SSC তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায়-০২

৯ম-১০ম শ্রেণির আইসিটি গাইড
এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২

Class 9-10 ict Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology Chapter-06
ICT Srijonshil
Question and Answer pdf download

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

কম্পিউটার ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীর নিরাপত্তা

সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জাফর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর তার বাবা তাকে একটি কোরআই ফাইভ প্রসেসরযুক্ত ল্যাপটপ কিনে দিলেন। ল্যাপটপটির গতি দেখে সে খুবই মুগ্ধ। সে কয়েক দিনের মধ্যেই অনেক সফটওয়্যার ইনস্টল করে ফেলল। কিন্তু মাস তিনেক যাবার পর ল্যাপটপটির প্রতি তার যে মুগ্ধতা ছিল তা কেটে গিয়ে সেখানে বিরক্তি ভিড় করল। সে তার বাবাকে আরেকটি ল্যাপটপ কিনে দিতে বলল।
ক. কে ভাইরাসের নামকরণ করেছেন? ১
খ. সফটওয়্যার ডিলিট বলতে কী বোঝায়? ২
গ. জাফরের বিরক্তির কারণ ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. জাফরের সমস্যা সমাধানে সফটওয়্যারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর। ৪

১নং প্রশ্নের সমাধান
ক. অধ্যাপক ফ্রেড কোহেন ভাইরাসের নামকরণ করেছেন।

খ. ডিলিট অর্থ মুছে ফেলা। মূলত সফটওয়্যার আনইনস্টল করার মাধ্যমে আমরা আমাদের আইসিটি যন্ত্র থেকে যেকোনো ইনস্টল করা সফটওয়্যার মুছে ফেলতে পারি। কিন্তু সেক্ষেত্রে আনইনস্টল করা সফটওয়্যারটির কিছু অংশ অপারেটিং সিস্টেমের রেজিস্ট্রি ফাইলে থেকে যায়। তাই আইসিটি যন্ত্র থেকে কোনো সফটওয়্যার আনইনস্টল করার পর তাকে নিয়ম অনুযায়ী ডিলিট করতে হয়। এতে আনইনস্টল করা সফটওয়ারটি আইসিটি যন্ত্র থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যায়।

গ. জাফরের বিরক্তির কারণ তার ল্যাপটপের গতি হ্রাস। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রসেসর ও সফটওয়্যারনির্ভর যন্ত্রই হলো মূল যন্ত্র। এই যন্ত্রটি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ বা ট্যাবলেট যা-ই হোক না কেন নতুন অবস্থায় খুব ভালো বা দ্রুত গতিতে কাজ করে। কিন্তু কিছু দিন ব্যবহার করার পর এটি ক্রমশ ধীর হয়ে আসে। অর্থাৎ পুরনো হলে আইসিটি যন্ত্রের গতি কমে যায়। তখন কোনো একটা কমান্ড দিয়ে ব্যবহারকারীকে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। এ অবস্থা ব্যবহারকারীর মনে বিরক্তি সৃষ্টি করে। উদ্দীপকে জাফর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবার পর তার বাবা একটি কোরআই ফাইভ ল্যাপটপ কিনে দেয়। নতুন অবস্থায় ল্যাপটপটির গতি এত বেশি ছিল যে জাফর তাতে মুগ্ধ ছিল। কিন্তু মাস তিনেক পরে তার সে মুগ্ধতা কেটে যায়। সেখানে বিরক্তি ভিড় করে। যেহেতু তার মুগ্ধতার মূল কারণ ছিল ল্যাপটপটির দ্রুতগতি সেহেতু তার বিরক্তির কারণ হলো ল্যাপটপটির গতি হ্রাস। অর্থাৎ পুরনো হওয়ার সাথে সাথে ল্যাপটপটির গতি হ্রাস পেয়েছে। তাই বলা যায়, ল্যাপটপের গতি হ্রাসই জাফরের বিরক্তির কারণ।

ঘ. জাফরের সমস্যা সমাধানে সফটওয়্যারের গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা জাফরের মূল সমস্যা হলো তার ল্যাপটপে গতি হ্রাস। ল্যাপটপ একটি আইসিটি যন্ত্র। এ ধরনের যন্ত্র নতুন অবস্থায় খুব ভালো বা দ্রুত গতিতে কাজ করলেও যত দিন যায় ততই এর গতি ধীর হয়ে আসে। তাই আইসিটি যন্ত্রের গতি বজায় রাখার জন্য এর সফটওয়্যারভিত্তিক রক্ষণাবেক্ষণ একান্ত আবশ্যক। নিচে ল্যাপটপের গতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সফটওয়্যারের গুরুত্ব বিশ্লেষণ করা হলো :
◈ জাফর যদি তার ল্যাপটপে মাইক্রোসফট কোম্পানির উইনডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে তাহলে তাকে তার অপারেটিং সিস্টেমটি সবসময় আপডেট রাখতে হবে। ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকলে এই আপডেটগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে।

◈ ল্যাপটপটিকে সচল ও গতিশীল রাখার জন্য তাকে মাঝে মাঝে রেজিস্ট্রি ক্লিনআপ ব্যবহার করতে হবে। যদি সে তা না করে তাহলে তার আইসিটি যন্ত্রটি ঠিকভাবে কাজ করবে না এবং তার জন্য তা বিরক্তির কারণ হবে।

◈ প্রত্যেকবার ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় কিছু টেম্পোরারি ফাইল তৈরি হয়। এই ফাইলগুলো হার্ডডিস্কের অনেকটা জায়গা দখল করে এবং ল্যাপটপের গতি ধীর করে দেয়। সেজন্য জাফরকে সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে দিতে হবে। এতে হার্ডডিস্কের বেশ খানিকটা জায়গা খালি হবে এবং ল্যাপটপের কাজ করার গতিও অনেকটা বেড়ে যাবে।

◈ ইন্টারনেট ব্যবহার করলে ইন্টারনেট ব্রাউজারের ক্যাশ মেমোরিতে অনেক কুকিজ ও টেম্পোরারি ফাইল জমা হয়। এতে আইসিটি যন্ত্রটি ধীর হয়ে যায়। এজন্য প্রতিদিন সম্ভব না হলেও জাফরকে কিছুদিন পরপর সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কার করতে হয়।

◈ ল্যাপটপ ভাইরাস আক্রান্ত হলেও এর কাজের গতি কমে যায়। তাই জাফরকে সবসময় তার ল্যাপটপে আপডেট এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

◈ ল্যাপটপে কাজের গতি বজায় রাখার জন্য তাকে ডিস্ক ক্লিনআপ ও ডিস্ক ডিফ্র্যাগমেন্টার ব্যবহার করতে হবে। এই সফটওয়্যার দুটো হার্ডডিস্কের জায়গা খালি করে এমন ফাইলগুলো এমনভাবে সাজায় যাতে ল্যাপটপটি তার গতি বজায় রেখে কাজ করতে পারে।

উপরে উল্লিখিত সফটওয়্যার ভিত্তিতে রক্ষণাবেক্ষণের প্রতি গুরুত্ব দিলে জাফর খুব সহজেই তার সমস্যা সমাধান করতে পারবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নবম শ্রেণিতে ওঠার পর ইরার ছোট চাচা তার কম্পিউটারটি ইরাকে দিয়ে দিলেন। ইরা কম্পিউটারটি পেয়ে খুব খুশি হলো। কিন্তু কম্পিউটারটি ব্যবহার করতে গিয়ে সে খুব বিরক্তবোধ করল। কারণ কম্পিউটারটি গতি খুবই কম। একটা কমান্ড দিয়ে তাকে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে। সে বিষয়টি তার ছোট চাচাকে জানালো তিনি কম্পিউটার থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করে দেন। এতে কম্পিউটারের গতি অনেক বেড়ে যায়।
ক. ভাইরাসের প্রতিষেধক কী? ১
খ. আসক্তি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. ইরার সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত প্রক্রিয়ার সাথে ডিলিট প্রক্রিয়ার তুলনামূলক আলোচনা কর। ৪

২নং প্রশ্নের সমাধান
ক. ভাইরাসের প্রতিষেধক হলো এন্টিভাইরাস।

খ. আসক্তি বলতে বোঝানো হয় যখন কেউ জানে কাজটি করা ঠিক হচ্ছে না। তারপরও সেই কাজটি না করে থাকতে পারে না। মাদকের জন্য এটি যেমন হতে পারে ঠিক সেরকম কম্পিউটার এবং ইন্টারনেটের ক্ষেত্রেও সেটি হতে পারে। মাদক যে রকম জীবনের জন্য ক্ষতিকর, বাড়াবাড়ি করা হলে কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেটও সে রকম ক্ষতির কারণ হতে পারে।

গ. ইরার সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটি হলো সফটওয়্যারের আনইনস্টলেশন। কারণ ইরার কম্পিউটারের গতি অনেক কম ছিল। কোনো একটা কমান্ড দিয়ে তাকে অনেকক্ষণ বসে থাকতে হতো। সে এ বিষয়টি তার চাচাকে জানালে তিনি ইরার কম্পিউটার থেকে কিছু অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করে দেন। এতে ইরার কম্পিউটারের গতি অনেক বেড়ে যায়। নিচে সফটওয়্যার আনইনস্টল প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করা হলো :
◈ প্রথমে স্টার্ট বাটন থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে যেতে হয়। এরপর ডাবল ক্লিক করে ‘অ্যাড অর রিমুভ’ অথবা ‘আনইনস্টল প্রোগ্রাম’ এ ঢুকতে হয়।
◈ যে ফাইলটি আনইনস্টল করতে হবে সেটি খুঁজে ক্লিক করে আনইনস্টলে ক্লিক করলেই ফাইলটি আনইনস্টল হতে শুরু করে।
◈ আনইনস্টল করার পর সাধারণত কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে হয়। তবে কেনো সফটওয়্যার আনইনস্টল করার সময় নিশ্চিত হয়ে তা করতে হয়। অন্যথায় ভুলক্রমে এমন সফটওয়্যার আনইনস্টল হতে পারে, যার কারণে যন্ত্রটিতে পুনরায় সফটওয়্যারটি ইনস্টল করা ছাড়া চালানো সম্ভব নাও হতে পারে। তাই এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হয়।

ঘ. উক্ত প্রক্রিয়া অর্থাৎ সফটওয়্যার আনইনস্টলেশন প্রক্রিয়ার সাথে সফটওয়্যার ডিলিট প্রক্রিয়ার উদেশ্যগত দিক দিয়ে বেশ মিল রয়েছে। কারণ উভয় প্রক্রিয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো আইসিটি যন্ত্র থেকে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মুছে ফেলা। কিন্তু কার্যগত দিক দিয়ে এই প্রক্রিয়া দুইটির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিচে সফটওয়্যার আনইনস্টলেশনের সাথে সফটওয়্যার ডিলিটের তুলনামূলক আলোচনা করা হলো :
সফটওয়্যার আনইনস্টলেশন সফটওয়্যার ডিলিট
১. আইসিটি যন্ত্র থেকে সফটওয়্যার মুছে ফেলার প্রথম ধাপ হলো সফটওয়্যার আনইনস্টল করা। ১. আইসিটি যন্ত্র থেকে সফটওয়্যার মুছে ফেলার দ্বিতীয় বা শেষ ধাপ হলো সফটওয়্যার ডিলিট করা।
২. আইসিটি যন্ত্র থেকে কোনো সফটওয়্যার আনইনস্টল করলে তার অংশ বিশেষ অপারেটিং সিস্টেমের রেজিস্ট্রি ফাইলে থেকে যায়। ২. নিয়ম না মেনে শুধু সফটওয়্যারটি ডিলিট করে দিলে সফটওয়্যারটি মুছে তো যায়ই না বরং আরও সমস্যা তৈরি করে।
৩. কোনো সফটওয়্যার আনইনস্টল করার পর ডিলিট না করলে তা সিস্টেমে থেকে যায় এবং পরবর্তীতে প্রয়োজনে ইনস্টল করে নেয়া যায়। ৩. কোনো সফটওয়্যার নিয়ম অনুসরণ করে ডিলিট করলে তা সিস্টেম থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে যায়। তাই পরবর্তীতে যদি সফটওয়্যারটি পুনরায় প্রয়োজন হয় তাহলে নতুন করে সফট কপি সংগ্রহ করে ইনস্টল করতে হয়।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রিয়ান জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস এবং জুনিয়র স্কলারশিপে টেলেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়ায় স্কুল থেকে একটি কম্পিউটার উপহার পেল। কম্পিউটারটিতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকলেও কোনো এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করা ছিল না। কিন্তু সে আজ আইসিটি ক্লাসে শিক্ষকের আলোচনা থেকে বুঝতে পেরেছে এন্টিভাইরাস ছাড়া যেকোনো আইসিটি যন্ত্রই ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তাই সে তার কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করার সিদ্ধান্ত নিল। শিক্ষকের সাথে কথা বলে সে সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রক্রিয়াটি জেনে নিল। শিক্ষক তাকে সফওয়্যার ইনস্টল করার পূর্বে কয়েকটি বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে বললেন। শিক্ষক নিজে থেকেই সফটওয়্যার ডিলিট করার প্রক্রিয়াটি রিয়ানকে শিখিয়ে দিলেন।
ক. VIRUS শব্দের মানে কী? ১
খ. পাসওয়ার্ড Unique না হলে কী কী সমস্যা হতে পারে? ২
গ. শিক্ষক রিয়ানকে কোন বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ রাখতে বললেন? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. শিক্ষক নিজে থেকে রিয়ানকে যে পদ্ধতিটি শিখালেন তার ধাপগুলো বিশ্লেষণ কর। ৪

৩নং প্রশ্নের সমাধান
ক. VIRUS শব্দের মানে হলো Vital Information and Resources Under siege।

খ. পাসওয়ার্ড Unique না হলে নিন্মোক্ত সমস্যা হতে পারে-
১. দুর্বল পাসওয়ার্ডের কারণে ভাইরাস সহজেই আক্রমণ করতে পারে।
২. দুর্বল পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের সহজেই হ্যাক করার সুযোগ করে দিতে পারে।
৩. দুর্বল পাসওয়ার্ডর কারণে আইসিটি যন্ত্রে রক্ষিত তথ্য নষ্ট করার সুযোগ তৈরি হতে পারে।

গ. রিয়ান তার কম্পিউটারে একটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করতে চায়। এ ব্যাপারে সে তাদের আইসিটি শিক্ষকের সাথে আলোচনা করে। শিক্ষক তাকে সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রক্রিয়াটি শিখিয়ে দেয়। রিয়ান যাতে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারটি যথাযথভাবে ইনস্টল করতে পারে সেজন্য তিনি তাকে সফটওয়্যার ইনস্টল করার পূর্বে একজন ব্যবহারকারীর জন্য লক্ষণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে বলেন এবং এ বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ লক্ষ রাখতে বলেন। বিষয়গুলো নিচে উল্লেখ করা হলো :
১. যে সফটওয়্যারটি তার যন্ত্রে ইনস্টল করা হবে সে সফটওয়্যারটি তার যন্ত্রের/কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার সাপোর্ট করে কিনা। কারণ হার্ডওয়্যার সাপোর্ট না করলে কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করা যায় না।
২. সফটওয়্যারটির read me ফাইলটিতে জরুরি কোনো কাজের কথা লেখা আছে কিনা। যদি তাকে কোনো নির্দেশনা থাকে তাহলে তা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৩. ইনস্টলেশনের সময় অন্য সকল কাজ বন্ধ আছে কিনা। কারণ অন্য কাজগুলো বন্ধ না থাকলে নতুন সফটওয়্যার ইনস্টল করতে ঝামেলা হয়।
৪. এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বন্ধ আছে কিনা।
৫. অপারেটিং সিস্টেমের এডমিনিস্টেটরের অনুমতি আছে কিনা।

ঘ. শিক্ষক নিজে থেকে রিয়ানকে সফটওয়্যার ডিলিট করার প্রক্রিয়াটি শিখিয়ে দিলেন। এর কারণ রিয়ান তার কাছে সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রক্রিয়া জানতে চেয়েছে। তাই তিনি প্রথম রিয়ানকে সফটওয়্যার ইনস্টল করার প্রক্রিয়াটি শিখালেন। কিন্তু আমরা আমাদের আইসিটি যন্ত্রে যেসব সফটওয়্যার ইনস্টল করি তার কোনো কোনোটির প্রয়োজন অনেক সময় আমাদের কাছে ফুরিয়া যায়। তখন আমরা যদি সেগুলো আমাদের যন্ত্রে রেখে দেই তাহলে হার্ডডিস্কের জায়গা দখল হয়ে যায় এবং যন্ত্রের কাজ করার গতি কমে যায়। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো কোনো সফটওয়্যারের প্রয়োজন ফুরিয়ে যাওয়া মাত্রই তা যন্ত্র থেকে মুছে ফেলা। কিন্তু এই মুছে ফেলার কাজটি যদি নিয়ম অনুযায়ী করা না হয় তাহলে সফটওয়্যারটিতো মুছেই না বরং সিস্টেমে নানা ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করে। এ কারণে শিক্ষক নিজে থেকেই রিয়ানকে সফটওয়্যার ডিলিট করার প্রক্রিয়াটি শিখিয়ে দিলেন। তার শেখানো প্রক্রিয়া অনুযায়ী এক্ষেত্রে রিয়ানকে প্রথমে অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যারটি আনইনস্টল করতে হবে। তারপর সফটওয়্যারটি সিস্টেম থেকে সম্পূর্ণভাবে মুছে ফেলার জন্য নির্দিষ্ট ধাপসমূহ পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হবে। ধাপগুলো নিচে বিশ্লেষণ করা হলো :
১. প্রথমে কীবোর্ডের start বাটন +r একসাথে চেপে Run command চালু করতে হবে। তারপর regedit লিখে এন্টার দিতে হবে।
২. ফাইল মেনুতে প্রবেশ করতে হবে।
৩. Export এ ক্লিক করতে হবে।
৪. অপারেটিং সফটওয়্যার যে ড্রাইভে রয়েছে অর্থাৎ C সিলেক্ট করতে হবে।
৫. নাম দিয়ে ফাইলটি সেভ করতে হবে। এটি খুবই জরুরি। কোনো ভুল হলে যাতে সিস্টেম ঠিক করা যায়।
৬. অতঃপর Edit এ প্রবেশ করতে হবে।
৭. Find এ যেতে হবে।
৮. যে সফটওয়্যারটি ডিলিট করতে চায় তার নাম খুঁজতে হবে। যেমন : AUDIALS।
৯. এরপর আরও অন্য ফাইল ডিলিট করতে চাইলে Find Next এ ক্লিক করতে হবে।
১০. সফটওয়্যার সিলেক্ট করতে হবে।
১১. এবার ডান বাটন ক্লিক করে Delete এ ক্লিক করতে হবে।
১২. সবশেষে কীবোর্ডের F3 চেপে রেজিস্ট্রির সব জায়গা থেকে ঐ নামের ফাইলগুলো মুছে দিতে হবে। এভাবে সম্পূর্ণ হবে পুরো সফটওয়্যার ডিলিট করার প্রক্রিয়া।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
প্রশ্ন -৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মাঈন তার কম্পিউটারে নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহার করে। কিন্তু সে তার কম্পিউটারে কোনো ধরনের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে না। এ কারণে তার কম্পিউটার প্রায়ই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। ব্যাপারটি নিয়ে সে তার বন্ধু শিমুলের সাথে আলাপ করে। শিমুল মাঈনের কম্পিউটারের সমস্যার লক্ষণসমূহ শুনে মঈনের করণীয় সম্পর্কে ধারণা দেয়।
ক. BSA এর পূর্ণরূপ কী? ১
খ. টেম্পোরারি ফাইলগুলো মুছে দিতে হয় কেন? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার কারণে মাঈনের কম্পিউটারে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত সমস্যা সমাধানে মাঈনের করণীয়সমূহ বিশ্লেষণ কর। ৪

৪নং প্রশ্নের সমাধান
ক. BSA এর পূর্ণরূপ হলো বিজনেস সফটওয়্যার এলায়েন্স।

খ. প্রত্যেকবার কম্পিউটার ব্যবহার করার সময় বেশ কিছু টেম্পোরারি ফাইল তৈরি হয়। অনেকদিন এ ফাইলগুলো মুছে না দিলে ফাইলগুলো হার্ডডিস্কের অনেকটা জায়গা দখল করে রাখে এবং কম্পিউটারের গতিকে ধীর করে দেয়। তাই কম্পিউটারের কাজের গতি বজায় রাখার জন্য সফটওয়্যারের সাহায্য নিয়ে ফাইলগুলো কয়েক দিন পর পর মুছে দিতে হয়।

গ. মাঈনের কম্পিউটারের সমস্যা হলো তার কম্পিউটারটি প্রায়ই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। ভাইরাস হলো এক ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমণ করে এবং যার নিজের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে। ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে সাধারণত এর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে এবং বিভিন্ন তথ্য উপাত্তকে আক্রমণ করে। এ কারণে কোনো কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হলে এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। মাঈনের কম্পিউটারটি যেহেতু ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত সেহেতু তার কম্পিউটারে নিন্মোক্ত একটি, দুইটি অথবা সবগুলো লক্ষণই দেখা দিতে পারে:
◈ প্রোগ্রাম ও ফাইল Open করতে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বেশি সময় লাগছে।
◈ মেমোরি কম দেখাচ্ছে। ফলে গতি কমে গেছে।
◈ কম্পিউটার চালু অবস্থায় চলমান কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এমন কিছু অপ্রত্যাশিত বার্তা প্রদর্শিত হচ্ছে।
◈ নতুন প্রোগ্রাম ইনস্টলের ক্ষেতে বেশি সময় লাগছে।
◈ চলমান কাজের ফাইলগুলো বেশি জায়গা দখল করছে।
◈ যন্ত্র চালু করার সময় চালু হতে হতে বন্ধ বা শাট ডাউন হয়ে যাচ্ছে কিংবা কাজ করতে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
◈ ফোল্ডারে বিদ্যমান ফাইলগুলোর নাম পরিবর্তন হয়ে পড়া যায় না এমন ধারণ করছে, ইত্যাদি।

ঘ. মাঈন তার কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও কোনো ধরণের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করে না। এ কারণে তার কম্পিউটারটি প্রায়ই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়। সে এ বিষয়টি নিয়ে তার বন্ধু শিমুলের সাথে কথা বললে শিমুল তাকে এরূপ সমস্যা সমাধানে অর্থাৎ কম্পিউটারটিকে ভাইরাসমুক্ত রেখে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে মাঈনের করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দেয়। নিচে মাঈনের করণীয়সমূহ বিশ্লেষণ করা হলো :
১. অন্য যন্ত্রে ব্যবহৃত সিডি, ডিস্ক ইত্যাদি নিজের যন্ত্রে ব্যবহারের পূর্বে ভাইরাস মুক্ত করে নেয়া।
২. অন্য কম্পিউটার থেকে কপিকৃত সফটওয়্যার নিজের কম্পিউটারে ব্যবহারের আগে সফটওয়্যারটিকে ভাইরাসমুক্ত করা।
৩. অন্য যন্ত্রের কোনো ফাইল নিজের যন্ত্রে ব্যবহারের পূর্বে ফাইলটিকে ভাইরাস মুক্ত করা।
৪. ইন্টারনেট থেকে কোনো সফটওয়্যার নিজের কম্পিউটারে ডাউনলোড করে ইনস্টল করার সময়ে সতর্ক থাকা। কারণ, ডাউনলোকৃত সফটওয়্যারে ভাইরাস থাকলে তা থেকে তোমার কম্পিউটারটিও ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে।
৫. অন্যান্য কম্পিউটারে যা যন্ত্রে ব্যবহৃত সফটওয়্যার কপি করে ব্যবহার না করা।
৬. কম্পিউটারে সর্বদা এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার টঢ়ফatব করে রাখা যাতে সতর্ক থাকা সত্তে¡ও যদি কম্পিউটারে ভাইরাস প্রবেশ করে তাহলে সতর্কতামূলক বার্তা প্রদর্শন করে। ফলে নিয়ম অনুযায়ী ভাইরাস ক্লিন করা যাবে।
৭. প্রতিদিনের ব্যবহৃত তথ্য বা ফাইলসমূহ আলাদা কোনো ডিস্ক বা পেনড্রাইভে ব্যাকআপ রাখা, তবে এক্ষেত্রে ডিস্ক বা পেনড্রাইভটি অবশ্যই ভাইরাসমুক্ত হতে হবে।
৮. ই-মেইল আদান-প্রদানে সতর্কতা অবলম্বন করা। যেমন : সন্দেহজনক সোর্স থেকে আগত ই-মেইল ড়ঢ়বহ না করা। আর করলেও ভাইরাসমুক্ত করে তা খোলা উচিত।
৯. গেম ফাইল ব্যবহারে অতিরিক্ত সতর্ক থাকা। গেম ফাইল ব্যবহারের আগে অবশ্যই ভাইরাস চেক করতে হবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
নবম শ্রেণিতে ওঠার পর রাখির বড় ভাই রাখির কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ লাগিয়ে দেয়। এতে রাখির পড়াশোনায় বেশ সুবিধা। সে ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট থেকে তার লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। তাছাড়া ফেসবুকে তার বন্ধুদের সাথে লেখাপড়ার বিষয়ে মত বিনিময় করতে পারে। কিন্তু রাখির মা রাখির ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ তিনি দেখেছেন যারা সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো ব্যবহার করে তাদের অধিকাংশেরই এর প্রতি আসক্তি জন্মায়। তিনি রাখিকে ফেসবুক ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সতকর্তা অবলম্বন করতে বলেন।
ক. কপিরাইট আইন সৃজনশীল কর্মের স্রষ্টাকে কী দেয়? ১
খ. সফটওয়্যার পাইরেসি বলতে কী বোঝায়? ২
গ. রাখির কোন কোন বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. রাখির ব্যাপারে রাখির মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার ব্যাপারটি কতটা যৌক্তিক? বিশ্লেষণ কর। ৪

৫নং প্রশ্নের সমাধান
ক. কপিরাইট আইন সৃজনশীল কর্মের স্রষ্টাকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার সৃষ্টকর্মের ওপর মালিকানা বা স্বত্বাধিকার দেয়।

খ. কম্পিউটারের বেলায় যে কোনো কিছুর প্রতিলিপি তৈরি করা খুব সহজ। এ কারণে কম্পিউটার সফটওয়্যার, কম্পিউটারে করা সৃজনশীল কর্ম যেমন : ছবি, এনিমেশন ইত্যাদির বেলায় কপিরাইট সংরক্ষণ করার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা নিতে হয়। যখনই এরূপ কপিরাইট আইনের আওতায় কোনো কপিরাইট হোল্ডারের অধিকার ক্ষুন্ন হয় তখন তাকে পাইরেসি বা সফটওয়্যার পাইরেসি নামে অভিহিত করা হয়।

গ. রাখি ফেসবুকে তার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। ফেসবুক একটি সামাজিক সাইট। এ ধরনের সাইটে ব্যবহারকারী তার ব্যক্তিগত অনেক তথ্য রেখে দেয়, ছবি অন্যদের সাথে শেয়ার করে। তাই ফেসবুক একাউন্টের পাসওয়ার্ড যদি কেউ জেনে যায় তাহলে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা বিঘিœত হতে পারে। এ কারণে ফেসবুক ব্যবহারের সময় রাখির নিন্মোক্ত বিষয়ে সতর্কতা মেনে চলা প্রয়োজন:
◈ কাউকে ‘বন্ধু’ বানানোর আগে তার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া, বাস্তব জীবনে যে বন্ধু হওয়ার যোগ্য নয়, তাকে বন্ধু না করা।
◈ ভার্চুয়াল বা বিদেশে অবস্থানকারীদের বন্ধু বানানোর সময় তার পরিচয় সম্পর্কে সম্যকভাবে নিশ্চিত হওয়া, এজন্য তার প্রোফাইল দেখা, পারস্পরিক বন্ধুদের মধ্যে কেউ পরিচিত কি-না সেসব বিষয় দেখে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।
◈ খুবই ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকা।
◈ মোবাইলে ফেসবুক/ই-মেইল ব্যবহার করার পর, প্রতিবারই লগআউট করা।
◈ স্কুল, সাইবার ক্যাফেতে ইন্টারনেট ব্যবহার করার পর সাইন আউট করা।
◈ বন্ধুর বা পরিচিত কারও ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকা।
◈ কোনো অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো ফেসবুক এপ্লিকেশন ব্যবহারের অনুরোধ এলে, নিশ্চিত না হয়ে তাতে ক্লিক না করা।

ঘ. রাখির ব্যাপারে রাখির মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়ার ব্যাপারটি পুরোপুরি যৌক্তিক। কারণ রাখি তার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগ সাইট ব্যবহার করে। এই সাইটটি যে উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে শুরু হয়েছিল যদি এটি সেই উদ্দেশ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত তাহলে পৃথিবীতে এই বিষয়টি কোনো সমস্যা তৈরি হতো না আর রাখির মায়েরও উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ থাকত না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সামাজিক যোগাযোগ সাইটে আসক্তি ধীরে ধীরে পৃথিবীর জন্য একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে শুরু করেছে। কারণ মনোবিজ্ঞানীরা এই সাইটগুলো নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন এই সাইটগুলোর সাফল্য নির্ভর করে, সেগুলো কত দক্ষতার সাথে ব্যবহারকারীদের আসক্ত করতে পারে। পুরো কর্মপদ্ধতির মাঝেই যে বিষয়টি রয়েছে সেটি হচ্ছে কত বেশি বার এবং কত বেশি সময় একজনকে এই সাইটগুলোতে টেনে আনা যায় এবং তাদের দিয়ে কোনো একটা কিছু করানো যায়। যে যত বেশি এই সাইটগুলো ব্যবহার করবে সেই সাইটটি তত বেশি সফল হিসেবে বিবেচিত হবে। কাজেই কেউ যদি অত্যন্ত সতর্ক না হয় তাহলে এই সাইটগুলোতে পুরোপুরি আসক্ত হয়ে যাবার খুব বড় একটা আশঙ্কা রয়েছে। তাছাড়া মনোবিজ্ঞানীরা আরও একটা বিষয় আবিষ্কার করেছেন। সব মানুষের ভেতরই নিজেকে প্রকাশ করার একটা ব্যাপার রয়েছে কিংবা নিজেকে নিয় মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাক্সক্ষা থাকে। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো মানুষের সেই সুপ্ত আকাক্সক্ষা জাগ্রত করে দেয়। ফলে মানুষের ভেতর নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। সে নিজের সম্পর্কে অত্যন্ত তুচ্ছ ঘুঁটিনাটি তথ্য সবার সামনে উপস্থাপন করে সেটায় কেউ লাইক দিবে ভেবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সামাজিক যোগাযোগ সাইটে তাদের জীবনের মূল্যবান সময় অপচয় করতে থাকে। জীবনের মূল্যবান মুহূর্তগুলো ভালো কাজে ব্যয় না করে এভাবে অপচয় করা অনেক বড় ধরনের অপরাধ। উদ্দীপকের রাখিও ফেসবুক ব্যবহার করে এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই রাখির মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়াটাই স্বাভাবিক।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
প্রশ্ন -৬ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জনাব আরিফুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম ও দশম শ্রেণিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়টি পড়ান। আজ নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের তিনি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট নামক চমৎকার দুটি বিষয়ের সাথে কীভাবে আসক্তি নামক একটা ভয়ঙ্কর শব্দ জুড়ে গেছে তার ব্যাখ্যা দিলেন। তার আলোচনায় ছাত্রছাত্রীরা জানতে পারল কোরিয়ার একজন মানুষ টানা পঞ্চাশ ঘণ্টা কম্পিউটার গেম খেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অনেকেই কম্পিউটার গেম খেলে। তারা ঘটনাটি শুনে আঁতকে উঠল এবং নিজেদের জীবনে এরূপ পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় তার জন্য সতর্ক থাকার দৃঢ় সংকল্প নিল।
ক. তথ্য প্রাপ্তির অধিকার কিসের অবিচ্ছেদ্য অংশ? ১
খ. Narcissism বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সমস্যার লক্ষণগুলো বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উক্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণের উপায় বিশ্লেষণ কর। ৪

৬নং প্রশ্নের সমাধান
ক. তথ্য প্রাপ্তির অধিকার চিন্তা, বিবেক ও বাক্স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

খ. সব মানুষের ভিতরে নিজেকে প্রকাশ করার একটি ব্যাপার রয়েছে। কিংবা নিজেকে নিয়ে মুগ্ধ থাকার এক ধরনের সুপ্ত আকাক্সক্ষা থাকে। সেটাকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় Narcissism বলে। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে মানুষের এই সুপ্ত বাসনাকে জাগ্রত করে দেয়। সবার ভিতরেই তখন নিজেকে জনপ্রিয় করে তোলার একটি প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

গ. উদ্দীপকের উল্লিখিত সমস্যাটি হলো কম্পিউটার গেমে আসক্তি। কম্পিউটার গেম এক ধরনের বিনোদন। এই বিনোদনের নানা মাত্রা রয়েছে। যারা কম্পিউটার গেম খেলে তারা যদি এটিকে নিছক বিনোদন মনে করে মাত্রার ভিতরে থাকে তাহলে এটি অন্যান্য বিনোদনের মতোই আনন্দ দেয়। কিন্তু যখন ব্যবহারকারী সেই মাত্রা অতিক্রম করে তখন সেটি আসক্তিতে পরিণত হয়। উদ্দীপকে জনাব আরিফুল ইসলাম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির শিক্ষক। তিনি জানতেন ছাত্রছাত্রীদের অনেকেই কম্পিউটার গেম খেলে। এ কারণে তাদেরকে সতর্ক করার জন্য তিনি ক্লাসে সমস্যাটি বিশেষভাবে ব্যাখ্যা করলেন। নিচে কম্পিউটার গেমে আসক্তি হওয়ার লক্ষণগুলো বর্ণনা করা হলো :
১. কম্পিউটার গেমে যারা আসক্ত হয়, তাদের মাথায় সবসময় শুধুমাত্র ঐ গেমসের ভাবনাই খেলা করে, যখনই তারা সেই গেমটি থেকে দূরে থাকে তাদের ভেতরে এক ধরনের অস্বাভাবিক উত্তেজনা ভর করে, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ কর্মে ব্যাঘ্যাত ঘটায়।
২. জোর করে এই খেলা থেকে বিরত রাখা হলে তাদের শারীরিক অস্বস্তি হতে থাকে।
৩. লেখাপড়ায় অমনোযোগী হয়ে উঠে।

ঘ. উদ্দীপকে কম্পিউটার গেমে আসক্তি নামক সমস্যার বর্ণনা রয়েছে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে এটা একটা বড় ধরনের সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। যারা নিয়মিত কম্পিউটার গেম খেলে তাদের এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই এ ব্যাপারে সবার সতর্ক থাকা উচিত। কিন্তু কেউ যদি সত্যি সত্যি কম্পিউটার গেমে আসক্ত হয়ে যায় এবং সেখান থেকে মুক্তি পেতে চায় তাহলে তাকে সবার আগে নিজের কাছে স্বীকার করে নিতে হবে যে তার আসক্তি জšে§ছে। তারপর তাকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কী কী তার একটা তালিকা করতে হবে। সেই তালিকায় কম্পিউটারের জায়গাটুকু কোথায় সেটি নিজেকে বোঝতে হবে। তার জীবনের সমস্যাগুলোরও একটা তালিকা করতে হবে। সেই তালিকার সমস্যাগুলোর কোনো কোনোটি কম্পিউটার গেমের কারণে হয়েছে সেটাও নিজেকে বোঝাতে হবে। তারপর জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কাজ লেখাপড়া, হোমওয়ার্ক, মাঠে খেলাধুলা, Extra Curriculam Activities, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, স্বেচ্ছাসেবকমূলক কাজে সবকিছুর জন্য সময় ভাগ করে রাখতে হবে। সব কিছু করার পর যদি কোনো সময় পাওয়া যায় তখনই কম্পিউটারের গেমস খেলা যাবে বলে ঠিক করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে কম্পিউটারে সময় কমিয়ে এনে নিজেকে অন্যান্য সৃজনশীল কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যায়-০২ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC ICT Chapter-2 Srijonshil Question and Answer
Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-02
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০২
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
প্রশ্ন -৭ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
হাসান তার কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশন দিয়েছে। এখন সে প্রায়ই ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করে। এতে তার লেখাপড়ার অনেক উপকার হচ্ছে। লেখাপড়া ছাড়াও সে বন্ধুদের ই-মেইল করা, গান শোনা ও ছবি দেখার কাজও ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ইদানীং সে দেখছে কম্পিউটারটি কোন কারণ ছাড়াই মাঝে মধ্যে রিস্টার্ট হয়ে যাচ্ছে। সে একদিন একটা পেনড্রাইভ ইউএসবি পোর্টে প্রবেশ করালো তারপর দেখল তার সব ফাইল শটকার্ট হয়ে গেছে। মূল ফাইলগুলো কোথাও দেখা যাচ্ছে না।
ক. সফটওয়্যার ইনস্টল করতে প্রথমেই কী প্রয়োজন? ১
খ. কম্পিউটার ভাইরাস বলতে কী বুঝ? ২
গ. হাসানের কম্পিউটারের সমস্যার সাধারণ সমাধান বর্ণনা কর। ৩
ঘ. হাসানের কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে? বিশ্লেষণ কর। ৪

৭নং প্রশ্নের সমাধান
ক. সফটওয়্যার ইনস্টল করতে প্রথমেই সফটওয়্যারটির সফট বা ডিজিটাল কপি প্রয়োজন।

খ. কম্পিউটার ভাইরাস হলো এই ধরনের সফটওয়্যার যা তথ্য ও উপাত্তকে আক্রমণ করে এবং যার নিজের সংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে। ভাইরাস কম্পিউটারে প্রবেশ করলে সাধারণত সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকে ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্তকে আক্রমণ করে এবং এক পর্যায়ে গোটা কম্পিউটার বা আইসিটি যন্ত্রকে সংক্রমিত করে অচল করে দেয়।

গ. হাসানের কম্পিউটার মাঝে মাঝে কোনো কারণ ছাড়াই রিস্টার্ট হয়ে যায়। এটি সাধারণত দুটি কারণে হয়ে থাকে। নিচে তার কারণ ও সাধারণ সমাধান দেওয়া হলো :
১। কারণ : কম্পিউটারের সিপিইউএর উপর সংযুক্ত কুলিং ফ্যানটি না ঘুরলে কিংবা পর্যাপ্ত ঠাণ্ডা করতে না পারলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে।
সমাধান : কম্পিউটারের পাওয়ার অফ করে কেসিং খুলে কুলিং ফ্যানটি ভালোভাবে চেক করে প্রয়োজনে নতুন কুলিং ফ্যান স্থাপন করতে হবে। এছাড়া সিপিইউর পিছনে কেসিয়ের ফ্যানটি ঘোরে কিনা তাও চেক করতে হবে।
২। কারণ : কম্পিউটারে ভাইরাস থাকলে বা নতুন কোন সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম লোড করার কারণে এটি হতে পারে।
সমাধান : আপগ্রেড এন্টিভাইরাস দ্বারা কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক ড্রাইভের প্রতিটি ড্রাইভ ক্লিন করে নিতে হবে। অযথা নতুন ইনস্টল করা প্রোগ্রাম আনইনস্টল করে দেয়া যেতে পারে।

ঘ. হাসান তার কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এ কারণে তার কম্পিউটারটি বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। ভাইরাসের আক্রমণ থেকে কম্পিউটারটিকে রক্ষা করার জন্য তার কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ইন্টারনেট ব্যবহার ছাড়া যেমন আইসিটি যন্ত্রের ব্যবহার কল্পনা করা যায় না তেমনি ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়ও সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ইন্টারনেট থেকে কোনো সফটওয়্যার ডাউনলোড করে ইনস্টল করলে যদি ঐ সফটওয়্যারটিতে ভাইরাস থাকে তবে কম্পিউটারটিও ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে যায়। আবার ইন্টারনেটে বিভিন্ন সাইটে আমরা না বুঝে প্রবেশ করলে আইসিটি যন্ত্র ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। কিন্তু আইসিটি যন্ত্রে যদি আগে থেকেই হালনাগাদ এন্টিভাইরাস, এন্টি স্পাইওয়্যার ও এন্টি ম্যালওয়্যার সফটওয়্যারগুলো থাকে তবে ভাইরাস আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। হাসানের কম্পিউটারে যদি পূর্ব থেকেই হালনাগাদ এন্টি ভাইরাস থাকত তাহলে তাকে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হতো না। তাই সহজেই বলা যায়, হাসানের কম্পিউটারে ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে হালনাগাদ এন্টিভাইরাস থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post