Hercules Paragraph

(a) Who is Hercules? (b) Which things are known as the 'twelve labors of Hercules'? (c) Who disturbed the village of Nemea? (d) Who was Hydra? What was her specialty? (e) How did Hercules become successful in his missions?
Hercules Paragraph

Hercules
Hercules is a famous character of antique Greek mythology. He was the son of Jupiter, the king of gods, and Alcmena. He was assigned with some difficult tasks by Eurystheus, the king of Mycenae and his cousin. Those tasks are known as the 'twelve labors of Hercules' in Greek mythology. Eurystheus ordered Hercules to slay a lion and bring him his skin, which disturbed the village of Nemea. Hercules at first fought the lion with weapons but failed and then slayed it just with his hands. His next task was to slay a monster called Hydra. Hydra had nine heads, one of which was immortal. When Hercules attempted to struck off its heads, two new ones erupted. With the help of his servant Ileus, Hercules succeeded in burning eight heads of Hydra and he managed to bury the immortal head under a rock. Hercules became successful in his missions one after another and became a world-famous hero.

হারকিউলিস
হারকিউলিস হচ্ছে প্রাচীন গ্রীক পুরাণের একটি বিখ্যাত চরিত্র। তিনি ছিলেন দেবতাদের রাজা জুপিটার এবং আলকমিনার পুত্র। মাইসিনির রাজা ইউরিসথিউয়াস এবং তার চাচাত ভাই তাকে কিছু কঠিন কাজ করতে বাধ্য করত। গ্রীক পুরাণে এসব কাজ ‘হারকিউলিসের বারোটি শ্রম’ নামে পরিচিত। ইউরিসথিউয়াস হারকিউলিসকে আদেশ করেছিল একটি সিংহকে বধ করে তার চামড়া নিয়ে আসার জন্য যা নিমিয়া গ্রামের অধিবাসীদের বিরক্ত করছিল। হারকিউলিস প্রথমে সিংহের সাথে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করেছিল কিন্তু ব্যর্থ হল, পরে এটিকে তার হাত দিয়ে হত্যা করেছিল। তার পরবর্তী কাজ ছিল হাইড্রা নামক দৈত্যকে হত্যা করা। হাইড্রার ছিল নয়টি মাথা, যার একটি ছিল অমরণশীল। হারকিউলিস যখন তার মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করে, তার দুইটি নতুন মাথা গজায়। তার ভৃত্য ইয়োলাসের সহযোগিতায় হারকিউলিস হাইড্রার আটটি মাথা পুড়িয়ে ফেলতে এবং অমরণশীল মাথাটি একটি পাহাড়ে পুঁততে সমর্থ হয়েছিল। হারকিউলিস তার মিশনে একের পর এক সফলতা লাভ করে পৃথিবীর একজন বিখ্যাত বীরপুরুষ হওয়ার খ্যাতি অর্জন করেন।
Share:

Orpheus Paragraph

(a) Who is Orpheus? (b) What did his father teach him? (c) Who were charmed by his music? (d) Who did Orpheus marry? (e) How did he lose his beloved for ever?
Orpheus Paragraph
Orpheus
Orpheus is a character of antique Greek mythology. He is a mythic god. Son of Apollo and the Muse Calliope, he was awarded a lyre by his father and also taught to play upon it. He played on the lyre with so perfection that no other person's performance was comparable to it. His music not only softened the other fellow-mortals but also wild animals. His music even charmed trees and rocks. The trees crowded around him being charmed by his music. The rocks were also softened by his notes. Orpheus married Eurydice whose untimely death led him to the underworld in order to recover her. He charmed the rulers and guards of Hades with his music and was allowed to bring back his beloved on one condition. The condition was that he would not look back at her until they reach the upper world. Orpheus failed to check his desire to look at Eurydice and lost her for ever.

অর্ফিয়াস
অর্ফিয়াস হচ্ছে প্রাচীন গ্রিক পুরাণের একটি চরিত্র। তিনি হচ্ছেন পৌরাণিক দেবতা। তিনি ছিলেন অ্যাপোলো এবং মিউস ক্যালিওপের পুত্র। তাকে তার বাবা একটি বাঁশি উপহার দিয়েছিলেন এবং এটি বাজাতে শিখিয়েছিলেন। তিনি এটি এতো ভালোভাবে বাজাতে পারতেন যে অন্য কেউ তার সমকক্ষ ছিল না। তার সঙ্গীত শুনে কেবল অন্য মানুষেরা নয় বন্য প্রাণীরাও মুগ্ধ হতো। এমনকি তার সঙ্গীত গাছ এবং পাহাড়কে মুগ্ধ করত। তার চারপাশে ভিড় করা গাছপালাও তার সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হতো। তার সঙ্গীত শুনে পাহাড়ও মুগ্ধ হতো। অর্ফিয়াস ইউরিডিসকে বিবাহ করেছিলেন যার অকালমৃত্যু তাকে পাতালপুরীতে যাওয়ার জন্য বাধ্য করেছিল তাকে উদ্ধার করার জন্য। তিনি হেডিস এর শাসক এবং পাহারাদারদের তার সঙ্গীত দ্বারা মুগ্ধ করেছিলেন এবং একটি শর্ত সাপেক্ষে তার প্রিয়াকে ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়েছিলেন। শর্তটি ছিল যে তিনি তাকে নিয়ে উপরের পৃথিবীতে না পৌঁছা পর্যন্ত তার দিকে ফিরে তাকাতে পারবেন না। অর্ফিয়াস তার ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়ে ইউরিডিস এর দিকে তাকালেন এবং তাকে চিরদিনের জন্য হারালেন।
Share:

Gazi Pir Paragraph

(a) Who is Gazi Pir? (b) What did he do? (c) What do people believe about him? (d) Who feared him? (e) What kind of extraordinary power did Gazi have?
Gazi Pir Paragraph
Gazi Pir
Gazi Pir is a legendary or mythic character. According to legend, he was a Muslim saint who helped the spread of Islam in the parts of Bengal close to the Sundarbans. He is said to have done many miracles. People believe he could calm dangerous animals and make them docile. He is usually depicted in paats or scroll paintings riding a terrifying Bengal Tiger, while holding a snake in his hand. Some stories tell us that he also fought crocodiles that threatened the people of a region full of canals and creeks. That place was, in fact, a watery jungle. People also believe that he enabled villagers to live close to forests and jungles and to cultivate their lands. Wild animals feared him. People of those areas prayed to him for protection. The story of Gazi Pir has been preserved in folk literature and indigenous culture. Some Gazir Paat collections are also kept in the British Museum.

গাজী পীর
গাজী পীর একজন কাল্পনিক অথবা পৌরাণিক চরিত্র। লোককাহিনী অনুসারে, তিনি একজন মুসলিম সাধক ছিলেন যিনি সুন্দরবনের নিকটবর্তী বাংলার অংশসমূহে ইসলাম ধর্মের প্রসারে সহায়তা করেন। বলা হয়ে থাকে যে তিনি অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটিয়েছেন। মানুষ বিশ্বাস করে যে তিনি বিপজ্জনক প্রাণী শান্ত করতে এবং তাদের বশ করতে পারতেন। তাকে সাধারণত পাট অথবা স্ক্রল পেইন্টিঙে আঁকা হয় যিনি একটি হিংস্র বাঘের পিঠে চড়ে এবং হাতে একটি সাপ ধরে থাকেন। কিছু গল্প অনুসারে, তিনি কুমিরের সাথেও যুদ্ধ করতেন যা খাল-বিলে ভরা একটি অঞ্চলের মানুষের জন্য ভয়ের কারণ ছিল। জায়গাটি ছিল পানিময় জঙ্গল। মানুষ আরো বিশ্বাস করে যে তিনি মানুষকে বনজঙ্গলের নিকটে বাস করতে এবং তাদের জমি চাষ করতে শিখিয়েছেন। বন্য প্রাণী তাকে ভয় পেত। ঐ অঞ্চলের জনগণ সাহায্যের জন্য তার কাছে প্রার্থনা করত। গাজী পীরের গল্প লোক সাহিত্য এবং দেশীয় সাহিত্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কিছু গাজীর পাট ব্রিটিশ জাদুঘরেও রাখা আছে।
Share:

Human Rights Paragraph

What is meant by human rights? What are the basic human rights? Why do people struggle for? How did Bangladesh emerge as an independent state? What are the most powerful enemies of human rights in our country? What is essential for exercising human rights?
Human Rights Paragraph
Human Rights
Human rights are the rights that are inherent in all human beings in spite of their different identities. The basic or fundamental rights include human's social rights, civil rights, political rights, cultural rights, religious rights and economic rights etc. Everyone has the right to keep one's privacy, honour, nationality, family, freedom of thought and expression, association, and suffrage. Each and every country of the world adopts obligations and duties to protect and fulfill its human rights. People all over the world struggle for establishing fundamental human rights. But unfortunately people are yet to overcome the barriers to human rights. Bangladesh emerged as an independent state as a result of a fight against violation of human rights by the Pakistanis in different ways. In spite of having enough potential for progress and prosperity, our country is still fighting against humiliating poverty and illiteracy. These two are perhaps the most powerful enemies of human rights. As a result, most of the people are unable to speak and think freely. It is essential that people need freedom to exercise their rights. But in our country they are often neglected by the established politics and socio-economic activities. Yet, there is ample scope for improvement in the status of human rights.

মানবাধিকার
বিভিন্ন পরিচিতি থাকা সত্ত্বেও সমস্ত মানবজাতির অন্তর্নিহিত অধিকারই মানবাধিকার। মানুষের সামাজিক অধিকার, নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, সাংস্কৃতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার এবং অর্থনৈতিক অধিকার ইত্যাদি মৌলিক মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত। প্রত্যেকেরই তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা, সম্মান, জাতীয়তা, পরিবার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংঘ এবং ভোটাধিকার রক্ষার অধিকার রয়েছে। বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশেরই তার মানবাধিকার পালন ও রক্ষা করার বাধ্যবাধকতা ও কর্তব্য রয়েছে। সারা বিশ্বের মানুষ মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত জনগণ এখনও মানবাধিকারের বাধাসমূহ অতিক্রম করতে পারেনি। পাকিস্তানীদের বিভিন্নভাবে মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম/ যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবিভূর্ত হয়েছে। উন্নতি ও উন্নয়নের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমাদের দেশ এখনও অবমাননাকর দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এই দুইটি মানবাধিকারের সম্ভবত সবচেয়ে শক্তিধর শত্র“। ফলে, অধিকাংশ মানুষ স্বাধীনভাবে কথা বলতে ও চিন্তা করতে অসমর্থ। এটা অপরিহার্য যে অধিকার আদায়ে মানুষের স্বাধীনতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতি ও আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড দ্বারা তারা প্রায়ই অবহেলিত। তা সত্ত্বেও, মানবাধিকারের অবস্থার উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ আছে।
Share:

ধ্বনি পরিবর্তন বলতে কি বোঝায়? বিস্তারিত আলোচনা

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
ধ্বনি পরিবর্তন

স্বরাগমঃ উচ্চারণকে সহজতর করার জন্য শব্দের স্বরধ্বনির আগমনকে স্বরাগম বলে।

আদি স্বরাগমঃ শব্দের আদিতে বা শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরগম বলে। যেমন-
স্ত্রী>ই + স্ত্রী=ইস্ত্রী, স্কুল>ই + স্কুল= ইস্কুল, স্টিমার>ই + স্টিমার= ইস্টিমার। এরূপ-আস্তাবল, অস্পর্ধা ইস্টিশন ইত্যাদি।

মধ্য স্বরাগমঃ উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে বা শব্দের  মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে মধ্য স্বরাগম বলে। যেমন- 
অ-রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ।
ই-প্রীতি>পিরীত, ফিল্ম>ফিলিম, ডাল>ডাইল।
উ-ভ্রু>ভুরু, চাল>চাউল।
এ-স্রেফ>সেরেফ।

অন্ত্য স্বরাগমঃ উচ্চরণের সময় শব্দের শেষে স্বরধ্বনি আসলে তাকে অন্ত্য স্বরাগম বলে। যেমন-
দিশ>দিশা, পোখত>পোক্ত, সত্য>সত্যি
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপঃ দ্রুত উচ্চরণের জন্য শব্দের কোন স্বরধ্বনি লোপকে সম্প্রকর্ষ বলে। যেমন-
বসতি>বসতি, জানালা>জানলা

আদি স্বরলোপঃ অলাব>লাবু>লাউ, উদ্বার>উধার>ধার।

মধ্য স্বরলোপঃ অগুরু>অগ্রু, সুবর্ণ>স্বর্ণ, গৃহিণী>গিন্নী।

অন্ত্য স্বরলোপঃ অগ্নি>আগুন, চারি>চার

অপিনিহিতিঃ কোন শব্দের মধ্যকার স্বরধ্বনি যদি যথাস্থানে উচ্চারিত না হয়ে পুর্বে উচ্চারিত হয় তবে তাকে অপনিহিতি বলে।
যেমন-আজি>আইজ, সাধু>সাউধ

অভিশ্রুতিঃ অপিনিহিতি শব্দের স্বরধ্বনিগুলো পরিবর্তিত হয়ে যদি শব্দটি নতুন রূপ ধারণ করে তবে তাকে অভিশ্রুতি বলে।
অন্য কথায়, অপিনিহিতি শব্দের মধ্যস্থিত ই বা উ উচ্চারণকালে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলিত হয়ে যে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে তাকে অভিশ্রুতি বলে।
মূল শব্দ অপিনিহিত শব্দ অভিশ্রুতি
করিয়া        > কইর‌্যা       > করে
আজি         > আইজ       > আজ
আসিয়া       > আইস্যা      > এসে
সকল সাধুভাষার ক্রিয়াপদ অভিশ্রুতির মাধ্যমে চলিতরূপ লাভ করে।

স্বরসঙ্গতিঃ এক স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
দেশি >দিশি, বিলাতি >বিলিতি, বুড়া >বুড়ো।

প্রগত স্বরসঙ্গতিঃ আদি স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর পরিবর্তিত হলে তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
মুলা >মুলো, শিকা >শিকি।

পরাগত স্বরসঙ্গতিঃ পরবর্তী স্বরের প্রভাবে আদিস্বরের পরিবর্তন হলে তাকে পরাগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
দেশি >দিশি, আখো >এখো।

মধ্যগত স্বরসঙ্গতিঃ আদিস্বর অথবা অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন-
বিলাতি >বিলিতি।

অন্যোন্য স্বরসঙ্গতিঃ আদ্য এবং অন্ত্য উভয় র্স্বই পরস্পর প্রভাবিত হয়ে পরিবর্তিত হলে তাকে অন্যান্য স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
মোজা >মুজো।

ধ্বনি বিপর্যয়ঃ শব্দের মধ্যকার দুটো ব্যঞ্জন বর্ণের পরস্পরের মধ্যে যদি স্থান পরিবর্তন ঘটে তবে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে। যেমন-
পিশাচ >পিচাশ, বাকস >বাসক, রিকসা >রিসকা, জানালা >জালানা।

বিষমীভবনঃ পদ মধ্যস্থিত দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটি পরিবর্তিত হলে তাকে বিষমীভবন বলে। যেমন-
শরীর>শরীল, লাল>নাল।

সমীভবনঃ শব্দ মধ্যস্থিত দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্পবিস্তর সমতা লাভ করে, ধ্বনি পরিবর্তনের এ রীতিকে বলা হয় সমীভবন। যেমন-
চক্র>চক্ক, পদ্ম>পদ্দ, লগ্ন>লগগ, কাঁদনা>কান্না।

প্রগত সমীভবনঃ পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে প্রগত সমীভবন বলে। যেমন- 
চক্র>চক্ক, পদ্ম>পদ্দ।

পরাগত সমীভবনঃ পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হলে পরাগত সমীভবন বলে। যেমন- 
তৎ + জন্য>তজ্জন্য, তৎ + হিত>তদ্বিত, উৎ + মুখ>উন্মুখ।

অন্যান্য সমীভবনঃ যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে অন্যান্য সমীভবন বলে। যেমন-
সংস্কৃত সত্য>প্রাকৃত সচ্ছ, সংস্কৃত বিদ্যা>প্রাকৃত বিজ্জা ইত্যাদি। 

অসমীকরণঃ একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে। যেমন- ধপ + ধপ>ধপাধপ, টপ + টপ>টপাটপ।

ধ্বনি পরিবর্তন | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

স্বরধ্বনির উচ্চারণ
ধ্বনির অবস্থানভিত্তিক

অ: শব্দে অবস্থানভেদে অ দু রকমে লিখিত হয়
 ১) স্বাধীন ভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন - অমর, অনেক।
২) শব্দের মধ্যে অন্য বর্ণের সঙ্গে বিলীন ভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন - কর, বল। এখানে ক এবং র আর ব এবং ল বর্ণের সঙ্গে অ বিলীন  হয়ে আছে। (ক্ + অ +র্  + অ ; ব্ + অ + ল্ + অ) ।

শব্দের অ - ধ্বনির দু রকম উচ্চারণ পাওয়া যায়
 ১) বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ। যেমন - অমল, অনেক, কত।
 ২) সংবৃত বা ও - ধ্বনির মত উচ্চারণ। 
যথা - অধীর, অতুল, মন। এ উচ্চারণগুলোতে অ-এর উচ্চারণ  অনেকটা ও-এর মত (ওধীর, ওতুল, মোন)।'

১) ‘অ’ - ধ্বনির স্বাভাবিক বা বিবৃত উচ্চারণ

 (ক) শব্দের আদিতে
 ১) শব্দের আদিতে না-বোধক ‘অ’ যেমন - অটল, অনাচার।
২) ‘অ’ কিংবা ‘আ’ - যুক্ত ধ্বনির পূর্ববর্তী অ-ধ্বনি বিবৃত হয়। যেমন - অমানিশা, অনাচার, যত, কথা।

খ) শব্দের মধ্যে ও অন্তে
১) পূর্ব স্বরের সঙ্গে মিল রেখে স্বরসঙ্গতির কারণে বিবৃত ‘অ’। যেমন - কলম, যত, ।
২) ঋ-ধ্বনি, এ-ধ্বনি ঐ-ধ্বনি ও-ধ্বনি এবং ঔ-ধ্বনির পরবর্তী ‘অ’ প্রায়ই বিবৃত হয়। 
 যেমন-তৃণ, দেব, ধৈর্য, নোলক, বৈধতা, শ্রেয়ঃ, মৌন অনেক।
৩) অনেক সময় ই-ধ্বনির পরের ‘অ’ বিবৃত হয়। যেমন - গঠিত, মিত, জনিত ইত্যাদি।

২) অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ
অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে চোয়াল বেশি ফাঁক হয়। ঠোঁট তত বাঁকা বা গোল হয় না। কিন্তু সংবৃত উচ্চারণে চোয়ালের ফাঁক কম ও ঠোঁট গোলাকৃতি হয়ে ‘ও’ - এর মত উচ্চারিত হয়। সংবৃত উচ্চারণকে ‘বিকৃত’, ‘অপ্রকৃত’ বা ’অস্বাভাবাবিক’ উচ্চারণ বলা ঠিক নয়। সংবৃত উচ্চারণও ‘স্বাভাবিক’, ‘অবিকৃত’ ও ‘প্রকৃত’ উচ্চারণ।

 (ক) শব্দের আদিতে
 ১) পরবর্তী স্বর সংবৃত হলে শব্দের আদি ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন- অতি (ওতি), করুণ (কোরুণ) করে (অসমাপিকা ‘কোরে’)। কিন্তু  সমাপিকা ‘করে’ শব্দের ‘অ’ বিবৃত।
২) পরবর্তী ই,উ - ইত্যাদির প্রভাবে পূর্ববর্তী র - ফলাযুক্ত ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন - প্রতিভা, (প্রোতিভা), প্রচুর (প্রোচুর) ইত্যাদি। কিন্তু,  অ, আ ইত্যাদির প্রভাবে পূর্ব ‘অ’  বিবৃত হয়। যেমন - প্রভাত,প্রত্যয়, প্রণাম ইত্যাদি।

 
(খ) শব্দের মধ্যে ও অন্তে
১) তর, তম, তন প্রত্যয়যুক্ত বিশেষণ পদের অন্ত্য স্বর ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন - প্রিয়তম (প্রিয়তমো), গুরুতর (গুরুতরো) ইত্যাদি।
২) ই, ঈ, উ, ঊ-এর পরবর্তী মধ্য ও অন্ত্য ‘অ’ সংবৃত। যেমন - পিয়, (পিয়ো), যাবতীয় (যাবতীয়ো) ইত্যাদি।

আঃ বাংলায় আ-ধ্বনি একটি বিবৃত স্বর। এর উচ্চারণ হ্রস্ব ও দীর্ঘ দু-ই হতে পারে। এর উচ্চারণ অনেকটা ইংরেজি ফাদার (father) ও কাম (calm) শব্দের আ (ধ) - এর মত। যেমন - আপন, বাড়ি, মা, দাতা ইত্যাদি।
বাংলায় একাক্ষর (monosyllabic) শব্দে আ দীর্ঘ হয়। যেমন- কাজ শব্দের আ দীর্ঘ এবং কাল শব্দের আ হ্রস্ব। এ রূপ - যা, পান, ধান, সাজ, চাল, চাঁদ, বাঁশ। 

এঃ এ-ধ্বনির উচ্চারণ দু রকম : সংবৃত ও বিবৃত। যেমন- মেঘ, সংবৃত/বিবৃত, খেলা-(খ্যালা), বিবৃত।

১) সংবৃতঃ
ক)পদের অন্তে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - পথে, ঘাটে, দোষে, গুণে, আসে ইত্যাদি।
খ)তৎসম শব্দের প্রথমে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত এ - ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়। যেমন - দেশ, প্রেম, শেষ ইত্যাদি।
  গ) একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন- কে, সে, যে।
ঘ) ‘হ’ কিংবা আকার বিহীন যুক্তধ্বনি পরে থাকলে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - দেহ, কেহ, কেষ্ট।
ঙ) ‘ই’ বা ‘উ’-কার পরে থাকলে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - দেখি, রেণু, বেলুন।

২) বিবৃতঃ ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ ইংরেজি ক্যাট (cat) ও ব্যাট (bat) -এর ‘এ’ (a)-এর মত। 
 যেমন - দেখ (দ্যাখ), একা (এ্যাকা) ইত্যাদি।
 এ - ধ্বনির এই বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের আদিতেই পাওয়া যায়, শব্দের মধ্যে ও অন্তে পাওয়া যায় না। 
 ক) দু অক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম বা অব্যয় পদে- যেমনঃ এত, এখন, হেন, কেন ইত্যাদি। কিন্তু ব্যতিক্রম -যেথা,  সেথা, হেথা।
 খ) অনুস্বার ও চন্দ্রবিন্দু যুক্ত ধ্বনির আগের - এ ধ্বনি বিবৃত। যেমন - খেংড়া, চেংড়া, স্যাঁতসেতে, গেঁজেল।
 গ) খাঁটি বাংলা শব্দেঃ যেমন - খেমটা, ঢেপসা, তেলাপোকা, তেনা, দেওর।
 ঘ) এক, এগার, তের - এ কটি সংখ্যাবাচক শব্দে, ‘এক’ যুক্ত শব্দেওঃ যেমন- এক চোট, এক তলা, এক ঘরে  ইত্যাদি।
 ঙ) ক্রিয়াপদের বর্তমান কালের অনুজ্ঞায়, তুচ্ছার্থ ও সাধারণ মধ্যম পুরুষের রূপে; যেমন- দেখ্ (দ্যাখ),  দেখ  (দ্যাখো),  খেল্ (খ্যাল), খেল খ্যালো), ফেল্ (ফ্যাল্), ফেল (ফ্যালো) ইত্যাদি। 

বিগত সালের প্রশ্নাবলি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১. ধরিয়া থেকে ধরে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মে হয়েছে?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. অন্তহীত
খ. অভিশ্রুতি✓
গ. সমীভবন
ঘ. স্বরসঙ্গতি

২. শুনিয়া > শুনে কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. বিধমীভবন
খ. সমীভবন
গ. স্বরলোপ
ঘ. অভিশ্রুতি✓

৩. কোনটি একাক্ষর শব্দ?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. কাকা
খ. চাচা
গ. ভাই✓
ঘ. বোনাই

৪.. ধার শব্দটি যে ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত-
[ খ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. বিপ্রকর্ষ
খ. স্বরভক্তি
গ. সম্প্রকর্ষ✓
ঘ. অন্তর্হতি

৫. ট্যাক্স> ট্যাকসো এটি ধ্বনির কোন ধরনের পরিবর্তন?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. অন্ত্য স্বরাগম✓
খ. অভিশ্রুতি
গ. ধ্বনি বিপর্যয়
ঘ. মধ্য স্বরাগম

৬. মোজ> মুজো এটি কোন ধরনের স্বরসঙ্গতি?
[ খুবি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. প্রগত
খ. পরাগত
গ. মধ্যগত
ঘ. অন্যেন্য✓
 
বাংলা ২য় পত্র লেকচার শীট: সন্ধি
Share:

SSC সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download

সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | নবম-দশম শ্রেণির গাইড

নবম-দশম শ্রেণি
বাংলা ১ম পত্র গাইড
গল্প/গদ্য

সাহিত্যের রূপ ও রীতি
হায়াৎ মামুদ

SSC Bangla 1st Paper Golpo
Sahitter Rup O Riti
Srijonshil
Question and Answer pdf download
সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নবম-দশম শ্রেণি

১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
কাহিনির উৎস পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা, আয়তনে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে, সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। এর নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী, আপসহীন দৃঢ়চেতা। কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে।
ক. সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কোনটি? ১
খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন ? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যে রূপ ও রীতি’ রচনার সাহিত্যের কোন শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান - ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ক
✍ সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ সৌন্দর্য সৃষ্টির মাধ্যমে আনন্দ দান।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: খ
✍ নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কারণ নাটক একই সাথে দেখা ও শোনা যায়।

✍ বিশ্বসাহিত্যে নাটকই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এর দর্শক সমাজ। নাটক যদি দর্শকের সামনে উপস্থাপিত না হয় তবে এর উদ্দেশ্য সার্থকতা পায় না। সেকালে নাটক পঠিত হতো না, অভিনীত হতো। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাটককে তাই দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: গ
✍ উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

✍ লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, কবিতার অন্যতম প্রধান রূপভেদ হচ্ছে মহাকাব্য। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। অর্থাৎ মহাকাব্য অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তা গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখিত হয়। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে।

✍ আলোচ্য উদ্দীপকে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মহাকাব্যের কাহিনির উৎস হবে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা। এর আয়তন হবে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে। এটি সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। আপসহীন, দৃঢ়চেতা, প্রভাবশালী ও বীরচিত হবে নায়ক চরিত্র। এতে কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। উদ্দীপকে মহাকাব্যের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ঘ
✍ ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত’। কারণ উদ্দীপকে সাহিত্যের একটি মাত্র শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের রূপ বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন- কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের এই শাখাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে তার বিশদ পর্যালোচনা করেছেন।

✍ উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়েছে সাহিত্যের একটি বিশেষ দিক নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে মহাকাব্য; মহাকাব্যের কাহিনি হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। বিশাল আয়তন, সর্গে বা পর্বে বিভক্ত, পদ্যে রচিত, নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী ও দৃঢ়চেতা, কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে এগুলোই মূলত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকে সাহিত্যের মাত্র একটি শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন সাহিত্যের সকল শাখা যেমন- কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে সাহিত্যের একটি শাখা মহাকাব্য (কবিতা) নিয়ে। মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই উদ্দীপকের আলোচনা সীমাবদ্ধ। তাই বলা হয়েছে, উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।
 

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
২নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষায়, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলাই সাহিত্যের কাজ।
ক. নাটকে সাধারণত কয়টি অঙ্ক থাকে? ১
খ. ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকেই তুলে ধরেছে- মূল্যায়ন করো। ৪

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. নাটকে সাধারণত পাঁচটি অঙ্ক থাকে।

খ. শেষ হয়েও হইল না শেষ’ এই অতৃপ্তির মধ্য দিয়েই ছোটগল্পের সমাপ্তি হয় ।

✍ ছোটগল্প জীবনের যে অংশ আমাদের দেখায় গল্পে তার আরম্ভ যেমন নেই, তেমনি শেষও হয় না। জীবন-কাহিনির মাঝখান থেকেই ছোটগল্পের সূচনা। ছোটগল্পের সূচনা কোনো জীবনের আরম্ভ নয়। আর মাঝখান থেকে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বলে একটা মধুর অতৃপ্তি মনে থেকে যায়। এ জন্যই বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ।

গ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে প্রকাশিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার অনুভূতির সামগ্রিকভাবে ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের উক্তিটিতে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাহিত্যের রূপ এবং রীতি আসলে কী সে বিষয়টি লেখক বোঝাতে চেয়েছেন। সাহিত্যের রূপ বলতে বোঝায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ইত্যাদি। আর রীতি হলো ওই শাখাগুলো কীভাবে নির্মিত হয়েছে, তারই পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনা। এই রূপ ও রীতির পর্যালোচনায় দেখা যায় সাহিত্য মনিবের মনের ভাব প্রকাশক। আর তা রচিত হয় মানুষের জন্যই।

✍ উদ্দীপকে সাহিত্যের সমগ্র ভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে । সাহিত্য জগৎ ও জীবনকে সুন্দর করে এবং কোনো কোনো সময় সত্যকে পাঠকের নিকট প্রত্যক্ষ করে আনন্দ দান করে। অপূর্ব রসমূর্তিতে পাঠকের নিকট অন্তরের জিনিসকে বাইরে প্রকাশ করে এবং ভাবের জিনিসকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভাষায় রূপদান করে। এভাবে লেখকেরা তাঁদের নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলেন। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায়ও একই বিষয় ফুটে উঠেছে।

ঘ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের মূল চেতনা উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দীপকেও আমরা তার উল্লেখ দেখতে পাই।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি হলো সাহিত্যের অন্যতম শাখা। ছন্দময় ভাষায় যা লিখতে হয় সেটিই মূলত কবিতা। কবিতার দুটি প্রধান ভাগ:  মহাকাব্য ও গীতিকবিতা। মহাকাব্যে অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা, যেটি গদ্যে না লিখে পদ্যে লেখা হয় । গীতিকবিতা সংক্ষিপ্ত আকারের কবিতা। এখানে কবির অনুভূতিটাই প্রধান। ছোটগল্পে জীবনের স্বল্প পরিসর বর্ণিত হয় এবং উপন্যাসে জীবনের বৃহত্তর অংশ উঠে আসে। নাটকে জীবনের রূপায়ণ ঘটে এবং তা দৃশ্যরূপে অভিনীত হয় দর্শকের দৃষ্টিগোচর হয়। আর সৃজনীশক্তির পরিস্ফুটনের মাধ্যমে প্রবন্ধ রচিত হয়ে থাকে।

✍ উদ্দীপকে চিরকালীন সাহিত্যের অনুভূতির আভাস পাওয়া যায়। সাহিত্যের বিভিন্ন রূপের মধ্য দিয়ে সাহিত্যিক তাঁর কর্মকে প্রকাশ করেন। শিল্পীর বুননে রূপের অদল-বদলের মাধ্যমে সাহিত্য হয় সর্বজনীন। উদ্দীপকের এই ভাব রয়েছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধেও।

✍ মানুষের জীবনের দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না ও বিচিত্র সমস্যা যে সাহিত্যের উপকরণ সে সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। বিচিত্র রস, আঙ্গিক গঠনের মধ্য দিয়ে সাহিত্য পূর্ণতা লাভ করে এবং বিচিত্র রূপের মধ্য দিয়ে তা উদ্ভাসিত হয় । উদ্দীপকেও এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে একই গভীর অনুভবের কথা। সাহিত্য মানুষের মনকে তুলে ধরে। একের অনুভূতি কালে কালে অনেক মানসিকতা গঠন করে। উদ্দীপক ও প্রবন্ধের এটিই মূলসুর। সুতরাং বলা যায়, ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু  উদ্দীপকের মূলভাবে প্রত্যক্ষ।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
“বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি। বাইরে শিয়াল কুকুরে খেয়ে যাবে- রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না।”
ক. হায়াৎ মামুদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’- কথাটি কেন বলা হয়? ২
গ. উদ্দীপক অংশটুকুতে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত সাহিত্যের কোন শাখাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. ‘উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়’- ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
 
এসএসসি বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য পড়ুন সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন-উত্তরসহ:

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. হায়াৎ মামুদ ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

খ. আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে মহাভারত রচনার আকার ও বিষয়গত ব্যাপ্তির দিকনির্দেশ করা হয়েছে।

✍ ‘মহাভারত’ হলো ভারত উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনির একটি। এর আয়তন বিশাল। কাহিনির ব্যাপ্তিত্ত অনেক বেশি। এ কারণেই বলা হয়ে থাকে- ‘যা নেই মহাভারতে, তা নেই ভারতে’। যার অর্থ মহাভারত গ্রন্থে যা নেই, তা ভারতবর্ষেও নেই অর্থাৎ ভারতবর্ষেও ঘটেনি বা ঘটতে পারে না।

গ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লেখিত সাহিত্যের শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গল্প বা ছোটগল্পে জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপের আলোচনা থাকে না। জীবনের খণ্ডাংশকে লেখক রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের কোনো বিশেষ মুহূর্তকে লেখক কীভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন তারই বর্ণনা। এখানে পত্রপত্রিকার সংখ্যা থাকে স্বল্প। আরম্ভ ও উপসংখ্যা হতে হয় নাটকীয়।

✍ উদ্দীপক অংশটুকু সাহিত্যের বিশেষ শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে। এটি বিলাসী গল্পের অংশবিশেষ। এতে ছোটগল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এটিতে ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে এটিকে ছোটগল্প হিসেবেই নির্দেশ করে।

ঘ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত গীতিকবিতার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় গীতিকবিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে যা লিখিত হয় তাই কবিতা আর গীতিকবিতায় কবির অনুভূতি প্রকাশ হওয়ায় তা দীর্ঘকায় হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে দীর্ঘকায় হলেও সেখানে কবিমনের পূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়।

✍ উদ্দীপকে উল্লিখিত অংশটি ছোটগল্পের অংশ। ছোটগল্পের কাহিনির মধ্যে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেয়া হয় না। এতে ছোট পরিসরে জীবনের খণ্ডাংশেকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। উদ্দীপকেও এ রকম জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে তুলে ধরা হয়েছে।  ফলে এটি ছোটগল্পের অন্তর্ভুক্ত।

✍ আলোচ্য উদ্দীপকটি ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে লিখিত কোনো রচনা নয়। এটি গদ্যে রচিত এবং গল্পের অংশ। এটিতে গল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কাজেই উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত গীতিকবিতা ও গল্পের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায়  গীতিকবিতা নয় বরং গল্প।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
জ্ঞানের কথা জানা হয়ে গেলে আর জানতে ইচ্ছে করে না-তা মেনে মনে আনন্দও জন্মে না। সূর্য পূর্বাকাশে ওঠে- এই তথ্য আমাদের মন জানে না। কিন্তু সূর্যোদয়ের যে সৌন্দর্য ও তা দেখার যে আনন্দ তা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই বিদ্যমান। তাই সৌন্দর্য ও আনন্দানুভূতি পাঠক হৃদয়ে জাগিয়ে তোলাই সাহিত্যের কাজ।
ক. মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য কী? ১
খ. কমেডি নাটক কীভাবে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে? ২
গ. উদ্দীপকের রচনাটি কোন সাহিত্যের অন্তর্গত? ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. উদ্দীপকের সাহিত্যের রূপটির সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার-বিশ্লেষণ করো। ৪

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তাকে গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখতে হয়।

খ. কমেডি নাটক মানবসুলভ ত্রুটিবিচ্যুতি ও নির্বুদ্ধিতার পরিণাম প্রদর্শন করে অশোভন দুর্বলতার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে।

✍ কমেডি নাটকে মানবচরিত্রের নানা অসংগতিকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এই অসংগতি ইচ্ছার সঙ্গে বাস্তব অবস্থার, আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তিযোগের, উদ্দেশ্যের সঙ্গে উপায়ের, কথার সঙ্গে কাজের প্রভৃতি। ফলে কমেডি নাটক আমাদের এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে অবগত করে। এসব বিষয়ে আমরা সচেতন হয়ে উঠি। ভুল-ত্রুটি শুধরে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠি।

গ. উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত। 

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা তথা নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রবন্ধ হলো গদ্যে লিখিত এবং এর উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। তবে এই রচনায় সৃজনশীলতা বিদ্যমান। সাধারণত কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখক কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেই নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন, তা-ই প্রবন্ধ।

✍ উদ্দীপকে দেখা যায় একটি বিষয়বস্তুকে আশ্রয় করে লেখক তাঁর কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেছেন। এতে যেমন তথ্য রয়েছে তেমনি সৃজনশীলতাও রয়েছে। ফলে উদ্দীপকটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক সহজেই তার জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলোই উদ্দীপকের রচনাটি ধারণ করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি প্রবন্ধ সাহিত্য।

ঘ. উদ্দীপকের রচনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও উদ্দেশ্য এবং ধরনগত দিক দিয়ে ভিন্ন হওয়ায় এরা সাহিত্যের আলাদা দুটি শাখা।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এসব শাখার মধ্যে উপন্যাস অংশটিই সর্বাধিক পঠিত এবং পাঠক মহলে জনপ্রিয় উপন্যাসে একটি কাহিনি বর্ণিত থাকে এবং তা গদ্যে লিখিত হয়। এই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট। এই প্লট বা আখ্যানভাগ তৈরি হয়ে ওঠে গল্প ও তার ভেতরে উপস্থিত বিভিন্ন চরিত্রের সমন্বয়ে।

✍ উদ্দীপকে সাহিত্যের অন্যতম শাখা প্রবন্ধের উল্লেখ রয়েছে। প্রবন্ধ গদ্যে রচিত হয় এবং এতে তথ্যের প্রাধান্য থাকে, যাতে অজানা তথ্যাদি পাঠক জানতে পারে। তাছাড়া প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন। উদ্দীপকে দেখা যায়, সাহিত্যকে বিষয়বস্তু করে একটি বিষয় রচনা করা হয়েছে। এ ধরনের লেখার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা।

✍ উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রবন্ধ এবং উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও এদের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। উপন্যাসে কাহিনি লিখিত হলেও প্রবন্ধ বিষয়বস্তুর আলোকে লিখিত হয়। তাছাড়া উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য প্লট। অন্যদিকে প্রবন্ধ লেখকের কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখা কোনো বিষয়বস্তুর আলোকে রচনা। এসব বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রচনার সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার রচনা।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৫নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
তিশা তার বাবার সাথে জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চনাটক দেখতে যায়। সেখানে মুনীর চৌধুরীর রচিত ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকের মঞ্চায়ন হয়। নাটকের শেষ দৃশ্যে নায়কের করুণ পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না।
ক. সাহিত্যের কোন শাখা বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন? ১
খ. ছোটগল্পে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয় কেন? ২
গ. কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা কোন ধরনের নাটক দেখেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. “উদ্দীপকের নাটকটি দর্শককে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে” ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪

৫নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. সাহিত্যের অন্যতম শাখা নাটক বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন।

খ. ছোটগল্পের পরিধি অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে এতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয়।

✍ ছোটগল্পের পরিধি ছোট। এতে কেবল একটি কাহিনির ভেতর থেকে বেছে নেওয়া অংশ থাকে। তাই ছোটগল্পের কাহিনীর ভিতরে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেওয়া হয় না। ছোটগল্পে জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর এই খণ্ডাংশ বর্ণনার কারণে ছোটগল্পের আয়তন থাকে কম। এই কম পরিধিতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা সম্ভব হয় না।

গ. কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটক দেখেছে।

✍ কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির দিক থেকে বিচার করলে নাটক প্রধানত ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত, কমেডি বা মিলনান্ত এবং প্রহসন- এ তিন ধরনের হয়। এদের মধ্যে ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটকই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এই নাটকে রঙ্গমঞ্চে নায়ক বা নায়িকার জীবনকাহিনির দৃশ্য পরম্বরা উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে ভয় ও করুণা প্রশমিত করে তার মনে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্ট করে।

✍ উদ্দীপকে তিশা বাবার সাথে ট্র্যাজেডি নাটক দেখেছে। কেননা ট্র্যাজেডি নাটক দর্শক হৃদয়ে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্টি করে। আর তিশার দেখা নাটকও তার মনে একই অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। নাটকের নায়কের পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তাই বিষয়বস্তু ও পরিণতি বিচারে তিশার দেখা এ ধরনের নাটকই হলো ট্র্যাজেডি নাটক।

ঘ. নাটক মঞ্চে অভিনীত হয় বলে এটি দর্শক এবং সমাজকে প্রভাবিত করতে চায় এবং প্রভাবিত করে। উদ্দীপকেও এই বিষয়টি স্পষ্ট।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো নাটকেরও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যে এই নাটকই সবচেয়ে প্রাচীন। আর প্রাচীনকালে ছাপানোর ব্যবস্থা না থাকায় মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে নাটককে দর্শক মহলে পৌঁছনো হতো। ফলে নাটকের লক্ষ্য সবসময়ই দর্শক সমাজ। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য হওয়ায় তা দর্শকদের প্রভাবিত করে।

✍ উদ্দীপকের নাটক তিশাকে প্রভাবিত করেছে। তিশা ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি দেখে নাটকের সাথে গভীরভাবে একাত্ম হয়েছে। ফলে নায়কের পরিণতিতে সে চোখের পানি ধরে রাখতে পারে নি। এক্ষেত্রে নাটকের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তিশার চোখে পানি এসেছে। ফলে উদ্দীপকের নাটকটি রচয়িতার মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে।

✍ নাটক হলো মূলত দৃশ্যকাব্য। ফলে দর্শক নাটককে সরাসরি দেখে। অন্যদিকে সাহিত্যের অন্য শাখাগুলো পাঠককে পড়ে জানতে হয়। ফলে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার তুলনায় নাটকই দর্শকদের সবচেয়ে দ্রুত ও সফলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে নাটকের বর্ণিত এসব বক্তব্য যে সঠিক তার প্রমাণ পাওয়া যায় উদ্দীপকে তিশার মধ্যে। বিয়োগান্ত একটি নাটক তার মাঝে করুণ রসের সৃষ্টি করে এবং সেই অনুভূতির প্রকাশও আমরা তার মধ্যে লক্ষ করি। তাই প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সার্থক।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
 
১. কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ কী কী?
 উত্তর:  কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো মহাকাব্য ও গীতিকবিতা।

২. বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ কে প্রকাশ করেছেন?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রকাশ করেছেন।

৩. বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে কোন কাব্যে?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যে।

৪. মহাকাব্য কিসের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়?
 উত্তর:  মহাকাব্য যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়।

৫. রাবণ কাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে?
 উত্তর:  রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে।

৬. বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন কোনটি?
 উত্তর:  বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন বৈষ্ণব কবিতাবলি।

৭. বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?
 উত্তর:  বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।

৮. বাংলা সাহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?
 উত্তর:  বাংলা সহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জসীমউদ্দীন।

৯. নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই কারা?
 উত্তর:  নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শকসমাজ।

১০. কারা নাট্যসাহিত্যকে কাব্যসাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন?
 উত্তর:  সংস্কৃত আলঙ্করিকবৃন্দ নাট্যসাহিত্যকে কাব্য সাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

১১. নাটক সচরাচর কয় অঙ্কে বিভক্ত থাকে?
 উত্তর:  নাটক সচরাচর পাঁচ অঙ্কে বিভক্ত থাকে।

১২. নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে কোনটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
 উত্তর:  নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে ট্র্যাজেডিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৩. কোন সাহিত্য থেকে ছোটগল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে?
 উত্তর:  পাশ্চাত্য সাহিত্য থেকে ছোট গল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে।

১৪. এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন কত মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত?
 উত্তর:  এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন ১০-৫০ মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত।

১৫. পাঠকের সমাজে সাহিত্যের কোন শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে?
 উত্তর:  পাঠকের সমাজে সাহিত্যের উপন্যাস শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

১৬. উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য কী?
 উত্তর:  উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট।

১৭. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক কে?
 উত্তর:  বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৮. বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক কে?
 উত্তর:  বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৯. তন্ময় প্রবন্ধ কাকে বলে?
 উত্তর:  বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে যে সকল বস্তুনিষ্ঠু প্রবন্ধ লিখিত হয় সেগুলোকে তন্ময় প্রবন্ধ বলে।

২০. মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় কোন ধরনের প্রবন্ধে?
 উত্তর:  মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় মন্ময় ধরনের প্রবন্ধে।

২১. বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সহিত্যের প্রবহমানতা কবে থেকে শুরু হয়?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রবহমানতা রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু হয়।


৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. রামায়ণকে মহাকাব্য বলা যায় কেন?
 উত্তর:  আবার, বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক বিবেচনায় রামায়ণকে একটি মহাকাব্য বলা যায়।

✍ মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আকারে বিশাল হতে হবে। রচিত হবে পদ্যে। আর এর উপজীব্য হবে যুদ্ধ বিগ্রহের কোনো কাহিনী। ভারত উপমহাদেশের প্রাচীনতম দুটি কাহিনীর একটি হলো রামায়ণ। উপরে উল্লেখিত সবগুলো বৈশিষ্ট্যই এতে বিদ্যমান। এ কারণেই রামায়ণকে মহাকাব্য বলা হয়।

২. ‘শেষ হয়ে হইল না শেষ’- ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এ কথাটি গরুত্বপূর্ণ কেন?
 উত্তর: ছোটগল্প পাঠ শেষে পাঠক হৃদয়ে অতৃপ্তিবোধ জমানোর কারণে প্রশ্নোক্ত কথাটি ছোটগল্প গুরুত্বপূর্ন ছোটগল্পের আঙ্গিক অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এটি কখনোই কাহিনীর ভেতর দিয়ে কোনো ঘটনার শুরু বা শেষ বলে দেয় না। এর ভেতরে একটি কহিনীর বর্ণনা থাকে। তবে তা সম্পূর্ণটা নয় বরং কাহিনীর ভিতর থেকেই বেছে নেওয়া একটি ভগ্নাংশ মাত্র। তাই ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য এমন হওয়া উচিত যেন পড়া শেষেও মনে হবে যেন শেষ হলো না। পাঠকের মনে এটি এক ধরনের অতৃপ্তিবোধের জন্ম দেবে।

৩. সংবাদপত্রের সকল গদ্যকেই প্রবন্ধ বলা যায় না কেন?
 উত্তর: সংবাদপত্রের সকল গদ্যে সৃজনশীলতা থাকে না বলে সবগুলোকেই প্রবন্ধ বলা যায় না।

✍ প্রবন্ধ বলতে আমরা বুঝি গদ্যে লিখিত এমন রচনা যার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। এই লেখায় তথ্যের প্রাধ্যান্য থাকে। সে বিবেচনায় সংবাদপত্রের গদ্যে লিখিত যাবতীয় খবরা-খবরকেই প্রবন্ধ বলা উচিত। কিন্তু সেটি  সম্ভব নয়। কেননা প্রবন্ধে সৃজনশীলতার পরিচয় ফুটে ওঠা বাঞ্ছণীয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সকল গদ্যেই তা থাকেনা। তাই সৃজনশীলতাহীন লেখাগুলো নিছক খবর হিসেবেই বিবেচিত হয়। 

৪. ‘এই শিল্পদৃষ্টি যাহার নাই তার পক্ষে ছোটগল্প লেখা লাঞ্ছনা বই কিছুই নহে।’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
 উত্তর: ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে লেখককে সূক্ষ পরিমিতিবোধের অধিকারী হতে হয়। এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।

✍ বিশিষ্ট সাহিত্য গবেষক শ্রীশচন্দ্র দাশের মতে ছোটগল্পের আকার খুব ছোট বলে এতে জীবনের পূর্ণাবয়ব আলোচনা করা যায় না। জীবনের একটি খণ্ডাংশ ছোটগল্পে রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তুলতে হয়। অত্যন্ত ছোট পরিসরের কাহিনীতে অনেক বেশি নাটকীয়তার সঞ্চার করতে হয়। গল্পের শুরু ও শেষটা হতে হয় খুব চমকপ্রদ। এ কারণেই ছোটগল্পের শুরুটা কোথায় হওয়া উচিত এবং সমাপ্তি কোথায় টানা উচিত সে ব্যাপারে লেখকের তীক্ষ্ণ শিল্পবোধ থাকা আবশ্যক। তা না হালে গল্পটি সার্থকতা লাভ করবেনা।

৫. নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ কেন?
 উত্তর: সাহিত্যের সব শাখাগুলোর মধ্যে একমাত্র নাটকের মাধ্যমে সরাসরি দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তাই নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ।

✍ সংস্কৃত আলঙ্করিকদের মতে কাব্য দুই ধরনের দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য। তাঁরা নাট্যসাহিত্যকেও কাব্যসাহিত্যের মধ্যেই গণ্য করেছেন। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য। তাই নাটকের অভিনয় লোকজনকে দর্শন করানো না গেলে নাটক রচনার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। তাছাড়া নাটকই সাহিত্যের একমাত্র শাখা যেটি সমাজ ও পাঠকগোষ্ঠীকে সরাসরি প্রভাবিত করতে চায় ও সক্ষমও হয়। এসব কারণেই নাটকের লক্ষ্য সব সময়ই দর্শক সমাজ।
Share:

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
ব্যাকরণ, ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ

ব্যাকরণঃ ব্যাকরণ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ বিশেষভাবে বিশ্নেষণ (বি + আ + কৃ/কর + অন)

সর্বপ্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন পাণিণী। তাঁর ব্যাকরণের নাম অষ্ট্যাধ্যায়ী। এটি আনুমানিক খ্রি. পূ. সপ্তম শতকে রচনা করা হয়। এই ব্যাকরণের ভাষ্যকার হচ্ছেন পতঞ্জলি।

সর্বপ্রথম ১৭৩৪ সালে বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন ম্যানুয়াল দ্যা আস্সুম্পসাঁও। ১৭৩৪ সালে রোমান হরফে এটি মুদ্রিত হয়। এরপর ব্যাকরণ রচনা করেন ন্যাথানিয়েল ব্রাসি হ্যালহেড। ১৭৭৮ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এরপর ব্যাকরণ রচনা করেন উইলিয়াম কেরি, ১৮০১ সালে এটি প্রকাশিত হয়।

বাঙালিদের মধ্যে সর্ব প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন রাজা রামমোহন রায় ১৮২৬ সালে। কলকাতার স্কুল বুক অব সোসাইটি কর্তৃক এটি প্রকাশিত হয়। তাঁর এ ব্যাকরণের নাম গৌড়ীয় ব্যাকরণ।

বাংলা ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয়ঃ ৪টি
ক) ধ্বনিতত্ত্ব
খ) শব্দতত্ত্ব বা পদক্রম
গ) বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম
ঘ) অর্থতত্ত্ব

ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
ধ্বনিতত্ত্বঃ ধ্বনি, ধ্বনি প্রকরণ, ধ্বনির উচ্চারণ, ধ্বনির বিন্যাস, ধ্বনির পরিবর্তন, বর্ণ, সন্ধি, ষ-ত্ব বিধান, ণ-ত্ব বিধান প্রভৃতি ধ্বনি সম্বন্ধীয় ব্যাকরণের বিষয়গুলি ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়।

শব্দ বা রূপতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
শব্দ বা রূপতত্ত্ব শব্দ, শব্দের প্রকার, পদ প্রকরণ, শব্দ গঠন, উপসর্গ, প্রত্যয়, বিভক্তি, লিঙ্গ, বচন, ধাতু, শব্দরূপ, কারক, সমাস, ক্রিয়া-প্রকরণ, ক্রিয়ার কাল, ক্রিয়ার ভাব, শব্দের ব্যুৎপত্তি ইত্যাদি বিষয়ের আলোচনা শব্দ বা রূপতত্ত্বে থাকে।

বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রমঃ বাক্য, বাক্যের অংশ, বাক্যের প্রকার, বাক্য বিশ্লেষণ, বাক্য পরিবর্তন, পদক্রম, বাগ্ধারা, বাক্য সংকোচন, বাক্য সংযোজন, বাক্য বিয়োজন, যতিচ্ছেদ বা বিরামচিহ্ন প্রভৃতি বিষয় বাক্যতত্ত্বে আলোচিত হয়।

অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়সমূহঃ
অর্থতত্ত্বঃ শব্দের অর্থবিচার, বাক্যের অর্থ বিচার, অর্থের বিভিন্ন প্রকারভেদ। যেমন-মুখ্যার্থ, গৌণার্থ, বিপরীতার্থক শব্দ ইত্যাদি অর্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয়।
ক. ছন্দপ্রকরণ খ. অলংকার।

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট

ধ্বনি ও বর্ণ প্রকরণ
ধ্বনিঃ কোন ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে তার যে পরমাণু বা অবিভাজ্য ক্ষুদ্রতম অংশ পাওয়া যায় তাই ধ্বনি। যেমন- অ, আ, ক, খ।

বর্ণঃ ধ্বনির চক্ষু গ্রাহ্য লিখিত রূপ বা ধ্বনি নির্দেশক প্রতীক বা চিহ্নকেই বর্ণ বলে। যেমন- অ, আ, ক, খ।

অক্ষরঃ নিঃশ্বাসের স্বল্পতম প্রয়াসে একই বক্ষ স্পন্দনের ফলে যে ধ্বনি বা ধ্বনিগুচ্ছ একবার একত্রে উচ্চরিত হয় তাকে অক্ষর বলে। যেমন- ‘আমরা’ শব্দটিতে ‘আম’ “রা” এই দুইটি অক্ষর।

ক) বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বর্ণগুলির সমষ্টিকে বর্ণমালা বলে। 
খ) বর্ণ দু’প্রকার । যথা-স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জন বর্ণ।
গ) স্বরবর্ণঃ যে সকল বর্ণ অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া উচ্চরিত হয় তাকে স্বরবর্ণ বলে। স্বরবর্ণ ১১টি।
ঘ) ব্যঞ্জন বর্ণঃ যে সকল বর্ণ স্বরের সাহায্যে ব্যক্ত বা উচ্চারিত হয় তাকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলে। ব্যঞ্জন বর্ণ ৩৯ টি।
ঙ) মাত্রাঃ বাংলা বর্ণমালার কোন কোন বর্ণের উপরে ‘রেখা’ বা ‘কষি’ দেওয়া হয়। একে বলা হয় মাত্রা।
চ) পূর্ণ মাত্রার বর্ণ-অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ক, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, দ, ন, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, ষ, স, হ, ড়, ঢ়, য়। মোট ৩২ টি।
ছ) অর্ধ মাত্রাযুক্ত  বর্ণ-ঋ, খ, গ, ণ, থ, ধ, প, শ। মোট ০৮ টি।
জ) মাত্রাহীন বর্ণ- এ,  ঐ, ও, ঔ, ঙ, ঞ, ৎ, ং, ঃ। ১০ টি।
ঝ) পূর্ণ মাত্রার স্বর বর্ণ- অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, । মোট ০৬ টি।
ঞ) অধমাত্রাযুক্ত স্বরবর্ণ- ঋ। ১ টি।
ট) মাত্রাহীন স্বরবর্ণ- এ, ঐ, ও, ঔ। মোট ০৪ টি।
ঠ) হসন্ত চিহ্নঃ স্বরবর্ণ যুক্ত না হলে ব্যঞ্জন বর্ণের নিম্নে একটি বিশেষ চিহ্ন দেওয়া হয়। ঐ চিহ্নের নাম হসন্ত চিহ্ন। যথাঃ- ক্, দ্, বাক্য।
ড) বর্ণ সংযোগঃ বর্ণে বর্ণে যোগ করাকে বর্ণ সংযোগ বলে। বিভিন্ন বর্ণ সংযোগে শব্দ সৃষ্টি হয়। যেমন- ক্ + অ + ব্ + ই = কবি।
ঢ) বর্ণ বিশ্লেষণঃ শব্দস্থিত বর্ণগুলি পৃথক করে দেখানো নাম বর্ণ বিশ্লেষণ। যথা- বিষ্ণু = ব্ + ই + ষ্ + ণ্ + উ

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী স্বরধ্বনির ৭টি অবস্থান।

উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে পাঁচভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলো নিম্নরূপঃ
নাম-> বর্ণ-> উচ্চারণ স্থান
কণ্ঠ্য ক, খ, গ, ঘ, ঙ জিহবামূল
তালব্য চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, শ, য়, য অগ্রতালু
মুর্ধন্য ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, র, ড়, ঢ়, ষ পশ্চাৎ দন্তমূল
দন্ত্য ত, থ, দ, ধ, ন, ল, স অগ্র দন্তমূল
ওষ্ঠ্য প, ফ, ব, ভ, ম ওষ্ঠ্য

উচ্চারণরীতি অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণিবিভাগঃ
স্পর্শধ্বনি বা বর্গীয় ধ্বনিগুলো উচ্চারণ স্থানের দিক থেকে পাঁচটি বর্গ বা গুচ্ছে মহাপ্রাণ। অল্পপ্রাণ ও মহাপ্রাণ ধ্বনি আবার দুভাগে বিভক্ত; যথা- অঘোষ ও ঘোষ। উচ্চারণ রীতি অনুযায়ী স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোর ধ্বনিতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।

ব্যঞ্জন ধ্বনির উচ্চারণঃ
অঘোষ ঘোষ
অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ অল্পপ্রাণ মহাপ্রাণ নাসিক্য তাড়ন জাত পার্শ্বিক উস্ম অন্তস্থ ধ্বনি পরাশ্রয়ী
ড় ঢ়
কণ্ঠ্য স ষ শ ব ল য ং ঃ ঁ
তালব্য কম্পন জাত ধ্বনি
মূর্ধা
দন্ত্য
ওষ্ঠ্য

ক) ক-ম পর্যন্ত ২৫টি ধ্বনিকে স্পৃষ্ট/স্পর্শ/বর্গীয় ধ্বনি বলে।
খ) য, র, ল, ব অন্তঃস্থ ধ্বনি।
গ) হ-ঘোষ মহাপ্রাণ ধ্বনি।
ঘ) শ, ষ, উষ্ম ধ্বনি।
ঙ) ং, ঃ, ঁ, পরাশ্রয়ী বর্ণ।
চ) বাংলা ভাষার যৌগিক স্বরধ্বনির সংখ্যা পঁচিশ। বাংলা বর্ণমালায় যৌগিক স্বরজ্ঞাপক দুটো বর্ণ রয়েছে। ঐ এবং ঔ। 

উচ্চারণ স্থান (ব্যঞ্জন ধ্বনি):
ব্যাঞ্জনবর্ণ প্রধানত তিন ভাগে বিভক্ত। যথা- 
ক) স্পর্শ বর্ণঃ উচ্চারণ স্থানে অর্থাৎ কণ্ঠ, তালু প্রভৃতির সাথে জিহবার কোনো না কোনো অংশের সম্পূর্ণ স্পর্শ বা যোগ হয় বলে এগুলো স্পর্শ বর্ণ। যথা-ক থেকে ম পর্যন্ত।

খ) অন্তঃস্থ বর্ণঃ স্পর্শ বর্ণ ও উষ্ম বর্ণের মধ্যে অবস্থিত বলে এদেরকে অন্তঃস্থ বর্ণ বলা হয়। যথাঃ য, র, ল, ব।

গ) উষ্মবর্ণঃ উচ্চারণ উষ্মা অর্থাৎ বায়ু প্রধানভাবে থাকে বলে এগুলোকে উষ্মবর্ণ বলে। যেমন-শ, ষ, স, হ।

ঘ) উচ্চারণ স্থান অনুসারে স্পর্শ পাঁচটি বর্ণের বিভাগ আছে। সেগুলোকে বর্গ বলে। যেমন- ক-বর্গ, চ-বর্গ, ট-বর্গ, ত-বর্গ ও প-বর্গ।

ঙ) অঘোষ ধ্বনিঃ কোন কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুরিত হয় না। তখন ধ্বনিটির উচ্চারণ গাম্ভীর্যহীন মৃদু হয়। এ রূপ ধ্বনিকে বলা হয় অঘোষ ধ্বনি। যথা- ক খ চ ছ ট ঠ ত থ প ফ শ ষ স ।

চ) ঘোষ ধ্বনিঃ ধ্বনির উচ্চারণের সময় স্বরতন্ত্রী অনুপ্রাণিত হলে ঘোষ ধ্বনি হয়। যথাঃ প্রতি বর্গের শেষ তিনটি বর্ণ এবং হ।

ছ) প্রতি বর্গের প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম ধ্বনির উচ্চারণকালে শ্বাস বায়ূ অল্প নির্গত হয় বলে এগুলোকে অল্পপ্রাণ ধ্বনি বলে।

জ) বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ণ এবং উষ্ম বর্ণে উচ্চারণকালে শ্বাস বায়ু অধিক নির্গত হয় বলে এগুলোকে মহাপ্রাণ ধ্বনি বলে।

ঝ) ‘য,’ ‘র’, ‘ল’, ‘ব’ এদের বিশুদ্ধ উচ্চারণ স্বর ও ব্যঞ্জন ধ্বনির মধ্যবর্তী। এরা খাঁটি ব্যঞ্জন বর্ণ নয় এবং খাঁটি স্বরবর্ণও নয়। এজন্য য ও ব কে অর্ধ স্বর এবং র ও ল-কে তরলস্বর বা অর্ধব্যঞ্জন  বলে।

ঞ) ‘র’ জিহবারঅগ্রভাগ কম্পিত করে এ ধ্বনি উচ্চারণ হয় বলে এক কম্পনজাত ধ্বনি বলে। 

ট) ‘ল’ এর উচ্চারণকালে জিহবার দু’পাশ দিয়ে বায়ু বের হয় বলে একে পার্শ্বিক ধ্বনি বলে। 

ঠ) শ, ষ, স-তিনটি শুদ্ধ উষ্ম বর্ণ উচ্চারণকালে শিশ দেওয়ার মত শব্দ হয় বলে এগুলোকে শিশধ্বনি বলা হয়।

ড) ‘ড়’ ‘ঢ়’- জিহবার নিম্নভাগ দিয়ে দন্তমূলে তাড়ান করে এদের উচ্চারণ করতে হয় বলে এদেরকে তাড়নজাত ধ্বনি বলে।

ঢ) অনুস্বার ও বিসর্গকে অযোগবাহ বর্ণ বলে। 

ণ) চন্দ্রবিন্দু (ঁ) চিহ্ন বা প্রতীকটি পরবর্তী স্বরবর্ণের অনুনাসিকতার দ্যোতনা করে। এজন্য এটিকে অনুনাসিক বর্ণ বলে।

বাংলা ভাষা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর
ভাষার মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ ধ্বনি

শব্দের মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ বর্ণ

বাক্যের মূল উপাদান কী?
✓ উত্তরঃ শব্দ

বর্তমান পৃথিবীতে কতটি ভাষা প্রচলিত আছে?
✓ উত্তরঃ প্রায় সাড়ে তিন হাজারের উপরে

ভাষাভাষী জনসংখ্যার দিক দিয়ে বাংলার স্থান কত?
✓ উত্তরঃ পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ মাতৃভাষা

পৃথিবীর আদি ভাষার নাম কি?
✓ উত্তরঃ ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা

ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে কিসে?
✓ উত্তরঃ দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে 

ভাবের উৎস কি?
✓ উত্তরঃ ভাষা

বর্তমানে প্রায় কত লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে?
✓ উত্তরঃ প্রায় চব্বিশ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। বাংলাদেশ ছাড়াও পশ্চিম বঙ্গ, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম প্রদেশের মানুষ বাংলায় কথা বলে।

বাংলা ভাষায় মোট শব্দ সংখ্যা কত?
✓ উত্তরঃ প্রায় এক লক্ষ পঁচিশ হাজার।

বাংলা বর্ণ কখন স্থায়ী রূপ লাভ করে?
✓ উত্তরঃ ঊনিশ শতকে মুদ্রণ যন্ত্র আবিষ্কার পর।

বাংলা বর্ণমালা উদ্ভব  ঘটে কোন লিপি থেকে?
✓ উত্তরঃ ব্রাহ্মীলিপি থেকে।

বাংলা ভাষার জন্ম কখন?
✓ উত্তরঃ খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে।

মুহাম্মদ শহীদুল্লার মতে বাংলা ভাষার জন্ম কোন ভাষা থেকে?
✓ উত্তরঃ গৌড়ীয় প্রাকৃত হতে।

ভাষার মৌলিক রূপ কয়টি?   
✓ উত্তরঃ দুটি   ক) লৈখিক        খ) মৌখিক

পৃথিবীর কত কোটি লোকের মুখের ভাষা বাংলা?
✓ উত্তরঃ চব্বিশ কোটি

মৈথিলি ও বাংলা ভাষার মিশ্রণে কোন ভাষার সৃষ্টি হয়?
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষা।

ব্রজবুলি কী ধরনের ভাষা?
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষাটি কবিদের সৃষ্টি কৃত্রিম।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ কাব্যটি রচনা করেন-
✓ উত্তরঃ ব্রজবুলি ভাষায়।

বাঙালি না হয়েও বাংলা সাহিত্যে স্বতন্ত্র স্থান দখল করে আছে কে?
✓ উত্তরঃ বিদ্যাপতি।

বাংলা সনের প্রবর্তক কে?
✓ উত্তরঃ সম্রাট আকবর।

ভাষার দিক দিয়ে বাংলা ভাষার দ্বিতীয় গ্রন্থ কোনটি?
✓ উত্তরঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।


বিগত সালের প্রশ্নাবলি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

১. বাংলা বর্নমালাভুক্ত ঐ এবং ঔ হচ্ছে
[ খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক) মৌলিক ধ্বনি
খ) যৌগিক ধ্বনি
গ) যৌগিক বর্ণ✓
ঘ) দ্বিলেখ
২. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি কয়টি?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক) ৫টি
খ) ৭টি✓
গ. ৯টি
ঘ. ১১টি
৩. বাংলা ভাষায় স্বরবর্ণ ও স্বরধ্বনির অনুপাত কত?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. ১১:৯✓
খ. ১১:৭
গ. ১১:১০
ঘ. ১১:৬
৪. সুন্দর শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. শুনদোর
খ. শুনদর✓
গ. সুনদর
ঘ. শোনদোর
৫. কোন ধ্বনির উপর চন্দ্রবিন্দু বসলে উচ্চারণ সানুনাসিক হয়?
[ ঘ ইউনিট ২০১৮-১৯]
ক. স্বরধ্বনি
খ. ব্যঞ্জনধ্বনি✓
গ. বিসর্গধ্বনি অ ধ্বনি
ঘ. দন্ত্য ন
৬. এ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ পাওয়া যায় কোন শব্দ?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. হেথা
খ. হেন✓
গ. শেষ
ঘ. বেলুন
৭. সুদৃষ্টি শব্দের প্রমিত উচ্চারণ কোনটি?
[ ঘ ইউনিট ২০১৮-১৯]
ক. সুদৃশটি
খ. শুদৃসৃটি
গ. শোদৃশইট
ঘ. শুদৃশটি✓
৮. সাধু ও চলিত ভাষার প্রার্থক্য কোন পদে বেশি পরিলক্ষিত হয়?
[ গ ইউনিট -২০১৭-১৮]
ক. বিশেষণ ও ক্রিয়া
খ. বিশেষ্য ও বিশেষণ
গ. বিশেষ্য ও সর্বনাম
ঘ. ক্রিয়া ও সর্বনাম✓
৯. অভিধানে ক্ষ বর্ণ কোথায় থাকে?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. খ বর্ণের পরে
খ. হ বর্ণের পরে
গ. ষ  বর্ণের অন্তর্গত ভুক্তি হিসাবে
ঘ. ক বর্ণের অন্তর্গত ভুক্তি হিসাবে✓
১০. বাহ্য শব্দের উচ্চারণ কোনটি?
[ ক ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. বাজ্ জো
খ বাজ্ ঝো✓
গ. বাজ্ ঝ
ঘ. বাইঝ্ ঝো
১১. অধ্যাপক শব্দের প্রমিত উচ্চারণ
[ খ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. অদ্ ধাপক
খ অদৃধাপোক
গ. ওদ্ ধোপোক✓
ঘ. ওধ্ধাপোক
১২. কোনটি সঠিক উচ্চারণ নয়?
[ ঘ ইউনিট- ২০১৭-১৮]
ক. তীব্র তিব্ ব্রো
খ. শূন্য শুন্ ন✓
গ. দুঃসাহস দুশ্শাহোশ
ঘ. লক্ষ্য লোকখো
১৩. যে অক্ষরের শেষে স্বরধ্বনি উচ্চাতি হয় তাকে কী বলে?
[ গ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. মুক্তাক্ষর✓
খ. বদ্ধাক্ষর
গ. স্বরতন্ত্রী
ঘ. দীর্ঘস্বর
১৪. বাংলা ভাষায় মৌলিক স্বরধ্বনি সংখ্যা কত?
[ গ ইউনিট-২০১৬-১৭]
ক.   ৭টি✓
খ. ৯টি
গ. ১১টি
ঘ. ১৩টি
১৫. অভিধানে ক্ষ বর্ণ কোথায় থাকে?
[ ক ইউনিট-২০১৬-১৭]
ক. খ বর্ণের সঙ্গে
  খ. হ  বর্ণের সঙ্গে
গ. ষবর্ণের সঙ্গে
ঘ. ক বর্ণের সঙ্গে✓

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়

১.ভাষার কোন রুপ ব্যাকরণ অনুসরণ করে চলে?
[ রা বি ইউনিট-ক -২০১৮-১৯]
ক. সাধু✓
খ. আঞ্চলিক
গ. চলিত
ঘ. প্রাকৃত
২. তত্ত্ববোবিধনী পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?
[ রা বি ইউনিট ক-২০১৮-১৯]
ক. ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর
খ. ঈশ্বচন্দ্র গুপ্ত
গ. অক্ষয় কুমার দত্ত✓
ঘ. রাজা রামমোহন রায়
৩. সাহিত্য পাঠ বইয়ের কবিতা অংশে প্রথম কবিতাটি কার?
[ চ, বি, ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের
খ. আলাওলের
গ. কায়কোবাদের
ঘ. মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর✓
৪. কোন সর্ম্পকটি সঠিক?
ক. বক্সিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় : সীতার বনবাস
খ. হাসান আজিজুল হকঃ আগুনপাখি✓
গ. আল মাহমুদ : পরাণের গহীন ভিতর
ঘ. ঈশ্বচন্দ্র বিদ্যাসাগর : সীতারাম
৫. হায়রে ভজনালয়
তোমার মিনারে চড়িয়া ভন্ড গাহে স্বার্থের জয়।
এখানে ব্যক্তির কোন মনোভাব প্রকাশ পায়?
[ খু.বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. বিদ্রোহ
খ. ফরিয়াদ
গ. কাতর
ঘ. অবজ্ঞা✓
৬. মৈমনসিংহ গীতকার মহুয়া পালার রচয়িতা কে?
[ খু, বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. দ্বিজ মাধব
খ. দ্বিজ কানাই✓
গ. চন্দ্রাবর্তী
ঘ. মনসুর বয়াতি
৭. শূন্যপুরাণ কাব্য কার রচনা?
[ খু, বি. খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. লুইপা
খ. কাহপা
গ. রামাইপন্ডিত✓
ঘ. দৌলত উজির বাহরাম খান
৮. শতাব্দীলাঞ্চিত আর্তের কান্না ছত্রটিতে আর্ত শব্দের অর্থ কী?
[ খু. বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. অত্যাচারিত
খ. লাঞ্চিত
গ. রামাইগন্ডিত
ঘ. দৌলত উজির বাহরাম খান✓
৯. চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া কবিতায় চুনিয়া কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে?
[ খু.বি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. সুবজ ও শান্তি✓
খ. হিংস্র
গ. চিৎকার
ঘ. কুরক্ষেত্র
১০. মানস সংস্কৃতির সঙ্গে কোনটি সম্পর্কযুক্ত নয়?
ক. সাহিত্য
খ. সঙ্গীত
গ. শিল্প
ঘ. নিন্দ্রা✓

আরো পড়ুনঃ ধ্বনি পরিবর্তন
Share: