এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
HSC Business Organization and Management 1st Paper Srijonshil question and answer pdf download.
অধ্যায়-০৫
ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা
১ম পত্র
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Business Organization and Management 1st Paper
Srijonshil
Question and Answer pdf download
পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, এ অধ্যায়ে বোর্ড পরীক্ষা, শীর্ষস্থানীয় কলেজসমূহের নির্বাচনি পরীক্ষা এবং বাছাইকৃত এক্সক্লুসিভ মডেল টেস্টের প্রশ্নগুলোর পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেওয়া হয়েছে। এগুলো অনুশীলন করলে তোমরা এ অধ্যায় থেকে যেকোনো সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর সহজেই লিখতে পারবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০১
জনাব আরিফ ও তার ছয় বন্ধু একত্রিত হয়ে ৯০ কোটি টাকা মূলধন নিয়ে আনন্দ ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসায় গঠন করেন। আরিফ ও তার বন্ধু রিপন পরিচালক নিযুক্ত হন। তাদের সঠিক পরিচালনায় প্রতিষ্ঠানটি অল্প সময়েই সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে উচ্চহার সুদের ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। [ঢা. বো. ১৭]
ক. পরিমেল নিয়মাবলি কী? ১
খ. কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে কী বোঝ? ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে ১ম ও ২য় পর্যায়ের ব্যবসায়ের মধ্যে কোনটি অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও। ৪
১ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে দলিলে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি লিপিবদ্ধ থাকে এবং যা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পর্কের দিকনির্দেশনা প্রদান করে তাকে পরিমেল নিয়মাবলি (Articles of Association) বলে।
যে দলিলে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ ও দৈনন্দিন কাজ পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়ম-নীতি লিপিবদ্ধ থাকে এবং যা প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষমতা, কর্তৃত্ব ও সম্পর্কের দিকনির্দেশনা প্রদান করে তাকে পরিমেল নিয়মাবলি (Articles of Association) বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে সহজে বিলুপ্ত হয় না এমন অস্তিত্বকে বোঝায়।
চিরন্তন অস্তিত্ব বলতে সহজে বিলুপ্ত হয় না এমন অস্তিত্বকে বোঝায়।
কোম্পানি সংগঠন অন্যান্য ব্যবসায়ের মতো সহজে বিলুপ্ত হয় না। আইনানুযায়ী এ ব্যবসায় চিরন্তন অস্তিত্বের মর্যাদা লাভ করে। পৃথক ও স্বাধীন সত্তার কারণে শেয়ারহোল্ডারদের মৃত্যু, দেউলিয়াত্ব ও শেয়ার হস্তান্তর এ ব্যবসায়ের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে না। তাই কোম্পানি হলো চিরন্তন অস্তিত্বসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন হয়ে থাকে। এর পরিচালক সংখ্যা ২ জন। এ কোম্পানির শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয়। এছাড়া এটি জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের আহবান জানাতে পারে না।
উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সদস্য সংখ্যা ৭ জন। ব্যবসায়টিতে আরিফ ও তার বন্ধু রিপন এ দু’জন পরিচালক নিযুক্ত হন। তারা কোম্পানি পরিচালনায় ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভূমিকা রাখেন। এসব বৈশিষ্ট্য প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সাথে মিল রয়েছে। সুতরাং, পরিচালক ও সদস্য সংখ্যার ভিত্তিতে প্রথম পর্যায়ের ব্যবসায়টি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের ২য় পর্যায়ের ব্যবসায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিই অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
উদ্দীপকের ২য় পর্যায়ের ব্যবসায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিই অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সর্বনিম্ন সদস্য সংখ্যা ৭ জন এবং সর্বোচ্চ এর শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এর ন্যূনতম পরিচালক সংখ্যা ৩ জন। এর শেয়ার জনসাধারণের নিকট অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। তাই অর্থসংস্থানের সুযোগ বেশি থাকে।
উদ্দীপকের ১ম পর্যায়ের ব্যবসায়টি ছিল একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি। পরবর্তীতে তারা পরিচালকের সংখ্যা ও মূলধন বৃদ্ধিসহ ব্যবসায়টি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এ লক্ষ্যে তারা জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের উদ্যোগ নেন। ফলে ২য় পর্যায়ের ব্যবসায়টি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা বেশি বলে এখানে অধিক লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। তাছাড়া পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র অবাধে হস্তান্তর করতে পারে । ফলে অর্থনীতিতে মূলধন গঠনে অধিক ভূমিকা রাখতে পারে। অন্যদিকে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা কম থাকায়, বেশি মূলধন গঠনের সুযোগ থাকে না। অতএব, সুযোগ-সুবিধা বেচনায় ২য় পর্যায়ের পাবলিক লি. কোম্পানিটি অর্থনীতিতে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০২
“রাইট কোং লি.” অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় তা সংগ্রহ করার জন্য পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ব্যবসায়ে লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ৫ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায় যা কোম্পানিটি পরিশোধে অক্ষম। এ অবস্থা নিরসনে তারা উপরোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। [দি. বো. ১৭]
ক. ন্যূনতম চাঁদা কী? ১
খ. শেয়ার ও ঋণপত্রের মধ্যে পার্থক্য কী? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের কোম্পানিটি কোন ধরনের শেয়ার ইস্যু করতে চায়? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. অতিরিক্ত দেনার দায়ে কোম্পানিটি পরিচালনা সম্ভব না হলে সেটি কোন ধরনের অবসানে পড়বে? বিশ্লেষণ করো। ৪
২ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ নির্ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ থাকে তাকে ন্যূনতম চাঁদা বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ নির্ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্রুতি উল্লেখ থাকে তাকে ন্যূনতম চাঁদা বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
নিচে শেয়ার ও ঋণপত্রের মৌলিক পার্থক্যসমূহ উল্লেখ করা হলো-
নিচে শেয়ার ও ঋণপত্রের মৌলিক পার্থক্যসমূহ উল্লেখ করা হলো-
শেয়ার >-> ঋণপত্র
১. শেয়ার কোম্পানির মূলধনের অংশ। > ১.ঋণপত্র কোম্পানির ঋণ গ্রহণের দলিল।
২. মূলধন সংগ্রহ শেয়ার বিক্রয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য। > ২. ঋণ সংগ্রহ ঋণপত্র বিক্রয়ের মুখ্য উদ্দেশ্য।
৩. শেয়ার গ্রহীতাগণ কোম্পানির মালিক। > ৩.ঋণপত্র গ্রহীতাগণ কোম্পানির পাওনাদার।
৪.শেয়ার বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির নিজস্ব মূলধন। > ৪.ঋণপত্র বিক্রয়লব্ধ অর্থ কোম্পানির ঋণকৃত মূলধন।
৫.শেয়ারমালিকগণ ব্যবসায় হতে লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। > ৫.ঋণপত্রের মালিকগণ ব্যবসায় হতে সুদ পেয়ে থাকেন।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়।
উদ্দীপকের কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়।
কোম্পানি অধিকতর মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নতুন শেয়ার বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। এ সময় তারা পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার প্রদান করে। এ ধরনের শেয়ার রাইট শেয়ার নামে পরিচিত।
উদ্দীপকের ‘রাইট কোং লি.’ অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হওয়ায় তা সংগ্রহ করার জন্য পুরাতন শেয়ারহোল্ডারদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কোম্পানিতে অধিক মূলধনের প্রয়োজন হলেই এ ধরনের শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া ভালো অবস্থায় থাকলে শেয়ার বাজারে তার শেয়ারের দামও বেশি থাকে। সে অবস্থায় নতুন ইস্যুকৃত শেয়ারে পুরাতন শেয়ার মালিকগণ তাদের স্বার্থ দাবি করতে পারেন। এরূপ দাবি পূরণের জন্যই কার্যত এ ধরনের শেয়ার বণ্টন পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকের কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যু করতে চায়।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
অতিরিক্ত দেনার দায়ে কোম্পানি পরিচালনা সম্ভব না হলে আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসান ঘটাতে পারে।
অতিরিক্ত দেনার দায়ে কোম্পানি পরিচালনা সম্ভব না হলে আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসান ঘটাতে পারে।
শেয়ার মালিক, পাওনাদার বা কোম্পানির নিবন্ধকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বা অন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণে আদালত কোম্পানি বিলোপসাধনের নির্দেশ দিতে পারে। এরূপ ক্ষেত্রে নির্দেশপ্রাপ্ত কোম্পানির আদালত কর্তৃক বাধ্যতামূলক অবসান হয়ে থাকে।
উদ্দীপকের ‘রাইট কোং লি.’ ব্যবসায়ের লোকসানের কারণে প্রতিষ্ঠানটির ৫ কোটি টাকা দেনা হয়ে যায় যা কোম্পানিটি পরিশোধে অক্ষম। এ অবস্থা নিরসনে কোম্পানিটি রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। কোম্পানি আইনের ২৪২ ধারার বিধান অনুযায়ী, পাঁচ হাজার টাকা বা এর বেশি পরিমাণ কোনো ঋণ পরিশোধে অক্ষম হলে ঐ কোম্পানির আদালতের নির্দেশানুযায়ী বাধ্যতামূলক বিলোপসাধন হয়। উদ্দীপকের কোম্পনিটির দেনা হয়েছে ৫ কোটি টাকা এবং তা পরিশোধেও কোম্পানিটি অক্ষম। সুতরাং, এখন আদালতের নির্দেশে কোম্পানিটি বাধ্যতামূলকভাবে অবসান ঘটাতে পারে ।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৩
রতন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে টাঙ্গাইলে ‘বিডি ফার্নিচার’ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তাদের প্রাথমিক মূলধন ১০ কোটি টাকা। সবার প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতার মুখ দেখে। পরবর্তীতে তারা প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে চান। [কু. বো. ১৭]
ক. বাণিজ্য কী? ১
খ. বিবরণপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি কোন ধরনের? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. তুমি কি মনে করো প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে? মতামত দাও। ৪
৩ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ভোক্তা কিংবা ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য সম্পাদিত যাবতীয় (ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন) কাজকে বাণিজ্য বলে।
উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী ভোক্তা কিংবা ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছানোর জন্য সম্পাদিত যাবতীয় (ক্রয়, বিক্রয়, পরিবহন) কাজকে বাণিজ্য বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে তাকে বিবরণপত্র বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি মূলধন সংগ্রহের উদ্দেশ্যে শেয়ার বিক্রয়ের জন্য যে বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে তাকে বিবরণপত্র বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহকালেই বিবরণপত্র নিবন্ধকের নিকট জমা দিতে হয়। বিবরণপত্রে কোম্পানির প্রয়োজনীয় সব তথ্যের উল্লেখ করার প্রয়োজন হয়, ফলে কোম্পানির শেয়ার ক্রয়ে জনসাধারণ উদ্বুদ্ধ হয়।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি সংগঠন।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ২ জন এবং সর্বোচ্চ ৫০ জন। এটি গঠনে আইনের আনুষ্ঠানিকতা কম পালন করতে হয়। কমপক্ষে দু’জন পরিচালক নিয়েই এ কোম্পানি পরিচালনা করা যায়।
উদ্দীপকের রতন তার পাঁচ বন্ধুকে নিয়ে টাঙ্গাইলে ‘বিডি ফার্নিচার’ নামে একটি কারখানা গড়ে তোলেন। তাদের প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতা লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটিতে সদস্য সংখ্যা ছিল মোট ৬ জন। তাই উক্ত প্রতিষ্ঠানটিকে সদস্য সংখ্যা বিচারে প্রাইভেট লিমিটেড বলা যায়।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি আইনানুযায়ী জনগণের উদ্দেশ্যে শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয়ের আহবান জানাতে পারে না। এর শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য নয়।
উদ্দীপকের রতন ও তার পাঁচ বন্ধু মিলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি গড়ে তোলেন। প্রতিষ্ঠানটি দ্রুত সফলতা অর্জন করায় তারা এটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এজন্য তারা ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে জনগণের মাঝে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহ করতে চান।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় জনসাধারণের কাছে শেয়ার ক্রয়ের আহবান জানাতে পারবে না। শেয়ার বিক্রয় করতে হলে এর সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে কমপক্ষে ৭ জন করতে হবে। যাতে এটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়। এরপর তারা কোম্পানির আইনানুযায়ী অবাধে শেয়ার ও ঋণপত্র জনসাধারণের নিকট বিক্রয় করে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে। সুতরাং, বিডি ফার্নিচার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হওয়ার আগ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারবে না।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৪
মি. সাত্তার একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। তিনি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে মুনাফা অর্জন করেন। তিনি তিস্তা ব্যাংক লিমিটেডের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। সব সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকলেও তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। [চ. বো. ১৭]
ক. সমবায় সমিতি কী? ১
খ. ঋণপত্র বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মি. সাত্তার কোন ধরনের শেয়ার ক্রয় করেছেন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি মি. সাত্তারের যেসব সুবিধা নিশ্চিত করবে তা বিশ্লেষণ করো। ৪
৪ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
পারস্পরিক অর্থনৈতিক কল্যাণের লক্ষ্যে সমান শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিবর্গ মিলিত হয়ে যে সংগঠন গড়ে তোলে তাকে সমবায় সমিতি বলে।
পারস্পরিক অর্থনৈতিক কল্যাণের লক্ষ্যে সমান শ্রেণিভুক্ত ব্যক্তিবর্গ মিলিত হয়ে যে সংগঠন গড়ে তোলে তাকে সমবায় সমিতি বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যে দলিলের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাকে ঋণপত্র বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি যে দলিলের মাধ্যমে জনসাধারণের কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করে তাকে ঋণপত্র বলে।
কোম্পানির অতিরিক্ত মূলধনের প্রয়োজন হলে ঋণপত্র বিক্রির মাধ্যমে তা সংগ্রহ করে। এটি প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এজন্য নির্দিষ্ট হারে সুদও দিতে হয়। ঋণপত্রে এ ঋণের পরিমাণ, সুদের হার, ঋণের মেয়াদ ইত্যাদি বিষয় স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের মি. সাত্তার সাধারণ শেয়ার ক্রয় করেছেন।
উদ্দীপকের মি. সাত্তার সাধারণ শেয়ার ক্রয় করেছেন।
আইনানুযায়ী সাধারণ শেয়ারের মালিকগণ অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিভিন্ন দিক বিচারে অধিক সুবিধা ও মর্যাদা লাভ করেন। তবে তারা লভ্যাংশ বণ্টনে ও কোম্পানি অবসানের সময় মূলধন ফেরতে অগ্রাধিকার পান না।
উদ্দীপকের মি. সাত্তার তিস্তা ব্যাংক লিমিটেডের কিছু শেয়ার ক্রয় করলেন। শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতা লাভ করেন। সব সুযোগ-সুবিধা ঠিক থাকলেও তিনি লভ্যাংশ প্রাপ্তিতে অনিশ্চয়তায় ভোগেন। এসব বৈশিষ্ট্য সাধারণ শেয়ারের সাথে মিল রয়েছে। তাই বলা যায়, মি. সাত্তার সাধারণ শেয়ার ক্রয় করেছেন।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি মি. সাত্তারকে সাধারণ শেয়ারের সব সুবিধা নিশ্চিত করবে।
উদ্দীপকে বর্ণিত প্রতিষ্ঠানটি মি. সাত্তারকে সাধারণ শেয়ারের সব সুবিধা নিশ্চিত করবে।
ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত মালিক হলেন সাধারণ শেয়ারহোল্ডারগণ । এরূপ শেয়ারহোল্ডারগণ অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিভিন্ন দিক বিচারে অধিক সুবিধা ও মর্যাদা লাভ করেন। এ ধরনের শেয়ার মালিকের দায় বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে।
উদ্দীপকের মি. সাত্তার তিস্তা ব্যাংকের শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে সাধারণ শেয়ারের মালিক হন। ফলে তিনি ব্যাংকটির সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে মতামত প্রকাশের সুযোগ পান। আবার ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষমতাও লাভ করেন। এ ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কোম্পানির পরিচালক পর্ষদ নির্বাচিত করা হয়।
এছাড়া যত দিন কোম্পানির অস্তিত্ব থাকবে শেয়ার হস্তান্তর না করলে, মি. সাত্তার তত দিন ঐ কোম্পানির মালিক থাকবেন। শেয়ারহোল্ডার হিসেবে তিনি কোম্পানির যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখতে পারবেন। এছাড়া তাকে বিনিয়োগকৃত মূলধনের বেশি দায় বহন করতে হবে না। এসব সুবিধা উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মি. সাত্তার নিশ্চিতভাবে ভোগ করবেন।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৫
জনাব আরেফিন, ক ও খ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে জড়িত। ক প্রতিষ্ঠানটি ট্রেড লাইসেন্স এবং খ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনপত্র নিয়ে কাজ শুরু করেন। দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেছিল। মেয়াদ শেষে ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য ক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ব্যাংক জনাব আরেফিনকে নোটিশ প্রদান করে। খ-এর ক্ষেত্রে মালিক আরেফিনের পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ দেয়। দুটি প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে সচ্ছল। [সি. বো. ১৭]
ক. শিল্প কী? ১
খ. ‘ব্যবসায় বেকার সমস্যা দূর করে’- ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত খ প্রতিষ্ঠানটি মালিকানাভিত্তিক কোন ধরনের ব্যবসায় সংগঠন? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে জনাব আরেফিনকে ক প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে ঋণদায় পরিশোধের নোটিশ প্রদানের যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ করো। ৪
৫ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলে।
যে প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক সম্পদ ও কাঁচামালকে প্রক্রিয়াজাত করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী পণ্যে পরিণত করা হয় তাকে শিল্প বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে পরিচালিত যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে।
মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বৈধভাবে পরিচালিত যাবতীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে ব্যবসায় বলে।
ব্যবসায় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে। ব্যবসায়িক কাজ বৃদ্ধি পেলে দেশে অধিক শিল্প কারখানা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ব্যবসায় স্বকর্মসংস্থানের অন্যতম উৎস। পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে অনেকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। এভাবে ব্যবসায় বেকার সমস্যা দূর করে।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত খ প্রতিষ্ঠানটি মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
উদ্দীপকে বর্ণিত খ প্রতিষ্ঠানটি মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
কোম্পানি সংগঠন হলো কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত সীমিত দায়বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পর এ সংগঠন ব্যবসায় কার্যক্রম শুরু করতে পারে।
উদ্দীপকের জনাব আরেফিন ক ও খ নামক দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে জড়িত। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে খ প্রতিষ্ঠানটি নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করে দেয়। এটি কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী হওয়ায় নিজ নামে পরিচালিত হয়। এর সত্তা মালিক থেকে সম্পূর্ণ পৃথক। এসব বৈশিষ্ট্য কোম্পানি সংগঠনের সাথে মিল রয়েছে। তাই বলা যায়, খ প্রতিষ্ঠানটি মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের ক প্রতিষ্ঠানটি একমালিকানা ব্যবসায় হওয়ায় জনাব আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান যুক্তিসঙ্গত হয়েছে।
উদ্দীপকের ক প্রতিষ্ঠানটি একমালিকানা ব্যবসায় হওয়ায় জনাব আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান যুক্তিসঙ্গত হয়েছে।
একমালিকানা ব্যবসায় হলো একক মালিকানায় গঠিত ও পরিচালিত ব্যবসায়। যে কেউ ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করে এ ব্যবসায় গঠন করতে পারেন। এ ব্যবসায় মালিকের নামেই পরিচালিত হয়। এজন্য ব্যবসায়ের দায় মালিককেই বহন করতে হয়।
উদ্দীপকের জনাব আরেফিন ক নামক প্রতিষ্ঠানের মালিকানার সাথে সম্পৃক্ত। এটি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করে। মেয়াদ শেষে ব্যাংকটি জনাব আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান করে। অর্থাৎ, প্রতিষ্ঠানটি একমালিকানা ব্যবসায়।
এ ব্যবসায়ের সদস্যদের দায় অসীম। এজন্য বিনিয়োগকৃত মূলধন দিয়ে দায় পরিশোধ করা সম্ভব না হলে, সদস্যদের ব্যক্তিগত সম্পদ দিয়ে দায় পরিশোধ করতে হয়। তাই উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি একমালিকানা ব্যবসায় হওয়ায় ব্যাংক জনাব আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের জন্য নোটিশ প্রদান করেছে তিনি এ ঋণ পরিশোধে বাধ্য থাকবেন। সুতরাং বলা যায়, ব্যাংক কর্তৃক জনাব আরেফিনকে ঋণ পরিশোধের নোটিশ প্রদান করা যৌক্তিক হয়েছে।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৬
মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে এমন একটি ব্যবসায় সংগঠন গঠন করার জন্য পরিকল্পনা করেন, যাতে জনগণ থেকেও মূলধন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। তাই তারা প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে একটি সনদ ইস্যু করেন। কিন্তু ব্যবসায় শুরু করার জন্য আরও দলিলপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করত হবে। [সি. বো. ১৭]
ক. যোগ্যতাসূচক শেয়ার কী? ১
খ. তফসিল অ বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. মাশরাফির ব্যবসায় সংগঠনের মালিকানাভিত্তিক ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে উল্লিখিত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য মাশরাফিদের করণীয় লেখো। ৪
৬ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে নির্ধারিত সংখ্যক সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়, তাকে পরিচালকের যোগ্যতাসূচক শেয়ার বলে।
যে নির্ধারিত সংখ্যক সাধারণ শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যায়, তাকে পরিচালকের যোগ্যতাসূচক শেয়ার বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
কোম্পানির বিধিমালা বা ধারাসমূহের বর্ণনার তালিকাকে তফসিল অ বলে।
কোম্পানির বিধিমালা বা ধারাসমূহের বর্ণনার তালিকাকে তফসিল অ বলে।
নির্দিষ্ট ধারা বা বিধিমালা অনুযায়ী একটি কোম্পানি গঠিত ও পরিচালিত হয়। তফসিল অ-তে এ ধারাসমূহের পূর্ণাঙ্গ ব্যাখ্যা ও আলোচনা করা হয়। এতে কোম্পানির পরিচালনাসংক্রান্ত যাবতীয় নিয়মাবলি লিপিবদ্ধ থাকে।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
মাশরাফিদের ব্যবসায় সংগঠন মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
মাশরাফিদের ব্যবসায় সংগঠন মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
কোম্পানি সংগঠন হলো কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত, পরিচালিত সীমিত ও দায়বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। এ ধরনের সংগঠন জনগণের নিকট শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। নিবন্ধনপত্র ও কার্যারম্ভের অনুমিত পত্র গ্রহণের মাধ্যমে এ সংগঠন চালু করা যায়।
উদ্দীপকের মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে একটি ব্যবসায় সংগঠন গঠন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তারা এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহ করতে চায়। এজন্য তারা নিবন্ধনপত্র সংগ্রহ করেন। আবার কার্যারম্ভের জন্য অনুমিতপত্রও গ্রহণ করবেন। এসব কর্মকাণ্ড কোম্পানি সংগঠনের সাথে জড়িত। তাই বলা যায়, মাশরাফিদের ব্যবসায়টি মালিকানার ভিত্তিতে কোম্পানি সংগঠন।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের সংগঠনটির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য মাশরাফিদের কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
উদ্দীপকের সংগঠনটির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার জন্য মাশরাফিদের কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হবে।
নিবন্ধনপত্র সংগ্রহের পর পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে কাজ শুরুর জন্য অনুমতিপত্র সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য বিবরণপত্র, যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয় ও ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহের ঘোষণা পত্র নিবন্ধকের অফিসে জমা দিতে হয়।
উদ্দীপকের মাশরাফি ও তার ৬ বন্ধু মিলে একটি কোম্পানি সংগঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এ লক্ষ্যে তারা প্রয়োজনীয় দলিলপত্রসহ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হয়ে তাদেরকে একটি সনদ (নিবন্ধনপত্র) ইস্যু করেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যবসায় শুরু করার জন্য আরও দলিলপত্রসহ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে বলেন।
উদ্দীপকের মাশরাফিরা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি গঠন করতে চান। তাই তাদেরকে নিবন্ধনপত্র সংগ্রহের পাশাপাশি কার্যারম্ভের অনুমিতপত্রও গ্রহণ করতে হবে। আর কার্যারম্ভের অনুমিতপত্র সংগ্রহের জন্য তাদেরকে বিবরণপত্র, যোগ্যতাসূচক শেয়ার ক্রয় ও ন্যূনতম চাঁদা সংগ্রহের ঘোষণাপত্র নিবন্ধকের অফিসে জমা দিতে হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা মাশরাফিদের প্রতিষ্ঠানের জন্য সম্পন্ন করতে হবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৭
জনাব জাকির তার ১০ (দশ) বন্ধুকে নিয়ে ঢাকা শহরে ‘রনি এন্টারপ্রাইজ’ নামক একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হতে অনুমতিপত্র গ্রহণের মাধ্যমে তারা ব্যবসায় গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তাদের মূলধনের পরিমাণ ৪৮ কোটি টাকা। দক্ষতা ও সুনামের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ১৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে। সম্প্রতি তারা ব্যবসায় সম্প্রসারণের চিন্তা করেন, যার জন্য অতিরিক্ত ২৩ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন, যা শেয়ার বিক্রি অথবা ব্যাংক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন। [য. বো. ১৭]
ক. স্মারকলিপি কী? ১
খ. ইক্যুইটি শেয়ার বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবসায় সংগঠনটি কোন প্রকৃতির? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির কোন উৎস হতে মূলধন সংগ্রহ করা শ্রেয় বলে তুমি মনে করো? যুক্তিসহ মতামত দাও। ৪
৭ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে মূল দলিলে কোম্পানির মৌলিক বিষয়াবলি (নাম, ঠিকানা, উদ্দেশ্য, দায়, মূলধন) সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে স্মারকলিপি বা পরিমেলবন্ধ বলে।
যে মূল দলিলে কোম্পানির মৌলিক বিষয়াবলি (নাম, ঠিকানা, উদ্দেশ্য, দায়, মূলধন) সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ থাকে তাকে স্মারকলিপি বা পরিমেলবন্ধ বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির মালিক বা অংশীদার হওয়া যায় তাকে ইক্যুইটি শেয়ার বলে।
যে শেয়ার ক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির মালিক বা অংশীদার হওয়া যায় তাকে ইক্যুইটি শেয়ার বলে।
ইক্যুইটি শেয়ার সাধারণ শেয়ার হিসেবে পরিচিত। এ শেয়ারহোল্ডারদের কোম্পানির পরিচালনার ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। কোম্পানির সমস্ত ঝুঁকি তারাই বহন করে। অগ্রাধিকার শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করার পর তারা কোম্পানির লভ্যাংশ পায়।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবসায় সংগঠনটি হলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবসায় সংগঠনটি হলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির সদস্য সংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন ও সর্বোচ্চ শেয়ার সংখ্যা দ্বারা সীমাবদ্ধ। এর শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য। শেয়ার ও ঋণপত্র ক্রয়ের জন্য এ সংগঠন জনগণকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে। ফলে এর মূলধনের পরিমাণও অধিক হয়।
উদ্দীপকের জনাব জাকির তার ১০ বন্ধুকে নিয়ে ‘রনি এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ হতে অনুমতিপত্র গ্রহণের মাধ্যমে তারা ব্যবসায় গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। এক্ষেত্রে তারা কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেন। শুধু পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রেই এটি গ্রহণ করতে হয়। সুতরাং বলা যায়, বৈশিষ্ট্যানুযায়ী উক্ত ব্যবসায় সংগঠনটি একটি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা শ্রেয় হবে বলে আমি মনে করি।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করা শ্রেয় হবে বলে আমি মনে করি।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে কোম্পানির মূলধন সংগ্রহ করতে পারে। এরূপ সংগৃহীত অর্থ ব্যবসায় বিলোপের আগে ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।
উদ্দীপকের জনাব জাকির তার বন্ধুদের নিয়ে পাবলিক লিমিটেড কোম্পনি গঠন করেছেন। দক্ষতা ও সুনামের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ২০১৫ সালে ১৭ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে। সম্প্রতি তারা ব্যবসায় সম্প্রসারণের চিন্তা করেন। ফলে তাদের অতিরিক্ত ২৩ কোটি টাকা মূলধন প্রয়োজন, যা শেয়ার বিক্রি বা ব্যাংক ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন।
এক্ষেত্রে শেয়ার বিক্রির মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করলে ব্যবসায় অবসানের আগে অর্থ ফেরত দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয় তাহলে তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুদসহ ফেরত দিতে হবে। এটি অধিক ব্যয়বহুল ও ঝামেলাপূর্ণ। তাই ব্যাংক ঋণ না নিয়ে শেয়ার বিক্রয়ের মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহ করাই শ্রেয় হবে।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৮
জনাব সিফাত ও তার ১০ বন্ধু মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করার উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে একটি পত্র ইস্যু করেন। পত্রটি পাওয়ার পর তারা ব্যবসায় আরম্ভ করেন। ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য তারা জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। [য. বো. ১৭]
ক. হোল্ডিং কোম্পানি কাকে বলে? ১
খ. কোম্পানির কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা বলতে কী বোঝায়? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত পত্রটির ধরন ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. মূলধন সংগ্রহের জন্য উদ্দীপকে উল্লিখিত সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মূল্যায়ন করো। ৪
৮ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে কোম্পানি অন্য কোনো কোম্পানির সব শেয়ার অথবা ৫০%-এর বেশি শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ করে তাকে হোল্ডিং কোম্পানি বলে।
যে কোম্পানি অন্য কোনো কোম্পানির সব শেয়ার অথবা ৫০%-এর বেশি শেয়ার ক্রয় করার মাধ্যমে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের অধিকার লাভ করে তাকে হোল্ডিং কোম্পানি বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
যে সত্তা বা অস্তিত্ব বলে কোম্পানি নিজ নামে গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে কোম্পানির কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা বলে।
যে সত্তা বা অস্তিত্ব বলে কোম্পানি নিজ নামে গঠিত ও পরিচালিত হয় তাকে কোম্পানির কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তা বলে।
কোম্পানিকে তার মালিক বা শেয়ারহোল্ডার থেকে সম্পূর্ণ পৃথক সত্তা হিসেবে দেখা হয়। এটি ব্যক্তি না হয়েও নিজ নামে চুক্তি সম্পাদন, লেনদেন ও প্রয়োজনে মামলা-মোকদ্দমা দায়ের করতে পারে। এজন্যই কোম্পানিকে কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী বলা হয়।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত পত্রটি হলো নিবন্ধনপত্র।
উদ্দীপকের কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত পত্রটি হলো নিবন্ধনপত্র।
উদ্যোক্তাগণ কোম্পানি আইনের প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা পালন করে নিবন্ধকের নিকট হতে নিবন্ধনপত্র সংগ্রহ করেন। এরূপ দলিলকে কোম্পানির জš§সনদ বলা হয়।
উদ্দীপকের জনাব সিফাত ও তার ১০ বন্ধু মিলে একটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গঠন করার উদ্যোগ নেন। প্রয়োজনীয় কাগজসহ তারা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন করেন। কর্তৃপক্ষ কাগজপত্র যাচাই করে সন্তুষ্ট হয়ে একটি পত্র ইস্যু করেন। পত্রটি পাওয়ার পর তারা ব্যবসায় আরম্ভ করেন। প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় এ পত্র পাওয়ার পরই ব্যবসায় আরম্ভ করতে পেরেছে। বৈশিষ্ট্যানুযায়ী এ পত্রটি নিবন্ধনপত্রের আওতায় পড়ে। সুতরাং বলা যায়, কর্তৃপক্ষ নিবন্ধনপত্র ইস্যু করেছিল।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া অযৌক্তিক।
উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় জনগণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া অযৌক্তিক।
প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি জনসাধারণের নিকট অবাধে শেয়ার ও ঋণপত্রে ক্রয়ের আহবান জানাতে পারে না। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তারা নিজেরাই মূলধনের ব্যবস্থা করেন।
উদ্দীপকে উল্লিখিত সিফাত ও তার বন্ধুরা নিবন্ধনপত্র পাওয়ার পরপরই ব্যবসায়ের কাজ শুরু করেন। তাদের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় কাজ শুরু করতে কোনো অনুমতির প্রয়োজন হয়নি। সম্প্রতি ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য তারা জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। এক্ষেত্রে তারা শেয়ার বা ঋণপত্র বিক্রয় করতে চান।
প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ায় তারা জনগণের কাছে অবাধে শেয়ার বা ঋণপত্র বিক্রয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে না। এজন্য তাদের কোম্পানিকে পাবলিক লিমিটেডে পরিণত করতে হবে। কারণ শুধু পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিই জনগণের কাছে অবাধে শেয়ার ও ঋণপত্র বিক্রয় করতে পারে। সুতরাং উদ্দীপকের প্রতিষ্ঠানটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হওয়ার কারণেই জনগণের কাছ থেকে মূলধন সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া কোম্পানি আইনানুযায়ী অযৌক্তিক।
সৃজনশীল প্রশ্ন-০৯
আধুনিক বিশ্বে কোনো দেশই নিজে একাই ব্যবসায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট নয়। কোনো দেশের আছে দক্ষ জনশক্তি আবার কোনো দেশের আছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তৃতীয়পক্ষের মাধ্যমে জনশক্তি ও আইসিটি সেবা ভাড়া নেয়। [ব. বো. ১৭]
ক. শেয়ার কী? ১
খ. ন্যূনতম মূলধন বলতে কী বোঝ? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকে কোন ধরনের সাম্প্রতিককালের ব্যবসায়ের বর্ণনা আছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকে বর্ণিত ব্যবসায় বেকার সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে পারে -তুমি কি একমত? মতামত দাও। ৪
৯ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
কোম্পানির মোট মূলধনকে সমমূল্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা হয়, যার প্রত্যেক একককে শেয়ার বলে।
কোম্পানির মোট মূলধনকে সমমূল্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করা হয়, যার প্রত্যেক একককে শেয়ার বলে।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ নির্ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ থাকে তাকে ন্যূনতম মূলধন বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির পরিমেল নিয়মাবলিতে কোম্পানি গঠনের প্রাথমিক খরচ নির্ধারণের জন্য যে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের প্রতিশ্রুতির উল্লেখ থাকে তাকে ন্যূনতম মূলধন বলে।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগ্রহ ও শেয়ার বিলির পূর্বে ন্যূনতম মূলধন সংগ্রহের কাজ করে। এ মূলধনের অর্থ দিয়ে কোম্পানির প্রাথমিক ব্যয় ও গঠন সংক্রান্ত ব্যয় নির্বাহ করা হয়। এরূপ মূলধন সংগ্রহ ব্যতীত পাবলিক কোম্পানি কার্যারম্ভের অনুমতি পায় না।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে সাম্প্রতিককালের আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের বর্ণনা আছে।
উদ্দীপকে সাম্প্রতিককালের আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের বর্ণনা আছে।
চুক্তির মাধ্যমে নিজ প্রতিষ্ঠানের বাইরে অন্য কাউকে দিয়ে কাজ করানো হলো আউটসোর্সিং। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের কাজ বর্তমানে আউটসোর্সিং- এর মাধ্যমে করা হয়।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য, আধুনিক বিশ্বে কোনো দেশই নিজে একা ব্যবসায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট নয়। কোনো দেশের পর্যাপ্ত দক্ষ জনশক্তি আছে আবার কোনো দেশের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আছে। এজন্য বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জনশক্তি ও আইসিটি সেবা ভাড়া নেয়। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তির মাধ্যমে এরূপ কাজ করানো হয়। নির্ধারিত সময়ে ও যথানিয়মে কাজ শেষ হলে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে এর বিল পরিশোধ করা হয়। বৈশিষ্ট্যানুযায়ী এরূপ কার্যক্রম আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সুতরাং বলা যায়, উদ্দীপকে সাম্প্রতিককালের আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের বর্ণনা করা হয়েছে।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
উদ্দীপকে বর্ণিত ‘আউটসোর্সিং ব্যবসায় দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে পারে’- আমি এর সাথে একমত।
উদ্দীপকে বর্ণিত ‘আউটসোর্সিং ব্যবসায় দেশের বেকার সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে পারে’- আমি এর সাথে একমত।
একটা প্রতিষ্ঠান সব কাজ নিজে না করে বা সব কাজে নিয়মিত কর্মী নিয়োগ না দিয়ে বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে লোক নিয়ে চুক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে পারে। এটি আউটসোর্সিং ব্যবসায়ের অন্তর্ভুক্ত।
উদ্দীপকে উল্লেখ্য বর্তমান সময়ে কোনো দেশই নিজে একা ব্যবসায় কাজ করার জন্য যথেষ্ট নয়। অন্য দেশ থেকে জনবল নিয়ে নিজের দেশের আধুনিক যন্ত্রপাতির সহায়তায় ব্যবসায়ের কাজ করানো হচ্ছে। এতে ঐ দেশ আরও উন্নত হচ্ছে।
এ ধরনের আউটসোর্সিং ব্যবসায় চালু হওয়ার ফলে দক্ষ ও বেকার জনশক্তি এখন ভালো কাজের সুযোগ পাচ্ছে। এক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে ও যথানিয়মে কাজ শেষ হলে ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে তারা সহজেই বিল পেয়ে যায়। স্বল্প খরচে ও সহজেই আউটসোর্সিং-এর কাজ নিয়ে বেকার সমাজ খুব দ্রুত নিজেদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি করতে পারে। এদের দেখে অন্য যুবসমাজও ঘরে বসে না থেকে আউটসোর্সিং-এর কাজে নিজেদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পাচ্ছে। সব দিক বিবেচনায় এটি বেকার সমস্যা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা রাখে বলে আমি মনে করি।
মাহী সাত জন উদ্যোক্তা নিয়ে পদ্মা লি. নামে একটি যৌথ মূলধনী কোম্পানি গঠন করে। কোম্পানির স্মারকলিপিতে ২০ কোটি টাকা মূলধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা ১,০০০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। কোম্পানি গঠনের পাঁচ বছর পর মেঘনা লি. কোম্পানি পদ্মা লি. কোম্পানির ৫৫% শেয়ার কিনে নেয়। ফলে মেঘনা লি. পদ্মা লি. কোম্পানির অধিকাংশ পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা লাভ করে। [ঢা. বো. ১৬]
ক. পাবলিক লি. কোম্পানির ন্যূনতম পরিচালক সংখ্যা কত? ১
খ. কোম্পানি সংগঠন কীভাবে মূলধন গঠনে ভূমিকা রাখে? ব্যাখ্যা করো। ২
গ. সূত্রের সাহায্যে পদ্মা লি. কোম্পানির বর্তমান শেয়ার সংখ্যা নির্ণয় করো। ৩
ঘ. পদ্মা লি. কোম্পানি ও মেঘনা লি. কোম্পানির মধ্যে পার্থক্য বিশ্লেষণ করো। ৪
১০ নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
'ক' নং প্রশ্নের উত্তর:
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ন্যূনতম পরিচালক সংখ্যা তিনজন।
পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ন্যূনতম পরিচালক সংখ্যা তিনজন।
'খ' নং প্রশ্নের উত্তর:
কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী সীমিত দায়বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি সংগঠন বলে।
কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত ও পরিচালিত কৃত্রিম ব্যক্তিসত্তার অধিকারী সীমিত দায়বিশিষ্ট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি সংগঠন বলে।
কোম্পানি সংগঠনে সদস্য সংখ্যা অধিক থাকে। এতে অধিক মূলধন সংগ্রহ হয়। আবার প্রয়োজনে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বাজারে শেয়ার ছাড়তে পারে। কোম্পানি আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান বলে ব্যাংকও ঋণ দিতে উৎসাহী হয়। এভাবেই কোম্পানি সংগঠন মূলধন গঠনে ভূমিকা রাখে।
'গ' নং প্রশ্নের উত্তর:
আইন অনুযায়ী কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনকে নির্দিষ্ট সমমূল্যের ক্ষুদ্র ও সমান এককে ভাগ করা হয়। এর প্রত্যেকটি ক্ষুদ্রতম ভাগই হলো একেকটি শেয়ার।
আইন অনুযায়ী কোম্পানি সংগঠনের মোট মূলধনকে নির্দিষ্ট সমমূল্যের ক্ষুদ্র ও সমান এককে ভাগ করা হয়। এর প্রত্যেকটি ক্ষুদ্রতম ভাগই হলো একেকটি শেয়ার।
পদ্মা লি. কোম্পানির স্মারকলিপিতে ২০ কোটি টাকা মূলধনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যা ১,০০০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ারে বিভক্ত। অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা হলো ২০,০০,০০,০০০/১,০০০ বা ২,০০,০০০। কোম্পানির ৫৫% শেয়ার মেঘনা লি. কিনে নেয়। পদ্মা লি. কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৪৫% বা ২,০০,০০০x৪৫/১০০ বা ৯০,০০০ সংখ্যক শেয়ার। অর্থাৎ, পদ্মা লি.-এর বর্তমান শেয়ার ৯০,০০০।
'ঘ' নং প্রশ্নের উত্তর:
পদ্মা লি. সাবসিডিয়ার কোম্পানি এবং মেঘনা লি. কোম্পানি হোল্ডিং কোম্পানি হওয়ায় এদের মধ্যে বহুবিধ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
পদ্মা লি. সাবসিডিয়ার কোম্পানি এবং মেঘনা লি. কোম্পানি হোল্ডিং কোম্পানি হওয়ায় এদের মধ্যে বহুবিধ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
যদি কোনো কোম্পানি অন্য কোনো কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি শেয়ারের মালিক হয় তাকে হোল্ডিং কোম্পানি বলে। আর কোম্পানি আইনের ২(২) ধারা অনুযায়ী কোনো কোম্পানির ৫০ ভাগের বেশি শেয়ার অন্য কোম্পানির অধীনে থাকলে তাকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে।
মাহী সাতজন উদ্যোক্তা নিয়ে পদ্মা লি. নামে কোম্পানি গঠন করে। কোম্পানি গঠনের ৫ বছর পর মেঘনা লি. পদ্মা লি. কোম্পানির ৫৫% শেয়ার কিনে নেয়। ফলে মেঘনা লি. কোম্পানি পদ্মা লি. কোং-এর অধিকাংশ পরিচালক নিয়োগের ক্ষমতা লাভ করে।
বর্তমান শর্ত অনুযায়ী ৫৫% শেয়ার ক্রয় করায় মেঘনা লি. হলো হোল্ডিং কোম্পানি। আইনানুযায়ী মেঘনা লি. কোম্পানি মোট ভোট দান ক্ষমতা বেশি পাবে। আবার সাবসিডিয়ারি কোম্পানি হওয়ায় পদ্মা লি. প্রতিষ্ঠানটিতে ভোট দান ক্ষমতা হ্রাস পাবে। এতে পরিচালকও নিয়োগ হবে মেঘনা লি.-এর মাধ্যমে। তাই বলা যায়, মেঘনা লি. ও পদ্মা লি.-এর মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
Good
ReplyDelete