৯ম-১০ম শ্রেণির আইসিটি গাইড
এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
Class 9-10 ict Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology Chapter-04
ICT Srijonshil
Question and Answer pdf download
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
আমার লেখালেখি ও হিসাব
পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
◈ ওয়ার্ড প্রসেসর : ওয়ার্ড প্রসেসর শব্দের অর্থ হলো শব্দ প্রক্রিয়াকারী। কম্পিউটারে কোনো ভাষার বর্ণমালা ব্যবহার করে শব্দ গঠন এবং শব্দাবলি ইচ্ছামতো সাজিয়ে নেয়ার কাজে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকেই ওয়ার্ড প্রসেসর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। উইন্ডোজভিত্তিক মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, লিনাক্স ভিত্তিক ওপেন অফিস ইত্যাদি ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রামের উদাহরণ।
◈ অফিস সফটওয়্যার : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে লেখালেখি ও হিসাবের কাজগুলো করার জন্য হাতের কাছে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার রয়েছে। এদেরকে অফিস সফটওয়্যার বলা হয়।
◈ ফরমেটিং টেক্সট : ওয়ার্ড প্রসেসরে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য লেখালেখি করা যায়। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সঠিকভাবে গুছিয়ে ও সাজিয়ে লিখতে হবে। ওয়ার্ড প্রসেসরের ভাষায় এ কাজটিকে ‘ফরমেটিং টেক্সট’ বলা হয়।
◈ স্প্রেডশিট : Spread অর্থ ছড়ানো এবং Sheet অর্থ পাতা অর্থাৎ স্প্রেডশিট (Spread Sheet) শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো ছড়ানো পাতা। গ্রাফ কাগজের ন্যায় X অক্ষ এবং Y অক্ষ বরাবর খোপ খোপ ঘরের ন্যায় অনেক ঘর সংবলিত বড় শিটকে স্প্রেডশিট বলা হয়।
◈ ফর্মুলা : ওয়ার্কশিটে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন সংখ্যাগুলোর ভিত্তিতে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা ইত্যাদির হিসাব এর জন্য ব্যবহৃত পদ্ধতিকে বলা হয় ফর্মুলা। ফর্মুলা ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন জটিল হিসাব-নিকাশের কাজ করা যায়।
◈ ফাংশন : গাণিতিক কাজের জন্য স্প্রেডশিট সফটওয়্যারে পূর্বে থেকে সংরক্ষিত ফর্মুলাই হলো ফাংশন। প্রতিটি ফাংশনের একটি সংক্ষিপ্ত রূপ আছে। ফাংশন হচ্ছে ফর্মুলার সংক্ষিপ্ত রূপ যেখানে বিভিন্ন গাণিতিক সূত্র পূর্ব থেকেই সন্নিবেশিত থাকে। অর্থাৎ ফর্মুলাকে সংক্ষিপ্ত আকারে ব্যবহারের পদ্ধতিকে ফাংশন বলে।
◈ প্যারাগ্রাফ বা অনুচ্ছেদ ফরমেটিং : প্যারা সাজানোকে প্যারাগ্রাফ ফরমেটিং বলে। অন্যভাবে বলা যায় প্যারা বিভিন্নভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করাকে প্যারাগ্রাফ ফরমেটিং বলে।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-04
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তৌফিকুল ইসলাম একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের করণিক। প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় চিঠিপত্র এবং অন্যান্য লেখালেখির কাজ তিনি হাতে কলমে করেন। হঠাৎ একদিন একটি চিঠি খুব দ্রুত প্রস্তুত করায় তাতে বেশ কয়েকটি বানান ভুল হয় এবং শব্দ বাদ পড়ে যায়। এতে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা খুব রাগারাগি করেন। এসব কথা শুনে তার বন্ধু আরমান শিকদার তাকে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
ক. হিসাবের জন্য কোন সফটওয়্যার রয়েছে? ১
খ. কীভাবে প্যারাগ্রাফের লাইন ব্যবধান নির্ধারণ করা যায়? ২
গ. বন্ধুর পরামর্শ গ্রহণ করলে তৌফিকুল ইসলাম কী কী সুবিধা পাবেন? ৩
ঘ. নির্ভুল এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিঠিপত্র উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উলিখিত সফটওয়্যারের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর। ৪
১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হিসাবের জন্য স্প্রেডশিট এনালাইসিস সফটওয়্যার রয়েছে।
খ. ডকুমেন্টের প্রত্যেকটা লাইনের মধ্যে কী পরিমাণ ব্যবধান হবে তা নির্ধারণ করতে রিবনের পেইজ লেআউট ট্যাব ক্লিক করতে হয়। এখানে প্যারাগ্রাফ গ্রুপে স্পেসিং-এ লাইনের আগে ও পরে কত পয়েন্ট জায়গা থাকবে তা নির্ধারণ করে দিতে হয়।
গ. তৌফিকুল ইসলামকে তার বন্ধু আরমান শিকদার ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন। ওয়ার্ড প্রসেসর হচ্ছে এক ধরনের সফটওয়্যার যা লেখালেখির কাজে ব্যবহৃত হয়। তৌফিকুল ইসলাম তার যাবতীয় লেখালেখির কাজ হাতে কলমে করেন বলে দ্রুত করতে গেলে তাতে নানা ধরনের ভুলভ্রান্তি দেখা দেয়। তাই তিনি যদি তার বন্ধুর পরামর্শ গ্রহণ করে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করেন তাহলে অফিসের চিঠিপত্র ও অন্যান্য লেখালেখির ক্ষেত্রে তিনি নিম্নোক্ত সুবিধাগুলো পাবেন :
১. নির্ভুলভাবে লেখালেখির কাজ করতে পারবেন এবং ভুল হলে সাথে সাথে সংশোধন করতে পারবেন।
২. সম্পাদনার সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি তার লেখাকে নান্দনিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
৩. লেখাকে নানাভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।
৪. পুরো লেখা প্রথম থেকে শুরু না করে নতুন লেখা প্রবেশ করানো, লেখা মুছে ফেলা বা লেখাকে পুনর্বিন্যাস করার সুযোগ পাবেন।
৫. ছবি, গ্রাফ, টেবিল, চার্ট ইত্যাদি সংযোজন করে ডকুমেন্টকে আরো আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
৬. ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করে তা যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারবেন। ফলে একই কাজ বারবার করার প্রয়োজন হবে না।
৭. প্রয়োজনবোধে দরকারি তথ্য এক ডকুমেন্ট হতে অন্য ডকুমেন্টে কপি করতে পারবেন।
৮. একই সাথে একাধিক ডকুমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারবেন।
৯. ফাইন্ড-রিপ্লেস কমান্ড ব্যবহার করে বড় কোনো ডকুমেন্টে অল্প সময়ে শব্দ খুঁজতে এবং প্রতিস্থাপন করতে পারবেন।
ঘ. নির্ভুল এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিঠিপত্র উপস্থাপনের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে উলিখিত সফটওয়্যারটি অর্থাৎ ওয়ার্ড প্রসেসর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে চিঠিপত্র, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ ইত্যাদি যেকোনো আকারের ডকুমেন্ট খুব সহজেই নির্ভুল ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপস্থাপন করা যায়। মানুষ ইচ্ছে করলে হাতে লিখেও এসব ডকুমেন্ট প্রস্তুত করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভুল কিংবা কাটাকাটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া শব্দ বাদ পড়ার কিংবা শব্দের বানান ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করাই এক্ষেত্রে সবচেয়ে সুবিধাজনক। ওয়ার্ড প্রসেসর দিয়ে চিঠিপত্রসহ যেকোনো ডকুমেন্ট নির্ভুলভাবে প্রস্তুত করা যায়। একই লেখা ওয়ার্ড প্রসেসরে বারবার লেখার প্রয়োজন হয় না। কোনো লেখা একাধিকবার ব্যবহার করার প্রয়োজন হলে লেখাটি একবার টাইপ করার পর বার বার কপি করে নিতে হয়। এতে শ্রম এবং সময়ের সাশ্রয় ঘটে এবং কাজটি দ্রুত সম্পাদন করা যায়। ওয়ার্ড প্রসেসরে ব্যাকরণ ও বানান চেক দিয়ে বিভিন্ন বানান ও বাক্যের শুদ্ধতা বজায় রাখা যায়। সুতরাং নির্ভুল ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিঠিপত্র উপস্থাপনের ক্ষেত্রে ওয়ার্ড প্রসেসর সফটওয়্যারের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-04
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সাম্মি তার কম্পিউটারে ওয়ার্ড ২০০৭ ইনস্টল করে নিয়েছিল অনেক আগেই। আজ সে ওয়ার্ড প্রসেসর ব্যবহার করে ‘My hobby’ নাম দিয়ে ২০০ শব্দে একটি রচনা টাইপ করল। টাইপের কাজ শেষ হলে সে তার ডকুমেন্টে বিভিন্ন ধরনের ফরমেটিং এর কাজ করল। কিন্তু ডকুমেন্টটি সংরক্ষণ করতে গিয়ে সে বেশ ঝামেলায় পড়ল। সেভ অপশনটি কোথায় থাকে তা সে মনে করতে পারল না। তখন তার বড় বোন সামিরা তাকে সাহায্য করল। সে অফিস বাটনে ক্লিক করে সেভ অপশনটি বের করে দিল এবং এই বাটনের অন্যান্য অপশনগুলোর ব্যবহার শিখিয়ে দিল।
ক. কোথায় বুলেট ও নম্বরের আইকন কমান্ড পাওয়া যায়? ১
খ. ওয়ার্ড প্রসেসিং বলতে কী বোঝায়? ২
গ. সামিরার ব্যবহৃত বাটনের অপশনগুলোর ব্যবহার লেখ। ৩
ঘ. সাম্মির করা কাজগুলো বিশ্লেষণ কর। ৪
২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. হোম ট্যাবের প্যারাগ্রাফ গ্রুপে বুলেট ও নম্বরের আইকন কমান্ড পাওয়া যায়।
খ. ডকুমেন্ট প্রসেসিং-এর উপাদানগুলোকে কম্পিউটারের সাহায্যে একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম দিয়ে সম্পন্ন করার পদ্ধতিকে ওয়ার্ড প্রসেসিং বলে। অর্থাৎ যে পদ্ধতিতে ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রাম কাজ করে তাকে বলে ওয়ার্ড প্রসেসিং। বহুল ব্যবহৃত ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম হলো : মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, ওয়ার্ড স্টার, ওয়ার্ড পারফেক্ট ইত্যাদি।
গ. সামিরার ব্যবহৃত বাটনটি হলো অফিস বাটন। কম্পিউটারে ওয়ার্ড ২০০৭ চালু করলে যে উইন্ডো আসে তার উপরের বাম কোণায় থাকে অফিস বাটন। এই বাটনে ক্লিক করলে ওয়ার্ড প্রসেসরে কাজের ক্ষেত্রে যে অপশনগুলো বারবার ব্যবহৃত হয় সেগুলো পাওয়া যায়। উদ্দীপকে সাম্মি তার ডকুমেন্টটি সংরক্ষণ করার জন্য সেভ অপশনটি খুঁজে না পেলে তার বড় বোন সামিরা অফিস বাটনে ক্লিক করে সেভ অপশনটি বের করে দেয়। নিচে এই বাটনের অপশনগুলোর ব্যবহার বর্ণনা করা হলো :
১. নিউ : নতুন ডকুমেন্ট খুলতে এটিতে ক্লিক করতে হয়।
২. ওপেন : পূর্বে সংরক্ষণ করা কোনো ডকুমেন্ট খুলতে এটা ক্লিক করতে হয়।
৩. সেইভ : ডকুমেন্টকে সংরক্ষণ করতে এখানে ক্লিক করতে হয়।
৪. সেইভ এজ : একই ডকুমেন্ট ভিন্ন নামে সংরক্ষণ করতে এখানে ক্লিক করতে হয়। এর মাধ্যমে কোনো ডকুমেন্টকে অপরিবর্তিত রেখে নতুন নামে সংরক্ষণ করে তার উপর কাজ করা যায়।
৫. ক্লোজ : কোনো খোলা ডকুমেন্ট বন্ধ করার জন্য এখানে ক্লিক করতে হয়।
৬. প্রিন্ট প্রিভিউ : সেভকৃত ফাইলটি প্রিন্ট করলে তা দেখতে কিরূপ হবে তা প্রিন্ট প্রিভিউতে ক্লিক করলে দেখা যায়।
ঘ. সাম্মি ওয়ার্ড ২০০৭ প্রোগ্রামে বিভিন্ন ধরনের ফরমেটিং এর কাজ করেছিল। ডকুমেন্টকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজানোর পদ্ধতিকে ডকুমেন্ট ফরমেটিং বলে। কাজের ওপর ভিত্তি করে এই ফরমেটিং তিন ধরনের হয়ে থাকে। তাই সাম্মি তার ডকুমেন্টে এই তিন ধরনের ফরমেটিং-এর কাজই করেছে বলে আমি মনে করি। নিচে ডকুমেন্ট ফরমেটিং-এর ধরনগুলো বিশ্লেষণ করা হলো :
১. অক্ষর ফরমেটিং : একটি ডকুমেন্টের লেখার আকার, আকৃতি, রং, ফন্ট স্টাইল, সুপারস্ক্রিপ্ট, সাবস্ক্রিপ্ট ইত্যাদি কেমন হবে তা অক্ষর ফরমেটিং এর মাধ্যমে নিরূপণ হয়।
২. প্যারাগ্রাফ বা অনুচ্ছেদ ফরমেটিং : প্যারা সাজানোকে প্যারাগ্রাফ ফরমেটিং বলে। অন্যভাবে বলা যায়, প্যারা বিভিন্নভাবে বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করাকে প্যারাগ্রাফ ফরমেটিং বলে। প্যারাগ্রাফ ফরমেটিং-এর মাধ্যমে যে সকল কাজ করা হয় তা নিম্নরূপ :
* লাইন স্পেসিং
* প্যারাগ্রাফ স্পেসিং
* প্যারাগ্রাফের প্রথম অক্ষর কি রকম হবে
* ইনডেক্স
* বিন্যাস ইত্যাদি।
৩. পেইজ ফরমেটিং : পেইজ ফরমেটিং এর মধ্যে রয়েছে কাগজের আকার, মার্জিন, হেডার বা শীর্ষচরণ, ফুটার বা পাদচরণ, ফুটনোট বা পাদটীকা, পৃষ্ঠা নম্বর সংযোজন ইত্যাদি।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-04
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিয়া তার কম্পিউটারে ইংরেজিতে কিছু টাইপ করছিল। এমন সময় তার বাবা তার ঘরে ঢুকল। তিনি রিয়াকে বললেন, ‘ইংরেজি টাইপিং এর পাশাপাশি বাংলা টাইপিংটাও শিখে নিও। এতে তোমার পড়াশোনায় সুবিধা হবে। একথা শুনে রিয়া জানাল সে বাংলা ফন্ট ব্যবহার করতে পারে না। রিয়ার বাবা রিয়াকে বাংলা ফন্টের ব্যবহার শিখিয়ে দিল। রিয়া তার বাবার শিখানো কৌশল ব্যবহার করে তার বাংলা বইয়ের একটি কবিতা টাইপ করল। সে কবিতাটি তার কম্পিউটারে সংরক্ষণ করে রাখল।
ক. ফরমেটিং টেক্সট কী? ১
খ. ডকুমেন্টকে টেমপ্লেট আকারে সংরক্ষণের সুবিধা লেখ। ২
গ. বাবার কাছ থেকে রিয়ার শেখা কৌশলটি বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রিয়া সবশেষে যে কাজটি করল তার গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪
৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. লেখাকে বিভিন্ন আঙ্গিকে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করাকে ফরমেটিং টেক্সট বলে।
খ. যখন কোনো ডকুমেন্ট বারবার ব্যবহারের প্রয়োজন হয় তখন সেটিকে টেমপ্লেট আকারে সংরক্ষণ করতে হয়। এতে সময় সাশ্রয় হয়।
যেমন : প্রতি সপ্তাহে ল্যাব রিপোর্ট প্রস্তুত করার প্রয়োজন হলে সেটি টেমপ্লেট আকারে সংরক্ষণ করে রাখলে তা বারবার ব্যবহার করা যায়।
গ. বাবার কাছ থেকে রিয়া বাংলা ফন্ট ব্যবহারের কৌশল শিখেছে। বাংলা ফন্ট নিয়ে কাজ করার সময় ব্যবহারকারীকে দুটো বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। প্রথমত : বাংলা সফটওয়্যার, দ্বিতীয়ত : বাংলা ফন্ট। বাংলা সফটওয়্যারের জন্য বিজয় বাংলা সফটওয়্যার ইনস্টল করে নিতে হয় এবং বাংলা কী বোর্ডের জন্য Ctrl, Alt, B এক সাথে চাপতে হবে। ছাত্রছাত্রীদের অনেক সময় বাংলায় লেখে বিভিন্ন বিষয় ক্লাসে উপস্থাপন করতে হয়। এ কারণেই রিয়ার বাবা রিয়াকে বাংলা ফন্ট ব্যবহারের কৌশল শিখিয়ে দিল। নিচে বাংলা ফন্টে কাজ করার কৌশল বর্ণনা করা হলো :
বাংলা ফন্ট দুইভাবে সিলেক্ট করা যায়। যেমন :
i. টুলবার ব্যবহার করে।
ii. মেনু থেকে Font গ্রুপ সিলেক্ট করে।
১. টুলবার ব্যবহার করে উক্ত কাজগুলো সম্পন্নকরণ :
Font কমান্ডগুলো থেকে উপরের প্রথম টুল (ফন্টের নাম লেখা) এর ড্রপ ডাউনে (নিমোক্ত তীর) ক্লিক করি। বিভিন্ন ফন্টের নামসহ পুল ডাউন মেনু আসবে। SutonnyMJ ফন্ট সিলেক্ট করি। তাহলে একটি নির্দিষ্ট বাংলা ফন্ট সিলেক্ট হয়ে যাবে এবং বাংলাতে লেখা দেখাবে।
২. মেনু থেকে Font গ্রুপ সিলেক্ট করে উক্ত কাজগুলো সম্পন্নকরণ :
◈ Home রিবন সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Font কমান্ডগ্রুপ এর নিচের দিকের তীর চিহ্ন সম্বলিত বাটনে ক্লিক করি। এ অবস্থায় সামনে Font ডায়ালগ বক্স আসবে।
◈ Font অপশন থেকে বাংলা ফন্ট যেমন : SutonnyMJ সিলেক্ট করে OK করতে হবে। Font পরিবর্তিত হয়ে বাংলা হবে। এভাবে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ধরনের বাংলা Font সিলেক্ট করা হয়।
ঘ. রিয়া সবশেষে যে কাজটি করেছে কম্পিউটার ব্যবহার করে যে কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা কম্পিউটারে আমরা যখন কোনো কিছু লেখালেখি করি তখন তা কম্পিউটারের প্রধান মেমোরি অর্থাৎ র্যামে জমা হয়। র্যাম কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরি। তাই বিদ্যুৎ চলে গেলে বা কোনো কারণে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে গেলে র্যামে সংরক্ষিত সমস্ত ডেটা মুছে যায়। তাই কম্পিউটারে লেখালেখি করার সময় আমরা যদি তা যথাযথভাবে সংরক্ষণ না করি তাহলে যে কোনো সময় আমাদের সমস্ত পরিশ্রম পণ্ড হয়ে যেতে পারে। এ কারণে ডকুমেন্ট তৈরি করার সময় একটি নির্দিষ্ট নাম দিয়ে ডকুমেন্টটি সংরক্ষণ করে নিতে হয়। তাহলে ডকুমেন্টটি কম্পিউটারের সহায়ক মেমোরিতে চলে যায়। তখন বিদ্যুৎ গেলে বা কম্পিউটার বন্ধ করলে মেমোরি থেকে সেই ডকুমেন্ট মুছে যায় না। ফলে পরবর্তী সময় ডকুমেন্টটি যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করা যায়। উদ্দীপকে রিয়া তার বাবার কাছ থেকে বাংলা ফন্টের ব্যবহার শিখে তার বাংলা বই থেকে একটি কবিতা টাইপ করে নির্দিষ্ট নাম দিয়ে সংরক্ষণ করল। এতে কবিতাটি তার কম্পিউটারের সহায়ক মেমোরিতে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত হলো। রিয়া এখন এই কবিতাটি যখন খুশি যতবার ইচ্ছে ব্যবহার করতে পারবে। তাই বলা যায়, রিয়ার সর্বশেষ কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-04
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
প্রশ্ন -৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
সিরাজুল ইসলাম কাউনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পড়ান। তিনি তার আলোচনায় স্প্রেডশিট কী, এটা কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়, এই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করে আমরা কী ধরনের সুবিধা পেতে পারি ইত্যাদি বিষয় ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরলেন। তিনি তার আলোচনার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের এই তথ্যটিও দিলেন যে, পূর্বে এই স্কুলের রেজাল্ট তৈরি করতে গিয়ে তাকে বেশ সমস্যায় পড়তে হতো। কারণ তখন তিনি সব কাজ হাতে লিখে করতেন। এতে সময় বেশি লাগত এবং হিসাবে ভুলভ্রান্তি থেকে যেত। কিন্তু এখন তিনি স্প্রেডশিট ব্যবহার করেন বলে এসব ঝামেলা আর নেই।
ক. লাইন ব্যবধান টুলটি কী জন্য ব্যবহৃত হয়? ১
খ. লেখালেখির সাজসজ্জা বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে আলোচিত প্রোগ্রামটির বিভিন্ন ফর্মুলা সম্পর্কে লেখ। ৩
ঘ. ক্যালকুলেটরের চেয়ে উদ্দীপকের প্রোগ্রামে কাজ করা অধিক সুবিধাজনক-বিশ্লেষণ কর। ৪
৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. লাইন ব্যবধান টুলটি দুইটি লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব নির্ধারণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
খ. ওয়ার্ড প্রসেসরের ভাষায় লেখালেখির সাজ-সজ্জার কাজটিকে “ফরমেটিং টেক্সট” বলা হয়। ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখি করার জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় ফন্ট। এই ফন্ট, বুলেট, নম্বর, লাইন, টেবিল, ছবি প্রভৃতি যোগ করে মার্জিন ঠিক রেখে একটি লেখাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করাকে লেখালেখির সাজসজ্জা বলে।
গ. উদ্দীপকে আলোচিত প্রোগ্রামটি হলো স্প্রেডশিট। এই প্রোগ্রামটিতে বিভিন্ন ধরনের ফর্মুলা ব্যবহারের সুযোগ থাকায় যেকোনো হিসাবনিকাশের কাজ দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করা সম্ভব হয়। নিচে স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের বিভিন্ন ফর্মুলার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেয়া হলো :
১. গাণিতিক ফর্মুলা : যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা হার নির্ণয় বা এই জাতীয় গণিতভিত্তিক কাজে এসব ফর্মুলা ব্যবহৃত হয়। যেমন : ১০টি সংখ্যার যোগফল নির্ণয় করা।
২. লজিক্যাল বা যুক্তিমূলক ফর্মুলা : হিসাবের নির্দেশ প্রদান করার জন্য ব্যবহৃত ফর্মুলাটিকে বলা হয় লজিক্যাল ফর্মুলা। এ ধরনের ফর্মুলার সাহায্যে শর্তনির্ভর কাজ করা যায়। যেমন : কোনো ছাত্রছাত্রীর পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে পাস/ফেল নির্ণয়ের জন্য ব্যবহৃত ফর্মুলা।
৩. টেক্সট ফর্মুলা : অনেক সময় ফর্মুলায় সরাসরি শব্দ ব্যবহার করা হয়। যেমন : বিভিন্ন বয়সের মানুষের একটি ওয়ার্কশিটে বয়সের ভিত্তিতে সবার নামের বরাবর মন্তব্যের ঘরে প্রৌঢ়, ৬০ ঊর্ধ্ব বয়সীদের বৃদ্ধ, ২০-৪০ বছর বয়সীদের যুবক এবং ১০-১৫ বছর বয়সীদের কিশোর লিখতে হবে। এজন্য এই শব্দগুলো টেক্সট ফর্মুলা হিসেবে সরাসরি ফর্মুলায় ব্যবহার করতে হবে।
ঘ. ক্যালকুলেটর একটি গণনাকারী যন্ত্র। যন্ত্রটির বোতাম টিপে সহজেই সাধারণ হিসাবনিকাশের কাজ থেকে শুরু করে যেকোনো বড় ধরনের হিসাবের কাজও ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে করা যায়। আঙুলের কর গুণে গুণে এবং কাগজে লিখে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ করে একটি হিসাব মিলাতে যত সময় লাগে ক্যালকুলেটরের সাহায্যে তার চেয়েও অনেক কম সময়ে হিসাবটি করা যায় স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের সাহায্যে।
ধরা যাক ৪/৫ অঙ্কবিশিষ্ট ৫০টি সংখ্যার যোগফল নির্ণয় করতে হবে। ক্যালকুলেটরের সাহায্যে এই যোগটি করার জন্য অসংখ্য বার বোতাম চাপতে হবে। কিন্তু স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের সাহায্যে এই যোগটি করার জন্য মাত্র কয়েক সেকেন্ড সময়ের প্রয়োজন। আবার ক্যালকুলেটরের বোতাম চাপতে ভুল হলে যোগফলও ভুল হবে। আর এজন্য সংশোধনের জন্য আবার প্রথম থেকে হিসাব করতে হবে। অথচ স্প্রেডশিটের ক্ষেত্রে শুধু ভুলগুলো সংশোধন করে দিলেই সম্পূর্ণ হিসাব ও তার ফলাফল আপনা-আপনিই পুনর্বিন্যাস্ত হয়ে যাবে। বড় ও জটিল হিসাব স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পাদনের জন্য স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম খুবই উপযোগী। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এক্ষেত্রে ফর্মুলা ও ফাংশন ব্যবহার করা যায়।
সুতরাং, আমরা বলতে পারি যে, গাণিতিক হিসাবে ক্যালকুলেটরের চেয়ে অতি সহজে যেকোনো বড় হিসাব স্প্রেডশিটের মাধ্যমে সমাধান সম্ভব।
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-04
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৪
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মালিহা একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের হিসাব সহকারী। তাদের প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মচারীর সংখ্যা ৮৫০। কিন্তু হিসাব কর্মকর্তারা সবাই স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন বলে হিসাব-নিকাশে কোনো ঝামেলা হয় না। মালিহা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে ৪০ পৃষ্ঠার একটা হিসাব ডকুমেন্ট প্রিন্ট করল। কিন্তু ডকুমেন্টে পৃষ্ঠা নম্বর না দেয়ায় সে নিজেই বুঝতে পারল না যে কোন পৃষ্ঠার পর কোন পৃষ্ঠা হবে। তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে ডকুমেন্টে প্রতি পৃষ্ঠায় নম্বর দিয়ে পুনরায় হিসাবটি প্রিন্ট দিতে বলল।
ক. সূত্র সবসময় কোন চিহ্ন দিয়ে শুরু করতে হয়? ১
খ. ফন্ট বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. মালিহা তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশিত কাজটি কীভাবে করবে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মালিহার ব্যবহৃত সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আমরা কীভাবে উপকৃত হতে পারি? বিশ্লেষণ কর। ৪
৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. সূত্র সবসময় সমান (‘‘=’’) চিহ্ন দিয়ে শুরু করতে হয়।
খ. ওয়ার্ড প্রসেসরে লেখালেখি করার জন্য বিভিন্ন স্টাইলের অক্ষর রয়েছে। এগুলোকে বলা হয় ফন্ট। লেখালেখির সাজসজ্জায় প্রথমেই দেখতে হয় লেখাটি কোন ধরনের ফন্টে হবে। তারপর হোম মেনুর ফন্ট গ্রুপের ফন্টের নামের ড্রপ ডাউন বক্স থেকে ফন্ট নির্বাচনের কাজটি করতে হয়।
গ. মালিহা ইনসার্ট ট্যাব ব্যবহার করে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশিত কাজটি করবে। কারণ ডকুমেন্ট প্রস্তুত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এর প্রতিটি পৃষ্ঠায় নম্বর দেয়া। মালিহা এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি না করেই ৪০ পৃষ্ঠার হিসাব ডকুমেন্টটি প্রিন্ট করায় সে নিজেই বুঝতে পারল না যে কোন পৃষ্ঠার পর কোন পৃষ্ঠা হবে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে ডকুমেন্টের প্রতি পৃষ্ঠায় নম্বর দিয়ে পুনরায় হিসাব ডকুমেন্টটি প্রিন্ট দিতে বলল। এই কাজটি করার জন্য তাকে নিম্নোক্ত ধাপসমূহ অনুসরণ করতে হবে-
১. মেনু থেকে Insert Ribon সিলেক্ট থাকা অবস্থায় Header & Footer কমান্ডগ্রুপ থেকে Page Number অপশনে ক্লিক করতে হবে। এতে একটি ড্রপ ডাউন মেনু আসবে। এখানে ক্লিক করলে আরো কয়েকটি অপশন দেখা যাবে। পছন্দমতো একটির উপর ক্লিক করতে হবে। ফলে কাক্সিক্ষত পেজ নাম্বার দেখা যাবে।
২. আর পেজ নাম্বার এর ফরমেট ঠিক করার জন্য Header & Footer কমান্ডগ্রুপ থেকে Page Number অপশনে ক্লিক করতে হবে। ফলে ড্রপ ডাউন মেনু আসবে। এখান থেকে Format Page Numbers...অপশনে ক্লিক করতে হবে এবং Number Format সিলেক্ট করতে হবে।
৩. পেজ নাম্বার কত দিয়ে শুরু করতে হবে তা Start at এর টেক্সট বক্সে টাইপ বা সিলেক্ট করে দিতে হবে।
৪. অবশেষে OK এর উপর ক্লিক করতে হবে।
ঘ. উদ্দীপকে মালিহা একটি উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানের হিসাব সহকারী। তাদের প্রতিষ্ঠানের সকল হিসাব কর্মকর্তা তাদের হিসাব কাজে স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করেন। তাই মালিহা যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে সেটিও স্প্রেডশিট। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করায় তাদের প্রতিষ্ঠানের হিসাব কাজগুলো যেমন দ্রুত সম্পাদন করা যায় তেমনি হিসাবের গাণিতিক শুদ্ধতার ব্যাপারেও নিশ্চিত হওয়া যায়। এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে আমরাও মালিহাদের প্রতিষ্ঠানের মতো নানাভাবে উপকৃত হতে পারি। স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আমরা যেভাবে উপকৃত হতে পারি তা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
◈ স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে আমরা আমাদের দৈনন্দিন হিসাব সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণ করতে পারি।
◈ স্প্রেডশিটের সাহায্যে যেকোনো জরুরি ফাইল সংরক্ষণ করতে পারি।
◈ বাজেট কিংবা বার্ষিক প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে পারি।
◈ যেকোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার হিসাব রাখতে পারি।
◈ আয়কর, আয়-ব্যয়সহ সব ধরনের হিসাব সম্পাদন ও সংরক্ষণ করতে পারি।
◈ সব ধরনের পরিসংখ্যান কিংবা আর্থিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যাবলি স্প্রেডশিটের মাধ্যমে সম্পাদন করতে পারি।
◈ স্প্রেডশিট ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যবস্থাপনা কিংবা মজুদের পরিমাণ নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারি।
◈ সকল হিসাবের মান যাচাই করতে পারি।
◈ এর সাহায্যে ডাটা সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার যাবতীয় কার্য সম্পাদন করতে পারি।
◈ স্প্রেডশিটে সকল ধরনের উপাত্ত বিশ্লেষণ করা যায়। এ কারণে এর সাহায্যে আমরা যেকোনো ধরনের হিসাব-নিকাশ সহজেই আয়ত্ত ও উপস্থাপন করতে পারি।
0 Comments:
Post a Comment