স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সম্পর্কে বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তোমার নাম হাসনা/সেলিম। তোমার ছোট ভাইয়ের নাম আকাশ। স্বাধীনতা দিবস কীভাবে উদযাপন করেছ সে সম্পর্কে জানিয়ে তাকে একটি পত্র লেখো।

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন সম্পর্কে বন্ধুর নিকট পত্র

২৯/০৩/২০২২
সাভার, ঢাকা।

আদরের আকাশ,
কেমন আছ? বাড়ির সবাই ভালো তো? তোমার বিড়ালটা কত বড় হলো?

২৬ তারিখ ছিল আমাদের মহান স্বাধীনতা দিবস। নানা রকম অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিদ্যালয়ের সবাই মিলে এ দিবসটি উদ্যাপন করেছি। দিনটি উপলক্ষে আমরা পুরো স্কুল কাগজের পতাকা দিয়ে সাজিয়েছিলাম। সবাই মিলে স্কুলের বিভিন্ন দেয়ালে মুক্তিযুদ্ধের বেশ কয়েকটি ছবি এঁকেছি। সব মিলিয়ে পুরো স্কুলটি দেখতে খুব সুন্দর লাগছিল। সকালবেলা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে। সেখানে আমরা ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। স্মৃতিসৌধের আশপাশের স্থানগুলো ঘুরে দেখি। দুপুর থেকে স্কুলে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে ছাত্রছাত্রীরা আবৃত্তি, নাচ, গান, নাটিকা ইত্যাদি উপস্থাপন করে। আমিও একটি কবিতা আবৃত্তি করি। বিকেলে অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায় দেখানো হয় ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ চলচ্চিত্রটি। দেখে খুব ভালো লাগল। সব মিলিয়ে খুব আনন্দময় একটি দিন কেটেছে। 

আজ আর নয়, গরমের ছুটিতে বাড়ি আসছি। মন দিয়ে লেখাপড়া করো। আম্মার কথা শুনো।

ইতি
তোমার বড় বোন
হাসনা

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 



Share:

ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তোমার নাম সাকিব/সালমা। তোমার বন্ধুর নাম অয়ন/আয়না। সম্প্রতি তুমি একটি স্থান থেকে বেড়িয়ে এসেছ। সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।
[চ. বো. ১৫, কু. বো. ১১, রা. বো. ১৩]

ভ্রমণের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তোমার বন্ধুর নিকট পত্র

১৭/০২/২০২২
মালিবাগ, ঢাকা।

প্রিয় অয়ন,
শুভেচ্ছা নিয়ো। আশা করি ভালো আছ। ছুটি কেমন কাটল? আমার কিন্তু দারুণ কেটেছে। কারণটা বলছি, শোনো।

গত সপ্তাহে বাবা-মায়ের সাথে প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন থেকে ঘুরে এসেছি। দারুন মজা হয়েছে। ঢাকা থেকে ট্রেনে চড়ে প্রথমে গিয়েছি চট্টগ্রাম। ট্রেনে চেপে এটাই আমার প্রথম ভ্রমণ। কী যে ভালো লেগেছে বলে বোঝানো যাবে না। চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে টেকনাফ। তারপর জাহাজে চড়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছেছি। সমুদ্রের বুকে জাহাজে চড়ার অভিজ্ঞতাটা সত্যিই অসাধারণ। সমুদ্রের তীর ঘেঁষে থাকা পাহাড়গুলোর সৌন্দর্য যে কাউকে মুগ্ধ করবে। আর সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য তো বলে বোঝানোর মতো নয়। সাগরের স্বচ্ছ নীল পানি, রাতের আকাশে হাজার তারার মেলা, সৈকতে ঘুরে বেড়ানো নানা রঙের কাঁকড়া, সূর্যোদয়ের দৃশ্য ইত্যাদি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেছি। অনেক রকমের সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিয়েছি। আর খেয়েছি সেন্টমার্টিনের সুমিষ্ট ডাবের পানি। সেন্টমার্টিনের অদূরেই আছে ছেঁড়াদ্বীপ। ট্রলারে চড়ে সেখানেও গিয়েছি। উত্তাল সমুদ্রের মাঝে ট্রলারটি বিপজ্জনকভাবে দুলছিল। ক্ষণে ক্ষণে তা মনের ভেতর উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ সৃষ্টি করছিল। সেন্টমার্টিনে আমরা দুই দিন ছিলাম। ফেরার পথে টেকনাফ এসে বাসে চড়ে সরাসরি ঢাকায় ফিরেছি। সব মিলিয়ে সেন্টমার্টিন ভ্রমণের স্মৃতি ভোলার মতো নয়।

আজ বিদায় নিচ্ছি। তোমার ময়না পাখিটার কী খবর? ভালো থেকো।

ইতি
তোমার বন্ধু
সাকিব

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 




Share:

জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তোমার নাম পল্লব/পলি। জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে তোমার আমেরিকা প্রবাসী বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুর নাম ড্যানিয়েল/ডোরি। তার ঠিকানা- ২৪ ডাউনিং স্ট্রিট, নিউইয়র্ক, আমেরিকা।

জন্মভূমির প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে প্রবাসী বন্ধুর নিকট পত্র

প্রিয় ড্যানিয়েল,
কেমন আছ বন্ধু? গত চিঠিতে তুমি জন্মভূমি সম্পর্কে আমার অনুভূতির কথা জানতে চেয়েছ। আজ সে কথা জানিয়ে তোমাকে লিখছি।

পৃথিবীর সব মানুষের মনেই জন্মভূমির জন্য আলাদা একটা টান থাকে। আমার দেশের প্রতিও আমি গভীর মমতা অনুভব করি। আমাদের দেশটা অনেক সুন্দর। মন ভোলানো এর প্রকৃতি। সারা দেশে সবুজের ছড়াছড়ি। নদী, পাহাড়, সমুদ্র সবই আছে এদেশে। আর আছে নানা ধর্ম, পেশা ও সংস্কৃতির মানুষ। সকলেই এদেশে মিলেমিশে বসবাস করে। এই সবকিছুই আমাকে প্রচণ্ডভাবে আকর্ষণ করে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ত্রিশ লক্ষ মানুষ সে যুদ্ধে শহিদ হয়েছে। এদেশকে নিয়ে তাই আমাদের অহংকারের শেষ নেই। বাংলাদেশে জন্ম নিতে পেরে আমি গর্বিত। দেশকে আমি আমার মায়ের মতোই ভালোবাসি।

আজ আর নয়। তোমার দেশের কথা জানিয়ে আমাকে চিঠি দিয়ো।

ইতি
তোমার বন্ধু 
পল্লব

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 




Share:

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে প্রবাসী বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তোমার নাম অহনা/অহন। তোমার কলকাতা প্রবাসী এক বন্ধুর নাম বাদল/বৃষ্টি। ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে তুমি যা জানো তা তোমার বন্ধুকে জানিয়ে একটি চিঠি লেখো। ধরো, তোমার বন্ধুকে লেখার ঠিকানা- ৩৬,  সল্ট লেক, কলকাতা, ভারত।

ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে প্রবাসী বন্ধুর নিকট পত্র

২২শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ 
মহিষাকান্দি, নরসিংদী।

প্রিয় বাদল, 
কেমন আছ? আমি ভালোই আছি। কাল ছিল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালির জীবনে এ দিনটি অত্যন্ত গৌরবমণ্ডিত ও তাৎপর্যপূর্ণ। আজ তোমাকে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানিয়ে লিখছি।

১৯৫২ সালের ২৬শে জানুয়ারি পূর্ব পাকিস্তানের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী খাজা নাজিমউদ্দিন ঘোষণা দেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা। এর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে বাংলার ছাত্রসমাজ। ২১শে ফেব্রুয়ারিকে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো রাষ্ট্রভাষা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ঢাকায় ১৪৪ দ্বারা জারি করা হয়। ২১শে ফেব্রুয়ারির দিন শ্লোগানে শ্লোগানে রাজপথ উত্তাল হয়ে ওঠে। সরকারের জারি করা ১৪৪ ধারার পরোয়া না করেই এগিয়ে যায় ছাত্র-জনতা। পুলিশের গুলিতে রফিক, বরকত, জব্বারসহ আরও অনেকে শহিদ হন। এ ঘটনা সারা দেশের মানুষকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। রাস্তায় নেমে আসে সর্বস্তরের লাখো জনতা। অবশেষে ভাষাশহিদদের জীবনের বিনিময়ে আমরা পাই মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলার অধিকার। তাই একুশ আমাদের অহংকার। আমাদের দৃপ্ত চেতনার অগ্নিমশাল।

তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম জানিয়ো। আজ বিদায় নিচ্ছি।

ইতি 
তোমার বন্ধু
অহনা

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 


Share:

গ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তুমি ফরহাদ। গ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে তোমার বন্ধু শফিককে একটি চিঠি লেখো।

গ্রীষ্মের ছুটি কীভাবে কাটাবে তা জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

১০/০৪/২০২২
বয়রা, খুলনা

প্রিয় শফিক,
ভালোবাসা নিয়ো। তোমার চিঠি পেয়ে খুব আনন্দিত হয়েছি। তোমার সাথে কতদিন দেখা হয় না।

যা হোক, তোমাকে একটা খুশির খবর দিই। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে আমাদের বিদ্যালয়ে গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হবে। ঠিক করেছি আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনায় বেড়াতে যাব। তুমি তো জানোই ইতিহাস আর ভূগোল সম্পর্কে আমার অনেক আগ্রহ। এ কারণেই ভাবছি মা-বাবার সাথে এই ছুটিতে সোনারগাঁ ও পাহাড়পুর যাব। এ দুটিই আমাদের দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। বইয়ে এ দুটো জায়গার কথা অনেক পড়েছি। নিজের চোখে দেখতে পেলে সেই জ্ঞান পূর্ণতা লাভ করবে। স্থানগুলোতে গেলে বাংলার প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যাবে। তুমিও চলোনা আমাদের সাথে। খুব মজা হবে।

ভালো থেকো। তোমার মতামত জানিয়ো।

ইতি
তোমার শুভার্থী
ফরহাদ

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 




Share:

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে বাবার কাছে পত্র

মনে করো, তুমি কাজল। তোমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল সম্পর্কে জানিয়ে বাবার কাছে একটি পত্র লেখো।

এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে বাবার কাছে পত্র

এপ্রিল ২৫, ২০২২
বাজিতপুর

শ্রদ্ধেয় বাবা,
সালাম নিন। আশা করি ভালো আছেন। গতকাল আপনার চিঠি পেলাম। আপনার আসতে দেরি হবে জেনে মনটা খুব খারাপ হলো।

আজ আমার এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। আমার ফল জেনে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হবেন। আমি গোল্ডেন A+ পেয়েছি। দোয়া করবেন, আমি যেন ভবিষ্যতে আপনার মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।

আপনাকে অনেক দিন দেখিনি। আপনাকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। ছুটি নিয়ে দুটো দিনের জন্য হলেও আমাদের সঙ্গে দেখা করে যান। আমরা আপনার অপেক্ষায় রইলাম।

বাড়ির সবাই ভালো আছে। আপনি শরীরের প্রতি যত্ন নেবেন। ভালো থাকবেন।

ইতি
তোমার শুভার্থী
কাজল

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 




Share:

বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট পত্র

মনে করো, তোমার নাম নিলয়। তোমার বন্ধুর নাম সাগর। সে খুলনায় থাকে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তার কাছে একটি পত্র লেখ।
[কু. বো. ১২, য. বো. ১৪]

বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে বন্ধুর নিকট পত্র

১৩.০৭.২০২২
পল্লবী, ঢাকা

প্রিয় সাগর,
কেমন আছ? অনেক দিন হলো তোমার কোনো খবর পাই না। গতকাল আমাদের স্কুলে ‘বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে একটি সেমিনার হয়ে গেল। সেই সেমিনারেই বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে অনেক কথা শুনলাম। তোমাকে সে সম্পর্কে জানাতেই এ চিঠি লিখতে বসেছি।

তুমি তো জানো, গাছ আমাদের পরম বন্ধু। আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন গ্রহণ করি, কার্বন ডাইঅক্সাইড ত্যাগ করি। আর গাছ আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে নেয়, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিন্তু মানুষ তার প্রয়োজনে প্রচুর গাছ কাটছে। বন উজাড় হচ্ছে। তাতে প্রকৃতি ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য একটি দেশের মূল ভূখণ্ডের কমপক্ষে পঁচিশ ভাগ বন থাকা দরকার। আমাদের দেশে তা নেই। যেটুকু আছে তা-ও নির্বিচারে ধ্বংস করা হচ্ছে। সভ্যতা ও উন্নয়নের ফলে সৃষ্টি হচ্ছে কলকারখানা। রাস্তায় যানবাহনের চলাচল বাড়ছে। কলকারখানা ও গাড়ির ধোঁয়ায় বাতাসে বাড়ছে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ। কমছে বাতাসের ওজোন স্তর। যার ফলে সৃষ্টি হচ্ছে গ্রিনহাউস ইফেক্ট। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। দেখা দিচ্ছে নানা রোগ-ব্যাধি। এসবই ঘটছে বাতাসে অক্সিজেনের অভাবের কারণে। তাই বেশি বেশি গাছ লাগালে বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ হবে। প্রকৃতির ভারসাম্য ফিরে আসবে। পরিবেশ দূষণমুক্ত হবে। তাছাড়া আমাদের জ্বালানির চাহিদার বেশির ভাগ পূরণ হয় বৃক্ষের মাধ্যমে। কাঠ থেকে আমরা বাড়িঘর এবং আমাদের প্রয়োজনীয় আসবাব প্রস্তুত করে থাকি। সুতরাং ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনই আমাদের অধিক হারে বৃক্ষরোপণ করা প্রয়োজন। বাড়ির চারপাশে, রাস্তার দুপাশে, পতিত জমিতে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। বৃক্ষরোপণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে আরো সচেতন করে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, বৃক্ষ বাঁচলেই আমরা বাঁচব।

আজ এই পর্যন্তই। তোমার মা-বাবাকে আমার সালাম জানিয়ো। চিঠি দিয়ো।
ইতি-
তোমার বন্ধু
নিলয়

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 



Share:

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

নববর্ষ উদযাপনের জন্য কেমন আয়োজন চলছে তা জানিয়ে বন্ধুকে একটি পত্র লেখো।

বাংলা নববর্ষ উদযাপনের আয়োজন জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

২৫.০২.২০২২
কুমারখালী, কুষ্টিয়া

প্রিয় জুয়েল,
আশা করি ভালো আছো। শুনে খুশি হবে আসছে পহেলা বৈশাখে আমাদের স্কুল থেকে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। আমাদের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে থাকবে সপ্তাহব্যাপী বৈশাখী মেলার আয়োজন, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি, সংগীতানুষ্ঠান ইত্যাদি। আবৃত্তি অনুষ্ঠানে আমি একটি কবিতা আবৃত্তি করব। তাছাড়া সংগীত সন্ধ্যায় আমরা সমবেত কণ্ঠে সূচনা সংগীত হিসেবে পরিবেশন করব “এসো হে বৈশাখ, এসো এসো” গানটি। আমাদের অনুষ্ঠানগুলোতে প্রধান অতিথি থাকবেন মাননীয় জেলা প্রশাসক ও বিশেষ অতিথি থাকবেন আমাদের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহোদয়।

অনুষ্ঠানের শেষ দিন পুরস্কার বিতরণীর ব্যবস্থা রয়েছে। নববর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে আমাদের বিদ্যালয় ভবন ও প্রাঙ্গণ নতুন সাজে সাজানো হবে। ঐদিন আমরা সবই নতুন পোশাকে সজ্জিত হয়ে একত্রিত হব। ছোট-বড় সবাই মিলে মজা করব এবং পান্তা ভাত ও ভাজা ইলিশের আয়োজন করব।

এই আয়োজনে তোমারও নিমন্ত্রণ রইল। আজ এখানেই শেষ করছি। তাড়াতাড়ি চিঠি পাঠিয়ো।

ইতি
তোমার বন্ধু
রানা

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 


Share:

একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

তোমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখো।
[রা. বো. ১২]

তোমার দেখা একটি বিজ্ঞান মেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

জামালপুর, সদর
৪ঠা জানুযারি, ২০২২

প্রিয় অসীম,
কেমন আছ বন্ধু? আমার খবর ভালো। তবে গত সপ্তাহটি পার করেছি ভীষণ ব্যস্ততায়। আমাদের স্কুলে আয়োজন করা হয়েছিল সপ্তাহব্যাপী একটি বিজ্ঞান মেলার। তার খবর জানাতেই তোমাকে আজ লিখছি।

মেলায় বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা তাদের নিজেদের তৈরি বিভিন্ন বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজেক্ট প্রদর্শন করে। মেলা উপলক্ষে পুরো স্কুল ভবনকে সাজানো হয়। প্রতিদিন বিকাল ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জনসাধারণের জন্য প্রদর্শনী খোলা রাখা হয়। আমরা বিভিন্ন স্টলে নিজ নিজ প্রদর্শনী বস্তু নিয়ে প্রদর্শন শুরু করি। আমি আমার অটোমেটিক লাইট ডিটেক্টর যন্ত্রটি প্রদর্শন করি এবং বিচারকগণের রায়ে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করি।

উক্ত প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক। তিনি সবগুলো স্টল পরিদর্শন করেন এবং আমাদের কাজে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদের প্রধান শিক্ষক এতে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন। প্রদর্শনী সফল হওয়ার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি ঘোষণা দেন যে, এখন থেকে নিয়মিতভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। এ বছর দশটি স্কুল এতে অংশ নেয়। ভবিষ্যতে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করি।

আজ এ পর্যন্তই। তোমার আব্বা-আম্মাকে আমার সালাম দেবে। আর ছোট ভাইবোনদের দেবে অনেক অনেক আদর। তোমার গাছগুলোর কী খবর? চিঠিতে জানিয়ো।

ইতি
তোমার বন্ধু
পুনম

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 


Share:

পরীক্ষায় কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

পরীক্ষায় কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তোমার বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো।
[কু. বো. ১৪, ঢা. বো. ০৯, দি. বো. ১৪]

পরীক্ষায় কৃতিত্ব প্রদর্শনের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র

বগুড়া সদর
২৫শে মে, ২০২২

প্রিয় কাঞ্চন,
প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিয়ো। এসএসসি পরীক্ষায় তোমায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়ার খবর শুনে আমি অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এমন গৌরবোজ্জ্বল ফল অর্জন করায় তোমাকে আমি আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাই।

তোমার মতো ফল আমি করতে পারিনি। তবে যেটুকু হয়েছে তাতেই আমি খুশি। আমি পেয়েছি ৪.৮৮। তোমার ফলাফলের কথা শুনে বাবা-মাও খুব খুশি হয়েছেন। আমার মনে হয় তোমার এই সাফল্য তোমার দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সামনের দিনে অপেক্ষা করছে কঠিনতর চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জে জয়ী হওয়ার জন্য তোমাকে পরিশ্রমের ধারাটি অব্যাহত রাখতে হবে। দৃঢ়সংকল্প ও পরিশ্রমের জোরেই যে জীবনে সফলতা আসে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তো তুমি নিজেই। তুমি তোমার লক্ষ্যকে সামনে রেখে নিয়মিত পড়াশোনা চালিয়ে গেছ। আমি আশা করেছিলাম যে, পরীক্ষায় তুমি অবশ্যই দারুণ ফলাফল করবে। আমার কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। তুমি তোমার পরিশ্রমের পুরস্কার পেয়েছ।

তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম জানাবে। তোমার ভবিষ্যৎ জীবন আরও সুন্দর ও সফল হোক। এই কামনা করে শেষ করছি। ভালো থেকো।

ইতি
তোমার বন্ধু
সাগর

[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]

 

প্রেরক,

নাম: তারিকুল ইসলাম

ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম।

ডাকটিকিট

প্রাপক,

নাম: সানজিদা আক্তার

ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা।

 

 




Share: