HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৮ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র
৮ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 2nd Paper pdf download
Chapter-8
Srijonshil
Question and Answer

ক. জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন-১. চিরায়ত ও নিউটনীয় বলবিদ্যায় মৌলিক রাশি কী কী?
উত্তর: চিরায়ত ও নিউটনীয় বলবিদ্যায় মৌলিক রাশি তিনটি যথা-
স্থান, কাল ও ভর।

প্রশ্ন-২. শোয়ার্জশিলড ব্যাসার্ধ কাকে বলে?
উত্তর: একটি নির্দিষ্ট ভরের গোলাকৃতির বস্তু যে ব্যাসার্ধ প্রাপ্ত হলে কৃষ্ণবিবর হিসেবে কাজ করে তাকে শোয়ার্জশিলড ব্যাসার্ধ বলে।

প্রশ্ন-৩. ভরের আপেক্ষিকতা কাকে বলে?
উত্তর: বস্তুর নিশ্চল ভরের তুলনায় চলমান বা গতিশীল ভর বেশি হওয়ার ঘটনাকে ভরের আপেক্ষিকতা বলে।

প্রশ্ন-৪. পর্যবেক্ষকতার সাপেক্ষে দ্রুতিতে গতিশীল বস্তুর ভর এর নিশ্চল ভরের কত গুণ হবে?
উত্তর: পর্যবেক্ষকতার সাপেক্ষে দ্রুতিতে গতিশীল বস্তুর ভর এর নিশ্চল ভরের গুণ হবে।

প্রশ্ন-৫. দৈর্ঘ্য সংকোচনের সমীকরণটি লেখ।
উত্তর: দৈর্ঘ্য সঙকোচনের সমীকরণটি হলো :

প্রশ্ন-৬. গ্যালিলীয় রুপান্তর কী?
উত্তর: চিরায়ত পদার্থকিজ্ঞানের যেসব সমীকরণ পরস্পরের সাপেক্ষে ধ্রুববেগে গতিশীল দুটি প্রসঙ্গ কাঠামোর সময় ও স্থানাঙ্কে মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাদেও গ্যালিলীয় রুপান্তর রলা হয়।

প্রশ্ন-৭. কাল দীর্ঘায়নের সমীকরনটি লেখ।
উত্তর: কাল দীর্ঘায়নের সমীকরণটি হলো:

প্রশ্ন-৮. ক্ষরণ নল কাকে বলে?
উত্তর: নিম্নচাপে বায়ুর মধ্য দিয়ে তড়িৎ ক্ষরণের পরীক্ষা চালানোর জন্য প্রায় ব্যাসের লম্ব যে কাচনল ব্যবহার করা হয় তাকে ক্ষরণ নল বলে।

প্রশ্ন-৯. ইলেকট্রন ভোল্ট কাকে বলে?
উত্তর: একটি ইলেকট্রনকে এক ভোল্ট বিভব পার্থক্য অতিক্রম করতে যে কাজ করতে হয় তাকে এক ইলেকট্রন ভোল্ট বলে।

প্রশ্ন-১০. প্লাজমা অবস্থা কী?
উত্তর: সমান সংখ্যক ইলেকট্রন ও ধনাত্মক আয়নযুক্ত উচ্চ আয়নিত গ্যাসকে প্লাজমা অবস্থা বলা হয়।

প্রশ্ন-১১. ডি ব্রগলী বস্তু তরঙ্গ কী?
উত্তর: প্রত্যেকটি চলমান পদার্থ কণার সাথে যে তরঙ্গ যুক্ত থাকে তাকে ডি-ব্রগলী বস্তু তরঙ্গ বলে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. লরেঞ্জ এর রুপান্তরের স্বীকার্য দুটি লেখ।
উত্তর: লরেঞ্জ এর রূপান্তর সূত্র বা সমীকরণ নিম্নলিখিত দুটি স্বীকার্যের উপর প্রতিষ্ঠিত।
স্বীকার্য ১: পদার্থ বিদ্যার সূত্রগুলো সকল অভ্যন্তরীণ কাঠামোয় অভিন্ন থাকে তবে কাঠামোগুলোকে পরস্পরের সাপেক্ষে সমবেগে গতিশীল থাকতে হবে।
স্বীকার্য ২: শূন্যস্থানে আলোর বেগ সর্বদা ধ্রূব থাকে এটি একটি অধ্যন্তরীণ কাঠামো হতে অন্যটিতে রুপান্তরিত হলেও মান অপরিবর্তিত থাকে এবং আলোর এ বেগ। এ মান দর্শকের স্থিতি বা গতিশীলতার উপর নির্ভর করে না।

প্রশ্ন-২. সবল নিউক্লিয় বলতে কী বোঝ?
উত্তর: একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াস প্রোটন ও নিউট্রন দ্বারা গঠিত। এদেরকে সমষ্টিগতভাবে রলা হয় নিউক্লিয়ন। নিউক্লিয়নের মধ্যে অতি নগণ্যমানের মাধ্যাকর্ষণ বল কাজ করে যা কুলম্বের বিকর্ষণ বলকে প্রতিমিত করতে পাওে না। নিউক্লিয়াসে অন্য এক ধরনের সবল বল কাজ করে, যা নিউক্লিয়াসকে ধরে রাখে। এ বলকে রলা হয় সবল নিউক্লিয় বল। এ বল আকর্ষণধর্মী এবং নিউক্লিয়াসের বাইরে ক্রিয়াশীল নয়, অর্থাৎ স্বল্প পরিসরে এ বল ক্রিয়াশীল। এ বল আকর্ষণধর্মী ও চার্জ নিরপেক্ষ।

প্রশ্ন-৩. কোনো বস্তুর বেগ আলোর বেগের সমান হতে পারে না- ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ভরের আপেক্ষিকতা থেকে আমরা জানি,
যদি কোনো বস্তুর বেগ আলোর বেগের সমান হয় অর্থাৎ, হয় তবে সমীকরণ অনুসারে বস্তর ভর অসীম হয়ে যায়। যা সম্ভব নয়। সুতরাং, কোনো বস্তুর বেগ আলোর বেগের সমান হতে পারে না।

প্রশ্ন-৪. প্লাঙ্কের অভিমত অনুসারে কোনো বস্তুর শক্তি বিকিরণ কিভাবে ঘটে।
উত্তর: প্লাঙ্কের অভিমত অনুসারে কোনো বস্তু হতে শক্তি বিকিরণ বা বিভিন্ন বস্তুর মধ্যে শক্তির বিনিময় নিরবিচ্ছিন্নভাবে ঘটে না। এ প্রক্রিয়ায় কোনো ধারাবাহিকতা নেই। শক্তির নিঃসরণ বিচ্ছিন্নভাবে খন্ড খন্ড আকাওে বা এক একটি গুচ্ছ বা প্যাকেটে নির্গত বা শোষিত হয়। প্রত্যেকটি শক্তি কণা বা শক্তিগুচ্ছ এক একটি অবিভাজ্য একক। শক্তির এ অবিভাজ্য এককের নাম কোয়ান্টম বা ফোটন। এ কোয়ান্টাম বা ফোটনকে শক্তির পরমাণু।

প্রশ্ন-৫. ঘূর্ণনশীল কাঠামো জড় কাঠামো নয়-ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যে প্রসঙ্গ কাঠামোতে নিউটনের গতি বিষয়ক প্রথম সূত্র তথা জড়তার সূত্র পালিত হয় তাকে জড় প্রসঙ্গ কাঠামো বলে। এধরনের কাঠামোতে বাহ্যিক বলের অনুপস্থিতিতে, স্থির বসত্মু স্থিও থাকে এবং গতিশীল বস্তু সমবেগে গতিশীল থাকে।
স্থির কাঠামো ও সমবেগে গতিশীল কাঠামোতে জড়তার সূত্র পালিত হয়। এজন্য এরা জড় কাঠামো। ঘূর্ণনশীল ত্বরিত বা মন্দিত কাঠামোতে জড়তারসূত্র পালিত হয় না। এজন্য এরা জড় কাঠামো নয়।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ১
ইথার তত্ত্ব অনুযায়ী, মহাজগতের সর্বত্র ফাঁকা জায়গায় ‘ইথার’ নামক পদার্থ বা মাধ্যম বর্তমান। ১৮৮৭ খ্রিষ্টাবব্দে আরবার্ট মাইকেলসন ও এডওয়ার্ড মোরলে ইথারের অস্তিত্ব নির্ণয়ের জন্য একটি বিখ্যাত পরীক্ষা সম্পাদন করেন। এটি মাইকেলসন মোরলে পরীক্ষা নামে সুপরিচিত।
ক) ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গের সমীকরণ কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
খ) ইথার বলতে কী বুঝ?
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত ব্যাতিচার অপসারণ কত?
ঘ) উদ্দীপকে পরীক্ষাটির ফলাফল বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ (ক).
১৮৬১ সালে ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বক তরঙ্গের সমীকরণ আবিষ্কৃত হয়।

উত্তরঃ (খ).
পূর্বে ধারণা করা হতো, বিশ্বের সর্বত্র এমন কী সহাশূন্য এবং অু পরমাণুর অভ্যন্তরেও এমন একটি মাধ্যম আছে যার মধ্য দিয়ে গ্রহ, নক্ষত্র ছুটে চলে- যে মাধ্যমের নামকরণ করা হয়েছিল ইথার মাধ্যম। অর্থাৎ ইথার হচ্ছে এক কাল্পনিক মাধ্যম। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইথার বলতে কিছু নেই।

উত্তরঃ (গ).
উদ্দীপকের উল্লেখিত মাইকেরসন ও মোরলে-এর পরীক্ষা থেকে পাই,
..........................(১)
এখানে,
v = ইথার প্রবাহের বেগ
c = আলোর বেগ
D = প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য
n = ব্যাতিচার অপসারণ
λ = আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য
মাইকেলসন ও মোরলে এ দূরত্ব D কে বৃদ্ধি করে 11 মিটার ধরেছিলেন। পৃথিবীর কক্ষপথের বেগ v = 3×106 cm s-1। আলোর বেগ, c = 3×1010 cm s-1 এবং ব্যবহৃত আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য, λ = 6×10-5 cm হলে সমীকরণ (১) হতে লিখা যায়,
অতএব, প্রাপ্ত ব্যাতিচার অপসারণ 0.4।

উত্তরঃ (ঘ).
মাইকেলসন ও মোরলের পরীক্ষার ফলাফল নিচে বিশ্লেষণ কারা হলো-
পরীক্ষার ফলাফলঃ এ পরীক্ষায় ব্যতিচার নকশায় অপসারণ ব্যাতিচার রেখার বিসত্মৃতির 25 ভাগের এক ভাগ যা মাইকেলসনের সৃষ্ট যন্ত্রে মাপা সম্ভব হয়। এ অপসারণের পরিমাণ এতোই সামান্য যে তাকে নগণ্য ধরা যায়। অর্থাৎ মাইকেলসনের মতে ব্যাভিচার রেখাগুলোর কোনো অপসারণ ঘটে নি। এটি হতে তিনি এ সিদ্ধামেত্ম উপনীত হন যে, স্থিতিশীল ইথার প্রকল্পের ফলাফল ভুল বা পৃথিবী ও ইথারের কোনো আপেক্ষিক বেগ নেই।
এ পরীক্ষাটি পৃথিবীর গভীরে, উপরে, বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে, এমনকি লেজার রশ্মি ব্যবহার করেও একই ফলাফল পাওয়া যায়। ফলে ইথার প্রবাহ তত্ত্বটি ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এ সমস্ত ফলাফল বিবেচনা করে আইনস্টাইন তাঁর দ্বিতীয় স্বীকার্যে বলেছিলেন শূন্য স্থানে আলোর বেগ বিশ্বজনীনভাবে ধ্রুবক।
বিজ্ঞানী মাইকেলসন এবং মোরলে ইথারের অস্তিত্ব প্রামণের জন্য পরীক্ষা সম্পাদন করেন। তাদের পরীক্ষা হতে নিম্নলিখিত সিদ্ধামেত্ম উপনীত হওয়া গিয়েছে-
1. ইথার বলতে এ মহাবিশ্বে কিছু নেই।
2. গ্যালিলিও রূপান্তর সঠিক নয়।
3. আলোকের বেগ একটি ধ্রুব রাশি। এটি উৎস অথবা পর্যবেক্ষক বা মাধ্যমের গতির উপর নির্ভর করে না।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ২
সময় নির্ণয়কারী একটি রোবটসহ 720 kg ভরের একটি রকেটকে উৎক্ষেপণ করা হলো। পৃথিবীর বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর 3.72×105m s-1 বেগে গতিশীল অবস্থায় ভূ- পৃষ্ঠের বিজ্ঞানী অস্কার রকেটটিকে 30 দিন পর্যবেক্ষণ করলেন।
ক) আলোক তড়িৎ ক্রিয়া কী?
খ) পটাশিয়ামের সূচন কম্পাঙ্ক 6.82×1014 Hz বলতে কী বুঝায়?
গ) বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর রকেটের ভর কত বাড়বে।
ঘ) উদ্দীপকের বিজ্ঞানী অস্কারের পর্যবেক্ষণকাল এবং রোবটের পর্যবেক্ষণকাল কি অভিন্ন-গাণিতিক বিশ্লেষণের সাহায্যে ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ (ক).
উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট আলোকরশ্মি কোনো ধাতবপ্রষ্ঠে আপতিত হলে তা থেকে ইলেকট্রন নিঃসৃত হয়, এ ঘটনাকে আলোক তড়িৎ ক্রিয়া বলে।

উত্তরঃ (খ).
প্রত্যেক ধাতুর ক্ষেত্রে একটি ন্যূনতম কম্পাঙ্ক আছে, যার কম কম্পাঙ্কবিশিষ্ট কোনো আলো ঐ ধাতু থেকে ইলেকট্রন নির্গত করতে পারে না। ঐ ন্যূনতম কম্পাঙ্ককে সূচন কম্পাঙ্ক বলে। পাটাসিয়ামের সূচন কম্পাঙ্ক 6.82×1014 Hz বলতে বোঝায়, পটাসিয়ামের ক্ষেত্রে আলোর ন্যূনতম কম্পাঙ্ক হচ্ছে 6.82×1014Hz। 6.82×1014Hz এর কম্পাঙ্কবিশিষ্ট কোনো আলো পটাশিয়াম কোনো ইলেকট্রন নির্গত করতে পারে না।

উত্তরঃ (গ).
উদ্দীপকে, রকেটের নিশ্চল ভর, m0 = 720 kg
আলোর বেগ, c = 3× 108m s-1
বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর রকেটের বেগ, v =3.72×105m s-1
বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর রকেটের ভর, m =?
আমরা জানি,
বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর রকেটের ভর, m = 720.001 kg
বায়ুমন্ডল অতিক্রমের পর রকেটের ভর বাড়বে = m – m0 = 720.00055 kg – 720 kg
= 0.00055 kg = 0.55×10-3 kg

উত্তরঃ (ঘ).
উদ্দীপকে, বিজ্ঞানী অস্কার ভূপৃষ্ঠে অবস্থানরত। তাই অস্কারের পর্যবেক্ষণকাল, t = 30 d
আলোর বেগ, c = 3×108m s-1
রকেটের বেগ, v = 3.72×105m s-1
.. রকেটের পর্যবেক্ষণকাল, t0 =?
আমরা জানি,
বা, t0 = t
t0 = 29.99d
রোবটের পর্যবেক্ষণকাল 29.99 d
উদ্দীপকের বিজ্ঞানী অস্কারের পর্যবেক্ষণকাল 30 d এবং রোবটের পর্যবেক্ষণকাল 29.99 d
কাজেই উপরের গাণিতিক বিশ্লেষণ হতে বলা যায় যে, উদ্দীপকের বিজ্ঞানী আস্কারের পর্যবেক্ষণকাল এবং রোবটের পর্যবেক্ষণকাল অভিন্ন নয়।

সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ ৩
আলোর ব্যতিচার পরীক্ষণে শিক্ষার্থীরা প্রথম দুটি সুসংগত উৎস ব্যবহার করলো যেগুলো থেকে সমদশাবিশিষ্ট 5500 Å তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোক তরঙ্গ নির্গত হয়। তারা পর্দায় মিলিত তরঙ্গদ্বয়ের পথপার্থক্য 11000 Å লক্ষ করলো।
ক) ফার্মাট এর নীতি লিখ।
খ) বিপদ সংকেতে সবসময় লাল আলো ব্যবহার করা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ) উৎস থেকে নির্গত প্রতিটি ফোটনের শক্তি হিসাব কর।
ঘ) শিক্ষার্থীরা উক্ত পরীক্ষণে কোন ধরনের ব্যতিচার লক্ষ্য করলো গাণিতিক বিশ্লেষণসহ যুক্তি দাও।

উত্তরঃ (ক).
ফার্মাটের নীতিটি হলো- একটি নির্দিষ্ট বিন্দু হতে অপর একটি নির্দিষ্ট বিন্দুতে পরিভ্রমণকালে আলোকরশ্মি এমন একটি পথ অনুসরণ করে যা অতিক্রমে প্রয়োজনীয় সময় নিকটবর্তী অন্যান্য পথের তুলনায় হয় সর্বনিম্ন বা অবম নতুবা সর্বোচ্চ বা চরম অথবা অপরিবর্তিত তথা স্থির থাকে।

উত্তরঃ (খ).
লাল আলোর কম বিচ্যুতির কারণে বিপদ সংকেতে লাল আলো ব্যবহার করা হয়। মৌলিক দৃশ্যমান আলোসমূহের মধ্যে লাল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সবচেয়ে বেশি এবং কাচের মধ্যে লাল রঙের বেগ সবচেয়ে বেশি। তাই লাল আলো অন্যান্য বর্ণের আলোর তুলনায় সবচেয়ে কম বাঁকে, অর্থাৎ বায়ুর মধ্যদিয়ে লাল রঙের আলোর বিচ্যুতি সবচেয়ে কম। তাই বিপদ সংকেতে লাল আলো ব্যবহার করা হয়।

উত্তরঃ (গ).
আমরা জানি, ফোটনের শক্তি,
J
J
ফোটনের শক্তি, 2.2 eV।
এখানে, তরঙ্গদৈর্ঘ্য, A
ফোটনের শক্তি, = কত?
আলোর দ্রুতি,
প্লাঙ্কের ধ্রুবক,

উত্তরঃ (ঘ).
আমরা জানি,
বা, দশাপার্থক্য=
দশাপার্থক্য
গঠনমূলক ব্যতিচারের ক্ষেত্রে:
ইত্যাদি হতে হবে।
এখানে,
শিক্ষার্থীরা গঠনমূলক ব্যতিচার লক্ষ্য করলো।
এখানে,
পথপার্থক্য= A
=11000×10-10 m
তরঙ্গদৈর্ঘ্য, A
=5600×10-10 m

HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৮ pdf download

৪. নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
কেজি ভরের একজন মহাশূন্যচারী বছর বয়সে m s-1 বেগে গতিশীল মহাশূন্যযানে চড়ে ছায়াপথ অনুসন্ধানে গেলেন এবং বছর পর ফিরে এলেন।
ক. ঘটনা দিগন্ত কী?
খ. এক্স-রশ্মির প্রকারভেদ ও ব্যবহার লেখ।
গ. উক্ত বেগে চলমান মহাশূন্যচারীর প্রতীয়মান ভর কত হবে?
ঘ. মহাশূন্যযানের গতিশীল অবস্থায় পৃথিবীতে দাঁড়ানো একজন পর্যবেক্ষক একই সময় গুনা করবে কী? যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ (ক).
কৃষ্ণবিবর অঞ্চলের সীমাকে বলা হয় ঘটনা দিগন্ত।

উত্তরঃ (খ).
এক্স-রশ্মি দু’প্রকারের। যথা-(i) কঠিন এক্স-রশ্মি ও (ii) কোমল এক্স-রশ্মি।
এক্স-রশ্মির ব্যবহার:
(i) এক্স-রশ্মি চামড়া, মাংস ইত্যাদি ভেদ করে যেতে পারে। কিন্তু হাড় ভেদ করে যেতে পারে না। ফলে ভাঙা হাড়, শরীরের মধ্যে কোথাও ক্ষত, টিউমার বা অবাঞ্ছিত বস্তুর উপস্থিত বোঝা যায়।
(ii) কেলাস গঠন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরীক্ষা ও গবেষণায় এক্স-রশ্মি ব্যবহার হয়।

উত্তরঃ (গ).
আমরা জানি, উদ্দীপকে, মহাশূন্যযানের বেগ v = 2.4 ×108 m s-1
=
আলোর বেগ,
বা, নিশ্চয় ভর, m0 = 50 kg
প্রতীয়মান ভর, m =?
2.4 × 108 m s-1 বেগে চলাকালীন 50 kg ভরের একজন ব্যক্তির প্রতীয়মান ভর হবে 83.33 kg।

উত্তরঃ (ঘ).
মহাশূন্যযানের গতিশীল অবস্থায় পৃথিবীতে দাঁড়ানো একজন পর্যবেক্ষক একই সময় গুনা করবে না। কাল দীর্ঘায়নের প্রভাবে ভূপৃষ্ঠে দাঁড়ানো পর্যবেক্ষকের নিকট মহাশূন্যযানে ঘটিত কোনো ঘঁনার সময় দীর্ঘায়িত বলে মনে হবে। সময় ব্যবধান যা পর্যবেক্ষকের প্রসঙ্গ কাঠামোতে একই স্থানে ঘাঁ দুটি ঘটনার সময় ব্যবধান তাকে দুটি ঘটনা ঘটার মধ্যবর্তী প্রকৃতিকাল বা প্রকৃত সময় বলা হয়। যে ব্যক্তি ভূপৃষ্ঠ থেকে সময় পরিমাপ করছে তার কাছে সময় ব্যবধানের শুরু ও শেষ দুটি পৃথক স্থানে ঘটছে ফলে সময় ব্যবধান প্রকৃত সময়ের চেয়ে দীর্ঘায়িত বলে মনে হবে, এই প্রভাবকে কাল দীর্ঘায়ন বলা হয়।
উদ্দীপক হতে পাই,
পৃথিবীতে দাঁড়ানো পর্যবেক্ষকের নিকট সময় ব্যবধান, t=50y
আলোর বেগ, c=3×108 m s-1
মহাশূন্যযানের বেগ, v = 2.4×108 m s-1
মহাশূন্যযানে মহাশূন্যচারীর নির্ণীত সময় ব্যবধান, t0 =?
আমরা জানি, t =
বা, t0 = 50y ×
t0 =30y
মহাশূন্যযানে মহাশূন্যচারীর নির্ণীত সময় ব্যবধান 30y।
কিন্তু, পৃথিবীতে দাঁড়ানো একজন পর্যবেক্ষকের নিকট সময় ব্যবধান হলো 50y।
কাজেই, উপরের আলোচনা হতে বলা যায় যে, কাল দীর্ঘায়নের জন্য মহাশূন্যযানে গতিশীল অবস্থায় দাঁড়ানো একজন পর্যবেক্ষক একই সময় গুনা করবে না।

Share:

0 Comments:

Post a Comment