এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Economics 2nd Paper Srijonshil Question
চট্টগ্রাম বোর্ড
অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন
বিষয় কোড: [১১০]
সময়: ২ঘন্টা ৩০ মিনিট পূর্ণমান: ৭০
[দ্রষ্টব্য : ডান পাশের সংখ্যা প্রশ্নের পূর্ণমান জ্ঞাপক। নিচের উদ্দীপকগুলো পড় এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও। যেকোনো সাতটি প্রশ্নের উত্তর দাও।]
HSC Economics 2nd Paper
Srijonshil
Board Question
১। সাম্রাজ্যবাদী ইংরেজ শাসকেরা ২০০ বছর এ উপমহাদেশ শাসন ও শোষণ করেছে। এর পর পাকিস্তান সরকার আজকের বাংলাদেশকে শাসন ও শোষণ করেছে ২৪ বছর। তাদের উভয়ের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পুঁজির ব্যবহার হয়েছে এ অঞ্চলের লুষ্ঠিত সম্পদ। কিন্তু এ অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ ছিল খুব সামান্য। পরবর্তীতে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ফলে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ নামের ভূখন্ডটি। সাম্প্রতিক বাংলাদেশে কিছু পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। যেমন- কৃষির কাঠামোগত পরিবর্তন, শিল্প ও সেবাখাতের ভূমিকা, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, সমুদ্র জয়, তথ্য ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস প্রভৃতি।
ক. অর্থনৈতিক অবকাঠামো কী? ১
খ. কোন যুগকে বাংলার ইতিহাসে ‘স্বর্ণযুগ’ বলা হয়? কেন? ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে ঔপনিবেশিক শাসন ও শোষণের প্রকৃতি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পদার্পণের সম্ভাবনা তুমি কীভাবে মূল্যায়ন করবে? ৪
২। জিতু নবম শ্রেণি থেকেই উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত। তার পুঁজি কম ছিল তাই আত্মীয়স্বজন গ্রাম্য মহাজন, প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে। খামারের আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় তাকে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা ঋণ নিতে হয়েছে। বর্তমানে সে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার কৃষি খামারে ৩০০ শ্রমিক কাজ করে। গরু, ছাগল, মুরগি, মাছ, হ্যাচারি এবং খাদ্যশস্যসহ নানা ধরনের খাদ্যবীজ উৎপাদন হয়। এখানে উৎপাদিত পণ্য দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয় যা উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে।
ক. কৃষি কাঠামো কী? ১
খ. শস্য বহুমুখীকরণ কি খাদ্য ঘাটতি পূরণ করে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. জিতুর ঋণ গ্রহণের উৎসসমূহ উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জিতুর উৎপাদন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কী ভূমিকা পালন করে? বিশেষণ কর। ৪
৩। মি. 'X' ও তার পরিবারের সদস্যরা কুলা, ঝাপি, ডালা, ফুলদানি তৈরি ও বিক্রি করে। তার পুঁজি কম। তাই সে ঋণের জন্য বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ও ব্যাংকে যোগাযোগ করে। জামানত দিতে না পারায় প্রতিষ্ঠানগুলো তাকে ঋণ দেয় না। ব্যাংক ঋণ পেলে সে উৎপাদন বৃদ্ধি করে আর্থিক অনটন দূর করতে পারত।
ক. আমদানি বিকল্প শিল্প কী? ১
খ. শিল্প ভিন্ন ভিন্ন ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকে কোন শিল্পের সমস্যার কথা বলা হয়েছে? এর স্বরূপ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্পের উন্নয়নে তুমি কি কি সুপারিশ করবে? ৪
৪। নিচের সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও।
ক. স্থূল জন্মহার কী? ১
খ. শিক্ষা কীভাবে মানব সম্পদের উন্নয়ন প্রভাবিত করে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের চিত্রটি কোন তত্ত্বের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত তত্ত্বটি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে কতটুকু কার্যকর? মূল্যায়ন কর। ৪
৫। আয়তনের তুলনায় বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্যের সংস্থান দেশটির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সরকার অভ্যন্তরীণ খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি ও পলিউন্নয়ন কে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। যার অংশ হিসেবে কৃষি কার্ড বিতরণ, ভর্তুকি প্রদান, বায়োটেকনোলজির ব্যবহার, তথ্য ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, কাবিখা, ভিজিএফ, বয়স্কভাতা, বেকার ভাতাসহ প্রয়োজনে খাদ্য আমদানিরও ব্যবস্থা রয়েছে।
ক. পুষ্টিকর খাদ্য কী? ১
খ. ‘‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি খাদ্য সমস্যা সৃষ্টি করে’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. খাদ্য নিরাপত্তার জন্য যেসব বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে তা উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কি শুধু সরকারের? উত্তরের সপক্ষে তোমার মতামত দাও। ৪
৬। রেশমা একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। নিজের সামান্য সঞ্চয় দিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে হাতে সেলাই করা কাঁথা, শাড়ি, চাদর, পাঞ্জাবি ও কুশন সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন দোকানে সরবরাহ করত। সে পুঁজি বাড়ানোর জন্য আত্মীয়স্বজন, বন্ধুদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে একটি কারখানা তৈরি করে এবং ২০ জন মহিলা প্রতিদিন সেলাই-এর কাজ করে। বর্তমান সরকার সুচি শিল্পকে উৎসাহ দেবার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিনা জামানতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা দিচ্ছেন। ব্যাংক ঋণ পাওয়ার পর রেশমার উৎপাদনের পরিধি অনেক বেড়েছে। এখন তার কাছে ২৩০ জন মহিলা শ্রমিক কাজ করে।
ক. পুঁজি বাজার কী? ১
খ. ‘‘সঞ্চয় অর্থায়নের নির্ভরযোগ্য উৎস’’- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রেশমার উৎপাদনে অর্থায়নের উৎসগুলো উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে দুটি উৎসের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪
৭। উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার তাদের দেশের দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। যার মধ্যে ঘাটতি ব্যয়, উন্নয়ন কাজের জন্য অতিরিক্ত অর্থ যোগান, বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্য অগ্রগণ্য। এছাড়াও দেশের মানবসম্পদ রপ্তানি আয় অর্থাৎ রেমিটেন্স প্রবাহ দেশের অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে দেশের বাজারে দ্রব্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত যোগান থাকলেও দ্রব্যমূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। তখন সীমিত আয় এবং নিম্নবিত্ত মানুষের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে ক্রমক্ষমতা সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের মধ্যে রাখার জন্য সরকার বিভিন্ন নীতি গ্রহণ করে।
ক. মুদ্রাস্ফীতি কী? ১
খ. অতিরিক্ত সরকারি ব্যয় মুদ্রাস্ফীতি সৃষ্টি করে কি? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে মুদ্রাস্ফীতির কারণগুলো ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উপায়গুলো বিশেষণ কর। ৪
৮। বাংলাদেশ প্রধানত কৃষিনির্ভর, দরিদ্র ও জনবহুল দেশ। সার্কভুক্ত দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশ প্রধানত কৃষিজাত দ্রব্য, শিল্পের কাঁচামাল, তৈরি পোশাক, পান-সুপারিসহ কিছু প্রচলিতঅপ্রচলিত পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করে। তবে প্রচলিত পণ্যের চেয়ে অপ্রচলিত পণ্যসামগ্রীর রপ্তানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য কর অবকাশ, বিশেষ সুবিধা, রপ্তানি ঋণ, ইপিজেড স্থাপন, বাণিজ্য মেলার আয়োজন ও অংশগ্রহণ এবং বিশ্ববাজার সার্ভে করাচ্ছেন।
ক. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য কী? ১
খ. ‘‘বৈদেশিক সাহায্য পরনির্ভরশীলতা বাড়ায়।’’ - ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে প্রচলিত ও অপ্রচলিত রপ্তানি পণ্যের একটি তালিকা প্রস্তুত কর। ৩
ঘ. একটি দেশের রপ্তানি সম্প্রসারণের উপায়গুলো বিশেষণ কর। ৪
৯। কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনার গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু বাংলাদেশের মতো অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বাস্ত বায়নে নানাবিধ সমস্যা বিদ্যমান। তন্মধ্যে দক্ষ মানব সম্পদের অভাব, দুর্নীতি, মুদ্রাস্ফীতি, সঠিক তথ্য ও উপাত্তের অভাব, অর্থায়নের অনিশ্চয়তা, বিনেয়াগবান্ধব পরিবেশের অনুপস্থিতি, সৎ ও দক্ষ প্রশাসনের অভাব ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ক. স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা কী? ১
খ. কোনো দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা একান্ত প্রয়োজন। - ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে উন্নয়নশীল দেশের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমস্যাগুলো আলোচনা কর। ৩
ঘ. বাংলাদেশে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তোমার সুপারিশ ব্যাখ্যা কর। ৪
১০। মি. ‘ক’ একজন সরকারি কর্মচারী। তিনি মাসে ৫০,০০০ টাকা বেতন পান। সরকার বেতন দেওয়ার সময়ই তার কাছ থেকে আয়কর কেটে রাখেন। মি. ‘খ’ একজন ব্যবসায়ী। করে হার বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেন ফলে তার দোকানের বেচাকেনা কমে যায়। তখন তিনি দ্রব্যমূল্য কমিয়ে দ্রব্য বিক্রয়ের পরিমাণ স্বাভাবিক স্তরে আনতে বাধ্য হন। ইতোমধ্যে দেশের ক্রমবর্ধমান জনগণের বর্ধিত চাহিদা পূরণ করার জন্য সরকার নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যেমন- স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল নির্মাণ, যাতায়াত ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, তথ্য ও প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, খাদ্য ও পুনর্বাসন ইত্যাদি।
ক. প্রত্যক্ষ কর কাকে বলে? ১
খ. মূল্য সংযোজন করকে পরোক্ষ কর বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. উদ্দীপকের আলোকে সরকারের আয়ের খাতগুলো আলোচনা কর। ৩
ঘ. সাম্প্রতিককালে সরকারি ব্যয় বৃদ্ধির কারণ বিশেষণ কর। ৪
১১। বাংলাদেশ প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সম্পাদন করে। নিম্নে বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের একটি তথ্য প্রদান করা হলো- রপ্তানি আয় আমদানি ব্যয়।
ক. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য কাকে বলে? ১
খ. উদ্বৃত্ত পণ্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ভিত্তি- ব্যাখ্যা কর। ২
গ. সূচি অনুযায়ী বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যের রপ্তানি আয়ের স্তম্ভচিত্র অঙ্কন কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের আলোকে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতিধারা ব্যাখ্যা কর। ৪
0 Comments:
Post a Comment