HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৫ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র
৫ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 2nd Paper pdf download
Chapter-5
Srijonshil
Question and Answer

ক. জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন-১. মূখ্য ও গৌণ কুন্ডলী কী?
উত্তর: তড়িৎবাহী কুন্ডলীকে মূখ্য কুন্ডলী এবং যে তারের কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িৎ প্রবাহ উৎপন্ন হয় তাকে গৌণ কুন্ডলী বলে।

প্রশ্ন-২. ফ্যারাডের দ্বিতীয় সূত্রটি লেখ।
উত্তর: তার কুন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িৎচালক বলের মান সময়ের কুন্ডলীর মধ্য দিয়ে অতিক্রক্রান্ত চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তনের হারের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-৩. স্বকীয় ও পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্কের একক কী?
উত্তর: স্বকীয় ও পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্কের এস আই একক হলো হেনরি। তাছাড়াও মিলি হেনরি, মাইক্রো হেনরি একক হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

প্রশ্ন-৪. প্রবাহের কম্পাঙ্ক কী?
উত্তর: পরিবর্তী তড়িৎচালক শক্তি বা প্রবাহ প্রতি সেকেন্ডে যত সংখ্যক পরিবর্তী চক্র সম্পন্ন করে, তাকে উক্ত তড়িৎচালক বল বা প্রবাহের কম্পাঙ্ক বলে।

প্রশ্ন-৫. বিস্তার কী?
উত্তর: যেকোনো অভিমুখে তড়িৎচালক শক্তি বা প্রবাহের সর্বোচ্চ মানকে বিস্তার বা শীর্ষমান বলে।

প্রশ্ন-৬. তড়িৎ চৌম্বক আবেশের আবিষ্কারক কে?
উত্তর: ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে বিখ্যাত বিজ্ঞানী মাইকেল ফ্যারাডে তড়িৎ চৌম্বক আবেশ আবিষ্কার করেন।

প্রশ্ন-৭. বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি কী?
উত্তর: তড়িৎবিজ্ঞানে আমরা যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করি, তাদেরকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বলে।

প্রশ্ন-৮. একমুখী প্রবাহ ডায়নামো কী?
উত্তর: যে ডায়নামোর সাহায্যে এশমুখী তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায় তাকে একমুখী প্রবাহ ডায়নামো বলে।

প্রশ্ন-৯. আপাত তড়িৎচালক শক্তি কী?
উত্তর: কোনো পূর্ণচক্রের বিভিন্ন সময়কার তড়িৎচালক শক্তির বর্গের গড়ের বর্গমূলকে আপাত তড়িৎচালক শক্তি বলে।

প্রশ্ন-১০. চৌম্বক ফ্লাক্সের এককের সংঙ্গা দাও।
উত্তর: এক পাকের একটি কুন্ডলীর সাথে সংশিস্নষ্ট যে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্স 1 সেকেন্ডে সুষমভাবে হ্রাস পেয়ে শূন্যতে নেমে আসলে ঐ কুন্ডলীতে 1 ভোল্ট তড়িৎচালক শক্তি আবিষ্ট হয় সে পরিমাণ চৌম্বক ফ্লাক্সকে এক ওয়েবার বলে, যা চৌম্বক ফ্লাক্সের একক।

প্রশ্ন-১১. শীর্ষ গুণক কী?
উত্তর: প্রবাহের শীর্ষমান এবং বর্গমূল গড় বর্গমানের অনুপাতকে শীর্ষ গুণক বলে।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. চৌম্বক ফ্লাক্সে-এর বিভিন্ন একক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: চৌম্বক ফ্লাক্সে-এর একক হচ্ছে টেসলা-মিটার এবং এর নাম দেওয়া হয়েছে ওয়েবার , সংক্ষেপে Wb।
অর্থাৎ, 1 Wb = 1tesla metre
বা, 1 tesla = 1 Wb metre
সংক্ষেপে IT = 1 Wbm

প্রশ্ন-২. ডায়ানামোর প্রকারভেদ লেখ।
উত্তর: ডায়ানামো দুই প্রকার। যথা-
১. দিক পরিবর্তী প্রবাহ ডায়ানামো ও
২. একমুখী প্রবাহ ডায়ানামো

প্রশ্ন-৩. মোটরের ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বৈদ্যুতিক পাখা, পাম্প, রোলিং মিল ইত্যাদি বিভিন্ন কাজে বৈদ্যুতিক মোটর ব্যবহার করা হয়। বাড়িতে ব্যবহৃত পাম্প বৈদ্যুতিক মোটর ছাড়া আর কিছুই নয়। এর সাথে ব্যবহৃত নিয়ামক বা রেগুলেটর বিদ্যুৎ প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ঘূর্ণন বেগ নিয়ন্ত্রিত হয়। প্রবাহ বাড়লে ঘূর্ণন বাড়ে এবং প্রবাহ কমলে ঘূর্ণন কমে।

প্রশ্ন-৪. শীর্ষ গুণক ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, একটি দিক পরিবর্তী প্রবাহের শীর্ষমান এবং এর গড় বর্গের বর্গমূল মানকে প্রবাহটির শীর্ষ গুণক বলে।
শীর্ষ গুণক =

প্রশ্ন-৫. তড়িৎচালক শক্তির আপাত মান বলেতে কী বুঝ?
উত্তর: হড়িচ্চালক শক্তির মান কুন্ডলীর প্রতি আবর্তনে এশবার ধনাত্মক ও আর এশবার ঋুাত্তক সর্বাধিক মান লাভ করে। ফলে একটি পূর্নচক্রে তাদের গড় মান শূণ্য হয় কিন্তু ঐ মান দুটির বর্গের গড় শূন্য হয় না। কোনো পূর্ণচক্রের বিভিন্ন সময়কার তড়িৎচালক শক্তির বর্গের গড়ের বর্গমূলকে শক্তির আপাত তড়িৎচালক শক্তিও বলে।
আপাত তড়িৎচালক শক্তি =
=0.707 তড়িৎচালক শক্তির শীর্ষ মান।

প্রশ্ন-৬. দিক পরিবর্তী প্রবাহের পরিবর্তন চক্র বলতে কী বুঝ?
উত্তর: দিক পরিবর্তী প্রবাহের মাত্র শূন্যমান থেকে বৃদ্ধি পেয়ে শীর্ষমান এরপর হা্রাস পেয়ে শূন্যমানে এসে বিপরীত অভিমুখে পুনরায় বৃদিধ পেয়ে ঐ শীর্ষমানে উঠে আবার হ্রাস পেয়ে শূণ্যমানে উপনীত হওয়াকে বলা হয় দিক পরিবর্তী প্রবাহের পরিবর্তন চক্র। প্রতিটি চক্রের জন্য অতিরিক্ত অতিক্রান্ত দূরত্ব হচ্ছে তরঙ্গদৈর্ঘ্য এবং পয়োজনীয় সময় হলো পর্যায়কাল।

প্রশ্ন-৭. অবরোহী ট্রান্সফর্মার বলতে কী বুঝ?
উত্তর: যে ট্রাসণফর্মার উচ্চ ভোল্টেজকে নিম্ন ভোল্টেজে রুপান্তরিত করে, তাকে বলা হয় অবরোহী বা স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার। যে ট্রান্সফর্মার উচ্চ বিভবের নিম্ন তড়িৎ প্রবাহকে নিম্ন বিভবের অধিক তড়িৎৎ প্রবাহে রুপান্তরিত করে, তাকে অবরোহী বা স্টেপ-ডাউন ট্রান্সফর্মার। যে ট্রান্সফর্মার উচ্চ বিভবের নিম্ন তড়িৎ প্রবাহকে নিম্ন বিভবের অধিক তড়িৎ প্রবাহে রুপান্তরিত করে, তাকে অবরোহী বা স্টেপ ডাউন টা্রন্সফর্মার বলে। এ ট্রান্সফর্মারে মুখ্য কুন্ডলীর ভোল্টেজ গৌণ কুন্ডলীর ভোল্টেজের তুলনায় বেশি হয়।
ট্রান্সফরমারের সমীকরণ হতে,
যখন তখন, অর্থাৎ প্রান্সফর্মারটি অবরোহী বা স্টেপ ডাউন ট্রান্সফর্মার।

প্রশ্ন-৮. নিম্ন ধাপী ট্রান্সফর্মার নিম্নরুপ ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়-
১. টেপরেকর্ডার, ভি.সি. আর, ভিসিপি, ইলেকট্রিক ঘড়ি, ওয়াকম্যান প্রভৃতি নিম্ন ভোল্টেজ ব্যবহারকারী যন্ত্রপাতিতে নিম্নধাপী বা অবরোহী ট্রান্সফর্মার ব্যবহৃত হয়।
২. অধিক বিভবের অল্প তড়িঃপ্রবাহকে অল্প বিভবের অধিক তড়িৎ প্রবাহে রুপান্তরিত করতে ব্যবহৃত হয়।
৩. বাসাবাড়িতে 220 V তড়িৎ প্রবাহ ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু সরবরাহকৃত তড়িৎ প্রবাহের বিভব বেশি থাকার ফলে বাসাবাড়িতে সংযোগ নেওয়ার পূর্বে নিম্নধাপী ট্রান্সফর্মার ব্যবহার করতে হয়।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
একটি দিক পরিবর্তী প্রবাহের সমীকরণ, I = 25 sin 600 t
ক) মোটর কাকে বলে?
খ) ফ্লেশিং এ ডানহস্ত নিয়ম বলতে কী বুঝ?
গ) উদ্দীপকের বর্ণিত তড়িৎ প্রবাহের সমীরকরণ হতে তড়িৎ প্রবাহের শীর্ষমান ও কম্পাঙ্ক নির্ণয় কর।
ঘ) অর্ধচক্রের ক্ষেত্রে উল্লিখিত প্রবাহের গড়মান ও শীর্ষমানের অনুপাত কীরূপ হবে তা গাীণতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখাও।

উত্তরঃ (ক).
যে যন্ত্রের সাহায্যে তড়িৎ শক্তিকে যান্ত্রিক শক্তিকে রূপান্তর করে তাকে মোটর বলা হয়।

উত্তরঃ (খ).
একটি চৌম্বকক্ষেত্রে কোনো পরিবাহী গতিশীলত হলে এতে তড়িৎ প্রবাহ আবিষ্ট হয়। ডানহাতের বৃদ্ধাঙ্গুলী, তর্জনী ও মাধ্যম পরষ্পরের সাথে সমকোণে প্রসারিত করে যদি তর্জনী চৌম্বকক্ষেত্রের অভিমুখ, বৃদ্ধাঙ্গুলী পরিবাহীর গতির অভিমুখ নির্দেশ করে, তাহলে মধ্যমা আবিষ্ট প্রবাহের অভিমুখ নির্দেশ করবে।

উত্তরঃ (গ).
প্রদত্ত সমীকরণ, I = 25 sin 600 t ............................ (১)
(১) নং সমীকরণকে I = I0 sin ɷt এর মান সাথে তুলনা করে পাই,
I0=25 A তড়িৎপ্রবাহের শীর্ষমান
এবং ɷ = 600 rad s-1
বা, 2πf 600 rad s-1
বা,
এখানে,
I0 তড়িৎ প্রবাহের শীর্ষমান
ɷ কৌণিক কম্পাঙ্ক
f কম্পাঙ্ক
t = সময়
অতএব, প্রবাহের শীর্ষমান 25 A এবং কম্পাঙ্ক 95.49 Hz।

উত্তরঃ (ঘ).
পর্যায়কাল T হলে, আমরা জানি, অর্ধচক্রের জন্য গড় তড়িৎপ্রবাহ হবে-
এখানে,
I0 তড়িৎপ্রবাহের শীর্ষমান
ɷ কৌণিক কম্পাঙ্ক ..
I = I0 sin ɷt

বা,
বা,
বা,
অতএব, অর্ধচক্রের ক্ষেত্রে উল্লিখিত প্রবাহের গড়মান ও শীর্ষমানের অনুপাত হবে।

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
উল্লেখ্য A তে প্রাপ্ত সেকেন্ড 500 A করে তড়িৎ প্রবাহ পরিবর্তন করা হলে B তে 10 V তড়িৎচালক বল আবিষ্ট হয়।
ক) ফ্যারাডের প্রথম সূত্রটি লেখ।
খ) স্বকীয় আবেশ গুনাঙ্ক বলতে কী বুঝ?
গ) A ও B এর পারস্পরিক আবেশ গুনাঙ্ক কত?
ঘ) উদ্দীপকের A ও B এর ক্ষেত্রে পারস্পরিক আবেশ গুনাঙ্ক কত?

উত্তরঃ (ক).
ফ্যারাডের প্রথম সূত্রটি হলো- যখনই কোনো বদ্ধ তার কুন্ডলীতে চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে তখন উক্ত কুন্ডলীতে একটি তড়িৎচালক বল আবিষ্ট হয়।

উত্তরঃ (খ).
কোনো কুন্ডলীতে একক তড়িৎ প্রবাহিত হলে কুন্ডলীতে সংযুক্ত মোট চৌম্বক ফ্লাক্সকে ঐ কুন্ডলীর স্বকীয় আবেশ গুনাঙ্ক বলে।
ব্যাখ্যাঃ ধরি কুন্ডলীতে I প্রবাহমাত্রার জন্য অতিক্রান্ত ফ্লাক্স ϕ।
তাহলে ϕ ∞ I
Φ = LI
এখানে, L সমানুপাতিক ধ্রুবক। এক স্বকীয় আবেশ গুনাঙ্ক বলে।
যদি I=l একক হয় তবে, ϕ = L
আবার,
অর্থাৎ কোনো বর্তনীতে প্রবাহিত তড়িৎ প্রবাহ একক হারে পরিবর্তিত হলে যে আবিষ্ট তড়িৎচালক বলের উদ্ভব হয়, তাকে স্বকীয় আবেশ গুনাঙ্ক বলে।
এককঃ স্বকীয় আবেশ গুনাঙ্কের একক হেনরি।

উত্তরঃ (গ).
ধরি, A ও B এর পারস্পরিক আবেশ গুনাঙ্ক M
আমরা জানি,
বা,
উদ্দীপক থেকে পাই,
প্রবাহ পরিবর্তনের হার,
তড়িৎচলক বল,

অতএব, পারস্পরিক আবেশ 0.02H।

উত্তরঃ (ঘ).
উদ্দীপক থেকে পাই A ও B হচ্ছে যথাক্রমে মুখ্য ও গৌণ কুন্ডলী। এদের মাধ্যমে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
বিশ্লেষণঃ কোনো মুখ্য কুন্ডলীতে তড়িৎপ্রবাহ প্রিতি সেকেন্ডে এক একক হিসেবে পরিবর্তিত হরৈ গৌণ কুন্ডলীতে যে আবিষ্ট তাড়িচ্চালক শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক বলে। অর্থাৎ উদ্দপিকের মুখ্য কুন্ডলী A তে একক তড়িৎ প্রবাহের জন্য গৌণ কুন্ডলী B তে সংযুক্ত ফ্লাক্সই হবে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক। পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ককে M দ্বারা সূচিত করা হয়।
ধরি, মুখ্য কুন্ডলী A তে I তড়িৎ প্রবাহের জন্য গৌণ কুন্ডলী B তে সংযুক্ত ফ্লাক্স ϕ হয় ϕ ∞ I
বা, ϕ = MI ...............(১)
এখানে, M হচ্ছে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক।
এখন ভাষায় এর সংজ্ঞা দেওয়া যাক।
যদি I = l (একক) হয়, তবে সমীকরণ (১) হতে পাই, ϕ = M অতএব, কোনো কুন্ডলীতে একক তড়িৎ প্রবাহ চললে গৌণ কুন্ডলীতে যত সংখ্যাক চৌম্বক ফ্লাক্স আবদ্ধ হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক বলে।
আবর ফ্যারাডের সূত্র হতে পাই,
[ঋণ চিহ্ন অগ্রাহ্য করে]
বা,
এখন, হলে হয়।
অতএব, মুখ্য কুন্ডলী A তে তড়িৎ প্রবাহমাত্রা প্রতি সকেন্ডে এক একক পরিবর্তিত হলে গৌণ কুন্ডলী B তে যে আবিষ্ট তড়িৎচালক বল উৎপন্ন হয় তাকে পারস্পরিক আবেশ গুণাঙ্ক বলে। যা উত্তরের যৌক্তিকতা প্রমাণ করে।

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
বিজ্ঞানমেলায় উপস্থাপনার জন্য রায়ান একটি প্রকল্প তৈরি করতে গিয়ে দেখল যে 10 পাকের এবং 5 H আবেশ গুণাঙ্কের একটি বদ্ধ কুন্ডলীর মধ্য দিয়ে একটি দন্ড চুম্বক আনা-নেওয়া করলে 10 s এ তড়িপ্রবাহ 0.1 amp থেকে 0.8 amp এ পরিবর্তিত হয়। রায়ান ভাবল যে দন্ড চুম্বকটিকে একটি সরল দোলকের বব হিসেবে ব্যবহার করেও বদ্ধ কুন্ডলীতে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া সম্ভব
ক) নিউক্লিয়ার ফিশন কাকে বলে?
খ) চৌম্বকক্ষেত্রের মান 10 T বলতে কী বোঝায়?
গ) কন্ডলীতে আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি নির্ণয় কর।
ঘ) রায়ানের ভাবনাটির যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।

উত্তরঃ (ক).
যে বিশেষ ধরনের নিউক্লিয় বিক্রিয়ায় একটি ভারী নিউক্লিয়াস প্রায় সমান ভরসংখ্যা বিশিষ্ট দুটি নিউক্লিয়াসে বিভক্ত বা বিভাজিত হয় তাকে বলা হয় নিউক্লিয়ার ফিশন।

উত্তরঃ (খ).
চৌম্বকক্ষেত্রের মান 10 T বলতে বোঝায় ঐ ক্ষেত্রে 1 C চার্জ 1 m s-1 বেগে ক্ষেত্রের দিকের সাথে সমকোণ গতিশীল হলে ক্ষেত্রটি ঐ আধানের উপর 10 N বল অনুভব করবে।

উত্তরঃ (গ).
ধরি, আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি,
আমরা জানি,

উদ্দীপক থেকে,
স্বকীয় আবেশ, L= 5 H
তড়িৎ প্রবাহের পরিবর্তন,
dI = (0.1 - 0.8) A = - 0.7 A
সময়, dt = 10 s
কুন্ডলীর পাকসংখ্যা, N = 10
নির্ণেয় আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি, 3.5 V।

উত্তরঃ (ঘ).
ফ্যারাডের তড়িৎচৌম্বক আবেশের প্রথম সূত্র থেকে আমরা পাই, যখনই কোনো বদ্ধ কুন্ডলীর মধ্যদিয়ে অতিক্রান্ত চৌম্বকরেখার মোট সংখ্যা বা চৌম্বক ফ্লাক্সের পরিবর্তন ঘটে, তখনই কুন্ডলীতে একটি ক্ষনস্থায়ী তড়িৎচালক শক্তি তথা তড়িৎপ্রবাহ আবিষ্ট হয়। যতক্ষণ চৌম্বক ক্ষেত্ররেখার পরিবর্তন ঘটে, আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি তুক্ষণই স্থায়ী হয়।
রায়না 10 পাকের একটি বদ্ধ কুন্ডলীর মধ্যদিয়ে 10 s এ একটি চৌম্বক আনা নেওয়া করলে এতে তড়িৎপ্রবাহ 0.1 amp থেকে 0.8 amp এ পরিবর্তন হয়।

এখন, দন্ড চুম্বকের দক্ষিণ মেরুতে চোঙের মধ্যে প্রবেশ করালে গ্যালভানোমিটারে কাঁটার ক্ষণিক বিক্ষেপ দেখা যায়। এবারকার বিক্ষেপ পূর্বের বিক্ষেপের বিপরীত দিকে হয়।
এখানে দেখা যাচ্ছে যে, দন্ড চুম্বকের আনা নেওয়ার ফলে গ্যালভানোমিটারের বিক্ষেপ দেখা যাচ্ছে অর্থাৎ তড়িৎপ্রবাহ হচ্ছে। এভাবে যদি দন্ড চুম্বকের আনা নেওয়া চলতে থাকে তাহলে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎপ্রবাহ পাওয়া যাবে।

চিত্রঃ দন্ড চুম্বককে সরল দোলকের বব হিসেবে ব্যবহার করে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎপ্রবাহ

রায়ান চিন্তা করল যে, সরলদোলকে 4º কোণে একটি বব ঝুলিয়ে রাখলে এটি নিরবচ্ছিন্ন ঝুলতে থাকে। ফলে সে বব হিসেবে দন্ড চুম্বক ব্যবহার করল এবং এ দন্ড চুম্বকের আনা নেওয়ার ফলে নিরবচ্ছিন্ন তড়িৎপ্রবাহ পাওয়া সম্ভব।

HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৫ pdf download

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
একটি এ.সি উৎসের বিস্থার 110 V এবং কম্পাঙ্ক 60 Hz।
ক) আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি কাকে বলে?
খ) ট্রান্সফর্মার শুধুমাত্রা পর্যাবৃত্ত ভোল্টেজ পরিবর্তন করে কেন?
গ) কোনো ব্যাক্তি উল্লেখিত ভোল্টেজের ডি.সি লাইনে শক্ পেলে কত বিভব পার্থক্যে এ.সি লাইনে শক্ পাবে?
ঘ) উল্লেখিত উৎসের সাথে 20Ω রোধ যুক্ত করা হলে এর কার্যকর ভোল্টেজ ও উত্তাপজনিত শক্তিক্ষয় কীরূপ হবে তা গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখাও।

উত্তরঃ (ক).
কোনো বদ্ধ বর্তনীতে তড়িৎ চুম্বকীয় আবেশে সৃষ্ট ক্ষনস্থায়ী তড়িৎচালক শক্তিকে আবিষ্ট তড়িৎচালক শক্তি বলে।

উত্তরঃ (খ).
ট্রান্সফর্মার শুধুমাত্র পর্যাবৃত্ত ভোল্টেজ পরিবর্তন করে। কারণ ট্রান্সফর্মারের ভিতরে চৌম্বক ক্ষেত্র থাকে। আবার এতে কুন্ডলী থাকে দুটি- মুখ্য কুন্ডলী ও গৌণ কুন্ডলী। বিভব প্রয়োগ করা হলে মুখ্য কুন্ডলী থেকে ভোল্টেজ পর্যাবৃত্ত পরিবর্তনের মাধ্যমে গৌণ কুন্ডলীতে স্থানান্তরিত হয়। তাই বলা হয়, ট্রান্সফর্মার শুধুমাত্র পর্যাবৃত্ত ভোল্টেজ পরিবর্তন করে।

উত্তরঃ (গ).
আমরা জানি,
উদ্দীপক থেকে পাই,
ডি.সি লাইনের ভোল্টেজ,
অতএব, কোনো ব্যাক্তি উল্লেখিত ভোল্টেজের অর্থাৎ 110 V ডি.সি লাইনে শক্ পেলে সে 155.56 V বিভব পার্থক্যে এ.সি লাইনে শক্ পাবে।

উত্তরঃ (ঘ).
আমরা জানি,
কার্যকর ভোল্টেজ = ভোল্টেজের গড়বর্গের বর্গমূল
উদ্দীপক থেকে পাই,
ভোল্টেজের শীর্ষমান = ভোল্টেজের বিস্তার
আবার, কার্যকর প্রবাহমাত্রা = প্রবাহের গড়বর্গের বর্গমূল
এখানে, প্রবাহের শীর্ষমান I0 হলে,
[সংযুক্ত রোধ, ..]
এখন, Ir.m.s=0.707×I0
= 0.707×5.5 A=3.89 A
এখন, উত্তপজনিত শক্তি ক্ষয়ের হার H হলে,
H = Ir.m.s2×R
=(3089 A)2×20Ω
= 302.64 Js-1
অতএব, উপরোক্ত গানিতিক বিশ্লেষণ থেকে পাই, উল্লেখিত উৎসের সাথে 20Ω রোধ যুক্ত করা হরে এর কার্যকর ভোল্টেজ ও উত্তপজনিত শক্তি ক্ষয়ের মান হবে যথাক্রমে 77.77V ও 302.64Js-1।

Share:

0 Comments:

Post a Comment

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

HSC Exam Routine

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইডসমূহ
(সকল বিভাগ)
বাংলা ১ম পত্র ১ম পত্র গাইড | বাংলা ২য় পত্র গাইড | লালসালু উপন্যাস গাইড | সিরাজুদ্দৌলা নাটক গাইড | ইংরেজি ১ম পত্র গাইড | ইংরেজি ২য় পত্র গাইড | আইসিটি গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র গাইড | রসায়ন ১ম পত্র গাইড | রসায়ন ২য় পত্র গাইড | পৌরনীতি ১ম পত্র গাইড | পৌরনীতি ২য় পত্র গাইড | অর্থনীতি ১ম পত্র গাইড | অর্থনীতি ২য় পত্র গাইড | ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ১ম পত্র গাইড | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীম ২য় পত্র গাইড | ভুগোল ১ম পত্র গাইড | ভুগোল ২য় পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ১ম পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ২য় পত্র গাইড | ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ১ম পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ১ম পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ২য় পত্র গাইড | সমাজকর্ম ১ম পত্র গাইড | সমাজকর্ম ২য় পত্র গাইড | সমাজবিদ্য ১ম পত্র গাইড | সমাজবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ১ম পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ২য় পত্র গাইড | ইংরেজি শব্দার্থ VOCABULARY

Admission Guide