৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড
এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
সাধারণ বিজ্ঞান
অষ্টম অধ্যায়
বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
Class 9-10 General Science MCQ Guide. SSC General Science MCQ Question-Answer.
SSC General Science
MCQ
Question and Answer pdf download
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
🔷 মাটি : মাটি হলো নানারকম জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থের মিশ্রণ। সাধারণত মাটিতে বিদ্যমান পদার্থসমূহকে চার ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। এরা হলো খনিজ পদার্থ, জৈব পদার্থ, বায়বীয় পদার্থ ও পানি। মাটিতে বিদ্যমান খনিজ পদার্থসমূহ মিলে অজৈব যৌগ গঠিত হয়।
🔷 হিউমাস : মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ হিউমাস (Humus) নামে পরিচিত। হিউমাস আসলে অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি, অ্যালকোহল, চর্বি, তেল, লিগনিন, ট্যানিন ও অন্যান্য অ্যারোমেটিক যৌগের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ জটিল পদার্থ। এটি দেখতে অনেকটা কালচে রঙের হয়। হিউমাস তৈরি হয় মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে।
🔷 বায়বায়ন : মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলে থাকা বাতাসের গ্যাসের বিনিময় হয় অর্থাৎ বায়ুমণ্ডলের গ্যাস মাটিতে যায় এবং মাটিতে থাকা গ্যাস বায়ুমণ্ডলে চলে আসে। এই প্রক্রিয়াকে মাটির বায়বায়ন (Soil Aeration) বলে।
🔷 অণুজীব : মাটি, পানি, বায়ু সর্বত্র এমন অনেক সূক্ষ জীব আছে যাদেরকে খালি চোখে দেখা যায় না। এ সূক্ষ জীবদেরকে অণুজীব (Micro-Organism) বলা হয়। অণুজীবের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া, প্রোটোজোয়া, ভাইরাস, রিকেটসিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
🔷 মাটির গঠন : মাটির গঠন পরীক্ষা করে দেখা যায় যে মাটি ৪টি সমান্তরাল স্তরে বিভক্ত। প্রতিটি স্তরকে দিগবলয় বা হরাইজোন (Horizon) বলে। সবার উপরে যে স্তরটি থাকে তাকে বলে হরাইজোন A (Horizon A) বা টপ সয়েল (Top soil)। মাটির দ্বিতীয় স্তরটিকে সাবসয়েল (Sub Soil) বা হরাইজোন B (Horizon B)) বলে। মাটির তৃতীয় স্তরটিকে হরাইজোন C (Horizon C) বলে। এই স্তরের নিচে থাকে মূল শিলা যা খুবই শক্ত।
🔷 মাটির প্রকারভেদ : মাটির গঠন, বর্ণ, পানি ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে মূলত চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এরা হলো বালু মাটি, পলি মাটি, কাদামাটি এবং দোআঁশ মাটি।
🔷 বালু মাটি : বালু মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য পানি ধারণক্ষমতা খুবই কম। এতে বিদ্যমান মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে, কণাগুলোর মাঝে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে, ফলে বায়বায়ন অনেক বেশি হয়। এ মাটিতে অতি ক্ষুদ্র শিলা ও খনিজ পদার্থ থাকে। হিউমাস থাকলে এটি চাষাবাদের জন্য সহজসাধ্য, তবে যেহেতু এই মাটির পানি ধারণক্ষমতা কম, তাই পানি দিলে তা দ্রুত নিষ্কাশিত হয় এবং গ্রীষ্মকালে বিশেষ করে উদ্ভিদে পানির স্বল্পতা দেখা যায়। তাই যে সকল ফসলাদিতে অনেক বেশি পানি লাগে সেগুলো বালু মাটিতে ভালো হয় না।
🔷 পলি মাটি : পলি মাটির পানি ধারণক্ষমতা বালু মাটির চেয়ে বেশি। পলি মাটি খুবই উর্বর হয় আর মাটির কণাগুলো বালু মাটির কণার তুলনায় আকারেও ছোট হয়। পলি মাটির কণাগুলো ছোট হওয়ায় এরা পানিতে ভাসমান আকারে থাকে এবং একপর্যায়ে পানির নিচে থাকা জমিতে পলির আকারে জমা পড়ে। পলি মাটিতে জৈব পদার্থ ও খনিজ পদার্থ (যেমন- কোয়ার্টজ) থাকে। বালু মাটির মতো পলি মাটির কণাগুলোও দানাদার হয় এবং এতে উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে।
🔷 কাদা মাটি : এই মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য এটি প্রচুর পানি ধারণ করতে পারে। এটি অনেকটা আঠালো এবং হাত দিয়ে ধরলে হাতে লেগে থাকে। এই মাটির কণাগুলো খুব সূক্ষ হয়, ফলে কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু। এই মাটিতে খনিজ পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি।
🔷 দোআঁশ মাটি : এই মাটি বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়েই তৈরি হয়। দোআঁশ মাটির একদিকে যেমন পানি ধারণক্ষমতা ভালো আবার প্রয়োজনের সময় পানি দ্রুত নিষ্কাশনও ঘটে। তাই চাষাবাদের জন্য দোআঁশ মাটি খুবই উপযোগী।
🔷 মাটির pH : মাটির গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড pH। pH মান জানা থাকলে মাটি এসিডিক, ক্ষারীয় না নিরপেক্ষ তা বোঝা যায়। বেশির ভাগ ফসলের ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ উৎপাদন পাওয়া যায় মাটির pH নিরপেক্ষ হলে অর্থাৎ এর মান ৭ বা তার খুব কাছাকাছি হলে। তবে কিছু কিছু ফসল আছে, যেমন- আলু এবং Mg মাটির pH ৫-৬ হলে সর্বোচ্চ উৎপাদন দেয়। অন্যদিকে কিছু ফসল যেমন- যব ভালো উৎপাদন হয় মাটির pH ৮ হলে ।
🔷 মাটি দূষণের কারণ ও ফলাফল :
১. শিল্প-কারখানা ও শহরাঞ্চলের গৃহস্থালির বর্জ্যে থাকা প্রোটিন বা অ্যামিনো এসিড ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা ভেঙে হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাস, সালফার ডাইঅক্সাইড গ্যাস ও ফসফরাসের অক্সাইড উৎপন্ন করে, যার কারণে মাটি দূষিত হয়ে পড়ে। এ ধরনের দূষণের ফলে ক্ষতিকর পদার্থ মাটি থেকে খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদেহে প্রবেশ করে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হতে পারে।
২. পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বা অস্ত্র তৈরির কারখানা থেকে দুর্ঘটনা বা পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলে নিঃসৃত রেডন (Rn), রেডিয়াম (Ra), থোরিয়াম (Th), সিজিয়াম (Cs), ইউরেনিয়াম (U) ইত্যাদি তেজস্ক্রিয় পদার্থ শুধু যে মাটির উর্বরতাই নষ্ট করে তা নয়, এরা প্রাণিদেহেও ত্বক ও ফুসফুসের ক্যান্সার সৃষ্টি করে। এরাও খাদ্য শৃঙ্খলের মাধ্যমে প্রাণীদেহে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে।
৩. নদীভাঙনের ফলে নদীর পাড় ভাঙা, মাটি বা অন্য যেকোনোভাবে সৃষ্ট মাটি বা পানিতে অদ্রবণীয় পদার্থ পানির দ্বারা প্রবাহিত হয়ে এক পর্যায়ে গিয়ে কোথাও না কোথাও তলানি আকারে পড়ে। এই জাতীয় তলানি ফসলি জমির ওপর পড়লে তা জমির উপরিভাগ যা ফসল উৎপাদনে মূল ভূমিকা পালন করে, তার ওপর আস্তরণ সৃষ্টি করে।
৪. খনি থেকে জ্বালানি খনিজ পদার্থ বা তেল, গ্যাস ও কয়লার মতো প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণের সময় প্রচুর মাটি খনন করে সরিয়ে ফেলতে হয়। এতে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসলহানি যেমন ঘটে তেমনি মাটি দূষণের ফলে মাটির উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়।
🔷 মাটি সংরক্ষণের কৌশল : মাটি সংরক্ষণের অন্যতম কৌশল হলো মাটিতে বেশি করে গাছ লাগানো। মাটিতে তৃণগুল্ম ও দূর্বা বা অন্য যেকোনো ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ও অন্যান্য গাছপালা থাকলে ভারী বৃষ্টিপাতও মাটির ক্ষয়সাধন করতে পারে না। ঘাস মাটি থেকে তুললে তা মাটির ক্ষয়সাধন করে। তাই ঘাস কাটার সময় একেবারে মাটি ঘেঁষে কাটা উচিত নয়। বনের গাছ কাটার ফলে অনেক সময় বিস্তীর্ণ এলাকা গাছশূন্য ও অনাচ্ছাদিত হয়ে পড়ে। কাজেই নতুন গাছ লাগানোর ব্যবস্থা না করে কোনোমতোই বনের গাছ কাটা যাবে না। রাসায়নিক সারের বদলে জৈব সার উত্তম, কারণ জৈব সারে থাকা উপাদান ও হিউমাস পানি শোষণ করতে পারে। রাসায়নিক সার মাটিতে বসবাসকারী উপকারী পোকামাকড় অণুজীব ধ্বংস করে, ফলে উর্বরতাও নষ্ট হয়ে যায়। একই জমিতে বারবার একই ফসল চাষ করলে উর্বরতা নষ্ট হয়। তাই একই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করা উচিত।
🔷 মাটিতে অবস্থিত সাধারণ খনিজ : খনিজ লবণ, পেন্সিলের সিস, ট্যালকম পাউডার, চীনা মাটির থালা-বাসন ইত্যাদি হাজারো রকম জিনিস মাটি ও শিলা থেকে প্রাপ্ত খনিজ পদার্থ। বেশির ভাগ খনিজ পদার্থই কঠিন অবস্থায় পাওয়া যায়। এদের নির্দিষ্ট রাসায়নিক সংযুক্তি থাকে। ধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে অন্যতম হলো লৌহ (Fe), তামা (Cu) বা কপার, সোনা (Au) ও রুপা (Ag)। অধাতব খনিজ পদার্থের মধ্যে কোয়ার্টজ (Quartz), মাইকা (Mica), খনিজ লবণ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। কয়লা, গ্যাস, পেট্রোল ইত্যাদি এগুলো জৈব খনিজ পদার্থ।
🔷 খনিজ পদার্থের ভৌত ধর্ম : খনিজ পদার্থসমূহ সাধারণত দানাদার বা কেলাসাকার হয়। এক একটি খনিজের কঠিনতা একেক রকম। কঠিনতা অনুযায়ী সবচেয়ে নরম খনিজ হলো ট্যালক (Talc), আর সবচেয়ে বেশি কঠিন খনিজ হলো হীরা বা ডায়মন্ড। কিছু কিছু খনিজ পদার্থ খুব স্বচ্ছ এবং এর মধ্যে আলো প্রবেশ করতে পারে। যেমন- কোয়ার্টজ বা সিলিকা, আবার কিছু খনিজের মধ্য দিয়ে আলো প্রবেশ করলেও এর মধ্য দিয়ে কোনো বস্তু দেখা যায় না। অন্যদিকে এমন খনিজও আছে যার মধ্য দিয়ে মোটেই আলো প্রবেশ করতে পারে না। যেমন : ক্যালসাইট (CaCO3) বা চুনাপাথর। সাধারণত প্রতিটি খনিজ পদার্থেরই নির্দিষ্ট বর্ণ আছে।
🔷 প্রাকৃতিক গ্যাস : প্রাকৃতিক গ্যাস মূলত মিথেন (CH4) গ্যাস। তবে সামান্য পরিমাণে অন্যান্য পদার্থ যেমন- ইথেন, প্রোপেন, বিউটেন থাকে। এছাড়া এতে অতি সামান্য পরিমাণ কার্বন ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন, হাইড্রোজেন সালফাইড, হাইড্রোজেন ও আর্গন ও হিলিয়াম থাকে।
🔷 পেট্রোলিয়াম : পেট্রোলিয়াম হলো খনিজ তেল অর্থাৎ খনিতে পাওয়া যায় যেসব তরল জ্বালানি পদার্থ। সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে খনিজ পেট্রোলিয়ামও থাকে। গ্যাসোলিন, কেরোসিন, ডিজেল এসবই পেট্রোলিয়াম। প্রাকৃতিক গ্যাস তৈরি হয় মৃত গাছপালা ও প্রাণিদেহ থেকে। হাজার হাজার বছর আগে মরে যাওয়া গাছপালা ও প্রাণীর পচা দেহাবশেষ কাদা ও পানির সাথে ভূগর্ভে জমা হয়। সময়ের সাথে সাথে এরা বিভিন্ন রকম শিলা স্তরে ঢাকা পড়ে। শিলা স্তরের চাপে পচা দেহাবশেষ ঘনীভূত হয় এবং প্রচণ্ড চাপে ও তাপে দেহাবশেষে বিদ্যমান জৈব পদার্থ প্রাকৃতিক গ্যাসে ও পেট্রোলিয়ামে পরিণত হয়।
🔷 প্রাকৃতিক গ্যাস ও পেট্রোলিয়ামের প্রক্রিয়াকরণ : সাধারণত গ্যাসকূপে গ্যাস ও তেল একসাথে থাকে। তাই প্রথমেই তেলকে গ্যাস থেকে আলাদা করা হয়। এরপর প্রাকৃতিক গ্যাসে থাকা বিশুদ্ধ মিথেন গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন করা হয়।
🔷 কয়লা : কয়লা হলো কালো বা বাদামি কালো রঙের একধরনের পাললিক শিলা। এতে বিদ্যমান মূল উপাদান হলো কার্বন। কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ, তাই জ্বালানি হিসেবে এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। কয়লা তিন রকমের হয়। যথা- অ্যানথ্রাসাইট, বিটুমিনাস ও লিগনাইট।
১. সবচেয়ে নরম খনিজ কোনটি?
[ক] হীরা
✅ ট্যালক
[গ] সিলিকা
[ঘ] চুনাপাথর
২. সাবসয়েল স্তরের মাটি-
i. শিলাচূর্ণে ভরপুর
ii. খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ
iii. জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
✅ ii ও iii
[ঘ] i, ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ৩ ও ৪নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
টোকিও শহরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি মাটিতে কোনো উদ্ভিদ জন্মে না কেবল মাশরুম ভালো জন্মে।
৩. ঐ মাটিতে কোনটির আধিক্য রয়েছে?
[ক] শিলা
[খ] খনিজ পদার্থ
[গ] জৈব পদার্থ
✅ তেজস্ক্রিয় পদার্থ
৪. কোন মাটিতে ভালো ফসল ফলে?
[ক] বালু ও খনিজ মিশ্রিত মাটিতে
[খ] খনিজ ও খনিজ পদার্থ মিশ্রিত মাটিতে
[গ] বালি ও পলি মিশ্রিত মাটিতে
✅ বালি, পলি ও কাদা মিশ্রিত মাটিতে
নিচের চিত্রটি থেকে ৫ ও ৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৫. কোন স্তরে শিলাচূর্ণ থাকে?
[ক] X স্তরে
[খ] Y স্তরে
✅ Z স্তরে
[ঘ] Z স্তরের নিচে
৬. সবচেয়ে উপরের স্তরের মাটিতে ভালো ফসল হওয়ার কারণ হলো, এ মাটিতে-
✅ জৈব পদার্থ থাকে
[খ] খনিজ উপাদান থাকে
[গ] শিলাচূর্ণ বিদ্যমান
[ঘ] অণুজীব থাকে
৭. নিচের কোনটি জিপসামের সংকেত?
[ক] Fe3O4
✅ CaSO4.2H2O
[গ] CuSO4.5H2O
[ঘ] ZnSO4.2H2O
৮. মাটির কণা তৈরি হয় কোন স্তরে?
[ক] হরাইজোন A তে
[খ] হরাইজোন B তে
✅ হরাইজোন C তে
[ঘ] হরাইজোন D তে
৯. মাটির প্রধান খনিজ উপাদান কোনটি?
[ক] নাইট্রোজেন
[খ] ফসফরাস
[গ] রেডিয়াম
✅ ক্যালসিয়াম
১০. SiO2 ব্যবহার হয় কোনটিতে?
[ক] সিমেন্ট তৈরিতে
✅ রেডিও তৈরিতে
[গ] ধাতব মুদ্রা তৈরিতে
[ঘ] ভবন তৈরিতে
১১. শতকরা কতভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস ইউরিয়া সারের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়?
[ক] ১১
✅ ২১
[গ] ২২
[ঘ] ৫১
১২. সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরির কাঁচামাল কোনটি?
[ক] CuSO4.2H2O
✅ CaSO4.2H2O
[গ] CaCO3.2H2O
[ঘ] CuSO4.5H2O
১৩. প্রকৃতিতে কত রকমের খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়?
[ক] ৩০০০
✅ ২৫০০
[গ] ২০০০
[ঘ] ১৫০০
১৪. মাটির কোন স্তরে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে?
[ক] Horizon-A
[খ] Horizon-B
✅ Horizon-C
[ঘ] Horizon-C এর নিচে
১৫. শিল্প কারখানায় কত ভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহৃত হয়?
[ক] ১
[খ] ১১
[গ] ২১
✅ ২২
১৬. শতকরা প্রায় কতভাগ প্রাকৃতিক গ্যাস বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়?
[ক] ১১
[খ] ২১
[গ] ২২
✅ ৫১
১৭. কোন মাটির পানির ধারণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি?
[ক] বালি মাটি
[খ] পলি মাটি
[গ] দো-আঁশ মাটি
✅ কাদা মাটি
১৮. মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থের উপাদান কোনটি?
[ক] পটাশিয়াম
[খ] কোবাল্ট
[গ] কপার
✅ ট্যানিন
১৯. নিচের কোনটি তেজস্ক্রিয় পদার্থ?
[ক] জিঙ্ক
[খ] কোবাল্ট
[গ] আর্সেনিক
✅ ইউরেনিয়াম
২০. কয়লার মূল উপাদান কোনটি?
[ক] Ca
✅ C
[গ] Cl
[ঘ] Al
২১. মাটির বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে মাটিকে কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে?
[ক] তিন
✅ চার
[গ] পাঁচ
[ঘ] ছয়
২২. মাটির গঠন উপাদানে জৈব পদার্থের শতকরা পরিমাণ কত ভাগ?
[ক] ২০ ভাগ
[খ] ১৫ ভাগ
[গ] ১০ ভাগ
✅ ৫ ভাগ
নিচের ছকটি লক্ষ করে ২৩ ও ২৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
তেল গ্যাস পৃথককরণ
↓
ঘনীভূত করে পৃথককরণ
↓
পানি নিরুদন
↓
বিশোধন
↓
X
২৩. উদ্দীপকে কোন পদার্থ প্রক্রিয়াজাতকরণের ছক দেখানো হয়েছে?
[ক] তেল
✅ গ্যাস
[গ] কয়লা
[ঘ] পানি
২৪. X ধাপটি হলো-
i. নাইট্রোজেন পৃথককরণ
ii. বিশুদ্ধকরণ
iii. ঘনীভবন
নিচের কোনটি সঠিক?
✅ i
[খ] i ও ii
[গ] ii
[ঘ] ii ও iii
নিচের অনুচ্ছেদটি পড় এবং ২৫ ও ২৬নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
আবুল হোসেন প্রতি বছর তাঁর জমিতে বেশি বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ করেন। একই জমিতে প্রতি বছরই তিনি পাট ও পিঁয়াজ আবাদ করেন। এ অবস্থায় তাঁর ভালো ফলন না হওয়ার কারণে তিনি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেন।
২৫. ভালো ফলন পেতে তাকে-
[ক] বেশি পানি দিতে হবে
[খ] বেশি রাসায়নিক সার দিতে হবে
✅ জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে
[ঘ] প্রতি বছর একই ফসল আবাদ করতে হবে
২৬. আবুল হোসেনের জমিতে গৃহীত চাষ ব্যবস্থার জন্য নিচের কোনটি ঘটেছে?
[ক] জমির উর্বরতা বেড়েছে
[খ] জমির পোকামাকড় বেড়েছে
✅ জমির উর্বরতা ও পানি ধারণ ক্ষমতা কমেছে
[ঘ] Rমির পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে
নিচের টেবিলটি লক্ষ কর এবং ২৭ ও ২৮নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
মাটির কণাবৈশিষ্ট্য
O পানি ধারণক্ষমতা কম
P আঙুলের ঘষা দিলে মসৃণ অনুভূত হয়
Q পানি ধারণক্ষমতা বেশি
R চাষাবাদের উপযোগী
২৭. কোনটিতে উদ্ভিদের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান বেশি থাকে?
[ক] O
✅ P
[গ] Q
[ঘ] R
২৮. R কণাগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য-
i. এতে পানি দ্রুত নিষ্কাষিত হতে পারে না
ii. এটি O, P, Q দ্বারা তৈরি
iii. এটি O, P, Q এর অনুপাতের উপর নির্ভরশীল
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
✅ ii ও iii
[ঘ] i, ii ও iii
মাটির গঠন 📖 পৃষ্ঠা : ১১৮-১২১
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
২৯. সাধারণত মাটিতে বিদ্যমান পদার্থসমূহকে কত ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে? (জ্ঞান)
[ক] দুই
[খ] তিন
✅ চার
[ঘ] পাঁচ
৩০. হিউমাসে বিদ্যমান কোনটি? (জ্ঞান)
✅ অ্যামিনো এসিড
[খ] বোরন
[গ] আয়োডিন
[ঘ] পটাসিয়াম
৩১. মাটিতে বিদ্যমান জৈব পদার্থ কী নামে পরিচিত? (জ্ঞান)
[ক] জৈব যৌগ
[খ] অজৈব যৌগ
[গ] খনিজ পদার্থ
✅ হিউমাস
৩২. মাটিতে পানির শতকরা পরিমাণ কত? (জ্ঞান)
[ক] ৫%
✅ ২৫%
[গ] ৩০%
[ঘ] ৪৫%
৩৩. উদ্ভিদকোষের প্রোটোপ্লাজমের শতকরা কত ভাগ পানি? (জ্ঞান)
[ক] ৬০-৭০
[খ] ৬৫-৭০
[গ] ৭০-৮০
✅ ৮৫-৯৫
৩৪. সালোকসংশ্লেষণের জন্য উদ্ভিদ মাটি থেকে কী গ্রহণ করে? (জ্ঞান)
[ক] ক্লোরোফিল
✅ পানি
[গ] অক্সিজেন
[ঘ] কার্বন ডাইঅক্সাইড
৩৫. নিচের কোনটি মাটিতে থাকা বায়বীয় পদার্থকে কাজে লাগিয়ে বেঁচে থাকে? (জ্ঞান)
[ক] গাছপালা
[খ] ক্ষুদ্র উদ্ভিদ
[গ] ঘাস জাতীয় উদ্ভিদ
✅ অণুজীব
৩৬. মাটি কয়টি সমান্তরাল স্তরে বিভক্ত? (জ্ঞান)
[ক] ২
[খ] ৩
✅ ৪
[ঘ] ৫
৩৭. মাটির দ্বিতীয় স্তরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
✅ সাবসয়েল
[খ] টপসয়েল
[গ] সেকেন্ড সয়েল
[ঘ] লেস সয়েল
৩৮. নিচের কোনটি মাটির কণায় পরিণত হয়? (জ্ঞান)
[ক] কংকর
[খ] কাদা
[গ] জৈব পদার্থ
✅ শিলা
৩৯. মাটি থেকে উদ্ভিদ পানি ও খনিজ লবণ শোষণ করে কার দ্বারা? (জ্ঞান)
[ক] জাইলেম
[খ] ফ্লোয়েম
✅ মূলরোম
[ঘ] মূল
৪০. মাটিতে কোন পদার্থের উপস্থিতির জন্য হিউমাসের সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
[ক] অজৈব পদার্থ
✅ জৈব পদার্থ
[গ] পানি
[ঘ] বায়ু
৪১. নিচের কোনটি মৃত গাছপালা ও প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে তৈরি হয়? (অনুধাবন)
✅ হিউমাস
[খ] কাদামাটি
[গ] জৈব যৌগ
[ঘ] অজৈব যৌগ
৪২. নিচের কোনটি দেখতে অনেকটা কালচে রঙের হয়? (অনুধাবন)
[ক] অজৈব যৌগ
[খ] কাদামাটি
[গ] বেলে মাটি
✅ হিউমাস
৪৩. মাটিতে বিদ্যমান পদার্থসমূহের মধ্যে বায়বীয় পদার্থের পরিমাণ কত? (অনুধাবন)
[ক] ৫%
[খ] ২০%
✅ ২৫%
[ঘ] ৪৫%
৪৪. কাদামাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা বেশি হয় কেন? (অনুধাবন)
[ক] মাটির কণার ফাঁকে রন্ধ্র খুব মোটা হয় বলে
✅ মাটির কণার ফাঁকে রন্ধ্র খুব সূক্ষ হয় বলে
[গ] মাটির কণার ফাঁকে রন্ধ্র থাকে না বলে
[ঘ] মাটির কণার ফাঁকে রন্ধ্র রসালো হয় বলে
৪৫. উদ্ভিদকোষের প্রোটোপ্লাজমের জন্য দরকারি পানি কী থেকে আসে? (অনুধাবন)
✅ মাটি
[খ] খাদ্য
[গ] বায়ু
[ঘ] জলীয় বাষ্প
৪৬. সালোকসংশ্লেষণের জন্য কী কী উপাদান প্রয়োজন? (অনুধাবন)
[ক] পানি, হাইড্রোজেন, অক্সিজেন
[খ] নাইট্রোজেন, ক্লোরোফিল
[গ] কার্বন, পানি, অক্সিজেন
✅ কার্বন ডাইঅক্সাইড, পানি, সূর্যের আলো, ক্লোরোফিল
৪৭. পানি না থাকলে উদ্ভিদ মাটি থেকে নিচের কোন পুষ্টি উপাদান গ্রহণ করতে পারে না? (অনুধাবন)
✅ নাইট্রোজেন
[খ] কার্বন
[গ] হাইড্রোজেন
[ঘ] অক্সিজেন
৪৮. হিউমাসসহ অন্যান্য জৈব পদার্থ মাটির কোন স্তরে থাকে? (অনুধাবন)
✅ হরাইজোন A
[খ] হরাইজোন B
[গ] হরাইজোন C
[ঘ] হরাইজোন D
৪৯. খনিজ পদার্থ বেশি থাকে মাটির কোন স্তরে? (অনুধাবন)
[ক] হরাইজোন A-তে
✅ হরাইজোন B-তে
[গ] হরাইজোন C-তে
[ঘ] হরাইজোন D-তে
৫০. কোন স্তরের শিলা নরম হয়ে মাটি কণায় পরিণত হয়? (অনুধাবন)
[ক] হরাইজোন A-তে
[খ] হরাইজোন B-তে
✅ হরাইজোন C-তে
[ঘ] হরাইজোন D-তে
৫১. বালি মাটি পানি ধরে রাখতে পারে না কেন? (অনুধাবন)
[ক] মাটির কণার মাঝে থাকা রন্ধ্র অনেক ছোট বলে
✅ মাটির কণার মাঝে থাকা রন্ধ্র অনেক বড় বলে
[গ] মাটিতে থাকা হিউমাস পানি শোষণ করে রাখতে পারে বলে
[ঘ] মাটিতে থাকা হিউমাস পানি শোষণ করে রাখতে পারে না বলে
৫২. মাটির পানি শোষণ করে রাখতে ভূমিকা রাখে কোনটি? (অনুধাবন)
✅ হিউমাস
[খ] জৈব পদার্থ
[গ] অজৈব পদার্থ
[ঘ] প্রাণীর দেহাবশেষ
৫৩. মাটির কণার ফাঁকা স্থানে পানির সাথে আর কী আটকে থাকে? (প্রয়োগ)
[ক] পুষ্টি উপাদান
[খ] জৈব পদার্থ
[গ] হিউমাস
✅ বাতাস
৫৪. মাটিতে থাকা গ্যাসের সাথে বায়ুমণ্ডলে থাকা গ্যাসের বিনিময় হয়। এই প্রক্রিয়াকে কী বলে? (জ্ঞান)
[ক] ব্যাপন
[খ] গ্যাস বিনিময়
✅ বায়বায়ন
[ঘ] প্রাণশক্তি
৫৫. মাটির সমান্তরাল স্তরের প্রতিটি স্তরকে কী বলা হয়? (জ্ঞান)
✅ হরাইজোন
[খ] বায়বায়ন
[গ] সাভসয়েল
[ঘ] টপ সয়েল
৫৬. মাটির কাজের সাথে অমিল প্রকাশ করে নিচের কোনটি? (উচ্চতর দক্ষতা)
[ক] খাবার সংস্থান ও গাছপালা উৎপাদন
[খ] খনিজ পদার্থ সংস্থান
[গ] প্রাকৃতিক জ্বালানির গঠন
✅ O2 ও CO2-এর ভারসাম্য রক্ষা
৫৭. মাটির পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কিসের ওপর নির্ভর করে? (উচ্চতর দক্ষতা)
✅ রন্দ্রের আকার-আকৃতি
[খ] মাটির গুণাগুণ
[গ] মাটির প্রকারভেদ
[ঘ] মাটির বৈশিষ্ট্য
৫৮. উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহ এবং এদের বর্জ্য পদার্থের পচনের মাটিতে কী বৃদ্ধি পায়? (উচ্চতর দক্ষতা)
[ক] উর্বরতা
[খ] পুষ্টি উপাদান
✅ পুষ্টি উপাদান ও উর্বরতা
[ঘ] নাইট্রোজেন
৫৯. মাটির কণার ফাঁকে ফাঁকে কী জমা থাকে? (অনুধাবন)
✅ বায়ু ও পানি
[খ] ধাতব পদার্থ
[গ] জৈব পদার্থ
[ঘ] অজৈব পদার্থ
বহুপদী সমাপ্তিসূচক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
৬০. হিউমাস- (অনুধাবন)
i. লিগনিন ও ট্যানিন থেকে গঠিত
ii. প্রাণীর দেহাবশেষ থেকে গঠিত
iii. জটিল পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i
[খ] i ও ii
[গ] i ও iii
✅ i, ii ও iii
৬১. মাটি- (অনুধাবন)
i. জৈব ও অজৈব পদার্থের মিশ্রণ
ii. এতে বায়বীয় পদার্থের পরিমাণ ২৫%
iii. না থাকলে অক্সিজেন পেতাম না
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
[গ] ii ও iii
✅ i, ii ও iii
৬২. মাটিতে বিদ্যমান প্রধান প্রধান অজৈব পদার্থসমূহ হলো- (অনুধাবন)
i. Ca, Al, Mg, Fe
ii. Si, K, Na, Mn
iii. Cu, Zn, Co, B
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
[গ] ii ও iii
✅ i, ii ও iii
৬৩. মাটিতে থাকা হিউমাস যেসব যৌগের সমন্বয়ে গঠিত- (অনুধাবন)
i. অ্যামিনো এসিড, প্রোটিন, চিনি
ii. অ্যালকোহল, চর্বি, তেল
iii. লিগনিন, ট্যানিন, অ্যারোমেটিক যৌগ
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
[গ] ii ও iii
✅ i, ii ও iii
৬৪. জৈব পদার্থ- (উচ্চতর দক্ষতা)
i. মাটির পানিধারণ ক্ষমতা বাড়ায়
ii. মাটিস্থ অণুজীবগুলোকে সক্রিয় করে
iii. মাটির উর্বরতা বাড়ায়
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i
[খ] ii
[গ] i ও ii
✅ i, ii ও iii
৬৫. মাটিতে বিদ্যমান অক্সিজেন গ্যাস- (অনুধাবন)
i. বায়বায়ন প্রক্রিয়ায় মাটিতে আসে
ii. অণুজীব জন্ম ও বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন
iii. অদ্রবণীয় খনিজ পদার্থকে ভেঙে দ্রবণীয় পদার্থে পরিণত হয়
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i ও ii
[খ] i ও iii
[গ] ii ও iii
✅ i, ii ও iii
৬৬. মাটিস্থ খনিজ পদার্থের ফাঁকে ফাঁকে থাকে- (অনুধাবন)
i. বায়ু
ii. পানি
iii. জৈব পদার্থ
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i
✅ i ও ii
[গ] i ও iii
[ঘ] i, ii ও iii
অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
চিত্রে কণা, পানি ও বাতাস মাটিতে কীভাবে থাকে তা দেখানো হলো। এ থেকে ৬৭-৬৯নং প্রশ্নের উত্তর দাও :
৬৭. মাটিতে পানি কোন চিহ্নিত স্থানে অবস্থান করে? (প্রয়োগ)
[ক] ক
[খ] খ
✅ গ
[ঘ] ঘ
৬৮. মাটির বায়বায়ন প্রক্রিয়া কাদের মধ্যে সংঘটিত হয়? (অনুধাবন)
[ক] ক ও খ
[খ] ক ও গ
✅ গ ও ঘ
[ঘ] ক ও ঘ
৬৯. মাটিতে গ না থাকলে কী হতো? (উচ্চতর দক্ষতা)
i. গাছপালার খনিজ উপাদান শোষণ ব্যাহত হতো
ii. সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার ব্যাঘাত ঘটত
iii. প্রস্বেদন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেত
নিচের কোনটি সঠিক?
[ক] i
[খ] ii
✅ i ও ii
[ঘ] i, ii ও iii
মাটির প্রকারভেদ 📖 পৃষ্ঠা : ১২১-১২২
সাধারণ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
৭০. কৃষিক্ষেত্রে কোন মাটিকে আদর্শ মাটি বলা হয়? (জ্ঞান)
[ক] বালু
[খ] পলি
[গ] কাদা
✅ দোআঁশ
৭১. মাটির গঠন, বর্ণ, পানি ধারণক্ষমতা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে মাটিকে মূলত কত ভাগে ভাগ করা হয়েছে? (জ্ঞান)
[ক] দুই
[খ] তিন
✅ চার
[ঘ] পাঁচ
৭২. কোন মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা খুবই কম? (জ্ঞান)
✅ বালুমাটি
[খ] পলি
[গ] কাদা মাটি
[ঘ] দোআঁশ
৭৩. কোন মাটির বায়বায়ন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি হয়? (জ্ঞান)
[ক] দোআঁশ
[খ] কাদা
[গ] পলি
✅ বালু
৭৪. বালু মাটিতে কী উপস্থিত থাকলে চাষাবাদ সহজসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়? (জ্ঞান)
[ক] পানি
✅ হিউমাস
[গ] বায়ু
[ঘ] অজৈব পদার্থ
৭৫. বালু মাটি কখন চাষাবাদের জন্য উপযোগী হয়ে উঠতে পারে? (জ্ঞান)
[ক] বায়বায়নের হার বেড়ে গেলে
[খ] গাছের শিকড়ে পানি জমে থাকলে
✅ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে
[ঘ] অজৈব খনিজের জোগান বেড়ে গেলে
৭৬. কোন মাটি খুব উর্বর হয়? (জ্ঞান)
[ক] বালু
✅ পলি
[গ] কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৭৭. খড়িমাটি কী প্রকৃতির? (জ্ঞান)
[ক] এসিডিক
✅ ক্ষারীয়
[গ] কাদাযুক্ত
[ঘ] বালুযুক্ত
৭৮. কাদামাটিতে ফসল চাষের জন্য কী প্রয়োগ করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়ায়? (জ্ঞান)
[ক] ইউরিয়া
[খ] অ্যামোনিয়াম সালফেট
[গ] অজৈব সার
✅ জৈব সার
৭৯. কোন মাটিতে সামান্য বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়? (জ্ঞান)
[ক] পলি
[খ] বালু
✅ কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৮০. বালু, পলি ও কাদা মাটির সমন্বয়ে কোন মাটি তৈরি হয়? (জ্ঞান)
[ক] পলি
[খ] বালু
[গ] কাদা
✅ দোআঁশ
৮১. কোন মাটি ক্ষারীয় হয়? (জ্ঞান)
[ক] বালু
✅ খড়ি
[গ] পিটি
[ঘ] কাদা
৮২. গ্রীষ্মকালে খড়িমাটি ফসল উৎপাদনের উপযোগী থাকে না কেন? (জ্ঞান)
[ক] মাটির কণা খুব সূক্ষ হয় বলে
✅ মাটি দ্রুত শুকিয়ে যায় বলে
[গ] মাটিতে জৈব পদার্থ থাকে না বলে
[ঘ] মাটি অনেকটা আঠালো আকার ধারণ করে বলে
৮৩. গাছপালার জন্য অত্যাবশ্যকীয় আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটে কোন মাটিতে? (জ্ঞান)
[ক] কাদা
[খ] দোআঁশ
✅ খড়ি
[ঘ] পিটি
৮৪. মাটির কণার আকার সবচেয়ে বড় থাকে কোন মাটির? (জ্ঞান)
✅ বালু
[খ] পলি
[গ] কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৮৫. ফসল চাষাবাদের জন্য কোন মাটি খুবই উপযোগী? (জ্ঞান)
[ক] বালু
[খ] পলি
✅ দোআঁশ
[ঘ] কাদা
৮৬. পানি ধারণক্ষমতা সবচেয়ে বেশি কোন মাটির? (অনুধাবন)
[ক] বালু
[খ] পলি
✅ কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৮৭. বালু মাটি দিয়ে বলের মতো মাটির গুটি বানানো যায় না কেন? (অনুধাবন)
[ক] কণার ফাঁকে পানি ও বায়ু জমে থাকে না বলে
[খ] কণার আকর্ষণ ক্ষমতা নেই বলে
[গ] কণার ছিদ্র খুব বড় হয় বলে
✅ পানি ধরে রাখার ক্ষমতা নেই বলে
৮৮. বালু মাটিতে বায়বায়ন বেশি হয় কেন? (অনুধাবন)
[ক] কণার আকার সবচেয়ে ছোট থাকে বলে
✅ কণার মাঝে ফাঁকা জায়গা বেশি থাকে বলে
[গ] কণার আকর্ষণ শক্তি বেশি হয় বলে
[ঘ] কণার পানি ধরে রাখার ক্ষমতা কম বলে
৮৯. বালু মাটিতে গ্রীষ্মকালে জমি চাষে পানি স্বল্পতা দেখা দেয় কেন? (অনুধাবন)
[ক] বায়বায়ন হার বেড়ে যায় বলে
[খ] জৈব পদার্থ অনেক কমে যায় বলে
✅ পানি দ্রুত নিষ্কাশিত হয়ে যায় বলে
[ঘ] জলাবদ্ধতা তৈরি হয় বলে
৯০. পলি মাটিতে খনিজ পদার্থের মধ্যে কোনটি বেশি থাকে? (জ্ঞান)
[ক] ট্যালক
[খ] মাইকা
[গ] সিলিকা
✅ কোয়ার্টজ
৯১. উদ্ভিদের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান বেশি থাকে কোন মাটিতে? (অনুধাবন)
[ক] বালু
✅ পলি
[গ] কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৯২. কাদা মাটির প্রধান বৈশিষ্ট্য কোনটি? (অনুধাবন)
[ক] মাটির কণাগুলো খুব ভারী হয়
[খ] বায়বায়ন হার বেশি হয়
✅ প্রচুর পানি ধারণ করতে পারে
[ঘ] জৈব পদার্থ খুব কম থাকে
৯৩. হাত দিয়ে ধরলে হাতে লেগে থাকে কোন মাটি? (জ্ঞান)
[ক] বালু
[খ] পলি
[গ] দোআঁশ
✅ কাদা
৯৪. কাদা মাটি হাতে লেগে থাকে কেন? (অনুধাবন)
✅ মাটিতে আঠালো ভাব থাকে বলে
[খ] মাটি খুব সূক্ষ হয় বলে
[গ] মাটিতে খনিজ পদার্থ বেশি থাকে বলে
[ঘ] মাটিতে খনিজ পদার্থ বেশি থাকে না বলে
৯৫. মাটির কণাগুলোর মধ্যকার রন্ধ্র খুব ছোট ও সরু হয় কোন মাটির? (অনুধাবন)
[ক] বালু
[খ] পলি
✅ কাদা
[ঘ] দোআঁশ
৯৬. খনিজ পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে কোনটি? (অনুধাবন)
[ক] বালু মাটির
[খ] পলি মাটির
✅ কাদা মাটির
[ঘ] দোআঁশ মাটির
৯৭. কোন মাটি পানি দ্রুত নিষ্কাশন করতে পারে? (অনুধাবন)
✅ দোআঁশ
[খ] পলি
[গ] কাদা
[ঘ] বালু
৯৮. সামান্য পানিযুক্ত মাটি আঙুল দিয়ে ঘষলে যদি মসৃণ অনুভূত হয়, তাহলে এটিকে কী মাটি হিসেবে চিহ্নিত করবে? (প্রয়োগ)
[ক] বালু
[খ] কাদা
[গ] দোআঁশ
✅ পলি
৯৯. ডোবা ও আর্দ্র এলাকায় একপ্রকার মাটি পাওয়া যায়, যা জৈব পদার্থে পরিপূর্ণ। এ মাটিকে কী বলা হয়? (প্রয়োগ)
[ক] খড়ি
✅ পিটি
[গ] দোআঁশ
[ঘ] পলি
১০০. জলাবদ্ধতা হলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয় কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
✅ গাছের শিকড়ে পচন ধরে যায় বলে
[খ] গাছের প্রস্বেদন হার বেড়ে যায় বলে
[গ] সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় বলে
[ঘ] গাছ গ্যাস বিনিময় করতে পারে না বলে
১০১. পিটি মাটিতে জৈব পদার্থের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে কেন? (উচ্চতর দক্ষতা)
[ক] মাটির কণাগুলোর রন্ধ্র খুব সূক্ষ হয় বলে
[খ] ডোবা ও আর্দ্র এলাকায় এ মাটি পাওয়া যায় বলে
[গ] বায়বায়নের হার অনেক বেশি বলে
✅ জৈব পদার্থ থেকেই এ মাটি তৈরি হয় বলে
0 Comments:
Post a Comment