HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৯ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র
৯ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 2nd Paper pdf download
Chapter-9
Srijonshil
Question and Answer

ক. জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন-১. আলফা কণার সংকেতটি লেখ।
উত্তর: অলফা কণার সংকেত হলো,।

প্রশ্ন-২. ক্যাথোড রশ্মি কী?
উত্তর: ক্যাথোড রশ্মি কতকগুলো ঋণাত্মক আধানবিশিষ্ট কণিকার স্রোত।

প্রশ্ন-৩. ইলেকট্রন আবষ্কার করেন কে?
উত্তর: ১৮৯৭ সালে স্যার জে. জে. থমসন ইলেকট্রন আবষ্কার করেন।

প্রশ্ন-৪. পরমাণু নিউক্লিয়াস অপেক্ষা কতগুণ বড়?
উত্তর: পরমাণুর ব্যাস প্রায়।

প্রশ্ন-৫. রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের ভিত্তি কিসের উপর প্রতিষ্টিত?
রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের ভিত্তি নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ ও গতিসূত্রে উপর প্রতিষ্ঠিত।

প্রশ্ন-৬. নিউক্লিয়াসের ব্যাস কত?
উত্তর: নিউক্লিয়াসের ব্যাস হলো প্রায়।

প্রশ্ন-৭. ভরসংখ্যা কী?
উত্তর: পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অবস্থিত প্রাটন ও নিউট্রনের মোট সংখ্যাই হলো ভরসংখ্যা।

প্রশ্ন-৮. প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা কী?
উত্তর: কোনো পদার্থ হতে স্বতঃস্ফুর্তভাবে তেজস্ত্রিয় রশ্মি নির্গমনের ঘঁনাই প্রাকৃতিক তেজস্ক্রিয়তা।

প্রশ্ন-৯. তাপহারী নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া কাকে বলে?
উত্তর: যে নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া সংঘটনের জন্য তাজশক্তি সরবরাহ করতে হয় তাকে তাপতারী নিউক্লিয়ার বিক্রিয়া বলে।

প্রশ্ন-১০. প্রক্ষেপক কী?
উত্তর: যে কণা দ্বারা লক্ষ্য নিউক্লিয়াসকে আঘাত করা হয় তাকে প্রক্ষেপক বলা হয়।

প্রশ্ন-১১. নিউক্লিয় চুল্লি কী?
উত্তর: নিউক্লিয় চুল্লি হলো একটি যন্ত্র যাদিয়ে একটি নিউক্লিয় শৃঙ্খল বিক্রিয়া চালু এবং নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

প্রশ্ন-১২. অবক্ষয় ধ্রুবক কাকে বলে?
উত্তর: কোনো তেজস্ত্রিয় মেীলের পরমাণু সংখ্যা যে সময়ে অর্ধেকে পরিণত হয় সে সময়ই ঐ তেজস্ক্রিয় মেীলের অর্ধায়ু।

প্রশ্ন-১৩. কুরী কী?
উত্তর: তেজস্ত্রিয়তা বা তেজস্ক্রিয় সক্রিয়তার একক কুরী।

প্রশ্ন-১৪. নিউক্লিয় ফিশন কাকে বলে?
উত্তর: নিউট্রন দ্বারা আঘাত করে যদি কোনো ভারী পরমাণুর নিউক্লিয়সকে প্রায় সমভরবিশিষ্ট দুটি অংশে বিভক্ত করা যায় এবং প্রচন্ড পারমাণবিক শক্তির উদ্ভব হয়। নিউক্লিয়াসের এ বিভাজনকে নিউক্লিয়াস ফিশন বলে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. প্রোটন ধনাত্মক চার্জধর্মী হওয়া সত্তেও প্রোটন বিকসষর্ণ করে নিউক্লিয়াস থেকে বেরিয়ে আসে না কেন?
উত্তর: নিউক্লিয়াসে প্রোটন ধনাত্মক চার্জগ্রস্ত এবং নিউট্রন চার্জহীন হওয়ায় এক্ষেত্রে পো্রটন-প্রোটন বিকর্ষন বল বা কুলম্ব বল ক্রিয়া করে। অপরদিকে নিউক্লিয়াসে নিউক্লিয় উপাদান তথা নিউক্লিয়গুলোকে একত্রে আবদ্ধ রাখতে নিউক্লিয় বল কার্যকর হয়। এ নিউক্লিয় বলের মান কুলম্ব বলের তুলনায় বেশি হওয়ায় প্রোটন-প্রোটন বিকর্ষণ বলের ক্রিয়াকে নাকচ করে দেয়। তাই নিউক্লিয়াস থেকে প্রোটন বেরিয়ে আসতে পারে না।

প্রশ্ন-২. বোর-এর তৃতীয় স্বীকার্য ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যখনই কোনো ইলেক্ট্রন একটি সুবিধাযুক্ত কক্ষপথ হতে অপর একটি সুবিধাযুক্ত কক্ষপথে লাফ দেয়, তখনই শক্তি বিকিরণ বা শোষন ঘটে। যদি ইলেকট্রন উচ্চুতর সুবিধাযুক্ত কক্ষপথ হতে নিম্নতর সুবিধাযুক্ত কক্ষপথে লাফ দেয়, তবে শক্তির বিকিরণ ঘটে। আর যদি ইলেকট্রন নিম্নতর সুবিধাযুক্ত কক্ষপথ হতে উচ্চতর সুবিধাযুক্ত কক্ষপথে লাফ দেয় তবে শক্তির শোষণ ঘটে।
এ বিকিরিত বা শোষিত শক্তির পরিমাণ ঐ দুটি কক্ষপথের শক্তির বিয়োগফলের সমান এবং এর মান এক কোয়ান্টাম অর্থাৎ , যেখানে h প্লাঙ্কের ধ্রুবক এবং u শক্তির কম্পাঙ্ক।

প্রশ্ন-৩. তেজস্ক্রিয়তা কী ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: তেজস্ক্রি মৌল হতে তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গমনের ঘটনাকে বলা হয় তেজস্ক্রিয়তা।
ব্যাখ্যা: তেজস্ক্রিয়তা ঘঁনাটি সম্পূর্ণভাবে প্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত। এটি তাপ, চাপ, বৈদ্যুতিক বা চৌম্বক ঘটনা দ্বরা প্রভাবিত হয় না। তেজসিক্রয়তা ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ বলে। যেসব পদার্থের পারমাণবিক সংখ্যা ৮৩ এর বেশি সাধারণত সেসব পদার্থ তেস্ক্রিয় হয়। যেমর- ইউরেনিয়াম, থোরিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদি তেস্ক্রিয় পদার্থ।

প্রশ্ন-৪. তাপ নিউক্লিয় বিক্রিয়া বলতে কী বোঝ?
উত্তর: অত্যধিক পরমাণুর ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াস থেকে বিচ্ছিন্ন হয় এবং প্রচন্ড গতিতে ছোটাছুটি করতে থাকে। এ সময় হালকা পরমাণু নিউক্লিয়াসের মধ্যে ফিউশন ঘটে অপেক্ষাকৃত ভারি পরমাণুর সৃষ্টি হয় এবং প্রচন্ড তাপশক্তি নির্গত হয়।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ১.
নিচের চিত্রটি পর্যবেক্ষণ কর:
ক. পরমাণুর মূল কণিকা কয়টি?
খ. আলফা কণার দুটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
গ. উদ্দীপকের পরমাণু মডেলটি বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকের পরমাণু মডেলটি সর্বজন স্বীকৃত হলেও এর ব্যর্থতাই বেশি, উক্তিটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ (ক).
পরমাণুর মূল কণিকা তিনটি। যথা-ইলেকট্রন, প্রোটন ও নিউট্রন।

উত্তরঃ (খ).
আলফা কণা হলো দ্বিধনাত্মক চার্জযুক্ত হিলিয়াম নিউক্লিয়াস এর প্রবাহ। এ কণার দুটি বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ :
১. আলফা কণা ধনাত্মক চার্জযুক্ত।
২. বিভিন্ন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হতে নির্গত আলফা কণার বেগ 1×109 cm s-1 হতে 2.5 ×109 cm s-1।

উত্তরঃ (গ).
উদ্দীপকের প্রদত্ত পরমাণু মডেলটির নাম রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল। বিজ্ঞানী রাদারর্ফোড প্রস্তাবিত পরমাণু মডেলকে নিম্নরূপে বর্ণনা করা যায় :
(ক) পদার্থের সকল পরমাণুই অতিশয় ক্ষুদ্র এবং গোলাকৃতি বিশিষ্ট্য। প্রতিটি পরমাণুই দুটি অংশ আছে :
১. কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস ও
২. কেন্দ্র বহির্ভূত বা নিউক্লিয়াস বহির্ভূত অব্জল।
(খ) পরমাণুর মোট বা সামগ্রিক আয়তনের তুলনায় ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র বা অতিশয় নগণ্য পরিসরে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস অবস্থিত। এ নিউক্লিয়াসে পরমাণুর প্রায় সমস্ত ভর এবং নিউট্রন ও ধনাত্মক চার্জযুক্ত প্রোটন পুঞ্জীভূত অবস্থায় থাকে।
(গ) সৌরজগতে সূর্যের চারদিকে সদা ঘূর্ণায়মান গ্রহসমূহের ন্যায় পরমাণুতে এর নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে ফাঁকা স্থানে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রন বিভিন্ন কক্ষপথে দ্রুতগতিতে ঘূর্ণায়মান অবস্থায় থাকে।
(ঘ) পরমাণুসমুহের নিউক্লিয়াসে বিদ্যমান ধনাত্মক চার্জের (প্রোটনের) সংখ্যা এবং বিভিন্ন কক্ষপথে সদা ঘূর্ণায়মান ঋণাত্মক ইলেকট্রনের সংখ্যা সমান হওয়ায় সামগ্রিকভাবে সকল পরমাণুই বিদ্যুৎ নিরপেক্ষ হয়।
(ঙ) পরমাণুর প্রায় সবটুকু ভর এর কেন্দ্রে বা নিউক্লিয়াসে পুঞ্জীভূত থাকায় এবং ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনসমুহের ভর তুলনামূলকভাবে অত্যন্ত নগণ্য হওয়ায় মোটামুটিভাবে নিউক্লিয়াসের ভরই পরমাণুর পারমাণবিক ভর।
(চ) ঘূর্ণায়মান ইলেকট্রনের ওপর সমমানের দু প্রকার বল কার্যকর থাকে- কেন্দ্রমুখী স্থির বিদ্যুৎ আকর্ষণ বল এবং কেন্দ্রবিমুখী বল।

উত্তরঃ (ঘ).
উদ্দীপকে প্রদত্ত রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলটি পরমাণুর গঠন ব্যাখ্যায় ফলপ্রসূ; সর্বজনস্বীকৃত প্রমাণিত হলেও এর নিজস্ব কয়েকটি ত্রুটি বা সীমাবদ্ধতার কারণে এটি ব্যর্থ হয়েছে। নিচের উক্তিটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করা হলো :
১. রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের ভিত্তি নিউটনের মাধ্যাকর্ষণ ও গতিসূত্র কেবল তড়িৎ আধান নিরপেক্ষ বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তড়িৎ আধান যুক্ত বস্তুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কারণ ইলেকট্রন ঋণাত্মক ও নিউক্লিয়াস ধনাত্মক আধানধর্মী। আবার গ্রহমন্ডলীতে পরস্পরের মধ্যে আকর্ষণ বল রয়েছে অথচ ইলেকট্রন একে অপরকে বিকর্ষণ করে।
২. সূর্য ও গ্রহগুলোর মধ্যে আকর্ষণ বল হলো মহাকর্ষ বল, কিন্তু নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের মধ্যকার কেন্দ্রমুখী বল হলো স্থির তড়িতৎ আকর্ষণ বল। এ উভয় বলের প্রকৃতি ভিন্ন বলে এদের মধ্যে তুলনা চলে না।
৩. ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় তত্ত্ব অনুসারে ঘূর্ণায়মান তড়িৎ আধানযুক্ত ইলেকট্রনের পক্ষে অবিচ্ছিন্নভাবে শক্তি বিকিরণ করা স্বাভাবিক। কাজেই ইলেকট্রনের কক্ষপথের ব্যাসার্ধ ক্রমশ সর্পিল আকারে হ্রাস পেতে থাকবে এবং পরিশেষে তা নিউক্লিয়াসে পতিত হবে, ফলে রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেল অর্থহীন হয়ে পড়ে।
৪. প্রত্যেক পরমাণুর নিজস্ব বর্ণালি আছে। এরূপ বর্ণালিতে এশাধিক সূক্ষ্ম রেখা থাকে। পরমাণুর ইলেকট্রনের শক্তি বিকিরণ অবিচ্ছিন্নভাবে ঘটলে পরমাণুর বর্ণালির রেখাসমূহ অবিচিছন্ন হবে এবং প্রশস্ত ব্যান্ডের ন্যায় দৃষ্ট হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় এ রেখাগুলো বিচ্ছিন্ন ও বেশ উজ্জ্বল।
৫. ইলেকট্রনগুলোর কক্ষপথের আয়তন ও আকৃতি সম্পর্কে এ মডেলে কিছু বলা হয় নি।
৬. বহু ইলেকট্রন বিশিষ্ট পরমাণুর ইলেকট্রন কীরূপে নিউক্লিয়াসকে প্রদক্ষিণ করে, এ মডেলে তাও উল্লেখ নেই।

চিত্র : রাদারফোর্ড পরমাণু মডেলের সীমাবদ্ধতা
অতএব, রাদারফোর্ডের কল্পিত পরমাণু মডেলের সাথে পরীক্ষালব্ধ ফলের মিল নেই। ফলে, রারফোর্ডের পরমাণু মডেল গ্রহণযোগ্য নয়। অতএব উক্তিটি যৌক্তিক।

২.নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ কর :

ক. বন্ধন শক্তি কী?
খ. বোর পরমাণু মডেলের দুটি স্বীকার্য লেখ।
গ. উদ্দীপকের ৩য় কক্ষপথ থেকে দ্বিতীয় কক্ষপথে ইলেকট্রন গমন করলে বিকিরিত শক্তির কম্পাঙ্ক নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে প্রথম বোর কক্ষের ব্যাসার্ধ ও শক্তি নির্ণয় করা সম্ভব কিনা? গাণিতিক যুক্তি দাও।

উত্তরঃ (ক).
একটি নিউক্লিয়াসকে ভেঙে পৃথক পৃথক প্রোটন, নিউট্রনে পরিণত করত যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন তাকে নিউক্লিয়াসের বন্ধন শক্তি বলে।

উত্তরঃ (খ).
বোর পরমাণু মডেলের দুটি স্বীকার্য নিম্নরূপ-
কৌণিক ভরবেগ সংক্রান্ত স্বীকার্য : পরমাণুতে ইলেকট্রনগুলো নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে কতকগুলো নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরতে পারে যেখানে ইলেকট্রনের কৌণিক ভরবেগ L হলো কোনো পূর্ণসংখ্যা n এবং এর গুণফল। অর্থাৎ L=।
শক্তিস্তর সংক্রান্ত স্বীকার্য : পরমাণুর ইলেকট্রনসমূহ নির্দিষ্ট শক্তির কতকগুলো বৃত্তাকার স্থায়ী কক্ষপথে নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে আবর্তন করে। এসব কক্ষপথে আবর্তনের সময় ইলেকট্রন কোনো শক্তি শোষণ বা বিকিরণ করে না।

উত্তরঃ (গ).
আমরা জানি, বিকিরিত ফোটনের শক্তির কম্পাঙ্ক,
υ
এখানে, ইলেকট্রনের ভর, m =9.1×10-31kg
ইলেকট্রনের চার্জ, e =1.6 ×10-19C
h = 6.63 ×10-34J-s
=8.854 ×10-12N-1m-2C2
n = 2
এবং n = 3
২য় বোর কক্ষের শক্তি,
E2 = -
=
=
আবার, ৩য় বোর কক্ষের শক্তি,
=
=
সমীকরণ (১) নং হতে পাই,
υ =
=
=0.452×1015Hz =4.52×1014Hz
বিকিরিত শক্তির কম্পাঙ্ক 4.52×1014Hz।

উত্তরঃ (ঘ).
উদ্দীপকের আলোকে প্রথম বোর কক্ষপথের ব্যাসার্ধে ও শক্তি নির্ণয় করা সম্ভব যার নিমেণ গাণিতিক যক্তি নিচে উপস্থাপন করা হলো-
এখানে, n =1
কক্ষপথের ব্যাসার্ধ,?
কক্ষপথের শক্তি,?
আমরা জানি,
=
=
প্রথম বোর কক্ষপথের ব্যাসার্ধ 5.32×10-11 m।
আবার,
=
=
প্রথম বোর কক্ষপথের শক্তি।

৩.নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
দুটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ X ও Y এর পরমাণু সংখ্যা বনাম সময় গ্রাফ নিম্নরূপ যেখানে X মৌলটির ক্ষয় ধ্রবক।

ক. ভর ত্রুটি কাকে বলে?
খ. নিউক্লিয় ফিশন বিক্রিয়ায় ক্যাডমিয়াম দন্ড ব্যবহার করা হয় কেন?
গ. X মৌলটির অর্ধায়ু কত?
ঘ. উদ্দীপকটি অনুসারে X মৌলটির গড় আয়ু ও Y মৌলটির অর্ধায়ু এক হবে কি-না গাণিতিকভাবে যাচাই কর।

উত্তরঃ (ক).
নিউক্লিয় ফিশানের সময় ভারী নিউক্লিয়াসটি ভেঙ্গে যে দুই, অংশ বিভক্ত হয় তাদের ভরের সমষ্টি ভারী নিউক্লিয়াসের ভরের চেয়ে কিছু কম হয়। এ ভর ঘাটতিকেই ভরত্রুটি বলা হয়।

উত্তরঃ (খ).
নিউক্লিয় চুল্লিতে ক্যাডমিয়াম দন্ড চুল্লিতে সংঘটিত শৃঙ্গল বিক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করে। নিউক্লিয় শক্তিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য ক্যাডমিয়ামের দন্ডগুলো ফিশান পদার্থের মাঝে প্রয়োজন মতো নামানো উঠানো হয়। ফিশান পদার্থ অর্থাৎ ইউরেনিয়াম পরমাণুকে আঘাত করার পূর্বে ক্যাডমিয়াম দন্ড নিউট্রন শোষণ করে। উৎপাদিত ৩টি নিউট্রনের সংখ্যা কমানো যায় তবে নিউক্লিয় শৃঙ্গল বিক্রিয়া মন্দীভূত হয় এবং নির্গত শক্তির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রিত হয়।

উত্তরঃ (গ).
আমরা জানি, অর্ধায়ু
বা, =
অর্ধায়ু= (বছর
এখানে,
ক্ষয় ধ্রুবক,
অর্ধায়ু,= কত?

উত্তরঃ (ঘ).
এখানে, মৌলের ক্ষয় ধ্রবক,
গড় আয়ু, কত?
আমরা জানি,
বা,
আবার, মোলের ক্ষেত্রে,
সময়,
অক্ষত পরমাণুর সংখ্যা
বা,
আমরা জানি,
বা,
=
অর্ধায়ু,
মৌলের গড় আয়ু মৌলের অর্ধায়ুর সমান হবে না।

৪.নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
নিচের উদ্দীপকটি লক্ষ করঃ

পাশের লেখচিত্রে একটি তেজস্ক্রিয় মৌলু এর সময়ের সাথে অক্ষত পরমাণুর সংখ্যা দেখানো হচ্ছে।
ক. ভরত্রুটি কী?
খ. একটি তেজস্ক্রিয় মৌলের নিঃশেষকাল অসীম ব্যাখ্যা কর।
গ. `X’ মৌলটির ক্ষয় ধ্রুবকের মান নির্ণয় কর।
ঘ. `X’ মৌলটির ক্ষয়প্রাপ্ত হতে যে সময় লাগে তা মৌলটির অর্ধায়ুর দ্বিগুন গাণিতিক বিশ্লেষণ সহযোগে প্রমাণ কর।
উত্তরঃ (ক).
নিউক্লিয়াসের ভর ও তার উপাদানিক কণাগুলোর যুক্ত অবস্থায় মিলিত ভরের পার্থক্যকে ভরত্রুটি বলে।

উত্তরঃ (খ).
তেজস্ক্রিয় পদার্থের পরমাণু মধ্যস্থিত নিউক্লিয়াস স্থায়ী নয়। সবসময়ই এদের ভাঙন চলতে থাকে, যতক্ষণ না একটি অতেজস্ক্রিয় মৌলের পরমাণুতে পরিণত হয়। ভাঙনের সময় মুল বা জনক পরমাণু আলফা অথবা বিটা কথা বিকিরণ করে ভিন্ন পদার্থের পরমাণুতে রুপান্তরিত হয়। এ ধরনের তেজস্ক্রিয় বিকিরণকে তেজস্ক্রিয় ক্ষয় বলা হয়। পরমাণুর এ ভাঙন একটি সম্পূর্ণ অনিশ্চিত ঘটনা। কোন পরমাণুটি কখণ ভেঙে পড়বে তার কিছুই নির্ধারিত নেই। একটি তেজস্ক্রিয় মৌলের ভাঙন চরতেই থাকবে। কোনো বাহ্যিক এ ভাঙনকে প্রভাবিত করতে পারে না। তাই একটি তেজস্ক্রিয় মৌলের নিঃ শেষকাল অসীম।

HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৯ pdf download

উত্তরঃ (গ).
উপরে লেখচিত্র হতে পাই,
প্রাথমিক পরমাণুর সংখ্যা, N0 = 84.09 ×106
অবশিষ্ট পরমাণুর সংখ্যা, N = 50.0 ×106
এক্ষেত্রে সময়, t = (4-1) =3 d
ক্ষয় ধ্রুবক,
আমরা জানি,
বা,
বা,
`X’ মৌলটির ক্ষয় ধ্রবকের মান 0.173 d-1।

উত্তরঃ (ঘ).
এখানে, `X’ মৌলটি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, অবশিষ্ট থাকে
অতএব, `X’ মৌলটির প্রাথমিক পরমাণুর সংখ্যা N0 এবং অবশিষ্ট পরমাণুর সংখ্যা N হলে,
N = N0 এর
বা, N = N0 বা,
এবং ‘গ’ হতে পাই, `X’ মৌলটির ক্ষয় ধ্রবক,
ক্ষয়প্রাপ্ত হতে প্রয়োজনীয় সময়, t =?
আমরা জানি,
বা,
বা,
বা,
বা,
(১)
`X’ মৌলটির ক্ষয়প্রাপ্ত হতে প্রয়োজনীয় সময় লাগবে 8d।
আবার, `X’ মৌলটির অর্ধায়ু,
(২)
(১) (২) হতে পাই,
গাণিতিক বিশ্লেষণ হতে দেখা যায়,`X’ মৌলটির ক্ষয়প্রাপ্ত হতে যে সময় লাগে তা মৌলটির অর্ধায়ুর দ্বিগুণ।

Share:

0 Comments:

Post a Comment