গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলি। সাধারণ জ্ঞান বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন উত্তর। সাম্প্রতিক বাংলা সাধারণ জ্ঞান আপডেট। বিসিএস বাংলা বিষয়াবলী প্রশ্ন ও উত্তর। সাধারণ জ্ঞান সাম্প্রতিক বাংলা বিষয়াবলি। General knowledge in Bangla current affairs question and answer. Bangla Current Affairs General Knowledge MCQ. General Knowledge Bangla Current affairs for BCS Preparation. General Knowledge in Bangla affairs for Govt Job Preparation. General Knowledge Bangla affairs for all Jobs Preparation.
সাধারণ জ্ঞান
বাংলা
৩১তম পর্ব
১. বাংলা সাহিত্যের প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ কে রচনা করেন?
[ক] সুকুমার সেন
✅ দীনেশচন্দ্র সেন
[গ] মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
[ঘ] অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
উত্তর বিশ্লেষণ:
দীনেশচন্দ্র সেন (১৮৬৬-১৯৩৯ খ্রি)
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন ১৮৯৬ সালে রচনা করেন- প্রাচীন ও মধ্যুগের বাংলা সাহিত্যের সুশৃংখল ও তথ্যসমৃদ্ধ ধারাবাহিক ইতিমূলক ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ নামক গ্রন্থটি।
🔶 আবেগময়, প্রাঞ্জল ও কাব্যমন্ডিত ভাষায় লিখিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম যথার্থ ইতিহাস গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত- ‘বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ বাংলা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
🔶 তিনি এটি রচনা করেন- পল্লী অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে সংগৃহীত প্রাচীন বাংলা পুঁথি থেকে উপকরণ গ্রহণ করে।
সুকুমার সেন
🔶 ড. সুকুমার সেন রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস’ (১৯৪০)।
🔶 প্রখ্যাত ভাষাতত্তববিদ ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার- সুকুমার সেন।
🔶 সুকুমার সেন সম্পাদিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সেখশুভোদয়া, বাঙলা ভাষার ইতিবৃত্ত, চর্যাগীতি পদাবলী, চৈতন্যচরিতামৃত প্রভৃতি।
মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
🔶 ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা ভাষার ইতিবৃত্ত’ (১৯৫৯)।
অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
🔶 অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ- ‘বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত’ (১ম খন্ড-১৯৫৯)।
২. ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে ছিলেন?
[ক] প্যারীচাঁদ মিত্র
✅ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
[গ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[ঘ] প্রমথ চৌধুরী
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা উপন্যাস সাহিত্যের স্থপতি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪ খ্রি) প্রথম ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকাটি প্রকাশ করেন- ১৮৭২ সালে এবং তিনিই এ পত্রিকার প্রথম সম্পাদক।
🔶 ১৮৭২ সালে এটি প্রথম প্রকাশিত হয়ে মাত্র ৪ বছর প্রকাশিত হয়- ১৮৭৬ পর্যন্ত।
🔶 স্বল্প সময়ের জন্য পত্রিকাটি সম্পাদনা করেছিলেন- বঙ্কিমচন্দ্রের পর তার ভাই সঞ্জীবচন্দ্র ও শ্রীশচন্দ্র।
🔶 বঙ্কিমচন্দ্র সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS)-এর ৩নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
৩. কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয়?
[ক] বিদ্রোহী
[খ] আনন্দময়ীর আগমনে
[গ] প্রলয়োল্লাস
✅ রক্তাম্বরধারিণী মা
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
রক্তাম্বরধারিণী মা
🔶 ব্রিটিশ সরকার অগ্নিবীণা কাব্যকে নিষিদ্ধ করে-‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতাটিতে তৎকালীন রাজনৈতিক চেতনা প্রাধান্য পাওয়ায়।
🔶 ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতাটি প্রথম ধূমকেতু পত্রিকায় প্রকাশিত হয়- ১৩২৯ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে।
🔶 বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ‘প্রলয়োল্লাস’, ‘বিদ্রোহী’ ও ‘রক্তাম্বরধারিণী মা’ কবিতা তিনটি অন্তর্ভুক্ত- বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’তে-।
🔶 কাজী নজরুল সম্পর্কে জানতে ২৭তম বিসিএস (BCS)-এর ১নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
🔷বিগত ১০ম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৪. ‘মৃন্ময়ী’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন ছোটগল্পের নায়িকা?
✅ সমাপ্তি
[খ] দেনা-পাওনা
[গ] পোস্ট-মাস্টার
[ঘ] মধ্যবর্তিনী
উত্তর বিশ্লেষণ:
সমাপ্তি
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সমাপ্তি’ ছোটগল্পের নায়িকা-‘মৃন্ময়ী’ এবং নায়ক ‘অপূর্বকৃষ্ণ’।
দেনা-পাওনা
🔶 ‘দেনাপাওনা’ ছোটগল্পের নায়িকা- ‘নিরু’।
পোস্ট-মাস্টার
🔶 ‘পোস্টমাস্টার’ গল্পের বালিকা চরিত্র- ‘রতন’।
মধ্যবর্তিনী
🔶 ‘মধ্যবর্তিনী’ গল্পের নায়িকা- ‘হরসুন্দরী’ ও ‘শৈলবালা’ এবং নায়ক ‘নিবারণ’।
৫. ‘উত্তম পুরষ’ উপন্যাসের রচয়িতা কে?
[ক] শওকত ওসমান
[খ] জহির রায়হান
[গ] শহীদুল্লাহ কায়সার
✅ রশীদ করিম
উত্তর বিশ্লেষণ:
রশীদ করিম
🔶 রশীদ করিমের একটি অন্যতম উপন্যাস- ‘উত্তম পুরুষ’।
🔶 ১৯৬১ সালে প্রকাশিত এ উপন্যাসটি রচিত- নগরজীবনের বৈশিষ্ট্য অবলম্বনে।
🔶 তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে রয়েছে- ‘প্রসন্ন পাষাণ’ (১৯৬৩), ‘আমার যত গ্লানি’ (১৯৭৩), ‘মায়ের কাছে যাচ্ছি’ ইত্যাদি।
শওকত ওসমান
🔶 শওকত ওসমান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘সজনী’ (১৯৬৮), ‘ক্রীতদাসের হাসি’ (১৯৬২), ‘জাহান্নাম হতে বিদায়’ (১৯৭১) ইত্যাদি।
জহির রায়হান
🔶 জহির রায়হান রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস- ‘হাজার বছর ধরে’ (১৩৭১), ‘আরেক ফাল্গুন’ (১৩৭৫), ‘বরফ গলা নদী’ (১৩৭৫) ইত্যাদি।
শহীদুল্লাহ কায়সার
🔶 শহীদুল্লাহ কায়সার রচিত উল্লেখযোগ্য উপন্যাস-‘সারেং বউ’ (১৯৬২) ও ‘সংশপ্তক’ (১৯৬৫)।
৬. ‘কাশবনের কন্যা’ কোন জাতীয় রচনা?
[ক] নাটক
✅ উপন্যাস
[গ] কাব্য
[ঘ] ছোটগল্প
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ঔপন্যাসিক শামসুদ্দীন আবুল কালাম রচিত অন্যতম উপন্যাস- ‘কাশবনের কন্যা’।
🔶 উপন্যাসটির উপজীব্য- জেলে সম্প্রদায়ের জীবনধারণ।
🔶 ১৯৫৪ সালে প্রকাশিত (গ্রন্থাকারে) উপন্যাসটিতে অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে- বরিশাল অঞ্চলের মুখের ভাষা ও জীবনবোধ।
🔷বিগত ২৪তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৭. কোনটি মুহম্মদ এনামুল হকের রচনা?
[ক] ভাষার ইতিবৃত্ত
[খ] আধুনিক ভাষাতত্তব
✅ মনীষা মঞ্জুষা
[ঘ] বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
উত্তর বিশ্লেষণ:
মনীষা মঞ্জুষা
🔶 বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক মুহম্মদ এনামুল হক (১৯০৬-১৯৮২) রচিত সংকলন গ্রন্থ- ‘মনীষা মঞ্জুষা’।
🔶 দুই খন্ডের এ গ্রন্থের প্রথম খন্ড প্রকাশিত হয়- ১৯৭৫ সালে এবং দ্বিতীয় খন্ড ১৯৭৬ সালে।
আধুনিক ভাষাতত্ত
🔶 ‘আধুনিক ভাষাতত্তব’ গবেষণা গ্রন্থটি রচনা করেন- আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ।
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
🔶 ‘বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন- ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
৮. বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক কে?
✅ মাইকেল মধুসূদন দত্ত
[খ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
[গ] দেবেন্দ্রনাথ সেন
[ঘ] মোহিতলাল মজুমদার
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা সাহিত্যের সনেট রচনার প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 ইংরেজি ‘সনেট’ শব্দটির বাংলা অর্থ- চতুর্দশপদী কবিতা।
🔶 সনেটে লাইন বা পঙ্ক্তি থাকে- ১৪টি এবং প্রতিটি লাইন বা পঙ্ক্তিতে ১৪টি অক্ষর থাকে।
🔷বিগত ২৯তম বিসিএস (BCS) পরীক্ষায় এই সংক্রান্ত প্রশ্ন এসেছে।
৯. জসীমউদ্দীনের ‘কবর’ কবিতা কোন পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়?
[ক] তত্তববোধিনী পত্রিকা
[খ] ধূমকেতু
✅ কল্লোল
[ঘ] কালি ও কলম
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের (১৯০৩-১৯৭৬ খ্রি) বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’ প্রথম প্রকাশিত হয়- ‘কল্লোল’ পত্রিকার ১৩৩২ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ সংখ্যায়।
🔶 কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত- তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রাখালী’ (১৯২৭) তে।
🔶 তিনি এ কবিতাটি রচনা করেছিলেন- যখন দশম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন।
১০. ‘ক্ষীয়মাণ’-এর বিপরীত শব্দ কি?
[ক] বৃহৎ
[খ] বর্ধিষ্ণু
✅ বর্ধমান
[ঘ] বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
উত্তর বিশ্লেষণ:
বর্ধমান
🔶 ক্ষীয়মান’-এর বিপরীতার্থক শব্দ- বর্ধমান।
🔶 ‘ক্ষীয়মান’ শব্দটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- ক্ষয়প্রাপ্ত হচ্ছে এমন।
বৃহৎ
🔶 ‘বৃহৎ’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- ক্ষুদ্র।
বর্ধিষ্ণু
🔶 বর্ধিষ্ণু’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- ক্ষয়িষ্ণু বা হ্রাসপ্রাপ্ত।
বৃদ্ধিপ্রাপ্ত
🔶 বৃদ্ধিপ্রাপ্ত’ শব্দটির বিপরীতার্থক শব্দ- হ্রাসপ্রাপ্ত।
১১. ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’ এক কথায় হবে-
[ক] নিদাঘ
✅ নশ্বর
[গ] নষ্টমান
[ঘ] বিনশ্বর
উত্তর বিশ্লেষণ:
নশ্বর
🔶 ‘নষ্ট হওয়ার স্বভাব যার’-এর এককথায় প্রকাশ- নশ্বর।
🔶 নশ্বর-এর অপর অর্থ- নাশশীল, অনিত্য বা অস্থায়ী।
নিদাঘ
🔶 নিদাঘ অর্থ- গ্রীষ্মকাল বা উত্তাপ।
নষ্টমান
🔶 নষ্টমান অর্থ- নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যা।
বিনশ্বর
🔶 বিনশ্বর অর্থ- বিনাশধর্মী বা অনিত্য।
১২. যে সমাসের পূর্বপদ সংখ্যাবাচক এবং সমস্তপদের দ্বারা সমাহার বোঝায় তাকে বলে-
[ক] দ্বন্দ্ব সমাস
[খ] রূপক সমাস
[গ] বহুব্রীহি সমাস
✅ দ্বিগু সমাস
উত্তর বিশ্লেষণ:
দ্বিগু সমাস
🔶 যে সমাসে সমাহার অর্থাৎ সমষ্টি অর্থে সংখ্যাবাচক পূর্বপদের সাথে উত্তরপদের সমাস হয় এবং উত্তরপদের অর্থ প্রধানরূপে প্রতীযমান হয় তাকে বলে- দ্বিগু সমাস। যেমন- সে (তিন) তারের সমাহার = সেতার।
দ্বন্দ্ব সমাস
🔶 যে সমাসে সমান বিভক্তিবিশিষ্ট দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়ে এক পদে পরিণত হয় এবং সমস্যমান প্রত্যেকটি পদের অর্থ সমভাবে প্রধানথেকে যায় তাকে বলে- দ্বন্দ্ব সমাস। যেমন- মা ও বাবা = মা-বাবা।
রূপক সমাস
🔶 উপমান ও উপমেয়র মধ্যে অভেদ কল্পনা করে পূর্বপদ উপমেয়র সাথে পরপদ উপমানের যে সমাস হয় তাকে বলে- রূপক কর্মধারয় সমাস। যেমন- বিদ্যা রূপ ধন = বিদ্যাধন।
বহুব্রীহি সমাস
🔶 যে সমাসে পূর্বপদ বা উত্তরপদের কোনোটিরই অর্থ বোঝায় না এবং সমস্তপদটি অন্য একটি পদের অর্থ নির্দেশ করে তাকে বলে- বহুব্রীহি সমাস। যেমন- আশীতে বিষ যার = আশীবিষ (সর্প)।
১৩. কোন বাক্যটি শুদ্ধ?
[ক] তাহার জীবন সংশয়পূর্ণ
[খ] তাহার জীবন সংশয়ময়
✅ তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ
[ঘ] তাহার জীবন সংশয়ভরা
উত্তর বিশ্লেষণ:
🔶 ‘সংশয়’ শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যার বিশেষণ হলো- ‘সংশয়াপূর্ণ’।
🔶 সংশয়াপূর্ণ শব্দটির অর্থ- সন্দেহপূর্ণ বা দ্বিধাপূর্ণ।
🔶 উপরিউক্ত বাক্যে ‘তাহার জীবন সংশয়াপূর্ণ’ দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে-গভীর অনিশ্চয়তা।
১৪. ‘চাঁদমুখ’-এর ব্যাসবাক্য হলো-
[ক] চাঁদমুখের ন্যায়
✅ চাঁদের মত মুখ
[গ] চাঁদ মুখ যার
[ঘ] চাঁদরূপ মুখ
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘চাঁদমুখ’ শব্দটি একটি বিশ্লেষণ পদ, যার ব্যাসবাক্য হলো- চাঁদের মতো মুখ বা চন্দ্রের ন্যায় সুন্দর মুখবিশিষ্ট।
🔶 এটি অন্তর্গত- উপমান কর্মধারয় সমাসের।
১৫. ‘সর্বাঙ্গে ব্যথা, ঔষধ দিব কোথা’-এই বাক্যে ‘ঔষধ’ শব্দ কোন কারকে কোন বিভক্তির উদাহরণ?
✅ কর্ম কারকে শূন্য
[খ] সম্প্রদানে সপ্তমী
[গ] অধিকরণে শূন্য
[ঘ] কর্তৃকারকে শূন্য
উত্তর বিশ্লেষণ:
কর্ম কারকে শূন্য
🔶 কর্তা যা করে বা যাকে আশ্রয় করে ক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাকে বলে- কর্মকারক। যেমন- তুমি বই পড়; এখানে ‘বই’ কর্মকারক।
🔶 সুতরাং প্রশ্নে ‘ঔষধ’ কর্মকে কেন্দ্র করে ক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ায় ‘ঔষধ’ শব্দটি- কর্মকারক (শূন্য বিভক্তি)।
সম্প্রদানে সপ্তমী
🔶 যাকে স্বতব ত্যাগ করে কিছু দান করা হয় তাকে বলে- সম্প্রদান কারক। যেমন- দরিদ্রকে ধন দাও।
অধিকরণে শূন্য
🔶 ক্রিয়ার সময়, বিষয় ও স্থানকে বলে- অধিকরণ কারক। যেমন- প্রভাতে সূর্য উদিত হয়।
কর্তৃকারকে শূন্য
🔶 যে বিশেষ্য বা সর্বনাম পদ ক্রিয়া সম্পাদন করে তাকে বলে- কর্তা বা কর্তৃকারক। যেমন- শিশুরা খেলা করছে।
[ক] সরল
✅ জটিল
[গ] যৌগিক
[ঘ] অনুজ্ঞামূলক
উত্তর বিশ্লেষণ:
জটিল
🔶 উপরোক্ত বাক্যে ‘সুতরাং তুমি প্রথম হবে’ অংশটি প্রধান খন্ড বাক্য এবং ‘যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ’ অংশটি অপ্রধান বা অধীন খন্ডবাক্য হওয়ায় এটা- জটিল বাক্য।
🔶 গঠনগত দিক থেকে বাক্য তিন প্রকার- সরল বাক্য, মিশ্র বা জটিল বাক্য এবং যৌগিক বাক্য।
🔶 যে বাক্যে একটি প্রধান খন্ড বাক্য এবং এক বা একাধিক অপ্রধান বা অধীন খন্ড বাক্য থাকে তাকে বলে- মিশ্র বা জটিল বাক্য। যেমন- যে সত্য কথা বলে, তাকে সবাই ভালোবাসে।
সরল
🔶 যে বাক্যে একটিমাত্র কর্তা এবং একটিমাত্র সমাপিকা ক্রিয়া থাকে, তাকে বলে- সরল বাক্য। যেমন- রহিম খেলা করছে।
যৌগিক
🔶 দুই বা ততোধিক সরল বাক্যের সংমিশ্রণে যে বাক্য গঠিত হয় তাকে বলে- যৌগিক বাক্য। যেমন- লোকটি গরিব, কিন্তু সৎ।
অনুজ্ঞামূলক
🔶 অর্থগত দিক থেকে বাক্য প্রধানত পাঁচ প্রকার- নির্দেশক বাক্য, অনুজ্ঞাসূচক বাক্য, প্রশ্নসূচক বাক্য, কামনামূলক বা ইচ্ছামূলক বাক্য ও বিস্ময়সূচক বাক্য।
🔶 যে বাক্য দ্বারা আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ ও উপদেশ বোঝানো হয় তাকে বলে- অনুজ্ঞাসূচক বাক্য। যেমন- নিয়মিত পড়াশুনা করবে।
১৭. ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’ রবীন্দ্রনাথের কোন কাব্যের কবিতা?
✅ বলাকা
[খ] সোনারতরী
[গ] চিত্রা
[ঘ] পুনশ্চ
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (১৮৬১-১৮৪১ খ্রি) ‘বলাকা’ কাব্যগ্রন্থের ‘বলাকা’ নামক কবিতার প্রথম পংক্তি- ‘সন্ধ্যারাগে ঝিলিমিলি ঝিলমের স্রোতখানি বাঁকা’।
🔶 কবি শ্রীনগরে থাকাকালীন সময়ে এ কবিতাটি রচনা করেন- ১৩২২ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে।
🔶 বলাকা কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়- ১৯১৫ সালে।
🔶 উল্লেখ্য, এ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত অন্য কিছু কবিতা- সবুজের অভিযান, শংখ, ছবি, শা-জাহান, চঞ্চলা ইত্যাদি।
🔶 রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS) এর ১০নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
১৮. বাংলা ছন্দ কত রকমের?
[ক] এক রকমের
[খ] দু রকমের
✅ তিন রকমের
[ঘ] চার রকমের
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 বাংলা ছন্দ তিন রকমের- ক. মাত্রাবৃত্ত খ. স্বরবৃত্ত ও গ. অক্ষরবৃত্ত।
🔶 বাংলা ছন্দ সম্পর্কে জানতে ৩০তম বিসিএস (BCS)-এর ১২নং প্রশ্ন বিশ্লেষণ দেখুন।
১৯. কোনটি শুদ্ধ বানান?
[ক] দন্দ
[খ] দ্বন্দ
✅ দ্বন্দ্ব
[ঘ] দ্বন্ব
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দটি একটি বিশেষ্য পদ, যার অর্থ- ঝগড়া, বিবাদ, যুদ্ধ ইত্যাদি। শব্দটির বিশ্লেষণকৃত রূপ হলো- দ্বি + দ্বি।
২০. ‘অমিত্রাক্ষর’ ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো-
[ক] অন্ত্যমিল আছে
✅ অন্ত্যমিল নেই
[গ] চরণের প্রথমে মিল থাকে
[ঘ] বিশ মাত্রার পর্ব থাকে
প্রশ্ন বিশ্লেষণ:
🔶 অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক- মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
🔶 মধ্যযুগীয় পয়ার ছন্দের যতি, পর্বগত সাম্য ও অন্ত্যমিলহীন ছন্দই হলো- অমিত্রাক্ষর ছন্দ।
🔶 ইংরেজিতে একে বলে- Blank verse।
🔶 এতে নেই- ভাবের গভীরতা এবং এতে থাকে ১৪ মাত্রার অন্ত্যমিলহীন চরণ।
🔶 মধুসূদনের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ কাব্য- ‘তিলোত্তমাসম্ভব’ কাব্য।
🔶 এছাড়া মধুসূদনের এই ছন্দে রচিত কাব্য- ‘বীরাঙ্গনা’ ও ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
🔶 তিনি প্রথম এই ছন্দের ব্যবহার করেন- তাঁর ‘পদ্মাবতী’ নাটকের ২য় অঙ্কের ২য় গর্ভাঙ্কে।
0 Comments:
Post a Comment