HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৩ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র
৩য় অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Physics 2nd Paper pdf download
Chapter-3
Srijonshil
Question and Answer

ক. জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ

প্রশ্ন-১. পরিবাহির তাপমাত্রা ও রোধের সম্পর্ক কী?
উত্তর: পরিবাহীর রোধের তাপমাত্রার সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-২. পরিবাহিতার একক কী?
উত্তর: পরিবাহিতার একক হলো সিমেন্স।

প্রশ্ন-৩. রোধের দৈর্ঘ্যের সুত্রটি কী?
উত্তর: নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট উপাদানের পরিবাহকের প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল স্থির থাকলে পরিবাহকের রোধ দৈর্ঘ্যের সমানুপাতে পরিবর্তিত হয়।

প্রশ্ন-৪. বর্তনী কী?
উত্তর: তড়িৎ প্রবাহ চলার সম্পূর্ণ পথকে তড়িৎ বর্তনী বলে।

প্রশ্ন-৫. কোষের সমবায় কী?
উত্তর: শক্তিশালী প্রবাহ পাওয়ার জন্য এশাধিক কোষ একত্রে ব্যবহার করাকে কোষের সমবায় বলে।

প্রশ্ন-৬. তাপ উৎপাদন সম্পর্কিত জুলের তৃতীয় সূত্রটি লেখ।
উত্তর: বিদ্যুৎবাহী পরিবাহীতে বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহীতে বিদ্যুৎ প্রবাহের দরুন উদ্ভত তাপ প্রবাহকালের সমানুপাতিক।

প্রশ্ন-৭. কিলোওয়াট ঘন্টা কী?
উত্তর: কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বৈদ্যুতিক যন্ত্র। ঘন্টায় যে বিদ্যুৎ শক্তি সরবরাহ বা ব্যয় করে তাকে। কিলোওয়াট ঘন্টা বলে।

প্রশ্ন-৮. তাপ বিদ্যুৎ ক্রিয়া কী?
উত্তর: তাপ দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে তাপ বিদ্রুৎ ক্রিয়া কলে।

প্রশ্ন-৯. তাপ বিদ্যুচ্চলক রল কী?
উত্তর: কোনো তাপ যুগলের দুটি সংযোগ স্থলে তাপমাত্রার পার্থক্যের জন্য যে বিদ্যুচ্চালক বলের সৃষ্টি হয়, তাকে তাপ বিদ্যচ্চালক বল বলে।

প্রশ্ন-১০. হুইটস্টোন ব্রিজ কাকে বলে?
উত্তর: চারটি রোধ শ্রেণিবদ্ধভাবে সজ্জিত করে একটি আবদ্ধ লুপ তৈরি করলে যে চারটি সংযোগস্থল তৈরি হয়, তার যেকোনো দুটি বিপরীত সংযোগস্থলের মাঝে একটি বিদ্যুৎ কোষ এবং অপর দুটি সংযোগস্থলের মাঝে গ্যালভানোমিটার সংযোগে যে বর্তনী তৈরি হয় তাকে হুইটস্টোন ব্রিজ বলে।

প্রশ্ন-১১. বর্তনীতে শান্ট কীভাবে যুক্ত করা হয়?
উত্তর: বর্তনীতে শান্ট সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত করা হয়।

প্রশ্ন-১২. কিসের পরিবর্তিত রুপ অ্যামিটার?
উত্তর: ডি. আরসনভাল জাতীয় গ্যালভানোমিটারের পরিবর্তিত রুপ অ্যমিটার।

প্রশ্ন- ১৩. AVO মিটার কী?
উত্তর: AVO মিটার হচ্ছে মাল্টিমিটারের অপর নাম যার সাহায্যে রোধ, কারেন্ট ও বিভব পার্থক্য পরিমাপ করা হয়।

প্রশ্ন-১৪. ওহম মিটার কী?
উত্তর: যে যন্ত্রের সাহায্যে রোধ নির্ণয় করা হয়, তাকে ওহম মিটার বলে।

প্রশ্ন-১৫. অ্যমিটারের পাল্লা কী?
উত্তর: একটি অ্যামিটার সর্বাধিক যে পরিমাণ তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপ করতে পারে তাই ঐ অ্যামিটারের পাল্লা।

প্রশ্ন: ১৬. এক ওহম রোধ কাকে বলে?
উত্তর: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য এক ভোল্ট হলে যদি এর কধ্য দিয়ে এক অ্যাম্পিয়ার তড়িৎ প্রবাহিত হয় তাহলে উক্ত পরিবাহীর রোধ এক ওহম।

প্রশ্ন-১৭. তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্কের একক কী?
উত্তর: তড়িৎ পরিবাহিতাঙ্কের একক।

অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. রেধের উষ্ণতা সহগ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: তাপমাত্রার একক রোধের কোনো পরিবাহীর তাপমাত্রা প্রতি হতে বৃদ্ধিতে তার রোধের যে পরিমাণ বৃদ্ধি ঘটে তাকে ঐ পরিবাহীর উপাদানের রোধের উষ্ণতা সহগ বলে।

তাপমাত্রায় কোনো পরিবাহীর রোধ এবং তাপমাত্রায় রোধ হলে, রোধের উষ্ণতা সহগ
বা,
এস আই পদ্ধতিতে রোধের উষ্ণতা সহগের একক হলো বা

প্রশ্ন-২. তড়িৎ প্রবাহের সময় তড়িৎ বলের প্রভাবে ইলেকট্রনের সুষম ত্বরণ সৃষ্টি হয় না কেন?
উত্তর: কোনো পরিবাহীর দুই প্রান্তে বিভব পার্থক্যের ফলে সৃষ্ট তড়িৎক্ষেত্র পরিবাহীর ভিতরের মুক্ত ইলেকট্রনের সুষম ত্বরণ সৃষ্টি করতে পারে ন। কারন উলেকট্রন গতিশীল হলে পরিবাহী যেসব অনু বা পরমাণু সমন্বয়ে গঠিত তাদের সাথে সংঘর্ষ ঘটতে থাকে, ফলে ইলেকট্রনের দ্রুতি তখনো তাড়িত বলের প্রভাবে বৃদ্ধি পায় আবার কখনো সংঘর্ষের কারণে হ্রাস পায়।

প্রশ্ন-৩. অতিপরিবাহিতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর: অতি নিম্ন তাপমাত্রায় কিছু কিছু পদার্থের রোধ শূন্যে নেমে আসে। এসব পদার্থকে অতি পরিবাহী এবং এদের এ ধর্মকে অতি পরিবাহিতা বলে। ডাচ পদার্থবিদ কেমারলিং ওন্স ১৯৯১১ খ্রিস্টাব্দে সর্বপ্রথম পরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণ করেন যে, 4.2 K তাপমাত্রার নিচে পারদের রোধ শূন্য হয়ে যায়। টিন অ্যালুমিনিয়াম বিভিন্ন ধরনের সংকর ধাতুর পদার্থে অতিপরিবাহিতা লক্ষ করা যায়।

প্রশ্ন-৪. রোধের সমান্তরাল সমবায় বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কতকগুলো রোধ যদি এমনভাবে সজানো থাকে যে, এদের মাথার এক প্রান্ত একটি সাধারণ বিন্দুতে এবং অপর প্রান্তগুলো অন্য একটি সাধারন বিন্দুতে সংযুক্ত থাকে এবং প্রত্যেকটি রোধের দুই প্রান্তে একই বিভব পার্থক্য বজায় থাকে তাহলে সেই সমবায়কে রোধের সমান্তরাল সমবায় বলে।

প্রশ্ন-৫. তড়িৎ কোষের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখ।
উত্তর: তড়িৎ কোষের বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নরুপ-
১. তড়িৎ কোষের তড়িৎচালক শক্তি কোষের আকৃতির উপর নির্ভর করে না। কোষের সক্রিয় উপাদানগুলোর উপর নির্ভর করে।
২. কোষের তড়িৎদ্বার দুটি যত কাছাকাছি থাকে এবং ক্ষেত্রয়ল যত বড় হয় কোষের অভ্যন্তরীণ রোধ তত কম হয়।
৩. অভ্যন্তরীণ রোধ কম হলে উচ্চ মাত্রায় তড়িৎ প্রবাহ পাওয়া যায়।
৪. কোয়ের পাতা এবং সক্রিয় তরলের স্পর্শ হলে তড়িৎচালক বলের সৃষ্টি হয়।

প্রশ্ন-৬. কিলোওয়াট ঘন্টা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: ক্ষমতার একক কিলোওয়াট এবং সময়ের একক ঘন্টা হিসেবে প্রকাশ করলে শক্তির একক কিলোওয়াট-ঘন্টা এককে প্রকাশিত হয়। এক কিলোওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কোনে যন্ত্র এক ঘন্টা ধরে যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ বা ব্যয় করে তার পরিমাণকে এক কিলোওয়াট-ঘন্টা বলে।

প্রশ্ন-৭ জুলের রোধের সুত্রটি ব্যাখ্যা করা।
উত্তর: বিদ্যুৎ প্রবাহমাত্রা এবং বিদ্যুৎ প্রবাহ কাল অপরিবর্তিত থাকলে পরিবাহিতে বিদ্যুৎ প্রবাহের দরুন উদ্ভূত তাপ পরিবাহীর রোধের সমানুপাতিক।
অর্থাৎ যদি i এবং t স্থির থাকে।
এ সূএের অর্থ- পরিবাহীর রোধ দ্বিগুণ বা অর্ধেক হলে উদ্ভুত ‘তাপ’ প্রাথমিক তাপের যথাক্রমে দ্বিগুণ বা অর্ধেক হবে।
কাজেই বিদ্যুৎ প্রবাহের শ্রেনীতে যুক্ত R , রোধে t সময়ে উদ্ভূত তাপ যথাক্রমে .........হলে
= ধ্রুবক।

প্রশ্ন-৮. বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বলতে কী বুঝ?
উত্তর: কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের কাজ করার হারকে ঐ যন্ত্রের বৈদ্যুতিক ক্ষমতা বলে।
যেমন, কোনো বৈদ্যুতিক উৎস যদি t সময়ে w পরিমাণ কাজ করার ক্ষমতাকে এক ওয়াট বলে। অর্থাৎ 1 ওয়াট 1 জুল/সেকেন্ড।

প্রশ্ন-৯. মিটার ব্রিজের প্রান্ত ত্রুটি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মিটার ব্রিজ তারের দু’প্রান্ত ধাতব পাতের সাথে ঝালাই করে লাগানো থাকে। ফলে ঝালাইয়েরর দরুন প্রান্তে কিছু রোধ অন্তর্ভূক্ত হয়। এ রোধ হিসাবে না আনলে ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ হয়। এ কারণে একে প্রান্ত ত্রুটি বলা হয়।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
নিচের চিত্রটি লক্ষ করঃ
ক) অ্যামিটার কাকে বলে?
খ) অ্যামিটার ও ভোল্টমিটারের পাল্লা কিভাবে বাড়ানো যায়?
গ) গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহের মান নির্ণয় কর।
ঘ) ব্যবস্থাটির মাধ্যমে 200 A তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষক্ষপ গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখাও।

উত্তরঃ (ক).
যে যন্ত্রের সাহায্যে কোনো বর্তনীর তড়িৎ প্রবাহ সরাসরি অ্যাম্পিয়ার এককে পরিমাপ করা হয় তাকে অ্যামিটার বলে।

উত্তরঃ (খ).
অ্যামিটারের পাল্লা বাড়ানোঃ একটি স্বল্প পাল্লার অ্যামিটারকে বেশি পাল্লার অ্যামিটারে পরিণত করতে হলে অ্যামিটারের সাথে সমান্তরাল সমবায়ে একটি অত্যন্ত স্বল্প মাত্রার রোধ যুক্ত করতে হয়।
ভোল্টমিটারের পাল্লা বাড়ানোঃ একটি স্বল্প মাত্রার ভোল্টমিটারকে বেশি মাত্রার ভোল্টমিটারে পরিণত করতে হলে যন্ত্রের সাথে শ্রেণি সমবায়ে এমন একটি রোধ যুক্ত করতে হবে যাতে যন্ত্রের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত তড়িতের কোনো পরিবর্তন না হয়।

উত্তরঃ (গ)
উদ্দীপক থেকে পাই, গ্যালভানোমিটারের রোধ, G= 100Ω
ব্যবহৃত শান্টের রোধ, S = 2Ω
শান্টের মধ্য দিয়ে প্রবাহ, Is= 49.02 A
গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহ, Ig =?
এখন বর্তনীর মূল প্রবাহ, I হলে, Is =
বা,
বা,
বা,I = 50 A
এখন,Ig =
অতএব, গ্যালবানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহের মান 0.98 A।

উত্তরঃ (ঘ).
‘গ’ নং থেকে পাই ব্যবস্থাটির মূল প্রবাহের মান I = 50 A এখন ব্যবস্থাটির মাধ্যমে 200 A তড়িৎ প্রবাহ পরিমাপ করতে হলে, এতে ব্যবহৃত শান্টের মান পরিবর্তন করতে হবে। কারণ গ্যালভানোমিটারের অভ্যন্তরীণ রোধ নির্দিষ্ট বলে তা পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
মনে করি, ব্যবস্থাটিতে S মানের শান্ট ব্যবহার করলে এর মাধ্যমে 200 A প্রবাহ পরিমাপ করা যাবে।
এক্ষেত্রে, বর্তনীর প্রবাহ, I = 200 A
গ্যালভানোমিটারের রোধ, G = 100Ω
গ্যালভানোমিটারের প্রবাহ, Ig = 0.98 A [ গ নং থেকে]
এখন,Ig =
বা, Ig (G+ S) = IS
বা,IgG + IgS – IS= 0
বা,IS – IgS= IgG
বা,S (I – Ig) = Ig G
বা,S =
অর্থাৎ ব্যবস্থাটির মাধ্যমে 200 A প্রবাহ পরিমাপ করতে হলে শান্টের মান 0.49Ω হতে হবে।
এখন, প্রথম ব্যবস্থাটিতে 2Ω শান্টের পরিবর্তে 0.49Ω মানের শান্ট ব্যবহার করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত 2Ω মানের শান্টের সাথে সমান্তরালে এমন একটি রোধ ব্যবহার করতে হবে যাতে শান্টের তুল্যরোধ 0.49Ω হয়। এখন উক্ত রোধটি R হলে,
বা,
বা, R= 0.65Ω
অতএব, শান্টের সাথে 0.65Ω রোধ সমান্তরালে যুক্ত করলে ব্যবস্থাটির মাধ্যমে 200 A প্রবাহ পরিমাপ করা সম্ভব হবে।

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক) শান্ট কাকে বলে?
খ) তড়িৎ প্রবাহের ফলে বর্তনীতে তাপের উদ্ভব হয়- ব্যাখ্যা কর।
গ) বর্তনীর তুল্য রোধ নির্ণয় কর।
ঘ) R3 এর সাথে কত রোধ কিভাবে যুক্ত করলে এর ভিতর দিয়ে R1 এর সমান প্রবাহ পাওয়া যাবে? গাণিতিক বিশ্লেষণসহ মতামত দাও।

উত্তরঃ (ক).
অধিক পরিমাণ প্রবাহ গিয়ে যাতে গ্যালভানোমিটারকে নষ্ট করতে না পারে তার জন্য গ্যালভানোমিটারের সাথে সমান্তরাল সমবায়ে যে অল্প মানের রোধ সংযুক্ত করা হয় তাকে শান্ট বলে।

উত্তরঃ (খ).
আমরা জনি, পরিবাহকের দুই বিন্দুর মাধ্যে বিভব পার্থক্য সৃষ্টি হলে পরিবাহকের মুক্ত ইলেকট্রনগুলো আমত্মঃআণবিক স্থানের মধ্যে দিয়ে পরিবাহকের নিম্নবিভব বিশিষ্ট বিন্দু থেকে উচ্চ বিভব বিশিষ্ট বিন্দুর দিকে চলতে থাকে, ফলে তড়িৎ প্রবাহের সৃষ্টি হয়। এ ইলেকট্রনগুলো চলার সময় পরিবাহকের পরমাণুর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় এবং ইলেকট্রনের গতিশক্তি পরমাণুতে সঞ্চালিত হয়ে পরমাণুর গতিশক্তি আরো বৃদ্ধি করে। এ বর্ধিত গতিশক্তি তাপে রূপান্তরিত হয় এবং পরিবাহকের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে পরিবাহী উত্তপ্ত হয়। অর্থাৎ পরিবাহীতে তাপ উৎপন্ন হয়।

উত্তরঃ (গ).
এখানে R1 ও R2 সমান্তরাল সমবায়ে যুক্ত
এদের তুল্যরোধ Rp হলে,
এখানে রোধসমূহ,

এবার, Rp এর সাথে R3 শ্রেণিতে যুক্ত।
বর্তনীর তুল্যরোধ, Rs= Rp+R3= (2+10)Ω =12Ω
অতএব, বর্তনীর তুল্যরোধ 12Ω।

উত্তরঃ (ঘ).
বর্তনীর মোট প্রবাহ,
Rp এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যই হবে R1 এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য।
R1 এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য,
Vp=IRp
বা, Vp= 0.5 A ×2Ω= 1 V
এখন, Vp=I1R1
বা, 1 V = I1× 3Ω
বা, I1 =
R3 এর মধ্যে দিয়ে গমনকারী প্রবাহ, I = 0.5 A
I ˃ I1
R3 এর সাথে R4 রোধ শ্রেনীতে যুক্ত করতে হবে।
বা,
বা,
বা,

R3 এর সাথে 5Ω রোধ শ্রেণিতে যুক্ত করলে প্রাবাহিত প্রবাহ R1- এর মধ্যদিয়ে প্রবাহিত প্রবাহের সমান হবে।

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
চিত্রটি লক্ষ করঃ
ক) তড়িৎচলক বল কাকে বলে?
খ) বৈদ্যুতিক সিস্টেম লস কী এবং কেন হয় ব্যাখ্যা কর।
গ) উদ্দীপকের বর্তনীর মূল প্রবাহের মান নির্ণয় কর।
ঘ) উদ্দীপকের বর্তনীর R1, R2 ও R3 এর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত প্রবাহের সমষ্টি বর্তনীর মূল প্রবাহের সমান গাণিতিকভাবে যাচাই কর।

উত্তরঃ (ক).
পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য বজায় রাখতে তড়িৎকোষ যে তড়িৎ শক্তি সরবরাহ করে তাকে কোষের তড়িৎচলক বল বলে।

উত্তরঃ (খ)
পরিবহনের সময় তড়িতের কিছু পরমাণু লস অর্থাৎ ক্ষয় হয়। একে তড়িতের সিস্টেম লস বলে। আমরা জানি, বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য যে সকল তার ব্যবহার করা হয় তাদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রোধ থাকে। ফলে এ রোধকে অতিক্রমের জন্য তড়িৎশক্তির একটি অংশ তাপে রূপান্তরিত হয় অর্থাৎ লস বা ক্ষয় হয়।

উত্তরঃ (গ)
এখানে, রোধত্রয় সমান্তরাল সমবায়ে সংযুক্ত এখন বর্তনীর তুল্যরোধ, R হলে,
বা,
বা,
বা,
এখানে,
তড়িৎচালক শক্তি E = 6 V
বর্তনীর মূল প্রবাহ, I =?

আমরা জানি,
অতএব, বর্তনীর মূল প্রবাহ

উত্তরঃ (ঘ)
‘গ’ নং থেকে পাই,
বর্তনীর মূল প্রবাহ,
বর্তনীর তুল্যরোধ,
R1, R2 ও R3 এর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য
V= IR
=
R1 এর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত প্রবাহ,
R2 এর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত প্রবাহ,
R3 এর মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত প্রবাহ,
এখন,
= 0.625 A
অতএব, বর্তনীর R1, R2 ও R3 এর মধ্য দিয়ে তড়িৎচালক প্রবাহের সমষ্টি বর্তনীর মূল প্রবাহের সমান।

HSC পদার্থবিজ্ঞান ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-৩ pdf download

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
কোনো গ্যালভানোমিটারের অভ্যন্তরীণ রোধ 50Ω এর সাথে 5Ω এর একটি শান্ট ব্যবহার করা হলো।
ক) এক অ্যাম্পিয়ার কী?
খ) বিদ্যুৎ শক্তি ব্যয়ের হিসাব করা হয় কিভাবে?
গ) গ্যালভানোমিটারটির সাথে কত রোধের শান্ট ব্যবহার করলে মোট তড়িৎ প্রবাহের 10% গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হতো?
ঘ) উল্লেখিত বর্তনীতে কত রোধ দিলে মূল প্রবাহের মান অপরিবর্তিত থাকবে এবং মূল প্রবাহের মান 1.1 A হলে শান্ট ব্যবহার করার পূর্বে ও পরে গ্যালভানোমিটারের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্র গাণিতিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ণয় কর।

উত্তরঃ (ক).
শূন্য মাধ্যমে 1m দূরত্বে অবস্থিত অসীম দৈর্ঘের এবং উপেক্ষণীয় প্রস্থচ্ছেদের দুটি সমান্তরাল সরল পরিবাহীর প্রত্যেকটিতে যে পরিমাণ প্রবাহ চললে পরস্পরের মধ্যে প্রতি মিটার দৈর্ঘ্যে 2×10-7N বল উৎপন্ন হয় তাই এক অ্যাম্পিয়ার।

উত্তরঃ (খ).
বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি বাড়িতে বা কল-কারখানায় যে বিদ্যুৎ শক্তির সরবরাহ করে তার পরিমাণ শক্তির একক অনুযায়ী করা হয়। একে কিলোওয়াট ঘন্টা (K.W.H বা kWh) বলে। যেহতু সারা বিশ্বের বিদ্যুৎ সরবরাহ কোম্পানি এই একই একক ব্যবহার করে বিদ্যুৎ কেনা- বেচা করে, সেজন্য একে বোর্ড অব ট্রেড (B.O.T) বা ব্যবসায়িক একক বলে।

উত্তরঃ (গ).
গ্যালভানোমিটারের রোধ, G = 50Ω
এখন, গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহ 1g এবং বর্তনীর মূল প্রবাহ I হলে,
শান্টের রোধ, S =?
আমরা জানি,
বা,
বা,
বা,
বা,
বা,
বা,
বা,
অতএব, গ্যালভানোমিটারের সাথে 5.56 রোধের শান্ট যুক্ত কররে মোট তড়িৎ প্রবাহের 10% গ্যালভানোমিটারের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবে।

উত্তরঃ (ঘ).
উদ্দীপক থেকে পাই,
গ্যালভানোমিটারের রোধ, G= 50Ω
ব্যবহৃত শান্টের রোধ, S= 5Ω
বর্তনীর মূল প্রবাহ, I = 1.1 A
এখন, শান্ট গ্যালভানোমিটারের সাথে সমান্তরালে থাকায় তুল্যরোধ R হলে,
এ তুল্য রোধ R গ্যালভানোমিটারের রোধ G এর চেয়ে যতটা কম হবে ততটা রোধ বর্তনীতে শ্রেণি সমাবায়ে যুক্ত করলে মূল প্রবাহের মান অপরিবর্তিত থাকবে। ধরি, Rʹ রোধ যুক্ত করতে হবে।
তাহলে, Rʹ=G- R = 50Ω-
এখন, শান্ট ব্যবহার করার পূর্বে গ্যালভানোমিটারের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V= IG= 1.1 A×50Ω= 55 V
শান্ট ব্যবহার করার পরে গ্যালভানোপমিটারের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য, Vʹ= IR = 1.1 A × = 5 V
অতএব, উরোক্ত গাণিতিক বিশ্লেষণ থেকে পাই বর্তনীতে 5.56Ω রোধ শ্রেণি সমবায়ে যুক্ত করলে মূল প্রবাহের মান অপরিবর্তিত থাকবে এবং মূল প্রবাহের মান 1.1 A হলে শান্ট ব্যবহার করার পূর্বে ও পরে গ্যালভানোমিটারের দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য যথাক্রমে 55 V ও 5 V হবে।

Share:

0 Comments:

Post a Comment