HSC ভূগোল ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায় ৫

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Geography 2nd Paper Srijonshil question and answer. HSC Geography 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions pdf download. HSC Vugol 2nd paper Srijonshil Proshno Uttor.

উচ্চ মাধ্যমিক
ভূগোল
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অধ্যায়-৫

HSC Geography
2nd Paper
Srijonshil Question and Answer pdf download

১. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

ক. তাপবিদ্যুৎ কাকে বলে?
খ. কয়লা কীভাবে গঠিত হয়?
গ. পানি থেকে ‘খ’ সম্পদের উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে আলোচিত দেশের উন্নয়নে ‘ক’ খনিজের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল, কয়লা প্রভৃতি পুড়িয়ে যে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় তাকে তাপবিদ্যুৎ বলে।

খ. উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে কয়লার সৃষ্টি হয়। উদ্ভিদের কান্ড, গুঁড়ি, শাখা-প্রশাখা, পাতা, প্রাণীর দেহাবশেষ সবকিছু ভূঅভ্যন্তরে তাপ, চাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে কয়লায় পরিণত হয়।

গ. উদ্দীপকে ‘খ’ সম্পদের নাম হলো বিদ্যুৎ শক্তি। এই বিদ্যুৎ বিভিন্ন প্রকৃয়ায় উৎপাদন করা যায়। নিচে পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকৃয়া ব্যাখ্যা করা হলো-
নদী ও জলপ্রপাতের প্রবল স্রোতের সাহায্যে টারবাইন ঘুরিয়ে পান বিদ্যুত উৎপন্ন করা হয়।
বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলায় কাপ্তাই হ্রদের প্রবহমান পানির গাত শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। যা কর্ণফুলী বিদ্যুৎকেন্দ্র নামে পরিচিত। ১৯৬২ সালে সাল থেকে এ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো ৪০ মেগাওয়াট। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এ কেন্দ্রে মোট ইউনিটের সংখ্যা ৫টি।
এভাবে বিভিন্ন দেশে জলস্রোতকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।

ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ খনিজটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস, প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জালানি সম্পদ।
উদ্দীপকের ইঙ্গিতকৃত প্রধান খনিজ সম্পদটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস।
বাংলাদেশ খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ না হলেও প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে এদেশে অনেক শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো খনিজ সম্পদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।
বাংলাদেশের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে প্রাকৃতিক গ্যাস, খনিজ তেল ও কয়লা দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। এটি আমাদের শিল্পোন্নয়ন ও প্রাত্যহিক জীবনে বিরাট ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রাকৃতিক গ্যাস শুধু শিল্পের কাঁচামাল হিসেবেই তৃত হয় না। এগুলো গৃহস্থালিতে জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করে সরকার প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে অর্থ আয় করে থাকে, যা বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা হয়। সুতরাং বাংলাদেশের উন্নতির পেছনে প্রাকৃতিক গ্যাস প্রত্যক্ষ প্ররোক্ষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এ খনিজ সম্পদটি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পদ
তার বলা যায়, বাংলাদেশের উন্নয়নে ‘ক’ খনিজের ভূমিকা অপরিসীম।

২. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

ক. সম্পদ কী?
খ. খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত স্থানের ইঙ্গিতকৃত খনিজটির বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ চিহ্নিত স্থানের ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্বয়ের ব্যবহারিক গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. যেসব দ্রব্যের উপযোগ আছে, যোগান সীমাবদ্ধ, যা হস্তান্তরযোগ্য এবং যার বাহ্যিক রূপ আছে তাই সম্পদ।

খ. খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ খুবই জরুরি। খনিজ এলাকা পরিবেশ দূষণ বা বিপর্যযের মধ্যে থাকলে খনিজ উত্তোলন ব্যাহত হয়। অন্যদিকে পরিবেশ দূষণের ফলে খনি শ্রমিকদের নানাবিধ রোগব্যাধি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খনিজ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণ প্রয়োজন।

গ. চিত্রের ‘ক’ স্থানটি হলো দিনাজপুর যেখানে ইঙ্গিতকৃত খনিজটি হলো কয়লা। কয়লা হলো কার্বনের সমাবেশ। কার্বনের পরিমাণ বেশি হলে তাপ প্রদানের ক্ষমতাও অধিক হয়। সুতরাং তাপ প্রদানের ক্ষমতা দ্বারাই কয়লার গুণাগুণ বিচার করা হয়। গুণাগুণের বিচারে কয়লাকে অ্যানথ্রাসাইট, বিটুমিনাস, লিগনাইট বা বাদামি এবং পীট কয়লা নামে শ্রেণিবিভাগ করা হয়।
অ্যান্ড্রাসাইট জাতীয় কয়লা সর্বাপেক্ষা কঠিন ও উৎকৃষ্ট শ্রেণির। এ কয়লা ঘন কৃষ্ণবর্ণ, উজ্জ্বল ও ভারি। এটা কঠিন বলে সহজে প্রজ্বলিত হতে চায় না। তবে একবার প্রজ্বলিত হলে নীল আভাযুক্ত প্রচন্ড তাপ উৎপন্ন হয় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত জ্বলতে থাকে। এর মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ কার্বন থাকে। বিটুমিনাস মধ্যম শ্রেণির কয়লা। এ কয়লা কৃষ্ণবণের্র এবং ভগুুর। এটা থেকে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় কিন্তু সামান্য ধোয়া বের হয়। এর মধ্যে শতকরা ৮২ কার্বন, ৫ ভাগ হাইড্রোজেন থাকে। পৃথিবীর সঞ্চিত কয়লার শতকরা ৭৫ ভাগ এই শ্রেণির।
লিগনাইট জাতীয় কয়লা হলো নিকৃষ্ট শ্রেণির। এ কয়লা নরম ও ভঙ্গুর। এর রং বাদামি বলে একে বাদামি কয়লাও বলে। এতে তকরা ৬৫ ভাগ কার্বন থাকে। এতে জলীয়বাষ্প ও গ্যাসের পরিমাণ বেশি থাকায় তাপ প্রদানের শক্তি কম। পীট সবচেয়ে নিকুট শ্রেণির কয়লা। পীটকে ঠিক কয়লা বলা চলে না। কারণ, উদ্ভিদ কয়লায় রূপান্তরিত হওয়ার এটা প্রথম স্তর। এতে ৫৯% কার্বন থাকে এবং জ্বালালে খুব ধোয়া হয়।

ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ ও ‘খ’ চিহ্নিত স্থানটি হলো দিনাজপুর ও সিলেট যখানে ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্বয় হলো কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাস। উভয় অর্থনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যবহারিক দিক বিবেচনায় উল্লিখিত খনিজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কয়লা পুড়িয়ে জল থেকে উদ্ভত বাম্পের সাহায্যে টারবাইন ঘুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। বিভিন্ন প্রকার শিল্পে কয়লায় প্রত্যক্ষ ব্যবহার লক্ষণীয়। কয়লা থেকে প্রক্রিয়াজাত করে বিভিন্ন সার তৈরি করা হয়। যা কৃষিকাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ইটভাটা শিল্পকারখানা প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করা হয়। বনজ সম্পদ রক্ষায় কয়লা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পকারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ফেঞ্চুগঞ্জের, সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় হরিপুরের প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। ঘোড়াশালের সার কারখানায় তিতাস গ্যাস কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। কীটনাশক, ওষুধ, রাবার, প্লাস্টিক, কৃত্রিম তন্তু প্রভৃতি তৈরির জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করা হয়। কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ফার্নেস তেলের পরিবর্তে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়। যেমন- সিদ্ধিরগঞ্জ, আশুগঞ্জ, ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও গৃহস্থালি, যানবাহন ও বাণিজ্যিক কাজে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।
সুতরাং কৃষির উন্নতি, বিদ্যুৎ উৎপাদন, বৈদেশিক মুদ্রায় ব্যয় হ্রাস, বনজ সম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ রক্ষায় কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের পৃথক পৃথক ভূমিকা রয়েছে।

৩. নিচের চিত্রটি লক্ষ্য কর এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।

ক. খনিজের সংজ্ঞা দাও।
খ. ‘‘উদ্ভিদের দেহাবশেষ হতে কয়লার উৎপত্তি হয়’’ ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত অঞ্চলের প্রধান খনিজ সম্পদের উৎপাদন আলোচনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত অঞ্চলের ইঙ্গিতকৃত খনিজ সম্পদটির বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বিশেষ রাসায়নিক গঠনযুক্ত প্রাকৃতিক এবং অজৈব গঠিত বস্তুকে খনিজ বলে।

খ. শক্তির অন্যতম উৎস হলো কয়লা।
উদ্ভিদের দেহাবশেষ হতে কয়লার উৎপত্তি। লক্ষ লক্ষ বছর ধরে উদ্ভিদের দেহাবশেষ মাটির নিচে চাপা পড়ে সমড়ের বিবর্তনে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় কয়লায় পরিণত হয়েছে। তাই বলা যায় উদিভদের দেহাবশেষ হতে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় কয়লার উৎপত্তি।

গ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত অঞ্চলটি হলো ভারত যেখানে প্রধান খনিজই হলো লৌহ আকরিক।
বর্তমান বিশ্বে আকরিক লৌহ উৎপাদনে ভারতের স্থান দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম এবং বিশ্বে চতুর্থ। ২০১১ সালে ২২.৩৯ কোটি মেট্রিক টন লৌহ আকরিক উত্তোলন করে। দেশটির লৌহ খনিগুলো প্রধানত ই বিহার, উড়িষ্যা, মধ্য প্রদেশ, কর্নাটক, গোয়া প্রভৃতি অঞ্চলে অবস্থিত। ২০১৫-২০১৬ সালে ভারতে ১২.৯০ কোটি মেট্রিক টন। লৌহ আকরিক উৎপাদন করে। ভারতের অন্যান্য লৌহ খনির মধ্যে (১) মহারাষ্ট্রের রত্নসিরি ও চান্দা অঞ্চল অন্ধ্র প্রদেশের কুনুল, কুডাপ্পা, নেলেস্নার, গুন্টুর ও অনন্তপুর প্রভৃতি অঞ্চলেও কিছু কিছু লৌহ আকরিক উৎপন্ন হয়।

ঘ. উদ্দীপকে ‘ক’ চিহ্নিত অঞ্চল হলো ভারত যেখানে প্রধান খনিজ সম্পদ লৌহ আকরিক।
ভারতের ধাতব খনিজের মধ্যে লৌহ আকরিক প্রধান। লৌহ যন্ত্রসভ্যতার ভিত্তি। কলকজা, রেলপথ, মোটরগাড়ি, জাহাজ, গৃহের নির্মাণ কাঠামো নির্মাণে লৌহ ব্যবহৃত হয়। তাই লৌহের আন্তর্জাতিক চাহিদা ব্যাপক। যেসব দেশ লৌহ রপ্তানি করে এবং লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে উন্নত তারা অর্থনৈতিকভাবেও উন্নত। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, জার্মানি, বেলজিয়াম প্রভৃতি দেশ লৌহ রপ্তানি করে, অন্যদিকে স্পেন, আলজেরিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া প্রভৃতি দেশ লৌহ ও লৌহজাত শিল্প আমদানি করে। যেকোনো দেশের কৃষি, শিল্প, পরিবহন, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসায়-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক উন্নতি লৌহ আকরিকের ওপর নির্ভরশীল। এ কারণে লৌহ আকরিক। উৎপাদনে প্রসিদ্ধ দেশগুলো অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যথেষ্ট উন্নত।
পরিশেষে বলা যায়, একটি দেশের শিল্প, কৃষি ও পরিবহন খাতসমূহ দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই লৌহের ব্যবহার আবশ্যক।
তাই বলা যায়, বিশ্ব অর্থনীতিতে লৌহ আকরিকের গুরুত্ব অপরিসীম।

৪. ভূগোলের একদল ছাত্র শিক্ষা সফরে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে গিয়ে দেখল সেখানে যে খনিজ সম্পদ পাওয়া যায় তা ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানায় ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ক. বাংলাদেশে আবিষ্কৃত সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রের নাম কী?
খ. শক্তিসম্পদ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ সম্পদের বর্ণনা দাও।
ঘ. উক্ত খনিজ সম্পদ উত্তোলনে বিশ্বের শীর্ষ দেশের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বাংলাদেশে আবিষ্কৃত সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্রের নাম শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্র।

খ. প্রকৃতি প্রদত্ত যে সকল পদার্থ হতে শক্তি পাওয়া যায় তাদের শক্তিসম্পদ বলে। বিভিন্ন প্রকার কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস প্রভৃতি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার কাজ সম্পন্ন করা হয় বলে এদেরকে শক্তিসম্পদের উৎস বলা হয়। উদাহরণ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের কথা বলা যায়, এটি পুড়িয়ে তাপবিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করা হয় এবং বিদ্যুৎশক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত যে খনিজ সম্পদের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। কেননা এটি ফেঞ্চুগঞ্জের সার কারখানা ও ছাতকের সিমেন্ট কারখানায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি সম্পদ। দেশের মোট বাণিজ্যিক জ্বালানি ব্যবহারের প্রায় ৭১ শতাংশ প্রাকৃতিক গ্যাস পূরণ করে থাকে। এ যাবৎ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্রের সংখ্যা ২৬টি। সর্বশেষ আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র শ্রীকাইল (মুরাদনগর, কুমিল্লা)। গ্যাসক্ষেত্রগুলোর উত্তোলনযোগ্য প্রমাণিত ও সম্ভাব্য মজদের পরিমাণ ২৭,০৩৮.৫৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমানে ২০টি গ্যাসক্ষেত্রের ১০১টি কূপ থেকে গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে।
যেসব গ্যাসক্ষেত্র উৎপাদনরত সেগুলো হচ্ছে- বাখরাবাদ তবিল সিলেট, কৈলাশটিলা, রশিদপুর, তিতাস, নরসিংদী, মেঘনা স সালদা নদী, জ্বালালাবাদ, বিয়ানীবাজার, ফেঞ্চুগঞ্জ, মৌলভীবাজার বিবিয়ানা, বান্দুরা, শাহবাজপুর, সেমুতাং, সুন্দলপুর, বেগমগঞ্জ শ্রীকাইল প্রভৃতি। উক্ত গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে এ উত্তোলিত হচ্ছে; যা আমাদের দৈনন্দিন কার্যাবলির ক্ষেত্রে করা যাচ্ছে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত খনিজ সম্পদটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস। প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। এর উৎপাদন ২৩৪.৩৯ লক্ষ টেরাজলিস। এদেশের প্রধান গ্যাসক্ষেত্রগুলো টেক্সাস, লুইসিয়ানা, পশ্চিম ভার্জিনিয়া, কানসাস, ওকলহামা ও ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।
২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্র নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। ২০১৪ থেকে ২০১৫ তে ৫.৪ শতাংশ উৎপাদন বৃদ্ধি পায় এবং ২০১৫ তে এর পরিমাণ ছিল ২৮.৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিপুল সরবরাহের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং জাপানের তুলনায় গ্যাসের ভোক্তামূল্য কম; বরং অন্যান্য শক্তিসম্পদের তুলনায়ও এখানে গ্যাসের মূল্য স্বল্প। ২০১০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র তরল গ্যাস উৎপাদনেও শীর্ষে। যদিও দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনে শীর্ষে; প্রমাণিত মজুদের দিক থেকে দেশটির স্থান পঞ্চম। এর উপরে রয়েছে রাশিয়া, ইরান, কাতার এবং তুর্কমেনিস্তান। মূলত বিশ্বের শক্তিধর এ রাষ্ট্রটি আধুনিক জীবনের সব সুযোগ-সুবিধা নাগরিকদের জন্য নিশ্চিত করতে, নিজের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক প্রভাব টিকিয়ে রাখতে প্রচুর পরিমাণে শক্তিসম্পদ খরচ করে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার দেশটির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর এ দেশটি বিশ্বের ওপর একজন অধিকারের কারণেও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বিশ্বময় গুরুত্বপূর্ণ।

৫. সুজয় একটি খনিজ সম্পদ নিয়ে তার বন্ধুদের সাথে আলাপ করে। সে বলে, স্বর্ণের মতো রং না হলেও একে তরল সোনা বলা হয়। ভঁজযুক্ত শিলাস্তরে পানির সাথে এর অবস্থান। উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ চাপা পড়ে এগুলো তৈরি।
ক. হরিপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কোনটি ব্যবহৃত হয়?
খ. পিট কয়লা কীভাবে সৃষ্টি হয়?
গ. উদ্দীপকে সুজয়ের ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্রব্যটি ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সুজয় তার বন্ধুদের সাথে যে খনিজদ্রব্যটি নিয়ে আলাপ করছিল সেই খনিজদ্রব্যটির দূরপ্রাচ্য বলয়ের উৎপাদন সম্পর্কে লেখ।

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. হরিপুরের বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়।

খ. কয়লা গঠনের প্রথম অবস্থা হলো পিট।
মাটির তলায় বনভূমি চাপা পড়ে প্রাথমিকভাবে পিট কয়লার সৃষ্টি হয়। এ কয়লা বাদামি রঙের এবং নিকৃষ্ট শ্রেণির হয়। এতে কার্বনের পরিমাণ থাকে ৩০-৩৫ ভাগ।

গ. উদ্দীপকে সুজয়ের ইঙ্গিতকৃত খনিজদ্রব্যটি হলো খনিজ তেল। ভূগর্ভের শিলাস্তর থেকে উত্তোলনকৃত তেলকে খনিজ তেল বলে। খনিজ তেলের অপরিহার্যতা ও বিশেষ গুরুত্বের জন্য একে তরল সোনা বলা হয়।
ভূগর্ভস্থ পাললিক শিলাস্তরে সামুদ্রিক অবক্ষেপের সাথে বিভিন্ন ধরনের ও প্লাঙ্কটন, উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ পাললিক শিলাস্তরের নিচে চাপা ও পড়ে। ভূগর্ভের চাপ, তাপ ও রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তিত হয়ে এগুলো ক্রমশ তরল পদার্থে পরিণত হয় এবং অবশেষে খনিজ তেলে রূপান্তরিত হয়। এরপর আসেত্ম আসেত্ম একত্রিত হয়ে অবস্থান করে। খনিজ তেল সাধারণত হলদে সবুজ থেকে কালচে বাদামি রঙের হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খনিজ তেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, সৌদি আরব, চীন, ইরান, ইরাক প্রভৃতি দেশে তেল উত্তোলন হয়।

ঘ. উদ্দীপকে সুজয় তার বন্ধুদের সাথে যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিল সেটি হলো খনিজ তেল।
পৃথিবীর অধিকাংশ খনিজ তেল পাললিক শিলাস্তরে অবস্থান করে। শিলা মধ্যস্থ পানির সাথে খনিজ তেল মিশ্রিত হয়ে সাধারণত ভাঁজযুক্ত শিলাস্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। খনিজ তেল উত্তোলনে দূর। প্রাচ্যের দেশসমূহের মধ্যে রয়েছে চীন, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, মিয়ানমার, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান। খনিজ তেলের এ দুই দেশের উৎপাদন নিচে আলোচনা করা হলো-
খনিজ তেল উত্তোলনে চীন বিশ্বে চতুর্থ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ দেশে খনিজ তেল উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ২১ কোটি মেট্রিক টন। চীনের তেল খনিগুলো প্রধানত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। অন্যদিকে, ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপ, জাভা অঞ্চল ও কালিমামত্মান দ্বীপ অঞ্চলে তেলের খনি রয়েছে। ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫৪৯ হাজার মেট্রিক টন খনিজ তেল উত্তোলিত হয়।
এছাড়া জাপানে খনিজ তেল উত্তোলনের পরিমাণ খুবই কম। এ দেশে বার্ষিক ৭.২০ লক্ষ মে. টন তেল উত্তোলিত হয়। এ দেশের হোনসু দ্বীপ ও হোক্কাইডো দ্বীপে তেলের খনি রয়েছে।
সুতরাং বলা যায় যে, তরল সোনা তথা খনিজ তেল উৎপাদনে। দূরপ্রাচ্যের দেশগুলো খুব বেশি স্বয়ংসম্পূর্ণ না হলেও চীন ও জাপান এ খনিজ উৎপাদনে যথেষ্ট এগিয়ে আছে।

৬. ক একটি খনি থেকে কয়লা উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান। তারা বিভিন্ন খনি থেকে কয়লার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। 'A' ক্ষেত্রের নমুনায় দেখা যায় এতে শতকরা ৩০-৩৫ ভাগ কার্বন রয়েছে। 'B' ক্ষেত্রের নমুনায় ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ কার্বন পাওয়া যায়। 'C' ক্ষেত্রে ৬০ ভাগ কার্বন রয়েছে। 'D' ক্ষেত্রের নমুনা পরীক্ষা করে ৯০ ভাগ কার্বন পাওয়া যায়। সবচেয়ে বেশি কার্বন পাওয়া যায় 'E' ক্ষেত্রের নমুনায়। এতে প্রায় ৯৯ ভাগ কার্বন রয়েছে।
ক. কোন কাজে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেশি?
খ. তেল উৎপাদনে ভারতের অবস্থা ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে নমুনাগুলোর কোনটি কোন শ্রেণির কয়লা নিরূপণ কর।
ঘ. উদ্দীপকের দ্রব্যটি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দুটি দেশের উত্তোলন সম্পর্কে পর্যালোচনা কর।

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার বেশি হচ্ছে।

খ. খনিজ তেল উত্তোলনে ভারত তেমন প্রসিদ্ধ না হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় মোটামুটি প্রসিদ্ধ।
ভারতের আসাম ও গুজরাট রাজ্যে প্রচুর তেল উত্তোলিত হয়। ১৯৫০-৫১ সালে ভারতে খনিজ তেলের উৎপাদন ছিল মাত্র ২ লাখ মেট্রিক টন। নতুন নতুন খনি আবিষ্কারের ফলে ভারতের উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৯১-৯২ সালে উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৩ লাখ মেট্রিক টন। ২০১১-১২ সালে এর পরিমাণ আরও হ্রাস পেয়ে - ২ কোটি মেট্রিক টনের মতো দাঁড়িয়েছে।

গ. উদ্দীপকে যে পাঁচটি নমুনা দেওয়া আছে, সেগুলোর কোনটি কোন শ্রেণির কয়লা নিচে তা নিরূপণ করা হলো-
'A' ক্ষেত্রের কয়লাটি হলো পিট কয়লা। মাটির তলায় বনভূমি চাপা পড়ে কয়লায় রূপান্তরিত হওয়ার প্রথম অবস্থা হলো পিট। এ কয়লা বাদামি রঙের। এতে অঙ্গার বা কার্বনের পরিমাণ থাকে শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ মাত্র। এ কয়লা জ্বালালে উত্তাপের পরিমাণ কম হয় এবং এটি নিকৃষ্ট শ্রেণির কয়লা। কয়লা গঠনের দ্বিতীয় অবস্থা অর্থাৎ 'B' ক্ষেত্রটি হলো লিগনাইট কয়লা। এ কয়লা পিট কয়লার তুলনায় প্রাচীন। এতে, কার্বনের পরিমাণ ৩৫ থেকে ৪৫ ভাগ থাকে। তাপবিদ্যুৎ ও কোল গ্যাস উৎপাদনে এবং ঘর উষ্ণ রাখার কাজে এর ব্যবহার সর্বাধিক। 'C' ক্ষেত্রটি হলো বিটুমিনাস কয়লা, যা কালো রঙের, শক্ত ও সংঘবদ্ধ এবং এ কয়লায় জলীয়বাষ্প ও উদ্বায়ী পদার্থের পরিমাণ খুব কম থাকে কিন্তু কার্ধনের পরিমাণ থাকে অত্যন্ত বেশি। এর তাপপ্রদায়ী ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি। 'D' ক্ষেত্রের অ্যানথ্রাসাইট কয়লা কালো ও খুব শক্ত এবং এ কয়লা জ্বলতে সময় নেয়; কিন্তু জ্বলে অনেকক্ষণ। এতে কার্বনের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি (প্রায় ৯০ ভাগ)।
পরিশেষে বলা যায়, পৃথিবীর বিভিন্ন জ্বালানিশক্তির উৎসের মধ্যে কয়লা অন্যতম। চার ধরনের কয়লার মধ্যে প্রথম চার রকমের কয়লা জ্বালানি ও শক্তি সরবরাহের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ঘ. উদ্দীপকের দ্রব্যটি উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষ দুটি দেশ অর্থাৎ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলন সম্পর্কে নিচে পর্যালোচনা করা হলো-
ব্লাক ডায়মন্ড নামে খ্যাত খনিজ, কয়লা উত্তোলনে চীনের অবস্থান প্রথম। এর সঞ্চিত কয়লার পরিমাণ প্রায় ১,১০১,৯৬০ কোটি মেট্রিক টন। ২০১৫ সালে চীনের কয়লা উত্তোলনের পরিমাণ ছিল ৩৭৪.৪০ কোটি মেট্রিক টন। চীনের কয়লা খনিগুলোর বেশিরভাগই উত্তর ৩ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে অবস্থিত। পথিবীর সর্বাধিক কয়। সতি আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। মোট সতি কয়লা ২৩,৭২, ৯৫ মিলিয়ন টন। এ দেশের কয়লা উন্নতমানের অ্যানথ্রাসাইট শ্রেণির। যুক্তরাষ্ট্রের কয়লা খনিগুলো পেনসিলভানিয়ার অ্যাপলেশিয়ান পাবত অঞ্চল, নিউ অরলিন্স, হিউস্টন, পোর্টল্যান্ড প্রভৃতি অঞ্চলে অবস্থিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর কয়লা রপ্তানি করে থাকে।
তাই বলা যায় যে, কয়লা উত্তোলনে বিশ্বে প্রথম হলো চীন এবং দ্বিতার শীর্ষতম দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র।

HSC ভূগোল ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ৫ pdf download

৭. ক' খনিজ সম্পদটি লিকুইড গোল্ড হিসাবে পরিচিত যা মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি উত্তোলিত হয়। অন্যদিকে মিথেন সমৃদ্ধ ‘খ’ খনিজ সম্পদটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি উত্তোলিত হয়।
ক. শক্তি সম্পদ কাকে বলে?
খ. শিল্প উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত 'ক' খনিজ সম্পদটির বাণিজ্যের ধরন ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ‘খ’ খনিজ সম্পদটির বাংলদেশের সাপেক্ষে গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রকৃতিপ্রদত্ত যে সকল পদার্থ হতে শক্তি পাওয়া যায় তাদের শক্তিসম্পদ বলে।

খ. শক্তি সম্পদ ব্যতীত শিল্প অচল বিধায় শিল্পের উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান।
শক্তিসম্পদ ব্যতীত শিল্পকারখানা চালনা করা সম্ভব নয়। বর্তমানে বড় বড় কারখানা চালানোর জন্য কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, পানিবিদ্যুৎ শক্তি, পারমাণবিক শক্তি প্রভৃতি ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই যেসব অঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে শক্তিসম্পদ সরবরাহের ব্যবস্থা আছে, সেসব অঞ্চলেই সাধারণত বিভিন্ন ধরনের শিল্প কেন্দ্রীভূত হয়। তাই বলা যায়, শিল্প উৎপাদনে শক্তি সম্পদের ভূমিকাই প্রধান।

গ. উদ্দীপকে ‘ক’ খনিজ সম্পদটি হলো খনিজ তেল।
পেট্রোলিয়াম একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পদ। মূলত পরিবহন ও শিল্পে জ্বালানি তথা শক্তির উৎস হিসেবে খনিজ তেলের ভূমিকা এটিকে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। বিশ্বে তেল সমৃদ্ধ দেশগুলো যথেষ্ট উন্নত; বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য (যেমন- সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও কাতার, প্রভৃতি দেশ)। এ অঞ্চলের খনিজ তেল বর্তমান বিশ্বের অর্থনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
খনি হতে উত্তোলিত অপরিশোধিত তেল রপ্তানিতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সৌদি আরব, কুয়েত, বাহরাইন, কাতার, নরওয়ে, রাশিয়া, ভেনিজুয়েলা, ইরাক, আলজেরিয়া, লিবিয়া, ইন্দোনেশিয়া প্রভৃতি দেশ। এছাড়া আমদানিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, পেরু, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ভারত, জাপান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এর মধ্যে রপ্তানিতে সৌদি আরব প্রথম, রাশিয়া দ্বিতীয়, নরওয়ে তৃতীয় এবং আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম, জাপান দ্বিতীয় এবং চীন তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর শিল্পোন্নত দেশগুলো খনিজ তেল আমদানি করে। বস্তুত, শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে জ্বালানি হিসেবে পেট্রোলিয়ামের বিকল্প নেই।
তাই বিশ্ব অর্থনীতিতে খনিজ তেলের আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে সমগ্র বিশ্বে তেল বন্টিত হয় এবং বাণিজ্য সংঘটিত হয়।

ঘ. উদ্দীপকে ‘খ’ খনিজ সম্পদটি হলো প্রাকৃতিক গ্যাস যেটি যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি উত্তোলিত হয়। এটি বাংলাদেশেও প্রধান খনিজ সম্পদ।
প্রাকৃতিক গ্যাস একটি মূল্যবান জ্বালানি খনিজ সম্পদ। অন্যান্য জ্বালানি খনিজ সম্পদের পাশাপাশি জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস বর্তমান বিশ্বে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল শক্তির উৎস হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না, প্রাকৃতিক গ্যাসের বহুমুখী ব্যবহারও বিদ্যমান রয়েছে। তাই প্রাকৃতিক গ্যাসের অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক।
বর্তমান বিশ্বের শিল্পকারখানায় জ্বালানি বা শক্তিসম্পদ হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে। তেমনি কাচামাল হিসেবে বিভিন্ন শিল্প ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। গৃহস্থালি কাজে, পরিবহন শিল্পের উন্নয়নে প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার হয়। এ গ্যাসের অনুসন্ধান কাজ প্রক্রিয়াজাতকরণ, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও সরবরাহ প্রভৃতি কাজে বহু শ্রমিক, কর্মচারী, কর্মকর্তা প্রয়োজন। ফলে প্রাকৃতিক গ্যাস বহুলোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। এছাড়া প্রাকৃহিণ গ্যাস সার শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের কাচামাল হিসেবেও ব্যবহার কম হয়।
তাই বলা যায়, বাংলাদেশে সামগ্রিক অর্থনীতিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের গুরুত্ব অপরিসীম।

৮. ইয়াং জি জাপানের একটি লৌহ ও ইস্পাত শিল্পের মালিক। জাপানে এ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করতে পারে না বিধায় আয়রন মোনার্ক ও আয়রন নব অঞ্চল থেকে আকরিক লোহা আমদানি করে।
ক. রাশিয়ার কোন অঞ্চল উৎকৃষ্টমানের লৌহ আকরিকের জন্য প্রসিদ্ধ?
খ. অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র কোন কোন দেশ হতে আকরিক লোহা আমদানি করে?
গ. ইয়াং জি-র উদ্দীপকে উল্লিখিত অঞ্চল থেকে আকরিক লোহা আমদানির কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ইয়াং জি-র লোহা ও ইস্পাত শিল্পের জন্য কাঁচামাল আমদানিকৃত দেশের বর্ণনা দাও।

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. রাশিয়ার ইউরাল ও মস্কো-টুলা অঞ্চল উৎকৃষ্টমানের লৌহ আকরিকের জন্য প্রসিদ্ধ।

খ. আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র লোহা ও ইস্পাত শিল্পে খুবই উন্নত। দেশে প্রচুর আকরিক লোহা থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। তাই প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে আকরিক লোহা আমদানি করে।
প্রচুর আকরিক লোহা উত্তোলন হওয়া সত্ত্বেও দেশের শিল্প চাহিদা মেটানোর জন্য আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবছর চিলি, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, সুইডেন, কানাডা এবং উত্তর ও পশ্চিম আফ্রিকার দেশসমূহ থেকে প্রচুর আকরিক লোহা আমদানি করে।

গ. ইয়াং জি-র শিল্পের চাহিদা মেটানোর জন্য অস্ট্রেলিয়ার আয়রন মোনার্ক এবং আয়রন নব থেকে আকরিক লোহা আমদানি করেন।
জাপান লোহা ও ইস্পাত শিল্পে বিশ্বে বিশেষ স্থান দখল করে আছে। জাপানের এ শিল্প মূলত আমদানিকৃত কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ায় আকরিক লোহা প্রচুর পরিমাণে উত্তোলিত হয়। তাই এদেশ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বহির্বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে।
উদ্দীপকের ইয়াং জি জাপানের একটি লোহা ও ইস্পাত শিল্পের মালিক। জাপানে এ শিল্পের কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করতে পারে না বিধায় অস্ট্রেলিয়ার আয়রন মোনার্ক ও আয়রন নব অঞ্চল থেকে আকরিক লোহা আমদানি করে থাকে।

ঘ. ইয়াং জি অস্ট্রেলিয়া থেকে কাঁচামাল অর্থাৎ আকরিক লোহা আমদানি করে থাকে।
আকরিক লোহা উৎপাদনে ওশেনিয়া মহাদেশের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে দ্বিতীয়। ২০১৬ সালে এর উৎপাদন ছিল ৮২ কোটি ৪০ লক্ষ মেট্রিক টন। এর নিউ সাউথ ওয়েলসের আয়রন মোনার্ক এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আয়রন নব আকরিক লোহা উৎপাদনের জন্য প্রসিদ্ধ। ইদানীং এর পশ্চিমাংশের পার্বত্য অঞ্চলেও কতকগুলো লোহাখনি আবিষ্কৃত হয়েছে। পূর্বে অস্ট্রেলিয়ার অধিকাংশ আকরিক লোহা জাপানে রপ্তানি করা হতো। বর্তমানে এ মহাদেশে লোহা ও ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠায় রপ্তানির পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে।

৯. এম সাইফুর রহমান ইরাকের একটি তেল শোধনাগারের মালিক। তিনি অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে স্থানীয় পাইকার ও আমদানিকারকদের নিকট বিক্রয় করে থাকেন। প্রচুর সম্ভাবনাময় এ ব্যবসায় সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশে একটি তেল শোধনাগার স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
ক. দেশের প্রথম আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র কোনটি?
খ. শিল্পকারখানায় কয়লার ভূমিকা ব্যাখ্যা কর।
গ. এম সাইফুর রহমানের ব্যবসায়টি সম্ভাবনাময় হওয়ার কারণ বিশ্লেষণ কর।
ঘ. বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন করে এম সাইফুর রহমান যে সুবিধা পেতে পারেন তা মূল্যায়ন কর।

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. দেশের প্রথম আবিষ্কৃত গ্যাসক্ষেত্র হলো হরিপুর গ্যাসক্ষেত্র।

খ. শিল্প পরিচালনায় কয়লা কাঁচামাল ও শক্তি উভয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
শিল্প স্থাপন ও স্থানীয়করণের ওপর কয়লার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। কয়লা পুড়িয়ে তাপশক্তি উৎপাদন করে শিল্পে ব্যবহার করা হয়। একটি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে কয়লা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেসব শিল্পের নিকটস্থ অঞ্চলে কোনো প্রাকৃতিক গ্যাস নেই সেখানে কয়লার পর্যাপ্ততা থাকলে ঐ সকল শিল্পে কয়লা দিয়ে শক্তি উৎপন্ন করা হয়। কয়লার মূল্য কম হওয়ায় তা শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ব্যবহারের জন্য সুবিধাজনক। তাছাড়া বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে কয়লার ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়।

গ. বর্তমানে পরিশোধিত তেলের পর্যাপ্ত চাহিদা থাকার কারণে মি. সাইফুর রহমানের ব্যবসায়টি সম্ভাবনাময়।
পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশে খনিজ তেলের চাহিদা পর্যাপ্ত। প্রতিটি ক্ষেত্রে খনিজ তেল ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া এসব খনিজ তেল পরিশোধনের জন্যও প্রচুর শোধনাগার প্রয়োজন। কারণ পরিশোধনের পরই এগুলো বাজারজাতকরণের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয়ে ওঠে।
উদ্দীপকের মি. সাইফুর রহমান ইরাকের একটি তেল শোধনাগারের মালিক। খনিজ তেল পরিশোধনের জন্য অনেক শোধনাগার দরকার। মি. সাইফুর রহমানের যেহেতু তেল শোধনাগার রয়েছে এবং অপরিশোধিত তেল পরিশোধন করে তা বিক্রি করেন; সেহেতু তার ব্যবসায় সফলতা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঘ. উদ্দীপকের এম সাইফুর রহমান বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন করে সহজে খনিজ তেল পেতে পারেন। কারণ বাংলাদেশে খনিজ তেলের খনি থাকায় এগুলো সহজে তিনি তার শোধনাগারে আনতে পারবেন।
এম সাইফুর রহমান বাংলাদেশে তেল শোধনাগার স্থাপন করে নিম্নলিখিত সুবিধা পেতে পারেন।
পূর্বঅভিজ্ঞতা থাকায় শোধনাগার প্রতিষ্ঠিত করে অপরিশোধিত খনিজ তেল পরিশোধনের জন্য সরকারের কাছ থেকে সহজেই লীজ নিতে পারেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ শোধনাগার বিদেশি কোম্পানি দ্বারা পরিচালিত। তিনি এ দেশের নাগরিক বিধায় তার শোধনাগারটি বাড়তি সুবিধা পাবে।
অভ্যন্তরীণ চাহিদ মেটানোর জন্য প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে পরিশোধিত তেল আমদানি করে থাকে। ফলে লিটারপ্রতি তেলের মূল্য পড়ে বেশি। মি সাইফুর রহমানের নিজের তেল শোধনাগার হলে স্বল্পমূল্যে অপরিশোধিত তেল আমদানি করে পরিশোধন করলে তেলের লিটারপ্রতি মূল্য কম পড়বে। তাই শোধনাগার স্থাপন করতে। অপরিশোধিত তেল আমদানির সুবিধাও পাবে।

১০. ইকবাল সাহেবের দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়ায় ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে তিনি তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট ও কাঠ ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে তিনি ঝুট ও কাঠ ব্যবহার না করে ইটের ভাটাটি চালু রাখতে চান। পাশাপাশি তিনি সড়ক নির্মাণে ঠিকাদারি ব্যবসায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
ক. বিজয়পুরে কী পরিমাণ চীনামাটি মজুদ রয়েছে?
খ. বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. ইকবাল সাহেব স্থানীয় উৎসের সাহায্যে কীভাবে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে পারেন? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ঠিকাদারি ব্যবসায় ইকবাল, সাহেব নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্তটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত? বিশ্লেষণ কর।

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বিজয়পুরে ২৫ লক্ষ ৭ হাজার টন চীনামাটি মজুদ রয়েছে।

খ. বাংলাদেশ খনিজ সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনের দিক দিয়ে তেমন অগ্রসর নয় বলে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খনিজ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। কিন্তু এসব খনিজ সম্পদ উত্তোলনের জন্য উন্নতমানের আধুনিক যন্ত্রপাতির প্রয়োজন যা বাংলাদেশে নেই। এমনকি বাংলাদেশে দক্ষ শ্রমিক ও মূলধনের অনেক অভাব রয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তি জ্ঞানের অভাব এবং বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া উত্তোলন করা সম্ভব নয় বলে অনেক স্থানে খনিজ সম্পদ উত্তোলন করা যাচ্ছে না।

গ. উদ্দীপকের ইকবাল সাহেব স্থানীয় উৎস অর্থাৎ কয়লা-জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি চালু রাখতে পারবে। দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় কয়লার খনি রয়েছে। বর্তমানে চীনা কারিগরি সহায়তায় দৈনিক প্রায় ৩,০০০ মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলিত হয়। এ উত্তোলিত কয়লা বিভিন্ন শিল্পকারখানায় এবং ইটভাটায় ব্যবহার হচ্ছে।
ইকবাল সাহেবের দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায় ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে তিনি তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট ও কাঠ ব্যবহার করতেন। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে তিনি ঝুট ও কাঠ ব্যবহার না করে ইটের ভাটাটি চালু রাখতে চান। এজন্য বড়পুকুরিয়ার কয়লা ব্যবহার করে ইটভাটা চালু রাখতে পারেন। কারণ কয়লা ইটভাটায় ও জালানি হিসেবে ব্যবহার হয়।

ঘ. উদ্দীপকের ইকবাল সাহেবের ইটভাটার ব্যবসায়ের পাশাপাশি তার সড়ক ঠিকাদারি ব্যবসায় নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্তটি যুক্তিযুক্ত।
সড়ক নির্মাণে প্রচুর পরিমাণে বিটুমিনাস কয়লার প্রয়োজন হয়। যেহেতু তার ইটভাটায় কয়লার দরকার হয়, সেহেতু সড়ক নির্মাণ এবং ইটভাটার জন্য এক সাথে কয়লা ক্রয় করলে কয়লা ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে।
উদ্দীপকের ইকবাল সাহেবের দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়ায় ইটভাটা রয়েছে। ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে পরিবেশ দূষণ ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার্থে কয়লা এবং সড়ক ঠিকাদারির ক্ষেত্রে প্রচুর কয়লার প্রয়োজন হয়। যেহেতু তার সড়ক নির্মাণ ও ইটভাটার জন্য এক সাথে কয়লা ক্রয় করলে কয়লা ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাবে, সেহেতু ঠিকাদারি ব্যবসায় ইকবাল সাহেব নিজেকে সম্পৃক্ত করার সিদ্ধান্তটি যুক্তিযুক্ত।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post