চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ | ভাবসম্প্রসারণ

চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ | ভাবসম্প্রসারণ

চরিত্র মানবজীবনের অমূল্য সম্পদ
[বরিশাল বোর্ড ২২]

মূলভাবঃ চরিত্র মানবজীবনের মুকুটস্বরূপ। চরিত্রবান ব্যক্তিকে সবাই শ্রদ্ধা করে; চরিত্রহীনকে সকলে ঘৃণা করে।

ভাবসম্প্রসারণঃ চারিত্রিক গুণাবলির মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনের মহিমা প্রকাশ পায়। চরিত্রবান ব্যক্তি কতগুলো গুণের অধিকারী হন। সততা, বিনয়, উদারতা, নম্রতা, ভদ্রতা, রুচিশীলতা, ন্যায়পরায়ণতা, সত্যবাদিতা, লোভহীনতা, পরোপকারিতা ইত্যাদি গুণ চরিত্রবান ব্যক্তিকে মহত্ত্ব দান করে। এসব গুণ যদি মানুষের মধ্যে না থাকে, তাহলে সে পশুরও অধম বলে বিবেচিত হয়। চরিত্রহীন ব্যক্তির মানুষ হিসেবে কোনো মূল্য নেই। চরিত্রবান ব্যক্তি তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের গুণে সমাজে সমাদৃত হন। অন্যদিকে চরিত্রহীন ব্যক্তিকে কেউ ভালোবাসার দৃষ্টিতে দেখে না, বরং ঘৃণা করে। চরিত্রবান ব্যক্তি জাগতিক মায়া-মোহ-লোভ-লালসার বন্ধনকে ছিন্ন করে লাভ করেন অপরিসীম শ্রদ্ধা ও অফুরন্ত সম্মান। চরিত্রের মাধ্যমেই ঘোষিত হয় জীবনের গৌরব। চরিত্রবান না হলে অন্য কোনো কিছুই মানুষকে সর্বোত্তম মানুষে পরিণত করতে পারে না। চরিত্রবান ব্যক্তি সত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সর্বদা অবিচল থাকে। এতে সে সকলের নিকট শ্রদ্ধা ও সম্মানের পাত্র হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু চরিত্রহীন কখনো কারো সম্মানের পাত্র হতে পারে না। সে সকল সময় মানুষের ঘৃণাই পেয়ে থাকে। স্বাস্থ্য, অর্থ, বিদ্যা মানবজীবনের অপরিহার্য উপাধান হলেও চরিত্র ছাড়া এগুলোর কোনোটাই কাজে আসে না। তাই চরিত্রের মাহাত্ম্য কখনো মূল্য দিয়ে মাপা যায় না।

মন্তব্যঃ অর্থ-বিত্ত-গাড়ি-বাড়ি প্রভৃতির চেয়ে চরিত্র অনেক বড় সম্পদ। আর এ মর্যাদা অর্থমূল্যে নয়, মানবিকতা ও নৈতিক পবিত্রতার মানদণ্ডে বিচার করতে হয়। সকলেরই উচিত চরিত্রবান হওয়ার সাধনা করা।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post