HSC মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৩

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Psychology 2nd Paper Srijonshil question and answer. HSC Psychology 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions pdf download. HSC Monobiggan 2nd paper Srijonshil Proshno Uttor.

উচ্চ মাধ্যমিক
মনোবিজ্ঞান
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অধ্যায়-৩

HSC Psychology
2nd Paper
Srijonshil Question and Answer pdf download

১. দৃশ্যকল্প-১: রিয়া বন্ধুদের সাথে আলাপকালে দক্ষিণ এশিয়ার একটা দেশ সম্পর্কে বলে ওখানকার মানুষেরা উন্নত; অতিমাত্রায় বন্তুবাদী এবং বৃদ্ধরা রক্ষণশীল।
দৃশ্যকল্প-২: লাবিবা বিশেষ একটা জনগোষ্ঠীর জীবন-যাপন প্রণালী নিয়ে পত্রিকার খবর পড়ে মন খারাপ করল। সে বিশেষ জনগোষ্ঠীর সাথে সমাজের বেশিরভাগ মানুষ একই সাথে স্কুলে পড়াশুনা করে না।
ক. মনোভাবের সংজ্ঞা দাও।
খ. অবহিতিমূলক উপাদান ব্যাখ্যা কর।
গ. রিয়ার ধারণাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় কী বলা হয়?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ পত্রিকার খবরে কোন ধারণার প্রকাশ পেয়েছে এবং সেটি হ্রাসের ব্যাপারে তোমার মতামত দাও।

১ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতি, বিশেষ কোনো শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি অথবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, সামাজিক কোনো সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়ার পূর্বাপর সঙ্গতি সম্পন্ন রীতিকেই মনোভাব বলে।

খ. অবহিতিমূলক উপাদান নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
কোনো বিশেষ বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানই হচ্ছে মনোভাবের অবহিতিমূলক উপাদান। মনোভাব সম্পর্কিত ভালো বা মন্দ, অনুকূল বা প্রতিকূল অথবা কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত লক্ষণই হলো জ্ঞান বা অবহিতিমূলক উপাদান। উদাহরণস্বরূপ, ক্লাসে কোনো শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। কারণ উক্ত শিক্ষকের জ্ঞান, তার বোঝানোর ক্ষমতা, তার দক্ষতার প্রতি ঐ ছাত্রের ইতিবাচক ক্ষমতা রয়েছে।

গ. উদ্দীপকে রিয়ার ধারণাকে মনোবিজ্ঞানের বদ্ধমূলক ধারণা বলা হয়। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
বদ্ধমূল ধারণা হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা, যেখানে পক্ষপাতমূলক একটি মনোভাব ফুটে উঠে। বদ্ধমূল ধারণা মূলত একটি কম তথ্য নির্ভর অথবা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যিকার তথ্যের কোনো বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় না। এটি সবসময় একটি মনগড়া মনোভার দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন:
নিগ্রো মানেই উচ্ছৃঙ্খল জাতি, এটি একটি বদ্ধমূল ধারণা, তবে সকল নিগ্রোই উচ্ছৃঙ্খল নয়। অর্থাৎ বদ্ধমূল ধারণা বলতে কোনো দল, জাতি, গোষ্ঠী, পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সম্পর্কে এক ধরনের প্রথাগত বা প্রচলিত বিশেষ বিশ্বাস বা চিরায়ত ধারণাকে বুঝায়। বদ্ধমূল ধারণার তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-
১. ব্যক্তিকে শ্রেণিভুক্তিকরণ: ব্যক্তির অনেক গুণাবলি থাকা সত্ত্বেও তাকে শনাক্ত করার জন্য সমাজ তার বিশেষ কতকগুলো গুণাবলিকে নির্বাচন করে এবং অন্য গুণাবলিকে অবজ্ঞা করে।
২. সেই শ্রেণির উপর বিশেষ গুণাবলি আরোপের ব্যাপারে মতৈক্য সৃষ্টি: শ্রেণিভুক্তকরণের পর প্রত্যক্ষণকারীদের মধ্যে একটি মতৈক্য গড়ে উঠে। যেমন- আমেরিকানরা উন্নত, বস্তুবাদী, বৃদ্ধরা, প্রাচীনপন্থী ও রক্ষণশীল ইত্যাদি সংলক্ষণের অধিকারী বলে ধারণা করা হয়।
৩. প্রকৃত ও আরোপিত গুণাবলির মধ্যে পার্থক্য: প্রায় সবসময়ই বদ্ধমূল ধারণা ভ্রান্ত হয়ে থাকে। কোনো জোলা বা তাঁতি বোকামি করেছে বলেই ঐ শ্রেণির সকলকে বোকা ভাবা ভুল।

ঘ. দৃশ্যকল্প-২ এ পত্রিকার খবরে যে ধারণার প্রকাশ পেয়েছে তা হলো পূর্ব সংস্কার। জাতিগত, ধর্মগত, সংখ্যাগতভাবে ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাবই পূর্বসংস্কার।
 নিচে পূর্বসংস্কার হ্রাস করার উপায়সমূহ উল্লেখ করা হলো-
১. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণের জন্য নিজ দল ও ভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য উভয় দলের ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি করে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. পূর্বসংস্কার হ্রাস করার জন্য আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের আবাসিক সংমিশ্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। দেখা গেছে যে, একই এলাকায় বসবাসের ফলে শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের পূর্বসংস্কার তীব্রতা অনেকটা কমে গেছে।
৩. কতকগুলো লোক যখন একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালায় তখন তাদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের পূর্বসংস্কার হ্রাস পায়।
৪. পূর্বসংস্কার কমিয়ে আনতে আন্তঃকৃষ্টিমূলক শিক্ষার প্রচলন করার দরকার।
৫. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণে গণমাধ্যম খুবই জোরালো ভূমিকা পালন করে। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ পূর্বসংস্কার অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিতভাবে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করলে এবং একত্রে উদ্যোগ নিলে পূর্বসংস্কার সহজেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

২. নাহিন নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে বাবার সঙ্গে প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে এবং টেলিভিশনে খবর শুনে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশাধীন রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার খবর তাকে খুব কষ্ট দেয়। কীভাবে তাদের সাহায্য করা যায় এই নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। নাহিনের মামা মতিন সাহেব যে কোনো বিষয় সম্পর্কে যথার্থ বিবেচনা ছাড়াই যুক্তিহীন, নেতিবাচক ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন। যেমন- তিনি মনে করেন দরিদ্রদের লেখাপড়া করার প্রয়োজন নেই। মতিন সাহেবের এ ধরনের মানসিকতা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ক. মনোভাব কী?
খ. প্রাসঙ্গিক আইন প্রণয়ন কীভাবে পূর্বসংস্কার হ্রাস করে?
গ. নাহিনের আচরণ মনোভাবের কোন উপাদানের অন্তর্ভুক্ত?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মতিন সাহেবের মানসিকতাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় কী বলে?এর বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ কর।

২ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. মনোভাব হলো বিশেষ একটি দিকে ক্রিয়া করার দৈহিক প্রন্তুতি। অর্থাৎ মনোভাব হলো এক প্রকার দৈহিক প্রস্তুতি, যা স্নায়ু ও পেশিতন্ত্রের কার্যপ্রবণতা হিসেবেও কাজ করে।

খ. পূর্বসংস্কার দূর করা বা অনেকাংশে হ্রাস করার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য উপায় হলো প্রাসঙ্গিক আইন প্রণয়ন করা। প্রাসঙ্গিক আইন প্রণয়নের মধ্য দিয়ে দুই বা ততোধিক সম্প্রদায়ের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নের পাশাপাশি পূর্বসংস্কার প্রশমন বা দূর করা যায়। এক্ষেত্রে ক্লার্ক উল্লেখ করেন যে, আমেরিকায় বর্ণবাদ বিরোধী আইন প্রণয়ন করে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়নের চেষ্টা করা হয়েছে, যার ফলে বর্তমানে কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের যে পূর্বসংস্কার তা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।

গ. উদ্দীপকে নাহিনের আচরণ মনোভাবের অনুভূতি ও আবেগীয় উপাদানের অন্তর্ভুক্ত। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
মনোভাবের ক্ষেত্রে অনুভূতি ও আবেগীয় উপাদান হলো কোনো বিষয়, বস্তু, বা পরিস্থিতির প্রতি মতামত বা প্রতিক্রিয়া প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যক্তির মনো-দৈহিক ক্রিয়ায় সৃষ্ট এক ধরনের আবেগ বা প্রক্ষোভমূলক প্রস্তুতি। এটি ব্যক্তির শারীরিক ও মানসিক আলোড়নগত পরিবর্তন ও মূল্যায়নের সাথে সম্পর্কযুক্ত। অনুভূতি ও আবেগ থেকে সৃষ্ট আবেগ বা প্রক্ষোভমূলক প্রস্তুতিই কোনো বিষয়, বমত্মু বা পরিস্থিতির পক্ষে বা বিপক্ষে যাবার মতো ব্যক্তির মনোভাব তৈরি করে। যেমন- যাকে পছন্দ করি তাকে ভালোবাসি, যাকে পছন্দ করি না তাকে ঘৃণা করি। আবার, আমরা আনন্দ থেকে সুখ এবং কষ্ট থেকে দুঃখ অনুভব করি। উদ্দীপকে নাহিন তার বাবার সাথে পত্রিকা পড়ে ও টেলিভিশনে খবর শুনে রহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা সম্পর্কে জানতে পারে। যা তাকে খুব কষ্ট দেয়।
অর্থাৎ উপরোক্ত আলোচনা হতে বলা যায় যে, নাহিনের আচরণ মনোভাবের অনুভূতি ও আবেগীয় উপাদান।

ঘ. মতিন সাহেবের মানসিকতাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় পূর্বসংস্কার বলে। নিচে পূর্বসংস্কারের বৈশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করা হলো-
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয় তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। আমাদের অধিকাংশ পূর্বসংস্কারই আমাদের শৈশবকালে গৃহপরিবেশে অর্জিত হয়। ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুর কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সুযোগ না থাকায় শিশু তার পিতামাতা ও পরিবারের অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পূর্বসংস্কার শিখে থাকে।
২. প্রত্যেক পূর্বসংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান থাকে। পূর্বসংস্কারের মধ্যে অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রতিকূল মনোভাব ও একটা অপছন্দের ভাব থাকে। যেমন- আমেরিকায় নিগ্রোদের বসবাসের এলাকা পৃথক, শ্বেতাঙ্গদের স্কুলে তাদের পড়তে দেওয়া হয় না। আমাদের দেশেও হরিজনদের গ্রামের একপ্রান্তে বাস করতে দেওয়া হয় এবং তাদের অস্পৃশ্য বিবেচনা করা হয়। জাতিগত পূর্বসংস্কার প্রবলভাবে দেখা দিলে তা কিরূপ ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ নাৎসি জার্মানি কর্তৃক ব্যাপক ইহুদি-নিধন।
৩. যারা পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন তারা কিন্তু একে পূর্বসংস্কার বলে মনে করে না। কেউ বোঝাতে চাইলেও তারা পূর্বসংস্কারকে পূর্বসংস্কার হিসেবে গণ্য করতে রাজি হয় না। বরঞ্চ তারা তাদের পূর্বসংস্কারের সমর্থনে কতগুলো তথ্য ও যুক্তি প্রদর্শন করে।

৩. উদ্দীপক-১: সবুজ মেধাবী এবং বিসিএস ক্যাডার। সে নবীন অফিসার এবং কাজে খুবই দক্ষ এজন্য সবাই তাকে খুবই পছন্দ করে। সবুজের বাবা একজন মুদী দোকানদার সবুজের অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তার মেয়ের জন্য সবুজকে পছন্দ করে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয়। পরে যখন সবুজের বাবার সম্পর্কে জানতে পারে তখন প্রস্তাব থেকে পিছিয়ে আসে। কিন্তু কনে রিয়ার মা সবুজকে অত্যধিক পছন্দ করে বিধায় বিষয়টি সহজে মেনে না নিয়ে সবুজের সাথে রিয়ার বিয়ে দেন। ১০ বছর পর জানা যায় সবুজ তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ সুখে আছে।
ক. মনোভাব কী?
খ. মনোভাবের উপাদান এর কাজ কি?
গ. উদ্দীপকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ধারণাকে তুমি কীভাবে ব্যাখ্যা করবে?
ঘ. রিয়ার মা ও সবুজের পিতার আচরণের পারস্পরিক প্রভাব উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

৩ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. মনোভাব হলো কোনো ব্যক্তি, বস্তু বা অবস্থার প্রতি অনুকূল বা প্রতিকূল প্রতিক্রিয়ার প্রবণতা।

খ. মনোভাবের উপাদান তিনটি। যথা- ১। জ্ঞান বা অবহিতিমূলক, ২। অনুভূতিমূলক ও ৩। ক্রিয়ামূলক। কোনো বিশেষ বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানই হচ্ছে মনোভাবের অবহিতিমূলক উপাদান। এ উপাদান মনোভাব সম্পর্কিত ভালো বা মন্দ, অনুকূল বা প্রতিকূল অথবা কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত লক্ষণ প্রকাশ করে থাকে। মনোভাবের সাথে জড়িত আবেগকেই অনুভূতিমূলক উপাদান বলা হয়। এ উপাদানের উপর ভিত্তি করেই মনোভাবের বিষয় সম্বন্ধে ব্যক্তির পছন্দ ও অপছন্দ গয়ে উঠে। অর্থাৎ পছন্দ ও অপছন্দ গড়ে উঠার পিছনে মনোভাবের অনুভূতিমূলক উপাদানকেই মনোভাবের ক্রিয়ামূলক উপাদান বলে। এক্ষেত্রে কোনো বন্তু বা ব্যক্তির প্রতি ইতিবাচক মনোভাব হলে সে তাকে রক্ষা এবং তার মঙ্গল কামনার জন্য কাজ করে আর নেতিবাচক হলে সে তার ধ্বংস ও ক্ষতি সাধান করার ক্ষেত্রে কাজ করে।

গ. উদ্দীপকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ধারণাকে আমি পূর্ব সংস্কার হিসেবে ব্যাখ্যা করব। জাতিগত, ধর্মগত, সংখ্যাগতভাবে ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাবই পূর্বসংস্কার। এ সংস্কারের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরূপ:
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয় তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা।
২. প্রত্যেক পূর্বসংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান থাকে। পূর্বসংস্কারের মধ্যে অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রতিকূল মনোভাব ও একটা অপছন্দের ভাব থাকে। এক্ষেত্রে ঝাড়ুদারদের প্রতি রতনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতিকূল মনোভাব লক্ষ করা গেছে।
৩. যারা পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন তারা কিন্তু একে পূর্বসংস্কার বলে মনে করে না।
পরিশেষে বলা যায় যে, পূর্বসংস্কার কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দলের সদস্যদের প্রতি অসম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ মনোভাব, যা তাদের চিন্তন, প্রত্যক্ষণ, অনুভূতি ও কাজে প্রতিফলিত হয়। যেমন- মুদী দোকানদার, ঝাড়ুদার, মেথর প্রভৃতি দলের সদস্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ প্রভৃতি পূর্বসংস্কারের উদাহরণ।

ঘ. রিয়ার মা সবুজের বাবার পেশা মুদী দোকানদারের প্রতি সমাজে প্রতিষ্ঠিত পূর্বসংস্কারকে হ্রাস করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে পারস্পরিক সংস্পর্শে পূর্বসংস্কার হ্রাস পাবে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এ সংস্কার থেকে নিষ্কৃতি পাবে। এক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপের প্রভাব নিচে উল্লেখ করা হলো-
পারস্পরিক সংস্পর্শ:
পূর্ব সংস্কারের ধর্ম হলো অন্যের সাথে নিজের পার্থক্য রক্ষা করা। এ কারণে এক গোষ্ঠীর সদস্যরা বিপক্ষ গোষ্ঠীর থেকে নিজেদের দূরে রাখার বা সংস্রব বর্জনের সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কাজেই পূর্ব সংস্কার হ্রাস বা দূর করতে হলে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন যাতে গোষ্ঠী দুটি থেকে একে অপরের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে পারস্পরিক আদান-প্রদানের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়, যা পূর্ব সংস্কার হ্রাস করতে সহায়তা করে।
একই লক্ষ্য অর্জনে যৌথ প্রচেষ্টা:
বিভিন্ন পর্যালোচনা হতে দেখা যায় যে, কতকগুলো লোক যখন একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালায় তখন তাদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের পূর্ব সংস্কার কমে যায় এবং তাদের মধ্যে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠে। যেমন: আমেরিকার জাতীয় ফুটবল দলে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ একই সাথে দলকে জেতানোর জন্য খেলে থাকে। এদের মধ্যে পূর্ব সংস্কার অনেক কম।
পরিশেষে বলা যায়, রিয়ার মা ও সবুজের বাবার আচরণে পারস্পরিক দূরত্ব কমিয়ে সমাজ থেকে মুদী দোকানদার বা অন্যান্য সাধারণ পেশার প্রতি বিদ্যমান পূর্বসংস্কার হ্রাসে ভূমিকা রাখছে।

৪. রেদোয়ান সাহেব ও আনোয়ার সাহেব প্রতিবেশি। রেদোয়ান সাহেব চৌধুরী বংশের সন্তান এবং বিত্তশালী। আনোয়ার সাহেব সাধারণ ঘরের সন্তান। রেদোয়ান সাহেব তার ছেলেমেয়েদের আনোয়ার সাহেবের ছেলেমেয়েদের সাথে মিশতে দেন না। এক পর্যায়ে রেদোয়ান সাহেবের ছেলেমেয়েদের মধ্যে একই রকম আচরণ দেখা যায়।
ক. মনোভাবের সংজ্ঞা দাও।
খ. মনোভাবের ক্রিয়ামূলক উপাদান বলতে কী বুঝায়?
গ. রেদোয়ান সাহেব ও তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে বিষয়টি বিদ্যমান তা আলোচনা কর।
ঘ. রেদোয়ান সাহেব ও তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে আচরণ বিদ্যমান তা হ্রাস করার কোনো উপায় আছে কিনা আলোচনা কর।

৪ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতি, বিশেষ কোনো শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি অথবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, সামাজিক কোনো সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়ার পূর্বাপর সঙ্গতি সম্পন্ন রীতিকেই মনোভাব বলে।

খ. মনোভাবের বিষয় সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির সব ধরনের আচরণ প্রবণতাই হলো ক্রিয়ামূলক উপাদান। কোনো বিষয়ে ব্যক্তির ইতিবাচক মনোভাব হলো যে সর্বাত্মকভাবে তার ভালো কামনা করে। ব্যক্তি যে বিষয়টিকে সমর্থন করে সেটিকে রক্ষা করতে চেষ্টা করে। পক্ষান্তরে, যদি মনোভাব নেতিবাচক হয় তবে ব্যক্তি তার অমঙ্গল ও ধ্বংস কামনা করে। যেমন- কোনো ব্যক্তির সামনে যদি তার প্রিয় নেতার সমালোচনা করা হয় তবে উক্ত ব্যক্তি যুক্তিতর্কের মাধ্যমে সমালোচনা খন্ডন করে। নেতা যদি কোনো বিপদে পড়ে তবে ব্যক্তি তার সাহায্যে এগিয়ে আসে। এগুলো হলো মনোভাবের ক্রিয়ামূলক দিক। একইভাবে ব্যক্তি কাউকে অপছন্দ করে তার সমালোচনা করে থাকে, তাকে এড়িয়ে চলে।

গ. রেদোয়ান সাহেব ও তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে বিষয়টি বিদ্যমান তা হলো পূর্বসংস্কার।
জাতিগত, ধর্মগত, সংখ্যাগতভাবে ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাবই পূর্বসংস্কার। নিচে পূর্বসংস্কার সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-

পূর্বসংস্কারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয় তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা।
২. প্রত্যেক পূর্বসংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান থাকে। পূর্বসংস্কারের মধ্যে অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রতিকূল মনোভাব ও একটা অপছন্দের ভাব থাকে। এক্ষেত্রে সাধারণ ঘরের সন্তান আনোয়ার সাহেবের প্রতি রেদোয়ান সাহেবের প্রতিকূল মনোভাব লক্ষ করা গেছে।
৩. যারা পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন তারা কিন্তু একে পূর্বসংস্কার বলে মনে করে না। পরিশেষে বলা যায় যে, পূর্বসংস্কার কোনো বিশেষ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দলের সদস্যদের প্রতি অসম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ মনোভাব, যা তাদের চিন্তন, প্রত্যক্ষণ, অনুভূতি ও কাজে প্রতিফলিত হয়। যেমন- ঝাড়ুদার, মেথর প্রভৃতি দলের সদস্যদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ প্রভৃতি পূর্বসংস্কারের উদাহরণ।

ঘ. উদ্দীপকে রেদোয়ান সাহেব ও তার ছেলেমেয়েদের মধ্যে যে বিষয়টি বিদ্যমান তা হলো পূর্ব সংস্কার। যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Prejudice। পূর্বসংস্কার একটি পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। পূর্বসংস্কার হ্রাস করার উপায়সমূহ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-
১. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণের জন্য নিজ দল ও ভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য উভয় দলের ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি করে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. পূর্বসংস্কার হ্রাস করার জন্য আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের আবাসিক সংমিশ্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। দেখা গেছে যে, একই এলাকায় বসবাসের ফলে শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের পূর্বসংস্কার তীব্রতা অনেকটা কমে গেছে।
৩. কতকগুলো লোক যখন একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালায় তখন তাদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের পূর্বসংস্কার হ্রাস পায়।
৪. পূর্বসংস্কার কমিয়ে আনতে আন্তঃকৃষ্টিমূলক শিক্ষার প্রচলন করার দরকার।
৫. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণে গণমাধ্যম খুবই জোরালো ভূমিকা পালন করে। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ পূর্বসংস্কার অনেকটা কমিযয়ে আনতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিতভাবে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করলে এবং একত্রে উদ্যোগ নিলে পূর্বসংস্কার সহজেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

৫. উদ্দীপক ১: তথ্যাদি ভালো করে পরীক্ষা না করে আগেভাগে একটি সিদ্ধান্ত করা।
উদ্দীপক ২: কম তথ্য নির্ভর ও অবিশ্বাস্য রকমের সংক্ষিপ্ত ধারণা।
ক. কয়টি মাত্রা নিয়ে লিকার্ট মানক তৈরি হয়েছে?
খ. মনোভাবের সাথে জড়িত আবেগকে মনোভাবের কোন উপাদানের অন্তর্ভুক্ত করা হয়?ব্যাখ্যা কর।
গ. মনোবিজ্ঞানের আলোকে উদ্দীপক-১ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপক ২-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ- উল্লেখপূর্বক বিশ্লেষণ কর।

৫ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. ৫টি মাত্রা নিয়ে লিকার্ট মানক তৈরি হয়েছে।

খ. মনোভাবের সাথে জড়িত আবেগকেই অনুভূতিমূলক উপাদান বলা যায়। এ আবেগের ওপর ভিত্তি করেই মনোভাবের বিষয় সম্বন্ধে ব্যক্তির পছন্দ ও অপছন্দ গড়ে উঠে। ক্লাসে কোনো শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তার অর্থ হলো এই যে, উক্ত শিক্ষকের প্রতি ছাত্রের ভালো লাগা বা পছন্দের সম্পর্ক রয়েছে। উক্ত শিক্ষকের কাজকর্মের প্রতি ছাত্রের আবেগ কাজ করছে।

গ. মনোবিজ্ঞানের আলোকে উদ্দীপক-১ হলো পূর্বসংস্কার। নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
ইংরেজি Prejudice শব্দ থেকে পূর্বসংস্কার এসেছে। Prejudice-এর আভিধানিক অর্থ হলো- 'তথ্যাদি ভালো পরীক্ষা না করে আগেভাগে একটি সিদ্ধান্ত করা।' পুর্বসংস্কার বললে শুধু অকাল সিদ্ধান্তই বোঝায় না, প্রতিকূল বা বিভিন্ন মনোভাবও বোঝায়। পূর্বসংস্কার হলো ‘পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা’। তথ্যভিত্তিক সমর্থন ছাড়াই কোনো ধারণার পক্ষে বা বিপক্ষে বিশেষ মনোভাবকেই পূর্বসংস্কার বলে। কোনো বিষয় সম্পর্কে যথার্থ বিচার বিবেচনা ছাড়াই ব্যক্তি যুক্তিহীন নেতিবাচক মনোভাবকে পূর্বসংস্কার বলা যায়। নিউকোম্ব এর মতে, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে এক প্রকার প্রতিকূল মনোভাব, কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী সম্পর্কে বিশেষ ধরনের প্রত্যক্ষণ, আচরণ, চিন্তা ও অনুভব করার পূর্ব-প্রস্তুতি, যা অপর ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অনুকূল তো নয়ই, বরঞ্চ প্রতিকূল।

পূর্বসংস্কারের কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয় তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। আমাদের অধিকাংশ পূর্বসংস্কারই আমাদের শৈশবকালে গৃহপরিবেশে অর্জিত হয়। ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুর কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার সুযোগ না থাকায় শিশু তার পিতামাতা ও পরিবারের অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছ থেকে পূর্বসংস্কার শিখে থাকে।

২. প্রত্যেক পূর্বসংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান থাকে। পূর্বসংস্কারের মধ্যে অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রতিকূল মনোভাব ও একটা অপছন্দের ভাব থাকে। যেমন- আমেরিকায় নিগ্রোদের বসবাসের এলাকা পৃথক, শ্বেতাঙ্গদের স্কুলে তাদের পড়তে দেওয়া হয় না। আমাদের দেশেও হরিজনদের গ্রামের একপ্রাসেত্ম বাস করতে দেওয়া হয় এবং তাদের অস্পৃশ্য বিবেচনা করা হয়। জাতিগত পূর্বসংস্কার প্রবলভাবে দেখা দিলে তা কিরূপ ভয়াবহ হতে পারে তার প্রমাণ নাৎসি জার্মানি কর্তৃক ব্যাপক ইহুদি-নিধন।

৩. যারা পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন তারা কিন্তু একে পূর্বসংস্কার বলে মনে করে না। কেউ বোঝাতে চাইলেও তারা পূর্বসংস্কারকে পূর্বসংস্কার হিসেবে গণ্য করতে রাজি হয় না। বরঞ্চ তারা তাদের পূর্বসংস্কারের সমর্থনে কতকগুলো তথ্য ও যুক্তি প্রদর্শন করে।

ঘ. উদ্দীপকের ২ হলো বদ্ধমূল ধারণা। নিচে বদ্ধমূল ধারণার বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখপূর্বক বিশ্লেষণ করা হলো-
১. শ্রেণিভুক্তকরণ: ব্যক্তি বা দলের অনেক গুণাবলির মধ্যে বিশেষ কিছু শারীরিক বা জাতিগত বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে গুণাবলিকে শনাক্ত করার জন্য নির্বাচিত করা হয় এবং অন্য গুণাবলিকে অবজ্ঞা করা হয়।

২. গুণাবলি আরোপে মতৈক্য: বদ্ধমূল ধারণার শ্রেণিভুক্তকরণের সাথে সাথে একই শ্রেণির অন্তর্গত ব্যক্তিবর্গ কতকগুলো বিশেষ সংলক্ষণের অধিকারী বলে প্রত্যক্ষণকারীদের মধ্যে একটা মতৈক্য গড়ে ওঠে। যেমন- বাঙালিরা ভোজনপ্রিয়, অলস, সঙ্গীতপ্রিয়, অতিথিপরায়ণ জাতি হিসেবে চিহ্নিত। নিগ্রোরা অলস, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অপরিষ্কার জাতি। কিছু গুণাবলি আরোপের ভিত্তিতে এভাবে ঐকমত্য সৃষ্টি করা হয়।

৩. প্রকৃত ও আরোপিত গুণাবলির মধ্যে পার্থক্য: বদ্ধমূল ধারণা প্রায় সময়ই ভ্রান্ত হয়ে থাকে। কারণ এগুলো ব্যক্তির প্রকৃত বৈশিষ্ট্যের অতি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। কতিপয় বিশেষ গুণের আড়ালে ব্যক্তির প্রত্যক্ষণে অন্যান্য গুণাবলি আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ কারণে অতি সংক্ষিপ্ত তথ্যসমৃদ্ধ বর্ণনাটি প্রাধান্য পায়। কোনো জোলা (তাঁতী) †বাকামি করেছে বলেই ঐ সম্প্রদায়ের সকলকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। কিন্তু এ ভুলটিই অর্থাৎ প্রকৃত ও আরোপিত গুণাবলির পার্থক্যই বদ্ধমূল ধারণার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।

৬. কাজী নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের ছোট মেয়ে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। ওর বাবা বিয়ে দিতে চান। পাশের গ্রামের হাসান চৌধুরী সাহেব তার আমেরিকা প্রবাসী ছেলের জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু নেয়ামতুল্লাহ সাহেব জানেন চৌধুরী পরিবার খুবই খারাপ পরিবার। তারা সবসময় অন্যের পিছনে লেগে থাকে, মানুষকে কুপরামর্শ দেয়, মামলা-মোকদ্দমা করে।
ক. বদ্ধমূল ধারণা কী?
খ. কিভাবে পূর্বসংস্কার তৈরি হয়?
গ. উদ্দীপকে কাজী নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের ধারণা তুমি কিভাবে ব্যাখ্যা করবে?
ঘ. নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের ধারণা প্রকৃত বা আরোপিত তা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ কর।

৬ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. বদ্ধমূল ধারণা হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা, যেখানে পক্ষপাতমূলক একটি মনোভাব ফুঠে উঠে।

খ. নিম্নলিখিত উপায়ে পূর্বসংস্কার তৈরি হয়-
১. ছোট শিশু অনুকরণের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে পূর্বসংস্কার অর্জন করে।
২. প্রচলিত প্রথা ও জীবননির্বাহ পদ্ধতির পার্থক্যের জন্যও পক্ষপাতদুষ্ট ধারণার উদ্ভব হয়ে থাকে।
৩. অনেক পূর্বসংস্কার জাতিকেন্দ্রিক মনোভাব থেকে উৎপন্ন হয়।
৪. গণমাধ্যম, পারস্পরিক যোগাযোগ প্রভৃতি ও পূর্বসংস্কারকে দৃঢ়বদ্ধ করতে সহায়তা করে।

গ. চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে কাজী নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের বদ্ধমূল ধারণা ছিল। বদ্ধমূল ধারণা হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা, যেখানে পক্ষপাতমূলক একটি মনোভাব ফুটে উঠে। বদ্ধমূল ধারণা একটি কম তথ্য নির্ভর অথবা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যিকার তথ্যের মূলত কোনো বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় না। এটি সবসময় একটি মনগড়া মনোভাব দ্বারা পরিচালিত হয়। 
কাজী নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে একটি খারাপ ধারণা আছে। তিনি মনে করেন, চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের চরিত্র ভালো নয়। হয় তো বা চৌধুরী পরিবারের কোনো একজনের চরিত্র তিনি জানেন যার চরিত্র ভালো নয়। সাধারণভাবে এ বদ্ধমূল ধারণাটি সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ বদ্ধমূল ধারণা হয় কোনো দল, জাতি, গোষ্ঠী, পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সম্পর্কে এক ধরনের প্রথাগত বা প্রচলিত বিশেষ বিশ্বাস বা চিরায়ত ধারণা; যে ধারণাসমূহ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমনকি বেশির ভাগ সময়ই তা ভুল বা ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়। ব্যক্তিকে শ্রেণিভুক্তকরণ হলো বদ্ধমূল ধারণার একট উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এ শ্রেণিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির অন্যন্য গুণাবলি প্রাধান্য পায়না। যেমনটি চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের হয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকে নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের ধারণা প্রকৃত না আরোপিত তা বিশেষ বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হলো-
বদ্ধমূল ধারণা প্রায় সময়ই ভ্রান্ত হয়ে থাকে। কারণ এগুলো ব্যক্তির প্রকৃত বৈশিষ্ট্যের অতি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা। কতিপয় বিশেষ গুণের আড়ালে ব্যক্তির প্রত্যক্ষণে অন্যান্য গুণাবলি আচ্ছন্ন হয়ে যায়। এ কারণে অতি সংক্ষিপ্ত তথ্যসমৃদ্ধ বর্ণনাটি প্রাধান্য পায়। কোনো জোলা (তাঁতি) বোকামি করছে বলেই ঐ সম্প্রদায়ের সকলকে বোকা ভাবা ঠিক নয়। কিন্তু এ ভুলটিই অর্থাৎ প্রকৃত ও আরোপিত গুণাবলির পার্থক্যই বদ্ধমূল ধারণার অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
উদ্দীপকে দেখা যায়, নেয়ামত উল্লাহ সাহেব জানেন চৌধুরী পরিবার খুব খারাপ পরিবার। হয়তো কোনো এক চৌধুরী পরিবার তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। তাই বলে সব চৌধুরী পরিবারই খারাপ হবে এমনটি নয়। তাই বলা যায়, নেয়ামত উল্লাহ সাহেবের আলোচিত ধারণাটি প্রকৃত।

HSC মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ৩ pdf download

৭. মিতা অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। সামনে পরীক্ষা। বাবা কিবরিয়া সাহেব মিতার বিয়ে দিবেন। মিতা, লম্বা, ফর্সা, সুন্দরী ও মেধাবী। বিয়ের প্রস্তাব এসেছে পাশের বাড়ির চৌধুরী পরিবারের এক ছেলের সাথে, ছেলে আমেরিকাতে থাকে। কিবরিয়া সাহেব অনেক আগে থেকেই জানেন চৌধুরী পরিবার খুবই খারাপ পরিবার। তাদের চরিত্র ভালো নয়। তারা সব সময় অন্যের পিছনে লেগে থাকে এবং খারাপ পরামর্শ দিয়ে থাকে।
ক. বদ্ধমূল ধারণার সংজ্ঞা দাও।
খ. পূর্বসংস্কার বলতে কি বোঝায়?
গ. চৌধুরীর পরিবার সম্পর্কে কিবরিয়া সাহেব কী ধারণা ছিল তা বর্ণনা কর।
ঘ. কিবরিয়া সাহেবের ধারণা কিভাবে ব্যক্তির গুণাবলি আরোপের মতৈক্য এবং প্রকৃত ও আরোপিত গুণাবলির মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে তা তোমার নিজের ভাষায় লিপিবদ্ধ।

৭ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপর কেবলমাত্র শ্রেণিভুক্তিকরণের ভিত্তিতে গুণাবলি আরোপ করাকে বদ্ধমূল ধারণা বলা হয়।

খ. জাতিগত, ধর্মগত বা সংখ্যাগতভাবে ভিন্ন কোনো সম্প্রদায়ের সদস্যদের প্রতি বিদ্বেষ বা পক্ষপাতমূলক মনোভাবকে সাধারণত পূর্বসংস্কার বলা হয়। উদাহরণস্বরূপ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠদের নেতিবাচক মনোভাব পূর্বসংস্কাররূপে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ কোনো বিষয় সম্পর্কে যথার্থ বিচার-বিবেচনা ছাড়াই ব্যক্তির নেতিবাচক মনোভাবকে পূর্বসংস্কার বলে। পৃথকীকরণ ও বিদ্বেষ এ দুটি পূর্ব সংস্কারের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য। পূর্বসংস্কারের অপর একটি বৈশিষ্ট্য এই যেন এ ধরনের মনোভাব পোষণের পিছনে তেমন কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য বা যুক্তি থাকে না। তবে এ ধরনের পক্ষপাতমূলক মনোভাব সচরাচর নেতিবাচক হলেও অনেক ক্ষেত্রে তা ইতিবাচকও হতে পারে। যেমন, নিজ দলের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ ইতিবাচক বিশেষণ প্রয়োগ এক প্রকার পূর্ব সংস্কার।

গ. চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে কিবরিয়া সাহেবের বদ্ধমূল ধারণা ছিল বদ্ধমূল ধারণা হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা, যেখানে পক্ষপাতমূলক একটি মনোভাব ফুটে উঠে। বদ্ধমূল ধারণা মূলত একটি কম তথ্য নির্ভর অথবা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যিকার তথ্যের কোনো বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় না। এটি সবসময় একটি মনগড়া মনোভাব দ্বারা পরিচালিত হয়।
মিতার বাবার চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে একটি খারাপ ধারণা আছে। তিনি মনে করেন, চৌধুরী পরিবারের সদস্যদের চরিত্র ভালো নয়। হয়তো বা চৌধুরী পরিবারের কোনো একজনের চরিত্র তিনি জানেন যার চরিত্র ভালো নয়। সাধারণভাবে এ বদ্ধমূল ধারণাটি সকলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ বদ্ধমূল ধারণা হয় কোনো দল, জাতি, গোষ্ঠী, পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সম্পর্কে এক ধরনের প্রথাগত বা প্রচলিত বিশেষ বিশ্বাস বা চিরায়ত ধারণা; যে ধারণাসমূহ অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, এমনকি বেশির ভাগ সময়ই তা ভুল বা ভ্রান্ত বলে প্রমাণিত হয়। ব্যক্তিকে শ্রেণিভুক্তকরণ হলো বদ্ধমূল ধারণার একট উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। এ শ্রেণিভুক্তকরণের ক্ষেত্রে ব্যক্তির অন্যন্য গুণাবলি প্রাধান্য পায় না।' এমনটি চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে মিতার বাবার হয়েছে।

ঘ. কিবরিয়া সাহেবের ধারণা বদ্ধমূল ধারণার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যের সাথে তুলনা করা যায়। যেমন-
শ্রেণির ওপর অর্পিত গুণাবলি সম্পর্কে মতৈক্য:
বদ্ধমূল ধারণার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো শ্রেণির ওপর অর্পিত গুণাবলি সম্পর্কে মতৈক্য পোষণ করা। চৌধুরী পরিবারের মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্যাবলি লক্ষ করা যায়, যা এ পরিবারের ব্যক্তিকে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিভুক্ত করা হয় এবং সেক্ষেত্রে মতৈক্য পোষণ করা হয়। এমনিভাবে কিবরিয়া সাহেবের মনের মধ্যে চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে একটি বদ্ধমূল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে যে, এ পরিবারের সদস্যরা ভালো চরিত্রের অধিকারী নয়। যার দরূন মেয়ের বিয়ে এ পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে হতে পারে না।
প্রকৃত তথ্য ও অর্পিত গুণাবলিমূলক তথ্যের মধ্যে পার্থক্য:
বদ্ধমূল ধারণার একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো প্রকৃত তথ্য ও অর্পিত গুণাবলি থেকে প্রকৃত তথ্য একেবারেই বিপরীত হতে পারে। যেমন- কিবরিয়া সাহেব চৌধুরী পরিবার সম্পর্কে বদ্ধমূল ধারণা পোষণ করেন যে, তারা ভালো চরিত্রের মানুষ না। প্রকৃত অর্থে ঐ পরিবারের সকল সদস্য এ ধরনের বৈশিষ্ট্যাবলি বহন করে না।

৮. একমাত্র সন্তান মারিয়াকে নিয়ে তার বাবা-মা "অরিন্দম সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬’’ তে অংশগ্রহণের জন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমী চত্তরে প্রবেশ করলেন। তারা মনে করেন, সন্তানদের কেবল জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য তৈরি না করে সংস্কৃতি শাখায় আসার সুযোগ দিতে হবে। তাই মারিয়াকে নিয়ে আসা। তারা বিশ্বাস করেন, যে ছেলেমেয়েরা গান, কবিতা, নাটক, আবৃত্তি করে, তারা কখনোই সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হতে পারে না। তাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে প্রতিহত করতে সন্তানকে মুক্ত চিন্তার সংস্কৃতিমনা মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মারিয়া তিনটি বিভাগে ১ম পুরুস্কার পেয়ে বাবা-মার মুখ উজ্জ্বল করল।
ক. মনোভাবের কোন উপাদানে আবেগ জড়িত থাকে?
খ. বদ্ধমূল ধারণাটি ব্যাখ্যা কর।
গ. শিশুর মনোভাব গঠনে উদ্দীপকে পরিবারের গৃহীত পদক্ষেপটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. তুমি কী মনে কর, শিশুর মনোভাব গঠনে উক্ত উপাদানটি একমাত্র শর্ত?তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

৮ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. মনোভাবের অনুভূতিমূলক উপাদানে আবেগ জড়িত থাকে।

খ. বদ্ধমূল ধারণাটি নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
বদ্ধমূল ধারণা হলো এমন এক ধরনের বিশ্বাস বা ধারণা, যেখানে পক্ষপাতমূলক একটি মনোভাব ফুটে উঠে। বদ্ধমূল ধারণা মূলত একটি কম তথ্য নির্ভর অথবা অনেক ক্ষেত্রেই সত্যিকার তথ্যের কোনো বিচার-বিশ্লেষণ করা হয় না। এটি সবসময় একটি মনগড়া মনোভাব দ্বারা পরিচালিত হয়। যেমন:
নিগ্রো মানেই উচ্ছৃঙ্খল জাতি, এটি একটি বদ্ধমূল ধারণা, তবে সকল নিগ্রোই উচ্ছৃঙ্খল নয়। অর্থাৎ বদ্ধমূল ধারণা বলতে কোনো দল, জাতি, গোষ্ঠী, পরিবার, সমাজ ইত্যাদি সম্পর্কে এক ধরনের প্রথাগত বা প্রচলিত বিশেষ বিশ্বাস বা চিরায়ত ধারণাকে বুঝায়।

গ. উদ্দীপকে শিশুর মনোভাব গঠনে পরিবারের গৃহীত পদক্ষেপটি হলো সংস্কৃতি। মনোভাব গঠনে যে সকল অবস্থা কাজ করে থাকে তার মধ্যে সংস্কৃতি অন্যতম একটি। যা শিশুর মনোভাব গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। নিচে শিশুর মনোভাব গঠনে পরিবারের গৃহীত পদক্ষেপটি ব্যাখ্যা করা হলো-
মানব সমাজ সংস্কৃতির পরিমন্ডলেই বেড়ে উঠে। প্রত্যেকটি সংস্কৃতি বা জীবনধারায় শিশু পালনের একটি বিশেষ পদ্ধতি থাকে। এর ফলে সাংস্কৃতিক প্রভাবে শিশুর মধ্যে কতকগুলো মনোভাব গড়ে উঠে। বিদ্যালয় যে শিক্ষাদান করে তা একটি নির্দিষ্ট মতবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে শিক্ষা। কাজেই শিক্ষার মধ্যে নির্দিষ্ট একটি মতবাদে দীক্ষা দেওয়ার প্রচেষ্টা থাকে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীর মনোভাবও সেভাবে গড়ে উঠে। এক্ষেত্রে শিক্ষকের মনোভাবের প্রভাব অস্বীকার করা যায় না। আবার বিদ্যালয়ের ছাত্র নেতাদের মনোভাবের প্রভাবেও শিক্ষার্থীর মনোভাব গঠিত হয়। আমাদের খেলাধুলা, পাঠ্যপুন্তক, আমরা যে ধরনের বন্ধুদের সঙ্গে মিশি, যেসব আমোদ-প্রমোদে যোগদান করি, যে সংবাদপত্র পড়ি, রেডিওতে যা শুনি, তা যদি সব কিছুই আমাদের মনোভাব গঠনে সাহায্য করে। যার সবই সাংস্কৃতির অংশ।
উদ্দীপকে শিশু যদি সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকে তবে সে কখনোই সন্ত্রাসী বা জঙ্গি হতে পারে না। সংস্কৃতির বন্ধনে আবদ্ধ থেকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করা সম্ভব এবং শিশু মুক্ত চিন্তার সংস্কৃতিমনা মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
সুতরাং উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, উদ্দীপকের শিশুর মনোভাব গঠনের ক্ষেত্রে পরিবারের গৃহীত পদক্ষেপটি যথার্থ।

ঘ. আমি মনে করি, শিশুর মনোভাব গঠনে উক্ত উপাদানটি অর্থাৎ ‘সংস্কৃতি’ একমাত্র শর্ত নয়। সংস্কৃতি ছাড়াও অন্য যে বিষয়গুলো শিশুর মনোভাব গঠনে ভূমিকা রেখেছে বলে আমার মনে হয়, তা হলো- ব্যক্তির চাহিদা পূরণ, তথ্য পরিবেশন, সমিতি, ব্যক্তিত্ব ও পরিবার। নিচে এসব বিষয় পাঠ্যবইযয়ের আলোকে বিশ্লেষণ করা হলো-
১. ব্যক্তির চাহিদা পূরণের সাথে মনোভাব গঠনের সম্পর্ক রয়েছে। যে ব্যক্তি বা বন্তু মনোভাব গঠনে সহায়তা করে তার প্রতি ব্যক্তির ইতিবাচক মনোভাব ও যা তার মনোভাব গঠনে বাধার সৃষ্টি করে তার প্রতি তার একটি প্রতিকূল মনোভাব গড়ে উঠে।
২. ব্যক্তির উপর যে তথ্য পরিবেশিত হয় তার উপর ভিত্তি করে ঐ ব্যক্তির মনোভাব গড়ে উঠে।
৩. কোনো ব্যক্তি যে সমিতির সদস্য হয় সে সেই সমিতির নিয়ম-নীতি মেনে চলে যা সমিতির অন্যান্য সদস্যদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলতে সহায়তা করে।
৪. ব্যক্তিত্ব হলো ব্যক্তির সকল বৈশিষ্ট্যের সামগ্রিক রূপ যার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় তার স্বাতন্ত্র্য ভাব। মনোভাব গঠনে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৫. মনোভাব গঠনে পরিবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। পিতা-মাতা তাদের নিজেদের পছন্দ-অপছন্দ, সংস্কার, উচ্চাকাঙ্ক্ষা আগ্রহ ইত্যাদি তাদের শিশু সন্তানদের মধ্যে সংক্রমিত করেন। ফলে পিতা-মাতার কাছ থেকেই শিশুদের মনোভাব বিকশিত হয়ে থাকে।
তাই বলা যায়, মনোভাব গঠনে শুধু সংস্কৃতিই নয়, মনোভাব গঠনের অন্যান্য উপাদানসমূহও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

৯. সবুজ শ্যামল আমাদের এই দেশ। এই দেশের প্রতিটি মানুষই দেশকে প্রচন্ডভাবে ভালোবাসে। দেশের জন্য জীবন দিতেও প্রস্তুত। এদেশের অধিকাংশ মানুষই মনে করে, এদেশের প্রতিটি মানুষই অতিথিপরায়ণ, আবেগী, বুদ্ধিমান ও সহনশীল। তবে কিছু মানুষ মনে করে আমাদের দেশের মানুষ বুদ্ধিমান হতে পারে তবে তারা সহনশীল নয় বরং চরম বিশৃঙ্খলপ্রিয়।
ক. মনোভাব পরিবর্তনের জনপ্রিয় মতবাদের নাম কী?
খ. মনোভাব গঠনে সমিতির ভূমিকা লেখ।
গ. উদ্দীপকের আলোকে দেশের মানুষের যে বিষয়ের উপর ধারণা ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে দেশের অধিকাংশ মানুষের মনোভাবের উপাদানসমূহের আলোচনা কর।

৯ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. মনোভাব পরিবর্তনের জনপ্রিয় মতবাদের নাম হলো অবহিতমূলক সামঞ্জস্যহীনতা মতবাদ।

খ. মনোভাব গঠনে সমিতির ভূমিকা রয়েছে। কোনো ব্যক্তি যে সমিতির সদস্য হয়, তাকে সেই সমিতির নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হয়। প্রতিটি সমিতি বা সংঘের নিজস্ব কতকগুলো রীতি-নীতি, বিশ্বাস, মূল্যবোধ থাকে। কোনো ব্যক্তি যে সংঘের সদস্য হয়, তাকে ঐ সংঘের নিয়ম-কানুন মেনে অন্যান্য সদস্যদের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনোভাব গড়ে তুলে।

গ. উদ্দীপকে দেশের মানুষের মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। সমাজ মনোবিজ্ঞানীদের মতে মনোভাব হলো ‘‘প্রস্তুতিমূলক সক্রিয়তা’’ নিচে মনোভাব সম্পর্কে বিভিন্ন বিজ্ঞানীর প্রদানকৃত ধারণা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করা হলো-
সমাজ মনোবিজ্ঞানী আলপোর্ট, ১৯৩৫ সালে বলেন, ‘‘মনোভাব হচ্ছে ব্যক্তির অতীত অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সংগঠিত মানসিক ও স্নায়বিক প্রস্তুতি যা ব্যক্তিকে তার পারিপার্শ্বিক অবস্থার সাথে বিশেষ ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া করতে প্রত্যক্ষভাবে প্রভাবিত করে।’’ আবার রোজেনবার্গ ১৯৫০ সালে বলেন, ‘‘মনোভাব হলো কোনো বিষয় বা বস্তুর প্রতি ব্যক্তির অপেক্ষাকৃত স্থায়ী ক্রিয়াশীল প্রতিক্রিয়া।’’ অন্যদিকে, জিম্বার্ডো ও এবেসেন ১৯৭০ সালে বলেন, ‘‘মনোভাব হলো অবহতি ও অনুভূতির মধ্যে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করার প্রবণতা।’’
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, কোনো বিশেষ সামাজিক পরিস্থিতি, বিশেষ কোনো শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তি অথবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, সামাজিক কোনো সমস্যা ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের চিন্তা, বিশ্বাস, অনুভূতি এবং প্রতিক্রিয়ার পূর্বাপার সঙ্গতিসম্পন্ন রীতিকেই মনোভাব বলা হয়। কাজেই, মনোভাব হলো বিশেষ অবস্থায় বিশেষ ধরনের প্রতিক্রিয়া করার প্রবণতা।

ঘ. উদ্দীপকে দেশের অধিকাংশ মানুষের মনোভাবে ৩টি উপাদান রয়েছে। নিচে উপাদানসমূহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
মনোভাবের তিনটি উপাদান হলো জ্ঞান বা অবহিতমূলক উপাদান, অনুভূতিমূলক উপাদান এবং ক্রিয়ামূলক উপাদান। কোনো বিশেষ বিষয় সম্পর্কিত জ্ঞানই হচ্ছে অবহিতিমূলক উপাদান। মনোভাব সম্পর্কিত ভালো বা মন্দ, অনুকূল বা প্রতিকূল, জ্ঞান বা তথ্যসমূহ অবহিতমূলক উপাদানের অন্তর্ভুক্ত।
উদ্দীপকে দেশের অধিকাংশ মানুষ, দেশের মানুষের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন। দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে যে, এদেশের মানুষ অত্যন্ত অতিপিরায়ণ, আবেগী, বুদ্ধিমান এবং সহনশীল।
আবার, মনোভাবের সাথে জড়িত আবেগকেই মনোভাবের অনুভূতিমূলক উপাদান বলা হয়। এ আবেগের উপর ভিত্তি করে দেশের মানুষের পছন্দ-অপছন্দ গড়ে উঠে। উদ্দীপকে দেশের অধিকাংশ মানুষের, দেশের মানুষের উপর যে ইতিবাচক ভালবাসার প্রভাব রয়েছে তা অনুভূতির মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়।
আবার, মনোভাব সম্পর্কিত ব্যক্তির সকল প্রকার আচরণকেই মনোভাবের ক্রিয়ামূলক উপাদান বলে। যেমন- উদ্দীপকে কিছু মানুষ, দেশের মানুষের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে। সাথে সাথে ইতিবাচক ধারণা পোষণ করা মানুষ এর খ-নে যুক্তি উপস্থাপন করে। যা মনোভাবের ক্রিয়ামূলক উপাদানের বহিঃপ্রকাশ।
উপরোক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায়, দেশের মানুষের প্রতি, এ দেশের মানুষের যে মনোভাব প্রকাশিত হয়েছে সেক্ষেত্রে মনোভাবের ৩টি উপাদানই স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।

১০. আমরা অনেক সময় বন্ধুদের সঙ্গে একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা করে থাকি। অনেক সময় কোনো কোনো বিষয় সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট জ্ঞান না থাকার কারণে ইতিবাচক বিষয়কেও নেতিবাচক হিসেবে মন্তব্য করে থাকি। যা কি-না আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয়ভাবে গুরুতর প্রভাব ফেলতে পারে।
ক. পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা কী?
খ. পূর্ব সংস্কারের ২টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
গ. উদ্দীপকে আলোচিত বিষয়টির বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ কর।
ঘ. উক্ত বিষয়টি হ্রাসকরণের উপায়সমূহ বিশ্লেষণ কর।

১০ নম্বর সৃজনীশল প্রশ্নের উত্তর
ক. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয় তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা।

খ. পূর্ব সংস্কারের ২টি বৈশিষ্ট্য হলো-
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে অভিমত গঠন করা।
২. প্রত্যেক পূর্ব সংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান বিদ্যমান।

গ. উদ্দীপকে আলোচিত বিষয়টি হলো পূর্বসংস্কার যা একটি পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। নিচে পূর্বসংস্কারের বৈশিষ্ট্যসমূহ উল্লেখ করা হলো-
১. তথ্যাদির যথোপযুক্ত বিচার না করে যে সিদ্ধান্ত বা অভিমত গঠন করা হয়, তাই পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। আমাদের অধিকাংশ পূর্বসংস্কারই আমাদের শৈশবকালে গৃহ পরিবেশে অর্জিত হয়। ব্যক্তি সম্পর্কে শিশুর কোনো প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা না থাকায় শিশু তার পিতামাতা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছ থেকে পূর্বসংস্কার শিখে থাকে।
২. প্রত্যেক পূর্বসংস্কারের মধ্যে আবেগীয় উপাদান থাকে। পূর্বসংস্কারের মধ্যে অপর গোষ্ঠী সম্পর্কে প্রতিকূল মনোভাব ও একটা অপছন্দের ভাব থাকে।
৩. যারা পূর্বসংস্কারাচ্ছন্ন তারা কিন্তু একে পূর্বসংস্কার বলে মনে করে না। কেউ বোঝাতে চাইলেও তারা পূর্বসংস্কারকে পূর্বসংস্কার হিসেবে গণ্য করতে রাজি হয় না। বরং তারা তাদের পূর্বসংস্কারের সমর্থনে কতকগুলো তথ্য ও যুক্তি প্রদর্শন করে।

ঘ. উদ্দীপকে উক্ত বিষয়টি হলো পূর্বসংস্কার। যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Prejudice। পূর্বসংস্কার একটি পক্ষপাতদুষ্ট ধারণা। পূর্বসংস্কার হ্রাস করার উপায়সমূহ নিচে বিশ্লেষণ করা হলো-
১. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণের জন্য নিজ দল ও ভিন্ন দলের মধ্যে পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য উভয় দলের ইতিবাচক মনোভাব বৃদ্ধি করে এরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
২. পূর্বসংস্কার হ্রাস করার জন্য আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। আমেরিকার শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের আবাসিক সংমিশ্রণ সংক্রান্ত পদক্ষেপ এ প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। দেখা গেছে যে, একই এলাকায় বসবাসের ফলে শ্বেতাঙ্গ ও নিগ্রোদের পূর্বসংস্কার তীব্রতা অনেকটা কমে গেছে।
৩. কতকগুলো লোক যখন একই লক্ষ্য অর্জনের জন্য যৌথভাবে প্রচেষ্টা চালায় তখন তাদের পরস্পরের প্রতি পরস্পরের পূর্বসংস্কার হ্রাস পায়।
৪. পূর্বসংস্কার কমিয়ে আনতে আন্তঃকৃষ্টিমূলক শিক্ষার প্রচলন করার দরকার।
৫. পূর্বসংস্কার হ্রাসকরণে গণমাধ্যম খুবই জোরালো ভূমিকা পালন করে। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্র, সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষ পূর্বসংস্কার অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে।
পরিশেষে বলা যায় যে, সমাজ মনোবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, গণমাধ্যম কর্মীরা এবং সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ সম্মিলিতভাবে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করলে এবং একত্রে উদ্যোগ নিলে পূর্বসংস্কার সহজেই কমিয়ে আনা সম্ভব।

Share:

0 Comments:

Post a Comment

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

HSC Exam Routine

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইডসমূহ
(সকল বিভাগ)
বাংলা ১ম পত্র ১ম পত্র গাইড | বাংলা ২য় পত্র গাইড | লালসালু উপন্যাস গাইড | সিরাজুদ্দৌলা নাটক গাইড | ইংরেজি ১ম পত্র গাইড | ইংরেজি ২য় পত্র গাইড | আইসিটি গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র গাইড | রসায়ন ১ম পত্র গাইড | রসায়ন ২য় পত্র গাইড | পৌরনীতি ১ম পত্র গাইড | পৌরনীতি ২য় পত্র গাইড | অর্থনীতি ১ম পত্র গাইড | অর্থনীতি ২য় পত্র গাইড | ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ১ম পত্র গাইড | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীম ২য় পত্র গাইড | ভুগোল ১ম পত্র গাইড | ভুগোল ২য় পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ১ম পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ২য় পত্র গাইড | ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ১ম পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ১ম পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ২য় পত্র গাইড | সমাজকর্ম ১ম পত্র গাইড | সমাজকর্ম ২য় পত্র গাইড | সমাজবিদ্য ১ম পত্র গাইড | সমাজবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ১ম পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ২য় পত্র গাইড | ইংরেজি শব্দার্থ VOCABULARY

Admission Guide