এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Economics 2nd Paper Srijonshil Question. HSC Economics 2nd Paper (Srijonshil) Creative Questions Comilla Board 2019 pdf download.
কুমিলা বোর্ড
অর্থনীতি ২য় পত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন
বিষয় কোড: [১১০]
সময়: ২ঘন্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমান: ৭০
[দ্রষ্টব্য : ডান পাশের সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক। নিচের উদ্দীপকগুলো পড় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। যেকোনো সাতটি প্রশ্নের উত্তর দাও।]
HSC Economics 2nd Paper
Srijonshil
Board Question
১। অর্থনীতির শিক্ষক আসাদ সাহেব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর ওপর আলোকপাত করতে গিয়ে ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বললেন, ‘‘সমষ্টিগত অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের ভিত্তি হচ্ছে অর্থনৈতিক কাঠামো। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়, যথা- উৎপাদনভিত্তিক, মালিকানাভিত্তিক এবং অঞ্চলভিত্তিক। তবে শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবকাঠামো ব্যতীত অর্থনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান হয় না। অর্থনৈতিক অবকাঠামো হচ্ছে, একটি দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ।’’
ক. অর্থনৈতিক কাঠামো কী? ১
খ. বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ কীভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনুকূল? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত খাতগুলোর অধীনে বিদ্যমান উপখাতগুলোর সমন্বয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কাঠামোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও। ৩
ঘ. ‘‘অর্থনৈতিক অবকাঠামো একটি দেশের অর্থনীতির বুনিয়াদ’’- তুমি কি আসাদ সাহেবের এ বক্তব্যের সাথে একমত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
২। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার চরবাটা গ্রামের দরিদ্র চাষি নওয়াব আলী পূর্বে তাঁর জমিতে পর্যাপ্ত উৎপাদন হতো না। তাই তিনি চড়া সুদে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জমির ফলন বৃদ্ধির অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। তবে বর্তমানে নওয়াব আলীর আর অর্থকষ্ট নেই। তাঁর দুই ছেলে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। বড় ছেলে আরাফ বাবার জমিতে বছরের বিভিন্ন সময়ে আলু, পটল, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা প্রভৃতি উৎপাদন করে প্রচুর আয় করে। অন্যদিকে ছোট ছেলে জারাফ গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি প্রতিপালন করে। জারাফও দুধ, ডিম, মাংস বিক্রি করে প্রচুর আয় করে। আরাফ ও জারাফের কার্যক্রম দ্বারা চরবাটা গ্রামের জনগণও উপকৃত হচ্ছে।
ক. কৃষি ঋণ কী? ১
খ. চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত আরাফ ও জারাফের কার্যক্রম কৃষির কোন উপখাতের অন্ত র্ভুক্ত? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. আরাফ ও জারাফের কার্যক্রম দ্বারা চরবাটা গ্রামের জনগণ কীভাবে উপকৃত হচ্ছে? বিশেষণ কর। ৪
৩। দবিউর সাহেব একজন প্রবাসী। তিনি আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গিয়ে দেখেন, সেসব দেশের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক এবং চামড়া ও
চামড়াজাত দ্রব্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা-২০১৫ থেকে তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার এবং চামড়া শিল্পের রপ্তানি আয় সম্পর্কিত নিম্নরূপ তথ্য সংগ্রহ করেন। মিলিয়ন মার্কিন ডলারে-
পণ্য ২০০৪-২০০৫ ২০১১-২০১২ ২০১২-২০১৩ ২০১৩-২০১৪
তৈরি পোশাক ৬,৪১৭.৬৭ ১৯,০৮৯.৭৩ ২১,৫১৬ ২৪,৪৯২
ক. মাঝারি শিল্প কাকে বলে? ১
খ. ‘‘আমদানি বিকল্প শিল্প দেশীয় শিল্পকে সংরক্ষণ করে’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে তৈরি পোশাক ও নিটওয়্যার শিল্পের রপ্তানি আয়ের গতিধারা বিশেষণ কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উদ্দীপকে উলিখিত শিল্পটির সম্ভাবনা সম্পর্কে আলোকপাত কর। ৪
৪। জনসংখ্যা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি সংক্রান্ত নিম্নের ছকটি লক্ষ কর- বছর ০ ২৫ ৫০ ৭৫ ১০০.. ২০০.. ৩০০ জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ ২ ৪ ৮ ১৬.. ২৫৬.. ৪০৯৬ খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১ ২ ৩ ৪ ৫.. ৯.. ১৩
ক. আত্মকর্মসংস্থান বলতে কী বোঝায়? ১
খ. ভূপ্রকৃতি দ্বারা জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে প্রভাবিত হয়? ২
গ. উদ্দীপকে প্রদর্শিত জনসংখ্যা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির হারের সম্পর্কটি জনসংখ্যা সম্পর্কিত কোন তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত জনসংখ্যা তত্ত্বটি বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কতটুকু প্রাসঙ্গিক? আলোচনা কর। ৪
৫। ২০১২ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বখাদ্য নিরাপত্তা সূচকে ১০৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৮১ তম, দক্ষিণ এশিয়াতে নিচের দিক থেকে দ্বিতীয়। ২৫টি নির্ণায়কের উপর ভিত্তি করে প্রণীত রিপোর্ট মূলত তিনটি উপাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে- সামর্থ্য : অবস্থান ৭৮, প্রাপ্যতা : অবস্থান ৮১, গুণগত মান ও নিরাপত্তা : অবস্থান ৯২। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন- খাদ্যনীতি প্রণয়ন, দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধি, অভ্যন্তরীণ খাদ্য সংগ্রহ ও খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি, খাদ্য আমদানি ও খাদ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি গবেষণায় গুরুত্ব প্রদান ইত্যাদি।
ক. খাদ্যের উপযোগিতা কী? ১
খ. ‘‘জনসচেতনতা সৃষ্টি ব্যতীত খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার দিকসমূহ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ কি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
৬। নাহিদা আফরোজ সরকারি স্কুলের একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। তিনি সাধারণ ভবিষ্যৎ তহবিল ফান্ড থেকে ৩০ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। তার মধ্যে ২০ লক্ষ টাকা দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনেছেন। অবশিষ্ট ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে তিনি ওচঙ এর মাধ্যমে কিছু শেয়ার এবং শেয়ার বাজার থেকে কিছু শেয়ার কিনেছেন।
ক. শেয়ার বাজার কী? ১
খ. বন্ড থেকে শেয়ার কীভাবে পৃথক? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত নাহিদা আফরোজ কর্তৃক ক্রীত দুই ধরনের শেয়ারের মধ্যে পার্থক্য দেখাও। ৩
ঘ. ‘‘নাহিদা আফরোজের শেষোক্ত বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও অধিক মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে’’- ব্যাখ্যা কর। ৪
৭। নিচের সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. মুদ্রাস্ফীতি কী? ১
খ. ‘‘সরকারি ব্যয় বৃদ্ধি পেলে মুদ্রাস্ফীতি ঘটে’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের মুদ্রাস্ফীতি দেখানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. চিত্রে সামগ্রিক যোগান রেখা AS০ থেকে AS1 রেখায় স্থানান্তরের সম্ভাব্য কারণসমূহ লেখ। ৪
৮। Y দেশে ২০১১ সালে ভোক্তার মূল্যসূচক ছিল ১১৫। ২০১৬ সালে ভোক্তার মূল্যসূচক বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০ হয়। দেশটির সরকার ব্যয় হ্রাস, অর্থের যোগান হ্রাস, ব্যাংক হার বৃদ্ধি, নগদ জমার হার বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
ক. সূচক সংখ্যা কী? ১
খ. মুদ্রাস্ফীতির ফলে ঋণদাতা কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুদ্রাস্ফীতির হার নির্ণয় কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটুকু সফল হবে বলে তুমি মনে কর? ৪
৯। আশফাক সাহেবের নাতি ঈশান তার দাদার কাছে জানতে চাইল, ‘‘বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করে কেন?’’ আশফাক সাহেব উত্তর দিলেন যে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে মূলধনের অভাব অত্যন্ত প্রকট। বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যের ভিত্তিও ততটা শক্তিশালী নয়। রপ্তানি বাজারের সংকীর্ণতা, রপ্তানি পণ্যের স্বল্পতা, ভোগ্যপণ্য ও মূলধনী দ্রব্য আমদানি, আমদানিনির্ভর রপ্তানি দ্রব্য প্রভৃতি কারণে আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কম। ফলে বাণিজ্য ঘাটতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, মানব সম্পদ উন্নয়ন প্রভৃতি কারণেও বাংলাদেশকে বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করতে হয়। তথাপি বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস করে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে পারলে সেটাই বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হতো।
ক. বিশ্বায়ন কী? ১
খ. দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্য সংঘটিত হয় কেন? ২
গ. বাংলাদেশ কেন বৈদেশিক সাহায্য গ্রহণ করে? উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ‘‘বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক সাহায্যের তুলনায় রপ্তানি বাণিজ্যের সম্প্রসারণ মঙ্গলজনক’’- উক্তিটি কি যথার্থ? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১০। A দেশের সরকার মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫০% এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বিশ্বব্যাংকের ঋণ সহায়তা নিয়ে এবং অবশিষ্ট ৫০% ব্যয় সরকারি বন্ড, ঋণপত্র, সঞ্চয়পত্র বিক্রি এবং বন্ধু রাষ্ট্র থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে মেটানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
ক. আয়কর কী? ১
খ. মূল্য সংযোজন করকে পরোক্ষ কর বলা হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলিখিত সরকারি ঋণের উৎসগুলো থেকে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎসসমূহ চিহ্নিত কর। ৩
ঘ. সরকারি ঋণের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎসের মধ্যে কোনটি A দেশের জন্য মঙ্গলজনক উদ্দীপকের আলোকে মূল্যায়ন কর। ৪
১১। দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি দেশের অর্থনীতিতে পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। ১৯৭৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার ধরন ব্যাখ্যা কর।
ক. স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা কাকে বলে? ১
খ. ‘‘বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্ত বরূপ লাভ করে’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ১৯৭৩ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত পরিকল্পনার ধরন ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার উন্নয়ন কৌশল বাংলাদেশ সরকারের দারিদ্রে্যর হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কতটুকু সফল হয়েছে? মূল্যায়ন কর। ৪
0 Comments:
Post a Comment