HSC মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৪ - Exam Cares

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

HSC মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৪

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Psychology 2nd Paper Srijonshil question and answer. HSC Psychology 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions pdf download. HSC Monobiggan 2nd paper Srijonshil Proshno Uttor.

উচ্চ মাধ্যমিক
মনোবিজ্ঞান
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অধ্যায়-৪

HSC Psychology
2nd Paper
Srijonshil Question and Answer pdf download

১. রেশমা ও সালমা সহপাঠী। রেশমার গড়ন আকর্ষণীয়। রেশমা ব্রাজিল ফুটবল দলকে পছন্দ করে বলে সালমা তাকে খুব পছন্দ করে। অন্যদিকে শীলা ও সালমা একই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে বলে শীলা সালমার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে।
ক. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ কী?
খ. পরিচিতিকে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের উপাদান বলা হয় কেন?
গ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে রেশমার মধ্যে যে উপাদানটি পরিলক্ষিত হয় তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে সালমা ও শীলার মধ্যে যে উপাদান দুটি বিদ্যমান তা বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ হলো ব্যক্তিতে ব্যক্তিতে মেলামেশা, ভাব-বিনিময় বা সম্পর্ক স্থাপনের ক্ষেত্রে এক ধরনের আপেক্ষিক আকাঙ্খা।

খ. পরিচিতিকে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের উপাদান বলা হয়, কারণ-
কোনো ব্যক্তির সাথে পরিচয় কতটুকু তার উপর আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের মাত্রা বিশেষভাবে নির্ভরশীল। কোনো ঘটনা বা বিষয় যদি বার বার দেখা দেয় অথবা অনেকবার আমাদের চোখের সামনে আসে তাহলে সেই ঘটনা বা বিষয়ের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। কোনো বস্তু বা মানুষের ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে। জায়ঙ্ক কতগুলো পরীক্ষণ করেন। কতগুলো শব্দ বার বার দেখান হয়। যে শব্দগুলো বেশি বার দেখান হয় সেগুলো তারা পছন্দ করে। আবার কতগুলো লোকের মুখমন্ডলের ছবি পারীক্ষদের দেখান হয়। কিছু ছবি বেশিবার (প্রায় ২৫ বার), আর কিছু ছবি কমবার (মাত্র দুবার) দেখান হয়। যে ছবিগুলো পারীক্ষদের বেশিবার দেখান হয়েছে, সে ছবিগুলোই তারা বেশি আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করেছে।

গ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে রেশমার মধ্যে যে উপাদানটি পরিলক্ষিত হয় তা হলো দৈহিক গড়ন। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ নির্ণয়কারী উপাদানসমূহের মধ্যে চেহারা বা দৈহিক গড়ন অন্যতম প্রধান উপাদান। সাধারণত দৈহিক গড়ন ও চেহারা ব্যক্তির প্রতি প্রাথমিক আকর্ষণ সৃষ্টির ব্যাপারে একটি প্রাথমিক ধারণা তৈরি করে থাকে। আকর্ষণীয় মুখশ্রী ও অনুকূল দৈহিক গড়ন- এর প্রতি অমরা সবসময়ই আগ্রহান্বিত। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন শরীর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন পোশাক সহজেই মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে। দৈহিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির গাত্রবর্ণ গৌর বা ফর্সা রঙের প্রতি দুর্বলতা অধিকাংশ লোকের মধ্যে দেখা যায়। দৈহিক সৌন্দর্যের মধ্যে সুঠাম দেহের অধিকারী হলে ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। আবার সুন্দর মুখশ্রীও অন্যকে আকর্ষণ করে। সাধারণত ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি শারীরিক আকর্ষণ বা চেহারা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আবার মেয়েরা তাদের সঙ্গী উচ্চ পদমর্যাদা বিশিষ্ট, বুদ্ধিমান, সমগোত্রীয় এবং একই ধর্মাবলম্বী হলে তার প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। শারীরিক সৌন্দর্যের মধ্যে শারীরিক অবয়ব বা স্বাস্থ্যের বিষয়টিও এসে যায়। সুঠাম দেহের অধিকারী হলে ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। এজন্য চিত্রকর্মে নারী পুরুষের দৃষ্টপুষ্ট ও সুঠাম দেহের অধিকারীদের দেখান হয়।

ঘ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে সালমা ও শীলার মধ্যে যে উপাদান দুটি বিদ্যমান, তা হলো পরিচিতি ও নৈকট্য। নিচে উপাদান দুটি বিশ্লেষণ করা হলো-

পরিচিতি:
কোনো ব্যক্তির সাথে পরিচয় কতটুকু তার উপর আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণের মাত্রা বিশেষভাবে নির্ভরশীল। কোন ঘটনা বা বিষয় যদি বার বার দেখা দেয় অথবা অনেক বার আমাদের চোখের সামনে আসে তাহলে সেই ঘটনা বা বিষয়ের প্রতি আমাদের আকর্ষণ বেড়ে যেতে পারে। কোনো বস্তু বা মানুষের ক্ষেত্রে এরকম হতে পারে। জায়ঙ্ক (Zajonc, ১৯৬৮) কতগুলো পরীক্ষণ করেন। কতগুলো শব্দ বার বার দেখান হয়। যে শব্দগুলো বেশি বার দেখান হয় সেগুলো তারা পছন্দ করে। আবার কতগুলো লোকের মুখমন্ডলের ছবি পারীক্ষদের দেখান হয়। কিছু ছবি বেশি বার (প্রায় ২৫ বার), আর কিছু ছবি কমবার (মাত্র দু'বার) দেখানো হয়। যে ছবিগুলো পারীক্ষদের বেশিবার দেখান হয়েছে, সে ছবিগুলোই তারা বেশি আকর্ষণীয় বলে উল্লেখ করেছে।

নৈকট্য:
কাছাকাছি থাকলে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ বাড়ে। দুই বা ‘‘ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে আন্তঃক্রিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পারস্পরিক পছন্দের মাত্রাও বেড়ে যায়। একই সাথে পছন্দের মাত্রা বেড়ে গেলে একে অপরের সাথে ঘন ঘন সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করে। দেখা গেছে যারা একই সিঁড়ি দিয়ে উঠা নামা করে বা একই কাপড় কাঁচার ঘর ব্যবহার করে তাদের মধ্যে অন্যদের চেয়ে বেশি বন্ধুত্ব দেখা যায়। একই সিঁড়ি দিয়ে উঠানামার কারণে তাদের মধ্যে দেখা সাক্ষাৎ এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ফলে তারা একে অন্যকে বেশি জানতে পারে। আবার একই স্থানে কাপড় কাঁচতে আসার কারণে তাদের মধ্যে সামাজিক লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এজন্য তাদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ গড়ে উঠে।

২. হিমেল ও রক্তিম দুইজন প্রতিবেশী। হিমেল নিয়মিত স্কুলে যায়। শিক্ষকগণের নির্দেশ অনুযায়ী সে পড়াশুনা করে বলে শিক্ষকগণও তার খুব প্রশংসা করেন। অন্যদিকে রক্তিম পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে স্কুল কলেজের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে নাই। তবে সমবয়সী দল, বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, হাটবাজার, খেলার মাঠ ইত্যাদি স্থানে তার সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। যার ফলে জীবন-যাপনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান তার রপ্ত হয়েছে।
ক. সমাজীকরণ কী?
খ. পিতামাতা কীভাবে শিশুর সমাজীকরণকে প্রভাবিত করতে পারে?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত হিমেলের সমাজীকরণ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রক্তিমের সমাজীকরণে কোন মাধ্যমের প্রভাব সর্বাধিক? যুক্তি দাও।

২ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার সামাজিক পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে নিজের উপযোজন সাধন করে বা খাপ খাওয়ায় তাই সমাজীকরণ।

খ. ব্যক্তির সমাজীকরণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম মাধ্যম হলো তার পরিবার তথা পিতা মাতা। কেননা পরিবারে শিশু জন্মগ্রহণের প্রথম জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিন ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক শিশুর সমাজীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। যথা-১. পিতা-মাতার সম্পর্ক; ২. পিতা-মাতা ও শিশুর সম্পর্ক এবং ৩. ভাই-বোনের সম্পর্ক। পিতা-মাতার মধ্যে যদি সম্পর্ক ভালো হয় তবে শিশুর উপর ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় পক্ষান্তরে, পিতা-মাতার মধ্যে যদি দ্বনদ্ধ কলহ লেগেই থাকে তবে শিশুর ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনিভাবে, পিতা-মাতা যদি শিশুকে অবহেলা করে তবে সে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। পক্ষান্তরে, অতিরক্ষণশীলতা শিশুকে পরনির্ভরশীল করে তুলতে পারে। পরিবারের শিশু ও তার ভাই-বোনের ইতিবাচক সম্পর্ক তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে থাকে।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত হিমেলের সমাজীকরণ প্রক্রিয়াটি হলো বিদ্যালয়। নিচে বিদ্যালয়ে সমাজীকরণের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো-
পারিবারিক পরিবেশের বাইরে শিশুদের সমাজীকরণ ঘটে বিদ্যালয়ে যাবার পর। বিদ্যালয়ে আসার ফলে পারিবারিক স্নেহ-মমতা হতে বঞ্চিত হলেও তারা বিদ্যালয়ের আনন্দ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে পড়ে। তারা বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে চলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিশুদের প্রতি তারা সহনশীল হয় এবং দলগত আচরণ তারা মেনে চলে। এ সময় শিশুরা তাদের শিক্ষক শিক্ষয়ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নির্দেশনা ও উপদেশনার মাধ্যমে শিশুরা সরাসরি শিক্ষণ লাভ করে। শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের অভিপ্রেত আচরণ, শৃঙ্খলা, নিয়মনিষ্ঠা প্রভৃতি সামাজিক শিক্ষণ অর্জিত হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণের মাধ্যমে শিশুর সামাজিক আচরণ গড়ে উঠে।

ঘ. উদ্দীপকে রক্তিমের সমাজীকরণে যেসব মাধ্যম প্রভাব ফেলেছে তা হলো সমবয়সীদল, বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, হাট-বাজার, খেলার মাঠ প্রভৃতি। এসব মাধ্যমের মধ্যে সমবয়সী দল সমাজীকরণে সর্বাধিক প্রভাব রাখে বলে আমি মনে করি। নিচে আমার মতের সপক্ষে যুক্তি প্রদান করা হলো- সমবয়সী দল যেভাবে সামাজীকরণে ভূমিকা রাখে তা নিম্নরূপ-
শিশুর সমাজীকীকরণের মাধ্যম হিসেবে খেলার সাথী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলার সাথীর সাথে সমবয়সী বা সহপাঠীরা একই ভূমিকা রাখে। খেলাধুলার ভেতর দিয়ে শিশুরা সামাজিক আচরণ গড়ে তোলে। এসব দল শিশুর কার্যাবলি ও আচরণের নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। খেলার সাথীরা মূলত সমবয়সী হয়ে থাকে। সমবয়সীদের প্রশংসা, নিন্দা, সমর্থন সবকিছুর প্রতি শিশু অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে। এক্ষেত্রে খেলার সাথীদের সমর্থিত আদর্শমান শিশুর আচরণকে নির্ধারণ করে থাকে। নিজের সম্বন্ধে ধারণা গঠনেও সমবয়সী খেলার সাথীদের প্রভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যেসব শিশু সমবয়সী ফলে উচ্চ মর্যাদা পায় তারা সাধারণত অধিকতর আত্মবিশ্বাসী ও নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে।
সমবয়সী দলের প্রভাবে শিশুর সহযোগিতা, সহমর্মিতা, নেতৃত্ব, প্রতিযোগিতা, পারস্পরিক সৌহার্দ, দায়িত্ববোধ প্রভৃতি সামাজিক আচরণের বিকাশ ঘটে।

৩. নিম্নবিত্ত এলাকায় বেড়ে ওঠা ওয়াসিম সামান্য হাঁসি ঠাট্টাতে রেগে যায়। সে তার মতামতকে ভুলের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে। তার মতামতের বিরোধিতা করলে সেটাকে ভ্রান্ত ও শাস্তিযোগ্য বলে মনে করে। তার একগুয়েমির কারণে অন্যের সাথে প্রায়ই বিবাদে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ওয়াসিমের বাবা তাকে তিরস্কার করে বলেন, সমাজে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোরতা পরিহার করে বিকল্প পদ্ধতিতে অন্যের সমর্থন লাভ করা যায়।
ক. কৃষ্টির সংজ্ঞা দাও।
খ. সমবয়সী দল কীভাবে সমাজীকরণে ভূমিকা রাখে?
গ. ওয়াসিমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মূলে নিহিত পরিস্থিতির বর্ণনা দাও।
ঘ. কীভাবে ওয়াসিমের আগ্রাসী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়?ব্যাখ্যা কর।

৩ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. গোল্ড সমীডের মতে ‘কৃষ্টি মানুষের সকল আচরণের একটি সামগ্রিক রূপ, যা জীবনযাপনের বিভিন্ন উপাদানকে এক সূত্রে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে গ্রথিত করে।

খ. সমবয়সী দল যেভাবে সমাজীকরণে ভূমিকা রাখে তা নিম্নরূপ-
শিশুর সমাজীকীকরণের মাধ্যম হিসেবে খেলার সাথী একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। খেলার সাথীর সাথে সমবয়সী বা সহপাঠীরা একই ভূমিকা রাখে। খেলাধুলার ভেতর দিয়ে শিশুরা সামাজিক আচরণ গড়ে তোলে। এসব দল শিশুর কার্যাবলি ও আচরণের নির্দেশক হিসেবে কাজ করে। খেলার সাথীরা মূলত সমবয়সী হয়ে থাকে। সমবয়সীদের প্রশংসা, নিন্দা, সমর্থন সবকিছুর প্রতি শিশু অত্যন্ত সংবেদনশীল থাকে। এক্ষেত্রে খেলার সাথীদের সমর্থিত আদর্শমান শিশুর আচরণকে নির্ধারণ করে থাকে। নিজের সম্বন্ধে ধারণা গঠনেও সমবয়সী খেলার সাথীদের প্রভাব বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যেসব শিশু সমবয়সী ফলে উচ্চ মর্যাদা পায় তারা সাধারণত অধিকতর আত্মবিশ্বাসী ও নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন হয়ে থাকে।
সমবয়সী দলের প্রভাবে শিশুর সহযোগিতা, সহমর্মিতা, নেতৃত্ব, প্রতিযোগিতা, পারস্পরিক সৌহার্দ, দায়িত্ববোধ প্রভৃতি সামাজিক আচরণের বিকাশ ঘটে।

গ. ওয়াসিমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আগ্রাসনমূলক আচরণ কাজ করছে। মনোবিজ্ঞানিগণ আগ্রাসনের বিভিন্ন উৎস চিহ্নিত করেছেন। তবে এক্ষেত্রে ওয়াসিমের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মূলে নিম্নবিত্ত এলাকা তথা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও মাদকদ্রব্য কাজ করেছে। নিচে বর্ণনা করা হলো-
ওয়াসিম নিম্নবিত্ত এলাকা তথা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করে। আগ্রাসী আচরণের ক্ষেত্রে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা প্রভাব বিস্তার করেছে। কারণ ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অপরাধপ্রবণতা ও আগ্রাসী আচরণের মাত্রা অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে। ঘনবসতি মানুষের মেজাজকে অস্বস্তিতে রাখে এবং বিভিন্ন ধরনের পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ব্যক্তির নিজের ওপর যে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা তা নষ্ট করে দেয়, ফলে ব্যক্তি আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শন করে।
মাদকদ্রব্য আগ্রাসী আচরণের ক্ষেত্রে আরও একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। কারণ মাদকদ্রব্য গ্রহণ ব্যক্তির শারীরিক উত্তেজনাকে বৃদ্ধি করে। যার ফলশ্রুতিতে ব্যক্তির মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ লক্ষ করা যায়।

ঘ. ওয়াসিমের কর্মকান্ড আগ্রাসী আচরণের অন্তর্ভুক্ত। তার এ আগ্রাসী আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে তা নিম্নরূপ-
১. ওয়াসিমকে শাস্তি দান বা শাস্তি প্রদানের ভীতি প্রদর্শন করলে তার আগ্রাসী আচরণ অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
২. ঘনবসতি মানুষের মেজাজকে অস্বস্তিতে রাখে। সুতরাং বসতি বা নগর পরিকল্পনায় বস্তির ঘনত্ব কমাতে পারলে ওয়াসিমের আগ্রাসী আচরণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
৩. মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করে ব্যক্তির আগ্রাসী আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
৪. কার্যকর প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওয়াসিমের মধ্যে সহমর্মিতার মনোভাব তৈরি করতে পারলে তার মধ্যে আগ্রাসী আচরণের প্রবণতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে।
৫. উস্কানিমূলক আচরণ ও হাসি-ঠাট্টা, বিদ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
উপরোক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে ওয়াসিমের আগ্রাসী আচরণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

৪. হামিদ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে রশিদ মিয়ার অনেকদিন যাবৎ বিবাদ চলছিল। এক পর্যায়ে বিবাদটি এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে ক্ষুদ্ধ হামিদ মিয়া চরম অপমান বোধ করেন এবং তার ভিতর রাগ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হামিদ মিয়ার উক্তির সময় তার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। তাই রশিদ মিয়াও ক্রোধে ঘোষণা করেন তিনিও সবকিছু দিয়ে এর মোকাবেলা করবেন।
ক. আগ্রাসন কী?
খ. সমাজীকরণে পরিবারের ভূমিকা কী?
গ. উদ্দীপকে হামিদ মিয়ার উক্তিতে আগ্রাসনের কোন ধরনের প্রবৃত্তি প্রকাশ পেয়েছে?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে হামিদ মিয়ার আক্রমণাত্মক উক্তি ও রশিদ মিয়ার জবাবের পেছনের কারণ কি একই?ব্যাখ্যা কর।

৪ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. আগ্রাসন হলো এমন এক ধরনের আক্রমণাত্মক আচরণ, যেখানে একজন অপরজনকে শারীরিক বা মানসিকভাবে আঘাত করার উদ্দেশ্যে তার আচরণকে পরিচালিত করে। এটি মূলত মনো-সামাজিকভাবে শিক্ষালব্ধ ও প্রেষিত বা উদ্দেশ্যমূলক আচরণ।

খ. সমজীকরণে পরিবারের ভূমিকা নিম্নরূপ-
ব্যক্তির সমাজীকরণে সরচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রথম মাধ্যম হলো তার পরিবার। কেননা পরিবারে শিশু জন্মগ্রহণের প্রথম জীবন সম্পকে অভিজ্ঞতা লাভ করে। তিন ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক শিশুর সমাজীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। যথা- ১. পিতা-মাতার সম্পর্ক; ২. পিতা-মাতা ও শিশুর সম্পর্ক এবং ৩. ভাই-বোনের সম্পর্ক। পিতা মাতার মধ্যে যদি সম্পর্ক ভালো হয় তবে শিশুর উপর ইতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় পক্ষান্তরে, পিতা-মাতার মধ্যে যদি দ্বনদ্ধ-কলই লেগেই থাকে তবে শিশুর ব্যক্তিত্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এমনিভাবে, পিতা-মাতা যদি শিশুকে অবহেলা করে তবে সে আগ্রাসী হয়ে উঠতে পারে। পক্ষান্তরে, অতিরক্ষণশীলতা শিশুকে পরনির্ভরশীল করে তুলতে পারে। পরিবারের শিশু ও তার ভাই-বোনের ইতিবাচক সম্পর্ক তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে থাকে।

গ. উদ্দীপকে হামিদ মিয়ার উক্তিতে আগ্রাসনের সহজাত প্রবৃত্তি প্রকাশ পেয়েছে। সহজাত প্রবৃত্তি সম্পর্কে নিমেণ ব্যাখ্যা করা হলো-
সহজাত প্রবৃত্তি:
আগ্রাসনের কারণ সম্পর্কে সবচেয়ে প্রাচীন ব্যাখ্যা হলো, ব্যক্তির আগ্রাসন তার এক ধরনের সহজাত প্রবৃত্তি, যা সে জন্মগতভাবে অর্জন করে। সিগমন্ড ফ্রয়েড (Freud, S. 1933) তাঁর মনঃসমীক্ষণ মতবাদে উল্লেখ করেন যে, ব্যক্তির মধ্যে সাধারণত দুই ধরনের প্রবৃত্তি লক্ষ করা যায়; একটি হলো জীবন প্রবৃত্তি (Eros) এবং অপরটি মরণ প্রবৃত্তি (Thanatos)। তিনি তাঁর মতবাদে উল্লেখ করেন যে, মরণ প্রবৃত্তি থেকে ব্যক্তির মধ্যে আগ্রাসন জন্মলাভ করে। অর্থাৎ মরণ প্রবৃত্তি হলো এমন এক সহজাত প্রবৃত্তি, যার কারণেই ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসী আচরণ করে থাকে। প্রাণী আচরণবিজ্ঞানী কোনার্ড লরেঞ্জ (Lorenz, K. 1966) উল্লেখ করেন যে, মানুষের মধ্যেও প্রাণীর মতো এক ধরনের লড়াকু প্রবৃত্তি লক্ষ করা যায়, যা তার জিনগত বৈশিষ্ট্য (xxy, xy, xyy) থেকে আসে। সমাজ মনোবিজ্ঞানিগণ এ ধরনের সহজাত প্রবৃত্তিকে স্বীকার করে বলেন যে, এ জিনগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে আগ্রাসনের তারতম্য লক্ষ করা যায়।

ঘ. উদ্দীপকে হামিদ মিয়ার আক্রমণাত্মক উক্তি ও রশিদ মিয়ার জবাবের পেছনের কারণ একই। আর তা হলো উস্কানি। নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলো-
সামান্য বাচনিক বা শারীরিক উস্কানি হতে আগ্রাসী আচরণের উদ্ভব হয়। অনেক সময় দেখা যায়, মৃদু ঠাট্টা বা বিদ্রুপ ব্যক্তির মধ্যে আগ্রাসনের সৃষ্টি করে। দু পক্ষের বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা ও আগ্রাসনের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় অনেক সময় মারাত্মক পরিণতির সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও দেখা যায় সামান্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দু দেশের মধ্যে আরও বড় ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি করে। এতে দু দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, যা কোনো দেশই হয়তো চায়নি।
উদ্দীপকে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে হামিদ মিয়া ও রশিদ মিয়ার মধ্যে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে হামিদ মিয়ার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। ফলে রশিদ মিয়ার মধ্যেও ক্রোধ কাজ করে এবং হামিদ মিয়াকে মোকাবেলা করার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তাই বলা যায়, হামিদ মিয়ার আক্রমণাত্মক উক্তি ও রশিদ মিয়ার জবাবের পিছনের কারণ একই।

৫. উদ্দীপক-১: রিফাতের বাবা একজন ডাক্তার। রিফাত প্রায়ই তার বন্ধুদের সাথে ডাক্তার সেজে খেলে।
উদ্দীপক-২:
তুলির বয়স ৪ বছর। সে বাবা-মার কাছ থেকে সব ধরনের আচার-আচরণ শিখছে। বাবা-মা তাকে প্রায়ই ঘুরতে নিয়ে যায়। তাকে স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছে। সে স্কুলে যেতে খুব পছন্দ করে।
ক. আগ্রাসন কী?
খ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণে শারীরিক আকর্ষণ কতটা কার্যকরী?
গ. উদ্দীপক-১ এ সমাজীকরণের কোন প্রক্রিয়াটি ফুটে উঠেছে?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক-২ এ সমাজীকরণের যে যে মাধ্যমের উল্লেখ করা হয়েছে তার মধ্যে কোনটির প্রভাব সর্বাধিক বলে তুমি মনে কর? যুক্তি দেখাও।

৫ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. আগ্রাসন হচ্ছে কোনো ব্যক্তিকে আঘাত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত আক্রমণাত্মক আচরণ।

খ. আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণে শারীরিক আকর্ষণ কতটা কার্যকরী নিচে তা উল্লেখ করা হলো-
আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ নির্ণয়কারী উপাদানসমূহের মধ্যে চেহারা বা দৈহিক গড়ন অন্যতম প্রধান উপাদান। সাধারণত দৈহিক গড়ন ও চেহারা ব্যক্তির প্রতি প্রাথমিক আকর্ষণ সৃষ্টির ব্যাপারে একটি প্রাথমিক ধারণা তৈরি করে থাকে। আকর্ষণীয় মুখশ্রী ও অনুকূল দৈহিক গড়ন-এর প্রতি আমরা সবসময়ই আগ্রহান্বিত। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন শরীর এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক সহজেই মনোযোগ আকর্ষণ করে থাকে। দৈহিক আকর্ষণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির গাত্রবর্ণ গৌর বা ফর্সা রঙের প্রতি দুর্বলতা অধিকাংশ লোকের মধ্যে দেখা যায়। দৈহিক সৌন্দর্যের মধ্যে সুঠাম দেহের অধিকারী হলে ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে। আবার সুন্দর মুখশ্রীও অন্যকে আকর্ষণ করে। সাধারণত ছেলেরা মেয়েদের চেয়ে বেশি শারীরিক আকর্ষণ বা চেহারা দ্বারা প্রভাবিত হয়। আবার মেয়েরা তাদের সঙ্গী উচ্চ পদমর্যাদা বিশিষ্ট, বুদ্ধিমান, সমগোত্রীয় এবং একই ধর্মাবলম্বী হলে তার প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে। শারীরিক সৌন্দর্যের মধ্যে শারীরিক অবয়ব বা স্বাস্থ্যের বিষয়টিও এসে যায়। সুঠাম দেহের অধিকারী হলে ব্যক্তি সহজেই অন্যের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পরে। এজন্য চিত্রকর্মে নারী পুরুষের হৃষ্টপুষ্ট ও সুঠাম দেহের অধিকারীদের দেখান হয়।

গ. উদ্দীপক-১ এ সমাজীকরণের যে প্রক্রিয়াটি ফুটে উঠেছে তা হলো ‘আদর্শ প্রতীকের মাধ্যমে শিক্ষণ'। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা তাদের বাবা-মা, বড় ভাই-বোন, শিক্ষক-শিক্ষিকা, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা, নামকরা খেলোয়াড় প্রভৃতি ব্যক্তিকে আদর্শ প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে তাদের আচরণ অনুকরণ করে থাকে।
উদ্দীপকে রিফাতের বাবা একজন ডাক্তার হওয়ায় রিফাত তার বাবাকে আদর্শ প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করেছে। ফলে রিফাত তার বন্ধুদের সাথে প্রায় সময়ই ডাক্তার সেজে খেলা করে।

ঘ. উদ্দীপক-২ এ সমাজীকরণের যে যে মাধ্যমের উল্লেখ করা হয়েছে তা হলো পরিবার ও বিদ্যালয়। এ দুটির মধ্যে পরিবারের প্রভাব সর্বাধিক বলে আমি মনে করি। নিচে যুক্তিসহ উপস্থাপন করা হলো-
ব্যক্তি বা শিশুর সমাজীকরণের প্রথম ও সর্বপ্রধান মাধ্যম হলো তার পরিবার। তিন ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক শিশুর সমাজীকরণে প্রভাব বিস্তার করে থাকে। যথা- ১. পিতা-মাতার সম্পর্ক, ২. পিতা-মাতা ও শিশুর সম্পর্ক ও ৩. ভাই-বোনের সম্পর্ক। পিতামাতার মধ্যে সম্পর্ক যদি ভালো হয় তবে শিশুর উপর তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
এমনিভাবে মাতা-পিতা যদি শিশুকে অবহেলা করে তবে শিশুর মধ্যে পরনির্ভরশীল করে তুলতে পারে। পরিবারে শিশু ও তার ভাই-বোনের ইতিবাচক সম্পর্ক তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে থাকে। একটি শিশু পারিবারিক পরিবেশে অর্জিত বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য ও মনোভাব নিয়ে বৃহত্তর সামাজিক পরিবেশ হিসেবে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে।
বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নির্দেশ ও উপদেশের মাধ্যমে শিশুর সরাসরি শিক্ষণ হয়। এখানেই শিশুর তুলনামূলক প্রকৃত মূল্যবোধ, আত্মবিশ্বাস, প্রতিযোগিতামূলক পারস্পরিক সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, সহযোগিতামূলক মনোভাব, সামাজিক আদর্শ ইত্যাদি গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও সহপাঠীদের ভূমিকা অপরিসীম।
উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, শিশুর সমাজীকরণের ভিত্তি স্থাপিত হয় পরিবারেই। তবে সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে বিদ্যালয়, বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করে।

৬. দৃশ্যকল্প-১: রুম্পার বয়স ৫ বছর। তার মা যেভাবে রান্না-বান্না করে সেও একইভাবে রান্না-বান্না খেলে। তার মা তাকে যেভাবে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়, সেও পুতুলকে একইভাবে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়।
দৃশ্যকল্প-২: মা-বাবা হঠাৎ লক্ষ করলো সোহানা কলেজে যাচ্ছে না এবং কলেজে যেতে ভয় পাচ্ছে। কারণ জিজ্ঞাসা করে জানতে পারলো তার এক ছেলে সহপাঠী তাকে দেখলে অশালীন মন্তব্য করে, নানারকম অঙ্গভঙ্গি করে।
ক. প্রথা বিরোধীতা কী?
খ. সামাজিকরণকে শিক্ষার্জিত আচরণ বলা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত রুম্পার সামাজীকরণের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সোহানার সহপাঠীর আচরণকে কি নামে আখ্যায়িত করা যায়?এ ধরনের আচরণ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায?তোমার মতামত দাও।

৬ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রথা বিরোধিতা হলো এমন এক ধরনের মানব আচরণ যা সামাজিক রীতি-নীতি ও মূল্যবোধ পরিপন্থী আচরণ হিসেবে পরিগণিত বা বিবেচিত হয়।

খ. সমাজীকরণকে শিক্ষা অর্জিত আচরণ বলা হয়। কারণ পারিবারিক পরিবেশের বাইরে শিশুদের সমাজীকরণ ঘটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাবার পর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার ফলে পারিবারিক স্নেহ-মমতা হতে বঞ্চিত হলেও তারা বিদ্যালয়ের আনন্দ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে পয়ে। তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ম-কানুন মেনে চলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অন্যান্য শিশুদের প্রতি তারা সহনশীল হয় এবং দলগত আচরণ তারা মেনে চলে। এ সময় শিশুরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষকার নির্দেশনা ও উপদেশনার মাধ্যমে শিশুরা সরাসরি শিক্ষণ লাভ করে। শিক্ষকের মাধ্যম অভিপ্রেত আচরণ, শৃঙ্খলা, নিয়মনিষ্ঠা প্রভৃত সামাজিক শিক্ষণ অর্জিত হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণের মাধ্যমে শিশুর সামাজিক আচরণ গড়ে উঠে।

গ. উদ্দীপকে রুম্পার সমাজীকরণের প্রক্রিয়াটি হলো একাত্মীভাবন। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
একাত্মীভাবন হলো কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য বা গুণাবলিকে নিজের বৈশিষ্ট্য বলে মনে করে। একাত্মীভবনে অন্যের আচরণকে গভীর ও স্থায়ীভাবে গ্রহণ করাকে বোঝানো হয়। যে পিতামাতা শিশুকে আদর-যত্ন করে, খাবার দেয় ও তার সাথে মিষ্টি করে কথা বলে, ঐ শিশুও পরবর্তীকালে তার মা-বাবার মতো আদর করবে ও কথাবার্তা বলবে।
উদ্দীপকেও আমরা দেখতে পাই রুম্পার মা যেভাবে রান্নাবান্না করে সেও একইভাবে রান্নাবান্না খেলে, তার মা তাকে যেভাবে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়, সেও পুতুলকে একইভাবে খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়। অর্থাৎ রুম্পার মধ্যেও একাত্মীভাবন প্রক্রিয়াটি প্রভাব বিস্তার করেছে।

ঘ. উদ্দীপকে সোহানার সহপাঠীর আচরণকে যৌন হয়রানি নামে আখ্যায়িত করা যায়। যা প্রতিরোধ করা শুধু ব্যক্তির পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা। যৌন হয়রানি যেভাবে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি, সে বিষয়ে আমার মতামত নিচে তুলে ধরা হলো-

১. যৌন হয়রানির প্রতিকার ও প্রতিরোধে সর্বপ্রথম পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। যৌন হয়রানির শিকার নারীর পরিবার উত্যক্তকারী ছেলে ও তার পরিবারকে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি যেমন জানাবে, তেমনি স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি আইন-প্রয়োগকারী সংস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবগত করবে। বিষয়টি অবগত হওয়ার পর সংশিস্নষ্ট সকলে স্ব-স্ব ভূমিকা কার্যকরভাবে পালন করছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাতে হবে। অপরদিকে, যে পরিবারের ছেলেটি নারী নির্যাতন করেছে সে পরিবারের মা-বাবা অথবা অন্য অভিভাবকদের ছেলের সব অপকর্মের দায় গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, যুব ও নারী সমাজসহ সমাজের দায়িত্বশীল জনগণ নিয়ে এলাকাভিত্তিক কমিটি গঠন করতে হবে। এ কমিটি উত্যক্তকারী ও তার পরিবারকে ডেকে নিয়ে সমাজ বিরোধী আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দিবে।

৩. স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এলাকার বখাটে ছেলেদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে। পুলিশ ও প্রশাসনকে এ অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

৪. যৌন হয়রানির খবর গণমাধ্যমে প্রচার করে এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। কেননা গণমাধ্যম সকল প্রকার সামাজিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করতে পারে।

৫. যৌন হয়রানি প্রতিকার ও প্রতিরোধে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল জনগণকে ধর্মীয় বিধি-বিধান মেনে চলতে হবে। ফলে যৌন হয়রানি অনেকাংশ হ্রাস পাবে।
উপরোক্ত কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে আমরা পারি যৌন হয়রানির মতো সামাজিক অপরাধকে প্রতিরোধ করতে।

HSC মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ৪ pdf download

৭. শায়েলা পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান। তার বয়স চার। সে মায়ের মতো করে রান্নার খেলা করে, কাপড় পরিধান করে ও অন্যান্য আচরণ করে। শারমিনের খেলার সাথী আদিবা। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শারমিনদের বাসায় আসে আদিবা। আধো আধো বুলিতে সে একটি নিষিদ্ধ শব্দ উচ্চারণ করলে সকলেই হেসে উঠে। এক মাস পর দেখা গেল সে ঐ শব্দটি আবার উচ্চারণ করছে। আবিদার বাবা বিষয়টি জানতে পেরে তাকে এ ধরনের কথা না বলতে মৌখিকভাবে নির্দেশ দেয় এবং শব্দটি না বলার জন্য তাকে বিভিন্ন সময় পুরস্কার প্রদান করেন। এক সময় দেখা গেল আদিবা ওই শব্দটি আর বলেন না।
ক. সামাজীকরণ কী?
খ. সমাজীকরণের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ. শারমিনের ক্ষেত্রে সমাজীকরণের কোন মাধ্যমের প্রভাব বিদ্যমান?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আদিবার ক্ষেত্রে সমাজীকরণের দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে- উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।

৭ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি তার পরিবেশ ও পরিস্থিতির সাথে নিজের উপযোজন সাধন করে বা খাপ খাওয়ায় তাই সমাজীকরণ।

খ. সামাজিকরণের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠান তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
পরিবার নামক একটি ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান থেকে শিশু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে বৃহৎ প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে। যার নাম বিদ্যালয়। বিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখানে শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের পাশাপাশি পরিবারের বাইরের সদস্যদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পাঠকক্ষের অন্যান্য সহপাঠী, বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন সবকিছুই শিশুকে সমাজীকরণে সহায়তা করে। পারিবারিক স্নেহ-মমতা ছাড়াও বিদ্যালয়ে আসার ফলে শিশু বিদ্যালয়ের সদস্যদের সঙ্গে এক প্রকার ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন শিশুকে বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয় এবং কাজ করার সময় সম্পর্কেও সচেতন হয়। বিদ্যালয় শিশুর আচরণের যে দিকগুলোকে উন্নত করে, সেগুলো হলো-
১. অন্যদের প্রতি সহনশীল মনোভাব তৈরি।
২. নেতৃত্বের গুণাবলি।
৩. শিক্ষক-শিক্ষিকা বা বড়দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন।
৪. উপদেশ, আদেশ, অনুরোধ বা নির্দেশ এর মধ্যে পার্থক্য বোঝা।
৫. শৃঙ্খলা রক্ষা করা এবং বিশৃঙ্খলাকে নেতিবাচক দেখা।
মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণের মাধ্যমে শিশুর নিজের সামাজিক আচরণ গড়ে তোলা এবং সমবয়সীদের সাথে মেলামেশার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করার শিক্ষণ হয়।

গ. উদ্দীপকে শারমিনের ক্ষেত্রে সমাজীকরণের ‘পরিবার' নামক মাধ্যমের অংশ অর্থাৎ ‘পিতা-মাতার সম্পর্ক' প্রভাব বিদ্যমান। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
শিশুর সমাজীকরণের প্রথম ধাপ হলো পরিবার। পরিবার থেকে শিশু তার প্রথম জীবন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করে। জন্মগ্রহণের পর থেকে শিশু তার বাবা-মা, ভাইবোন, স্নেহ-ভালোবাসা প্রভৃতির মাধ্যমে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে। এমনি একটি পরিবেশ থেকে শিশুর সামাজিক শিক্ষণ শুরু হয়। তিন ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক শিশুর সমাজীকরণে প্রভাব বিস্তার করে। যথা- পিতা-মাতার সম্পর্ক; পিতা-মাতা ও শিশুর সম্পর্ক এবং ভাই-বোনের সম্পর্ক। শিশু পিতামাতার সাথে নিজেকে শনাক্ত করতে চায়। তাই পিতামাতার আচরণকেই সে মেনে নেয়। মায়ের খাদ্যগ্রহণ, কাপড়-চোপড় নির্বাচন প্রভৃতি পায়। বিভিন্ন চাহিদা নিবৃত্তি হিসেবে শিশু তার পিতাকে পায়। তাই শিশু তার মাতা ও পিতাকে সমাজীকরণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে পেয়ে থাকে। কিন্তু পিতা ও মাতার সম্পর্ক যদি মধুর না হয়, তাহলে তাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকে ঐ সব শিশুর পিতামাতাকে অনুসরণ করে। তারা ধীরে ধীরে খারাপ আচরণ ও অসামাজিক কার্যকলাপ করে বেড়ায়। পিতামাতার মধুর সম্পর্কই শিশুকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।

ঘ. উদ্দীপকে আদিবার ক্ষেত্রে সমাজীকরণের দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এ প্রক্রিয়া দুটি হলো প্রাসঙ্গিক শিক্ষণ ও সরাসরি শিক্ষাদান। নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-
প্রাসঙ্গিক শিক্ষণ:
এমন অনেক কিছু আমরা সামাজিক পরিবেশ থেকে প্রেষণা ব্যতীত শিখে থাকি যা আমাদের মা-বাবা বা অন্য কেউ (যারা সমাজীকরণ মাধ্যম হিসাবে রয়েছেন) অনুমোদন করেন না। উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, একটি শিশু তার আধো আধো বুলিতে একটি নিষিদ্ধ শব্দ উচ্চারণ করল। তার এ আধো আধো বুলিতে এমন কিছু ছিল যাতে আশেপাশের বড়রা সবাই হেসে উঠল। এর ফলে শিশুটি পরবর্তীকালে বড়দের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্যে ঐ শব্দটি পুনরায় উচ্চারণ করতে পারে যাতে করে সে পুরস্কৃত হতে পারে।
সরাসরি শিক্ষাদান:
শিশুর সমাজীকরণে সরাসরি শিক্ষাদান আমরা সব সময় করে থাকি। কারণ শিক্ষণের সাথে এর পার্থক্য এই যে, সরাসরি শিক্ষাদানে ব্যক্তিকে কী করতে হবে তার সুনির্দিষ্ট মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়। অতঃপর ব্যক্তির প্রতিক্রিয়া সেই নির্দেশের অনুগামী হলে তাকে প্রশংসিত বা পুরস্কৃত করা হয়। অন্যথায় তাকে তিরস্কৃত বা অপুরস্কৃত করা হয়। যে কোনো নৈপুণ্য শেখার ক্ষেত্রে সরাসরি শিক্ষাদান অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়ে থাকে। সামাজিক প্রথা অনুযায়ী আচরণ ও ভাষা শিক্ষার ব্যাপারে আমরা সচরাচর এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে থাকি।
উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে ‘‘আদিবার ক্ষেত্রে সমাজীকরণের দুটি ভিন্ন প্রক্রিয়ার প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে।’’ উক্তিটি যথার্থ ও সঠিক।

৮. মনোবিজ্ঞান ক্লাসে শিক্ষক বললেন- বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন দেশে প্রায় প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘটিত হচ্ছে। যার শিকার হচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরীহ জনসাধারণ। এসব ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীরা আঘাত করে, ভয় দেখিয়ে বা কখনও কখনও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে উদ্দেশ্য হাসিল করার চেষ্টা করে।
ক. মানুষের মধ্যে আগ্রাসন কিভাবে এসেছে?
খ. কৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত নিয়মগুলো সম্পর্কে লিখ।
গ. উপরোক্ত কর্মকান্ডটি সংঘটনে কোন কোন উৎসসমূহ ভূমিকা পালন করে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত কর্মকান্ড কিভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে বলে তুমি মনে কর বিশ্লেষণ কর।

৮ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষের মধ্যে আগ্রাসন এসেছে জন্মগত সূত্রে।

খ. মানুষ সমাজে বাস করে। সমাজে বাস করার জন্য ব্যক্তি হিসেবে তাকে কতকগুলো অনুমোদিত রীতি-নীতি মেনে চলতে হয়। চলাফেরা, খাওয়া-দাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, সন্তান লালন-পালন প্রভৃতি জীবনের সকল ক্ষেত্রেই ব্যক্তিকে সমাজের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী চলতে হয়। সমাজের এ সকল প্রচলিত নিয়মগুলোই কৃষ্টির অন্তর্ভুক্ত।

গ. উদ্দীপকে বর্ণিত কর্মকান্ডটি হলো আগ্রাসন। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, আগ্রাসন সংঘটনে যেসব উৎসসমূহ কাজ করে তা হলো- জন্মগত প্রবৃত্তি, আগ্রাসী নোদনা, সামাজিক শিক্ষণ প্রক্রিয়া, উস্কানী ও বিফলতা। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
১. আগ্রাসন একটি জন্মগত প্রবৃত্তি। মনোবিজ্ঞানী ফ্রয়েডের মতে, প্রত্যেক মানুষের মধ্যে দু ধরনের প্রবৃত্তি আছে। যথা- জীবন প্রবৃত্তি ও মরণ প্রবৃত্তি। আগ্রাসন মানুষের মরণ প্রবৃত্তি থেকে উৎসারিত।
২. অনেকেই আগ্রাসনকে একটি নোদনা হিসেবে ব্যাখ্যা করার পক্ষে। আগ্রাসী নোদনাই বাহ্যিকভাবে দৃশ্যমান আগ্রাসী আচরণের জন্য দায়ী।
৩. সামাজিক শিক্ষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যক্তি আগ্রাসী আচরণ অর্জন করে।
৪. সামান্য বাচনিক বা শারীরিক উস্কানী হতে আগ্রাসী আচরণের উদ্ভব হয়। অনেক সময় হাসি ঠাট্টা, বিদ্রুপের মাধ্যমে আগ্রাসনের সৃষ্টি হতে পারে।
৫. মানুষের লক্ষ্য অর্জনের পথে পরিচালিত আচরণে বাধা দিলে তার মধ্যে আগ্রাসন দেখা দেয়।

ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত কর্মকান্ডটি হলো- আগ্রাসন। আগ্রাসন হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের এক প্রধান সমস্যা। নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগ্রাসন প্রতিরোধ করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি।
আগ্রাসী আচরণ প্রতিরোধের জন্য রয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। সাধারণভাবে মনে করা হয় সন্ত্রাসী কাজের জন্য শাস্তি দিলে ব্যক্তি আর সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত হবে না। প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ওয়াল্টার্স বলেন ‘‘সমাজে আগ্রাসী কাজের জন্য শাস্তির বিধান বহাল থাকলে ব্যক্তির জন্য অবাধে সন্ত্রাসমূলক অপরাধে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস পায়’’। অনেক সময় দেখা যায় যে, অন্যের কাছ থেকে তিরস্কারের মতো লঘু শাস্তিও ব্যক্তিকে আগ্রাসী আচরণ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। সকলের প্রতি শ্রদ্ধা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের বিকাশ, সহনশীলতার মনোভাব গড়ে তোলার অনুশীলনই এক্ষেত্রে বড় প্রতিরোধ ব্যবস্থা হতে পারে।
সমাজ থেকে সকল প্রকার শোষণ, বঞ্চনা ও অনিয়ম দূর করে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করা আগ্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধের একটি বড় পদক্ষেপ।
সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটার সাথে সাথে সে বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রচলিত আইনের সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। ন্যায় বিচারের মাধ্যমে সন্ত্রাসীর সাজা হলে তা সমাজের সকলের জন্য স্মরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে কাজ করবে এবং সকলে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকবে।
উপরোক্ত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণের মাধ্যমে উদ্দীপকে আলোচিত কর্মকান্ড প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

৯. পারভীন একাদশ শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। দারিদ্র্যতার কারণে সে প্রতিদিন প্রায় ২ কি.মি. পথ পায়ে হেঁটে কলেজে যায়। কলেজে যাওয়া এবং আসার পথে প্রায়ই গ্রামের বখাটে জাহিদ মিয়া এবং তার দলের ছেলেদের দ্বারা বিভিন্নভাবে কুপ্রস্তাবের শিকার হন। তারা পারভীনকে দেখলে শিস দেয় এবং বিভিন্ন ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করে। সে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন সাহেবকে জানালে তিনি বখাটেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
ক. শিশুর সমাজীকরণের প্রথম ধাপ কোনটি?
খ. আগ্রাসনের দুটি লক্ষণীয় বিষয় উল্লেখ কর।
গ. উদ্দীপকের বিষয়টি কিভাবে মানবজীবনে প্রভাব বিস্তার করে- ব্যাখ্যা কর।
ঘ. সম্মানিত ইউপি সদস্য বখাটেদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন কি?তোমার মতামতের সপক্ষে বিশ্লেষণ কর।

৯ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. শিশুর সমাজীকরণের প্রথম ধাপ হলো- পরিবার।

খ. আগ্রাসনের দুটি লক্ষণীয় বিষয় হলো-
১. অন্যের উপর নিজের আধিপত্যকে প্রতিষ্ঠা করা।
২. অন্যকে হেয় প্রতিপন্ন করা।

গ. উদ্দীপকের বিষয়টি হলো যৌন হয়রানি। যা মানবজীবনে অত্যন্ত গভীর ও নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
যৌন হয়রানি নারীর প্রতি অত্যন্ত জঘন্য প্রকৃতির নিপীড়ন যা নারীর অবস্থান, আত্মমর্যাদা ও অস্তিত্বকে বিপন্ন করে। এটি নারী জীবনের সবচেয়ে খারাপ ও ভয়ানক অভিজ্ঞতা। নারী জীবনে বিষাক্ত এ সমস্যার মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে। যৌন হয়রানি নারীকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এটি নারীর অবাধ চলাচল ও স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করে, কেড়ে নেয় তার অফুরান, প্রাণ চাঞল্য। যৌন হয়রানির প্রভাব শুধু ভুক্তভোগী মেয়েটির উপরই নয় বরং তা আছড়ে পড়ে তার পুরো পরিবারের উপর। ফলশ্রুতিতে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নারী হারিয়ে যায় হতাশার অথৈই সাগরে, যার চূড়ান্ত পরিসমাপ্তি ঘটে নির্মম আত্মহননের মধ্য দিয়ে। নিরাপত্তাহীনতার কারণে এ ঘটনার শিকার নারী, বিশেষ করে মেয়ে শিশুদের অনেকেরই লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। অনেক ক্ষেত্রে যৌন হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে নারী বাধ্য হয় তার চাকরি ছেড়ে দিতে, যা নারীর আত্মনির্ভরশীলতার পথকে ধ্বংস করে দেয়।
উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, যৌন হয়রানি মানবজীবনের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে।

ঘ. উদ্দীপকে ইউপি সদস্য জনাব লিটন সাহেব, পারভীনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বখাটেদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আমি মনে করি। নিচে আমার মতামতের সপক্ষে বিশ্লেষণ করা হলো-
ইউপি সদস্য জনাব লিটন সাহেব যৌন হয়রানির শিকার পারভীনের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি ঐ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং যৌন হয়রানি সৃষ্টিকারীর অভিভাবককে বিষয়টি অবহিত করবেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবেন। যদি এ অবস্থার কোনোরূপ পরিবর্তন না দেখা যায় তখন তিনি প্রচলিত আইনের আওতায় যৌন হয়রানি সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানাবেন। এছাড়াও তিনি একজন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার এলাকার সকল স্তরের জনগণকে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতন করে তুলবেন এবং প্রয়োজনে বখাটেদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাহায্যে গ্রহণ করবেন।
উপরোক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই সমাজকে কলুষিত মুক্ত করতে চাইলে সরকার ও সর্বস্তরের জনগণকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

১০. নিরুপমা তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে না গেলে তার ভালো লাগে না। সে তার শিক্ষকদের প্রতি খুবই অমায়িক। সে তার শিক্ষকদের নির্দেশনা ও উপদেশ মেনে চলে। তার প্রিয় শিক্ষক শরীফা আপা। তিনি এখনও ভালো ব্যাডমিন্টন খেলেন। আবার তিনি রাজনীতিও করেন। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খুব আদর করেন। আবার শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথে তার মধুর সম্পর্ক। তাই একদিন নিরুপমা তার আপাকে এসব কীভাবে করেন তা জিজ্ঞাসা করলেন।
ক. সামঞ্জস্যতা কী?
খ. নৈকট্য কীভাবে আন্তঃব্যক্তিক উপাদান হিসেবে কাজ করে?
গ. নিরুপমার জীবনে সামাজিকীকরণের কোন মাধ্যমটি কাজ করছে?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. শরীফা আপার জীবনে কোন সমাজিকীকরণ প্রক্রিয়াটি ক্রিয়াশীল তোমার নিজের ভাষায় তা বিশ্লেষণ কর।

১০ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. সামঞ্জস্যতা হলো এমন ধরনের কার্যপ্রক্রিয়া যা শত্রুভাবাপন্ন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে বোঝাপড়া নির্দেশ করে।

খ. নৈকট্য আন্তঃব্যক্তিক উপাদান হিসাবে কাজ করে। কাছাকাছি থাকলে অর্থাৎ নৈকট্যে থাকলে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ বাড়ে।
দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে আন্তঃক্রিয়ার মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পারস্পরিক পছন্দের মাত্রাও বেড়ে যায়। একই সাথে পছন্দের মাত্রা বেড়ে গেলে একে অপরের সাথে ঘন ঘন সাক্ষাৎ করতে পছন্দ করে। †দখা গেছে যারা একই সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করে বা একই কাপড় কাচার ঘর ব্যবহার করে তাদের মধ্যে অন্যদের চেয়ে বেশি বন্ধুত্ব হতে দেখা যায়। একই সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার কারণে তাদের মধ্যে †দখা সাক্ষাৎ-এর সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ফলে তারা একে অন্যকে বেশি জানতে পারে। আবার একই স্থানে কাপড় ধুতে যাওয়ার কারণে তাদের মধ্যে সামাজিক লেনদেনের সুযোগ সৃষ্টি হয়- এ জন্যে তাদের মধ্যে আন্তঃব্যক্তিক আকর্ষণ গড়ে ওঠে।

গ. উদ্দীপকে নিরুপমার জীবনে সামাজিকীকরণের ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিদ্যালয় নামক মাধ্যমটি কাজ করছে। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
পারিবারিক পরিবেশের বাইরে শিশুদের সমাজিকীকরণ ঘটে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর। বিদ্যালয়ে আসার ফলে পারিবারিক স্নেহ-মমতা হতে বঞ্চিত হলেও তারা বিদ্যালয়ের আনন্দ-অনুভূতির সাথে একাত্ম হয়ে পড়ে। তারা বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন মেনে চলে। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিশুদের প্রতি তারা সহনশীল হয় এবং দলগত আচরণ তারা মেনে চলে। এ সময় শিশুরা তাদের শিক্ষক-শিক্ষয়ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। বিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নির্দেশনা ও উপদেশনার মাধ্যমে শিশুরা সরাসরি শিক্ষণ লাভ করে। শিক্ষকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ে অভিপ্রেত আচরণ, শৃঙ্খলা, নিয়মনিষ্ঠা প্রভৃতি সামাজিক শিক্ষণ অর্জিত হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকার আচরণের মাধ্যমে শিশুর সামাজিক আচরণ গড়ে উঠে।

ঘ. উদ্দীপকের শরীফা আপার জীবনে সমাজিকীকরণের যে প্রক্রিয়াটি ক্রিয়াশীল তা হলো ভূমিকা শিক্ষণ। কেননা শরীফা আপা যখন যে অবস্থানে থাকছেন সেই অবস্থানে সে নিজেকে সুন্দরভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন। তিনি একাধারে স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে শিক্ষিকা, খেলার মাঠে খেলোয়ার, রাজনীতির ময়দানে একজন সক্রিয় রাজনীতিবীদ, আবার শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে একজন, সফল গৃহিনী। নিচে শরীফা আপার জীবনে সামাজিকীকরণের প্রক্রিয়াটি নিজের ভাষায় বিশ্লেষণ করা হলো-
কোনো ব্যক্তি তার নিজের জন্য অনেক কিছু করছে। কিন্তু সে তার নিজের জীবন বাদ দিয়ে যখন অন্য কোনো ব্যক্তি আচরণ অনুভব করে তখন তা হয়ে উঠে অর্থবহ। আমরা একেক জন একটি পরিবারের সদস্য, কোনো অফিসের কর্মকর্তা, কোনো সংগঠনের একজন সদস্য, সমবয়সীদের সাথে একজন বন্ধু ও খেলার মাঠে একজন খেলোয়াড়। সমাজে বাস করতে গেলে আমাদের বিভিন্ন ভূমিকায় কাজ করতে হয়। কেউ যখন পরিবারে বাস করে তখন সে ছোটদের আদর, বড়দের মান্য করে, আত্মীয়-স্বজনদের আদর করে। সে লোক যখন অফিসে যায় তখন সে নয় উঠে কর্মকর্তা। সে তার বসের কথা শোনে ও নিম্নতর কর্মচারীদের কাছ থেকে কাজ আদায় করে নেয়। আর সে যখন সমবয়সীদের সাথে মেশে, তখন তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করে। আবার ফুটবল খেলার মাঠে সে ফুটবল নিয়ে সবাইকে অতিক্রম করে কী করে গোল দেওয়া যায় তা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এমনি করে একজন ব্যক্তি যে অবস্থায় থাক না কেন, সেই অবস্থায় তাকে উপযুক্তভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়। তাই সমাজিকীকরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা শিক্ষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষণ প্রক্রিয়া।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here