৯ম-১০ম শ্রেণির আইসিটি গাইড
এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
Class 9-10 ict Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology Chapter-05
ICT Srijonshil
Question and Answer pdf download
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
মাল্টিমিডিয়া ও গ্রাফিক্স
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
◈ মাল্টিমিডিয়া : মাল্টিমিডিয়া হলো মানুষের বিভিন্ন প্রকাশ মাধ্যমের সমন্বয়। এটি সচরাচর ডিজিটাল যন্ত্রের সহায়তায় ধারণ বা পরিচালন করা যায়। এটি সরাসরি মঞ্চে প্রদর্শিত হতে পারে বা অন্যরূপে সরাসরি সমপ্রচারিতও হতে পারে।
◈ ডিজিটাল প্রকাশনা : আমাদের দেশে প্রকাশনা এখনও কাগজনির্ভর হলেও একুশ শতকে অবশ্যই বাংলাদেশেও ডিজিটাল প্রকাশনার শতক হবে।
◈ মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টস ডেভেলপার : যিনি টেক্সট, গ্রাফিক্স, অডিও, ভিডিও, এনিমেশন ইত্যাদি নিয়ে যিনি কাজ করেন তিনিই মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টস ডেভেলপার।
◈ মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট : সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে কম্পিউটারের সাহায্যে আকর্ষণীয় এবং কার্যকরভাবে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য পাওয়ার পয়েন্ট নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এটি হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিসের অন্তর্ভুক্ত একটি সফটওয়্যার যাকে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারও বলা হয়ে থাকে।
◈ এডোবি ফটোশপ : কম্পিউটার ছবি সম্পাদনার জন্য এডোবি ফটোশপ প্রোগ্রামটি বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। ছবি, ছবির কোনো অংশের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো, কমানো, একাধিক ছবির সমন্বয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, ছবির দাগ বা ত্রæটি মুছে ফেলা ইত্যাদি। আরও বিভিন্ন কাজ এডোবি ফটোশপ প্রোগ্রাম দিয়ে করা যায়।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-05
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
আতিক লেখাপড়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কম্পিউটারের বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করে। সে এসব কাজে বেশ দক্ষ। সে বুঝতে পেরেছে আজকের যুগে মাল্টিমিডিয়ার চাহিদা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের দেশে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়া শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে একুশ শতকে বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরি হবে। তাই সে তার মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে দেশের জন্য ভালো ভালো মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
ক. লিডিং কী? ১
খ. ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া বলতে কী বোঝ? ২
গ. ডিজিটাল যন্ত্রের সাথে উদ্দীপকের মিডিয়াটির সম্পর্ক ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত মিডিয়ার প্রয়োগ বিশ্লেষণ কর। ৪
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. লাইনগুলোর মাঝখানে ফাঁকা জায়গাকে বলা হয় লিডিং।
খ. লেখা একটি প্রকাশ মাধ্যম, শব্দ একটি প্রকাশ মাধ্যম আবার চিত্রও একটি প্রকাশ মাধ্যম। আমরা যখন অনেকগুলো প্রকাশ মাধ্যমকে নিয়ে কথা বলি তখনই মাল্টিমিডিয়া বলে তাকে চিহ্নিত করে থাকি।
সভ্যতার বিবর্তন ও প্রযুক্তির কারণে এর মাধ্যমগুলোর বহুবিধ ব্যবহার হয়ে আসছে। এক সময় যেসব মিডিয়া ভিন্ন ভিন্নভাবে ব্যবহৃত হতো তা এখন একসাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার, সেইসব মিডিয়ায় যুক্ত হয়েছে ডিজিটাল যন্ত্রের প্রোগ্রামিং করার ক্ষমতা। আমরা এখন বহুমিডিয়াকে তার বহুমাত্রিক ও প্রোগ্রামিং ক্ষমতার জন্য বলছি ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া।
গ. উদ্দীপকের মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে আলোচনা রয়েছে। মাল্টিমিডিয়া মানে হচ্ছে বহু মাধ্যম। আমরা যখন অনেকগুলো প্রকাশ মাধ্যম নিয়ে কথা বলি তখন তাকে মাল্টিমিডিয়া বলে চিহ্নিত করা হয়। ডিজিটাল যন্ত্রের সাথে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। কারণ বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল যন্ত্র কম্পিউটার গণনাযন্ত্র হিসাব নিকাশ করার যন্ত্র হিসেবে বেশি পরিচিত। তথ্য প্রক্রিয়াকরণ ও পারাপার কম্পিউটারের আরও একটি গরুত্বপূর্ণ কাজ। এরপর লেখালেখি করার জন্য এই যন্ত্রটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। কিন্তু এতসব কাজ করার জন্য শুরুতে কম্পিউটারের একটি মাত্র মিডিয়া যথা-বর্ণ ব্যবহার করতে হতো। কিন্তু কালক্রমে কম্পিউটারে চিত্র এবং শব্দ সমন্বিত হয়। তাছাড়া কম্পিউটারে মাল্টিমিডিয়া মানে হলো বর্ণ, চিত্র ও শব্দের সবন্বয়ে একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ অভিজ্ঞতা। অতীতের চেয়ে এখনকার মাল্টিমিডিয়ার অভিজ্ঞতা অনেক সমৃদ্ধ। যন্ত্র হিসাবেও মাল্টিমিডিয়ার বাহন হিসেবে এখন কেবল ইলেকট্রনিক বা কম্পিউটার ব্যবহৃত হয় না। পাশাপাশি আমাদের হাতের কাছের মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট ও অন্যান্য ডিজিটাল যন্ত্র এখন মাল্টিমিডিয়া ধারণা ও পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ঘ. উদ্দীপকের আলোচিত মিডিয়াটি হচ্ছে মাল্টিমিডিয়া। বর্তমান যুগে এই মিডিয়াটির সারা বিশ্বেই ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আতিক ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রটিতেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে চায়। নিচে মাল্টিমিডিয়া প্রয়োগ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. বর্ণ বা টেক্সট : সারা দুনিয়াতেই টেক্সটের যাবতীয় কাজ এখন কম্পউটারে হয়ে থাকে। একসময় টাইপরাইটার ও ফটোটাইপসেটার দিয়ে যেসব কাজ করা হতো এখন এর সবকিছুই কম্পিউটার ব্যবহার করে করা হচ্ছে। অফিস-আদালত থেকে শুরু করে পেশাদারি মুদ্রণ ও প্রকাশনায় কম্পিউটারের ব্যবহার নিরঙ্কুশ।
২. চিত্র বা গ্রাফিক্স : দুনিয়ার সর্বত্রই গ্রাফিক্স তৈরি, সম্পাদনা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ কম্পিউটার ব্যবহার করেই করা হয়। আমাদের দেশে গ্রাফিক্স ডিজাইন, পেইন্টিং, ড্রইং বা কমার্শিয়াল গ্রাফিক্স প্রভৃতিতে কম্পিউটারের ব্যবহার সীমিত হলেও মুদ্রণ ও প্রকাশনায় এর ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।
৩. শব্দ ও অডিও : শব্দ ও অডিও রেকর্ড, সম্পাদনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সারা দুনিয়া এখন কম্পিউটারের ওপর নির্ভর করে। সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ এনালগ পদ্ধতি এখন কার্যত স¤পূর্ণ অচল হয়ে পড়েছে। তবে যে কেউ ইচ্ছে করলেই একটি ভালো কম্পিউটার দিয়ে উন্নত মানের সাউন্ড, রেকর্ডিং করতে পারেন।
৪. মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার : বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার প্রস্তুত হওয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ-৭১, অবসর, বিশ্বকোষ, নামাজ শিক্ষা, বিজয় শিশু শিক্ষা এমন কয়েকটি সিডিতে মাল্টিমিডিয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে একুশ শতকে এদেশে ব্যাপকভাবে মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার তৈরি হবে।
৫. ডিজিটাল প্রকাশনা : আমাদের প্রকাশনা এখনও কাগজনির্ভর। তবে একুশ শতকে অবশ্যই ডিজিটাল প্রকাশনার শতক হবে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ অতি দ্রæত প্রযুক্তি গ্রহণ করে থাকে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশে মাল্টিমিডিয়ার প্রয়োগ আশাব্যঞ্জক না হলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বপর্যায়ের।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-05
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফারিয়ার বাবা সরকারি চাকরি করেন। গত মাসে তিনি রাজশাহী থেকে ঢাকায় বদলি হয়ে এসেছেন। ফারিয়াকে তিনি এখানকার একটা নামকরা স্কুলে নবম শ্রেণিতে ভর্তি করিয়েছেন। আজ ফারিয়ার প্রথম ক্লাস। সে তার ক্লাসে ঢুকে অবাক হয়ে গেল। ক্লাসের শিক্ষা পদ্ধতি পুরোটাই কম্পিউটারাইজড করা। শিক্ষকরা মাইক্রোসফট কোম্পানির একটি বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন পদ্ধতিতে ক্লাস নেন। ছাত্রছাত্রীদের বোঝার সুবিধার্থে তারা ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন তথ্য নামিয়ে দেখান এবং পড়ান। ফারিয়ার কাছে মনে হলো এ যেন এক নতুন জগৎ।
ক. পাথ কী? ১
খ. পিক্সেল বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ফারিয়ার শিক্ষকদের ব্যবহৃত সফটওয়্যারটির বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. উক্ত সফটওয়্যারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. অবজেক্টের প্রান্তরেখা বা লাইন বা বর্ডারকে বলা হয় পাথ।
খ. ফটোশপে ইমেজ বা ছবি তৈরি হয় পিক্সেলের সাহায্যে। পিক্সেল হচ্ছে একটি ইমেজ বা ছবির বর্গাকার ক্ষুদ্রতম একক। ইঞ্চি প্রতি ৭২ পিক্সেল কথাটির অর্থ হচ্ছে ইঞ্চিতে আড়াআড়ি এবং খাড়াখাড়ি ৭২টি পিক্সেলের ৭২টি লাইন। এতে বর্গ ইঞ্চিতে মোট পিক্সেলের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭২ ৭২ = ৫১৮৪ পিক্সেল। একটি ছবি বড় করলে পিক্সেলগুলো দেখা যায়। একে বলে ছবি পিক্সেলেটেড হয়ে যাওয়া। সাধারণ ভাষার বলা হয় ছবি ফেটে যাওয়া।
গ. ফারিয়ার শিক্ষকদের ব্যবহৃত সফটওয়্যারটি হলো মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট। কেননা তারা মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন পদ্ধতিতে ক্লাস নেন। মাইক্রোসফট কোম্পানির মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটিই প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম নামে পরিচিত। এটি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রেজেন্টেশন ডিজাইন প্যাকেজ প্রোগ্রাাম। এই প্রোগ্রামের সাহায্যে লেখা ছবি, অডিও, ভিডিও, গ্রাফ ইত্যাদির সমন্বয়ে আকর্ষণীয় তথ্যাদি উপস্থাপন করা যায়। সভা, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে কম্পিউটারের সাহায্যে আকর্ষণীয় এবং কার্যকরভাবে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য প্রধানত এ সফটওয়্যারটি ব্যবহৃত হয়। এদিক থেকে পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটির বিকল্প নেই বললেই চলে। এ প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর স্লাইড তৈরি ছাড়াও আরও অনেক কাজ অতি সহজে করা যায়। মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট ব্যবহার করে ইচ্ছামত স্লাইড, রিপোর্ট প্রজেক্ট স্ট্যাটাস, বিজনেস প্লান বিজ্ঞাপন, এনিমেশন তৈরি করা যায়। এক কথায় বলা যায়, পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে একটি সফটওয়্যার প্যাকেজ, যা যেকোনো ধরনের প্রফেশনাল মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন তৈরি করার সুবিধা প্রদান করে থাকে।
ঘ. উদ্দীপকে ফারিয়াদের স্কুলের ক্লাসগুলো পুরোপুরি কম্পিউটারাইজড করা। শিক্ষকরা সেখানে মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রেজেন্টেশন পদ্ধতিতে ফারিয়াদের পাঠদান করেন। তাদের ব্যবহৃত এই সফটওয়্যারটি প্রেজেন্টেশন তৈরির ক্ষেত্রে অত্যন্ত চমৎকার একটি সফটওয়্যার। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর স্লাইড তৈরি ছাড়াও আরও অনেক কাজ অতি সহজে করা যায়। নিচে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারের গুরুত্ব তুলে ধরা হলো :
১. প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারে তৈরিকৃত প্রেজেন্টেশনকে বিভিন্ন মাধ্যম যেমন : কোনো কম্পিউটার স্ক্রিন, এলসিডি প্রজেক্টর ইত্যাদিতে প্রদর্শন করা যায়।
২. প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারে ব্যবহৃত স্লাইডসমূহকে প্রিন্ট করে অডিয়েন্সের হাতে পৌঁছে দেওয়া যায়।
৩. প্রেজেন্টেশনকে যেকোনো সময় সংশোধন বা আপডেট করা যায়।
৪. শিক্ষাক্ষেত্রে এ প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা অধিক মনোযোগের সাথে শিক্ষকের আলোচনায় অংশ নিতে আগ্রহ বোধ করবে।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-05
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাসেল পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য কিছু একটা করতে চায়। এ ব্যাপারে সে তার আইসিটি শিক্ষকের পরামর্শ চাইল। তিনি তাকে আইসিটিভিত্তিক বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রের ধারণা দিলেন। তার সাথে আলোচনা করে রাসেল একটা ডিজিটাল স্টুডিও স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিল। আইসিটি শিক্ষক তাকে এডোবি ফটোশপ প্রোগ্রামটিতে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দিলেন। রাসেল শিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে এডোবি ফটোশপের উপর ৬ মাসের একটি কোর্স সম্পন্ন করে ব্যবসায় শুরু করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করল।
ক. ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া মানে কী? ১
খ. মাল্টিমিডিয়ার দুইটি বৈশিষ্ট্য লেখ। ২
গ. রাসেল তার কাজের জন্য কীভাবে একটি নতুন লেয়ার যুক্ত করবে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার ক্ষেত্রে উদ্দীপকের উলিখিত প্রোগ্রামের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ইন্টারঅ্যাকটিভ মাল্টিমিডিয়া মানে হচ্ছে সেই বহু মাধ্যম যার সাথে ব্যবহারকারী যোগাযোগ করতে পারে।
খ. মাল্টিমিডিয়ার দুইটি বৈশিষ্ট্য নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. কম্পিউটারের সাহায্যে মাল্টিমিডিয়ার উপাদানগুলো নিয়ে প্রোগ্রামিং করে সমন্বিতভাবে উপস্থাপন করা যায়, যা অন্যান্য ইলেকট্রনিক যন্ত্র, যেমন রেডিও বা টেলিভিশন দ্বারা করা যায় না।
২. আলো ও রঙের কাল্পনিক ভুবন তৈরি করা যায় এবং অবাস্তবকে বাস্তবের কাছাকাছি এনে উপস্থাপন করা যায়।
গ. রাসেল পড়াশোনার পাশাপাশি অর্থ উপার্জনের জন্য তার শিক্ষকের পরামর্শে ডিজিটাল স্টুডিও স্থাপনের জন্য যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এডোবি ফটোশপের উপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। এডোবি ফটোশপ হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রোগ্রাম যার সাহায্যে কম্পিউটারে ছবি সম্পাদন করা যায়। ছবি সম্পাদনার প্রায় প্রতিটি পর্যায়েই লেয়ারের মাধ্যমে কাজ করতে হয়। একটি লেয়ারের কাজ শেষ হলে তাকে নতুন করে আরেকটি লেয়ার যুক্ত করতে হয়। এক্ষেত্রে রাসেল নিম্নোক্ত ধাপগুলো অনুসরণ করে নতুন লেয়ার যুক্ত করবে :
১. প্যালেটের নিচে Create a new layer আইকনে ক্লিক করলে বিদ্যমান লেয়ার বা সিলেক্ট করা লেয়ারটির উপরে একটি নতুন লেয়ার যুক্ত হবে। এ লেয়ারটি হবে স্বচ্ছ লেয়ার। নতুন যুক্ত করা লেয়ারে কোনো অবজেক্ট তৈরি করে প্রয়োজন অনুযায়ী সরিয়ে স্থাপন করা যাবে। এভাবে পাঁচটি লেয়ার তৈরি করলে ১ নম্বর লেয়ারের উপর ২ নম্বর লেয়ার, ২ নম্বর লেয়ারের উপর ৩ নম্বর লেয়ার, ৩ নম্বর লেয়ারের উপর ৪ নম্বর লেয়ার বিন্যস্ত হবে। আরো লেয়ার যুক্ত করা হলে পর্যায়ক্রমে বিন্যস্ত হবে।
২. প্রয়োজন হলে লেয়ারের স্তর বিন্যাস পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। ২ নম্বর লেয়ারের ক্লিক করে মাউসে চাপ রেখে উপরের দিকে ড্র্যাগ করে ৩ নম্বর লেয়ারের ক্লিক করে মাউসে চাপ রেখে উপরের দিকে ড্র্যাগ করে ৩ নম্বর লেয়ারের উপর ছেড়ে দিলে লেয়ারটি ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর লেয়ারের মাঝখানে স্থাপিত হবে। দুটি লেয়ারের মাঝখানের বিভাজন রেখা সিলেক্টেড হওয়ার পর মাউসের চাপ ছেড়ে দিতে হবে।
তবে ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার সে এভাবে স্থানান্তরিত করতে পারবে না। ব্যাকগ্রাউন্ড লেয়ার অন্য কোনো স্তরে স্থাপন করার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ডকে লেয়ারে পরিণত করে নিতে হবে।
ঘ. উদ্দীপকে রাসেল ডিজিটাল স্টুডিও স্থাপনের জন্য এডোবি ফটোশপের উপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার ক্ষেত্রে এ প্রোগ্রামটির গুরুত্ব অপরিসীম। বর্তমানে কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার জন্য অনেক ধরনের প্রোগ্রাম রয়েছে। তবে ফটোশপ প্রোগ্রামটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়। এই প্রোগ্রামটি দিয়ে ছবি বা ছবির কোনো অংশের ঔজ্জ্বল বাড়ানো-কমানো, একাধিক ছবির সমন্বয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, ছবির দাগ বা ত্রুটি মুছে ফেলা ইত্যাদি নানা রকমের কাজ করা যায়।
কম্পিউটারের সাহায্যে ছবি সম্পাদনা করার জন্য ক্যামেরায় তোলা ছবি, হাতে আঁকা ছবি বা চিত্রকর্ম, নকশা ইত্যাদি স্ক্যান করে কম্পিউটারে ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানে ডিজিটাল ক্যামেরার সাহায্যে তোলা ছবি সরাসরি কম্পিউটারে কপি করে নেওয়া যায়। কম্পিউটারের সাহায্যে ছবি সম্পাদনার পর এগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে এবং কাগজে ছাপার জন্য আমন্ত্রণপত্র, পোস্টার, ব্যানার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
মুদ্রণ প্রাকশনায় গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয় নব্বই দশকে। তখন থেকে এক্ষেত্রে ফটোশপের ব্যবহার প্রচলিত আছে। যতদিন যাচ্ছে ফটোশপের ব্যবহার ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-05
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
প্রশ্ন -৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মামুন সাহেব তার অফিসের কাজের জন্য কিছু দক্ষ ডিজাইনার নিয়োগ করলেন। তাদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারলেন ইলাস্ট্রেটরে পেন টুল ব্যবহার করে ডিজাইনের কাজগুলো খুব সহজে করা যায়। মামুন সাহেব তার অফিসের খরচ কমানো এবং খুব তাড়াতাড়ি ডিজাইনের কাজ করার জন্য তার অফিসে পেন টুলের ব্যবহার শুরু করলেন। কাজের গতি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি অনেক নতুন নতুন কাজ হাতে নিতে পারলেন।
ক. স্লাইড লে-আউট কাকে বলে? ১
খ. প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মামুন সাহেবের অফিসের ডিজাইনাররা কীভাবে পাথ তৈরি করেন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত কাজটি প্রত্যাশিত আকারে আনার ক্ষেত্রে প্রয়োজন হতে পারে এমন দুটি কাজ বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পরিকল্পিতভাবে একটি পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য যে খসড়া করে নিতে হয় তাকে বলা হয় স্লাইড লে-আউট।
খ. সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ইত্যাদিতে কম্পিউটারের সাহায্যে আকর্ষণীয় এবং কার্যকরভাবে তথ্য উপস্থাপন করার জন্য প্রধানত পাওয়ার পয়েন্ট নামের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে মাইক্রোসফট অফিসের অন্তর্ভুক্ত একটি সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন। এর সাহায্যে লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও, গ্রাফ ইত্যাদির সমন্বয়ে আকর্ষণীয়ভাবে তথ্যাদি উপস্থাপন করা যায়। তাই এ সফটওয়্যারটিকে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার বলা হয়।
গ. মামুন সাহেব তার অফিসের কাজের সুবিধার জন্য ইলাস্ট্রেটরে পেন টুলের ব্যবহার শুরু করেছেন। এই টুল ব্যবহার করে ডিজাইনাররা পাথ তৈরি করেন। নিচে পেন টুলের সাহায্যে পাথ তৈরির নিয়ম বর্ণনা করা হলো :
১. টুলবক্স থেকে পেন টুল সিলেক্ট করতে হবে। পেন টুলের সাহায্যে পর্দার যে কোনো জায়গায় ক্লিক করার পর মাউসের চাপ ছেড়ে দিতে হবে।
২. কিছুটা উপরের দিকে দ্বিতীয় ক্লিক করে মাউসের চাপ ছেড়ে দিতে হবে।
৩. দ্বিতীয় ক্লিকের অবস্থান থেকে নিচের দিকে একটু ডানে ক্লিক করতে হবে।
৪. উপরের দিকে একটু ডানে সরে ক্লিক করতে হবে। ক্লিক করার পর মাউসে চাপ রেখে ডান দিকে ড্র্যাগ করতে হবে।
৫. নিচের দিকে একটু ডানে ঘরে ক্লিক করতে হবে। এ ক্লিকের অবস্থান থেকে একটু ডান দিনে পরবর্তী ক্লিক করতে হবে।
৬. উপরের দিকে একটু ডানে সরে ক্লিক করার পর মাউসে চাপ রেখে ডান দিকে ড্র্র্যাগ করতে হবে।
৭. নিচের দিকে একটু ডানে সরে ক্লিক করতে হবে।
এভাবেই ক্লিক ও ড্র্যাগ করে ঢেউয়ের মতো মামুন সাহেবের অফিসের ডিজাইনাররা মুক্ত পাথ বিশিষ্ট অবজেক্ট তৈরি করেন।
ঘ. উক্ত কাজটি অর্থাৎ ডিজাইনারদের তৈরিকৃত পাথটি একবারেই তার প্রত্যাশিত আকার ধারণ করে না। একে প্রত্যাশিত আকার দেওয়ার জন্য ডিজাইনারদের নানা ধরনের সম্পাদনামূলক কাজ করতে হয়। নিচে এরূপ দুইটি কাজ বিশ্লেষণ করা হলো :
১. অ্যাংকর পয়েন্ট যোগ করা : পাথের কোনো অবস্থানে অ্যাংকর পয়েন্ট যোগ করার জন্য নিন্মোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে :
◈ টুলবক্স থেকে অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল সিলেক্ট করতে হবে। অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল সিলেক্ট করার পর মাউস পয়েন্টার পর্দার ভেতরে নিয়ে এলে পেন টুলের নিচের ডান দিকে একটি যোগচিহ্ন (+) দেখা যাবে।
◈ অ্যাড অ্যাংকর পয়েন্ট টুল দিয়ে পাথের যে কোনো স্থানে ক্লিক করলে ঐ স্থানে নতুন অ্যাংকর পয়েন্ট বসে যাবে।
◈ সোজা পাথের উপর যোগ করা নতুন অ্যাংকর পয়েন্ট হতে ট্রেইট কর্ণার অ্যাংকর পয়েন্ট এবং বক্স পাথের উপর যোগ করা অ্যাংকর পয়েন্ট হবে স্মুথ অ্যাংকর পয়েন্ট।
২. অ্যাংকর পয়েন্ট বাদ দেওয়া: পাথে বিদ্যামান অ্যাংকর পয়েন্ট বাদ দেওয়ার জন্য নিন্মোক্ত নিয়মগুলো অনুসরণ করতে হবে :
◈ ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল সিলেক্ট করতে হবে। ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল সিেিলক্ট করার পর মাউস পয়েন্টার পর্দার ভেতরে নিয়ে এলে পেন টুলের নিচের ডান দিকে বিয়োগচিহ্ন (-) দেখা যাবে।
◈ ডিলিট অ্যাংকর পয়েন্ট টুল দিয়ে কোনো অ্যাংকর পয়েন্টারের উপর ক্লিক করলে ঐ অ্যাংকর পয়েন্টারটি বাতিল হয়ে যাবে।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-05
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৫
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব আলিম ও জনাব লিয়াকত ভালো বন্ধু। তারা দুজনই প্রিন্টিং ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। পূর্বে তারা বিভিন্ন ব্যানার, বিয়ের কার্ড, দাওয়াত পত্র ইত্যাদি লেটার প্রেসে তৈরি করতে। কিন্তু এখন জনাব আলিম এসব কাজ গ্রাফিক্স সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করেন। ফলে তার কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে জনাব লিয়াকত আগের পদ্ধতিতেই রয়ে গেছেন। এ কারণে তার কাজের চাহিদা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
ক. ফিল কী? ১
খ. অ্যানিমেশন বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জনাব আলিম যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন তার বর্ণনা দাও। ৩
ঘ. জনাব লিয়াকতের কার্য পদ্ধতির সমস্যাগুলো বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. একটি অবজেক্টের ভেতরের অংশই ফিল।
খ. অ্যানিমেশন এক ধরনের গ্রাফিক্স বা চিত্র। তবে সেটি চলমান বা স্থির হতে পারে। এটি দ্বিমাত্রিক বা ত্রিমাত্রিক হতে পারে। আমাদের দেশে অ্যানিমেশনের ব্যবহার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু এনিমেশনে কাজ করার লোকের অভাব রয়েছে। আসলে এনিমেশন কোনো একক মিডিয়া নয়। এর সাথে অডিও, ভিডিও, টেক্সট, গ্রাফিক্স ইত্যাদির সম্পর্ক রয়েছে।
গ. জনাব আলিম প্রিন্টিং ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। এ কাজে তিনি যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হলো :
এডোবি ফটোশপ : এডোবি ফটোশপ হচ্ছে কম্পিউটারে ছবি সম্পাদনার প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামের সাহায্যে ছবি বা ছবির কোনো অংশের ঔজ্জ্বল্য বাড়ানো-কমানো, একাধিক ছবির সমন্বয়ে বইয়ের প্রচ্ছদ, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, ছবি দাগ বা ত্রুটি মুছে ফেলা ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ করা যায়। এই প্রোগ্রামের সাহায্যে ছবি সম্পাদনা করার জন্য ক্যামেরায় তোলা ছবি, হাতে আঁকা ছবি বা চিত্রকর্ম, নকশা ইত্যাদি স্ক্যান করে কম্পিউটারে ব্যবহার করতে হয়। বর্তমানে ডিটিজাল ক্যামেরার সাহায্যে তোলা ছবি সরাসরি কম্পিউটারে কপি করে নেয়া যায়। কম্পিউটারের সাহায্যে ছবি সম্পাদনার পর এগুলো ডিজিটাল মাধ্যমে এবং কাগজে ছাপার জন্য আমন্ত্রণপত্র, পোস্টার, ব্যানার, বিজ্ঞাপন ইত্যাদির সঙ্গে ব্যবহার করা যায়।
এডোবি ইলাস্ট্রেটর : এডোবি ইলাস্ট্রেটর হচ্ছে মূলত ছবি আঁকা নকশা প্রণয়ন করা, লোগো তৈরি করা এবং অন্যান্য ডিজাইন তৈরি করার প্রোগ্রাম। আমাদের দেশে গল্প, কবিতা, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি প্রকাশনার প্রচ্ছদ তৈরি করার জন্য শিল্পীরা এখন রঙ-তুলির ব্যবহার ছেড়ে দিয়েছেন বললেই চলে। এডোবি ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করেই এখন তাঁরা প্রচ্ছদ তৈরির কাজ করে থাকেন। আমন্ত্রণপত্র, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি ছোট-বড় কাজসহ বিভিন্ন আকারের পোস্টার, বিশাল আকারের ব্যানার, বিলবোর্ড ইত্যাদি তৈরির কাজ এখন ইলাস্ট্রেটর ছাড়া ভাবাই যায় না।
ঘ. জনাব লিয়াকত তার প্রিন্টিং কারখানায় লেটার প্রেসে কাজ সম্পাদন করেন। এতে কাজ করা হয় সিসার অক্ষর দিয়ে। এছাড়া পোস্টার জাতীয় কাজে কাঠের তৈরি বড় বড় হরফ ব্যবহার করেন। এ হরফগুলো ছোট-বড় করা যায় না। প্রয়োজন হলে নতুন করে তৈরি করতে হয়। এসব সীমাবদ্ধতার কারণে এতে ইচ্ছামত রং ব্যবহার করা যায় না। তাছাড়া এখানে ইচ্ছামতো ছবি একের অধিক কালার দিয়ে তৈরি করা যায় না। ফলে তার কাজ মনোমুগ্ধকর হয় না এবং সে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়। অপরদিকে জনাব আলিম কাজ করেন কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবহার করে। ফলে তিনি ক্রেতাদের যেকোনো চাহিদা পূরণ করতে পারেন। ফলে এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে জনাব লিয়াকতের সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
0 Comments:
Post a Comment