাহিত্যের কথা (১৯৩৯), বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস (১ম খন্ড পূর্বার্ধ, ১৯৪০, ১ম খন্ড অপরার্ধ- ১৯৪২, ২য় খন্ড, ১৩৫০, ৩য় খন্ড, ১৩৫৩, ৪র্থ খন্ড ১৩৬৫), বাঙ্গালা সাহিত্যে গদ্য (১৯৪১) ইত্যাদি।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 মুহম্মদ এনামুল হকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আরাকান রাজসভার বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯৩৫), বাংলা ভাষার সংস্কার (১৯৪৪), ব্যাকরণ মঞ্জুরী (১৯৫২), মুসলিম বাঙ্গালা সাহিত্য (১৯৫৭) ইত্যাদি।

২০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন গ্রন্থটি উপন্যাস?
✅ শেষের কবিতা
[খ] বলাকা
[গ] ডাকঘর
[ঘ] কালান্তর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শেষের কবিতা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘শেষের কবিতা’ (১৯২৯), ‘বৌ ঠাকুরাণীর হাট’ (১৮৮৩), ‘রাজর্ষি’ (১৮৮৩), ‘চোখের বালি’ (১৯০৩), ‘নৌকাডুবি’ (১৯০৬), ‘গোরা’ (১৯১০), ‘চতুরঙ্গ’ (১৯১৬), ‘ঘরে বাইরে’ (১৯১৬), ‘যোগাযোগ’ (১৯২৯), ইত্যাদি।
বলাকা
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বলাকা’ (১৯১৫), ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত (১৮৮২), ‘প্রভাত সঙ্গীত’ (১৮৮৩), ‘কড়ি ও কোমল’ (১৮৮৬), ‘মানসী’ (১৮৯০), ‘সোনার তরী’ (১৮৯৪), ‘ক্ষণিকা’ (১৯০০), ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০), ‘পুনশ্চ’ (১৯৩২), ‘শেষ লেখা’ (১৯৪১) ইত্যাদি।
ডাকঘর
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘ডাকঘর’ (১৯১২), ‘বিসর্জন’ (১৮৯১), ‘অচলায়তন’ (১৯১০), ‘রক্তকরবী’ (১৯২৪) ইত্যাদি।
কালান্তর
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘কালান্তর’ (১৯৩৭), ‘স্বদেশ’ (১৯০৮), ‘সভ্যতার সংকট’ (১৯৪১) ইত্যাদি।

২১. কাজী নজরুল ইসলামের নামের সাথে জড়িত ‘ধূমকেতু’ কোন ধরনের প্রকাশনা?
[ক] কবিতা
✅ পত্রিকা
[গ] উপন্যাস
[ঘ] ছোটগল্প

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) ছিলেন- ‘দৈনিক নবযুগ’ (১৯২০) পত্রিকার যুগ্ম-সম্পাদক।
🔶 তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়- অর্ধ সাপ্তাহিক ‘ধূমকেতু’ (১৯২২)।
🔶 পত্রিকাটিতে দেশের মুক্তির দিশারি হিসেবে ‘অনুশীলন’ ও ‘যুগান্তর’ দলের সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনকে উৎসাহ প্রদান ও ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করে প্রকাশিত হয়- বহু অগ্নিঝরা সম্পাদকীয়, কবিতা ও প্রবন্ধ।
🔶 তিনি গ্রেপ্তার হন- ‘ধূমকেতু’র পূজা সংখ্যায় (২২ সেপ্টেম্বর ১৯২২) তার ‘আনন্দময়ীর আগমনে’ কবিতা প্রকাশিত হওয়ায়।
🔶 এছাড়া তিনি সম্পাদনা করেছিলেন- ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫) নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা।

২২. জসীম উদ্দীনের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি?
✅ রাখালী
[খ] সোজন বাদিয়ার ঘাট
[গ] নক্শী কাঁথার মাঠ
[ঘ] বালুচর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘রাখালী’ (১৯২৭)।
🔶 তার প্রকাশিত অন্যান্য কাব্যগ্রন্থ- ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯), ‘বালুচর’ (১৯৩০), ‘ধানক্ষেত’ (১৯৩১), ‘সোজনবাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩), ‘হাসু’ (১৯৩৮), ‘মা যে জননী কান্দে’ (১৯৬৩) ইত্যাদি।
🔶 কবির ‘রাখালী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত-বিখ্যাত ‘কবর’ কবিতা।
🔶 উল্লেখ্য, জসীমউদ্দীনের প্রথম নাটক- ‘পদ্মাপাড়’ (১৯৫০)।
🔶 প্রথম আত্মকথা- ‘যাঁদের দেখেছি’ (১৯৫২)।
🔶 প্রথম ভ্রমণ সাহিত্য- ‘চলে মুসাফির’ (১৯৫৭)।
🔶 প্রথম প্রবন্ধ- ‘জারীগান’ (১৯৬৮)।
🔶 প্রথম ও একমাত্র উপন্যাস- ‘বোবা কাহিনী’ (১৯৬৪)।

২৩. ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
[ক] হাসান হাফিজুর রহমান
[খ] জহির রায়হান
[গ] শহীদুল্লাহ কায়সার
✅ আনোয়ার পাশা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কবি, কথাসাহিত্যিক, সমালোচক ও শিক্ষাবিদ আনোয়ার পাশা রচিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপন্যাস- ‘রাইফেল রোটি আওরাত’ (১৯৭৩)।
🔶 তার রচিত অন্যান্য উপন্যাস- ‘নীড় সন্ধানী’ (১৯৬৮) এবং ‘নিষুতি রাতের গাথা’ (১৯৬৯)।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমান রচিত কোনো উপন্যাস না পাওয়া গেলেও তার সম্পাদিত ভাষা আন্দোলনের ওপর প্রথম সংকলন- ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ (১৯৫৩)।
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৩৭১), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৩৭৫), ‘বরফ গলা নদী’ (১৯৭৬), ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’ (১৩৬৭) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৭-১৯৭১ খ্রি)
🔶 সাংবাদিক ও সাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘সারেং বৌ’ (১৯৬২), ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫) ইত্যাদি।

২৪. জঙ্গম-এর বিপরীতার্থক শব্দ কি?
[ক] অরণ্য
[খ] পর্বত
✅ স্থাবর
[ঘ] সমুদ্র

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জঙ্গম
🔶 জঙ্গম-এর বিপরীতার্থক শব্দ- স্থাবর।
🔶 ‘জঙ্গম’ বিশেষণ পদটির অর্থ- গতিশীল, শক্তিপূর্ণ, অস্থাবর, প্রাণবিশিষ্ট।

২৫. ‘উৎকর্ষতা’ কি কারণে অশুদ্ধ?
[ক] সন্ধিজনিত
✅ প্রত্যয়জনিত
[গ] উপসর্গজনিত
[ঘ] বিভক্তিজনিত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এখানে ‘উৎকর্ষতা’ শব্দটি অশুদ্ধ- প্রত্যয়জনিত কারণে।
🔶 ‘উৎকর্ষ’ একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- শ্রেষ্ঠতা, উন্নতি, বৃদ্ধি, আধিক্য ইত্যাদি।
🔶 এর বিশেষণ- ‘উৎকৃষ্টতা’, যা দ্বারা বস্তুর, ভাবের বা রুচির উৎকর্ষ বোঝায়।

২৬. তুমি না বলেছিলে আগামীকাল আসবে?-এখানে ‘না’-এর ব্যবহার কি অর্থে?
[ক] না-বাচক
✅ হ্যাঁ-বাচক
[গ] প্রশ্নবোধক
[ঘ] বিস্ময়সূচক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
হ্যাঁ-বাচক
🔶 উপরি-উক্ত বাক্যটি দেখতে প্রশ্নবোধক মনে হলেও বাক্যটির অন্তর্নিহিত ভাবটি আগামীকাল আসার কথা (বিবৃতি) বলা হয়েছে। তাই এটি- হ্যাঁ-বাচক।
না-বাচক
🔶 না-বোধক হলে হতো- ‘তুমি বলেছিলে আগামীকাল আসবে না’।
প্রশ্নবোধক
🔶 বাক্যটি প্রশ্নবোধক হলে হতো- ‘তুমি কি বলেছিলে যে, আগামীকাল আসবে?’
বিস্ময়সূচক
🔶 বিস্ময়সূচক হলে হতো- ‘আচ্ছা! তুমি না বললে আগামীকাল আসবে।’

২৭. কাজী নজরুল ইসলামের উপন্যাস কোনটি?
✅ মৃত্যুক্ষুধা
[খ] আলেয়া
[গ] ঝিলিমিলি
[ঘ] মধুমালা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস- ‘মৃত্যুক্ষুধা’ (১৯৩০)।
🔶 প্রশ্নে উল্লেখিত ‘আলেয়া’, ‘ঝিলিমিলি’ ও ‘মধুমালা’- নজরুল ইসলাম রচিত নাটক।

২৮. ‘মা যে জননী কান্দে’ কোন ধরনের রচনা?
✅ কাব্য
[খ] নাটক
[গ] উপন্যাস
[ঘ] প্রবন্ধ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীন রচিত ‘মা যে জননী কান্দে’ (১৯৬৩)- একটি কাব্যগ্রন্থ।
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- রাখালী (১৯২৭), ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯), ‘বালুচর’ (১৯৩০), ‘ধানক্ষেত’ (১৯৩১), ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩), ‘হাসু’ (১৯৩৮), ‘মাটির কান্না’ (১৯৫১) ইত্যাদি।
🔶 লেখক রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক- ‘পদ্মাপাড়’ (১৯৫০), ‘বেদের মেয়ে’ (১৯৫১), ‘মধুমালা; (১৯৫১) ইত্যাদি।
🔶 লেখক রচিত উপন্যাস- বোবা কাহিনী (১৯৬৪)।
🔶 লেখক রচিত প্রবন্ধ ও সম্পাদিত গ্রন্থ- ‘জারীগান’ (১৯৬৮) ও ‘মুর্শিদী গান’ (১৯৭৭)।

২৯. কোনটা ঠিক?
[ক] সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
[খ] কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
✅ বহিপীর (নাটক)
[ঘ] মহাশ্মশান (নাটক)

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বহিপীর (নাটক)
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত নাটক- ‘বহিপীর’ (১৯৬০)।
সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
🔶 জসীমউদ্দীন রচিত কাহিনী কাব্য- ‘সোজন বাদিয়ার ঘাট’ (১৯৩৩)।
কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
🔶 সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ রচিত উপন্যাস- ‘কাঁদো নদী কাঁদো’ (১৯৬৮)।
মহাশ্মশান (নাটক)
🔶 কায়কোবাদ রচিত মহাকাব্য- ‘মহাশ্মশান’ (১৯০৪)।

৩০. ‘কার মাথায় হাত বুলিয়েছ’ এখানে ‘মাথা’ শব্দের অর্থ-
[ক] স্বভাব নষ্ট করা
[খ] সঙর্ধা বাড়া
✅ ফাঁকি দেওয়া
[ঘ] কোনো উপায়ে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 একই শব্দকে বিভিন্ন বাক্যে বিভিন্ন অর্থে ব্যবহার করা যায়। উপরিউক্ত বাক্যে ‘মাথা’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে- ‘ফাঁকি দেয়া’ অর্থে।
🔶 ‘মাথা’ শব্দটির আরো কিছু ব্যবহার-
অঙ্গবিশেষ- তার মাথার চুল কালো।
জ্ঞান- ছাত্রটির ইংরেজিতে মাথা ভালো।
মনের অবস্থা- রাগের মাথায় কোনো কাজ করা ঠিক নয়।
দিব্যি দেয়া- মাথা খাও, চিঠি দিতে ভুল করো না।
আস্কারা পাওয়া- ছেলেটি আদর পেয়ে একেবারে মাথায় উঠেছে।

৩১. শরৎচন্দ্রের কোন উপন্যাসটি সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়েছিল?
✅ পথের দাবী
[খ] নিষ্কৃতি
[গ] চরিত্রহীন
[ঘ] দত্তা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮ খ্রি) রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস- ‘পথের দাবী’ বিপ্লববাদীদের প্রতি সমর্থনের অভিযোগে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়।
🔶 উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়- ১৯২৬ সালে।
🔶 শরৎচন্দ্র রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘নিষ্কৃতি’, চরিত্রহীন (১৯১৭), ‘দত্তা’ (১৯১৮), ‘পরিণীতা’ (১৯১৪), ‘বিরাজ বৌ’ (১৯১৪), ‘বৈকুণ্ঠের উইল’ (১৯১৬), ‘দেবদাস’ (১৯১৭), ‘শ্রীকান্ত’ (১ম পর্ব- ১৯১৭, ২য় পর্ব- ১৯১৮), ৩য় পর্ব- ১৯২৭ ও ৪র্থ পর্ব- ১৯৩৩), ‘গৃহদাহ’ (১৯২০), ‘দেনাপাওনা’ (১৯২৩), ‘শেষ প্রশ্ন’ (১৯৩১), ‘বিপ্রদাস’ (১৯৩৫) ইত্যাদি।

৩২. কোন গ্রন্থটির রচয়িতা এস ওয়াজেদ আলী?
[ক] আশা-আকাংক্ষার সমর্থনে
✅ ভবিষ্যতের বাঙালি
[গ] উন্নত জীবন
[ঘ] সভ্যতা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভবিষ্যতের বাঙালি
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক এস. ওয়াজেদ আলী (১৮৯০-১৯৫১ খ্রি) রচিত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘ভবিষ্যতের বাঙালী’ (১৯৪৩)।
🔶 তার রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- মুসলিম সংস্কৃতির আদর্শ (প্রবন্ধ), গুলদাস্তা (১৯২৭), প্রাচ্য ও প্রতীচ্য (১৯৪৩) ইত্যাদি।
উন্নত জীবন
🔶 প্রাবন্ধিক ও চিন্তাবিদ ডা. লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬ খ্রি) রচিত একটি প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘উন্নত জীবন’ (১৯২৭)।
সভ্যতা
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী (১৯০৩-১৯৫৬ খ্রি) রচিত ক্লাইভ বেলের সিভিলাইজেশনের অনুবাদ- ‘সভ্যতা’ (১৯৬৫)।

৩৩. নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
[ক] কষ্ট
[খ] উপনিষৎ
[গ] কল্যাণীয়েষু
✅ আষাঢ়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সংস্কৃত ভাষায় আদিকাল থেকে কিছু শব্দে মূর্ধন্য-ষ চলে আসছে, এসব শব্দের বানান হয়- নিত্য মূর্ধন্য-ষ। সে হিসেবে ‘আষাঢ়’ শব্দটিতে নিত্য মূর্ধন্য-ষ বর্তমান।
🔶 ব্যাকরণের যে নিয়মানুযায়ী দন্ত-ষ মূর্ধন্য-ষ তে রূপান্তরিত হয়, সে নিয়মসমূহকে বলে- ষতব বিধান। যেমন- সু + সম = সুষম, এখানে ‘সম’ শব্দটি দন্ত-স মূর্ধন্য-ষ তে পরিবর্তিত হয়েছে।

৩৪. ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’ বলেছেন-
[ক] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[খ] কাজী নজরুল ইসলাম
[গ] বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়
✅ প্রমথ চৌধুরী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘ভাষা মানুষের মুখ থেকে কলমের মুখে আসে, উল্টোটা করতে গেলে মুখে শুধু কালি পড়ে’ বলেছেন- বাংলা সাহিত্যের বিশিষ্ট সাহিত্যিক প্রথম চৌধুরীর (১৮৬৮-১৯৪৬ খ্রি)।
🔶 প্রমথ চৌধুরীর আরেকটি গুরুতবপূর্ণ পঙ্ক্তি- ‘সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত’।

৩৫. ‘অক্ষির সমীপে’ এর সংক্ষেপণ হলো-
✅ সমক্ষ
[খ] পরোক্ষ
[গ] প্রত্যক্ষ
[ঘ] নিরপেক্ষ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সমক্ষ
🔶 ‘অক্ষির সমীপে’-এর সংক্ষেপণ- সমক্ষ।
পরোক্ষ
🔶 ‘অক্ষির অগোচরে’-এর সংক্ষেপণ- পরোক্ষ।
প্রত্যক্ষ
🔶 ‘অক্ষির সম্মুখে’-এর সংক্ষেপণ- প্রত্যক্ষ।
নিরপেক্ষ
🔶 ‘পক্ষপাতহীন বা মুখাপেক্ষী নয় এমন’-এর সংক্ষেপণ- নিরপেক্ষ।

৩৬. উপসর্গের সঙ্গে প্রত্যয়ের পার্থক্য-
[ক] অব্যয় ও শব্দাংশ
[খ] নতুন শব্দ গঠনে
✅ উপসর্গ থাকে সামনে, প্রত্যয় থাকে পিছনে
[ঘ] ভিন্ন অর্থ প্রকাশে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 যেসব অব্যয় শব্দ বা ধাতুর পূর্বে বসে মূল শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায় ও নতুন শব্দ গঠন করে তাকে বলে- উপসর্গ। যেমন- বে + কার = বেকার; এখানে ‘ব’ উপসর্গ।
🔶 যেসব বর্ণ বা সমষ্টি ধাতু বা শব্দের পরে বসে নতুন শব্দ গঠন করে তাকে বলে- প্রত্যয়। যেমন- কাঁদ + অন = কাঁদন, এখানে ‘অন’ প্রত্যয়।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত প্রশ্নে (গ)-ই যথার্থ উত্তর।

৩৭. ‘তুমি এতক্ষণ কী করেছ?’ এই বাক্যে ‘কী’ কোন পদ?
[ক] বিশেষণ
[খ] অব্যয়
✅ সর্বনাম
[ঘ] ক্রিয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সর্বনাম
🔶 সর্বনাম হলো- যা বিশেষ্যের পরিবর্তে বসে। যেমন- আমি, তুমি, সে, তাকে, আমার ইত্যাদি।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘তুমি’ ও ‘কী’ উভয়ই- সর্বনাম।
বিশেষণ
🔶 বিশেষণ হলো- যা বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের দোষ, গুণ ইত্যাদি প্রকাশ করে। যেমন- ভালো, ছোট, বড়, পাঁচটি ইত্যাদি।
অব্যয়
🔶 অব্যয় হলো- যে পদের কোনো পরিবর্তন নেই। যেমন- এবং, কিংবা, কিন্তু, অথবা ইত্যাদি।
ক্রিয়া
🔶 ক্রিয়া হলো- যে পদ দ্বারা কার্য সম্পন্ন হয়। যেমন- করা, খাওয়া, যাওয়া ইত্যাদি।

৩৮. ‘আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস।’- এই বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
[ক] কর্তৃকারকে সপ্তমী
[খ] কর্মকারকে সপ্তমী
[গ] অপাদান কারকে তৃতীয়া
✅ অধিকরণ কারকে সপ্তমী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অধিকরণ কারকে সপ্তমী
🔶 যে স্থানে বা যে কালে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয় তাকে বলে- অধিকরণ কারক। যেমন- নদীতে পানি আছে।
🔶 সুতরাং উপরিউক্ত বাক্যে ‘আকাশে’ শব্দটি অধিকরণ কারক এবং এখানে ‘এ’ বিভক্তি থাকায় এটি- সপ্তমী বিভক্তি।
কর্তৃকারকে সপ্তমী
🔶 যে ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলে- কর্তৃকারক। যেমন- পাখি সব করে রব।
কর্মকারকে সপ্তমী
🔶 যাকে উদ্দেশ্য করে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে বলে- কর্মকারক। যেমন- সালাম বই পড়ে।
অপাদান কারকে তৃতীয়া
🔶 যে স্থান থেকে কোনো ঘটনার আরম্ভ বা যা দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর উৎপত্তি, চলন, উত্থান, পতন ইত্যাদি সংঘটিত হয় তাকে বলে- অপাদান কারক। যেমন- মেঘ হতে বৃষ্টি হয়।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

৩৯. ‘ভানুসিংহ’ কার ছদ্মনাম?
✅ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
[খ] সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
[গ] প্রমথ চৌধুরীর
[ঘ] টেকচাঁদ ঠাকুরের

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম- ‘ভানুসিংহ’।

সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের
🔶 সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কোনো ছদ্মনাম নেই। তার উপাধি- ‘ছন্দের যাদুকর’।
প্রমথ চৌধুরীর
🔶 প্রমথ চৌধুরীর ছদ্মনাম- ‘বীরবল’।
🔶 বাংলা সহিত্যের ইতিহাসে প্রমথ চৌধুরীর প্রধান অবদান- সাহিত্যের ভাষা হিসেবে চলিত রীতির প্রবর্তন।
🔶 বাংলা ছাড়া প্রমথ চৌধুরীর পান্ডিত্য ছিল- ইংরেজি ও ফরাসি ভাষায়।
🔶 প্রমথ চৌধুরীর চলিত রীতির প্রথম গদ্যরচনা- ১৯০২ সালে ‘ভারতী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘হালখাতা’।

টেকচাঁদ ঠাকুরের
🔶 প্যারীচাঁদ মিত্রের ছদ্মনাম- ‘টেকচাঁদ ঠাকুর’।

8০. কোন গ্রন্থটি এয়াকুব আলী চৌধুরী প্রণীত?
[ক] মোস্তফা চরিত
[খ] নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
[গ] বিশ্বনবী
✅ মানব-মুকুট

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মানব-মুকুট
🔶 বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সাংবাদিক মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী (১৮৮৮-১৯৪০ খ্রি) প্রণয়ন করেন- ‘মানব মুকুট’ (১৯২২) গ্রন্থটি।
🔶 মোহাম্মদ এয়াকুব আলী চৌধুরী রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- ‘নূরনবী’ (১৯১৮), ‘শান্তিধারা’ (১৯১৯) ইত্যাদি।
মোস্তফা চরিত
🔶 ‘মোস্তফা চরিত’ গ্রন্থটির রচয়িতা- মাওলানা আকরাম খাঁ (১৮৬৯-১৯৬৯ খ্রি)।
নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ
🔶 ‘নয়াজাতির স্রষ্টা হযরত মোহাম্মদ’ গ্রন্থটির রচয়িতা- মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪ খ্রি)।
বিশ্বনবী
🔶 ‘বিশ্বনবী’ গ্রন্থটির রচয়িতা- কবি গোলাম মোস্তফা।

8১. ‘সুন্দর মাত্রেরই একটা আকর্ষণ শক্তি আছে’। - এই বাক্যে সুন্দর শব্দটি কোন পদ?
✅ বিশেষ্য
[খ] বিশেষণ
[গ] সর্বনাম
[ঘ] বিশেষণের বিশেষণ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 এখানে ‘সুন্দর’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে- বিশেষ্য হিসেবে।
🔶 সাধারণ অর্থে ‘সুন্দর’ শব্দটি বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয় যার অর্থ- লাবণ্যময়, মনোহর, উত্তম ইত্যাদি।

8২. ‘সাম্য’ গ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[ঘ] মোহাম্মদ লুৎফর রহমান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪ খ্রি)
🔶 বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বিখ্যাত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘সাম্য’ (১৮৭৯)।
🔶 তার অন্যান্য উলে­খযোগ্য গ্রন্থ- ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫), ‘কপালকুন্ডলা’ (১৮৬৬), ‘মৃণালিনী’ (১৮৬৯), ‘বিষবৃক্ষ’ (১৮৭৩), ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ (১৮৭৮), ‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২),দেবী চৌধুরানী (১৮৮৪),কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), ‘কৃষ্ণচরিত্র’ (১৮৮৬) ইত্যাদি।

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 উলে­খ্য কাজী নজরুল ইসলামের উলে­খযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘যুগবাণী’ (১৯২২), ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (১৯২৩), ‘দুর্দিনের যাত্রী’ (১৯২৬) ও রুদ্রমঙ্গল।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ- তুর্কী মহিলার ঘোমটা খোলা। সওগাতের কার্তিক সংখ্যায় প্রকাশিত হয় ১৩২৬ বঙ্গাব্দে।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ গ্রন্থ- যুগবাণী, (১৯২২)।
মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ (১৮৯৮-১৯৭৪ খ্রি)
🔶 গদ্যশিল্পী মোহাম্মদ বরকতুল্লাহর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘পারস্য প্রতিভা’ (১ম খন্ড’ ১৯২৪ ও ২য় খন্ড ১৯৩২) ও ‘মানুষের ধর্ম’ (১৯৩৪)।
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৮৯-১৯৩৬ খ্রি)
🔶 ডাক্তার লুৎফর রহমান -এর উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘উচ্চজীবন’ (১৯১৯), ‘মহৎজীবন’ (১৯২৬), ‘উন্নত জীবন’ (১৯২৭), ‘মানবজীবন’ (১৯২৭) ও ‘সত্যজীবন’ (১৯৪০)।

8৩. সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত পত্রিকাটির নাম কি?
[ক] সওগাত
✅ সমকাল
[গ] উত্তরণ
[ঘ] শিখা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সমকাল
🔶 সাহিত্য মাসিক ‘সমকাল’ পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক- কবি, সঙ্গীত রচয়িতা, নাট্যকার ও সাংবাদিক সিকান্দর আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)।
🔶 ১৯৫৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রকাশিত এ পত্রিকাটি ছাড়াও তিনি অধীন ছিলেন- দৈনিক ইত্তেফাকের (১৯৫৩) সহযোগী সম্পাদক এবং দৈনিক মিল্লাতের (১৯৫৪) প্রধান সম্পাদক পদে।
সওগাত
🔶 ‘সওগাত’ (১৯১৮) পত্রিকাটির সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
উত্তরণ
🔶 ‘উত্তরণ’ পত্রিকাটির সম্পাদক- হাসান হাফিজুর রহমান।
শিখা
🔶 ‘শিখা’ পত্রিকাটির সম্পাদক- কাজী মোতাহের হোসেন।
🔶 ‘শিখা’ (১৯২৭) নামে একটি বার্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে, যার সম্পাদক ছিলেন- আবুল হোসেন।

8৪. ‘ফণি-মনসা’ কাব্যের রচয়িতা কে?
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] আহসান হাবীব
[গ] সিকান্দার আবু জাফর
[ঘ] হাসান হাফিজুর রহমান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬ খ্রি)
🔶 ১৯২৭ সালে প্রকাশিত কবি নজরুল ইসলামের একটি বিদ্রোহপ্রকাশক কাব্যগ্রন্থ- ‘ফনি-মনসা’।
🔶 কবির অন্যান্য উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪), ‘ভাঙ্গার গান’ (১৯২৪), ‘সাম্যবাদী’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬), ‘জিঞ্জির’ (১৯২৮), ‘সন্ধ্যা’ (১৯২৯), ‘প্রলয়শিখা’ (১৯৩০), ‘দোলনচাপা’ (১৯২৩), ‘ছায়ানট’ (১৯২৪), ‘সিন্ধু-হিলে­vল’ (১৯২৭), ‘চক্রবাক’ (১৯২৯), ‘মরুভাস্কর’ (১৯৫৭) ইত্যাদি।
আহসান হাবীব (১৯১৭-১৯৮৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক আহসান হাবীবের উলে­খযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- রাত্রিশেষ (১৯৪৭), ‘ছায়াহরিণ’ (১৯৬২), ‘মেঘ বলে চৈত্রে যাবো’ (১৯৭৬), ‘প্রেমের কবিতা’ (১৯৮১) ইত্যাদি।
সিকান্দার আবু জাফর (১৯১৯-১৯৭৫ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক সিকান্দার আবু জাফর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রসন্ন প্রহর’ (১৯৬৫), ‘বৈরী বৃষ্টিতে’ (১৯৬৫), ‘তিমিরান্তক’ (১৯৬৫), ‘কবিতা ১৩৭২’ (১৯৭২) ইত্যাদি।
হাসান হাফিজুর রহমান (১৯৩২-১৯৮৩ খ্রি)
🔶 কবি ও সাংবাদিক হাসান হাফিজুর রহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘বিমুখ প্রান্তর’ (১৯৬৩)’ ‘আর্ত শব্দাবলী’ (১৯৬৮), ‘যখন উদ্যত সঙ্গীন’ (১৯৭২), ‘বজ্রে চেরা আঁধার আমার’ (১৯৭৬) ইত্যাদি।

8৫. ‘বীরবলের হালখাতা’ গ্রন্থটি কোন ধরনের রচনা?
[ক] কাব্য
[খ] নাটক
[গ] উপন্যাস
✅ প্রবন্ধ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যে চলিত ভাষার প্রবর্তক ও বিদ্রূপাত্মক প্রাবন্ধিক প্রমথ চৌধুরী (১৯৬৮-১৯৪৬ খ্রি) প্রণীত একটি প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘বীরবলের হালখাতা’ (১৯১৬)।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- ‘তেল-নুন-লাকড়ি’ (১৯০৬), ‘নানাকথা’ (১৯১৯), ‘আমাদের শিক্ষা’ (১৯২০), ‘রায়তের কথা’ (১৯২৬), ‘চার ইয়ারী কথা’ (১৯১৬), ‘সনেট পঞ্চাশৎ’ (১৯১৩) ইত্যাদি।

8৬. বাংলা একাডেমীর ‘আঞ্চলিক অভিধান’ সম্পাদনা কে করেন?
✅ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[খ] মুহম্মদ এনামুল হক
[গ] মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন
[ঘ] মুহম্মদ আবদুল হাই

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ (১৮৮৫-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ভাষাবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদনা করেছেন- বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত দুই খন্ডে বিভক্ত ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’।
🔶 তার সংকলিত ও সম্পাদিত অন্যান্য গ্রন্থ- পদ্মাবতী (১৯৫০), প্রাচীন ধর্মগ্রন্থে শেষনবী (১৯৫২) এবং গল্প সংকলন (১৯৫৩)।
মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহাম্মদ এনামুল হক সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ-বাংলাদেশের ব্যবহারিক অভিধান (স্বরবর্ণাংশ সম্পাদনা, ১৯৭৪) Perso-Arabic Elements in Bengali (ড. জি. এম. হেলালী সহযোগে, ১৯৬৭) ইত্যাদি।
মুহম্মদ মনসুর উদ্দিন (১৯০৪-১৯৮৭ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট ফোকলোর বিশেষজ্ঞ, লেখক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ মনসুরউদ্দিন সম্পাদিত গ্রন্থ- হারামনি (১ম খন্ড ১৯৩০, ২য় খন্ড ১৯৪২, ৩য় খন্ড ১৯৪৭, ৪র্থ খন্ড ১৯৫৮, ৫ম খন্ড ১৯৬১, ৬ষ্ঠ খন্ড ১৯৬২, ৭ম খন্ড ১৯৬৫, ৮ম খন্ড ১৯৭৬, ৯ম খন্ড ১৯৮৮, ১০ম খন্ড ১৯৮৯)।
মুহম্মদ আবদুল হাই (১৯১৯-১৯৬৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ধ্বনিতাত্তিবক ও সাহিত্যিক মুহাম্মদ আব্দুল হাই প্রণীত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- সাহিত্য ও সংস্কৃতি (১৯৫৪), বিলাতে সাড়ে সাতশ দিন (১৯৫৮), ভাষা ও সাহিত্য (১৯৬০), ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্তব (১৯৬৪), বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত (সৈয়দ আলী আহসান সহযোগে, ১৯৬৮) ইত্যাদি।

8৭. সনেটের ক’টি অংশ?
[ক] একটি
✅ দুটি
[গ] তিনটি
[ঘ] চারটি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দটি এসেছে- ইতালীয় শব্দ ‘সনেট’ (অর্থ- মৃদুধ্বনি) থেকে।
🔶 সাধারণভাবে কবিতার চৌদ্দটি লাইন দুটি ভাগে বিভক্ত থাকে- প্রথম ভাগে আট লাইনে এবং দ্বিতীয় ভাগে ছয় লাইনে থাকে, প্রথম ভাগকে অভিহিত করা হয়- ‘অষ্টক’ এবং দ্বিতীয় ভাগকে- ‘ষট্ক’ বা ‘ষষ্টক’ নামে।
🔶 পরবর্তীতে এ ভাগ অন্যরকম হতেও দেখা যায়। তিনটি চার লাইনের ভাগ; প্রতিটি পরিচিত- ‘চতুষ্ক’ নামে এবং শেষ দুটি অন্ত্যমিলবিশিষ্ট চরণ।

Bangla General Knowledge (GK) question answer pdf download.

8৮. ‘কাঁচি’ কোন ধরনের শব্দ?
[ক] আরবি
[খ] ফারসি
[গ] হিন্দি
✅ তুর্কি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
তুর্কি
🔶 তুর্কি ভাষার শব্দ- ‘কাঁচি’।
🔶 তুর্কি ভাষার আরো কিছু শব্দ- চাকর, দারোগা, উর্দি, উর্দু, কুলি, খান, খোকা, চকমক, ঠাকুর, তালাশ, দাদা, নানা, নানী, বাবা, বাবুর্চি, মোগল, সওগাত ইত্যাদি।
আরবি
🔶 আরবি ভাষার কিছু শব্দ- আল্লাহ, ইসলাম, ঈমান, ওযু, কুরবানি, গোসল, হালাল, হারাম, হজ, যাকাত, আদালত, উকিল, এজলাস, কলম, কানুন, খারিজ, দোয়াত, নগদ, বাকি, মুনসেফ, তারিখ, খবর, খয়রাত, আজব, আতর, আমানত, আসল, নফল, এলাকা, কায়দা, খাজনা, খেতাব, ছবি, জনাব, জরিমানা, নবাব, বই ইত্যাদি।
ফারসি
🔶 ফারসি ভাষার কিছু শব্দ- ফরিয়াদ, নালিশ, সালিশ, আইন, দরবার, বাদশাহ, জমিদার, বেহেশত, আফসোস, আমদানি, রপ্তানি, নমুনা, জানোয়ার, গ্রেপ্তার, চাঁদা, মজুরি ইত্যাদি।
হিন্দি
🔶 হিন্দি ভাষা থেকে আগত এরূপ কিছু শব্দ- ঘর, পেট, নাক, চাকু, জঙ্গল, চাউল ইত্যাদি।

8৯. ‘কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’
-এই উদ্ধৃতাংশটি কোন কবির রচনা?
✅ কাজী নজরুল ইসলাম
[খ] মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[গ] সুকান্ত ভট্টাচার্য
[ঘ] বেনজীর আহমেদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘কাটাকুঞ্জে বসি তুই গাঁথবি মালিকা
দিয়া গেনু ভালে তোর বেদনার টীকা’-এই উদ্ধৃতাংশটির রচয়িতা- কাজী নজরুল ইসলাম।

৫০. অধিকরণ কারকে সপ্তমী বিভক্তির উদাহরণ আছে কোন বাক্যটিতে?
[ক] ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল
[খ] কাজের পরিচয় ফলে বোঝা যায়
[গ] ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা একলা জেগে রই
✅ আকাশে তো আমি রাখি নাই মোর উড়িবার ইতিহাস

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 উপরিউক্ত বাক্যগুলোর মধ্যে (ঘ)-ই যথার্থ উত্তর।
🔶 যে স্থানে বা যে সময়ে ক্রিয়া সম্পাদিত হয় তাকে বলে- অধিকরণ কারক।
🔶 ক্রিয়াপদ ধরে কোথায়, কোন স্থানে, কখন, কোন সময়ে, কবে, কোন বিষয়ে বা ব্যাপারে-এসব প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়- তা-ই অধিকরণ কারক। যেমন- তারেক মাঠে খেলে। এখানে ‘কোথায় খেলে?’ প্রশ্নের উত্তর হবে- মাঠে। সুতরাং ‘মাঠে’ অধিকরণ কারক।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post