HSC সমাজকর্ম ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ৩ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Social Work 2nd Paper Srijonshil question and answer. HSC SocialWork 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions pdf download.

সমাজকর্ম
দ্বিতীয় পত্র

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
অধ্যায়-৩

HSC Social Work 2nd Paper
Srijonshil Question and Answer pdf download

১. ১৯৭৬ সালে আমাদের দেশে যেটিকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে সেটির প্রতিকার ও প্রতিরোধের ক্ষেত্রে যে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হোক না কেন তা কোনো সুফল বয়ে আনছে না বলে মনে হচ্ছে। ভয়ানক এ সমস্যাটি একদিকে যেমন নতুন নতুন সমস্যার জন্ম দিচ্ছে অপরদিকে তেমনি বিদ্যমান প্রায় সব সমস্যার পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে। 
ক. এইডস কী?
খ. ‘সামাজিক সমস্যা সমাজ থেকে উদ্ভূত’ বুঝিয়ে লেখ। 
গ. উদ্দীপকে যে বিশেষ সমস্যাটিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে আমাদের সামাজিক জীবনে তার কু-প্রভাব বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে সমস্যাটির সমাধান করা গেলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব - পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।

১ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. এইডস এইচআইভি ভাইরাস সৃষ্ট একটি নিরাময় অযোগ্য রোগ যাতে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধ্বংস হয়ে যায়।

খ. 'সামাজিক সমস্যা সমাজ থেকে উদ্ভূত' বলতে সমস্যার সামাজিক কেন্দ্রস্থলের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়।
বিশৃঙ্খলা, মূল্যবোধের অবক্ষয়সহ বিভিন্ন নেতিবাচক পরিস্থিতির কারণে সামাজিক সমস্যা দেখা দেয়। এ ধরনের সমস্যা সমাজের মানুষের জন্য একটি অস্বাভাবিক অবস্থা, যা তাদের সুষ্ঠু জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। এটি সমাজের বাইরের কোনো অবস্থা নয়। সমাজে বসবাসকারী মানুষই এ অবস্থা সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাই বলা সামাজিক সমস্যা সমাজ থেকে উদ্ভূত।

গ. উদ্দীপকে জনসংখ্যা সমস্যার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে সমস্যা আমাদের সামাজিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
কোনো দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি চাহিদানুযায়ী যদি সম্পদ ও সুযোগ-সুবিধা না বাড়ে তখন আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি ব্যাহত হয়। বাড়তি জনসংখ্যা তখন সম্পদ না হয়ে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। কেননা জনসংখ্যা বাড়লেও বাড়তি জনগণের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে না। ফলে এর কু-প্রভাব পড়ছে আমাদের সামাজিক জীবনে।
অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে সরকারের পক্ষে সব নাগরিকের মৌল মানবিক চাহিদা অর্থাৎ খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি যথাযথভাবে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে আবাসনের প্রয়োজন মেটাতে শহরাঞ্চলে অপরিকল্পিত বসতি গড়ে উঠেছে। অনেকক্ষেত্রে সেগুলো মাদকব্যবসাসহ নানা অপরাধমূলক তৎপরতার ঘাঁটি হয়ে ওঠে। অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা বা স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাবে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভূমিহীন এবং দরিদ্র মানুষের সংখ্যা। সেইসাথে বাড়ছে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠী ও বেকারের হার। অন্যদিকে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পরিবেশ দূষণ, নিম্ন মাথাপিছু আয়, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়াসহ আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, অতিরিক্ত জনসংখ্যা নানামুখী সমস্যা সৃষ্টির মাধ্যমে আমাদের সমাজজীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ঘ. উদ্দীপকের সমস্যা, অর্থাৎ জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা সম্ভব- উক্তিটি যথার্থ।
সামাজিক সমস্যাগুলো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। এতে একটি সমস্যার ফলে আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। যেমন অতিরিক্ত জনসংখ্যার ফলে খাদ্য ঘাটতি, বাসস্থান সমস্যা, নিরক্ষরতা অপরাধ প্রবণতাসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই জনসংখ্যা সমস্যার সমাধান করা গেলে আরও অনেক সমস্যা দূর হবে। 
আয়তন অনুপাতে বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণে সরকারকে হিমশিম খেতে হয়। শিল্পের অবদান ক্রমশ বেড়ে চললেও কৃষি এখনো আমাদের অর্থনীতির একটা বড় ভিত্তি। কিন্তু এ দেশের কৃষিজমি যেমন কম, তেমনই উৎপাদন পদ্ধতিও আধুনিক নয়। প্রাকৃতিক সম্পদ, পুঁজি, দক্ষ মানবসম্পদ ও প্রযুক্তিজ্ঞানের অপ্রতুলতার কারণে শিল্পেও অগ্রগতি আশানুরূপ নয়। সুতরাং জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেলে তা দেশের অর্থনীতির ওপর বাড়তি চাপ কমাতে সাহায্য করবে। সেইসাথে সাধারণ মানুষের মৌল মানবিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে। ফলে এ সমস্তচাহিদা মেটার অভাবে সৃষ্ট বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার (যেমন- স্বাস্থ্যহীনতা, পুষ্টিহীনতা বস্তি সমস্যা, অপরিকল্পিত নগরায়ণ,নিরক্ষরতা, বেকারত্ব ইত্যাদি) মাত্রাও কমে আসবে। আবার এই সমস্যাগুলো চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, চুরি-ডাকাতি, খুন ইত্যাদি অপরাধ প্রবণতার পেছনে ভূমিকা রাখে। অর্থাৎ সমাজের এ সব নেতিবাচক পরিস্থিতির জন্যও অতিরিক্ত জনসংখ্যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী।
সার্বিক আলোচনা শেষে তাই বলা যায়, প্রতিটি সামাজিক সমস্যাই কোনো না কোনোভাবে একটি অন্যটির সাথে সম্পৃক্ত। একটি সমস্যার সমাধান অন্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক হয়। তাই আশা করা যায়, আমাদের দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমিয়ে আনা গেলে অন্যান্য সামাজিক সমস্যার সমাধান করাও সম্ভব হবে।

২. বাংলাদেশে এখন আর ঋতু বৈচিত্র্যের স্বাদ পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করা যায় না। কখনো অতিবৃষ্টি, কখনো অনাবৃষ্টি জনজীবনে দুর্ভোগ ডেকে আনছে। ফি বছর পাহাড়ি ঢলে পস্নাবিত হচ্ছে অনেক অঞ্চল। সর্বোপরি কল-কারখানার বিষাক্ত ধোঁয়া নির্মল আকাশকে করছে কলুষিত। নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে অনেক আবাদী জমি।
ক. CFC এর পূর্ণরূপ কী?
খ. জীববৈচিত্র্য বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার কারণ পাঠ্যপুস্তকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত উক্ত সমস্যা মোকাবিলায় একজন সমাজকর্মীর ভূমিকা কী হতে পারে? ব্যাখ্যা কর।

২ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. CFC এর পূর্ণরূপ হলো Chlorofluorocarbons.

খ. উদ্ভিদ, প্রাণী ও অণুজীবসহ পৃথিবীর জীবসম্ভার, তাদের অন্তর্গত জিন ও সেগুলোর সমন্বয়ে গঠিত বাস্তুতন্ত্রকে জীববৈচিত্র্য বলে।
জীববৈচিত্র্য মূলত জীবিত প্রজাতির বৈচিত্র্য এবং তাদের বাস করার জটিল পরিবেশতন্ত্রের আভাস দেয়। বিজ্ঞানীদের হিসাব অনুযায়ী পৃথিবীতে ৩০ লক্ষ থেকে ৩ কোটির মতো বিভিন্ন প্রজাতির জীব বাস করে।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার মূল কারণ জলবায়ুর পরিবর্তন।
বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন স্থানে ঘন ঘন সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, খরা ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে। সেইসাথে প্রকট হচ্ছে পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতা; যার ইঙ্গিত উদ্দীপকে পাওয়া যায়। বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হলো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি। তবে পৃথিবীব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হলো গ্রিন হাউস ইফেক্ট ও বিগত দুইশ বছরের প্রসারমান শিল্পের উন্নয়ন। পৃথিবীর জলবায়ু সূর্য থেকে পাওয়া শক্তির ওপর নির্ভর করে। আর পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস। যেমন; কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড ইত্যাদি। কিন্তু কলকারখানা ও যানবাহনের কালো ধোঁয়ার কারণে লাগামহীনভাবে গ্রিন হাউস গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ছে। যার প্রভাব পড়ছে জলবায়ুর ওপর। এছাড়া বনাঞ্চল ধ্বংস এবং জীবাশ্ম জ্বালানী ব্যবহারের জন্য বিগত কয়েক শতাব্দীতে বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইডের ঘনত্ব শতকরা প্রায় ১৫ ভাগ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বনাঞ্চল ধ্বংসের প্রভাবে সবুজ উদ্ভিদ হ্রাস পাওয়ায় সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে এ গ্যাস শোষণের মাত্রাও কমে যাচ্ছে। যার ফলে বাতাসে এর ঘনত্ব বৃদ্ধির সাথে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে তাপের বৃদ্ধি ঘটছে। বাতাসে কার্বন-ডাই অক্সাইডের অর্থাৎ গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে জলবায়ুর পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের মতো জলবায়ুর ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোতে ঋতু বৈচিত্র্য হ্রাস পাচ্ছে, অসময়ের বৃষ্টি এবং খরা জনজীবনে ডেকে আনছে সীমাহীন দুর্ভোগ। তাই বলাযায় উদ্দীপকে উল্লিখিত পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার কারণ জলবায়ু পরিবর্তন।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত পরিবেশগত ভারসাম্যহীনতার মূল কারণ জলবায়ু পরিবর্তন আর এ সমস্যা মোকাবিলায় একজন সমাজকর্মী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি বিপন্ন অবস্থায় আছে। এদেশে প্রতিবছরই বন্যা, খরা, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘটতে দেখা যায়। এর ফলে এদেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার জমির ফসল, পানিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাচ্ছে, জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য কমে যাচ্ছে। তাই এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি একজন সমাজকর্মী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।
একজন সমাজকর্মী জলবায়ুর ঝুঁকি নিরূপণে কাজ করতে পারেন। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের জীবন ও জীবিকায় কী ধরনের ক্ষতি করে তা চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন এবং এর প্রভাব বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য তিনি বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম আয়োজন করতে পারেন। ভিডিও প্রদর্শনী; ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এ সম্পর্কে প্রচারণা চালাতেও সমাজকর্মী কাজ করতে পারেন। এছাড়াও সমাজকর্মীরা দুর্যোগজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে এরকম সংস্থার মধ্যে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতে পারেন। আবার জলবায়ু বিপন্ন হওয়ার জন্য দায়ী গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ কমাতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ প্রয়োগ করা জরুরি। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীরা সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে ভূমিকা রাখতে পারেন। এছাড়া সমাজকর্মীরা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কীভাবে কমানো যায় বা কীভাবে এ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠা যায় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন। এজন্য তিনি ব্যক্তি, দল ও সমষ্টি পর্যায়ে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারেন। সেইসাথে তিনি এসব কার্যক্রমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে পারেন।
সার্বিক আলোচনা থেকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের মতো সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে যথাযথ পদক্ষেপের মাধ্যমে এর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কমিয়ে আনা যেতে পারে। এক্ষেত্রে একজন সমাজকর্মী সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারেন।

৩. দিবা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে JSC পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ করেছে। কিন্তু পরীক্ষার সময় স্বামী ও অভিভাবকগণ পরীক্ষা দিতে বারণ করায় পরীক্ষা দিতে পারে নাই। যার ফলশ্রুতিতে দিবার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যায়। এটি একটি সামাজিক অপ্রত্যাশিত অবস্থা।
ক. গ্রিক Problema শব্দের অর্থ কী?
খ. যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধিত ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে উল্লেখিত ঘটনাটি তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন সমস্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? আলোচনা কর।
ঘ. উক্ত ঘটনাটি নিরসনের জন্য যে আইন প্রণয়ন করা হয়েছে তা যথার্থ কিনা বিশ্লেষণ কর।

৩ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. গ্রিক ‘Problema’ শব্দের অর্থ সমস্যা বা অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি।

খ. যৌতুক প্রথাকে একটি সামাজিক ব্যাধি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে যৌতুক প্রথা বিভিন্ন ধরনের সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে। ২০১৬ সালে এদেশে যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২৩৯ জন নারী, মামলা হয়েছে ৯৫টি। এছাড়া একই কারণে ১২৬ জন নারীর ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়। যৌতুক প্রথার কারণে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যাও সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে আছে- দারিদ্র্য, নারী উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা, বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ, দাম্পত্য কলহ, পরিবারের মর্যাদাহানী, হত্যা ও আত্মহত্যা ইত্যাদি। মূলত এ কারণেই যৌতুককে সামাজিক ব্যাধি বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ঘটনাটি বাল্যবিবাহের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
বাল্যবিবাহ বলতে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহকে বোঝানো হয়। এক্ষেত্রে বয়সকে বিয়ের মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করা যায়। বাংলাদেশের শিশু আইন-২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে সবাই শিশু হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই আইনত ১৮ বছরের নিচের কোনো মেয়ে বা ছেলের বিবাহ সম্পন্ন হলে তাকে বাল্যবিবাহ বলা হয়। পুরুষশাসিত সমাজব্যবস্থায় নারীর মর্যাদাহীনতা এবং ক্ষমতায়নের অভাবের কারণে আবহমানকাল থেকে বাল্যবিবাহ প্রচলিত আছে। দারিদ্র্য, অজ্ঞতা, কুসংস্কার, শিক্ষার অভাব, সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এ সমস্যাকে আরো উৎসাহিত করছে। ফলে সাবালক হওয়ার আগেই বাবা-মা মেয়ের বিয়ে দেন। এর ফলে তার পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অন্যান্য সমস্যার সূত্রপাত হয়। উদ্দীপকের দিবা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। সে জেএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করলেও স্বামী ও অভিভাবকদের বাধায় পরীক্ষা দিতে পারেনি। এতে বোঝা যায়, দিবা প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগেই তাকে বিবাহ দেওয়া হয়েছে।
তাই বলা যায়, উদ্দীপকে দিবার ঘটনা বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যাকে ইঙ্গিত করছে।

ঘ. বাল্যবিবাহের মতো সামাজিক সমস্যা নিরসনের জন্য ২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, সময় এবং পরিস্থিতির বিচারে একে যথার্থ বলা যায়।
স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে বাল্যবিবাহের প্রকোপ বেশি লক্ষ করা যায়। বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা হ্রাস পেলেও তা থেমে নেই। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুসারে বর্তমানে দেশে বাল্যবিবাহের হার ৫৯ শতাংশ অর্থাৎ দেশে বাল্যবিবাহ হচ্ছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার শিশুর।
ক্রমবর্ধমান এই হার হ্রাস করার জন্য প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ প্রণীত হয়।
এ আইনের ধারা ৭, ৮ ও ৯ এ বাল্যবিবাহ করার শাস্তি, সংশ্লিষ্ট বাবা- মা ও অন্যান্যদের শাস্তি এবং বিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ধারা ৮ অনুযায়ী বাবা-মা বা অভিভাবক অথবা অন্য কোনো ব্যক্তি আইনত বা আইন-বহির্ভূতভাবে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে বা মেয়েকে বিয়ে দিলে বা বিয়ে দেওয়ার অনুমতি দিলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এর শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তি অনধিক ২ বছর ও অন্যূন ছয় মাস কারাদন্ড বা পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হবেন। এছাড়া বাল্যবিবাহ পরিচালনা করার জন্যও সুনির্দিষ্ট শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। উদ্দীপকের দিবার স্বামী ও অভিভাবকদের কার্যক্রম এ আইনের আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
সার্বিক আলোচনা থেকে তাই বলা যায়, বাল্যবিবাহের মতো সমস্যা সমাধানে ২০১৭ সালে প্রণীত আইনটি যুগোপযোগী ভূমিকা রাখতে পারে। এক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ ঘটানো জরুরি।

৪. কালাম কৃষিকাজ করে। সে আঠারো বছর বয়সে চৌদ্দ বছরের সেলিনাকে বিয়ে করে। বিয়ের দুই বছরের মধ্যে তাদের একটি কন্যা সন্তান হয়। এরপরও তারা একটি পুত্র সন্তানের প্রত্যাশায় পরপর পাঁচটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন।
ক. অপুষ্টি কী?
খ. বাল্যবিবাহ বলতে কী বোঝায়?
গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের প্রধান কোন সামাজিক সমস্যার কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সামাজিক সমস্যা দুটির পারস্পরিক সম্পর্ক বিশ্লেষণ করো।

৪ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. দেহের প্রয়োজনের তুলনায় খাদ্যে পুষ্টি উপাদানের অভাব হলে বা আধিক্য ঘটলে শরীরের যে অস্বাভাবিক লক্ষণ প্রকাশ পায় তাকে অপুষ্টি বলা হয়।

খ. বাল্যবিবাহ বলতে অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলে ও মেয়ের বিবাহকে বোঝায়।
সাধারণত বয়সকে বিয়ের মাপকাঠি ধরে বাল্যবিবাহ ধারণাটিকে ব্যাখ্যা করা হয়। জাতিসংঘ সর্বজনীন শিশু অধিকার সনদ এবং বাংলাদেশের জাতীয় শিশু নীতিতে ১৮ বছরের কম বয়সী সবাইকে শিশু হিসেবে ধরা হয়। সে দৃষ্টিকোণ থেকে ১৮ বছরের নিচের কোনো ছেলে বা মেয়ের বিয়ে বাল্যবিবাহ হিসেবে গণ্য হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিয়ের বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ এবং মেয়েদের জন্য ১৮ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

গ. উদ্দীপকে বাংলাদেশের প্রধান সামাজিক সমস্যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলা হয়েছে।
বাংলাদেশে বিদ্যমান সামাজিক সমস্যাসমূহের মধ্যে অধিক জনসংখ্যাই প্রধান। এদেশের আয়তনের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি। এর ফলে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উদ্দীপকে এ সমস্যাটিরই দুটি কারণ পরিলক্ষিত হয়।
বাল্যবিবাহ জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি অন্যতম কারণ। উদ্দীপকের কালাম চৌদ্দ বছরের সেলিনাকে বিয়ে করে। অল্পবয়সে বিয়ে করার ফলে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ সন্তান নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধির একটি কারণ। আবার পুত্রসন্তান লাভের আকাঙ্ক্ষাও বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য দায়ী। কেননা আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষের সাধারণ ধারণা মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীর সংসারে চলে যায়। তাই তারা কোনো কাজে আসে না। এছাড়া ছেলে সন্তানই কেবল উপার্জন করতে পারে। এ কারণে অনেকে ছেলেসন্তানের আশায় একাধিক সন্তান গ্রহণ করে। উদ্দীপকের কালামও তেমনই একজন। সে একটি পুত্রসন্তানের প্রত্যাশায় পরপর পাঁচটি মেয়ে সন্তানের বাবা হয়। এভাবে তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, উদ্দীপকটি বাংলাদেশের প্রধান সামাজিক সমস্যা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেই নির্দেশ করছে।

ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সামাজিক সমস্যা দুটি হলো বাল্যবিবাহ ও জনসংখ্যা সমস্যা, যা পরস্পর আন্তঃসম্পর্কযুক্ত।
সমাজ হলো সামাজিক সম্পর্কের একটি জটিল জাল। সমাজের প্রত্যেকটি উপাদান যেমন একে অন্যের সাথে জড়িয়ে আছে, তেমনি সমাজের প্রত্যেকটি সমস্যাও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে একে অন্যের সাথে সম্পর্কিত। বাল্যবিবাহ ও জনসংখ্যা সমস্যার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। উদ্দীপকের কালামের বাল্যবিবাহ করাও অধিক সন্তান জন্ম দেওয়ার মাধ্যমেও এ সমস্যা দুটির সম্পর্ক ফুটে উঠেছে।
জনসংখ্যা সমস্যার সাথে বাল্যবিবাহের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাল্যবিবাহের ফলে একটি পরিবার অনেক দিন ধরে সন্তান উৎপাদন করে, ফলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায়। আবার বাল্যবিবাহের কারণে শিশু মৃত্যুহার বৃদ্ধি পায়। ফলে পিতামাতা অধিক সন্তান গ্রহণ করে, যা জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। আবার জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে বাল্যবিবাহকে পরোক্ষভাবেও সম্পর্কিত করা যায়। যেমন- জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে সমাজে নিরক্ষরতা বৃদ্ধি পায়। আর নিরক্ষরতা অনেক সামাজিক সমস্যার জন্য ক্রিয়াশীল ভূমিকা পালন করে। নিরক্ষরতার কারণে মানুষ বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে। আমাদের গ্রামাঞ্চলে এ অজ্ঞতার কারণেই বাল্যবিবাহ সংঘটিত হয়। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, জনসংখ্যা সমস্যা ও বাল্যবিবাহ পরস্পর সম্পর্কিত।
পরিশেষে বলা যায়, উদ্দীপকটি বাল্যবিবাহ ও জনসংখ্যা সমস্যার আন্তঃসম্পর্কের একটি খন্ডচিত্র উপস্থাপন করে।

৫. পিয়ালের বয়স দশ বছর। সে কারও সঙ্গে কথা বলে না তার সাথে কেউ কথা বললে সে শুধু মাথা নাড়ায়। তার বাবা-মা তাকে স্কুলে পাঠায় না। কারণ সে অযথা সবার গায়ে থুথু ছিটায়। তবে সে অনেক সুন্দর ছবি আঁকতে পারে।
ক. গ্রিনহাউস ইফেক্ট কী?
খ. জলবায়ু পরিবর্তনের দুটি কারণ ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে পিয়ালের সমস্যাটি কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. তুমি কি মনে কর, পিয়ালের বাবা-মা তাকে স্কুলে না পাঠিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? যুক্তি দাও।

৫ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. মানুষের নেতিবাচক কর্মকান্ডের কারণে বায়ুমন্ডলে বিশেষভাবে নির্দিষ্ট গ্রিনহাউস গ্যাসমূহের উত্তরোত্তর বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বাড়ার প্রক্রিয়াই হলো গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়া।

খ. জলবায়ু পরিবর্তনের দুটি কারণ হলো পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সবুজ বনাঞ্চল ধ্বংস করা।
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি জলবায়ু পরিবর্তনের মূল কারণ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে হিমবাহ গলে যাওয়া, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ সংঘটিত হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বিচারে সবুজ বনাঞ্চল ধ্বংসের ফলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা গ্রিনহাউজ ইফেক্টের জন্য দায়ী। ফলে প্রতিনিয়ত জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে।

গ. উদ্দীপকে পিয়ালের সমস্যাটি হলো অটিজম
অটিজম হচ্ছে শিশুর বিকাশজনিত স্নায়ুবিক সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় একে অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার (এএসডি) বলে। শিশুর জন্মের ৩ বছরের মধ্যে এ রোগ দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে শিশুরা আত্মকেন্দ্রিক হয় এবং তাদের আচরণগত অস্বাভাবিকতা পরিলক্ষিত হয়। উদ্দীপকের পিয়ালের ক্ষেত্রেও অনুরূপ অস্বাভাবিকতা লক্ষ করা যায়।
উদ্দীপকের পিয়াল নিজে যেমন কারও সাথে কথা বলে না, তেমনি কেউ তার সাথে কথা বললে সে উত্তর দেয় না। এ থেকে বোঝা যায়, সে আত্মকেন্দ্রিক। অটিজম আক্রান্ত শিশুরা পিয়ালের মতোই নিজেদেরকে গুটিয়ে নেয়। যার জন্য তারা সমাজে অন্যান্যদের সাথে স্বাভাবিক আচরণ বা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করতে অক্ষম। যেমন- পিয়াল স্কুলে গিয়ে কারও সাথে মিশতে পারে না; বরং সবার গায়ে থুথু ছিটায়। তবে পিয়াল সুন্দর ছবি আঁকতে পারে। এটি অটিজম আক্রান্ত শিশুদের একটি বৈশিষ্ট্য। তাদের অনেকের ক্ষেত্রেই বিশেষ কোনো বিষয়ে দক্ষতা দেখা যায়। যেমন- কেউ পিয়ালের মতো ছবি আঁকতে পারে, কেউ সুন্দর গানের সুর অনুকরণ করতে পারে, কেউ বা মুখে মুখে বড় বড় যোগ- বিয়োগ করতে পারে প্রভৃতি। প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি অটিস্টিক শিশুর মধ্যেই এরূপ উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দক্ষতা থাকে। সুতরাং পিয়ালের সমস্যাটির ধরন বিবেচনা করে তাকে একজন অটিস্টিক শিশু বলা যায়।

ঘ. আমি মনে করি পিয়ালের বাবা-মা তাকে স্কুলে না পাঠিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অটিজম আক্রান্ত শিশুরা ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হয়। এ কারণে বিদ্যালয়ে তারা স্বাভাবিক শিশুদের মতো পড়াশোনা করতে পারে না। প্রকৃতপক্ষে এ জন্য অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। সেই সাথে পড়াশোনার স্বার্থে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা সম্বলিত বিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা জরুরি।
উদ্দীপকের পিয়ালের আচরণে অস্বাভাবিকতা দেখা যায়। তাই বিদ্যালয়ে গিয়ে সে অন্যান্যদের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। মূলত অটিজম রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই এমনটি ঘটেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পিয়ালের বাবা-মা তাকে স্কুলে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন। তাদের সিদ্ধান্ত এ কারণেই যথার্থ যে, অটিস্টিক শিশুদের জন্য সাধারণ বিদ্যালয় অনুকূল নয়। কেননা, স্বাভাবিক শিশুদের মতো অটিস্টিক শিশুদের শারীরিক বা মানসিক বিকাশ ঘটে না। ফলে তারা বিদ্যালয়ের পরিবেশে আরও অসহায় বোধ করে। অবশ্য অটিজমের তীব্রতা কম হলে অনেক শিশু স্বাভাবিক লেখাপড়া করতে পারে। তবে পিয়ালের মতো শিশুদের জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। অটিস্টিক শিশুদের সঠিক পরিচর্যার জন্য বর্তমানে স্বল্প পরিসরে হলেও কিছু প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে।
পরিশেষে বলা যায়, পিয়ালের বাবা-মা পিয়ালকে স্কুলে না পাটিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে পিয়ালের লেখাপড়ার জন্য বিশেষ স্কুলে পাঠানো ও যত্নের প্রয়োজন।

৬. বিশ্বব্যাপী শিল্প কলকারখানা বৃদ্ধি ও উন্নত দেশগুলোর অসম প্রতিযোগিতার ফলে অধিক হারে খনিজ জ্বালানি পুড়ছে। বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে। পৃথিবী তার পরিবেশগত ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। ঝড়, সাইক্লোন, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, খরার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় বেড়ে যাওয়ায় জীববৈচিত্র্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম হুমকির মুখে পড়ছে। পৃথিবীর এই বিপর্যয়ের জন্য ‘প্রকৃতি যতটা না দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী মানুষ।’ তাই উন্নত ও অনুন্নত বিশ্বের সবাই বিচলিত ও এটি অনুভব করে যে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে হবে।
ক. AIDS এর পূর্ণরূপ লেখো।
খ. অটিজম কেন সামাজিক সমস্যা?
গ. উদ্দীপকে কোন সমস্যার চিত্র ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো। 
ঘ. প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্যে উদ্দীপকে উল্লিখিত উক্তিটি কতটা দায়ী? পাঠ্যপুস্তকের আলোকে মতামত দাও।

৬ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. AIDS এর পূর্ণরূপ হলো- Acquired Immune deficiency Syndrome.

খ. অটিজম সম্পর্কে সমাজের অধিকাংশ মানুষের ভ্রান্ত ধারণার কারণে এটিকে সামাজিক সমস্যা বলা হয়।
আমাদের দেশে অটিজম সম্পর্কে সাধারণ জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটাই নেতিবাচক। অনেকে এ রোগকে সৃষ্টিকর্তার অভিশাপ বলে মনে করেন। ফলে অটিজম আক্রান্তদের জন্য সমাজে বসবাস করাটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাছাড়া অটিস্টিক শিশুরা সামাজিক যোগাযোগ তৈরিতে অক্ষম। মূলত এসব কারণেই অটিজমকে একটি সামাজিক সমস্যা বলে চিহ্নিত করা হয়।

গ. উদ্দীপকে বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তনের চিত্র ফুটে উঠেছে। 
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হলো জলবায়ু পরিবর্তন। এর ফলে নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ বিপদজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে এবং নানারকম নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। উদ্দীপকে জলবায়ু পরিবর্তনেরই একটি খন্ডচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপকের বর্ণনা থেকে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য দায়ী হচ্ছে গ্রিনহাউস গ্যাস। এই গ্যাস অতিরিক্ত শিল্প কারখানা ও জ্বালানি পোড়ানোর কারণে সৃষ্টি হয়। যার প্রভাব হিসেবে তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এরই ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রাও বাড়ছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে জীববৈচিত্র্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। কারণ জীবজগতের জন্য অনুকূল পরিবেশ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন পরিবেশ জগতের স্বাভাবিক নিয়ম- রীতি পাল্টে দিচ্ছে। আর স্বাভাবিকতার পরিবর্তন হলেই বিপর্যয় সংঘটিত হয়। উদ্দীপকে জলবায়ু পরিবর্তনের এ দিকটিই স্বল্প পরিসরে সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে।

ঘ. বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য প্রকৃতি অপেক্ষা মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকান্ডকেই বেশি দায়ী করা যায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবজগতের অস্তিত্ব আজ হুমকির সম্মুখীন। এর পেছনের কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রকৃতি নয় বরং মানুষই জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। উদ্দীপকের উক্তিটিতে এ বিষয়টিই তুলে ধরা হয়েছে।
উদ্দীপক থেকে জানা যায়, অতিরিক্ত শিল্প কারখানা স্থাপন ও জ্বালানির দহন পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। এছাড়া গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির জন্য মানুষই দায়ী। শিল্পায়নের ফলে এবং নির্বিচারে বনভূমি ধ্বংস করার ফলে কার্বন ডাইঅক্সাইডসহ অন্যান্য গ্যাস নির্গমনের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষের কারণেই পরিবেশে নানা রকম দূষণের শিকার হচ্ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য প্রতিনিয়ত নষ্ট হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেদের কল্যাণে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু এক্ষেত্রেও মানুষ উদাসীন। মূলত ১৭৫০ সাল থেকেই মানুষের নানাবিধ নেতিবাচক কার্যকলাপের কারণে বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইডের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে এবং জলবায়ু পরিবর্তনে তা প্রভাব ফেলেছে।
পরিশেষে বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য মানুষই সম্পূর্ণ দায়ী। এজন্য আমাদেরকেই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন ও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে।

HSC সমাজকর্ম ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায় ৩ pdf download

৭. সোহরাব হোসেন এ বছর চাকরি থেকে অবসরে গিয়েছেন। তিনি হজে যাওয়ার মনস্থ করেছেন। তার তিন ছেলে এক মেয়ে এব ছেলেরা সবাই সমাজে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু মেয়েটিকে নিয়ে তিনি চিন্তায় আছেন। মেয়েটি একটু বেঁটে এবং শ্যামলা। মেয়ে এস. এস. সি পাশ করেছে। তিনি মেয়ের বিয়ে দিতে পারলে নিশ্চিন্ত মনে হজ্জে যেতে পারতেন। ভাল ছেলে পেলে সোহরাব সাহেব তার বসুন্ধরার বাড়ির একটি ফ্ল্যাট দিতেও রাজি আছেন।
ক. বাংলাদেশে ছেলে এবং মেয়ের বিবাহের ন্যূনতম বয়স কত?
খ. সামাজিক সমস্যা কাকে বলে?
গ. সোহরাব সাহেবের মানসিকতা কোন সামাজিক সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক সমস্যা মোকাবেলায় সমাজ কর্মীর ভূমিকা আলোচনা করো।

৭ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. বাংলাদেশে বিবাহের নূন্যতম বয়স ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছর এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

খ. সামাজিক সমস্যা হলো একটি অনাকাঙি্ক্ষত পরিস্থিতি।
সামাজিক সমস্যা হলো কোনো সমাজের অধিক সংখ্যক লোকের অবাঞ্ছিত ও 'আপত্তিজনক আচরণ, যে আচরণ পরিবর্তনের প্রয়োজন জনগণ অনুভব করে। সামাজিক সমস্যা মানুষের পারস্পরিক সামাজিক সম্পর্ক ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত। বিচ্ছিন্ন ও ব্যক্তিগত সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা বলা হয় না। মূলত সামাজিক সমস্যা এমন এক অবস্থা যা সমাজের মানুষকে মূল্যবোধ ও প্রথার পরিপন্থি কাজের দিকে ধাবিত করে এবং আবেগীয় ও অর্থনৈতিক দুর্দশা সৃষ্টি করে।

গ. উদ্দীপকের সোহরাব সাহেবের মানসিকতা অন্যতম সামাজিক সমস্যা যৌতুকের ইঙ্গিত বহন করে।
সাধারণভাবে যৌতুক হলো এমন একটি সামাজিক কু-প্রথা, যাতে বিবাহের সময় কনে ও বরপক্ষের মধ্যে দর কষাকষির মাধ্যমে বরপক্ষকে নগদ অর্থ, দ্রব্য-সামগ্রী বা অন্য কোনো আর্থিক সুবিধা দানে কন্যাপক্ষকে বাধ্য করা হয়। বাংলাদেশে প্রচলিত যৌতুক প্রথা মূলত হিন্দু সমাজের ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত। কেননা, হিন্দু সমাজে পিতার সম্পত্তিতে কন্যার কোনো অধিকার থাকে না। ফলে কন্যাকে পাত্রস্থ করার সময় সোনা, গয়না, টাকা-পয়সা এবং অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী দেওয়ার প্রচলন ছিল, যা সময়ের পরিক্রমায় যৌতুকে পরিণত হয়।
উদ্দীপকে সোহরাব হোসেন তার এস.এস.সি পাশ মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিস্তিত কারণ সে একটু শ্যামলা ও বেঁটে। তিনি মনস্থির করেন মেয়ের জন্য ভালো পাত্র পেলে বসুন্ধরার ফ্ল্যাটটি লিখে দিবেন। সোহরাব সাহেবের মানসিকতাটি উপরে আলোচিত যৌতুক প্রথার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং বলা যায় যে, সোহরাব সাহেবের মানসিকতা যৌতুক নামক সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক সমস্যা তথা যৌতুক মোকাবিলায় সমাজকর্মীর ভূমিকা অপরিসীম।
আমাদের দেশে অসংখ্য সামাজিক সমস্যার মধ্যে যৌতুক অন্যতম। যৌতুকের ফলে সমাজে নানা ধরনের অত্যাচার, হত্যা ইত্যাদি সংঘটিত হয়ে থাকে। এ অবস্থা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় আইন থাকলেও বাস্তবে তার প্রয়োগ তেমন দেখা যায় না। এর অন্যতম কারণ হলো অজ্ঞতা এবং অহেতুক ভয়ভীতি। এক্ষেত্রে সমস্যাগ্রস্ত (যৌতুকের শিকার) ব্যক্তিকে সহায়তা প্রদানে একজন পেশাগত সমাজকর্মী যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেন। যৌতুকের কারণে কোনো মেয়ে যদি হয়রানি বা নির্যাতনের শিকার হয় সেক্ষেত্রে সমাজকর্মী তাকে আইনগত সহায়তা পেতে সাহায্য করতে পারেন। এক্ষেত্রে তিনি যৌতুক নিরোধ আইনের আওতায় নিয়ে সাহায্যার্থীকে সহায়তা প্রদান করতে পারেন। আবার যৌতুকবিরোধী প্রচার অভিযানে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন। বিভিন্ন প্রচারমাধ্যম, যেমন- সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে যৌতুকের ক্ষতিকর দিক এবং শাস্তির বিধানগুলো তুলে ধরে যৌতুকবিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করতে পারেন। সমাজকর্মী তার কার্যক্ষেত্রে সমাজকর্মের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করতে পারেন। প্রয়োজনে নিজে উদ্যোগী হয়ে সাহায্যার্থীর সমস্যার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারেন। যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে তিনি সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি, বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজকে কাজে লাগাতে পারেন।
উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে স্পষ্টরূপে প্রতীয়মান হয় যে, উদ্দীপকের সামাজিক সমস্যা সমাধানে সমাজকর্মীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

৮. শাম্মী মা-বাবার একমাত্র সন্তান। মা-বাবা উভয়ই সরকারি কর্মকর্তা। সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া দু'জনের পক্ষেই সম্ভব হয় না। এ নিয়ে শাম্মী'র অনেক অভিযোগ, কিন্তু মা-বাবা তা খুব একটা আমলে নেন না। স্কুলে যাওয়ার সময় বা স্কুল থেকে ফেরার পথে অন্যান্য শিশুদের সাথে তাদের মা-বাবাকে দেখলে তার কান্না আসে। এরূপ মানসিক অতৃপ্তি নিয়ে শাম্মী বড় হতে থাকে। একসময় চরম হতাশা তাকে গ্রাস করে। আর এ থেকে মুক্তির জন্য সে নেশা করতে করতে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।
ক. Problem শব্দটি গ্রিক কোন শব্দ থেকে উদ্ভূত?
খ. বাংলাদেশে বেকারত্বের কুপ্রভাব ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের আলোকে মাদকাসত্তের কারণগুলো আলোচনা করো।
ঘ. উক্ত সমস্যা দূরীকরণে সমাজকর্মীর ভূমিকা তোমার পাঠ্যপুস্তকের আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৮ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. Problem শব্দটি গ্রিক Problema থেকে উদ্ভুত। যা সাধারণত অবাঞ্ছিত পরিস্থিতিকে নির্দেশ করে।

খ. বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বেকারত্ব একটি মৌলিক সমস্যা, যার কুপ্রভাব ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক তথা জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লক্ষ করা যায়।
বেকারত্বের কারণে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ও জীবনযাত্রার মান আশানুরূপ নয়। অনেক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত তরুণ বেকারত্বের ফলে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ছিনতাই ইত্যাদির মত অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বাংলাদেশে মাদকাসক্তির অন্যতম প্রধান কারণ বেকারত্ব। পারিবারিক কলহ, নারী নির্যাতন, যৌতুক প্রথা, বিবাহ বিচ্ছেদ প্রভৃতি সমস্যা বৃদ্ধিতেও বেকারত্বের প্রত্যক্ষ প্রভাব লক্ষ করা যায়।

গ. উদ্দীপকের শাম্মী মা-বাবার স্নেহের অভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। মাদকাসক্তির এরকম বহুবিধ কারণ রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের সামাজিক সমস্যাগুলোর মধ্যে মাদকাসক্তি অন্যতম। মাদকাসক্তির বিভিন্ন কারণের মধ্যে রয়েছে সঙ্গদোষ ও মাদকের প্রতি কৌতূহল, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব, বেকারত্ব, ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় প্রভৃতি। আবার অনেক ছেলেমেয়ে ছোটবেলা থেকেই মা-বাবার আদর-স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়ে নেশা করতে করতে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। উদ্দীপকের শাম্মীর ক্ষেত্রে এই বিষয়টি দৃশ্যমান।
উদ্দীপকে দেখা যায়, মা-বাবার একমাত্র সন্তান শাম্মীর বাবা-মা দুজনেই চাকরীজীবী হওয়ায় শাম্মীকে সময় দেওয়ার সুযোগ পায় না। সে তার বাবা-মাকে অনুভব করে। কিন্তু না পেয়ে হতাশা ও একাকিত্বের কারণে শাম্মী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। সন্তান স্বভাবতই পিতা-মাতার আদর-স্নেহ, সঙ্গ, ভালোবাসা চায়। পিতা-মাতা দুজনই কর্মস্থলে ব্যস্ত থাকলে সন্তান একাকিত্ব অনুভব করে। ফলে সন্তানেরা পিতা-মাতার সাহচর্য ও আদর-স্নেহের অভাবে হতাশা ও নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। অনেকেই অসৎ সঙ্গে পড়ে ভয়াবহ মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। এ কারণেই উদ্দীপকের শাম্মী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত মাদকাসক্তি দূরীকরণে পেশাদার সমাজকর্মীগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
মাদকের ভয়াবহ ছোবলে আমাদের সম্ভাবনাময় যুব সমাজ ধ্বংসপ্রায়। সমাজ থেকে মাদকাসক্তি দূরীকরণের জন্য প্রয়োজন মাদক-সংক্রান্ত যথার্থ তথ্যাবলি। সমাজকর্মীগণ সমাজকর্ম পারেন। মাদকাসক্তির ভয়াবহতা ও কুফল সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তুলতে পরেন। মাদকাসক্ত সন্তানের অভিভাবকদের তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল, সচেতন করতে সমাজকর্মী কাজ করতে পারেন। সমাজকর্মী ব্যক্তি সমাজকর্ম এবং দল সমাজকর্মের পদ্ধতি প্রয়োগ করে মাদকাসক্ত ব্যক্তিদের সমস্যা সমাধানে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে।
উদ্দীপকের শাম্মী কর্মব্যস্ত পিতা-মাতার সঙ্গের অভাবে হতাশা ও বিষণ্নতায় মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। পিতা-মাতাকে অনুভব করার কথা শাম্মী প্রকাশ করলেও তারা আমলে নেননি। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীগণ শাম্মীর পিতা-মাতাকে সন্তানের অভাব-অভিযোগ এবং তার প্রভাব সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে পারেন। মাদকাসক্তি দূরীকরণে একজন সমাজকর্মী গবেষক, প্রশাসক এবং সামাজিক চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন। মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে সংশোধনের জন্য হাসপাতাল বা সংশোধনাগারে সমাজকর্মী সমাজকর্মের বিভিন্ন পদ্ধতি ও কৌশল প্রয়োগ করে সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তির সমস্যা সংশোধনে কাজ করতে পারেন।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, মাদকাসক্তি দূরীকরণে সমাজকর্মী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেন।

৯. শিশু সুমন জন্মের দু'বছরেও কথা বলা তো দূরে থাক অন্যের ডাকে সাড়া দেয় না। আবার অন্যের উপস্থিতি টেরও পায় না। প্রথম প্রথম শিশুটির মা-বাবা খুব একটা গুরুত্ব না দিলেও বর্তমানে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাচ্ছে কিন্তু শিশুটির মধ্যে কোনো পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। বরং বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে সমস্যাটি আরো প্রকট আকার ধারণ করছে।
ক. পুষ্টিহীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ কী?
খ. জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণা দাও।
গ. উদ্দীপকে যে সমস্যাটির প্রতি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে তা চিহ্নিত করে ব্যাখা করো।
ঘ. উক্ত সমস্যা লাঘবে সমাজকর্মীর ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

৯ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. পুষ্টিহীনতার ইংরেজি প্রতিশব্দ Malnutrition.

খ. সাধারণত জলবায়ু পরিবর্তন বলতে পৃথিবীর আবহাওয়ার স্তরগত পরিবর্তনকে বোঝায়।
জলবায়ু পরিবর্তন একটি দীর্ঘকালীন পরিবর্তন যা সমুদ্রের উচ্চচাপের কারণে হয়ে থাকে। সমুদ্র ছাড়া মনুষ্যসৃষ্ট অন্যান্য কারণেও জলবায়ুর পরিবর্তন সাধিত হয়ে থাকে। পরিবেশ দূষণ বিভিন্নভাবে ওজোন স্তরকে প্রভাবিত করে যা জলবায়ুর বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি করে।

গ. উদ্দীপকে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশজনিত সমস্যা অটিজমকে নির্দেশ করা হয়েছে।
অটিজম হলো জীবনব্যাপী অক্ষমতা যা একজন ব্যক্তিকে তার চারপাশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার ক্ষেত্রে বাধা দেয়। অটিজম শব্দটি গ্রিক Autos থেকে এসেছে, যার বাংলা অর্থ আত্মসংবৃতি। এটি মানসিক রোগবিশেষ। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কারও সাথে অর্থপূর্ণ যোগাযোগ করতে অক্ষম। অটিজম শিশুর এমন একটি সমস্যা, যাতে শিশু পরিবেশের সাথে যোগাযোগ করার পদ্ধতি, যেমন- ভাষার ব্যবহার রপ্ত করতে পারে না। শিশু নিজের মধ্যে গুটিয়ে থাকে।
উদ্দীপকে শিশু সুমন জন্মের দু’ বছরেও কথা বলতে, কারও কথার জবাব দিতে বা উপস্থিতি টের পেতে অক্ষম। অটিজম মস্তিষ্কের বিকাশে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে, যা শিশুর ২ বছরের মধ্যে দেখা যায়। একজন অটিস্টিক শিশুর মধ্যে যোগাযোগে অক্ষমতা, বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নড়াচড়া ও চলাফেরায় ভারসাম্যহীনতা কারও ডাকে সাড়া না দেয়া, কারও সাথে মিশতে অনীহা, অযথা জোরে চিৎকার৷ করা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা যায়। উদ্দীপকের শিশু সুমনের মধ্যে আলোচিত কয়েকটি উপসর্গ দেখা যায়। এ কারণে সুমনকে অটিজমে আক্রান্ত শিশু হিসেবে চিহ্নিত করা যায়।

ঘ. উদ্দীপকে উক্ত সমস্যা অর্থাৎ অটিজম সমস্যা লাঘবে সমাজকর্মী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষকে খাপ খাওয়াতে সহায়তা করা সমাজকর্মের অন্যতম লক্ষ্য। অটিস্টিক শিশুর মূল সমস্যা হলো যোগাযোগ, আচরণ ও সামাজিকতার ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া করতে না পারা বা অক্ষমতা। তবে বেশির ভাগ অটিস্টিক শিশু অত্যন্ত সম্ভাবনাময় হয়। অটিস্টিক শিশুর প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে তার যথাযথ পুনর্বাসন, পরিবার ও সমাজে তাকে প্রতিষ্ঠিত করে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টিতে সমাজকর্মীগণ কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।
উদ্দীপকের শিশু সুমনের মৌখিক যোগাযোগ ও অনুভূতিহীনতা অটিজমকে নির্দেশ করে। তার মতো অটিস্টিক শিশুদের সমস্যা লাঘবে শিশুর বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে শিশুর প্রতি ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি, যথাযথ শিক্ষা, কাউন্সেলিং ও চিকিৎসার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে পারেন। অটিজম মোকাবিলায় প্রয়োজন যথাযথ শিক্ষা ও সচেতনতা, অটিজম বোঝা নয় সম্পদ'তএ ধারণাকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাপক শিক্ষামূলক ও প্রচারণামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। এসব ক্ষেত্রে সমাজকর্মী সমাজকর্মের নীতি ও তত্ত্ব প্রয়োগের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন। এতে সুমনের মত অটিস্টিক শিশু সমাজের বোঝা নয় বরং সম্পদে পরিণত হবে।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি সমাজে তার অধিকার ও অটিজম সম্পর্কে ইতিবাচকতা তৈরির ক্ষেত্রে সমাজকর্মী কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারেন।

১০. রহিমের গ্রামে অনেক শিক্ষিত যুবক প্রচলিত মজুরিতে কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাজ পায় না। গ্রামে যুবকরা অনেক নেতিবাচক কার্যক্রম-এর সাথে জড়িয়ে পড়ছে। গ্রামবাসী সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে উক্ত সমস্যা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছে।
ক. সমস্যা কী?
খ. সামাজিক সমস্যা বলতে কী বোঝায়?
গ. 'রহিমের গ্রামের যুবকদের কাজ না পাওয়া একটি সামাজিক সমস্যা' ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে সামাজিক সমস্যার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।

১০ নম্বর সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
ক. সমস্যা হলো অবাঞ্ছিত, দ্বন্দ্বপূর্ণ, অসম, জটিল ও অপ্রত্যাশিত অবস্থা।

খ. সামাজিক সমস্যা হলো একটি অনাকাঙি্ক্ষত পরিস্থিতি।
সামাজিক সমস্যা হলো কোনো সমাজের অধিক সংখ্যক লোকের অবাঞ্ছিত ও আপত্তিজনক আচরণ, যে আচরণ পরিবর্তনের প্রয়োজন জনগণ অনুভব করে। সামাজিক সমস্যা মানুষের পারস্পরিক সামাজিক সম্পর্ক ও সামাজিক মিথস্ক্রিয়া থেকে উদ্ভূত। বিচ্ছিন্ন ও ব্যক্তিগত সমস্যাকে সামাজিক সমস্যা বলা হয় না। মূলত সামাজিক সমস্যা এমন এক অবস্থা যা সমাজের মানুষকে মূল্যবোধ ও প্রথার পরিপন্থি কাজের দিকে ধাবিত করে এবং আবেগীয় ও অর্থনৈতিক দুর্দশা সৃষ্টি করে।

গ. রহিমের গ্রামের যুবকদের কাজ না পাওয়া হলো বেকারত্ব যা একটি সামাজিক সমস্যা।
কোনো ব্যক্তি প্রচলিত মজুরিতে কাজ করার ইচ্ছা, সামর্থ্য ও কর্মে আগ্রহী ব্যক্তির এই অবস্থাকে বেকারত্ব হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো দেশে এই সমস্যার প্রধান কারণ মূলধনের অভাব। কেননা এর অভাবে জনসংখ্যাবহুল অনুন্নত দেশে প্রাকৃতিক সম্পদ কাজে লাগিয়ে উৎপাদন ও নিয়োগ বাড়ানো সম্ভব হয় না। ফলে দেশের জনশক্তিকে কাজে লাগানো যায় না, যার প্রভাবে বেকারত্ব দেখা দেয়। এতে সমাজে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বর্তমানে বাংলাদেশে এটি অন্যতম সামাজিক সমস্যা। উদ্দীপকেও এ সমস্যা সম্পর্কেই বলা হয়েছে।
উদ্দীপকে দেখা যায় রহিমের গ্রামে অনেক শিক্ষিত যুবক প্রচলিত মজুরিতে কাজ করার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও কাজ পায় না। রহিমের গ্রামের এই সমস্যাটি উপরে বর্ণিত বেকারত্ব নামক সামাজিক সমস্যার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, রহিমের গ্রামের যুবকদের কাজ না পাওয়া হলো একটি সামাজিক সমস্যা।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক সমস্যাটি হলো বেকারত্ব যার কিছু স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
সাধারণভাবে বেকারত্ব বলতে কর্মহীন অবস্থাকে বোঝায়। কোনো ব্যক্তি যদি যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আয় উপার্জনমূলক কাজে নিয়োজিত হতে না পারে তখন ঐ ব্যক্তির কর্মহীন অবস্থাকে বেকারত্ব বলা হয়। বর্তমানে এটি আমাদের দেশের অন্যতম সামাজিক সমস্যা। উদ্দীপকেও এই সমস্যাকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে।
উদ্দীপকে বলা হয়েছে রহিমের গ্রামের অনেক শিক্ষিত যুবক প্রচলিত মজুরিতে কাজ করার ইচ্ছা থাকলেও কাজ পাচ্ছে না যা বেকারত্বকে নির্দেশ করছে। আর এটি একটি সামাজিক সমস্যা যার কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বেকারত্ব হলো একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। এ অবস্থায় লোকজনের কাজ করার যোগ্যতা ও সামর্থ্য থাকলেও তাদের কাজ থাকে না। এই সমস্যার সাথে অর্থনৈতিক বিষয় জড়িত। এর প্রভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। এ সমস্যাটি আরও বিভিন্ন সমস্যা যেমন দারিদ্র্য, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাই, মাদকাসক্তি প্রভৃতি সমস্যা সৃষ্টি করে। এছাড়া পারিবারিক ভাঙন, বিবাহ বিচ্ছেদ, যৌতুক প্রথা, নারী নির্যাতন ইত্যাদি অবস্থা বৃদ্ধিতে বেকারত্ব ভূমিকা রাখে। এসব বৈশিষ্ট্যেই বেকারত্বের প্রধান বৈশিষ্ট্য।
উপরের আলোচনা থেকে বলা যায়, উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক সমস্যাটি হলো বেকারত্ব যার উপরোল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো পরিলক্ষিত হয়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post