SSC তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download অধ্যায়-০১

৯ম-১০ম শ্রেণির আইসিটি গাইড
এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১

Class 9-10 ict Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology Chapter-01
ICT Srijonshil
Question and Answer pdf download

সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
এবং
আমাদের বাংলাদেশ

পাঠ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি
ই-লার্নিং : ই-লার্নিং শব্দটি ইলেকট্রনিক লার্নিং কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। পাঠদান করার জন্য সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহার করার পদ্ধতিকে ই-লার্নিং বলে।

ই-পূর্জি : পূর্জি হচ্ছে চিনিকলসমূহে কখন আখ সরবরাহ করতে হবে সে জন্য আওতাধীন আখচাষিদের দেওয়া একটি অনুমতিপত্র। আখচাষিরা এখন এসএমএসের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পূর্জির তথ্য পাচ্ছে বলে এখন তাদের হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসান হয়েছে। পাশাপাশি সময়মতো আখের সরবরাহ নিশ্চিত হওয়ায় চিনিকলের উৎপাদনও বেড়েছে।

ই-পর্চা সেবা : বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করা যায়। এটিকে বলা হয় ই-পর্চা।

ই-কমার্স : ই-কমার্সে দ্ইু ধরনের প্রতিষ্ঠান লক্ষ করা যায়। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান কেবল নিজেদের পণ্য বিক্রয় করে থাকে। আবার কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের পণ্য বিক্রয় করে।

সামাজিক যোগাযোগ : সামাজিক যোগাযোগ বলতে ভার্চুয়াল যোগাযোগ ও নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষে মানুষে মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝায়। এর অর্থ হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষ যোগাযোগ ও ভাব প্রকাশের জন্য যা কিছু সৃষ্টি, বিনিময় কিংবা আদান-প্রদান করে তাই সামাজিক যোগাযোগ।

টুইটার (www.twitter.com) : টুইটারও একটি সামাজিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। তবে ফেসবুকের সঙ্গে এর একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এটিতে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোবøগিংয়ের একটি ওয়েবসাইটও বলা যায়। ১৪০ অক্ষরের এই বার্তাকে বলা হয় টুইট।

ই-গর্ভন্যান্স : শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই-গর্ভন্যান্স। এর মাধ্যমে সরকারি ব্যবস্থাসমূহকে ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

এমটিএস : ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমকে সংক্ষেপে এমটিএস বলে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে নিরাপদে, দ্রুত, কম খরচে টাকা পাঠানো যায়। দেশের প্রায় সকল ডাকঘরে এই সেবা পাওয়া যায়।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
প্রশ্ন -১ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
রাশেদ নিয়মিত পত্রিকা পড়ে। আজ সে পত্রিকা খুলে “একুশ শতক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি” শিরোনামে একটি লেখা দেখতে পেল। লেখাটি সে খুব আগ্রহ নিয়ে পড়ল। তারপর বিষয়টি নিয়ে সে তার বাবার সাথে আলোচনা করে বুঝতে পারল একুশ শতকের পৃথিবী আসলে জ্ঞানভিত্তিক একটা অর্থনীতির ওপর দাঁড়াতে শুরু করেছে। এ কারণে পৃথিবীর মানুষ নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার উপায় সম্পর্কে জানতে চাইলে তার বাবা বলেন, “একুশ শতকে টিকে থাকতে হলে সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে হবে।”
ক. প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক কে? ১
খ. ই- গভর্ন্যান্স বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. রাশেদ ও তার বাবার আলোচিত প্রযুক্তিতে চার্লস ব্যাবেজের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. একুশ শতকে টিকে থাকার প্রয়োজনীয় দক্ষতার ব্যাপারে তুমি কি রাশেদের বাবার সাথে একমত? তোমার মতামত উপস্থাপন কর। ৪

১নং প্রশ্নের উত্তর
ক. প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক হলেন অ্যাডা লাভলেস।

খ. গভর্ন্যান্স বা সুশাসনের জন্য দরকার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা। ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রচলনের ফলে সরকারি ব্যবস্থাসমূহকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব। এর ফলে নাগরিকের হয়রানি ও বিড়ম্বনার অবসান ঘটে এবং দেশে সুশাসনের পথ নিষ্কণ্টক হয়। শাসন ব্যবস্থায় ও প্রক্রিয়ায় ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগই হচ্ছে ই- গভর্ন্যান্স।

গ. রাশেদ ও তার বাবার আলোচিত প্রযুক্তিটির নাম তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি। একুশ শতকের এই পৃথিবীতে হয়তো এমন একজন মানুষও পাওয়া যাবে না যার জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি কোনোরূপ প্রভাব ফেলেনি। আর এই প্রযুক্তির বিকাশের পেছনে যেসব বিজ্ঞানী, ভিশনারি, প্রকৌশলী এবং নির্মাতাদের অবদান রয়েছে চার্লস ব্যাবেজ তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একজন ইংরেজ প্রকৌশলী ও গণিতবিদ। তার হাতেই আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ শুরু হয়। এ কারণে তাকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। তিনি ডিফারেনস ইঞ্জিন ও এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামে দুটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন। এই ইঞ্জিনগুলো যান্ত্রিকভাবে গণনা করতে পারত। তার তৈরি এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনের বৈশিষ্ট্য আজকের কম্পিউটারের ডিজাইনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে অর্থায়নের অভাবে সে সময় ব্যাবেজ তার প্রকল্পটি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তার মৃত্যুর ১২০ বছর পর ১৯৯১ সালে লন্ডনের বিজ্ঞান জাদুঘরে তার বর্ণনা অনুসরণ করে একটি ইঞ্জিন তৈরি করলে দেখা যায় সেটি সঠিকভাবে কাজ করছে। এ থেকে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, চার্লসের দুটি ইঞ্জিন্ই গণনার কাজ করতে পারত।

ঘ. একুশ শতকে টিকে থাকার প্রয়োজনীয় দক্ষতার ব্যাপারে রাশেদের বাবার বক্তব্য হলো সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে হবে। তার এই বক্তব্যের সাথে আমি একমত। কেননা একুশ শতকে এসে সম্পদের ধারণা পুরোপুরি পাল্টে গেছে। পৃথিবী একটা জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির উপর দাঁড়াতে শুরু করেছে। তাই যারা এখন জ্ঞানভিত্তিক সমাজ তৈরি করার বিপ্লবে অংশ নিবে তারাই পৃথিবীর চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। তবে এই নতুন বিপ্লবে অংশ নেয়ার জন্য বিশেষ এক ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে বেঁচে থাকার সুনির্দিষ্ট দক্ষতাগুলো যদি আমরা দেখতে চাই তাহলে সেগুলো হবে পারস্পরিক সহযোগিতার মনোভাব, যোগাযোগ দক্ষতা, সুনাগরিকত্ব, সমস্যা সমাধানে পারদর্শিতা, বিশ্লেষণী চিন্তন দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং তার সাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা। এসব দক্ষতার মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে পারদর্শিতা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় দক্ষতা হিসেবে খুব দ্রুত স্থান করে নিচ্ছে। তাই একুশ শতকে টিকে থাকার জন্য সবাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয়গুলো জানতে হবে। কারণ এই বিষয়গুলো জানা থাকলেই কেবল একজন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার বিশাল জগতে পা দিতে পারবে। কিন্তু একজন যতক্ষণ পর্যন্ত এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা না শিখবে, অভ্যস্ত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে না। নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য সবাইকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রাথমিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
প্রশ্ন -২ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ফারহানার বাবা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে একাউন্টস ডিপার্টমেন্টে কাজ করেন। গত মাসে তার পদোন্নতি হওয়ায় কাজের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। অফিসে কাজের চাপ কমানোর জন্য তিনি বাড়িতে কিছু কিছু কাজ করে এগিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি কাজের সুবিধার্থে আইবিএম কোম্পানির একটি পার্সোনাল কম্পিউটার কিনে এনে তাতে ইন্টারনেটের সংযোগ লাগিয়ে দিলেন। এতে ফারহানারও পড়াশোনার অনেক সুবিধা হলো।
ক. ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক কে? ১
খ. একুশ শতকের সম্পদের ধারণা ব্যাখ্যা কর। ২
গ. ফারহানার বাবার কেনা যন্ত্রটিতে বিল গেটসের অবদান- ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উক্ত যন্ত্রটি ব্যবহার করে ফারহানার প্রাপ্ত সুবিধাসমূহ বিশ্লেষণ কর। ৪

২নং প্রশ্নের উত্তর
ক. ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জনক হলেন স্যার টিমোথি জন ‘টিম’ বার্নাস লি।

খ. একুশ শতকের সম্পদ হচ্ছে জ্ঞান। যার অর্থ কৃষি, খনিজ সম্পদ কিংবা শক্তির উৎস নয়, শিল্প কিংবা বাণিজ্য নয় এখন পৃথিবীর সম্পদ হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তার কারণ শুধু মানুষই জ্ঞান সৃষ্টি করতে পারে, জ্ঞান ধারণ করতে পারে এবং জ্ঞান ব্যবহার করতে পারে। সম্পদের এই নতুন ধারণাটি মানুষের চিন্তা ভাবনার জগৎটি পাল্টে দিয়েছে।

গ. ফারহানার বাবা তার কাজের সুবিধার্থে আইবিএম কোম্পানির একটি পার্সোনাল কম্পিরউটার কিনেছেন। এই কম্পিউটার দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ যেমন : লেখালেখি কিংবা হিসাব করা, তথ্যসংগ্রহ সংরক্ষণ করা, ভিডিও এডিটিং করা, গ্রাফিক্স ডিজাইন করা ইত্যাদি সন্তোষজনকভাবে করা সম্ভব। কম্পিউটারটি যদিও আইবিএম কোম্পানির তৈরি তথাপি এই কম্পিউটারে মাইক্রোসফট কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের বিরাট অবদান রয়েছে। কেননা ১৯৮১ সালে আইবিএম কোম্পানি তাদের বানানো এই পার্সোনাল কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম তৈরির দায়িত্ব দেন মাইক্রোসফট কোম্পানিকে। তখন বিল গেটস প্রথমে এমএসডস এবং তারপর উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করেন। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ কম্পিউটার পরিচালিত হয় বিল গেটসের প্রতিষ্ঠিত মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার দিয়ে।

ঘ. উদ্দীপকে ফারহানার বাবা একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির একাউন্টস ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা। তিনি অফিসে তার কাজের চাপ কমানোর জন্য বাড়িতে কিছু কাজ করে এগিয়ে রাখার জন্য একটি পার্সোনাল কম্পিউটার কিনে তাতে ইন্টারনেট সংযোগ লাগিয়ে নিলেন। এতে ফারহানার পড়াশোনায় বেশ সুবিধা হলো। নিচে ফারহানার প্রাপ্ত সুবিধাগুলো বিশ্লেষণ করা হলো :
১. ফারহানা কম্পিউটারে তার ক্লাসের এসাইনমেন্ট সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারে। এসাইনমেন্ট তৈরির প্রয়োজনীয় তথ্য সে ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করতে পারে।
২. অনলাইনে বসে ফারহানা বিভিন্ন পত্রিকার শিক্ষাপাতা পড়ে নিজের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করতে পারে।
৩. সে বিভিন্ন দেশের বড় বড় লাইব্রেরির বইপত্রের অনলাইন সংস্কার পড়তে পারে।
৪. তার পাঠ্যবইয়ের যেকোনো বিষয় বোঝার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের তথ্যাদি ব্যবহার করতে পারে।
৫. অনলাইনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীদের সাথে একত্রিত হয়ে নিজের জ্ঞান শেয়ার করতে পারে।
৬. ইন্টারনেটে প্রাপ্ত বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীদের সাথে একত্রিত হয়ে নিজের জ্ঞান শেয়ার করতে পারে
৭. নিজের ক্লাসের, অন্যান্য স্কুলের এবং অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে ই-মেইল, অনলাইন চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে এবং যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে।
৮. উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
৯. অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে।
১০. যেকোনো পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সাথে সাথে সে ইন্টারনেট থেকে তা জেনে নিতে পারে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
প্রশ্ন -৩ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
জিয়ান আজ তার বড় ভাই জিসানের সাথে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত শিক্ষা মেলায় গিয়েছিল। সেখানে সে প্রধান অতিথি এবং শিক্ষকদের আলোচনা থেকে বুঝতে পারল খুব ধীরগতিতে হলেও আমাদের দেশের শিক্ষা পদ্ধতিতে এক ধরনের পরিবর্তন ঘটছে। সে ই-লার্নিং নামক একটা নতুন শিক্ষা পদ্ধতির কথা জানতে পারল।
ক. পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম কী? ১
খ. “একুশ শতকের বিশ্বায়নের ধারণা” ব্যাখ্যা কর। ২
গ. শিক্ষা মেলায় গিয়ে জিয়ান কোন শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. আমাদের দেশে উত্তম পাঠদানের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণে উক্ত পদ্ধতি কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে বলে তুমি মনে কর? ৪

৩নং প্রশ্নের উত্তর
ক. পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম ফেসবুক।

খ. একুশ শতকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব বিশ্বায়ন (Globalization)- এর ধারণাটি ত্বরান্বিত হচ্ছে। একটি সময় ছিল যখন দেশের সীমানা তার ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এখন আর এটি সত্য নয় বরং বিশ্বায়নের কারণে দেশের সীমা নিজের দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে। যেমন-এদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ এখন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তারা যেখানে আছে সেই অংশটুকুই বাংলাদেশ। এই অর্থে বাংলাদেশের সীমানা ছড়িয়ে গেছে।

গ. শিক্ষা মেলায় গিয়ে জিয়ান যে শিক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে তার নাম ই-লার্নিং।
ই-লার্নিং শব্দটি ইলেকট্রনিক লার্নিং কথাটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটা বলতে আমরা পাঠদান করার জন্য সিডি রম, ইন্টারনেট, ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক কিংবা টেলিভিশন চ্যানেল ব্যবহার করার পদ্ধতিকে বুঝি। ই-লার্নিং কখনই সনাতন পদ্ধতির বিকল্প নয়, এটি সনাতন পদ্ধতির পরিপূরক। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আগে শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞানের একটা বিষয় পড়ানোর সময় অনেক কিছুই হাতে কলমে দেখানো সম্ভব ছিল না। কিন্তু এখন শ্রেণিকক্ষে পাঠ দিতে দিতে শিক্ষক ইচ্ছে করলেই মাল্টিমিডিয়ার সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি এক্সপেরিমেন্ট করিয়ে দেখাতে পারেন। সেটি Interactive হতে পারে এবং শিক্ষার্থীরা নিজেরা প্রায় হাতে কলমে এক্সপেরিমেন্ট করার অভিজ্ঞতা পেতে পারে। আবার দক্ষ একজন শিক্ষকের পাঠদান ভিডিও করে নিয়ে সেটি অসংখ্য স্কুলে বিতরণ করা যেতে পারে। এভাবে ই-লার্নিং ব্যবহার করে শিক্ষা ব্যবস্থার অনেক বড় বড় সীমাবদ্ধতা সমাধান করে ফেলা সম্ভব।

ঘ. আমাদের দেশে উত্তম পাঠদানের সীমাবদ্ধতা দূর করার ব্যাপারে শিক্ষা মেলায় জিয়ানের জানতে পারা শিক্ষা পদ্ধতি অর্থাৎ ই-লার্নিং অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী বিশাল। তাই স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বিশাল। নানা ধরনের অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে আমাদের স্কুলগুলোতে দক্ষ শিক্ষকের অভাব রয়েছে। লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় সাজসরঞ্জাম বলতে গেলে নেই। ল্যাবরেটরি অপ্রতুল। ফলে হাতে কলমে বিজ্ঞানের এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ কম। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ই-লার্নিং অনেক বড় একটা ভূমিকা রাখতে পারে। দক্ষ একজন শিক্ষকের পাঠদান ভিডিও করে নিয়ে সেটি অসংখ্য স্কুলে বিতরণ করা যেতে পারে। একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে বোঝানোর জন্য অনেক ধরনের সহায়ক প্রক্রিয়া ছাত্রছাত্রীদের দেয়া যেতে পারে। একজন শিক্ষক চাইলে নিজেই তার পাঠদানে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় তৈরি করতে পারেন এবং সেটি বারবার ব্যবহার করতে পারেন। এটা শিক্ষাদান এবং শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সহায়ক হবে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
প্রশ্ন -৪ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
কৌশিকরা তিন বন্ধু মিলে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে গেল। তারা প্রথমে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে চট্টগ্রাম পরবর্তীতে চট্টগ্রাম থেকে বাসে করে কক্সবাজার গেল। হঠাৎ একটি বন্ধু অসুস্থ হয়ে গেল। তারা ঢাকার একজন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করলে চিকিৎসক তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। পরে ঐ হাসপাতালের ডাক্তার ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তার চিকিৎসা করেন।
ক. ই-পর্চা কী? ১
খ. ই-সেবা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা কর। ২
গ. কক্সবাজার যাওয়ার সময় কৌশিকরা কোন ই-সেবাটি গ্রহণ করতে পারত? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. কৌশিকের বন্ধুর মতো অন্য রোগীরাও কীভাবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে? বিশ্লেষণ কর। ৪

৪নং প্রশ্নের উত্তর
ক. জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সংগ্রহ করাকে বলা হয় ই-পর্চা।

খ. ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে যেকোনো ধরনের সেবা প্রদানকে ই-সার্ভিস বা ই-সেবা বলে। ই-সেবার বৈশিষ্ট্য হলো। এটি অল্প সময়ে, স্বল্প খরচে এবং হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করে।

গ. কক্সবাজার যাওয়ার সময় কৌশিকরা ই-টিকিটিং কিংবা মোবাইল টিকিটিং নামক ই-সেবাটি গ্রহণ করতে পারত।
বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের জীবন হয়রানিমুক্ত করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরসমূহের উদ্যোগে যেসব ই-সেবা কার্যক্রম চালু করেছে তাদের মধ্যে রেলওয়ের ই-টিকেটিং ও মোবাইল টিকিটিং অন্যতম। এই সেবার আওতায় বাংলাদেশ সরকারের কয়েকটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেটে কাটা যায়। তবে এক্ষেত্রে যাত্রীদের ট্রেন ছাড়ার অল্প সময় পূর্বে স্টেশনে গিয়ে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে নিজেদের টিকিট সংগ্রহ করে নিতে হয়।
উদ্দীপকে কৌশিকরা কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিল। যাওয়ার পথে তারা প্রথমে আন্তঃনগর ট্রেনে করে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়েছে এবং পরবর্তীতে সেখান থেকে কক্সবাজার। যেহেতু ঢাকা চট্টগ্রাম আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অনলাইন ও মোবাইল ফোনে কাটার ব্যবস্থা ছিল তাই তারা সহজেই ই-টিকিটিং কিংবা মোবাইল টিকিটিং সেবা গ্রহণ করে ঘরে বসেই ট্রেনের টিকিট কাটতে পারত।

ঘ. কৌশিকের বন্ধুর মতো অন্য রোগীরাও ই-স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই বিশেষ চিকিৎসকের সেবা ও পরামর্শ পেতে পারে।
বাংলাদেশ সরকার দেশের জনগণের জন দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ই-স্বাস্থ্যসেবা চালু করেছে। এই সেবার আওতায় বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ জন্য দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো নাগরিক যেকোনো চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পারেন। এছাড়া দেশের কয়েকটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে রোগী উপজেলা থেকে জেলা সদরে না এসেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা ও পরামর্শ পাচ্ছেন।
উদ্দীপকে কৌশিক ও তার তিন বন্ধু কক্সবাজার বেড়াতে গেলে সেখানে তার বন্ধু অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন কৌশিক তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঢাকার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেন। পরে হাসপাতালের ডাক্তাররা ঢাকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে তাকে দ্রুত সুস্থ করে তোলেন। কৌশিকের বন্ধুর মতো অন্য রোগীরাও এভাবে ই স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে নিজেদের জন্য সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে পারে।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
প্রশ্ন -৫ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
তানিয়া ঢাকায় তার মামার বাসায় বেড়াতে এসেছে। মামাতো বোন রেশমা তানিয়াকে দেখে খুব খুশি হলো। রেশমা ইন্টারনেট থেকে তানিয়ার পছন্দের খাবার অর্ডার করল। এক ঘণ্টার মধ্যে বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়ে টাকা নিয়ে বিক্রেতা চলে গেল। তানিয়া তো দেখে অবাক, সে রেশমার কাছে বিষয়টি জানতে চাইল। রেশমা বলল বর্তমানে বই থেকে শুরু করে জামা, কাপড়, খাবার, শৌখিন সামগ্রী ইত্যাদি এভাবে বিকিকিনি হচ্ছে।
ক. টুইটারের বার্তাকে কী বলা হয়? ১
খ. এমটিএস বলতে কী বোঝায়? ২
গ. উদ্দীকের ব্যবস্থাটি কীভাবে ব্যবসায় পরিবর্তন এনেছে? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. “উপরিউক্ত ব্যবস্থাটিই হচ্ছে একুশ শতকের ব্যবসায় বাণিজ্যের স্বরূপ” বিশ্লেষণ কর। ৪

৫নং প্রশ্নের উত্তর
ক. টুইটারের বার্তাকে টুইট বলা হয়।

খ. ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমকে সংক্ষেপে এমটিএস বলে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে দেশের এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে নিরাপদে, দ্রুত, কম খরচে টাকা পাঠানো যায়। ১ মিনিটের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যায়। দেশের প্রায় সকল ডাকঘরে এই সেবা পাওয়া যায়।

গ. উদ্দীপকের ব্যবস্থাটি হচ্ছে ই-কমার্স।
তানিয়া অনলাইনে খাবারের অর্ডার দিলে বিক্রেতা খাবার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে খাবারের দাম নিয়ে গেছে অর্থাৎ বাণিজ্যে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। এই ব্যবস্থাটি ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। সনাতন পদ্ধতিতে বিক্রেতা একটি নির্দিষ্ট স্থানে তার পণ্য সাজিয়ে বসে এবং ক্রেতা সশরীরে সেখানে উপস্থিত হয়ে নির্দিষ্ট মূল্যের বিনিময়ে বিক্রেতার কাছ থেকে তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে আনে। কিন্তু ই-কমার্স সনাতনী এই ব্যবসায়ের ধারণাটি পাল্টে দিয়েছে। এখন ব্যবসায় বাণিজ্যে ক্রেতা বিক্রেতার সরাসরি সাক্ষাৎকার নি®প্রয়োজন। ই-কমার্স পদ্ধতিতে একজন বিক্রেতা তার পণ্যের ছবি, ভিডিও দিয়ে ইন্টারনেটেই তার দোকানটি খুলে বসতে পারেন। এজন্য তার প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট চালু করতে হয়। ক্রেতা অনলাইনে তার পছন্দের পণ্যটি পছন্দ করেন এবং মূল্য পরিশোধ করেন। দেশে বর্তমানে বিভিন্ন ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে এই মূল্য পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও মূল্য পরিশোধ করা যায়। মূল্য প্রাপ্তির পর বিক্রেতা তার পণ্যটি ক্রেতার ঠিকানায় নিজে অথবা পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেন। মোবাইল বা কার্ড ছাড়াও ই-কমার্সে আরও একটি বিল পরিশোধ পদ্ধতি রয়েছে। এটিকে বলা হয় প্রাপ্তির পর পরিশোধ বা ক্যাশ অন ডেলিভারি (COD)। এই পদ্ধতিতে ক্রেতা বিক্রতার ওয়েবসাইটে বসে পছন্দের পণ্যটির অর্ডার দেন। বিক্রেতা তখন পণ্যটি ক্রেতার কাছে পাঠিয়ে দেন। ক্রেতা পণ্য পেয়ে বিল পরিশোধ করেন।

ঘ. উপরিউক্ত ব্যবস্থাটি হচ্ছে ই-কমার্স।
ই-কমার্স বলতে বাণিজ্যে ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করাকে বোঝায়। এটি একুশ শতকের ব্যবসায় বাণিজ্যের আধুনিক ধারণা মূলত ই-কমার্সই হলো একুশ শতকের ব্যবসায় বাণিজ্যের স্বরূপ। কারণ বর্তমানে আমরা যেসব সুপার মার্কেট, শপিংমলগুলোকে ব্যবসায় বাণিজ্যের মূল অবকাঠামো হিসেবে দেখে অভ্যস্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবে অদূর ভবিষ্যতে এগুলোর পরিবর্তে ইন্টারনেট হবে ব্যবসায় বাণিজ্যের মূল মাধ্যম আর ক্রেডিট কার্ড বা ইলেকট্রনিক মানি স্থান করে নেবে বর্তমানে প্রচলিত কাগুজে টাকার।
বর্তমানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যেমন নিজস্ব শোরুম থাকে ই-কমার্সের পরিপ্রেক্ষিতে যেসব প্রতিষ্ঠানে শোরুমের পরিবর্তে নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকবে। সেই ওয়েবসাইটে সব পণ্যের তালিকা থাকবে, থাকবে অর্ডার ফরম। ক্রেতা প্রয়োজনে তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে নির্দিষ্ট পণ্যের অর্ডার দিলে ঐ প্রতিষ্ঠান ঐ পণ্যটি তাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেবে। আর ক্রেতা ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করবে। আমাদের দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে এ ধরনের ব্যবসায় শুরু করেছে। ব্যবসায় বাণিজ্যের এই পরিবর্তনের জন্য আইনকানুনের কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বর্তমানে এই ব্যবসার প্রসার খুব একটা না হলেও একুশ শতকের ব্যবসায় বাণিজ্যের স্বরূপ হবে
ই-কমার্স, এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধ্যায়-০১ সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর SSC ICT Chapter-1 Srijonshil Question and Answer

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
প্রশ্ন -৬ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মিশু ও কোয়েলি খুব ভালো বন্ধু। ছোটবেলা থেকে তারা সবসময় একই স্কুলে লেখাপড়া করেছে। অষ্টম শ্রেণিতে ওঠার পর কোয়েলি তার মা বাবার সাথে আমেরিকা চলে যায়। তারপর থেকে কোয়েলি ও মিশু ফেসবুকে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। মিশু আজ তার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে টুইটার ও জোপ্পা নামক দুইটি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহারের কৌশল শিখল।
ক. বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক কে? ১
খ. অ্যাডা লাভলেসকে কেন প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক বলা হয়? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো ব্যবহারের সুবিধাসমূহ বর্ণনা কর। ৩
ঘ. মিশুর ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে টুইটারের কোনো পার্থক্য আছে কি? বিশ্লেষণ কর। ৪

৬নং প্রশ্নের উত্তর
ক. বেতার যন্ত্রের আবিষ্কারক হলেন গুগলিয়েলমো মার্কনি।

খ. অ্যাডা লাভলেস ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞান ও গণিতের প্রতি ভীষণ আগ্রহী ছিলেন। চার্লস ব্যাবেজ যখন ডিফারেনস ইঞ্জিন ও এনালিটিক্যাল ইঞ্জিন নামক দুইটি গণনা যন্ত্র তৈরি করেন তখন তিনি গণনার কাজটিকে কীভাবে আরও কার্যকর করা যায় তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেন। ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যাবেজের সাথে তার পরিচয় হলে তিনি এনালিটিক্যাল ইঞ্জিনকে কাজে লাগানোর জন্য ‘প্রোগামিং’ এর ধারণা সামনে নিয়ে আসেন। এ কারণে তাকে প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক বলা হয়।

গ. উদ্দীপকে তিনটি সামাজিক ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখ আছে। এগুলো হলো ফেসবুক, টুইটার ও জোপ্পা। নিচে এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহারের সুবিধাসমূহ বর্ণনা করা হলো :
১. এই ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করে আমরা নিমেষেই যেকোনো খবর সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে পারি।
২. সামাজিক যোগাযোগের এসব ওয়েবসাইট ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে অন্য দেশের মানুষের সাথে চেনা-জানা ও বিভিন্ন ধরনের সম্পর্কের সৃষ্টি হয় যা আমাদের মনও সমাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৩. এই ওয়েবসাইটগুলোর মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন দেশের মানুষের ধ্যান-ধারণা, চিন্তা, সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারি এবং এর ভালো দিকগুলো আমরা গ্রহণ করতে পারি।
৪. সামাজিক যোগাযোগের এসব মাধ্যম থেকে বিভিন্ন তথ্য পেয়ে থাকি, যা আমাদের শিক্ষার্জন ও গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসে।
৫. এসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে বর্তমানে আমরা ঘরে বসেই পৃথিবী যেকোনো বিনোদন ও শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারি।

ঘ. মিশুর ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে টুইটারের একটি মৌলিক পার্থক্য আছে। কারণ মিশু যে সামাজিক যোগাযোগ সাইটি ব্যবহার করে তার নাম ফেসবুক। যে কেউ বিনামূল্যে ফেসবুকের সদস্য হয়ে এর মাধ্যমে বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ, ব্যক্তিগত তথ্যাবলি প্রকাশ, আদান-প্রদান ও হালনাগাদ করতে পারে। এছাড়া এতে অডিও ও ভিডিও প্রকাশ করা যায়। ফেসবুকে যেকোনো প্রতিষ্ঠান যেমন তাদের নিজস্ব পেজ খুলতে পারে, তেমনি সমমনা বন্ধুদের নিয়ে গ্রুপ চালু করতে পারে। মার্চ-২০১৫ অনুযায়ী এই ওয়েবসাইটির ব্যবহারকারী ১৪১৫ মিলিয়ন। অন্যদিকে টুইটার এমন একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট যার জনপ্রিয়তা ফেসবুকের কাছাকাছি হলেও এর এমন একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা ফেসবুকের সাথে এর মৌলিক পার্থক্য হিসেবে গণ্য হয়। এই সীমাবদ্ধতাটি হলো এখানে ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ ১৪০ অক্ষরের মধ্যে তাদের মনোভাব প্রকাশ ও আদান-প্রদান করতে হয়। এজন্য এটিকে মাইক্রোবøগিংয়ের একটি ওয়েবসাইট বলা হয়। টুইটারে ব্যব্যহারকারীর এই ১৪০ অক্ষরের বার্তাকে টুইট বলে যা ফেসবুকের ক্ষেত্রে স্ট্যাটাস নামে পরিচিতি এবং তা লেখার ক্ষেত্রে অক্ষর সীমাবদ্ধতা নেই। টুইটারের সদস্যরা অন্য সদস্যদের টুইট পড়ার জন্য তাদের অনুসরণ করতে পারেন। কোনো সদস্যকে যারা অনুসরণ করে তাদের বলা হয় অনুসারী।

Class 9-10 Guide and SSC Exam Preparation
Information and Communication Technology (ICT)
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
৯ম-১০ম শ্রেণির গাইড এবং এসএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
অধ্যায়-০১
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
প্রশ্ন -৭ : নিচের উদ্দীপকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
মনির আজ তার কলেজে আয়োজিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মেলায় গিয়েছিল। সেখানে সে ইন্টারনেট, ই-মেইল, মোবাইল ফোন, ওয়েবসাইট নির্মাণ, বøগিং, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও আইসিটির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারল। সে আরও দেখতে পেল, বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিশাল ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে যে বড় বিষয়টি মনিরের নজরে আসল তা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা। সে বিষয়টি সম্পর্কে শুনেছে কিন্তু আজ প্রধান অতিথির বক্তব্য থেকে তার কাছে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি সুস্পষ্ট হলো। প্রধান অতিথি বললেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সকল শ্রেণির সব ধরনের মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন।’
ক. কে প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু করেন? ১
খ. ই-সেবা সম্পর্কে লেখ। ২
গ. মনিরের কলেজে আয়োজিত মেলার বিষয়বস্তু বিনোদনের ক্ষেত্রে কিরূপ ভূমিকা রাখছে? বর্ণনা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের বিভিন্ন উপায়গুলো তোমার নিজের ভাষায় উপস্থাপন কর। ৪

৭নং প্রশ্নের উত্তর
ক. রেমন্ড স্যামুয়েল টমলিনসন প্রথম ই-মেইল সিস্টেম চালু করেন।

খ. বিভিন্ন সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকরা এখন মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এজন্য দেশের সকল সরকারি হাসপাতালে একটি করে মোবাইল ফোন দেওয়া হয়েছে। দেশের যেকোনো নাগরিক এভাবে যেকোনো চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে পারেন। এছাড়া দেশের কয়েকটি হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে রোগী উপজেলা থেকে জেলা সদরে না এসেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সেবা ও পরামর্শ পাচ্ছেন।

গ. মনিরের কলেজে আয়োজিত মেলার মূল বিষয়বস্তু হলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি। এই প্রযুক্তি বিনোদন জগতে একটা নতুন দিক উন্মোচন করেছে। এর প্রভাবে মানুষের বিনোদন গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যেমন পরিবর্তন এসেছে তেমনি গুণগত পরিবর্তন এসেছে বিনোদনের ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমগুলোতে। একটি সময় ছিল বিনোদনের জন্য মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হতো। সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে, খেলা দেখতে খেলার মাঠে, গান শুনতে গানের জলসায় যেতে হতো। এখন আর ঘর থেকে বের হতে হয় না, প্রথমে রেডিও তারপর টেলিশিন এসেছে। তারপর এসেছে কম্পিউটার। কম্পিউটারের সাথে ইন্টারনেট সংযুক্ত হওয়ায় মানুষ তার ঘরে বসেই পৃথিবীর সম্ভাব্য অসম্ভাব্য সব ধরনের বিনোদন উপভোগ করতে পারে। গান, চলচ্চিত্র, আলোকচিত্র সবকিছুই এখন কম্পিউটার দিয়ে করা যায়। ইন্টারনেট ব্যবহার করে সরাসরি গান বা চলচ্চিত্র উপভোগ করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয় রেডিও টেলিভিশনের চ্যানেলগুলোও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেখা যায়। তথ্যপ্রযুক্তি উন্নত হওয়ার ফলে নতুন কিছু বিনোদন যুক্ত হয়েছে। এসবের মধ্যে অন্যতম হলো কম্পিউটার গেম। তাই এখন গেম খেলতে মাঠে যেতে হয় না ঘরে বসেই খেলা যায়। প্রযুক্তির কারণে শুধু যে নতুন নতুন বিনোদনের জন্ম হচ্ছে তা নয়, সে বিনোদনগুলো এখন একেবারে সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এটি মাত্র শুরু, ভবিষ্যতে আইসিটি নির্ভর বিনোদন কোন পর্যায়ে যাবে সেটা কল্পনা করা অসম্ভব।

ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত লক্ষ্যটি হলো সকল শ্রেণির সব ধরনের মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আমাদের পুরাতন মানসিকতার পরিবর্তন করে ইতিবাচক বাস্তবতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা করা খুব জরুরি।
ডিজিটাল বাংলাদেশের পিছনের মূল কথাটি হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা এবং সেগুলোর জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা। ডিজিটাল বাংলাদেশের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে সকল শ্রেণির সব ধরনের মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন। এ লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের পুরাতন মানসিকতার পরিবর্তন করে ইতিবাচক বাস্তবতা এবং উদ্ভাবনী চিন্তা করা খুব জরুরি। ডিজিটাল বাংলাদেশের পিছনের মূল কথাটি হচ্ছে দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং সুবিচার নিশ্চিত করা এবং সেগুলোর জন্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার।
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্পের বাস্তবায়নে সরকার চারটি সুনির্দিষ্ট বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে। সেগুলো হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন, জনগণের সম্পৃক্ততা, সিভিল সার্ভিস এবং দৈনন্দিন জীবনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার। এর পাশাপাশি সবচেয়ে বড় যে বিষয়টি লক্ষণীয় তা হচ্ছে আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই গ্রামে বাস করে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রথম ধাপ হচ্ছে এই গ্রামীণ মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সেবার আওতায় নিয়ে আসা। সেজন্য এখনই বিশাল অবকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির পুরো সুবিধা পেতে হলে এক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান বাড়াতে হবে। আরও বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে সকল কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে উৎসাহী করতে হবে। তবেই অর্জিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশের চূড়ান্ত লক্ষ্য।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post