SSC তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায়-০৩

৯ম-১০ম শ্রেণির আইসিটি গাইড
এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩

Class 9-10 ict Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology Chapter-03
ICT Srijonshil
Question and Answer pdf download

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

আমার শিক্ষায় ইন্টারনেট

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ডিজিটাল কনটেন্ট : কোনো তথ্য আধেয় বা কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত-গৃহীত হয় তাহলে সেটিই ডিজিটাল কনটেন্ট।

ডিজিটাল কনটেন্ট-এর প্রকারভেদ : ডিজিটাল কনটেন্টকে প্রধানত চারটি ভাগে শ্রেণিকরণ করা হয়। যথা :
i. টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট, ii. ছবি, iii. ভিডিও ও এনিমেশন এবং iv. শব্দ বা অডিও

ই-বুক : ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক বা ই-বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ।

শিক্ষায় ইন্টারনেট : শিক্ষণীয় অনেক বিষয় ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কোনো ছাত্র বা ছাত্রী পড়ালেখা করতে করতে কোনো একটি বিষয় বুঝতে না পারলে কেউ যদি ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করে তবে মোটামুটি নিশ্চিত সে কোনো না কোনোভাবে পেয়ে যাবে।

ক্যারিয়ার ও আইসিটি : আইসিটিতে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য নিজের ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন হতে হবে। বিশ্বব্যাপী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্যারিয়ার গঠনের একটি বড় ক্ষেত্র। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কাজ করার রয়েছে অনেক সুবিধা। এতে কোনো অফিসে না গিয়েই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ভবিষ্যতে ধারণা করা যায় যে এই সেক্টরে আরও অনেক দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। কাজেই ক্যারিয়ার হিসেবে আইসিটির সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।
ভবিষ্যতে আইসিটিবিহীন একটি দিনও কল্পনা করা সম্ভব হবে না।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইমরান চৌধুরী শফিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আইসিটি বিষয়টি পড়ান। তিনি অ্যানিমেশনের ওপর প্রায় আধ ঘন্টা আলোচনা করলেন। তার আলোচনা শেষে ক্লাসের ফার্স্টবয় জাকির জানাল তারা এনিমেশন দেখতে চায়। ইমরান চৌধুরী ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের একটি শিক্ষামূলক এনিমেশন দেখালেন।
ক. ই-বুক কী? ১
খ. ডিজিটাল কনটেন্ট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ক্লাসে ইমরান চৌধুরীর আলোচনার বিষয়টি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত বিষয়টি শিক্ষার্থীদের বোঝানোর ক্ষেত্রে ইমরান চৌধুরীর ব্যবহৃত মাধ্যমটির প্রকারভেদ আলোচনা কর। ৪

১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক বা ই-বই হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ।

খ. কোনো তথ্য আধেয় বা কনটেন্ট যদি ডিজিটাল উপাত্ত আকারে বিরাজ করে, প্রকাশিত হয় কিংবা প্রেরিত-গৃহীত হয় তাহলে সেটাই ডিজিটাল কনটেন্ট। তবে সেটি ডিজিটাল বা এনালগ যেকোনো পদ্ধতিতেই সংরক্ষিত হতে পারে। ডিজিটাল কনটেন্ট কম্পিউটারের ফাইল আকারে অথবা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সম্প্রচারিত হতে পারে। লিখিত তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও সব ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট হতে পারে।

গ. ক্লাসে ইমরান চৌধুরীর আলোচনার বিষয়টি হলো এনিমেশন। এটি এক ধরনের ডিজিটাল কনটেন্ট। এনিমেশন বলতে আমরা কোনো স্থির চিত্রের চলমান রূপকে বুঝি। যেমন-টেলিভিশনে আমরা যে কার্টুন দেখি সেগুলো এনিমেশন। নিচে দৈনন্দিন জীবনে এনিমেশনের ব্যবহার বর্ণনা করা হলো :
১. শিক্ষাক্ষেত্রে যেকোনো বিষয় শিক্ষার্থীর নিকট চিত্র আকারে তুলে ধরার জন্য এনিমেশন এর ব্যবহার করা হয়।
২. চিকিৎসাক্ষেত্রে মানুষের দেহের অঙ্গ-প্রতঙ্গের কার্যক্রম দৃশ্যমান আকারে তুলে ধরার জন্য এনিমেশন ব্যবহার করা হয়।
৩. কোনো স্থাপনার নকশা তৈরির জন্য এনিমেশন ব্যবহার করা হয়।
৪. যান্ত্রিক বিষয়ের খুঁটিনাটি তুলে ধরার জন্য এবং কোনো যন্ত্রের কার্যক্রম চলমান চিত্র আকারে তুলে ধরার জন্য এনিমেশন ব্যবহার করা হয়।
৫. মানুষদের কোনো কার্যক্রম সম্পর্কে ভিডিও আকারে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এনিমেশন ব্যবহার করে তা ব্যাখ্যা করা হয়।

ঘ. ইমরান চৌধুরী নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এনিমেশন বোঝাতে ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করেছেন। ডিজিটাল কনটেন্ট হলো ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো তথ্য, ছবি, শব্দ। ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের যেকোনো বিষয় খুব সহজেই বোঝানো যায়। এজন্যই ইমরান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের এনিমেশন বোঝাতে ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যবহার করেছেন। এই মাধ্যমের কনটেন্টগুলোকে নানাভাবে শ্রেণিকরণ করা যায়। তবে ডিজিটাল কনটেন্ট প্রধানত চার প্রকার। নিচে এই চার প্রকার ডিজিটাল কনটেন্টের বর্ণনা দেয়া হলো :
টেক্সট বা লিখিত কনটেন্ট : ডিজিটাল মাধ্যমে এখনও লিখিত তথ্যের পরিমাণই বেশি। সব ধরনের লিখিত তথ্য ধারার কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে নিবন্ধ, বøগ পোস্ট, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, ই-বুক সংবাদপত্র ও শ্বেতপত্র ইত্যাদি।
ছবি : সব ধরনের ছবি, ক্যামেরায় তোলা বা হাতে আঁকা বা কম্পিউটারে সৃষ্ট সকল ধরনের ছবি এই ধারার কনটেন্ট। এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কনকরণ, কার্টুন, ইনফো-গ্রাফিক্স ও এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি।
ভিডিও ও এনিমেশন : বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে। ইউটিউব বা এ ধরনের ভিডিও শেয়ারিং সাইটের কারণে ইন্টারনেটে ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া বর্তমানে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হয়ে থাকে। এটাকে বলা হয় ভিডিও স্ট্রিমিং। এমন কনটেন্ট ও ভিডিও কনটেন্টের আওতাভুক্ত।
শব্দ ও অডিও : শব্দ ও অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এই প্রকারের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো বিষয়ে অডিও ফাইলই অডিও কনটেন্ট-এর পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচলিত ব্রডকাস্ট এবং ওয়েবিনারো অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিফাত তার মামার সাথে একুশে বই মেলায় বেড়াতে এসেছে। সেখানে বিভিন্ন স্টল ঘুরে সে দেখতে পেল স্টলগুলোতে সাধারণ বই এর পাশাপাশি অনেক স্টলে ই-বুকও পাওয়া যাচ্ছে। ছোটদের জন্য ছড়াগুলো ভিডিও ও এনিমেশন আকারে তৈরি করা হয়েছে। রিফাতের মামা, রিফাতকে তিনটি ই-বুক কিনে দিলেন। রিফাত খুব খুশি হলো এবং ভাবল ই-বুকের ব্যাপারে সে পাঠ্যবইয়ে পড়েছে আজ নিজের জন্য কিনল। সে স্কুলে তার বন্ধুদের দেখাতে পারবে এবং এখন সে তার কম্পিউটার ব্যবহার করে বইগুলো পড়তে পারবে।
ক. প্রচলিত রিডারের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে জনপ্রিয়? ১
খ. ভিডিও স্ট্রিমিং বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রিফাত মামার কাছ থেকে যে উপহারটি পেল তার প্রকারভেদ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রিফাতের উপহারে ব্যবহৃত প্রযুক্তি আমাদের দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম -বিশ্লেষণ কর। ৪

২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রচলিত রিডারের মধ্যে অ্যামাজন ডটকমের কিন্ডল সবচেয়ে জনপ্রিয়।

খ. ভিডিও স্ট্রিমিং হচ্ছে ইন্টারনেটে কোনো ঘটনার ভিডিও সরাসরি প্রচারিত হওয়া। অর্থাৎ আমরা যখন কোনো ভিডিও ইন্টারনেট থেকে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সেভ না করে সরাসরি দেখি সেই ভিডিওকে আমরা ভিডিও স্ট্রিমিং বলে থাকি। সাধারণত ভিডিও স্ট্রিমিং এর মাধ্যমে সরাসরি কোনো ঘটনার ভিডিও দেখার জন্য উচ্চ গতির ইন্টারনেট প্রয়োজন।

গ. রিফাত তার মামার কাছ থেকে তিনটি ই-বুক উপহার পেয়েছে। ই-বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ। এই ধরনের বইগুলো ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় বলে এতে শব্দ, এনিমেশন ইত্যাদি জুড়ে দেয়া যায়। তাই শিক্ষার্থীদের কাছে এই বইগুলো মুদ্রিত বইয়ের তুলনায় অনেক বেশি আকর্ষণীয়। রিফাত তার মামার কাছ থেকে এ ধরনের তিনটি আকর্ষণীয় বই পেয়ে তাই খুবই আনন্দিত। সাধারণভাবে এই বইগুলোকে নিম্নোক্ত পাঁচটি ভাগে ভাগ করা যায়-
১. মুদ্রিত বইয়ের হুবহু প্রতিলিপি। এই ধরনের ই-বুকগুলো মূলত মুদ্রিত বই যেমন, তেমনটি হয়ে থাকে। সচরাচর পিডিএফ ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়ে থাকে।
২. এই বইগুলো কেবল অনলাইনে তথা ইন্টারনেটে পড়া যায়। সচরাচর এইচটিএমএল এ প্রকাশিত এই বইগুলোকে বই এর ওয়েবসাইট বলা হয়।
৩. মুদ্রিত বই এর মতো কিন্তু কিছুটা বাড়তি সুবিধাসহ ই-বুক। এগুলো বই এর কনটেন্ট ছাড়াও পাঠকের নিজের নোট লেখা, শব্দের অর্থ জানা ইত্যাদি সুবিধা থাকে। এগুলোর বেশির ভাগই ই-পাব (E-PUB) ফরম্যাটে প্রকাশিত হয়।
৪. চৌকস ই-বুক। এই ধরনের বইয়ে লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও/ভিডিও/এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকে। এগুলোর কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়াতে সমৃদ্ধ।
৫. ই-বুকের অ্যাপস। এক্ষেত্রে ই-বুকটি নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইলে পড়া যায়।

ঘ. রিফাত তার মামার সাথে একুশে বই মেলায় বেড়াতে গিয়ে মামার কাছ থেকে তিনটি ই-বুক উপহার পেয়েছে। এই ধরনের বই তৈরিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নানা ধরনের ছোট-বড় অসংখ্য সমস্যা বিদ্যমান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ সমস্যাগুলোর অনেকটাই সমাধান করে শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে উঠবে। তখন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সংযোগসহ কম্পিউটার থাকবে। তাদের সঙ্গে করে বই পুস্তক আনতে হবে না। তারা চাইলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তাদের বয়সী শিক্ষার্থীরা কী শিখছে তা দেখতে ও শিখতে পারবে। ঘরে বসেই তারা যেকোনো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবে। অনলাইনে পরীক্ষা দিয়ে উচ্চ শিক্ষার সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারবে। অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থা কোনো দেশের ভৌগোলিক সীমার মধ্যে আবদ্ধ থাকবে না। একজন শিক্ষক তার জ্ঞানের আলো সারাবিশ্বের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবে। শিক্ষার্থীরা তার যেকোনো বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের সাহায্যে বিভিন্ন গ্রুপ, ক্লাব, বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনার সুযোগ পাবে। তখন তাদের শিক্ষা গ্রহণের উৎস শুধু বই এবং শিক্ষকের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তারা শিখবে সারাবিশ্বের অসংখ্য উপকরণ ব্যবহার করে। ফলে তাদের জ্ঞানের পরিধি অনেক বেড়ে যাবে। তাই আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় রিফাতের উপহারে ব্যবহৃত প্রযুক্তিটি অর্থাৎ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য সরকারসহ সর্বস্তরের মানুষকে উদ্যোগী হতে হবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ইসরাত জাহান একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তিনি বাংলাদেশের একটি নামকরা সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি এদেশের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিষয়ে ধারণা দেওয়ার জন্য একটি ই-বুক তৈরি করলেন। ই-বুকটির কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ। এখানে তিনি তার ই-বুকটিতে শিক্ষার্থীদের জন্য কুইজে অংশগ্রহণ করার, কুইজের উত্তর করার এবং কুইজের সঠিক উত্তর যাচাই করার ব্যবস্থা রেখেছেন।
ক. পিডিএফ এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. ফ্রিল্যান্সিং বলতে কী বোঝায়? ২
গ. শিক্ষাক্ষেত্রে ইসরাত জাহানের তৈরিকৃত ই-বুকের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা কীভাবে উক্ত ই-বুক ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারে-বিশ্লেষণ কর। ৪

৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পিডিএফ এর পূর্ণরূপ হলো পোর্টেবল ডকুমেন্ট ফরম্যাট।

খ. ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর ভালো ভালো কোম্পানি তাদের নিজেদের দেশের কর্মীদের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ দেয়। তবে এ ধরনের কাজ করার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আর যোগাযোগের জন্য ইংরেজি ভাষায় ভালো দক্ষতা থাকলেই চলে।

গ. ইসরাত জাহানের তৈরিকৃত ই-বুকটি হলো চৌকস ই-বুক। কেননা তার তৈরি ই-বুকটি মাল্টিমিডিয়া সমৃদ্ধ এবং এতে কুইজে অংশগ্রহণ, উত্তর করা এবং উত্তর যাচাই করার ব্যবস্থা আছে। এ ধরনের ই-বুককে স্মার্ট-ই-বুকও বলা হয়। এই বইগুলোতে লিখিত অংশ ছাড়াও অডিও/ভিডিও/এনিমেশন সংযুক্ত থাকে। নিচে শিক্ষাক্ষেত্রে এ ধরনের ই-বুকের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করা হলো :
১. স্মার্ট ই-বুকে অডিও/ ভিডিও/ এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকার কারণে যেকোনো বিষয় শিক্ষার্থীদের নিকট অত্যন্ত সহজ ভাবে উপস্থাপন করা যায়।
২. স্মার্ট ই-বুকের কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়াতে সমৃদ্ধ। অপেক্ষাকৃত কঠিন বিষয়বস্তু মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করলে শিক্ষার্থীরা তাদের ইন্দ্রিয়, শ্রবণ এবং দৃষ্টিশক্তি একসাথে কাজে লাগাতে পারছে। ফলে যেকোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা অনেক দ্রুত জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
৩. স্মার্ট ই-বুকে কুইজের ব্যবস্থা থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা কোনো বিষয় আয়ত্ত করার পর কুইজের উত্তর করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া উত্তর সঠিক হয়েছে কিনা তাও ই-বুক থেকেই জানতে পারছে। ফলে নিজের যোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে।
ঘ. ইসরাত জাহান এদেশের শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বিষয়ে ধারণা দেওয়ার জন্য একটি ই-বুক তৈরি করেছেন। যেহেতু এটি একটি ডিজিটাল কনটেন্ট তাই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরাও এটি ব্যবহার করতে পারবে। এই ই-বুকটি ব্যবহার করে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা যেভাবে উপকৃত হতে পারে তা নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
১. স্মার্ট ই-বুকে অডিও / ভিডিও/এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকার কারণে যেকোনো বিষয় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিকট অত্যন্ত সহজভাবে উপস্থাপন করা যায়।
২. স্মাট ই-বুকে অডিও/ভিডিও/এনিমেশন ইত্যাদি সংযুক্ত থাকার কারণে মূল বইয়ের যেকোনো বিষয় হুবহু অডিও আকারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের নিকট উপস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে।
৩. স্মার্ট ই-বুকের কনটেন্ট মাল্টিমিডিয়াতে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে অপেক্ষাকৃত কঠিন বিষয়বস্তু মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে উপস্থাপন করলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা তাদের ইন্দ্রিয় ও শ্রবণশক্তি একসাথে কাজে লাগাতে পারছে। ফলে যেকোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে তারা অনেক দ্রুত জ্ঞান অর্জন করতে পারছে।
৪. স্মার্ট ই-বুকে কুইজের ব্যবস্থা থাকার কারণে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীরা কোনো বিষয় আয়ত্ত করার পর শ্রবণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে কুইজের উত্তর করার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া উত্তর সঠিক হয়েছে কিনা তাও স্মার্ট ই-বুক থেকেই জানতে পারছে। ফলে নিজের যোগ্যতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
প্রশ্ন -৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জেলা প্রশাসন আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলায় রিপন তার বন্ধুদের সাথে বেড়াতে এসেছে। মেলায় তারা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট পিসি প্রভৃতি দেখতে পেল। অনেক স্টলে এগুলোর সাথে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়ে দর্শনার্থীদের ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে। মেলায় মূল মঞ্চে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আইসিটির ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। শিক্ষায় ইন্টারনেটের ব্যবহারের বিষয়টি আলোচনার সময় একজন বক্তার কথা রিপন লক্ষ করল। তিনি বললেন, “শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে এই ইন্টারনেট সংযোগটি অনেক সাশ্রয়ী খরচে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে হবে।” তার আলোচনা থেকে রিপন বুঝতে পারল ইন্টারনেটে শিক্ষার একটি বিশাল জগৎ এখনো অনাবিষ্কৃত। যখন এটা আবিষ্কার হবে তখন সম্পর্ণ নতুন একটি জগৎ আমাদের সামনে হাজির হবে।
ক. ফ্রিল্যান্সের কাজ করার জন্য কী প্রয়োজন হয়? ১
খ. ই-বুক বলতে কী বোঝায়? ২
গ. মেলায় আলোচকদের আলোচনা থেকে রিপন কোন বিষয়টি বুঝতে পারলেন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. মেলায় আলোচকের বক্তব্যটি বিশ্লেষণ কর। ৪

৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ফ্রিল্যান্সের কাজ করার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।

খ. ই-বুক বা ইলেকট্রনিক বুক হলো মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক রূপ। যেহেতু এটি ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত হয় সে কারণে এতে শব্দ, অ্যানিমেশন ইত্যাদি জুড়ে দেওয়া যায়। অবশ্য এখন অনেক ই-বুক কেবল ই-বুক আকারে প্রকাশিত হয়। এই বইগুলোর মুদ্রিত রূপ থাকে না। ফলে এখন অনেকেই ই-বুককে মুদ্রিত বইয়ের ইলেকট্রনিক সংরক্ষক বলতে নারাজ। এ ধরনের বই কেবল কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা বিশেষ ধরনের রিডার ব্যবহার করে পড়া যায়।

গ. রিপন তার বন্ধুদের সাথে জেলা প্রশাসন আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলায় বেড়াতে গিয়ে সেখানকার আলোচকদের আলোচনা থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা বুঝতে পারল। বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের কমবেশি ব্যবহার রয়েছে। তবে শিক্ষাক্ষেত্রে এর ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়।
এই মুহূর্তে শিক্ষণীয় অনেক বিষয় ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। কোনো ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করতে করতে কোনো একটি বিষয় বুঝতে না পারলে সে ইন্টারনেটে অনুসন্ধান করলে উত্তরটি পেয়ে যাবে তা মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলা যায়। একজন ছাত্রছাত্রী কোনো নির্দিষ্ট বিষয় শিখতে চাইলে ইন্টারনেট থেকে খুব সহজেই তা বের করে নিতে পারে। গণিতের চমৎকার সাইট রয়েছে যেখান থেকে গণিতের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানের পরীক্ষা হাতে কলমে দেয়ার জন্য সাইট রয়েছে। উৎসাহী মানুষেরা নানা বিষয়ে গ্রুপ তৈরি করে রেখেছে, তাদের যেকোনো প্রশ্ন দেওয়া হলে তারা উত্তর দিতে পারেন। তাই শিক্ষাক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
মোটকথা ইন্টারনেট শিক্ষার একটি বিশাল জগৎ এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। যখন আমরা সেটা আবিষ্কার করতে শুরু করব তখন সম্পূর্ণ নতুন একটি জগৎ আমাদের সামনে হাজির হবে।

ঘ. রিপন বন্ধুদের সাথে জেলা প্রশাসনের আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলায় বেড়াতে যায়। সেখানে মূল মঞ্চে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে আইসিটির ভূমিকা বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনায় রিপন একজন আলোচককে বলতে শুনেন শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। যা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত। কেননা ইন্টারনেট সারা পৃথিবীতে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। জীবনের অন্য সকল ক্ষেত্রের মতো সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা তাদের লেখাপড়ায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানাভাবে উপকৃত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীই এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কারণ ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সবার প্রথমে একটি কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপ দরকার। এগুলো খরচ সাপেক্ষ এবং আমাদের সবার জন্য এটি ধরাছোঁয়ার ভেতরে নেই। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার উপযোগী কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট কিংবা স্মার্টফোন হাতে চলে এলেই কিন্তু আমরা শিক্ষায় ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করতে পারি না। তারপর প্রয়োজন হয় ইন্টারনেট সংযোগ। দেশের সব জায়গায় সমানভাবে ইন্টারনেট সংযোগ নেই। তাই সবাই সমানভাবে ইন্টারনেট স্পিড পায় না এবং ইন্টারনেটের স্পিড কম হলে সেটি ব্যবহার করা অনেক সময়ই অর্থহীন হয়ে যায়। আবার ভালো স্পিডের ইন্টারনেট পেতে হলে যে পরিমাণ টাকা খরচ করতে হয় সেটি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে বাইরে। কাজেই শিক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হলে আমাদেরকে এই ইন্টারনেট সংযোগটি অনেক সাশ্রয়ী খরচে ছাত্রছাত্রীদের হাতে তুলে দিতে হবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
পিয়াংকার খুব মন খারাপ। কারণ সে আজ তার বাংলা বইটি হারিয়ে ফেলেছে। বইটি পিয়াংকার খুব পছন্দের ছিল। তাছাড়া দুদিন পড়েই তার বাংলা সিটি পরীক্ষা। কিন্তু পিয়াংকার বাবা পিয়াংকার এই সমস্যায় মোটেও চিন্তিত হলেন না। তিনি NCTB-এর ওয়েবসাইট থেকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইটি ডাউনলোড করে প্রিন্টারের সাহায্যে প্রিন্ট করে পিয়াংকাকে একটি নতুন বাংলা বই বানিয়ে দিলেন।
ক. ক্যারিয়ার হিসেবে কোনটির সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল? ১
খ. ই-লার্নিং বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে পিয়াংকার বাবার ব্যবহৃত মাধ্যমটির ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত মাধ্যমটি যোগাযোগের দ্বার উম্মোচন করেছে-বিশ্লেষণ কর। ৪

৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ক্যারিয়ার হিসেবে আইসিটির সম্ভাবনা অনেক উজ্জ্বল।

খ. ই-লার্নিং হচ্ছে এক ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি। উক্ত শিক্ষা পদ্ধতিতে রেডিও, টেলিভিশন, সিডি রম, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট ইত্যাদি মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই শিক্ষা পদ্ধতিকে আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

গ. পিয়াংকার বাবার ব্যবহৃত মাধ্যমটি হলো ইন্টারনেট। পিয়াংকা তার বাংলা বই হারিয়ে ফেলে। এতে তার মন খারাপ হয়। তখন তার বাবা NCTB-এর ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পিয়াংকাকে একটি বাংলা বই বানিয়ে দেয়। NCTB-এর ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করতে সে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। পিয়াংকার সমস্যার মতো এমন হাজারো সমস্যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। শুধু সমস্যা সমাধান নয় শিক্ষা, বিনোদন, যোগাযোগ ইত্যাদি সকল ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। নিচে দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের ভূমিকা ব্যাখ্যা করা হলো :
১. দৈনন্দিন সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হলো তথ্য। আর ইন্টারনেট হলো তথ্যের ভাণ্ডার।
২. শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে নানা ধরনের বই, পাঠ্যবই ডাউনলোড করতে পারে।
৩. ইন্টারনেটের মাধ্যমে ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কাটার সুবিধা পাওয়া যায়।
৪. ইন্টারনেট ব্যবহার করে ই-কমার্স-এর মাধ্যমে পণ্য কেনাবেচা করা যায়।
৫. শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ইন্টারনেটের সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে পায়।
৬. সামাজিক ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সামাজিকতা রক্ষা করা যায়।
৭. কাউকে চিঠি বা কোনো ডকুমেন্ট পাঠাবার জন্য ব্যবহার করা হয় ই-মেইল। যা ইন্টারনেটের সাহায্যে ব্যবহার করা হয়।
৮. বিভিন্ন দরকারি ডকুমেন্ট, দলিল, ফাইল, নথি ইত্যাদি ইন্টারনেট হতে পাওয়া যায়। ফলে যেকোনো ধরনের জিজ্ঞাসা বা প্রমাণ পাওয়া যায়।
উল্লিখিত আলোচনা হতে বোঝা যায় ইন্টারনেট আমাদের জীবনযাত্রার মানকে যেমন অগ্রসর করে, তেমনি সমস্যা সমাধানেও সহায়তা করে।

ঘ. উদ্দীপকে পিয়াংকার বাবা পিয়াংকার বই হারানোর সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। এই মাধ্যমটি আমাদের যোগাযোগের দ্বার উম্মোচন করেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে ই-মেইল করে যেকোনো তথ্য মুহূর্তের মধ্যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে অথবা একই দেশের মধ্যে পাঠানো যায়। শুধু লেখা বা কথা নয়; শব্দ, বর্ণ, চিত্র, ভিডিও সবকিছুই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সহজে পাঠানো যায়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে শেয়ার বেচাকেনাসহ অনলাইনে গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক জিনিস নিমিষেই কেনাকাটা করা সম্ভব হচ্ছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে এখন ঘরে বসে বাস, ট্রেন ও বিমানের টিকিট বুকিং দেওয়া যায়। ফলে সময় ও অর্থ অপচয় কম হয়। এছাড়াও ইন্টারনেট ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে একস্থানে বসে বিভিন্ন দেশ ও জায়গার মানুষের সাথে মিটিং বা যেকোনো প্রয়োজনীয় আলাপ করা যায়। ফলে হেড অফিসে বসেই সাব অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে মিটিং করা যায়। এতে সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হয়।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
প্রশ্ন -৬ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তৌফিকা জয়দেবপুর মডেল হাই স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। গণিত তার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়। সে বিভিন্ন ধরনের গণিত প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। তাছাড়া সে তার স্কুলের গণিত ক্লাবের একজন নিয়মিত সদস্য। তার এক বান্ধবী লাবনী বিদেশ থেকে তাদের গণিত ক্লাবে অংশগ্রহণ করতে চাইলে ক্লাবের সবাই একটি বিশেষ মাধ্যম ব্যবহার করে তাকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিল।
ক. তথ্য প্রযুক্তির প্রধান উপকরণ কোনটি? ১
খ. ই-বুকের অ্যাপস বলতে কী বোঝায়? ২
গ. তৌফিকার ক্লাবের অবকাঠামোগত সুবিধাগুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. তৌফিকাদের তৈরিকৃত ক্লাবের জন্য তাদের ব্যবহৃত বিশেষ মাধ্যমটির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. তথ্য প্রযুক্তির প্রধান উপকরণ হলো কম্পিউটার।

খ. ই-বুকের অ্যাপস হচ্ছে একটি সফটওয়্যার যেখানে ই-বুক নিজেই একটি অ্যাপস আকারে প্রকাশিত হয়। যেকোনো ই-বুকের অ্যাপস ডাউনলোড করে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে পড়া যায়। তবে মুদ্রিত বইয়ের মতো ই-বুকও কপিরাইটের আওতায় প্রকাশিত হয়ে থাকে।

গ. তৌফিকার বান্ধবী লাবনী বিদেশ থেকে তাদের ক্লাবে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে। এ থেকে বোঝা যায় তাদের ক্লাবে উন্নতমানের হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং ইন্টারনেট সুবিধা আছে। আর এ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে প্রয়োজন আর্থিক সচ্ছলতা ও অবকাঠামোগত সুবিধা। কারণ তৌফিকার বান্ধবী লাবনী বিদেশ থেকে তাদের ক্লাবে অংশ নিতে ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য সবার প্রথমে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ প্রয়োজন। এ ধরনের আইসিটি যন্ত্রগুলো পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে। তাই তৌফিকাদের ক্লাবের কম্পিউটারগুলোতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করতে হয়েছে। আর এসব করার জন্য তাদের একটা বড় অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে। তাই বলা যায়, তৌফিকাদের গণিত ক্লাবটিতে আইসিটি প্রযুক্তি ব্যবহারের মতো অবকাঠামোগত সুবিধা এবং আর্থিক সচ্ছলতা আছে।

ঘ. তৌফিকাদের ব্যবহৃত বিশেষ মাধ্যমটি হচ্ছে ইন্টারনেট। তৌফিকাদের তৈরিকৃত ক্লাবের জন্য উক্ত মাধ্যমটির গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ আমাদের দেশের শিক্ষার্র্থীরা আরও বেশি জানতে ও শিখতে চায়। সেজন্য সব স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের শখের বিষয় যেমন: বিজ্ঞান, গণিত, শারীরিক শিক্ষা কিংবা সাহিত্যের ক্লাব তৈরি করে। এই ক্লাবগুলোতে একসময় শুধু শারীরিকভাবে উপস্থিত ছেলেমেয়েরাই অংশ নিতে পারত। কিন্তু ইন্টারনেট হওয়ার কারণে বিষয়টা এখন পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে গেছে। এখন সারা দেশের এমনকি সারা পৃথিবীর ছেলেমেয়েরা শারীরিকভাবে উপস্থিত না হয়েও এই ক্লাবগুলোতে অংশ নিতে পারে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-03
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০৩
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
প্রশ্ন -৭ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
শিমুল ও রোহান ভালো বন্ধু। ছোটবেলা থেকে তারা একসাথে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করেছে। বিএ পাস করার পর শিমুল সফটওয়্যার বিষয়ে পড়াশোনা করে আইসিটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে। বর্তমানে সে বাসায় বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ করে অনেক টাকা আয় করছে। কিন্তু রোহান এখনও বেকার। সে শিমুলের কাছে পরামর্শ চাইলে শিমুল তাকে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ দেয়।
ক. ভারতের ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি ট্যাবলেটের নাম কী? ১
খ. আইসিটি সম্পর্কিত কয়েকটি ক্যারিয়ারের নাম লেখ। ২
গ. শিমুলের টাকা উপার্জনের পদ্ধতিটি বর্ণনা কর। ৩
ঘ. রোহানের যে বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন দৈনন্দিন জীবনে তার প্রয়োজনীয়তা বিশ্লেষণ কর। ৪
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যায়-০৩ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC ICT Chapter-3 Srijonshil Question and Answer
৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ভারতের ছাত্রছাত্রীদের জন্য তৈরি ট্যাবলেটের নাম আকাশ।

খ. আইসিটি সম্পর্কিত ক্যারিয়ার হলো-কম্পিউটার সায়েন্স, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, অফিস অটোমেশন সিস্টেম ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, রোবোটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মোবাইল কমিউনিকেশন, ডেটা কমিউনিকেশন ইত্যাদি।

গ. শিমুলের টাকা উপার্জন করার পদ্ধতিটি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উন্নত দেশগুলোর ভালো ভালো কোম্পানি তাদের নিজেদের দেশের কর্মীদের দুষ্প্রাপ্যতার কারণে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের কর্মীদের ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ দেয়। ফলে অফিসে না গিয়েই কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সের কাজ করার জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন হয়।
ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে নিজেকে প্রমাণ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। ফলে বাংলাদেশে পড়াশোনা করে সরাসরি বিশ্বের নামকরা অনেক সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান যেমন : মাইক্রোসফট, গুগল, ফেসবুক ইত্যাদি কোম্পানিতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশের অনেক দক্ষ কর্মী ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে আমেরিকা, কানাডা, ব্রিটেনের মতো দেশগুলোর বড় বড় কোম্পানিতে কাজ করছে। উদ্দীপকের শিমুল বিএ পাস করার পর সফটওয়্যার নিয়ে পড়াশোনা করে আইসিটিতে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছে। তাই এখন সে ঘরে বসেই ফ্রিল্যান্সিং পদ্ধতিতে বিদেশি কোম্পানিতে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারছে।

ঘ. উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী রোহানের আইসিটি বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে সারাবিশ্বে আইসিটির সর্বমুখী ব্যবহারের কারণে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে যোগ দেওয়া কিংবা নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান তৈরি উভয় ক্ষেত্রে আইসিটিকে এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। কারণ ভবিষ্যতে আইসিটির উপাদান যেমন : কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ই-মেইল, অফিস সফটওয়্যার, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে প্রাথমিক দক্ষতা না থাকলে চাকরি পাওয়া খুব কঠিন হবে।
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটা আইসিটিনির্ভর হয়ে গেছে। কারণ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠের গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা পাঠের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয় সম্বন্ধে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি, উপাদান ও উপকরণ সংগ্রহ করতে পারে, ইন্টারনেটের ছাত্রীরা নিজেদের ঘরে বসেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিভিন্ন দেশের বড় বড় লাইব্রেরিতে প্রবেশ করে সেখানকার মূল্যবান বইপত্র সংগ্রহ ও অধ্যয়ন করতে পারে। আজকাল অনলাইনে ঘরে বসেই বিশ্বের নামিদামি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে। ছাত্রছাত্রীরা শ্রেণিকক্ষে না গিয়ে বাসায় বসেই ইন্টারনেটে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ক্লাসে অংশ নিতে পারছে।
আইসিটির ব্যবহারের কারণে সারা বিশ্ব হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, গবেষণাসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে আইসিটির ব্যবহার ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post