সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১০

সাধারণ জ্ঞান "বাংলা সাহিত্য" বিসিএস এবং সরকারী চাকুরীর পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি - ১০
১. ‘কাঁঠালপাড়া’য় জন্মগ্রহণ করেন কোন্ লেখক?
[ক] শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[খ] সুভাষ মুখোপাধ্যায়
[গ] কাজী ইমদাদুল হক
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮ - ১৮৯৪)
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চবিবশ পরগণা জেলার কাঁঠালপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন- ১৮৩৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৭-এ জুন।
🔶 বঙ্কিমের শেষ স্মরণীয় সাহিত্যকীর্তি- ‘আনন্দমঠ’।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র সম্পাদিত পত্রিকা- ‘বঙ্গদর্শন’।
🔶 বন্দে মাতরম, মাতৃভূমি, জন্মভূমি, স্বরাজ, মন্ত্র প্রভৃতি পোগান- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত প্রবন্ধের।
🔶 বঙ্কিমের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- দূর্গেশনন্দিনী, কপালকুন্ডলা, দেবী চৌধুরানী, রাজসিংহ, সীতারাম প্রভৃতি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৯৭৬-১৮৩৮)

সুভাষ মুখোপাধ্যায়
🔶 সুভাষ মুখোপাধ্যায় পরিচিত- ‘পদাতিক কবি’ হিসেবে।
কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২ - ১৯২৬)
🔶 ‘আবদুল্লাহ’ উপন্যাসের লেখক- কাজী ইমদাদুল হক।
🔶 কাজী ইমদাদুল হক সম্পাদিত শিক্ষাবিষয়ক মাসিক পত্রিকা- ‘শিক্ষক’।
🔶 লেখকের প্রাপ্ত উপাধি- ‘খান সাহেব’ (১৯১৯) ও ‘খান বাহাদুর’ (১৯২৬)।
🔶 লেখকের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- আঁখিজল, নবীকাহিনী, প্রবন্ধমালা, কামারের কান্ড প্রভৃতি।

২. নিচের কোন্টি অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি?
[ক] ভ
[খ] ঠ
[গ] ফ
✅ চ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হচ্ছে- চ।
🔶 ক-ম পর্যন্ত ২৫টি বর্ণকে উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে ভাগ করা হয়েছে- ৫টি বর্গে।
🔶 ২৫টি স্পর্শ বর্ণকে আবার ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- অঘোষ, ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি।
অঘোষধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় না তাকে বলে- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 বর্গের ১ম ও ২য় ধ্বনিকে বলা হয়- অঘোষ ধ্বনি।
🔶 অঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
ঘোষ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরণিত হয় তাকে বলে- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার ব্যঞ্জণবর্ণের ৩য় ও ৪র্থ বর্ণকে বলা হয়- ঘোষ ধ্বনি।
🔶 ঘোষ ধ্বনিসমূহ হলো- গ, জ, ড, দ, ব, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।
অল্পপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের স্বল্পতা থাকে তাকে বলা হয়- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ১ম ও ৩য় ধ্বনিসমূহ হলো- অল্পপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 অল্পপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- ক, চ, ট, ত, প, গ, জ, ড, দ, ব।
মহাপ্রাণ ধ্বনি
🔶 যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় বাতাসের চাপের আধিক্য থাকে তাকে বলে- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 বাংলা বর্ণমালার বর্গের ২য় ও ৪র্থ ধ্বনিসমূহ হলো- মহাপ্রাণ ধ্বনি।
🔶 মহাপ্রাণ ধ্বনিসমূহ হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ, ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ফ।
🔶 অঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- ক, চ, ট, ত, প।
🔶 অঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- খ, ছ, ঠ, থ, ফ।
🔶 ঘোষ অল্পপ্রাণ ধ্বনি হলো- গ, জ, ড, দ, ব।
🔶 ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি হলো- ঘ, ঝ, ঢ, ধ, ভ।

Bangla General Knowledge (GK) question answer pdf download.

৩. ‘অপ’ কী ধরনের উপসর্গ?
✅ সংস্কৃত
[খ] বাংলা
[গ] বিদেশি
[ঘ] মিশ্র

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সংস্কৃত উপসর্গ
🔶 ‘অপ’ হলো- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 যেসব অব্যয় শব্দের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হয়ে সে শব্দের নতুন অর্থ সৃষ্টি করে তাকে বলে- উপসর্গ।
🔶 উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই কিন্তু আছে- অর্থদ্যোতকতা।
🔶 বাংলা ভাষায় উপসর্গ- ৩ প্রকার, তৎসম বা সংস্কৃত, খাঁটি বাংলা ও বিদেশি উপসর্গ।
🔶 যে সব উপসর্গ সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় এসেছে তাদেরকে বলে- সংস্কৃত উপসর্গ।
🔶 সংস্কৃত উপসর্গ প্রধানত- ২০টি। যথা : প্র, প্ররা, অপ, সম, নি, অনু, অব, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
🔶 বাংলা ভাষায় কখনো কখনো স্বাধীন প্রয়োগ হতে পারে- ২টি উপসর্গের; অতি ও প্রতি।
বাংলা উপসর্গ
🔶 বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত নিজস্ব উপসর্গকে বলা হয়- খাঁটি বাংলা উপসর্গ।
🔶 বাংলা উপসর্গ সাধারণত যুক্ত হয়- খাঁটি বাংলা শব্দের পূর্বেই।
🔶 খাঁটি বাংলা উপসর্গ- ২১টি। যথা : অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়, আন, আব, ইতি, উন (উনা), কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
বিদেশি উপসর্গ
🔶 বিদেশি উপসর্গ হলো- আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও হিন্দি ভাষার উপসর্গ।
🔶 ফারসি উপসর্গগুলো হলো- কার, সে, দর, না, নিম, ফি, বর, বে, বদ, ব, হর।
🔶 আরবি উপসর্গগুলো হলো- আম, খাস, লা, বাজে, গর, খয়ের।
🔶 উর্দু, হিন্দি উপসর্গগুলো (প্রত্যেক অর্থে) হলো- হররোজ, হরমাহিনা, হরকিসিম।
🔶 ইংরেজি উপসর্গগুলো হলো- সাব (Sub), হেড (Head), ফুল (Full), হাফ (Half)।

8. নিচের কোন্টি মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম-মৃত্যু সাল?
[ক] ১৮৪৭-১৯১১
[খ] ১৮৫২-১৯১২
[গ] ১৮৫৭-১৯১১
✅ ১৮৪৭-১৯১২

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মীর মশাররফ হোসেন
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্মমৃত্যু সাল- ১৮৪৭ - ১৯১২।
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের জন্ম- লাহিনী পাড়া, কুষ্টিয়ায়, ১৩ই নভেম্বর ১৮৪৭ খ্রিষ্টাব্দে।
🔶 ঊনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যের পথিকৃত- মীর মশাররফ হোসেন।
🔶 মশাররফের সাহিত্যগুরু ছিলেন- ‘গ্রামবার্তা’র সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ।
🔶 মশাররফ সম্পাদিত দুটি পত্রিকা- ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকারী’।
🔶 মশাররফের ‘জমিদার দর্পণ’ নাটকটি রচিত- সিরাজগঞ্জে সংঘটিত ১৮৭২-৩৭ সালের কৃষক-বিদ্রোহের পটভূমিকায়।

৫. রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতা কোন্ ছন্দে রচিত?
[ক] স্বরবৃত্ত
[খ] অক্ষরবৃত্ত
[গ] মন্দাক্রান্তা
✅ মাত্রাবৃত্ত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মাত্রাবৃত্ত
🔶 রবীন্দ্রনাথের ‘সোনার তরী’ কবিতাটি রচিত- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- সাধারণত ৬ মাত্রার।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত প্রথম গ্রন্থ- ‘চর্যাপদ’।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দটির সৃষ্টিকর্তা বলা হয়- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
🔶 মাত্রাবৃত্ত ছন্দের অন্যান্য নাম- ধ্বনিপ্রধান, বিস্তার প্রধান, সরল কলামাত্রিক।
স্বরবৃত্ত
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্বের মাত্রাসংখ্যা- ৪।
🔶 স্বরবৃত্তের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- রবীন্দ্রনাথের ‘হসন্তের ছাঁচ’ অর্থাৎ বাংলা শব্দের হলন্ত বা ব্যঞ্জনান্ত উচ্চারণ প্রক্রিয়া।
🔶 বাউল গান, লোককথায় ও ছড়ায় পাওয়া যায়- স্বরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 স্বরবৃত্ত ছন্দের প্রধান বৈশিষ্ট্য- উচ্চারণে দ্রুততা ও সবলতা।
🔶 ময়মনসিংহ গীতিকা, গোপীচন্দ্রের গান, শ্যামাসঙ্গীত, বাউল পদ, পাঁচালি প্রভৃতি- স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
অক্ষরবৃত্ত
🔶 অক্ষরবৃত্ত ছন্দের মূলপর্ব হয়- ৮ বা ১০ মাত্রার।
🔶 বাংলা কাব্যের প্রধান ছন্দ- অক্ষরবৃত্ত ছন্দ।
🔶 অক্ষরবৃত্তের উৎস হলো- অনুষ্টুপ (বৈদিক), বসন্ততিলক (বৃত্তছন্দ)।
🔶 ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর অনুবাদ হয়েছে- অক্ষরবৃত্ত ছন্দে।

৬. ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন কোন্টি?
[ক] সহ + চর + র্য
[খ] সহচর + ৎ ফলা
✅ সহচর + য
[ঘ] কোনটিই নয়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সাহচর্য’ শব্দের শুদ্ধ গঠন- সহচর + য।
🔶 সাহচর্য হলো- তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 শব্দ বা ক্রিয়ার মূলকে বলে- প্রকৃতি। যথা : পড় + আ = পড়া; পড় হলো প্রকৃতি।
🔶 প্রকৃতি ২ প্রকার- নাম প্রকৃতি ও ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 বিভক্তিহীন শব্দকে বলা হয়- নাম প্রকৃতি।
🔶 নাম প্রকৃতির অন্য নাম- প্রাতিপাদিক।
🔶 ক্রিয়ামূলকে বলা হয়- ক্রিয়া প্রকৃতি।
🔶 ধাতু বা শব্দের পরে ভিন্নার্থের যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠিত হয় তাদের বলে- প্রত্যয়। যথা : দুল + অনা = দোলনা; অনা হলো প্রত্যয়।
🔶 প্রত্যয় দুই প্রকার- কৃৎ প্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়।
🔶 কৃৎ প্রত্যয় যুক্ত হয়- ধাতু বা ক্রিয়ার সাথে।
🔶 মৌলিক শব্দের শেষে যুক্ত হয়- তদ্ধিত প্রত্যয়।

৭. ‘পাহাড়তলী’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন -
[ক] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
[খ] সৈয়দ শামসুল হক
[গ] শামসুর রাহমান
[ঘ] সেলিম আলদীন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
শামসুর রাহমান
🔶 কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস- নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার পাহাড়তলী গ্রাম।
🔶 শামসুর রাহমানের জন্ম- পুরান ঢাকার মাহুতটুলীতে ১৯২৯ সালের ২৩-এ অক্টোবর।
🔶 শামসুর রাহমানের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ (১৯৬০)।
🔶 শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী- রৌদ্র করোটিতে, বিধ্বস্ত নীলিমা, নিজ বাসভূমে, বন্দী শিবির থেকে, প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে, অক্টোপাস, এলাটিং বেলাটিং প্রভৃতি।
🔶 ‘স্বাধীনতা তুমি’ কবিতাটি- শামসুর রাহমানের।
🔶 ‘এই বাঙ্গালায় তোমাকেই আসতে হবে, হে স্বাধীনতা’ পংক্তিটি- শামসুর রাহমানের।
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 মধ্যযুগীয় চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
🔶 বাঁকুড়ার জমিদার রঘুনাথের সভাকবি ছিলেন- মুকুন্দরাম।
🔶 মুকুন্দরামকে রঘুনাথ রায় প্রদত্ত উপাধি- কবিকঙ্কন।
🔶 মুকুন্দরাম ‘চন্ডীমঙ্গল’ কাব্য রচনা করেন- রঘুনাথের প্রেরণায়।
🔶 মুকুন্দরাম সৃষ্ট অমর চরিত্র- মুরারিশীল, ভাঁড়ূদত্ত, ফুল­রা প্রভৃতি।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হক জন্মগ্রহণ করেন- ২৭-এ ডিসেম্বর ১৯৩৫ সালে, কুড়িগ্রামে।
🔶 কথাসাহিত্যিক ও গল্পকার সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কলামের নাম- হৃৎকলমের টানে, দৈনিক সংবাদ।
🔶 শামসুল হকের উল্লেখযোগ্য রচনাবলী- এক মহিলার ছবি, খেলারাম খেলে যা, একদা এক রাজ্যে, তাস, রক্তগোলাপ, নুরুল দীনের সারাজীবন প্রভৃতি।
সেলিম আল-দীন
🔶 প্রখ্যাত নাট্যকার ও সাহিত্যিক সেলিম আল দীনের জন্ম- ১৯৪৮ সালে, নোয়াখালীতে।
🔶 গ্রাম থিয়েটার ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্তব বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা- সেলিম আল দীন।
🔶 সেলিম আল দীনের উল্লেখযোগ্য নাটক- অনিকেত, জন্ডিস ও বিবিধ বেলুন, মুনতাসির ফ্যান্টাসি, কিত্তনখোলা, চাকা, যৈবতী কন্যার মন।

৮. ‘পূর্বাশা’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন-
[ক] মুন্সী মেহেরল্লা
✅ সঞ্জয় ভট্টাচার্য
[গ] কামিনী রায়
[ঘ] মোজাম্মেল হক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘পূর্বাশা’ মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন- সঞ্জয় ভট্টাচার্য।
🔶 কবি, ঔপন্যাসিক, সম্পাদক সঞ্চয় ভট্টাচার্য জন্মগ্রহণ করেন- বর্তমান কুমিল্লার শ্যামগ্রামে।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

৯. বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ কয়টি?
[ক] ১৩টি
[খ] ১০টি
[গ] ১২টি
✅ ১১টি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা বর্ণমালায় স্বরবর্ণ- ১১টি; অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
🔶 ব্যঞ্জনবর্ণ- ৩৯টি।
🔶 বাংলা বর্ণমালায় মোট বর্ণ- ৫০টি।
🔶 ৫০টি বর্ণের মধ্যে- মাত্রাহীন বর্ণ ১০টি, অর্ধমাত্রার বর্ণ ৮টি, পূর্ণমাত্রার বর্ণ ৩২টি।

১০. বাংলা সাহিত্যের আদি কবি কে?
[ক] কাহ্নপা
[খ] ঢেন্ডনাপা
✅ লুইপা
[ঘ] ভূসুকুপা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
লুইপা
🔶 বাংলা সাহিত্যের আদি কবি- লুইপা।
🔶 তিনি রচনা করেছেন- চর্যাপদের ১ম পদসহ ২টি পদ।
কাহ্নপা
🔶 কাহ্নপার প্রকৃত নাম- শান্তিদেব।
🔶 চর্যাপদে প্রাপ্ত কাহ্নপার অন্যান্য নাম- কৃষ্ণাচার্য, কৃষ্ণা।
ঢেন্ডনাপা
🔶 চর্যাপদের ১টি পদ রচয়িতা- ঢেন্ডনাপা।
ভুসুকুপা
🔶 ভূসুকুপা চর্যাপদের দ্বিতীয় সর্বাধিক- ৮টি পদ ও ২৩নং খন্ডিত পদটির রচয়িতা।
🔶 ২৩নং পদটি খন্ডাকারে পাওয়া গেছে- অর্থাৎ ১০টি পঙ্ক্তির মধ্যে ৬টি।

১১. তৎসম শব্দের ব্যবহার কোন রীতিতে বেশি হয়?
[ক] চলিত রীতি
[খ] সাধু রীতি
✅ মিশ্র রীতি
[ঘ] আঞ্চলিক রীতি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশি হয়- সাধু রীতিতে।
🔶 যে ভাষা প্রধানত তৎসম শব্দবহুল, সর্বনাম ও ক্রিয়াপদসমূহ সুনির্ধারিত ব্যাকরণের নিয়ম অনুসরণ করে চলে এবং পদবিন্যাস সুনিয়ন্ত্রিত ও সুনির্দিষ্ট তাকে বলা হয়- সাধু ভাষা।

১২. বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন কে?
[ক] অক্ষয় দত্ত
[খ] মার্সম্যান
[গ] ব্রাসি হ্যালহেড
✅ রাজা রামমোহন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রাজা রামমোহন
🔶 বাংলা ভাষায় প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন- রাজা রামমোহন রায়।
🔶 তিনি ইংরেজি ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন- 'Bengali Grammar in English Language' নামে।
🔶 পরবর্তীতে গ্রন্থটি বাংলায় অনুবাদ করে নামকরণ করা হয়- গৌড়ীয় ব্যাকরণ।
ব্রাসি হ্যালহেড
🔶 ১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দে নাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড নামক ইংরেজ পন্ডিত ইংরেজি ভাষায় প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন- 'A Grammar of the Bengal Language' নামে।

১৩. ফররুখ আহমদের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
✅ সাত সাগরের মাঝি
[খ] পাখির বাসা
[গ] হাতেম তাই
[ঘ] নৌফেল ও হাতেম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ফররুখ আহমদ-এর শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়- সাত সাগরের মাঝি (১৯৪৪)।
🔶 চলি­শের দশকে আবির্ভূত শক্তিমান কবিদের অন্যতম ফররুখ আহমদের (১৯১৮-১৯৭৪ খ্রি) প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’ (১৯৪৪)।
🔶 ফররুখ আহমদ সমধিক পরিচিত- ইসলামী পুনর্জাগরণের কবি নামে।
🔶 ফররুখ আহমদ তাঁর কবিতায় বেশি ব্যবহার করেছেন- আরবি-ফারসি শব্দ।
🔶 ফররুখ আহমদ আদমজী পুরস্কার লাভ করেন- হাতেম তায়ী গ্রন্থের জন্য।
🔶 ফররুখ আহমদ রচিত সনেট গ্রন্থ- ‘মুহূর্তের কবিতা’।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ- ‘সিরাজাম মুনীরা’ (১৯৫২), ‘নৌফেল ও হাতেম’ (কাব্যনাট্য, ১৯৬১), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (সনেট সংকলন, ১৯৬৩), ‘হাতেম তায়ী’ (কাহিনী কাব্য, ১৯৬৬) ইত্যাদি।

১৪. প্রাচীনতম বাঙ্গালী মুসলমান কবি কে?
[ক] আলাওল
[খ] সৈয়দ সুলতান
[গ] মুহম্মদ খান
✅ শাহ্ মুহম্মদ সগীর

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
শাহ্ মুহম্মদ সগীর
🔶 মধ্যযুগের প্রাচীনতম বাঙালি মুসলমান কবি- শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
🔶 তিনি ছিলেন- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের সভাকবি।
🔶 তিনিই প্রথম এদেশের পাঠকের কাছে তুলে ধরেন- বাংলা ভাষার মাধ্যমে আরবি-ফারসি সাহিত্যের বিষয়।
আলাওল
🔶 মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা- আলাওল।
🔶 তিনি ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাকে বলা হয়- ‘পন্ডিত কবি’।
🔶 তাঁর ‘পদ্মাবতী’ মালিক মোহাম্মদ জায়সীকৃত হিন্দি ‘পদুমাবুৎ’, ‘সতীময়না-লোর-চন্দ্রানী’ সাধনকৃত ‘মৈনাসত’, ‘সপ্তপয়কর’ নিজামী গঞ্জভীকৃত ফারসি ‘হফ্ত পয়কর’, ‘তোহফা’ ইউসুফ গদাকৃত ফারসি ‘তুহুফ-এ-নসাঈহ’, ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ গাওয়াসিকৃত ফারসি ‘সয়ফুলমুলুক বদিউজ্জামাল’ এবং ‘সিকান্দারনামা’ গঞ্জভীকৃত ফারসি ‘সিকান্দরনামা’ অনুসরণে রচিত।
সৈয়দ সুলতান
🔶 মধ্যযুগের কাহিনীকাব্য ও শাস্ত্রকাব্য রচয়িতা হিসেবে খ্যাতিমান কবি- সৈয়দ সুলতান।
🔶 কবির সর্ববৃহৎ ও শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘নবীবংশ’ কাব্যটি।
মুহম্মদ খান
🔶 তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা- ‘হানিফার লড়াই’।

১৫. চাচাকাহিনীর লেখক কে?
[ক] সৈয়দ শামসুল হক
[খ] শওকত ওসমান
✅ সৈয়দ মুজতবা আলী
[ঘ] ফররুখ আহমদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সৈয়দ মুজতবা আলী
🔶 সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত বিখ্যাত রম্যরচনা (ছোটগল্প গ্রন্থ)- চাচাকাহিনী।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- দেশে বিদেশে ,অবিশ্বাস্য, শবনম।
সৈয়দ শামসুল হক
🔶 সৈয়দ শামসুল হক রচিত ছোটগল্প গ্রন্থ- এক মহিলার ছবি, খেলারাম খেলে যা, নীল দংশন।
শওকত ওসমান
🔶 শওকত ওসমানের প্রথম উপন্যাস- ‘বনী আদম’ (১৯৪৬)।
🔶 লেখকের প্রখ্যাত অন্যান্য উপন্যাস- ‘জননী’ (১৯৬১), ‘চৌরসন্ধি’ (১৯৬৮), ‘সমাগম’ (১৯৬৭), ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ (১৯৭১), ‘দুই সৈনিক’ (১৯৭৩), ‘নেকড়ে অরণ্য’ (১৯৭৩), ‘পতঙ্গ পিঞ্জর’ (১৯৮৩), ‘রাজসাক্ষী’ (১৯৮৫), ‘জলাংগী’ (১৯৮৬), ‘পুরাতন খঞ্জর’ (১৯৮৭) প্রভৃতি।
ফররুখ আহমদ

১৬. মুসলমান নারী জাগরণের কবি-
[ক] ফজিলাতুন্নেসা
[খ] ফয়জুন্নেসা
✅ বেগম রোকেয়া
[ঘ] সামসুন্নাহার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুসলমান নারী জাগরণের কবি- বেগম রোকেয়া।
🔶 নারীশিক্ষা আন্দোলনের অগ্রদূত, সক্রিয় সমাজকর্মি এবং প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনার অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া জন্মগ্রহণ করেন- ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮০সালে রংপুর জেলার পায়রাবন্দ গ্রামে।
🔶 নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন- আঞ্জুমানে খাওয়াতীনে ইসলাম, ১৯১৬ সালে।
🔶 তার উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘মতিচূর’, ‘অবরোধবাসিনী’।

১৭. ‘‘শ্রীকৃষ্ণ কীর্ত্তনের’’ রচয়িতা কে?
[ক] জ্ঞানদাস
[খ] দীন চন্ডিদাস
✅ বড়ূ চন্ডিদাস
[ঘ] দীনহীন চন্ডিদাস

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’-এর রচয়িতা- বড়ূ চন্ডিদাস।
🔶 মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম নিদর্শন- ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’।
🔶 বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল­ভ খাঁটি বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ’ বা ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন’ উদ্ধার করেন- ১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩১৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বনবিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা গ্রামনিবাসী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের গোয়াল ঘর থেকে।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিষয়বস্তু- রাধাকৃষ্ণের প্রণয়লীলা।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিন্যস্ত- মোট ১৩ খন্ডে ও ৪১৮টি পদে।
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন রচিত- পয়ার ও ত্রিপদী ছন্দে।
🔶 বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভের সম্পাদনায় বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়-১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে (১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।

১৮. বাংলা কথ্য ভাষার আদিগ্রন্থ কোনটি?
[ক] প্রভু যিশুর বাণী
✅ কৃপারশাস্ত্রের অর্থভেদ
[গ] ফুলমণি ও করুণার বিতরণ
[ঘ] মিশনারী জীবন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা কথ্য ভাষার আদিগ্রন্থ- ১৭৩৪ সালে মনোএল-দ্য-আস্সুম্পসাঁও রচিত ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’।

১৯. কবি আলাওলের জন্মস্থান কোনটি?
[ক] ফরিদপুরের সুরেশ্বর
[খ] চট্টগ্রামের জোবরা
[গ] বার্মার আরাকান
[ঘ] চট্টগ্রামের পটিয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
সঠিক উত্তর নেই।
🔶 মধ্যযুগের সর্বাধিক গ্রন্থ রচয়িতা এবং আরাকান রাজসভার কবি আলাওল জন্মগ্রহণ করেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেয়াবাদে (মতান্তরে ফরিদপুরের ফতেয়াবাদে) ১৬০৭ সালে (সূত্র : বাংলাপিডিয়া)।

২০. ‘অনল প্রবাহ’ রচনা করেন-
✅ সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী
[খ] মোজাম্মেল হক
[গ] এয়াকুব আলী চৌধুরী
[ঘ] মুনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ইসমাইল হোসেন সিরাজী রচিত একটি কাব্যগ্রন্থ- ‘অনল প্রবাহ’ (১৮৯৯)।
🔶 ‘অনল প্রবাহ’ ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয় কারণ কাব্যগ্রন্থটি- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রচিত।
🔶 ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১) পরিচিত- মুসলিম পুনর্জাগরণবাদী লেখক হিসেবে।
🔶 কবি, ঔপন্যাসিক ও রাজনীতিবিদ ইসমাইল হোসেন সিরাজীর জন্ম- ১৩ জুলাই, ১৮৮০ সালে, সিরাজগঞ্জে।
🔶 কবির বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ- ‘উচ্ছ্বাস’ (১৯০৭), ’উদ্বোধন’ (১৯০৭), ‘সেঙন বিজয় কাব্য’ (১৯১৪)।

২১. ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
[ক] ধূমকেতু
[খ] বিদ্রোহী
✅ প্রলয়োল্লাস
[ঘ] অগ্রপথিক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থে সংকলিত প্রথম কবিতা- ‘প্রলয়োল্লাস’।
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’।
🔶 এতে রয়েছে- মোট ১২টি কবিতা।
🔶 কাব্যগ্রমেথর দ্বিতীয় কবিতা- ‘বিদ্রোহী’।
🔶 কাব্যগ্রন্থটি নিষিদ্ধ হয়- ‘রক্তাম্বরধারিনী মা’ কবিতার জন্য।

২২. বাংলা সাহিত্যে কথ্য রীতির প্রচলনে কোন পত্রিকার অবদান বেশি?
[ক] কল্লোল
✅ সবুজপত্র
[গ] বঙ্গদর্শন
[ঘ] কালিকলম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যে কথ্য রীতির প্রচলনে অবদান বেশি- প্রমথ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সবুজপত্র’ পত্রিকার (১৯১৪)।

২৩. ‘জনৈক’ শব্দটির সন্ধিবিচ্ছেদ-
[ক] জন + ইক
✅ জন + এক
[গ] জনৈ + এক
[ঘ] জন + ইক

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 স্বরসন্ধির উদাহরণ- জন + এক = জনৈক।
🔶 সন্ধিটির বিচ্ছেদ সাধিত হয়েছে- অ + এ = ঐ এ নিয়মে।

২৪. বাক্যের তিনটি গুণ কি কি?
[ক] আকাংখা, আসত্তি ও বিধেয়
✅ আকাংখা, আসত্তি ও যোগ্যতা
[গ] যোগ্যতা, উদ্দেশ্য ও বিধেয়
[ঘ] কোনটিই নয়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাক্যের তিনটি গুণ- আকাংখা, আসত্তি ও যোগ্যতা।
🔶 অর্থবোধক বাক্যগঠনে বাক্যের- তিনটি গুণ থাকা আবশ্যক।

২৫. একাত্তরের চিঠি- কোন জাতীয় রচনা?
[ক] মুক্তিযুদ্ধের বিবরণ
[খ] মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস
✅ মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন
[ঘ] ভিন্নধর্মী ডায়েরী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 মুক্তিযোদ্ধাদের পত্র সংকলন- ‘একাত্তরের চিঠি’।
🔶 গ্রামীন ফোন ও দৈনিক প্রথম আলোর প্রচেষ্টায় বাংলার বীর সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের বেশ কিছু চিঠি সংকলন করে প্রকাশিত হয়- ‘একাত্তরের চিঠি’ নামে।

২৬. বাংলা একাডেমী কোন বছর প্রতিষ্ঠিত হয়?
✅ ১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে
[খ] ১৩৫৫ বঙ্গাব্দে
[গ] ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে
[ঘ] ১৩৫২ বঙ্গাব্দে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ভাষা সংক্রান্ত সর্ববৃহৎ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমী প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৯৫৫ সালের ৩ ডিসেম্বর (১৩৬২ বঙ্গাব্দের ১৭ অগ্রহায়ণ) ঢাকার বর্ধমান হাউসে।
🔶 এটি সরকারি অর্থে পরিচালিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে- ১৯৫৭ সালে ‘দি বেঙ্গলী একাডেমী অ্যাক্ট’ গৃহীত হলে।

২৭. সনেট কবিতার প্রবর্তক কে?
[ক] দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
[খ] রজনীকান্ত সেন
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[ঘ] অতুলপ্রসাদ সেন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 সনেটের উৎকৃষ্ট উদাহরণ- তাঁর ‘চতুর্দশপদী কবিতাবলী’।
🔶 সনেটের আদি কবি- ইতালির পেত্রার্ক।

২৮. সমাস ভাষাকে কি করে?
✅ সংক্ষেপ করে
[খ] বিস্তৃত করে
[গ] অর্থপূর্ণ করে
[ঘ] অর্থের রূপান্তর ঘটায়

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সমাস ভাষাকে- সংক্ষেপ করে।
🔶 সমাস শব্দের অর্থ- সংক্ষেপন, মিলন, একাধিক পদের একপদীকরণ।
🔶 পরস্পর সম্পর্কযুক্ত একাধিক পদের এক পদের মিলিত হওয়াকে বলে- সমাস।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

২৯. চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কোথা থেকে?
[ক] বাঁকুড়ার এক গৃহস্থের গোয়াল ঘর থেকে
[খ] আরাকান রাজগ্রন্থাগার থেকে
✅ নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে
[ঘ] সুদূর চীন দেশ থেকে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয়- নেপালের রাজগ্রন্থশালা থেকে।
🔶 চর্যাপদে মোট পদের অস্তিতব ছিল- ৫১টি (মতান্তরে ৫০টি)।
🔶 টীকাকার মুনিদত্ত ব্যাখ্যা করেন নি- ১১ নং পদের।
🔶 চর্যাপদ রচিত- মাত্রাবৃত্ত ছন্দে।

৩০. মঙ্গলযুগের সর্বশেষ কবির নাম কি?
[ক] বিজয় গুপ্ত
✅ ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
[গ] মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
[ঘ] কানাহরি দত্ত

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর
🔶 মঙ্গলযুগের তথা আঠারো শতকের (মধ্যযুগ) সর্বশেষ বড় কবি- ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
🔶 প্রকৃতপক্ষে বাংলা সাহিত্যে মধ্যযুগের অবসান ঘটে- ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে।
🔶 ভারতচন্দ্রের (১৭০৭) জন্মস্থান- পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পান্ডুয়া গ্রাম।
🔶 মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন, আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে, না রবে প্রসাদগুণ না হবে রসাল/ অতএব কহি ভাষা যাবনী মিশাল। বিখ্যাত উক্তিগুলো- ভারতচন্দ্রের।
🔶 ভারতচন্দ্রের অন্নদামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্রগুলো- ঈশ্বরী পাটনী, হীরা মালিনী, শিব, কালী, মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যা, সুন্দর।

বিজয়গুপ্ত
🔶 মনসামঙ্গলের দ্বিতীয় কবি- বিজয়গুপ্ত।
🔶 মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে বিজয়গুপ্ত রচিত মনসামঙ্গল কাব্য- ‘পদ্মাপুরাণ’।
🔶 কবি বিজয়গুপ্তের জন্মস্থান- বর্তমান বরিশাল জেলার গৈলা গ্রাম। এর পূর্ববর্তী নাম ফুল্লশ্রী।

মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
🔶 মধ্যযুগীয় চন্ডীমঙ্গলের শ্রেষ্ঠ কবি- মুকুন্দরাম চক্রবর্তী।
🔶 মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর উপাধি- ‘কবিকঙ্কণ’।
🔶 মুকুন্দরাম ছিলেন- বস্তুতান্ত্রিক ঔপন্যাসিকদের অগ্রদূত।
🔶 বাংলা সাহিত্যের অমর সৃষ্টি- মুকুন্দরাম রচিত চন্ডীমঙ্গলের মুরারি শীল, ভাঁড়ূদত্ত ও ফুল্লরা চরিত্র।

কানাহরি দত্ত
🔶 মধ্যযুগের মনসামঙ্গলের আদিকবি- কানাহরি দত্ত।
🔶 হরিদত্ত কাব্য রচনা করেন- সুলতান হুসেন শাহের আমলে।
🔶 মনসামঙ্গল কাব্য রচিত হয়- মনসা দেবীর মাহাত্ম্য কাহিনী নিয়ে।
🔶 মনসা দেবীর অন্য নামগুলো হলো- কেতকা, পদ্মাবতী।
🔶 মনসামঙ্গলের বিখ্যাত চরিত্র- চাঁদ সওদাগর, বেহুলা, দেবী মনসা।

৩১. বিদ্যাপতি কোথাকার কবি ছিলেন?
[ক] নবদ্বীপের
✅ মিথিলার
[গ] বৃন্দাবনের
[ঘ] বর্ধমানের

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বিদ্যাপতি ছিলেন- মিথিলার রাজসভার কবি।
🔶 বিদ্যাপতি রচিত গ্রন্থ- পুরুষপরীক্ষা, লিখনাবলী, কীর্ত্তিলতা, ভূ-পরিক্রমা, দানবাক্যবলী ইত্যাদি।
🔶 বাঙালী না হয়েও এবং বাংলায় কোনো পদ রচনা না করেও বাঙালি বৈষ্ণবের গুরু-স্থানীয় হয়ে আছেন- মিথিলার কবি বিদ্যাপতি।
🔶 মৈথিলি ছাড়া বিদ্যাপতি গ্রন্থ রচনা করেন- আরও তিনটি ভাষায়; সংস্কৃত, অবহঠট ও ব্রজবুলি।
🔶 ‘এ ভরা বাদর মাহ ভাদর
শূন্য মন্দিরে মোর’ - চরণ দু’টির রচয়িতা- মিথিলার বিখ্যাত কবি বিদ্যাপতির।

৩২. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়ায়ি কি ধরনের চরিত্র?
[ক] শ্রী রাধার ননদিনী
[খ] শ্রী রাধার শাশুড়ি
✅ রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
[ঘ] জনৈক গোপবালা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যে বড়ায়ি চরিত্রের সৃষ্টি হয়েছে- রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী হিসেবে।
🔶 বড়ায়ি চরিত্রটি ছিল- কূটবুদ্ধিতে, রসিকতায় ও সার্থক ছদ্ম-অভিনয়ের পরিচায়ক।
🔶 কাব্যে রাধাকৃষ্ণের প্রেম সংগঠনে প্রধান ভূমিকা পালন করেছে- বড়ায়ি।

৩৩. লোকসাহিত্য কাকে বলে?
[ক] গ্রামীণ নরনারীর প্রণয় সংবলিত উপাখ্যানকে
[খ] লোক সাধারণের কল্যাণে দেবতার স্ত্ততিমূলক রচনাকে
✅ লোকের মুখে মুখে প্রচলিত কাহিনী, গান, ছড়া ইত্যাদিকে।
[ঘ] গ্রামের অশিক্ষিত ও অখ্যাত লোকের সৃষ্ট রচনাকে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 সাধারণত মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত উপকথা, কাহিনী, গান, প্রবাদ, ছড়া প্রভৃতিকে বলে- লোক সাহিত্য। এতে এক-একটি অঞ্চলের জীবন ধারার প্রতিফলন লক্ষ্যণীয়।
🔶 অতীত ঐতিহ্য ও বর্তমান অভিজ্ঞতাকে আশ্রয় করে রচিত মৌখিক ধারার সাহিত্য হচ্ছে- লোকসাহিত্য।
🔶 লোকসাহিত্য সাধারণত- অলিখিত সাহিত্য।
🔶 বাংলাদেশের প্রখ্যাত লোকসাহিত্য গবেষক- ড. আশরাফ সিদ্দিকী।
🔶 লোকসাহিত্য প্রধানত ৮টি শাখায় বিভক্ত- লোকসঙ্গীত, গীতিকা, লোককাহিনী, লোকনাট্য, ছড়া, মন্ত্র, ধাঁধা ও প্রবাদ।

৩৪. বাংলা সাহিত্যে কখন গদ্যের সূচনা হয়?
✅ নবম শতকে
[খ] ত্রয়োদশ শতকে
[গ] ষোড়শ শতকে
[ঘ] উনিশ শতকে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ধারাবাহিকভাবে বাংলা গদ্য রচনা ও চর্চার সূত্রপাত হয় নবম শতকে- ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ থেকে।
🔶 বাংলা গদ্যচর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন- উইলিয়াম কেরী।
🔶 ফোর্ট উইলিয়াম পর্বের বাংলা গদ্যের ৮ জন পন্ডিতের উল্লেখযোগ্য কর্ম- উইলিয়াম কেরীর কথোপকথন (১৮০১), বাংলা ভাষার ব্যাকরণ (১৮০১), ইতিহাসমালা (১৮১২), বাংলা ইংরেজি অভিধান; রামরাম বসুর রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র (১৮০২), লিপিমালা (১৮০২) ; গোলকনাথ শর্মার হিতোপদেশ (১৮০২); মৃত্যুঞ্জয় তর্কালংকারের বত্রিশ সিংহাসন (১৮০২); হিতোপদেশ (১৮০৮); রাজাবলী (১৮০৮); প্রবোধচন্দ্রিকা (১৮৩৩); তারিণীচরন মিত্রর ওরিয়েন্টাল ফেবুলিস্ট (১৮০৩); রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায়ের মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়ষ্য চরিত্রং (১৮০৫); চন্ডীচরণ মুন্সীর তোতা ইতিহাস (১৮০৫) এবং হরপ্রসাদ রায়ের পুরুষপরীক্ষা (১৮১৫)।

৩৫. বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র কোনটি?
✅ দিকদর্শন
[খ] সংবাদ প্রভাকর
[গ] তত্তববোধিনী
[ঘ] বঙ্গদর্শন

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দিকদর্শন
🔶 বাংলা ভাষায় প্রথম সাময়িকপত্র- ‘দিকদর্শন’ (১৮১৮)।
🔶 দিকদর্শন পত্রিকার সম্পাদক- জন ক্লার্ক মার্শম্যান।
🔶 বাংলা সংবাদপত্রের ইতিহাসে যে তিনটি গুরুতবপূর্ণ (দিকদর্শন, সমাচার দর্পণ, বেঙ্গল গেজেট) পত্রিকা প্রকাশিত হয় হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের খ্রিস্টান মিশনারিদের তত্তবাবধানে, তার মধ্যে অন্যতম- ‘দিকদর্শন’।
🔶 দিকদর্শন পত্রিকায় প্রকাশ হতো- ধর্মীয় নানা নীতিকথা ও উপদেশ।
🔶 পত্রিকাটি বন্ধ হয়ে যায়- মোট ২৬টি সংখ্যা প্রকাশিত হয়ে।

সংবাদ প্রভাকর
🔶 সাপ্তাহিক সংবাদ প্রভাকর প্রথম প্রকাশিত হয়- ২৮-এ জানুয়ারি ১৮৩১ খ্রি.।
🔶 বাংলাভাষায় প্রকাশিত সর্বপ্রথম দৈনিক পত্রিকা- সংবাদ প্রভাকর।
🔶 দৈনিক সংবাদ প্রভাকর প্রথম প্রকাশিত হয়- ১৪ই জুন ১৮৩৯ খ্রি.।
🔶 সংবাদ প্রভাকরের প্রথম প্রকাশক- ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
🔶 প্রথমে এটি ছিল- বাংলা সাপ্তাহিক পত্রিকা।
🔶 মাসিক সংস্করণ প্রকাশিত হয়- ১৮৫৩ খ্রি. থেকে।
🔶 সর্বশেষ সম্পাদক- মনীন্দ্রকৃষ্ণ গুপ্ত।
🔶 নীলচাষের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে গুরুতবপূর্ণ ভূমিকা পালন করে- সংবাদ প্রভাকর।

তত্তববোধিনী
🔶 অক্ষয়কুমার দত্তের সম্পাদনায় ১৮৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১৬ই আগস্ট প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘তত্তববোধিনী’ পত্রিকা।
🔶 তত্তববোধিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন- দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
🔶 তত্তববোধিনীসভার মুখপাত্র ও ব্রাহ্মধর্মের প্রচারের প্রধান মাধ্যম ছিল- তত্তববোধিনী।

‘বঙ্গদর্শন’
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ১৮৪২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়- মাসিক ‘বঙ্গদর্শন’।
🔶 ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার মাধ্যমে বাংলা গদ্যের প্রভূত উন্নতি সাধনের লক্ষ্যে বঙ্কিমচন্দ্র গড়ে তোলেন- একটি শক্তিশালী লেখকগোষ্ঠী।

৩৬. ইয়ং বেঙ্গল কি?
[ক] বাংলাভাষা শিক্ষার্থী ইংরেজ
✅ ইংরেজি ভাবধারাপুষ্ট বাঙালি যুবক
[গ] একটি সাহিত্যিক গোষ্ঠীর নাম
[ঘ] একটি সাময়িকপত্রের নাম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঊনিশ শতকের বাংলার নবজাগরণ বা রেনেসাঁসের বার্তাবাহী পাশ্চাত্য শিক্ষা, সভ্যতা ও সংস্কৃতির আলোকে আলোকিত বাঙালি যুবসমাজ- ইয়ং বেঙ্গল।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলের প্রায় সকলেই ছিলেন- হিন্দু কলেজের ছাত্র এবং অধ্যাপক ডিরোজিওর শিস্য।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলের মূল লক্ষ্য ছিল- হিন্দু সমাজের প্রচলিত ধর্মীয় সংস্কার ও নিয়মাদি অমান্য ও অগ্রাহ্য করে সংস্কারমুক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়া।
🔶 ব্যাঙ্গার্থে ইয়ং বেঙ্গলের সদস্যরা পরিচিতি লাভ করেন- ‘নববাবু’ নামে।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলদের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন- মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, রাধানাথ শিকদার, রাজনারায়ণ বসু, ভূদেব মুখোপাধ্যায় প্রমুখ বিখ্যাত বাঙালি।
🔶 ইয়ং বেঙ্গলদের উচ্ছৃংখলতা নিয়ে রচিত দুটি বাংলা সাহিত্যের স্মরণীয় রচনা- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ এবং দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী’ প্রহসন।

৩৭. দীনবন্ধু মিত্রের প্রহসন কোনটি?
[ক] বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
✅ বিয়ে পাগলা বুড়ো
[গ] কিঞ্চিত জলযোগ
[ঘ] কল্কি অবতার

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বিয়ে পাগলা বুড়ো
🔶 ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা দিয়ে সাহিত্যে জীবন শুরু করা দীনবন্ধু মিত্র অত্যন্ত দক্ষতার পরিচয় দেন- প্রহসন রচনায়।
🔶 তার রচিত দুটি প্রহসন- ‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬), ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬)।
🔶 ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ প্রহসনটি রচিত- সমাজের প্রাচীনপন্থিদের ব্যঙ্গ করে।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের শ্রেষ্ঠ রচনা ও শ্রেষ্ঠ নাটক- নীলদর্পণ (১৮৬০)।
বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ
🔶 বাংলা সাহিত্যে অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্তের দুটি প্রহসন- ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ (১৮৬০), ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০)।
🔶 ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ প্রহসনটি রচিত- রক্ষনশীল হিন্দু সমাজের আচারসর্বস্ব ও নীতিভ্রষ্ট সমাজপতিদের গোপন লাম্পট্য তুলে ধরে।
🔶 ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনটি রচিত- ইংরেজি শিক্ষিত ইয়ং বেঙ্গলের মাদকাসক্তি, উচ্ছৃংখলতা ও অনাচারকে কটাক্ষ করে।
কিঞ্চিত জলযোগ
🔶 জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত প্রহসন- ‘কিঞ্চিত জলযোগ’ (১৮৭২), ‘এমন কর্ম আর করব না’ (১৮৭৭), ‘হঠাৎ নবাব’ (১৮৮৪), ‘হিতে বিপরীত’ (১৮৯৬), ‘দায়ে পড়ে দারগ্রহ’।
🔶 জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা।
🔶 তিনি ছিলেন- বিখ্যাত সাহিত্য পত্রিকা ভারতী-র (১৮৭৭) উদ্যোক্তা।
কল্কি অবতার
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত প্রহসন- ‘কল্কি অবতার’ (১৮৯৫), ‘বিরহ’ (১৮৯৭), ‘ত্র্যহস্পর্শ’ (১৯০০)।
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায় (ডি এল রায়) ছিলেন- একাধারে কবি, নাট্যকার ও গীতিকার।
🔶 দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের বিশেষ অবদান- বাংলা গানে বিদেশি কোরাস গানের ঢং প্রয়োগ।

৩৮. মীর মশাররফ হোসেনের নাটক কোনটি?
[ক] নটির পূজা
✅ বেহুলা গীতাভিনয়
[গ] নবীন তপস্বিনী
[ঘ] কৃষ্ণকুমারী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
বেহুলা গীতাভিনয়
🔶 কবি, নাট্যকার ও গীতিকার মীর মশাররফ হোসেন রচিত নাটক- ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩), ‘জমিদার দর্পণ’ (১৮৭৩), ‘বেহুলা গীতাভিনয়’ (১৮৮৯)।

নটির পূজা
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত নাটক- নটীর পূজা (১৯২৬)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ নজরুলকে উৎসর্গ করেন- গীতিনাট্য ‘বসন্ত’ (১৯২৩)।
🔶 রবীন্দ্রনাথের প্রথম নাটক- ‘বাল্মিকী প্রতিভা’ (১৮৮১)।
🔶 রবীন্দ্রনাথ মোট নাটক রচনা করেন- ২৯টি।

নবীন তপস্বিনী
🔶 ‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৬) নাটকের রচয়িতা- দীনবন্ধু মিত্র।
🔶 দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটক- ‘লীলাবতী’ (১৮৬৭), ‘জামাই বারিক’ (১৮৭২), ‘কমলে কামিনী (১৮৭৩)।

কৃষ্ণকুমারী
🔶 ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১) নাটকের রচয়িতা- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ট্রাজেডি নাটক- কৃষ্ণকুমারী।
🔶 মাইকেল মধুসূদন দত্তের অন্যান্য নাটক- ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০), ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৮), ‘মায়াকানন’।

৩৯. কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তৈরি হয় কত সালে?
[ক] ১৮১৭ সালে
[খ] ১৮৩২ সালে
[গ] ১৮৫২ সালে
✅ ১৭৫৩ সালে

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কলকাতায় প্রথম রঙ্গমঞ্চ তথা নাট্যমঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হয়- ১৭৫৩ সালে।
🔶 নাটক ও নৃত্যকর্মকে উৎসাহিত করতে ব্রিটিশরা প্রতিষ্ঠা করে- ‘প্লে হাউস’ নামক এ রঙ্গমঞ্চটি।
🔶 রঙ্গমঞ্চটি অবস্থিত- কলকাতার লালদিঘীর পূর্ব পাশে লালবাজার রোডে।
🔶 মঞ্চটির নকশা তৈরি করেন- উইলিয়াম উইলস।

8০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্প কোনটি?
[ক] একরাত্রি
[খ] নষ্টনীড়
✅ ক্ষুধিত পাষাণ
[ঘ] মধ্যবর্তিনী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অতিপ্রাকৃত শব্দের অর্থ- অলৌকিক, অনৈসর্গিক, supernatural।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অতিপ্রাকৃত গল্পগুলো হলো- ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘গুপ্তধন’, ‘জীবিত ও মৃত’, ‘মণিহারা’, নিশীথে’, ‘সম্পত্তি সমর্পণ’ প্রভৃতি।
🔶 ‘একরাত্রি’, ‘নষ্টনীড়’ ও ‘মধ্যবর্তিনী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত- প্রেম বিষয়ক গল্প।

8১. বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিকের নাম কি?
[ক] মোতাহের হোসেন
[খ] ইসমাইল হোসেন সিরাজী
✅ মীর মশাররফ হোসেন
[ঘ] ফররুখ আহমদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
মীর মশাররফ হোসেন
🔶 বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক- মীর মশাররফ হোসেন।
🔶 বাংলা সাহিত্যে মুসলিম রচিত প্রথম উপন্যাস- মীর মশাররফ হোসেনের ‘রত্নাবতী’ (১৮৬৯ )।
🔶 লেখকের বিখ্যাত উপন্যাস- ‘বিষাদসিন্ধু’ (১৮৮৫-১৮৯১)।
🔶 মীর মশাররফ হোসেনের অমর কীর্তি বিষাদসিন্ধুর (১৮৮৫-৯১) উপজীব্য- কারবালার কাহিনী।

মোতাহের হোসেন
🔶 ঢাকার মুসলিম সাহিত্য সমাজের (১৯২৬) মুক্তবুদ্ধি চর্চা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা- মোতাহের হোসেন চৌধুরী (১৯০৩-১৯৫৬)।
🔶 লেখকের রচিত গ্রন্থ- ‘সংস্কৃতির কথা’ (১৮৫৮), ‘সভ্যতা’ (১৯৬৫), ‘সুখ’ (১৯৬৮)।

ইসমাইল হোসেন সিরাজী
🔶 লেখকের প্রখ্যাত উপন্যাস- ‘তারা-বাঊ’ (১৯০৮), রায়নন্দিনী (১৯১৮), ফিরোজা বেগম (১৯২৩)।

ফররুখ আহমদ
🔶 ইসলামী স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি- ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪)।

8২. নজরুল ইসলামের সম্পাদিত পত্রিকা কোনটি?
[ক] মাহে নও
[খ] সওগাত
✅ ধূমকেতু
[ঘ] কালিকলম

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ধূমকেতু
🔶 বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী কবি ও বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা- ‘দৈনিক নবযুগ’, (১৯২০), ‘ধূমকেতু’ (১৯২২), ‘লাঙ্গল’ (১৯২৫)।
মাহে নও
🔶 পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র ‘মাসিক মাহে নও’ (১৯৪৯)-এর সম্পাদক- আবদুল কাদির।
🔶 আবদুল কাদির রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ- দিলরুবা (১৯৩৩), উত্তর বসন্ত (১৯৬৭), কবি নজরুল (১৯৭০), বাংলা ছন্দের ইতিবৃত্ত (১৯৮৫)।

সওগাত
🔶 ‘সওগাত’ (মাসিক ১৯১৮, সাপ্তাহিক ১৯২৮)-এর সম্পাদক- মোহাম্মদ নাসিরউদ্দীন।
🔶 তিনি সৃজনশীল লেখক ও সাংবাদিকদের পুরস্কৃত করার জন্য প্রদান করা শুরু করেন- নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৭৬)।
🔶 নারী স্বাধীনতার পক্ষে জনমত সৃষ্টির লক্ষে ১৯৪৬ সালে প্রকাশ করেন- ‘বেগম’ নামক সাপ্তাহিক পত্রিকা।
কালিকলম
🔶 ‘কালিকলম’ (১৯২৬)-এর সম্পাদক ছিলেন- প্রেমেন্দ্র মিত্র।

8৩. জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধগ্রন্থ কোনটি?
[ক] ধূসর পান্ডুলিপি
✅ কবিতার কথা
[গ] ঝরা পালকের কবি
[ঘ] দুর্দিনের যাত্রী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কবিতার কথা
🔶 জীবনানন্দ দাশ রচিত প্রবন্ধগ্রন্থ- ‘কবিতার কথা’ (১৯৫৫)।
ধূসর পান্ডুলিপি
🔶 জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪)-এর কাব্যগ্রন্থ- ‘ঝরাপালক’ (১৯২৭), ‘ধূসর পান্ডুলিপি’ (১৯৩৬), ‘বনলতা সেন’ (১৯৪২), ‘সাতটি তারার তিমির’ (১৯৪), ‘রূপসী বাংলা’ (১৯৫৭), উপন্যাস ‘মাল্যবান’ (১৯৭৩), ‘সতীর্থ’ (১৯৭৪)।
🔶 জীবনানন্দ দাশকে বলা হয়- তিমির হননের কবি।
ঝরা পালকের কবি
🔶 জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ঝরাপালক (১৯২৭)।
দুর্দিনের যাত্রী
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ- ‘দুর্দিনের যাত্রী’ (১৯২২), ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (১৯২৩), ‘যুগবাণী’ (১৯২৬)।

8৪. ‘সাত সাগরের মাঝি’ কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কে?
[ক] কাজী নজরুল ইসলাম
✅ ফররুখ আহমদ
[গ] আব্দুল কাদির
[ঘ] বন্দে আলী মিয়া

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
ফররুখ আহমদ
🔶 ইসলামী স্বাতন্ত্র্যবাদী কবি ফররুখ আহমদের কাব্যগ্রন্থ- ‘সাত সাগরের মাঝি’(১৯৪৪), ‘মুহূর্তের কবিতা’ (১৯৬৩)।
কাজী নজরুল ইসলাম
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) রচিত কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ- ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২), ‘দোলনচাঁপা’ (১৯২৩), ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭), ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪), ‘ভাঙ্গার গান’ (১৯২৪), ‘ছায়ানট’ (১৯২৪), ‘প্রলয় শিখা’ (১৯৩০), ‘পূবের হাওয়া’ (১৯২৫), ‘সর্বহারা’ (১৯২৬)।
আব্দুল কাদির
🔶 ছান্দসিক কবি আব্দুল কাদিরের কবিতা গ্রন্থ- ‘দিলরুবা’ (১৯৩৩), ‘উত্তর বসন্ত’ (১৯৬৭)।
বন্দে আলী মিয়া
🔶 পল্লী প্রকৃতির সৌন্দর্য বর্ণনায় নৈপুণ্যের স্বাক্ষরকারী বন্দে আলী মিয়া রচিত কাব্যগ্রন্থ- ‘ময়নামতির চর’ (১৯৩২), ‘অনুরাগ’ (১৯৩২)।

8৫. বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
[ক] অগ্নিসাক্ষী
[খ] চিলেকোঠার সেপাই
✅ আরেক ফাল্গুন
[ঘ] অনেক সূর্যের আশা

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
আরেক ফাল্গুন
🔶 কথাশিল্পী ও চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২) রচিত উপন্যাস- ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৯৬৮)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে।
চিলেকোঠার সেপাই
🔶 আখতারুজ্জামান ইলিয়াস রচিত উপন্যাস- চিলেকোঠার সেপাই।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে।
অনেক সূর্যের আশা
🔶 সরদার জয়েনউদ্দীন রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- অনেক সূর্যের আশা (১৯৬৬)।
🔶 এই উপন্যাসটির জন্যে লেখক বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৬৭ সালে।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং স্বাধীকার আন্দোলনের পটভূমিকায়।

8৬. মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস কোনটি?
[ক] শংখনীল কারাগার
[খ] কাঁটাতারে প্রজাপতি
✅ জাহান্নাম হইতে বিদায়
[ঘ] আর্তনাদ

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
জাহান্নাম হইতে বিদায়
🔶 শওকত ওসমানের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস- ‘জাহান্নাম হইতে বিদায়’ (১৯৭১)।
🔶 লেখকের অন্যান্য উলে­খযোগ্য উপন্যাস- ‘নেকড়ে অরণ্য’ (১৯৭৩), ‘দুই সৈনিক’ (১৯৭৩), ‘জলাংগী’ (১৯৮৬)।
শংখনীল কারাগার
🔶 কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘শংখনীল কারাগার’।
🔶 তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘নন্দিত নরকে’,‘আগুনের পরশমণি’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’ ইত্যাদি।
🔶 ‘আগুনের পরশমণি’ একটি- মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস।
কাঁটাতারে প্রজাপতি
🔶 সেলিনা হোসেনের উপন্যাস- ‘কাঁটাতারে প্রজাপতি’ (১৯৮৯)।
🔶 উপন্যাসটি রচিত- সোমেন চন্দ্রের সাহিত্য আন্দোলন ও ইলা মিত্রের রাজশাহীর তেভাগা আন্দোলন নিয়ে।
আর্তনাদ
🔶 খান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন রচিত কাব্যগ্রন্থ-আর্তনাদ (১৯৫৮)।

8৭. শওকত ওসমান কোন উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন?
[ক] বনী আদম
[খ] জননী
[গ] চৌরসন্ধি
✅ ক্রীতদাসের হাসি

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কথাসাহিত্যিক শওকত ওসমান ‘ক্রীতদাসের হাসি’ (১৯৬২) উপন্যাসের জন্য আদমজী পুরস্কার লাভ করেন- ১৯৬৬ সালে।
🔶 এ উপন্যাসটিতে প্রতীকাশ্রয়ে সমালোচনা করা হয়- তৎকালীন পাকিস্তানিদের বিরূপ শাসনের।
🔶 ‘ক্রীতদাসের হাসি' উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদ- 'A Slave Laughs' (১৯৭৬)।

8৮. ‘উপরোধ’ শব্দের অর্থ কি?
[ক] প্রতিরোধ
[খ] উপস্থাপন
✅ অনুরোধ
[ঘ] উপযোগী

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
অনুরোধ
🔶 ‘উপরোধ’ শব্দের অর্থ- বিশেষ অনুরোধ, সুপারিশ, খাতির। ‘উপরোধে ঢেকি গেলা’ বাগধারাটিতে এ শব্দের ব্যবহার দেখা যায়, যার অর্থ অনুরোধ এড়াতে না পেরে অনিচ্ছা সত্তেবও কোনো কাজ করা।
প্রতিরোধ
🔶 ‘প্রতিরোধ’ অর্থ- বিরোধ, নিবারণ, বাধাদান, প্রতিবন্ধ, আটক, ব্যাঘাত ইত্যাদি।
উপস্থাপন
🔶 ‘উপস্থাপন’ শব্দের অর্থ- উপস্থিতকরণ, আনয়ন, অবতারণা, প্রস্তাবনা, উত্থাপন প্রভৃতি।
উপযোগী
🔶 ‘উপযোগী’ শব্দের অর্থ- উপযুক্ত, যোগ্য, সঙ্গত, কার্যকর, অনুকূল ইত্যাদি।

GK - সাধারণ জ্ঞান বাংলা - Bangla Literature

8৯. কোনটি উপন্যাস?
[ক] নতুন চাঁদ
✅ কন্যাকুমারী
[গ] গড্ডলিকা
[ঘ] নেমেসিস

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
কন্যাকুমারী
🔶 আবদুর রাজ্জাক কর্তৃক রচিত উপন্যাস- কন্যাকুমারী।
নতুন চাঁদ
🔶 কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কাব্যগ্রন্থ- নতুন চাঁদ।
🔶 কবির প্রথম প্রকাশিত রচনা- বাউন্ডুলের আত্মকথা। ‘সওগাত’-এ ১৩২৬ বঙ্গাব্দের জৈষ্ঠ্য সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।
🔶 বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা ও সুরকার- কাজী নজরুল ইসলাম।
🔶 বিদ্রোহী কবির প্রকাশিত প্রথম গ্রন্থের নাম- গল্পগ্রন্থ ‘ব্যথার দান’ (১৯২২)।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- অগ্নিবীণা (১৯২২)।
🔶 নজরুলের প্রথম উপন্যাস- বাঁধনহারা (১৯২৭)।
🔶 নজরুলের প্রথম প্রকাশিত নাটক- ঝিলিমিলি (১৩৩৪)।
🔶 ইংরেজ ঔপনিবেশিক আমলে নজরুলের নিষিদ্ধ গ্রন্থ- অগ্নিবীণা, বিষের বাঁশি, ভাঙ্গার গান, প্রলয়শিখা, যুগবাণী, চন্দ্রবিন্দু।
🔶 কবিকে একুশে পদক দেয়া হয়- ১৯৭৫ সালে।
গড্ডলিকা
🔶 রাজশেখর বসুর গল্পগ্রন্থ- গড্ডলিকা।
নেমেসিস
🔶 নুরুল মোমেনের বিখ্যাত নাটক- নেমেসিস।

৫০. লৌকিক কাহিনীর প্রথম রচয়িতা কে?
[ক] আলাওল
[খ] কোরেশী মাগন
✅ দৌলত কাজী
[ঘ] সৈয়দ সুলতান

☂ প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
দৌলত কাজী
🔶 লৌকিককাহিনীর প্রথম রচয়িতা- দৌলত কাজী।
🔶 আবহমানকাল ধরে পুরুষানুক্রমে মুখে মুখে প্রচলিত বর্ণনামূলক গল্পই হলো- লৌকিককাহিনী বা লোককাহিনী।
🔶 এর উপজীব্য বিষয়- দেব-দৈত্য, জ্বিন-পরী, রাক্ষস-খোক্ষস, রাজা-প্রজা, সাধু-সন্ন্যাসী ইত্যাদি।
🔶 তিনি (১৬০০-১৬৩৮) ছিলেন- আরাকান রাজসভার কবি।
🔶 তাঁর প্রণয়োপাখ্যানমূলক কাব্য- ‘সতীয়মনা ও লোরচন্দ্রানী’।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post