HSC ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-০৫ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Business Organization and Management 2nd Paper Srijonshil question and answer pdf download.

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
২য় পত্র
অধ্যায়-০৫

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Business Organization and Management 2nd Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, এ অধ্যায়ে বোর্ড পরীক্ষা, শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের নির্বাচনি পরীক্ষা এবং বাছাইকৃত এক্সক্লুসিভ মডেল টেস্টের প্রশ্নগুলোর পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুশীলন করলে তোমরা এ অধ্যায় থেকে যেকোনো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
সম্প্রতি PQ লি. ১০০০ জন শ্রমিক-কর্মী নিয়োগ দিয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলে। কারণ PQ লি. তাদের প্রোডাকশন লাইনে তিনটি নতুন পণ্য সংযোজন করেছে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি পণ্য অ, ই ও ঈ নামে তিনটি প্রজেক্ট খোলে। কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক এজন্য সংগঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনেন। যেখানে একদিকে থাকে বিভিন্ন কার্য্যকি ব্যবস্থাপক ও অন্যদিকে প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক। বর্তমান সংগঠন কাঠামোতে PQ লি. অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে কার্য পরিচালনা করছে।
[ঢা. বো., কু. বো. ১৭]
ক. কর্মী সংগ্রহ কী? ১
খ. আনুষ্ঠানিক সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকের PQ লি. কোন প্রক্রিয়ায় কর্মী দক্ষ করে গড়ে তোলে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. যে সংগঠন কাঠামোতে PQ লি. সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে- উদ্দীপকের আলোকে তা বিশ্লেষণ করো। ৪

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যথাযথ উপায়ে সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদেরকে নির্দিষ্ট পদে আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করাকে কর্মী সংগ্রহ বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের রীতি-নীতি বা আনুষ্ঠানিকতা অনুযায়ী যে সংগঠন কাঠামো গঠিত হয় তাকে আনুষ্ঠানিক সংগঠন বলে।
আনুষ্ঠানিক সংগঠনে প্রতিটি কর্মীর কাজের দায়-দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও জবাবদিহিতা সুস্পষ্ট থাকে। ফলে প্রতিটি কর্মী প্রতিষ্ঠানের রীতি-নীতি অনুযায়ী নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকেন। নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুনের ছকের মধ্য থেকেই কর্মীগণ উদ্দেশ্য অর্জনের প্রচেষ্টা চালান। এতে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা কমে যায়। এজন্য বলা হয়, আনুষ্ঠানিক সংগঠন শৃঙ্খলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে PQ লি. প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলে।
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীর যোগ্যতা ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো যায়। এর মাধ্যমে কর্মীর কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে কর্মীর মধ্যে কাজের প্রতি মনোযোগ বৃদ্ধি পায়।
উদ্দীপকে PQ লি. সম্প্রতি তাদের প্রতিষ্ঠানে ১০০০ জন শ্রমিক-কর্মী নিয়োগ দেয়। নিয়োগ দেয়ার পর কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠানটি নিয়োগকৃতদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মীর কাজে দক্ষতা বাড়ানোর উপায় হলো প্রশিক্ষণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে PQ লি. নিয়োগকৃত কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তোলে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
PQ লি.-এর সংগঠন কাঠামোটি হলো মেট্রিক্স সংগঠন।
মেট্রিক্স সংগঠন হলো দ্রব্য ও কার্যভিত্তিক বিভাগীয়করণের সমন্বয়ে গঠিত সংগঠন কাঠামো। এটি এক ধরনের মিশ্র সংগঠন। এরূপ সংগঠন জটিল বা বৃহদায়তন প্রকৃতির প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উপযোগী।
উদ্দীপকে PQ লি. তাদের প্রোডাকশন লাইনে তিনটি নতুন পণ্য সংযোজন করে। এ তিনটি পণ্যের জন্য তারা অ, ই ও ঈ নামে তিনটি প্রজেক্ট খোলে। এজন্য কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক সংগঠন কাঠামোতে পরিবর্তন আনেন। যেখানে সংগঠন কাঠামোর একদিকে থাকে কার্যিক ব্যবস্থাপক ও অন্যদিকে থাকে প্রজেক্ট ব্যবস্থাপক। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি মেট্রিক্স সংগঠন কাঠামো ব্যবহার করছে।
মেট্রিক্স সংগঠনে দু’ধরনের কর্তৃপক্ষ একই সাথে কাজ করে এবং তাদের ওপর সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কার্যভিত্তিক ব্যবস্থাপক জনশক্তি, উপকরণ ও সেবা সরবরাহ করেন। আর প্রকল্পভিত্তিক ব্যবস্থাপক বিশেষ প্রকল্প বা দ্রব্যের সম্পূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তারা উভয়ে তাদের কাজের জন্য নির্বাহীর কাছে জবাবদিহি করেন। এতে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করা অনেক সহজ হয়েছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি যেহেতু মেট্রিক্স সংগঠন ব্যবহার করছে তাই তাদের প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। সারাদেশে প্রতিষ্ঠানের ৭টি শাখায় ৫৬০ জন লোক কর্মরত আছেন। প্রতিষ্ঠানটিতে জুনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ লাভের পর যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা ও চাকরির অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অফিসারগণ বিভিন্ন পদে পদোন্নতি পেয়ে থাকেন। গত ছয় বছর প্রতিষ্ঠানের কাউকেই পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ করা হয়েছে। এবার তৃতীয়বারের মতো উচ্চ পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে শুরু করেছেন। [রা. বৈা. ১৭]
ক. শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ কী? ১
খ. কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রতিষ্ঠানটিকে কোন উৎস হতে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কারণ চিহ্নিত করে করণীয় উদ্দীপকের আলোকে যুক্তিসহ বিশ্লেষণ করো। ৪

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রশিক্ষণার্থীকে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রেখে কাজ সম্পর্কে তাত্তি¡ক ও ব্যবহারিক শিক্ষা প্রদান করাকে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের কাজকে কর্মীসংস্থান বলে।
ব্যবস্থাপনার উপকরণসমূহের মধ্যে জনশক্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জনশক্তি যোগ্য, দক্ষ ও উৎসাহী না হলে অন্য উপাদান যতই মানসম্পন্ন হোক না কেন তাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায় না। তাই প্রতিষ্ঠানের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মীবাহিনী গঠনের প্রয়োজন পড়ে, যা ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এ কারণে কর্মীসংস্থান ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতে বাহ্যিক উৎস হতে উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাইরের উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করা হয়। যখন অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করা সম্ভব হয় না, তখন বাহ্যিক উৎস হতে কর্মী সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়ে।
উদ্দীপকে জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে উচ্চ স্তরে লোক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন। প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংগ্রহের উৎস দুটি; একটি অভ্যন্তরীণ উৎস এবং অন্যটি বাহ্যিক উৎস। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন বাহ্যিক উৎসের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ পদে লোক নিয়োগের জন্য কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক উৎস ব্যবহার করা হয়েছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষ ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাওয়ার কারণ প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির অভাব।
পদোন্নতির মাধ্যমে কোনো ব্যক্তিকে তার বর্তমান পদ থেকে উচ্চতর পদে পদায়ন করা হয়। পদোন্নতির ফলে একজন কর্মীর দায়িত্ব, কর্তব্য ও মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। সাথে সাথে তার বেতন ও সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পেতে পারে।
উদ্দীপকে জনাব সবুর সাহেব ‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ নামক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান মানবসম্পদ ব্যবস্থাপক। তিনি গত বছরে প্রতিষ্ঠানের কাউকে পদোন্নতি প্রদান করেননি। বরং বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তৃতীয়বারের মতো তিনি উচ্চ পদে লোক নিয়োগে অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যবহার না করে বিজ্ঞপ্তি দেন। তখন প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দেয়। ফলে কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যেতে শুরু করেন।
‘প্যাসিফিক ফাইন্যান্স’ প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন যাবৎ অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মীর পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিষ্ঠানটিতে যারা দীর্ঘদিন যাবৎ কাজ করছেন তাদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।থচ অভ্যন্তরীণ উৎস হতে কর্মী নিয়োগ করলে কর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেত এবং তারা কাজে মনোনিবেশ করত। তাই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক যখন তৃতীয়বারের মতো কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেন, তখন পদোন্নতি না পেয়ে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় ও কিছু দক্ষ অফিসার প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যায়।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
[রা. বো. ১৭]
ক. আউটসোর্সিং কী? ১
খ. পদ আবর্তন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উলি­খিত প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার কোন কাজটি নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে চিহ্নিত প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের যে দুটি কৌশলের ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে তার তুলনামূলক বিচার করো। ৪

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
চুক্তির মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে তৃতীয় কোনো ব্যক্তি বা পক্ষকে দিয়ে কাজ করানোকে আউটসোর্সিং বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখানোর জন্য এক দায়িত্ব থেকে অন্য দায়িত্বে স্থানান্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পদ আবর্তন বলে।
ব্যবস্থাপক বা নির্বাহীদের কাজের মান উন্নয়নে পদ পরিবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষণ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কর্মীকে একই অফিসের বিভিন্ন ধরনের কাজের ওপর বাস্তব জ্ঞান প্রদান করা হয়। এতে আকস্মিকভাবে কেউ অসুস্থ হলে বা চাকরি ছেড়ে চলে গেলে উক্ত প্রশিক্ষিত কর্মীকে দিয়ে কাজগুলো সাময়িকভাবে চালিয়ে নেওয়া যায়।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে উলি­খিত প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজটি নির্দেশ করে।
প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্য ও দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে উপযুক্ত কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন, নিয়োগ ও উন্নয়ন করাই কর্মীসংস্থান। কর্মীর অবসর গ্রহণ, চাকরি পরিত্যাগ, চাকরি হতে অব্যাহতি দান এসব কারণে বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠানে সারা বছরই কর্মীসংস্থানের কাজ চলতে থাকে।
উদ্দীপকে উলি­খিত প্রক্রিয়াটি ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজকে নির্দেশ করে। কর্মীসংস্থান প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়নের জন্য প্রথমত মানবসম্পদ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তীতে আবেদনকারী কর্মীদের সংগ্রহ করা হয়। এরপর কর্মীদের বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়। নির্বাচিত কর্মীদের মধ্য হতে কর্মী নিয়োগ দেয়া হয় এবং নিয়োগকৃত কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাই উদ্দীপকের প্রক্রিয়াটি হলো ব্যবস্থাপনার কর্মীসংস্থান কাজ।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে ‘কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ’ ও ‘কাজের বাইরে প্রশিক্ষণের’ প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ।
কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একজন কর্মী নির্দিষ্ট কাজের সাথে সম্পৃক্ত থেকে কাজে দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। এ পদ্ধতির অন্যতম হলো শিক্ষানবিশ পদ্ধতি। প্রবেশনা পদ্ধতি, কোচিং পদ্ধতি ও পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি। কাজের বাইরে প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে একজন কর্মীকে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে লিপ্ত না রেখে অন্যত্র কোনো স্থানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে বক্তৃতা পদ্ধতি, আলোচনা পদ্ধতি, সেমিনার পদ্ধতি, ঘটনা ও পদ্ধতি।
এ উভয় প্রকার প্রশিক্ষণ পদ্ধতিই প্রতিষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মীর প্রশিক্ষণ ও উন্নয়নের জন্য কোন ধরনের প্রশিক্ষণ পদ্ধতি অধিক উপযোগী, তা নির্ভর করে প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু, প্রতিষ্ঠানের আকৃতি, প্রকৃতি, সামর্থ্য ও প্রশিক্ষণার্থীদের যোগ্যতার ওপর। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে কাজের মাধ্যমে ও বাইরে উভয় ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ায় কর্মীরা অধিক দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবেন। সুতরাং এ দুটি প্রশিক্ষণ পদ্ধতিই প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে যথার্থ।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
জনাব তানজিমুল ইসলাম সম্প্রতি কানাডা থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরেছেন। তিনি দেশে ফিরে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরির খোঁজ না করে তাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিসিটেক লি.-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করলেন। তিনি কিছু কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেন। তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়োগের সময় বিবেচনা করে পদোন্নতির ব্যবস্থা করলেন। ফলে যোগ্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিল।ধিকন্তু পদোন্নতিপ্রাপ্তরা দক্ষতার সাথে কাজ চালিয়ে নিতে পারলেন না। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি ব্যাপক লোকসানের সম্মুখীন হলো।
[দি. বো. ১৭]
ক. স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব কী? ১
খ. পরামর্শমূলক নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে পদোন্নতি প্রদানে জনাব তানজিমুল কোন পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. প্রতিষ্ঠানের উন্নতির লক্ষ্যে কর্মরতদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে তানজিমুল সাহেবের কী করা উচিত বলে তুমি মনে করো? ব্যাখ্যা করো। ৪

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
সিদ্ধান্ত গ্রহণে যখন অধস্তনদের মতামতকে গ্রাহ্য না করে নেতা এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তখন তাকে স্বৈরতান্ত্রিক নেতৃত্ব বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
নির্দেশনা দেওয়ার পূর্বে যারা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে তাদের সাথে পরামর্শ করে নির্দেশনার বিষয়বস্তু ঠিক করার প্রক্রিয়াকে পরামর্শমূলক নির্দেশনা বলে।
এ ধরনের নির্দেশনা কর্মীরা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন। ফলে তাদের কর্মে উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া কর্মীদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শমূলক নির্দেশনা তৈরি করা হয় বলে তা অধিক কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হয়। তাই এ ধরনের নির্দেশনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করাও সহজ হয়।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
জনাব তানজিমুল প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পদোন্নতি অনুসরণ করেছেন।
জ্যেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পদোন্নতি দানে কর্মীর চাকরির মেয়াদ বিবেচনা করে বয়োঃজ্যেষ্ঠ ব্যক্তিকে নির্বাচন করা হয়। পদ্ধতিগতভাবে এটি অন্য সব পদোন্নতির চেয়ে সহজ।
উদ্দীপকে জনাব তানজিমুল ইসলাম কানাডা থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিসি টেক লি. এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে পদোন্নতি দেওয়ার উদ্যোগ নেন। এজন্য তিনি প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়োগের সময় বিবেচনা করে পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। সুতরাং তিনি তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পদোন্নতি দানে জ্যেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পদোন্নতি পদ্ধতিটি ব্যবহার করেন।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের উন্নতির লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে তানজিমুল সাহেবের জ্যেষ্ঠত্ব ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি প্রদান করা উচিত।
জ্যেষ্ঠত্ব ও যোগ্যতাভিত্তিক পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানে কর্মীর চাকরিকাল ও যোগ্যতা উভয় বিবেচনা করা হয়। এ ধরনের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্মীর যোগ্যতার পাশাপাশি জ্যেষ্ঠত্বকেও গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়।
উদ্দীপকে তানজিমুল ইসলাম কানাডা থেকে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করে দেশে ফিরে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান বিসিটেক লি.-এ ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতির ব্যবস্থা গ্রহণ করলেন। এতে যোগ্য কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে শুধু জ্যেষ্ঠত্ব বা শুধু যোগ্যতাকেই যদি পদোন্নতির একমাত্র মাপকাঠি হিসেবে গণ্য করা হয়, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনাকে নানাবিধ অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এক্ষেত্রে পদোন্নতি প্রাপ্তরা দক্ষতার সাথে কাজ চালিয়ে নিতে পারেন না। উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটিতেও জ্যেষ্ঠত্বের ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া সত্তে¡ও যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মীরা দক্ষতার সাথে তাদের কাজ শেষে করতে না পারায় প্রতিষ্ঠানটি লোকসানের সম্মুখীন হয়। এ অবস্থায় তানজিমুল ইসলামের উচিত প্রতিষ্ঠানে জ্যেষ্ঠত্ব ও যোগ্যতাভিত্তিক পদোন্নতি চালু করা।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
জনাব খালিদ হাসান নর্থ-সাউথ মটরস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় কর্মীর শূন্য পদ পূরণের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নির্বাচনের জন্য তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। নির্বাচিত কর্মীদেরকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। এতে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং প্রতিষ্ঠান সফলতার মুখ দেখতে পায়। [দি. বৈা. ১৭]
ক. কর্মী নির্বাচন কী? ১
খ. কর্মী নিয়োগের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণের কোন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “প্রশিক্ষণই উক্ত প্রতিষ্ঠানের উন্নতির মূল কারণ”- এ উক্তির সাথে তুমি কি একমত? যুক্তি দেখাও। ৪

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
কর্মী নির্বাচন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য হতে নির্দিষ্ট পদের জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে বাছাই করা হয়।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তাবলি উল্লেখ করে নির্বাচিত প্রার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজে যোগদান করানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রক্রিয়াকে কর্মী নিয়োগ বলে।
কর্মীকে যথাস্থানে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে কর্মী নিয়োগ করা হয়। নিয়োগ সংক্রান্ত শর্তাবলি মেনে কর্মী কাজে যোগদান করেন। এতে প্রতিষ্ঠান যেমন তার উদ্দেশ্য পূরণ করতে পারে, তেমনি কর্মীও তার দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পান। তাই নিয়োগকর্তা ও চাকরিপ্রার্থী উভয়ের জন্যই কর্মী নিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে।
শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতিতে স্থায়ী নিয়োগ প্রত্যাশী নতুন কর্মীকে কারও অধীনে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাজের সাথে সম্পৃক্ত রেখে হাতে-কলমে কাজ শেখানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির প্রয়াস চালানো হয়। এ পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি স্বল্পমেয়াদে একটা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ কর্মী হিসেবে প্রশিক্ষণ লাভ করেন।
উদ্দীপকে খালিদ হাসান নর্থ-সাউথ মটরস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শাখায় কর্মীর শূন্য পদ পূরণের জন্য দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নির্বাচনের জন্য তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তবে নির্বাচিত কর্মীদেরকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি স্থায়ীভাবে নিয়োগ দেন। তাই বলা যায়, তিনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
‘প্রশিক্ষণই উক্ত প্রতিষ্ঠানের উন্নতির মূল কারণ’- এ উক্তির সাথে আমি একমত।
প্রশিক্ষণ কর্মীর কার্যদক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষাদানের আনুষ্ঠানিক প্রয়াস। এর মাধ্যমে কর্মীর যোগ্যতা ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটে। কর্মীর মেধা বিকাশে বা বর্তমান কাজে অধিকতর দক্ষতা অর্জনের উপায় হিসেবে প্রশিক্ষণ অন্যতম। এটি কর্মীকে হাতে-কলমে বা বিভিন্ন বিষয়ে বাস্তবসম্মত জ্ঞান দান করে।
উদ্দীপকে নর্থ-সাউথ মটরস লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব খালিদ হাসান। তিনি প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণের জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তবে নিয়োগদানের পূর্বে কর্মীদেরকে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
কর্মীদের কার্যক্ষেত্রে অধিক দক্ষতা বা ফলপ্রসূতা অর্জনের জন্য নতুন নিয়োগকৃত কর্মীদের তত্ত¡গত জ্ঞানের পাশাপাশি হাতে-কলমে শিক্ষা প্রদান করা হয়। এতে কর্মীর মনোবল উন্নত হয় ও কর্মী তার কাজে মনোনিবেশ করতে পারেন। এতে কর্মীর দক্ষতা বাড়ে এবং প্রতিষ্ঠান সফলতার মুখ দেখে। তাই বলা যায়, প্রশিক্ষণই নর্থ-সাউথ মটরস লি.-এর উন্নতির মূল কারণ।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
পদ্মা ব্যাংক লি. ২০ জন প্রবেশনারি অফিসার নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। আরমান লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। ব্যাংকে যোগদান করার পর আরমানকে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতে হয়েছে। তিনি এক মাসের একটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতেও অংশগ্রহণ করে সাফল্যের সাথে তা সমাপ্ত করেন। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক জনাব ইমতিয়াজ আরমানের কর্মদক্ষতায় সন্তুষ্ট হয়ে তার পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন। [চ. বো. ১৭]
ক. কর্মী সংগ্রহ কী? ১
খ. পদোন্নতি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে পদ্মা ব্যাংক লি.-এ বিভিন্ন বিভাগে কাজ করে আরমান কোন ধরনের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে পদ্মা ব্যাংক লি.-এর গৃহীত প্রশিক্ষণ পদ্ধতির কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
শূন্যপদ পূরণের জন্য যথাযথ পদ্ধতিতে সম্ভাব্য চাকরিপ্রার্থীদেরকে আবেদন করতে ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করার প্রক্রিয়াকে কর্মী সংগ্রহ বলে।
কর্মী সংগ্রহের পদক্ষেপ: বিভাগীয় রিকুইজিশন > উৎস নির্ধারণ > বিজ্ঞপ্তি প্রদান।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর বর্তমান পদ থেকে মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে উচ্চতর পদে পদায়ন করার প্রক্রিয়াকে পদোন্নতি বলে।
পদোন্নতি কর্মীদের কাজে সন্তুষ্টি আনে। ফলে প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাদের আস্থা ও আনুগত্য বাড়ে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ক্ষমতাও বাড়ে। এজন্যই প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের নিয়মিত পদোন্নতি দেওয়া উচিত।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের পদ্মা ব্যাংক লি.-এ বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার মাধ্যমে আরমান পদ আবর্তনের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
পদ আবর্তনের মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক পদ থেকে অন্য পদে বদলি করে বিভিন্ন কাজে ও পরিস্থিতিতে পারদর্শী করে তোলা হয়। এরূপ পদ্ধতির সবচেয়ে ইতিবাচক দিক হলো কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কাজ সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারেন।
উদ্দীপকের পদ্মা ব্যাংক লি. ২০ জন প্রবেশনারি অফিসার নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। আবেদনকারীদের মধ্যে আরমান লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে নির্বাচিত হন। ব্যাংকে যোগদানের পর তাকে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করতে হয়েছে। এতে আরমান প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের কাজ সম্বন্ধে ধারণা অর্জন করেছেন। এসব বৈশিষ্ট্য পদ আবর্তন প্রশিক্ষণের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। তাই বলা যায়, আরমান ব্যাংকে পদ আবর্তনের প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের পদ্মা ব্যাংক লি.-এর গৃহীত পদ আবর্তন প্রশিক্ষণ পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য যথার্থ হয়েছে।
কর্মীদের কাজের মান উন্নয়নে পদ পরিবর্তন একটি উল্লেখযোগ্য প্রশিক্ষণ পদ্ধতি। প্রতিষ্ঠানে সমপর্যায়ের বিভিন্ন কাজ শেখানোর জন্য কর্মীকে এক দায়িত্ব থেকে অন্য দায়িত্ব অর্পণের মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এ ধরনের প্রশিক্ষণের কারণে কর্মী বিভিন্ন পরিস্থিতি সহজে মোকাবিলা করতে পারে।
উদ্দীপকের পদ্মা ব্যাংক লি. প্রশিক্ষণের জন্য পদ পরিবর্তন বা আবর্তন পদ্ধতি অবলম্বন করেছে। এ পদ্ধতিতে কর্মীকে এক বিভাগ থেকে অন্য বিভাগের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ফলে কর্মী প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্ব পালন করতে পারে।
এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী নানা ধরনের পরিবেশ-পরিস্থিতি সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। ফলে কোন পরিস্থিতিতে কর্মীকে কী করতে হবে তা সে সহজে বুঝতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠানে কাজের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়। তাই বলা যায়, পদ্মা ব্যাংক লি.-এর পদ আবর্তন প্রশিক্ষণ পদ্ধতিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুবই কার্যকর।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
ইমপেক কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং তাদের শিক্ষার মানের জন্য বিখ্যাত। দেশের নামকরা গার্মেন্টস ও মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী সংগ্রহের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির চুড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা পাসের পূর্বেই নির্বাচিত করে। পরীক্ষা পাসের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অর্জিত ফলাফল অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে যোগদান করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। [সি. বো. ১৭]
ক. পদ আবর্তন কী? ১
খ. ‘কর্মী নির্বাচন একটি ঋণাত্মক প্রক্রিয়া’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে কর্মী সংগ্রহের কোন উৎসের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. সংগঠনের যে বিশেষ নীতির আলোকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিভাগে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে- উদ্দীপকের আলোকে এর যথার্থতা মূল্যায়ন করো। ৪

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের কাজ শেখানোর জন্য কর্মীকে সমপর্যায়ের এক দায়িত্ব থেকে অন্য দায়িত্বে স্থানান্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়াকে পদ পরিবর্তন বা পদ আবর্তন পদ্ধতি বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে প্রক্রিয়ায় চাকরিপ্রার্থীদের মধ্য থেকে সর্বোত্তম ও যোগ্য কর্মী বাছাই করা হয়, তাকে কর্মী নির্বাচন বলে।
এ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ধাপে লিখিত, মৌখিক ও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীদের যোগ্যতা যাচাই-বাছাই করা হয়। কোনো ধাপে একজন প্রার্থী অকৃতকার্য হলে তাকে বাদ দেওয়া হয়। এভাবে কর্মী নির্বাচনের প্রতিটি ধাপেই কৃতকার্যদের রেখে অকৃতকার্য কর্মীদের বাদ দেওয়া হয়। এজন্যই বলা হয় কর্মী নির্বাচন একটি ঋণাত্মক প্রক্রিয়া।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক উৎসের কথা বলা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করাই হলো বাহ্যিক উৎস। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মী সংগ্রহ করা বাহ্যিক উৎসের উদাহরণ।
উদ্দীপকের ইমপেক কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার মানের জন্য বিখ্যাত। দেশের নামকরা গার্মেন্টস ও মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠান উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের কর্মী হিসেবে পেতে চায়। এজন্য নামকরা প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী সংগ্রহের জন্য উক্ত কলেজের চুড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা পাসের পূর্বেই নির্বাচিত করে। পরীক্ষায় পাসের পর নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফলাফল অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের প্রস্তাব দেয়। এভাবে উক্ত গার্মেন্টস ও মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠানগুলো বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে কর্মী সংগ্রহের বাহ্যিক উৎসের উল্লেখ করা হয়েছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
সংগঠনের বিশেষায়নের নীতির আলোকে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন বিভাগে যোগদানের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা যথার্থ।
বিশেষায়নের নীতি হলো কর্মীর জ্ঞান বা দক্ষতা অনুযায়ী কর্মবিভাজন ও দায়িত্ব অর্পণ। এতে কর্মীর কার্যদক্ষতা বাড়ে এবং প্রতিষ্ঠানের সর্বস্তরে কাজের গতিশীলতা বজায় থাকে।
উদ্দীপকের নামকরা গার্মেন্টস ও মার্চেন্ডাইজিং প্রতিষ্ঠানগুলো ‘ইমপেক কলেজ অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং’ থেকে কর্মী নির্বাচন করে। উক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের অর্জিত ফলাফল অনুযায়ী বিভিন্ন বিভাগে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ফলে কর্মীদের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকে বিশেষায়নের মাধ্যমে কর্মীকে কাজ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়। এতে কর্মীদের কাজের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। তারা নিজ নিজ দায়িত্ব ও কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারে। এতে প্রতিষ্ঠান সহজে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে। তাই বলা যায়, সংগঠনের বিশেষায়নের নীতি প্রয়োগ উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য যথাযথ হয়েছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৮
মি. সাগর ও মি. সুজন দুই বন্ধু পাশাপাশি দু’টি গার্মেন্টস কারখানা গড়ে তুলেছেন। মি. সাগর নতুন কর্মী নিয়োগে কর্মরত কর্মীদের সুপারিশকে গুরুত্ব দেন এবং কোনো পদ শূন্য হলে প্রতিষ্ঠানের ভিতর থেকে কাউকে পদোন্নতি প্রদান করেন।ন্যদিকে মি. সুজন বিজ্ঞপ্তির দ্বারা যোগ্য ব্যক্তি বেছে নেন। এতে কর্মীদের মান ও দক্ষতার বিচারে মি. সাগর থেকে মি. সুজন অনেক এগিয়ে। ফলে মি. সুজনের প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ মুনাফা করছে। [য. বো. ১৭]
ক. পদোন্নতি কী? ১
খ. প্রশিক্ষণ একটি প্রতিষ্ঠানে অপরিহার্য কেন? ২
গ. উদ্দীপকে মি. সাগর প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংগ্রহে কোন উৎস ব্যবহার করেন তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মি. সুজনের সাফল্যের কারণ উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ করো। ৪

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে উচ্চতর পদে পদায়ন করার প্রক্রিয়াকে পদোন্নতি বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পাদনের জন্য যে প্রক্রিয়ায় কর্মীদের জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন ঘটানো হয় তাকে প্রশিক্ষণ বলে।
প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীরা স্বল্প ব্যয়ে ও শ্রমে কাজ শেষ করতে পারে। এতে সম্পদের অপচয় কম হয়। তাই কাউকে কোনো কাজের ভার বা দায়িত্ব ন্যস্ত করার আগে সেই কাজ বা দায়িত্বের বিষয়ে তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া উচিত।ন্যথায় দক্ষতার সাথে কাজ শেষ করা তার জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্যই প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ একটি অপরিহার্য কার্যক্রম।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের মি. সাগর প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংগ্রহে অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যবহার করেন।
প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদ পূরণের জন্য কর্মরত কর্মীদের মধ্য থেকে কিংবা তাদের সুপারিশে কর্মী সংগ্রহ করা হলো অভ্যন্তরীণ উৎস। এ পদ্ধতিতে কর্মী সংগ্রহে বর্তমান কর্মীদেরকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক সহজ হয়।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে মি. সাগর নতুন কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্মরত কর্মীদের সুপারিশকে গুরুত্ব দেন। তাছাড়া পদ শূন্য হলে তিনি কর্মরত কর্মীদের মধ্য থেকে পদোন্নতির মাধ্যমে তা পূরণ করেন। এভাবে তিনি প্রতিষ্ঠানের ভেতর থেকেই কর্মী সংগ্রহ ও নিয়োগের কাজ করেন। তাই বলা যায়, মি. সাগর তার প্রতিষ্ঠানে কর্মী সংগ্রহে অভ্যন্তরীণ উৎস ব্যবহার করে থাকেন।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাহ্যিক উৎস থেকে দক্ষ কর্মী সংগ্রহের কারণে মি. সুজনের প্রতিষ্ঠানে সাফল্য এসেছে।
শূন্যপদ পূরণের জন্য প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করাই হলো বাহ্যিক উৎস। এতে অনেক কর্মীর মধ্য থেকে লিখিত, মৌখিক ও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার মাধ্যমে সবচেয়ে যোগ্য কর্মী নির্বাচন করা যায়।
উদ্দীপকের মি. সুজন একটি গার্মেন্টস শিল্পের মালিক। তিনি কর্মী নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। এতে অনেক প্রার্থী আবেদন করেন। প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে (লিখিত ও মৌখিক) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তিনি যোগ্য কর্মী নির্বাচন করেন।
যোগ্য ও দক্ষ কর্মী বুঝতে পারেন কোন কাজ,কীভাবে করতে হবে। এতে কর্মীর পক্ষে যথাযথভাবে কাজ সম্পন্ন করা সহজ হয়। দক্ষ কর্মীরা প্রতিষ্ঠানের সম্পদের সদ্ব্যবহার করতে পারেন। ফলে প্রতিষ্ঠান আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারে। তাই বলা যায়, বাহ্যিক উৎস থেকে দক্ষ কর্মী সংগ্রহের ফলেই মি. সুজনের প্রতিষ্ঠানে সাফল্য এসেছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৯
মিসেস রিজু একটি উৎপাদনধর্মী প্রতিষ্ঠানের মালিক। প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের আগ্রহী করে ধরে রাখার জন্য তিনি নির্দিষ্ট সময় পর চাকরিকালের ওপর ভিত্তি করে তাদেরকে পদোন্নতি দিয়ে থাকেন। তিনি দেখেছেন পদোন্নতি দেওয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানে দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তাই মিসেস রিজু পদোন্নতির বিষয়টি নিয়ে ভাবছেন। [য. বো. ১৭]
ক. কর্মী নিয়োগ কতভাবে হতে পারে? ১
খ. মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কী? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. পদোন্নতি প্রদানে মিসেস রিজু যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন তা কি যথেষ্ট? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তোমার মতে মিসেস রিজুর প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির ভিত্তি কী হওয়া উচিত? মতামত দাও। ৪

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
কর্মী নিয়োগ দু’ভাবে হতে পারে। যেমন: স্থায়ী ও অস্থায়ী ভিত্তিতে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানে কর্মী নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, উন্নয়ন, মূল্যায়ন প্রভৃতি কাজের মাধ্যমে কর্মীদের জ্ঞান, দক্ষতা ও যোগ্যতা ব্যবহার করার প্রক্রিয়াকে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বলে।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের যোগ্যতাকে যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা। যে প্রতিষ্ঠানে দক্ষ উপায়ে মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করা যায় সে প্রতিষ্ঠান সহজে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পদোন্নতি প্রদানে মিসেস রিজু জ্যেষ্ঠতা পদ্ধতি অনুসরণ করেছেন, যা প্রতিষ্ঠানের পদোন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরির মেয়াদ বিবেচনায় জ্যেষ্ঠ কর্মীকে নির্বাচন করাই হলো জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নয়ন। এর মূল বিষয় হলো যে ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানে আগে যোগদান করেছেন, তিনি পদোন্নতি পাওয়ার জন্য অধিক উপযুক্ত। এ ধরনের পদোন্নতির ক্ষেত্রে কর্মীর যোগ্যতা ও দক্ষতাকে তেমন মূল্যায়ন করা হয় না।
উদ্দীপকের মিসেস রিজু একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক। তিনি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে চাকরিকালকে বিবেচনা করেন। তিনি মনে করেন এতে জ্যেষ্ঠ কর্মীদের ধরে রাখা যাবে। এ পদ্ধতিতে জ্যেষ্ঠ কর্মীরা খুশি হন। কিন্তু উক্ত কর্মীর উচ্চ পদে আসীন হওয়ার যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা আছে কিনা, তা যাচাই করা হয় না। ফলে যোগ্য ও দক্ষ কর্মীরা যথাযথ মূল্যায়িত হন না। তাই তারা মিসেস রিজুর ওপর অসন্তুষ্ট। সুতরাং বলা যায়, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নয়ন পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জনে যথেষ্ট নয়।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
আমার মতে, মিসেস রিজুর প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি হওয়া উচিত।
যোগ্য কর্মী বাছাইকালে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের চাকরিকাল এবং যোগ্যতা উভয় বিষয়কে বিবেচনা করে পদোন্নতি প্রদান করাই হলো জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতাভিত্তিক পদোন্নতি। এর মাধ্যমে কর্মীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায়।
উদ্দীপকের মিসেস রিজু তার প্রতিষ্ঠানে শুধু কর্মীর চাকরিকাল বিবেচনা করে পদোন্নতি দিয়ে থাকেন। এ ব্যবস্থায় যোগ্য ও দক্ষ কর্মীরা অসন্তুষ্ট হন। তাই দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের সন্তুষ্ট করতে মিসেস রিজু পদোন্নতির পদ্ধতি পরিবর্তনের কথা ভাবছেন।
মিসেস রিজু এক্ষেত্রে কর্মীদের দক্ষতা ও যোগদানের সময় উভয়ই বিবেচনায় নিতে পারেন। এতে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য জ্যেষ্ঠ কর্মীদের যেমন যোগ্যতা ও দক্ষতা দেখাতে হবে, তেমন নতুন কর্মীদেরও দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানে যোগ্যতা সহকারে কাজ করতে হবে। ফলে কর্মীরা সন্তুষ্টি লাভ করবে এবং উৎসাহের সাথে কাজ করবে। সুতরাং জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতাভিত্তিক পদোন্নতি পদ্ধতি অনুসরণ করলে উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানে কোনো সমস্যা থাকবে না বলে আমি মনে করি।

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র অধ্যায়-৫ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড

সৃজনশীল প্রশ্ন-১০
সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি একটি বৃহদায়তন শিল্প প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের শূন্যপদ পূরণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে একজন ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেয়া হয়। কিন্তু উক্ত ব্যবস্থাপক যোগদানের সময় বিভাগের অধস্তন কর্মীদের ক্ষোভ ও অসন্তোষের সম্মুখীন হন। [ব. বো. ১৭]
ক. পদোন্নতি কী? ১
খ. কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পদক্ষেপটি ব্যাখ্যা করো। ২
গ. সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি কোন উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করেছে? বর্ণনা করো। ৩
ঘ. সুরমা সিমেন্ট কোম্পানির অধস্তন কর্মীদের অসন্তোষ ও ক্ষোভের সম্ভাব্য কারণ বিশ্লেষণ করো। ৪

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীর বর্তমান পদ থেকে মর্যাদা, ক্ষমতা, দায়িত্ব এবং সুযোগ-সুবিধাদি বৃদ্ধি করে উচ্চতর পদে পদায়ন করার প্রক্রিয়াকে পদোন্নতি বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় পদক্ষেপটি হলো কর্মীদের উৎস নির্ধারণ।
কর্মী সংগ্রহের জন্য প্রথমে কোথায়, কতজন ,কোন মানের কর্মী প্রয়োজন তা-র রিকুইজিশন সংগ্রহ করা হয়। এরপর কোথা থেকে কর্মী সংগ্রহ করা যাবে, সে সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে উৎস নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হয়। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীদের মধ্য থেকে কর্মী সংগ্রহ করার ব্যবস্থা হলো অভ্যন্তরীণ উৎস। আর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করা হলো বাহ্যিক উৎস। কর্মী সংগ্রহ প্রক্রিয়ার পদক্ষেপ তিনটি। যথা: ১. বিভাগীয় রিকুইজিশন; ২.উৎস নির্ধারণ; ৩.বিজ্ঞপ্তি প্রদান।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি বাহ্যিক উৎস থেকে কর্মী সংগ্রহ করেছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের বাইরে থেকে কর্মী সংগ্রহ করাই হলো বাহ্যিক উৎস। পত্রিকায় ও অনলাইনে বিজ্ঞপ্তি প্রদানের মাধ্যমে কর্মী সংগ্রহ করা বাহ্যিক উৎসের অন্তর্গত।
উদ্দীপকের সুরমা সিমেন্ট কোম্পানিটি একটি বৃহদায়তন প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি উৎপাদন বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের শূন্যপদ পূরণের জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অনেক আগ্রহী প্রার্থী আবেদন করেন। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীদের লিখিত, মৌখিক ও বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষার মাধ্যমে সর্বোত্তম কর্মীকে নির্বাচন করেন। প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানেই বাইরে থেকে এই বিভাগীয় ব্যবস্থাপক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সুতরাং বলা যায়, সুরমা কোম্পানি বাহ্যিক উৎস থেকেই কর্মী সংগ্রহ করেছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থাপক নিয়োগ না দেওয়ায় অধস্তন কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি প্রত্যাশা করেন। তারা চান প্রতিষ্ঠানে কোনো উচ্চ পদ শূন্য হলে সেখানে অধিষ্ঠিত হতে।নেক সময় কর্র্তপক্ষ বর্তমান কর্মীদের দিয়েই এ শূন্য পদ পূরণ করেন; আবার অনেক সময় প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যোগ্যতাসম্পন্ন কর্মী না পাওয়া গেলে বাইরে থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এতে কর্মরত কর্মীদের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।
উদ্দীপকের সুরমা সিমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠানে একজন বিভাগীয় উৎপাদন ব্যবস্থাপক নিয়োগের প্রয়োজন পড়ে। এজন্য প্রতিষ্ঠানটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রদান করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই অনেক জ্যেষ্ঠ কর্মী কর্মরত আছেন যারা পদটি পেতে চান। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি বর্তমান কর্মীদের কোনোভাবে বিবেচনা করেনি।
শূন্যপদ পূরণের জন্য কর্র্তৃপক্ষ বাইরের উৎসকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। এতে বর্তমান কর্মীরা মনে করছেন, প্রতিষ্ঠান তাদের জ্যেষ্ঠতা ও যোগ্যতাকে যথাযথ মূল্যায়ন করেনি। তাই কর্মরত কর্মীদের মনে অসন্তোষ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

Share:

HSC ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর অধ্যায়-০৭ pdf download

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Business Organization and Management 1st Paper Srijonshil question and answer pdf download.

অধ্যায়-০৭
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
১ম পত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

HSC Business Organization and Management 1st Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download

পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, এ অধ্যায়ে বোর্ড পরীক্ষা, শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের নির্বাচনি পরীক্ষা এবং বাছাইকৃত এক্সক্লুসিভ মডেল টেস্টের প্রশ্নগুলোর পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুশীলন করলে তোমরা এ অধ্যায় থেকে যেকোনো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
অমিত রবীন্দ্রনাথের ছোট গল্পটি পড়েছে। তৎকালীন সময় তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি এ সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করেছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস রয়েছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। [ঢা. বো. ১৭]
ক. BTTB কী? ১
খ. বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে প্রথমত কোন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে পরবর্তীতে যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে তার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে মতামত দাও। ৪

১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাংলাদেশে স্থায়ী টেলিফোন সঞ্চালন লাইন প্রতিষ্ঠা, পরিচালন, সংযোগ প্রদান এবং ইন্টারনেট সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ অ্যান্ড টেলিফোন বোর্ড (BTTB - Bangladesh Telegraph & Telephone Board)।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন হলো বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিধিবদ্ধ সংস্থা।
এটি দেশের জাতীয় পর্যটন সংস্থা, যা পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে কাজ করে। এটি দেশে ও দেশের বাহিরে পর্যটকদের জন্য অভ্যর্থনার ব্যবস্থা করে। এছাড়া এটি প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও করে; যাতে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে দেশ পরিভ্রমণ করতে পারে।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে প্রথমত ‘বাংলাদেশ ডাক বিভাগ’-এ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
ডাক বিভাগ সংশ্লিষ্ট পণ্য বা সেবা জনগণের নিকট পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগ। এটি দেশের সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি বিভাগ সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের জনগণকে অল্প খরচে চিঠিপত্র ও অর্থ আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে এটি ভূমিকা রাখে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, তৎকালীন সময়ে তথা ব্রিটিশ আমল থেকে অদ্যবধি একটি সার্ভিস চালু আছে। তবে মোবাইল ফোন, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির উদ্ভবের কারণে এর গুরুত্বকে হ্রাস করছে। এটি ব্রিটিশ আমল থেকেই সাশ্রয়ী ও নির্ভরযোগ্য সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে এটিকে চালানো যাচ্ছে না। এত বড় ও সম্ভাবনাময় এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রযুক্তিনির্ভর কর্মকাণ্ডে পরিচালিত করতে পারলে সাধারণ মানুষ অল্প খরচে আরও অনেক বেশি সেবা গ্রহণের সুযোগ পাবে। এসব কার্যক্রম বাংলাদেশ ডাক বিভাগ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ডাকসেবার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, উদ্দীপকে প্রথমে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের কথাই বলা হয়েছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে, যার গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনেক।
সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি যাত্রীদেরকে সাশ্রয়ী, নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, এদেশে ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা আরেকটি নিরাপদ ও সাশ্রয়ী গণপরিবহন সার্ভিস আছে। সহজ ও আরামদায়ক সেবা হওয়ায় যাত্রীদের কাছে এর চাহিদা বেশি। এ প্রতিষ্ঠানকে অন্য প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হয় না। তা সত্তে¡ও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানটি হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে।
রেলওয়ে পরিবহন সেবা জনগণের কাছে আরও গ্রহণযোগ্য করে তুলতে এ সংস্থাকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার্থে এটি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, কেবিন সুবিধা ইত্যাদি বৃদ্ধি করতে পারে। ইন্টারনেটে ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেলের টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। স্বয়ংক্রিয় ও কম্পিউটারাইজড রেলসেবার উদ্যোগ ইতিমধ্যে নেয়া হয়েছে; যা যাত্রীদেরকে সুলভ মূল্যে এবং কম সময়ে দক্ষ রেল পরিবহন সেবা দিতে সহায়ক হবে। এতে যাত্রীদের থেকে রেলওয়ে পরিবহনের প্রতি স্থায়ীভাবে আস্থা ও সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। সুতরাং, রেলওয়ে প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধি অত্যন্ত ফলপ্রসূ হবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
সরকার চায় দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে। সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহন পরিচালনা করে আসছে। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপরিবহন গণমানুষের সেবা দিতে আগ্রহী হলেও তাদের বাস ও ট্রাকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় একবারেই কম বলে তা সম্ভব হচ্ছে না। [রা. বো. ১৭]
ক. বিআরটিসি কী? ১
খ. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের কোন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে কি? তোমার মতামত ব্যক্ত করো। ৪

২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (Bangladesh Road & Transport Corporation) বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না বরং রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করা। তবে এ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালন খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হয় জনকল্যাণ সাধন করা।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সরকারের ‘সুষম শিল্পায়ন’ উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটছে।
অনুন্নত দেশে প্রয়োজনীয় মূলধন ও উদ্যোগের অভাবে ব্যক্তিমালিকানায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে না। তাই সরকার নিজে উদ্যোগী হয়ে দেশে দ্রুত শিল্পায়নের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে। এটি হয় সুষম শিল্পায়ন।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, সরকার দেশের সর্বত্র শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চায়। সরকারের এরূপ উদ্যোগ অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের দ্রুত উন্নয়নে অবদান রাখে। অনুন্নত দেশগুলোতে সরকার এভাবে শিল্পায়ন ব্যবস্থা করতে চায়। এতে শিল্পায়ন খাতে দেশের সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টন ও ব্যবহার হয়। এর ফলে সম্পদ কোনো একটি নির্দিষ্ট শ্রেণির হাতে পুঞ্জিভূত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ, সরকার নিজ উদ্যোগেই শিল্প ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য অধিক পরিমাণ মূলধন বিনিয়োগ করে থাকে। এভাবে সরকার শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে সুষম শিল্পায়ন উদ্দেশ্যের প্রতিফলন ঘটাতে চায়।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত গণপরিবহন ব্যবস্থা ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ জনগণকে উন্নত সেবা দিতে পারবে বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান গণপরিবহন সংস্থা হিসেবে কাজ করে। এর লক্ষ্য হলো রেল ব্যবস্থার আধুনিকায়ন ও জনগণকে নিরাপদ এবং স্বল্প ব্যয়ে পরিবহন সেবা প্রদান করা।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, সরকার সাশ্রয়ী মূল্যে মানুষ ও পণ্য পরিবহনের কথা চিন্তা করে সারাদেশে গণপরিবহনের পরিচালনা করে আসছে। এখানে গণপরিবহন বলতে বাংলাদেশ রেলওয়ে ব্যবস্থাকে বোঝানো হয়েছে, যা অন্যান্য পরিবহনের চেয়ে অধিক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রীদের পরিবহন সেবা প্রদান করে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে কিছু নতুন মিশন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে, যা যাত্রীদের আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করবে। সরকার সারা দেশে রেলপথ ও স্টেশন অবকাঠামো উন্নত ও বৃদ্ধি করছে। নিরাপদ, গতিসম্পন্ন ও দক্ষ ট্রেন চালনা নিশ্চিত করছে, অর্থাৎ রেলওয়ে সেক্টর সরকারের পরিবহন পলিসি বাস্তবায়ন করছে, যা যাত্রীদের আরও সুলভ মূল্যে নিরাপদ পরিবহন সেবা নিশ্চিত করবে। এভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে জনগণকে আরও উন্নত সেবা দিতে পারবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
দেশের জনগণের জন্য নিরাপদে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের জন্য সংসদে আইন পাস করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা রকম অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান দিতে থাকে। লোকসান কমানোর জন্য সরকার অন্যান্য বিকল্পের কথা চিন্তা করছে এবং সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। [দি. বো. ১৭]
ক. PPP বলতে কী বোঝায়? ১
খ. কীভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার করে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে কোন প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. “দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবই প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের অন্যতম কারণ”- যুক্তি দেখাও। ৪

৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থায়নে ও সহযোগিতায় গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায় কার্যক্রমকে PPP (Public Private Partnership) বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বভিত্তিক ব্যবসায় বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় এবং রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, তাকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলে।
দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলো (তেল, গ্যাস, কয়লা প্রভৃতি) খনি থেকে উত্তোলন করে বেসরকারিভাবে ব্যবসায় করা খুবই ব্যয়বহুল, এমনকি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই রাষ্ট্র এসব খনিজসম্পদ উত্তোলন ও পরিশোধন করে। প্রাকৃতিক সম্পদের যাতে সদ্ব্যবহার হয় সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এভাবে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় প্রাকৃতিক সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করে।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে BRTC (Bangladesh Road Transport Corporation) প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।
সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো BRTC। এটি একটি গণপরিবহন সংস্থা হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এ পরিবহন সংস্থাকে আরও শক্তিশালী ও সেবাধর্মী করে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, দেশের জনগণের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সরকার একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের জন্য সংসদে আইন পাস করে; যা স্বাধীনতার পর আরও সেবাধর্মী পরিবহন সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। এর উদ্দেশ্য হলো পরিবহন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে সহায়তা এবং নতুন নতুন যাত্রাপথ চালু করা; যাতে ন্যায্য ও স্বল্প ভাড়ায় যাত্রীরা দক্ষ ও নিরাপদ পরিবহন সেবা পায়। এসব বৈশিষ্ট্য BRTC প্রতিষ্ঠানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং, উদ্দীপকে BRTC প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
“দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবই প্রতিষ্ঠানটির লোকসানের অন্যতম কারণ”- BRTC প্রতিষ্ঠানের জন্য উক্তিটি যৌক্তিক।
পরিবহন খাতে নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্ঘটনা হ্রাস ও পরিবেশ দূষণ রোধের জন্য BRTC পরিবহন ব্যবস্থা চালু করা হয়। কিন্তু দক্ষ ব্যবস্থাপনার অভাবে এটির উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, সরকার দেশের জনগণের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থার জন্য গণপরিবহন সংস্থা BRTC প্রতিষ্ঠা করে। প্রতিষ্ঠানটি নানা অব্যবস্থাপনার কারণে লোকসান হতে থাকে। লোকসান কমানোর জন্য সরকার বিভিন্ন বিকল্পের ব্যবস্থার কথা চিন্তা করছে এবং সেবার মান বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
BRTC সংস্থাটি বর্তমানে অদক্ষতার কারণে পরিবহন ব্যবসায়ে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এটি মানসম্মত ও সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। এতে সরকার ও বেসরকারি খাতের মধ্যে সম্পর্কেরও অবসান ঘটছে। এটি লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় দেশের পর্যটন ব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাই বলা যায়, অদক্ষ ব্যবস্থাপনার কারণেই BRTC পরিবহন সংস্থা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
জনাব আহম্মেদ আলী একজন সরকারি চাকরিজীবী। বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় তখন জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠান কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার কথা বিবেচনা না করে জনকল্যাণকেই প্রাধান্য দেয়। [রা. বো., কু. বো. ১৭]
ক. ব্যবসায় কী? ১
খ. বায়িং হাউজ বলতে কী বোঝ? ২
গ. জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানের নাম কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা উচিত কি না? যুক্তিসহ লেখো। ৪

৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে পরিচালিত যাবতীয় অর্থনৈতিক কাজকে (যেমন: উৎপাদন, ক্রয়, বিক্রয়) ব্যবসায় বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
বায়িং হাউজ হলো আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীর মাঝে অবস্থানকারী কমিশনভোগী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান।
বায়িং হাউজ প্রতিষ্ঠান আমদানিকারক ও উৎপাদনকারী উভয় পক্ষের প্রতি মধ্যস্থকারী হিসেবে কাজ করে। এটি উভয়পক্ষের পণ্য সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে। এটি ক্রেতাদের সাথে চুক্তি সাপেক্ষে প্রস্তুতকারকের মাধ্যমে পণ্য তৈরি করে তা সরবরাহের দায়িত্ব পালন করে।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানের নাম রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। এ ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ। এ ব্যবসায় মূলত সরকারি নিয়ম-কানুন পালন করে গঠন করা হয়।
উদ্দীপকের জনাব আহম্মেদ আলী একজন সরকারি চাকরিজীবী। বাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় তখন জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠান কমমূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি মুনাফার কথা বিবেচনা না করে জনকল্যাণকেই প্রাধান্য দেয়। রাষ্ট্রীয় মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত এরূপ সরকারি প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এরূপ প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণে তাদের ন্যায্যমূল্যে উন্নতমানের পণ্য ও সেবা সরবরাহ নিশ্চিত করে। এসব কার্যক্রম রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠন দ্বারা সম্পাদিত হয়। তাই বলা যায়, জনাব আহম্মেদ আলীর প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উদ্দীপকের বর্ণিত প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা উচিত।
সম্পদের সুষম বণ্টন ও জণকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়ে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে দেশের একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ হয় এবং সুষম শিল্পায়ন সম্ভব হয়।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়। বাজারে দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেলে প্রতিষ্ঠানটি কম মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের ব্যবস্থা করে। এতে জনগণ উপকৃত হয়। প্রতিষ্ঠানটি জনকল্যাণকে প্রাধান্য দিয়েই এরূপ কাজ করছে।
উক্ত প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করলে অন্যান্য এলাকার জনগণও ন্যায্যমূল্যে পণ্য ক্রয় করে উপকৃত হবে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের ফলে সেখানে অনেক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতে তারা নিজেদের অর্থনৈতিক কল্যাণের পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় কল্যাণে তাদের শ্রম ব্যয় করতে পারবে। এভাবে দেশের একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ হবে এবং সুষম শিল্পায়ন সম্ভব হবে। দেশের সম্পদ কিছু লোকের হাতে পুঞ্জিভূত না থেকে তা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মধ্যে সঞ্চালিত হবে। এভাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে। তাই আমি মনে করি, প্রতিষ্ঠানটি আরও সম্প্রসারণ করা উচিত।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। এখানে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য হোটেল-মোটেল রয়েছে। এখানে বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু পাঁচতারা হোটেল স্থাপিত হলেও সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হোটেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক বেশি। বর্তমানে কক্সবাজারে যাওয়ার সুযোগ সড়কপথের বাইরে খুব সীমিত। সাধারণ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে একচেটিয়াভাবে পরিচালিত সরকারের গণপরিবহনের সুযোগ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা জরুরি। এর ফলে দেশের এ পর্যটন নগরী আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। [কু. বো. ১৭]
ক. চুক্তিপত্র কী? ১
খ. কপিরাইট বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত সরকারি হোটেল-মোটেলগুলো কোন সংস্থার অধীন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে যে গণপরিবহনের সম্প্রসারণ কক্সবাজার পর্যন্ত করার কথা বলা হয়েছে তার আবশ্যকতা বিশ্লেষণ করো। ৪

৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যে পত্রের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন করে তাকে চুক্তিপত্র বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
লেখক বা শিল্পী কর্তৃক তার সৃষ্টকর্মের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থায়ী আইনগত অধিকারকে কপিরাইট বলে।
কপিরাইট একটি আইনগত ধারণা। এর উদ্দেশ্য হলো সৃষ্টকর্ম নকল থেকে রক্ষা করে প্রকৃত লেখক, শিল্পী বা স্বত্বাধিকারীর স্বার্থ সুরক্ষা করা। কপিরাইট আইন অনুযায়ী একজন উদ্ভাবক তার বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তির ওপর পূর্ণ অধিকার লাভ করেন। সাধারণত বই, প্রবন্ধ, নৃত্য, সংগীত কৌশল ইত্যাদি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কপিরাইটের অন্তর্ভুক্ত।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত সরকারি হোটেল-মোটেলগুলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের অধীন।
বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বিকাশে নেতৃত্বদান, হোটেল-মোটেল প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থা। এর উদ্দেশ্য হলো পর্যটন সেবার উন্নতি সাধন, প্রসারে সহায়তা করা।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। এখানে সরকারি-বেসরকারি অসংখ্য হোটেল-মোটেল আছে। বেসরকারি উদ্যোগে বেশকিছু পাঁচতারা হোটেল স্থাপিত হলেও সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হোটেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা মানুষের কাছে অনেক বেশি। এ হোটেল-মোটেলগুলো একটি সরকারি সংস্থার অধীনে পরিচালিত হয়। এ সংস্থা মূলত জনগণের মধ্যে পর্যটনের আগ্রহ সৃষ্টি করতে এর অবকাঠামোগত উন্নয়ন করে থাকে। পর্যটন খাতকে আরও এগিয়ে নেওয়ার স্বার্থে এটি কাজ করে। এসব কাজ বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থা করে থাকে। সুতরাং, উদ্দীপকে বর্ণিত হোটেল-মোটেলগুলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন সংস্থার অন্তর্ভুক্ত।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে গণপরিবহন হিসেবে ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে’ কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করার কথা বলা হয়েছে, যা পরিবহন সেক্টরে অত্যন্ত আবশ্যক।
সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর লক্ষ্য হলো সরকারের উন্নয়ন কৌশলের সাথে মিল রেখে রেল ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণকে নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন সেবা প্রদান করা।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, বর্তমানে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে যাওয়ার সুযোগ সড়কপথের বাইরে খুব সীমিত। সাধারণ পর্যটকদের কথা বিবেচনা করে সরকারের গণপরিবহনের সুযোগ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা জরুরি। এখানে সরকারের গণপরিবহন বলতে বাংলাদেশ রেলওয়েকে বোঝানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলওয়ে সম্প্রসারণ করলে পর্যটকরা আরও দ্রুত ও সহজে পর্যটন এলাকায় পৌঁছাতে পারবে। সড়ক ব্যবস্থায় পরিবহন ক্ষেত্রে যে অতিরিক্ত দুর্ঘটনা হয় রেলপথে এর মাত্রা খুবই কম। তাই যাত্রীরা নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যে পরিবহন সেবা পেয়ে উপকৃত হবে। চট্টগ্রাম বিভাগের বাইরের অঞ্চলের পর্যটকদেরও কক্সবাজার এলাকা ভ্রমণে আগ্রহ বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দেশের এ পর্যটন নগরী আরও সমৃদ্ধি অর্জন করবে। তাই বলা যায়, রেলওয়ে পরিবহনের সম্প্রসারণ কক্সবাজার পর্যন্ত করা আবশ্যক।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
বাংলাদেশ সরকার তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ট্রেন সার্ভিস চালু করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, যাতে পর্যটকগণ নিরাপদে ও আরামে কক্সবাজার যেতে পারে। অপরদিকে সরকার নিজস্ব বিনিয়োগের পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস দেওয়ার জন্য একটি নতুন ব্যবসায় গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে। [সি. বো. ১৭]
ক. ওয়াসা কী? ১
খ. কেন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠিত হয়? ২
গ. উদ্দীপকে পর্যটকদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য সরকারের কোন প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণে উদ্দীপকে উল্লিখিত নতুন ব্যবসায়ের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৪

৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাংলাদেশের মেট্রোপলিটন শহরে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা প্রদানের দায়িত্ব পালনকারী সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ওয়াসা বা (Water Supply and Sewerage Authority)।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
রাষ্ট্রীয় মালিকানায় ব্যবসায় গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ।
দেশের জনগণের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠন করা হয়। এজন্য জননিরাপত্তামূলক বিষয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উৎপাদন ও বণ্টন রাষ্ট্রীয় মালিকানায় করা হয়। আবার জনস্বার্থে দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতেও অনেক ব্যবসায় রাষ্ট্রীয় মালিকানায় পরিচালনা করা হয়।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে পর্যটকদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য সরকারের বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন।
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলে সাশ্রয়ী মূল্যে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সুবিধা প্রদানের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সরকারি মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের সরকারি মালিকানায় প্রধান পরিবহন সংস্থা।
উদ্দীপকে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়ন করতে চাচ্ছেন। এ লক্ষ্যে সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের ট্রেন সার্ভিস চালু করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এতে পর্যটকগণ নিরাপদে ও আরামে কক্সবাজার যেতে পারে। এতে কক্সবাজারে পর্যটকদের আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এসব কাজ বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিষ্ঠান করে থাকে। তাই বলা যায়, সরকার পর্যকটদের নিরাপদ ও সহজ যাতায়াতের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণে উদ্দীপকে উল্লিখিত সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায় হলো দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি ব্যবসায়। এখানে জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাত সরকারের সাথে চুক্তি করে। এরপর এরপর যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে।
উদ্দীপকে সরকার ঢাকা-চট্টগ্রাম বুলেট ট্রেন সার্ভিস চালু করার জন্য এতে দেশীয় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আহবান জানায়। এতে সরকারের আর্থিক চাপ কিছুটা কমবে। পাশাপাশি বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও নিরাপদে তাদের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারবে।
এ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে সরকারের আর্থিক চাপ হ্রাসের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও কম ঝুঁকিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে অংশ নিতে পারবে। তাছাড়া যৌথ উদ্যোগে বৃহদায়তন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্মাণ করা হলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন হবে। তাই বলা যায়, পদ্মা সেতুর অপর পাড়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারি ব্যবসায়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নির্র্মাণ করা ফলপ্রসূ হবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
মিসেস হাসনাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। আসন্ন ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু যানবাহনের কথা ভেবে চিন্তিত। যদিও বেসরকারি বাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদে ও সুলভে যাতায়াতের জন্য দু’ধরনের বিশেষ সংস্থা আছে। সেবার মান নিয়ে কিছু অভিযোগ আছে। সংস্থা দু’টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত নয়। সরকার সংস্থা দু’টির লোকসান কমানো এবং সেবার মান বাড়ানোর চিন্তা করছে। এছাড়া নতুন ‘রুট’ চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেছে। [য. বো. ১৭]
ক. ওয়াসা কী? ১
খ. জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত বিশেষ সংস্থা দু’টি কী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উদ্দীপকের সংস্থা দু’টির ভূমিকা মূল্যায়ন করো। ৪

৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
বাংলাদেশের মেট্রোপলিটন শহরে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা প্রদানের দায়িত্ব পালনকারী সরকারি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের নাম হলো ওয়াসা (Water Supply and Sewerage Authority)।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান বলতে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় সংগঠনকে বোঝায়।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় এমন একটি সংগঠন, যা জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে গঠিত ও পরিচালিত হয়। স্বল্প ব্যয়ে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে এটি মৌলিক নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে। জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন খাতগুলো হলো- ওয়াসা, রেলওয়ে, ডাক ও তার প্রভৃতি।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত বিশেষ সংস্থা দুটো হলো বিআরটিসি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সাশ্রয়ী মূল্যে সড়কপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বিআরটিসি। আর, সরকারি মালিকানায় ও পরিচালনায় দেশের প্রধান পরিবহন সংস্থা হলো বাংলদেশ রেলওয়ে। উভয় প্রতিষ্ঠান জনকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, বেসরকারি বাসের পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের নিরাপদে ও সুলভে যাতায়াতের জন্য দু’ধরনের বিশেষ সংস্থা আছে। এ সংস্থা দু’টি লাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত নয়। এর একটি হলো BRTC (Bangladesh Road Transport Corporation)। যা ন্যায্য ও স্বল্প ভাড়ায় নিরাপদ, বিশ্বস্ত ও দক্ষ পরিবহন সেবা প্রদান করে এবং নতুন নতুন যাত্রাপথ চালু করে। অপরটি হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এটি নিরাপদ, বিশ্বস্ত, স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ ও সময় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা প্রদান করে। এ উভয় প্রকার সংস্থাই জনগণের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও কল্যাণের নিমিত্তে সেবা পরিবহন সেবা দিচ্ছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উদ্দীপকের সংস্থা দুটি (বিআরটিসি ও বাংলাদেশ রেলওয়ে) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
বিআরটিসি এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে দু’টিই অলাভজনক পরিবহন সংস্থা হিসেবে পরিচিত। এটি জনকল্যাণের উদ্দেশ্য নিয়েই কাজ করে।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, BRTC ও বাংলাদেশ রেলওয়ে এ বিশেষ সংস্থা দু’টি জনগণের নিরাপত্তা ও কম ব্যয়ে যাতায়াত নিশ্চিত করে। সরকার সংস্থা দু’টির লোকসান কমানো এবং সেবার মান বাড়ানোর চিন্তা করছে। এছাড়া নতুন ‘রুট’ চালু করার উদ্যোগ নিয়ে সরকার প্রয়োজনীয় অর্থের ব্যবস্থা করেছে।
এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ফলে সংস্থা দুটি তাদের সেবার মানকে আরও উন্নত করবে। তারা সাশ্রয়ী মূল্যে জনগণকে পরিবহন সেবা দিবে। বেসরকারি পরিবহন সংস্থা যে অধিক মুনাফার্জনের জন্য সেবামূল্য বাড়ায়, এতে জনগণ ভোগান্তির শিকার হয়। এরূপ একচেটিয়া ব্যবসায় উক্ত সরকারি সংস্থা দু’টির সাথে টিকে থাকতে ব্যর্থ হবে। কারণ জনগণ তাদের নিরাপত্তায় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবাই গ্রহণ করবে। সুতরাং, একচেটিয়া ব্যবসায় রোধে উক্ত সংস্থা দু’টি এভাবে অবদান রাখবে।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৮
প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবের কারণে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সে দেশের একটি শহরে পাতাল রেলপথ তৈরি করল। দেশটির সরকার মূলধনের সংস্থান করল। বিদেশি কোম্পানিটি এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। ১০ বছর পর সেদেশের সরকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। [ব. বো. ১৭]
ক. রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় কী? ১
খ. পিপিপি (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের পিপিপি’র বর্ণনা আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তোমার জয়, আমার জয়- সরকার এবং বিদেশি কোম্পানি উভয়ের জন্য এটি এ ধরনের একটি সম্পর্ক - তুমি কি একমত? বিশদভাবে ব্যাখ্যা করো। ৪

৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যেসব প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের বৃহত্তর স্বার্থে গঠিত হয় অথবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বা আংশিক জাতীয়করণের মাধ্যমে রাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, ঐসব প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় বলা হয়।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
সরকারি-বেসরকারি যৌথ অর্থায়নে ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত, পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত ব্যবসায়কে পিপিপি বলে।
PPP হলো Public Private Partnership বা সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বভিত্তিক ব্যবসায়। বৃহদায়তন অবকাঠামো নির্মাণ, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠান গঠনে এরূপ ব্যবসায় কার্যকর। এতে উভয়ের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে ও সরকারের আর্থিক চাপ কমে।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে BOOT (বিওওটি) পিপিপি এর বর্ণনা আছে।
BOOT হলো নির্মাণ (Building), মালিকানা (Ownership), পরিচালনা (Operating) ও হস্তান্তর (Transfer) এর সমন্বিত রূপ, যা পর্যায়ক্রমে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হয়, সবাই মালিকানা পায়, একত্রে পরিচালনা করে ও একপর্যায়ে মালিকানা সরকারি খাতে স্থানান্তরিত হয়।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য প্রযুক্তি এবং প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাবের কারণে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সে দেশের একটি শহরে পাতাল রেলপথ তৈরি করল। দেশটির সরকার মূলধন সংস্থান করেছে। আর বিদেশি কোম্পানিটি এর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে। ১০ বছর পর দেশের সরকার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিবে। সুতরাং এখানে পর্যায়ক্রমিকভাবে যৌথ উদ্যোগে নির্মাণ হয়েছে, মালিকানা পেয়েছে, একত্রে পরিচালনা হচ্ছে এবং ১০ বছর পর মালিকানা সরকারি খাতে হস্তান্তর হবে। এসব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী সরকারি-বেসরকরি অংশীদারিত্ব BOOT-এর আওতায় পড়ে। সুতরাং, উদ্দীপকে BOOT পিপিপি’র বর্ণনা আছে বলা যায়।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
‘তোমার জয়, আমার জয়’- সরকার ও বিদেশি কোম্পানি উভয়ের জন্য পিপিপি এ ধরনের একটি সম্পর্ক- আমি এ বক্তব্যর সাথে একমত।
পিপিপি হলো দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারি ব্যবস্থা, যেখানে জনগণকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বেসরকারি খাত সরকারের সাথে চুক্তি করে যৌথভাবে মূলধন বিনিয়োগ করে।
উদ্দীপকে একটি দেশের সরকার একটি বিদেশি নির্মাণ কোম্পানির সাথে যৌথভাবে সেদেশের জন্য একটি পাতাল রেলপথ তৈরি করল। যৌথ প্রচেষ্টায় নির্মাণ কাজটি দ্রুত ও দক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে উভয়ের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটেছে এবং সেই সাথে সরকারের আর্থিক চাপও হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে এ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সেবাখাত উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সাথে মিলে সরকার অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যৌথ উদ্যোগে এ পিপিপি ব্যবসায় পরিচালনা করতে পারে। ফলে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিতে ও সরকারি রাজস্ব সুবিধা ভোগ করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে অংশ নিতে পারে। যা দেশ সেবায় তাদের সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে। সুতরাং তোমার জয়, আমার জয়- এ ধারণাটি পিপিপি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে এ ধরনেরই একটি সম্পর্ক বলে আমি মনে করি।

সৃজনশীল প্রশ্ন-০৯
'X' বাংলাদেশের একটি অনুন্নত অঞ্চল। অবকাঠামোসহ অন্যান্য অসুবিধার জন্য ঐ অঞ্চলে উল্লেখ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। তাই শুধু মুনাফার কথা না ভেবে দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য 'X' অঞ্চলে মিল-কারখানা গড়ে তোলার বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। [ঢা. বো. ১৬]
ক. সামাজিক ব্যবসায় কী? ১
খ. ‘বিমা হচ্ছে সদ্বিশ্বাসের চুক্তি’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মালিকানার ভিত্তিতে 'X' অঞ্চলে কোন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন উপযোগী? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. 'X' অঞ্চলে পরিকল্পিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হবে জনকল্যাণ- উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৪

৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে ব্যবসায়ে মূলধন বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ প্রাপ্তির কোনো প্রত্যাশা থাকে না বরং সমাজের কল্যাণ ও দারিদ্র্য দূরীকরণের উদ্দেশ্যে গঠন করা হয় তাকে সামাজিক ব্যবসায় বলে।

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাস বলতে বিমাকারী ও বিমাগ্রহীতার মধ্যে পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা বোঝায়।
বিমার ক্ষেত্রে বিমাগ্রহীতা বিমার বিষয়বস্তু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিমাকারীকে অবহিত করে। বিমাকারী বিমা চুক্তির শর্তসমূহ সম্পূর্ণভাবে বিমাগ্রহীতাকে জানায়। এতে উভয়পক্ষ ধরে নেয় প্রয়োজনীয় সব তথ্য তারা একে অপরকে অবহিত করেছে। এ বিশ্বাসের মাধ্যমে তাদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদিত হয় বলে বিমা চুক্তিকে চ‚ড়ান্ত সদ্বিশ্বাসের চুক্তি বলা হয়।

'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে মালিকানার ভিত্তিতে 'X' অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় উপযোগী।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় রাষ্ট্র কর্তৃক গঠিত বা পরবর্তী সময়ে জাতীয়করণকৃত কোনো ব্যবসায়ে মালিকানা, পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের অধীনে থাকে। জনকল্যাণ এর মূল উদ্দেশ্য। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ও সম্পদের সুষম বণ্টনে এ ব্যবসায় কাজ করে।
উদ্দীপকে 'X' বাংলাদেশের একটি অনুন্নত অঞ্চল। অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুবিধার জন্য ঐ অঞ্চলে উল্লেখ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। 'X' অঞ্চলটির সুষম উন্নয়ন হয়নি। তাই মুনাফা নয় বরং এলাকার উন্নয়ন ও জনকল্যাণের জন্য এ অঞ্চলে ব্যবসায় গঠন অপরিহার্য। এতে ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে, যা রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মাধ্যমে সম্ভব।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
'X' অঞ্চলে পরিকল্পিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্যই হবে জনকল্যাণ।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন নয় বরং জনকল্যাণ। এ ব্যবসায়ের অন্যতম বিবেচ্য হলো এলাকার উন্নয়ন, শ্রমিক-কর্মীর উন্নয়ন এবং সমাজের প্রত্যেকের কল্যাণ সাধন। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে একচেটিয়া ব্যবসায় রোধ এবং আয়ের সুষম বণ্টন হয়।
উদ্দীপকে 'X' অঞ্চলটিতে অবকাঠামোগত সুবিধা নেই। কারণ এখানে উল্লেখ করার মতো কোনো মিল-কারখানা গড়ে ওঠেনি। তাই মুনাফা নয়, দেশের সুষম উন্নয়নের জন্য 'X' অঞ্চলে মিল-কারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বিষয়বস্তু অনুযায়ী বলা যায়, সরকার 'X' অঞ্চলে রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় গঠনের পরিকল্পনা নিয়েছে। ফলে ঐ অঞ্চলের সুষম উন্নয়ন যেমন হবে তেমনি অবকাঠামোর উন্নয়নও ঘটবে। মিল-কারখানা গড়ে তুললে 'X' অঞ্চলের জনগণের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে, যা সার্বিকভাবে জনকল্যাণ।

ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র অধ্যায়-৭ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড

সৃজনশীল প্রশ্ন-১০
জনাব শফি তার পরিবার নিয়ে শীতকালীন ছুটিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। যাত্রার শুরুতে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম যান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন যাত্রা শুরু করে, পথে কোথাও না থেমে চট্টগ্রাম পৌঁছে। তার পরিবার ভ্রমণটি খুব উপভোগ করে এবং কর্তৃপক্ষের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম যায়। পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা তাদের বিমোহিত করে। জনাব শফি চিন্তা করলেন পার্বত্য এলাকায় পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য আরও আকর্ষণীয় হবে। পাশাপাশি সরকার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারবে। [দি. বো. ১৬]
ক. BRTC-এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. কোন ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য জনকল্যাণ? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে জনাব শফি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে যে যাত্রাপথ ব্যবহার করেছেন তার তাৎপর্য ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. জনাব শফির চিন্তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত যে প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখতে পারে- উদ্দীপকের আলোকে তার কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করো। ৪

১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
BRTC-এর পূর্ণরূপ হলো Bangladesh Road Transport Corporation.

'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
রাষ্ট্রীয় ব্যবসায় মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয় না বরং এরূপ ব্যবসায়ের উদ্দেশ্য হলো রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি ব্যক্তি যাতে উপকৃত হয়, তা নিশ্চিত করা। তবে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা অব্যাহত রাখার জন্য পরিচালনা খরচ ওঠানোর চেষ্টা করে এ ব্যবসায়। এ ব্যবসায়ের মাধ্যমে জনকল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। তাই বলা যায়, রাষ্ট্রীয় ব্যবসায়ের মূল উদ্দেশ্য হলো জনকল্যাণ সাধন করা।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে জনাব শফি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যেতে ট্রেনের যাত্রাপথ ব্যবহার করেছেন যা বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীন।
সরকারি মালিকানা ও পরিচালনায় দেশের প্রধান সংস্থা হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর লক্ষ্য হলো রেল ব্যবস্থার যথাযথ আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও সংরক্ষণ করা। এছাড়া নিরাপদ ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ এবং সময় সাশ্রয়ী পরিবহন সেবা প্রদানও এর মুখ্য উদ্দেশ্য।
উদ্দীপকে শফি সপরিবারে ঢাকা থেকে রেলপথে চট্টগ্রাম যান। ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে কোথাও না থেমে চট্টগ্রামে পৌঁছে। তার পরিবার ভ্রমণটি খুব উপভোগ করে এবং কর্তৃপক্ষের সেবায় তারা সন্তুষ্ট। বাংলাদেশ রেলওয়ের আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার কারণেই শফি ও তার পরিবার একটি নিরাপদ ভ্রমণ উপভোগ করতে পেরেছে।

'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে জনাব শফির চিন্তা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত যে প্রতিষ্ঠানটি ভূমিকা রাখতে পারে তা হলো বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন একজন চেয়ারম্যান ও ৩ জন সার্বক্ষণিক পরিচালক নিয়ে গঠিত হয়। এরপর থেকেই এটি দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।
উদ্দীপকে মি. শফি পরিবার নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বেড়াতে যান। সেখানকার পাহাড়-পর্বত, প্রাকৃতিক ঝর্ণা তাদের বিমোহিত করে। জনাব শফি চিন্তা করলেন পার্বত্য এলাকায় পর্যাপ্ত আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের আরও আকৃষ্ট করা যাবে।
মি. শফির চিন্তা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ সংস্থা পার্বত্য এলাকায় আবাসিক সুবিধা, উন্নত যাতায়াত ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সক্ষম। এতে ভ্রমণকারীর সংখ্যা ও রাজস্ব বাড়বে। ফলে পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ঘটবে।

Share:

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও পূর্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং পরিচালকের নাম

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও পরিচালক
একাত্তরের যীশু → পরিচালক → নাসির উদ্দিন ইউসুফ
নদীর নাম মধুমতি → পরিচালক → তানভীর মোকাম্মেল
হুলিয়া → পরিচালক → তানভীর মোকাম্মেল
প্রত্যাবর্তন → পরিচালক → মোস্তাফা কামাল
পতাকা → পরিচালক → এনায়েত করিম বাবুল
আগামী → পরিচালক → মোরশেদুল ইসলাম
দুরন্ত → পরিচালক → খান আখতার হোসেন
একজন মক্তিযোদ্ধা → পরিচালক → দিলদার হোসেন
নীল দংশন → পরিচালক → সুমন আহম্মেদ
ধূসর যাত্রা → পরিচালক → আবু সায়ীদ
বখাটে → পরিচালক → হাসিবুল ইসলাম হাবিব
আমরা তোমাদের ভুলবো না → পরিচালক → হারুনুর রশীদ
শরৎ → পরিচালক → মোরশেদুল ইসলাম
সূচনা → পরিচালক → মোরশেদুল ইসলাম
স্মৃতি ৭১ → পরিচালক → তানভীর মোকাম্মেল
আবর্তন  → পরিচালক → আবু সাইয়িদ
চাক্কি → পরিচালক → এনায়েত করি বাবুল
Stop Genocide (১৯৭১) → পরিচালক → জহির রায়হান
A State in Born (১৯৭১) → পরিচালক → জহির রায়হান
Innocent Millions (১৯৭১) → পরিচালক → আলমগীর কবির
Liberation fighters (১৯৭১) → পরিচালক → বাবুল চৌধুরী
ডেটলাইট বাংলাদেশ (১৯৭১) → পরিচালক → ব্রায়ান টাগ
A State in Born (১৯৭২) → পরিচালক → জহির রায়হান
স্মৃতি ‘৭১’ (১৯৯১) → পরিচালক → তানভির মোকম্মেল
মুক্তির গান (বাংলা) (১৯৯৫) → পরিচালক → তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ
মুক্তির কথা (১৯৯৫) → পরিচালক → তারেক মাসুদ ও ক্যাথরিন মাসুদ
নাইন মানথ টু ফ্রিডম → পরিচালক → এস সুকুদেব
এক সাগর রক্তের বিনিময়ে → পরিচালক → আলমগীর কবির
রিফিউজ ৭১ → পরিচালক → বিনয় রায়
দ্য কন্ট্রি মেড ফর বাংলাদেশ → পরিচালক → রবার্ট রজার্স
মেজর খালেদজ ওয়ার → পরিচালক → ভানিয়া কেউল
রহমান: দ্য ফাদার অব নেশনস
আদভানি, জয়বাংলা → পরিচালক → নাগিসা ওশিমা
লুট অ্যান্ড লাস্ট → পরিচালক → কাউল

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র ও পূর্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং পরিচালকের নাম

মুক্তিযুদ্ধোত্তর পূর্নদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও পরিচালকের নাম
ওরা ১১ জন (১৯৭২) → পরিচালক → চাষী নজরুল ইসলাম
রক্তাক্ত বাংলা (১৯৭২) → পরিচালক → মমতাজ আলী
বাঘা বাঙালী (১৯৭২) → পরিচালক → আনন্দ
অরুণ্যোদয়ের অগ্নি সাক্ষী (৭২)সুভাষ দত্ত
জয়বাংলা (১৯৭২) → পরিচালক → ফখরুল আলম
আবার তোরা মানুষ হ (৭৩) → পরিচালক → খান আতাউর রহমান
ধীরে বহে মেঘনা (১৯৭৩) → পরিচালক → আলমগীর কবির
আমর জন্মভূমি (৭৩) → পরিচালক → আলমগীর কুমকুম
আলোর মিছিল (১৯৭৪) → পরিচালক → নারায়ণ ঘোষ মিতা
কার হাসি কে হাসে (৭৪) → পরিচালক → আনন্দ
কলমি লতা (১৯৭৪) → পরিচালক → শহীদুল হক খান
সংগ্রাম (১৯৭৪) → পরিচালক → চাষী নজরুল ইসলাম
বাংলার ২৪ বছর (৭৪) → পরিচালক → মোহাম্মদ আলী
মেঘের অনেক রঙ (৭৬) → পরিচালক → হারুনুর রশিদ
রূপালী সৈকত (৭৯) → পরিচালক → আলমগীর কবির
বাঁধন হারা (১৯৮১) → পরিচালক → এ. জে. মিন্টু
চিৎকার (১৯৮২) → পরিচালক → মতিন রহমান
আগুনের পরশমণি (৯৫) → পরিচালক → হুমায়ূন আহমেদ
এখনও অনেক রাত (৯৭) → পরিচালক → খান আতাউর রহমান
মেঘের পরে মেঘ (১৯৯৭) → পরিচালক → চাষী নজরুল ইসলাম
হাঙ্গর নদী গ্রেনেড (৯৭) → পরিচালক → চাষী নজরুল ইসলাম
ইতিহাস কন্যা (৯৯) → পরিচালক → শামীম আখতার 
মাটির ময়না (২০০২) → পরিচালক → তারেক মাসুদ
শ্যামল ছায়া (২০০৪) → পরিচালক → হুমায়ুন আহমেদ
জয়যাত্রা (২০০৪) → পরিচালক → তৌকির আহমেদ
রাবেয়া (২০০৮)  → পরিচালক → তানভীর মোকাম্মেল
ধ্রুবতারা (২০০৮) → পরিচালক → চাষী নজরুল ইসলাম
খেলাঘর (২০০৮) → পরিচালক → মোরশেদুল ইসলাম
মেহেরজান (২০১০) → পরিচালক → রুবাইয়াত হোসেন
খন্ডগল্প ১৯৭১ (২০১১) → পরিচালক → বদরুল আলম সৌদ
গেরিলা (২০১১) → পরিচালক → নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু
আমার বন্ধু রাশেদ (২০১১) → পরিচালক → মোরশেদুল ইসলাম
জীবন থেকে নেয়া (১৯৭০) → পরিচালক → জহির রায়হান
Let there be light (১৯৭০) (প্রামাণ্য চিত্র) → পরিচালক → জহির রায়হান
Share:

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সকল গ্রন্থ, উপন্যাস এবং লেখকের নাম

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সকল গ্রন্থ  এবং লেখক/রচয়িতার নাম
গ্রন্থের নাম → লেখক/রচয়িতা
১. বাংলাদেশ কথা কয় → লেখক/রচয়িতা  → আবদুল গাফফার চৌধুরী
২. বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → রামেন্দ্র মজুমদার
৩. বাংলাদেশ ও রক্তের ঋণ → লেখক/রচয়িতা  → এ্যান্থনী মাস করেনহাস
৪. বাংলা ও বাঙালীর কথা → লেখক/রচয়িতা  → আবুল মোমেন
৫. বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু → লেখক/রচয়িতা  → মোনায়েম সরকার
৬. একাত্তরের রণাঙ্গন → লেখক/রচয়িতা  → শামসুল হুদা চৌধুরী
৭. একাত্তরের যীশু → লেখক/রচয়িতা  → শাহরিয়ার কবির
৮. একাত্তরের ঢাকা → লেখক/রচয়িতা  → সেলিনা রহমান
৯. একাত্তরের বর্ণমালা  → লেখক/রচয়িতা  → এ. আর. আখতার মুকুল
১০. একাত্তরের কথামালা → লেখক/রচয়িতা  → বেগম নূরজাহান
১১. একাত্তরের ডায়েরি → লেখক/রচয়িতা  → সুফিয়া কামাল
১২. একাত্তর কথা বলে → লেখক/রচয়িতা  → মনজুর আহমেদ
১৩. একাত্তরের বিজয় গাঁথা → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
১৪. একাত্তরের নিশান → লেখক/রচয়িতা  → রাবেয়া খাতুন
১৫. আমি বিজয় দেখেছি → লেখক/রচয়িতা  → এ. আর. আখতার মুকুল
১৬. আমি বীরাঙ্গনা বলছি → লেখক/রচয়িতা  → নীলিমা ইব্রাহীম
১৭. আমরা বাংলাদেশি না বাঙালী → লেখক/রচয়িতা  → আবদুল গাফফার চৌধুরী
১৮. হৃদয়ে বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → পান্না কায়সার
১৯. আমার কিছু কথা → লেখক/রচয়িতা  → শেখ মুজিবুর রহমান
২০. ইতিহাস কথা বলে → লেখক/রচয়িতা  → সৈয়দ নুর আহমেদ
২১. ইতিহাসের রক্ত পলাশ → লেখক/রচয়িতা  → অবদুল গাফফার চৌধুরী
২২. বঙ্গবন্ধু হত্যার দলিলপত্র  → লেখক/রচয়িতা  → অধাপক আবু সাইয়িদ
২৩. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংকলন  → লেখক/রচয়িতা  → হাসান হাফিজুর রহমান
২৪. সেই সব দিন → লেখক/রচয়িতা  → মূনতাসির মামুন
২৫. দ্যা লিবারেশন অব বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → সুখওয়ান্ত সিং মেজর
২৬. দ্যা রেইপ অব বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী
২৭. মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরে → লেখক/রচয়িতা  → পান্না কায়সার
২৮. বাতাসে বারুদ রক্ত উল্লাস → লেখক/রচয়িতা  → জুবাইদা গুলসান আরা
২৯. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম → লেখক/রচয়িতা  → গাজীউল হক
৩০. অরক্ষিত স্বাধীনতাই পরাধীনতা → লেখক/রচয়িতা  → মেজর জলিল
৩১. যুদ্ধেযুদ্ধে একাত্তরের নয় মাস → লেখক/রচয়িতা  → আবুল হাশেম চৌধুরী
৩২. শেখ মুজিব ও স্বাধীনতা সংগ্রাম → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
৩৩. বাঙ্গালী হত্যা এবং পাকিস্তানের ভাঙন → লেখক/রচয়িতা  → মসুদুল হক
৩৪. আমার জীবন কথা ও বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম এ আর মল্লিক
৩৫. কালো পঁচিশের আগে ও পরে → লেখক/রচয়িতা  → আবুল আসাদ
৩৬. নির্বাসন → লেখক/রচয়িতা  → হুমায়ূন আহমেদ
৩৭. ফেরারী সূর্য → লেখক/রচয়িতা  → রাবেয়া খাতুন
৩৮. বুকের ভেতর আগুন → লেখক/রচয়িতা  → জাহানারা ইমাম
৩৯. যুদ্ধে যাবার সময় → লেখক/রচয়িতা  → মঞ্জু সরকার
৪০. অবরুদ্ধ নয় মাস → লেখক/রচয়িতা  → আতাউর রহমান খান
৪১. লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
৪২. মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর  → লেখক/রচয়িতা  → ড. আনিসুজ্জমান
৪৩. মুক্তিযুদ্ধ ও বুদ্ধিজীবী → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
৪৪. বিজয় ৭১ → লেখক/রচয়িতা  → এম. আর. আখতার মুকুল
৪৫. একাত্তরের সাহিত্য → লেখক/রচয়িতা  → বশির আল হেলাল
৪৬. দুইশত ছিষট্টি দিনের স্বাধীনতা  → লেখক/রচয়িতা  → মোহাম্মদ নুরুল কাদির
৪৭. আমার একাত্তর → লেখক/রচয়িতা  → আনিসুজ্জামান
৪৮. স্মৃতি শহর → লেখক/রচয়িতা  → শামসুর রাহমান
৪৯. ঢাকার কথা  → লেখক/রচয়িতা  → মুনতাসির মামুন
৫০. একাত্তরের গেরিলা → লেখক/রচয়িতা  → জহিরুল ইসলাম
৫১. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
৫২. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা → লেখক/রচয়িতা  → আবদুল নূর
৫৩. আমার বাবার কথা  → লেখক/রচয়িতা  → সিমিন হোসেন রিমি
৫৪. আমার কিছু কথা → লেখক/রচয়িতা  → বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
৫৫. আমাদের মুক্তিযুদ্ধ → লেখক/রচয়িতা  → ড. রফিকুল ইসলাম
৫৬. আমরা বাংলাদেশী না বাঙ্গালী → লেখক/রচয়িতা  → আব্দুল গাফফার চৌধুরী
৫৭. ইতিহাসের রক্ত পলাশ → লেখক/রচয়িতা  → আব্দুল গাফফার চৌধুরী
৫৮. বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রাম → লেখক/রচয়িতা  → এ. আর মল্লিক
৫৯. আমার একাত্তর → লেখক/রচয়িতা  → আনিসুজ্জামান
৬০. ইতিহাস কথা বলে → লেখক/রচয়িতা  → সৈয়দ নুর আহমেদ
৬১. অপহৃত বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → মোহাম্মদ আনিসুর রহমান
৬২. অসহযোগ আন্দোলন-একাত্তর, পূর্বাপর → লেখক/রচয়িতা  → রশীদ হায়দার
৬৩. স্মৃতি-১৯৭১ (১-৯খন্ড) → লেখক/রচয়িতা  → রশদি হায়দার সম্পাদি
৬৪. প্রতিরোধের প্রথম প্রহর → লেখক/রচয়িতা  → মেজর রফিকুল ইসলাম
৬৫. একাত্তরের পথের ধারে  → লেখক/রচয়িতা  → শাহরিয়ার কবির
৬৬. একাত্তরের স্মৃতি → লেখক/রচয়িতা  → বাসন্তী গুহ ঠাকুরতা
৬৭. একাত্তরের সাহিত্য  → লেখক/রচয়িতা  → বশীর আল হেলাল
৬৮. মহাপুরুষ → লেখক/রচয়িতা  → এম. আর. আখতার মুকুল
৬৯. জয় বাংলা → লেখক/রচয়িতা  → এম. আর. আখতার মুকুল
৭০. ওরা চার জন → লেখক/রচয়িতা  → এম. আর. আখতার মুকুল
৭১. বিদায় দে মা ঘুরে আসি → লেখক/রচয়িতা  → জাহানারা ইমাম
৭২. একাত্তরের গণহত্যা → লেখক/রচয়িতা  → বশির আল হেলাল
৭৩. একাত্তরের চিঠি (পত্র সংকলন) → লেখক/রচয়িতা  → সংকলনে গ্রামীনফোন ও প্রথম আলো
৭৪. একাত্তরের পাকর্বরতার সংবাদ ভাষ্য → লেখক/রচয়িতা  → আহমেদ রফিক
৭৫. কালো ঘোড়া, ঘেড়াও → লেখক/রচয়িতা  → ইমদাদুল হক মিলন
৭৬. মা → লেখক/রচয়িতা  → আনিসুল হক
৭৭. জয়জয়ন্তী → লেখক/রচয়িতা  → মামুনুর রশীদ
৭৮. জল থেকে লেখা → লেখক/রচয়িতা  → সত্যেন সেন
৭৯. তোমরাই → লেখক/রচয়িতা  → আব্দুল্লাহ আল মামুন

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সকল গ্রন্থ, উপন্যাস এবং লেখকের নাম

৮০. দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → অ্যান্থনি মাসকারেনহাস
৮১. লিগাসি অব ব্লাড (বাংলাদেশ রক্তের ঋণ) অ্যান্থনি মাসকারেনহাস
৮২. বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধু → লেখক/রচয়িতা  → মোনায়েম সরকার
৮৩. বাংলা নামের দেশ → লেখক/রচয়িতা  → অভীক সরকার
৮৪. বাংলা ও বাঙ্গালীর কথা → লেখক/রচয়িতা  → আবুল কালাম আজাদ
৮৫. বাংলার মুখ → লেখক/রচয়িতা  → আশরফ সিদ্দিকী
৮৬. এ গোল্ডেন এজ → লেখক/রচয়িতা  → তাহমিমা আনাম
৮৭. সংগ্রামী বাংলা → লেখক/রচয়িতা  → আবুল কালাম আজাদ
৮৮. ফ্রিডম → লেখক/রচয়িতা  → আলী আহমেদ
৮৯. রাজপুত্র → লেখক/রচয়িতা  → দাউদ হায়দার
৯০. তালাশ → লেখক/রচয়িতা  → শাহীন আকতার
৯১. মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য → লেখক/রচয়িতা  → আহমেদ মাওলা
৯২. বাঙ্গালী কাকে বলে → লেখক/রচয়িতা  → সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
৯৩. বাঙ্গালির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস → লেখক/রচয়িতা  → আহামদ মাযাহার
৯৪. বঙ্গবন্ধু হত্যার দলিলপত্র → লেখক/রচয়িতা  → অধ্যাপক আবু সাইয়িদ
৯৫. বাঙ্গালী হত্যা ও পাকিস্তান ভাঙ্গন → লেখক/রচয়িতা  → মাসুদুল হক
৯৬. মুক্তিযুদ্ধের প্যাচালী → লেখক/রচয়িতা  → আবুল হাসানাত
৯৭. মুক্তিযুদ্ধের রূপরেখা → লেখক/রচয়িতা  → আবুল হাসানাত
৯৮. মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর → লেখক/রচয়িতা  → ড. আনিসুজ্জামান
৯৯. মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংকলন → লেখক/রচয়িতা  → হাসান হাফিজুর রহমান
১০০. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা → লেখক/রচয়িতা  → আবদুল নূর
১০১. ফেরারী ডায়েরী → লেখক/রচয়িতা  → আলাউদ্দিন আল আজাদ
১০২. কাবিলের বোন → লেখক/রচয়িতা  → আল মাহমুদ
১০৩. ঘর নাই বসতি নাই → লেখক/রচয়িতা  → মহসীন খায়রুল আলম
১০৪. জলাংগী → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
১০৫. জয় বাংলার জয়  → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
১০৬. ১৯৭১: কালোরাত্রির খন্ডচিত্র → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
১০৭. যখন সময় এল → লেখক/রচয়িতা  → সৈয়দ আলী আহসান
১০৮. যুদ্ধ জয়ের গল্প → লেখক/রচয়িতা  → রবীন্দ্র গোপ
১০৯. যুগে যুগে বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → তোফায়েল আহমেদ
১১০. হাজার বছরের বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → ড. মুহাম্মদ হান্নান 
১১১. সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড (কবিতা) → লেখক/রচয়িতা  → অ্যালেন গিনসবার্গ
১১২. সেই সব দিন → লেখক/রচয়িতা  → মুনতাসির মামুন
১১৩. বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → রামেন্দ মজুমদার
১১৪. পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধী ১৯১ জন → লেখক/রচয়িতা  → এম এ হাসান
১১৫. একাত্তরের অগ্নিকন্যা → লেখক/রচয়িতা  → তুষার আবদুল্লাহ
১১৬. ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান → লেখক/রচয়িতা  → মোহাম্মদ জাফর ইকবাল
১১৭. অখন্ড পাকিস্তানের শেষ দিনগুলি → লেখক/রচয়িতা  → জি. ডবিøউ চৌধুরী
১১৮. হৃদয়ে বাংলাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → পান্না কায়সার
১১৯. এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম → লেখক/রচয়িতা  → গাজীউল হক
১২০. মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস → লেখক/রচয়িতা  → এস এম এ ভূঁইয়া

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ও লেখকের নাম
১. আগুনের পরশমণি → লেখক/রচয়িতা  → হুমায়ূন আহমেদ
২. জাহান্নাম হতে বিদায় → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
৩. জন্ম যদি হয় বঙ্গে → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
৪. দুই সৈনিক → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
৫. নেকড়ে অরণ্য → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
৬. রাইফেল রুটি আওরাত → লেখক/রচয়িতা  → আনোয়ার পাশা
৭. নিষিদ্ধ নোবান → লেখক/রচয়িতা  → সৈয়দ শামসুল হক
৮. নীল দংশন → লেখক/রচয়িতা  → সৈয়দ শামসুল হক
৯. খাঁচায় → লেখক/রচয়িতা  → রশীদ হায়দার
১০. দেয়াল → লেখক/রচয়িতা  → আবু জাফর সামসুদ্দিন
১১. বিধ্বস্তা রোদের ঢেউ → লেখক/রচয়িতা  → সরাদার জয়েন উদ্দিন
১২. মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস সমগ্র → লেখক/রচয়িতা  → আমজাদ হোসেন
১৩. হাঙ্গর নদী গ্রেনেড → লেখক/রচয়িতা  → সেলিনা হোসেন
১৪. কাঁটাতারে প্রজাপতি → লেখক/রচয়িতা  → সেলিনা হোসেন
১৫. নিরন্তর ঘন্টাবিধান → লেখক/রচয়িতা  → সেলিনা হোসেন
১৬. এক প্রজন্মের সংলাপ → লেখক/রচয়িতা  → নুর মোহাম্মদ মোল্লা
১৭. উপমহাদেশ → লেখক/রচয়িতা  → আল মাহমুদ
১৮. শ্যামল ছায়া → লেখক/রচয়িতা  → হুমায়ূন আহমেদ
১৯. জলাংগী → লেখক/রচয়িতা  → শওকত ওসমান
২০. মুক্তি স্নান → লেখক/রচয়িতা  → আবদুর রউফ
Share: