প্রবাদ-প্রবচন | বাংলা ২য় পত্র

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
প্রবাদ-প্রবচন
অসারের তর্জন গর্জন সার (গুণহীনের ব্যর্থ আষ্ফালন) 

অভাবে স্বভাব নষ্ট (অভাবে পড়লে ভাল মানুষও অসৎ হয়) 

অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী (অল্প বিদ্যার অতি দর্প) 

অতি দর্পে হত লঙ্কা (অহঙ্কারই পতেনর মূল) 

অতি চালাকের গলায় দড়ি (বেশি চালাকি করিয়া অন্যকে ঠকাইতে গেলে অনেক সময়ে নিজেকে বিপদে পড়িতে হয়)

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট (বেশি লোভে সর্বস্ব হারাইতে হয়) 

অনেক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট (অনেক লোক হইলে কাজে বিশ্রঙ্খলা হয়) 

অর্থই অনর্থের মূল (অর্থ হইতেই যত গোলমালে সৃষ্টি) 

অরাঁধুনির হাতে পড়ে রুই মাছ কাঁদে (অযোগ্য লোকের হাতে পড়িয়া ভাল জিনিসও নষ্ট হয়) 

আগে দর্শনদারী পরে গুণবিচারী (বাহ্যিক সৌন্দর্য দ্বারাই মানুষ প্রথম আকৃষ্ট হয়) 

আসলে মুষল নেই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া (উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বনের অভাব) 

আপ ভালা তো জগৎ ভালা (নিজে ভাল হলে সকলই ভাল হয়) 

আমড়া গাছে আম হয় না (মন্দ স্বভাবের লোকের কাছে ভাল ব্যবহার আশা করা যায় না) 

আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও (যা নিজে মান না, তা অপরকে শিখাবে না) 

আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (অবিশ্বাস্য উন্নতি) 

আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের ক্ষতি নিজে করা) 

আঙ্গুর ফল টক (পান না তাই খান না) 

আদার ব্যাপারির জাহাজের খবর (অনধিকার চর্চা করা) 

আটে-পিঠে দড়, তবে ঘোড়ার উপর চড় (কোনও কার্য করিবার যোগ্য না হইলে, সে কার্য করিতে যাওয়া উচিত নয়)

আপনি বাঁচলে বাপের নাম (চাচা আপন প্রাণ বাঁচা) 

আপনি শুতে ঠাঁই নেই, শঙ্করাকে ডাকে (নিজের আয় দিয়া নিজে চলিতে পারে না; অথচ অন্যের জন্য খরচ করে।)

আমে দুধে এক হল, আঁটি খোসা পড়ে রইল (দুই পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হইয়া গেল, অথচ যোগাযোগ করিয়া দিল যে সে-ই অবাঞ্চিত বলিয়া গণ্য হইল)

আড়ালে লোকে রাজার মাকেও ডাইনি বলে (অসাক্ষাতে অন্যের নিন্দা সবাই করে) 

ইঁদুরে চেনেনা ভাগবত পুঁথি (মূর্খ ব্যক্তি গুণীর গুণ বোঝে না) 

ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় (যেমন কর্ম তেমন ফল, অর্থাৎ পরের অনিষ্ট করিলে নিজেরও অনিষ্ট হয়) 

উলবনে মুক্ত ছড়ানো (অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা) 

উচিত কথা বন্ধু বেজার (সত্য কথা বললে আপনজনও রুষ্ট হয়) 

উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায় (কাজের আরম্ভ দেখিয়া কাজের শেষ বুঝা যায়) 

উড়ো খই গোবিন্দায় নমঃ (যে খই হাত হইতে বাতাসে উড়িয়া গেল, তাহা গোবিন্দের নামে নিবেদন) 

উদোরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে (একের দোষ অন্যের উপর চাপানো) 

ঊনো ভাতে দুনো বল (অল্প আহারে শক্তি বৃদ্ধি) 

এক হাতে তালি বাজে না (যে কোন কলহেই উভয় পক্ষের কিছু না কিছু দোষ থাকে) 

এক কড়ার মুরদ নেই, ভাত মারার গোঁসাই (উপার্জনের ক্ষমতা নাই অথচ খরচ করে প্রচুর) 

এক মাঘে শীত যায় না (বিপদ একবারই আসে না) 

এক ঢিলে দুই পাখি মারা (একই সাথে দুই উদ্দেশ্য সাধন করা) 

কইয়ের তেলে কই ভাজা (পরের উপর দিয়ে স্বার্থ উদ্ধার) 

কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন (যার যে গুণ নেই, তাকে সেই গুণে অভিষিক্ত করা) 

কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা (শত্রু নাশ) 

কনের ঘরে পিসি, বরের ঘরে মাসী (উভয়কে লেলিয়ে দিয়ে স্বার্থ উদ্ধারকারী) 

কোথা যাও গোপাল, সঙ্গে যাবে কপাল (ভাগ্য চিরসঙ্গী) 

কয়লা যায় না ধুলে, স্বভাব যায় না মরলে (খারাপ লোক সহজে তার স্বভাব পরিবর্তন করতে পারে না) 

কাজের বেলায় কাজী, কাজ ফুরালে পাজী (প্রয়োজনে কাউকে কাছে ডাকা, অপ্রয়োজনে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া) 

কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে ঠাস ঠাস (ছোটবেলায় শিক্ষা না নিয়ে বড় হলে পরিণত বয়সে তা সম্ভব নয়) 

কানে দিয়েছি তুলা আর পিঠে বেঁধেছি মুলা (বিশেষ সহ্য শক্তি ও ধৈর্য আয়ত্ত করা)

কপাল গুণে গোপাল ঠাকুর (অদৃষ্ট ভাল থাকিলে যোগ্যতাহীন লোকও বড় হয়) 

কানা গরু বামুনকে দান (অকেজো জিনিস দান করিয়া দানের পূণ্য লাভের চেষ্টা করা) 

কুমিরের সঙ্গে বিবাদ করে জলে বাস করা (যাহার যেখানে প্রভুত্ব সেখানে তাহার সঙ্গে বিরোধ করিয়া থাকা যায় না) 

কষ্ট না করলে কেষ্ট মিলে না (সাধনা ছাড়া সাফল্য লাভ করা যায় না) 

কাঙালের কথা বাসি হলে খাটে (গুরুত্ব না দেওয়া লোকের কথার দাম বিপদে পড়িলেই বোঝা যায়) 

কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ (একের লাভে অন্যের ক্ষতি) 

কেউ মরে বিল ছেঁচে, কেউ খায় কৈ (একের পরিশ্রমে অন্যের বিলাসিতা) 

কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে সাপ বেরোনো (তুচ্ছ বিষয়ের সূত্রে জটিল সমস্যার উদ্ভব) 

খিদে পেলে ভাঘে ধান খায় (প্রয়োজনের আধিক্য) 

খাল কেটে কুমীর আনা (নিজের বিপদ নিজে ডেকে আনা) 

খুঁটির জোরে ভেড়া নাচে (শক্তিশালী ব্যক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় অযোগ্য ব্যক্তিরও শক্তি দেখানো সম্ভব) 

গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল (অন্যে না মানিলেও নিজেকে বড় বলিয়া মনে করা) 

গোনা গরু বাঘে খায় না (হিসেবের গরু বাঘে খায় না) 

গরু মেরে জুতো দান (কাহারও যথেষ্ট ক্ষতি করিয়া পরে তাহারই সামান্য উপকার করা)

গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল (ভবিষ্যতের দরুশয় উদগ্রীব হইয়া থাকা) 

গাছেরও খায়, তলারও কুড়ায় (একই সঙ্গে একাধিক স্বার্থসিদ্ধি করা) 

গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না (নিজের এলাকায় গুণীর আদর নেই) 

ঘরপোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দখে ডরায় (বড় বিপদের অভিজ্ঞতা অকারণেই ভীত করিয়া তোলে) 

ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো (নিজের ক্ষতি করে অন্যের উপকার করা) 

ঘু ঘু দেখেছ ফাঁদ দেখনি (চতুর ব্যক্তিকে কৌশলে জব্দ করার ইঙ্গিত) 

চকচক করিলে সোনা হয় না (চেহারাতে আসল গুণ ধরা যায় না) 

চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী (উপদেশ দিয়া অসৎকে সৎ করা যায় না) 

চাচা আপন প্রাণ বাঁচা (নিজের জীবন রক্ষা করিয়া তারপর অন্যকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়াও) 

চামচিকেও পাখি, ডিপুটিও হাকিম (আকারে বা চালচলনে বড় বলিয়া মনে হইলেই প্রকৃত বড় হয় না)     
চেনা বামুনের পৈতে লাগে না (যোগ্য লোকের জন্য সুপারিশ লাগে না) 

চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে (ঘটনা ঘটিয়া যাইবার পর তাহা এড়াইবার পথ পাওয়া) 

চোরে চোরে মাসতুতো ভাই (অপরাধীরা একে অন্যের সাহায্যকারী হয়) 

চোরা না শুনে ধর্মের কাহিনী (মন্দ লোক ভাল উপদেশে কান দেয় না) 

চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা (মন্দ লোকই মন্দ লোককে সাহায্য করে) 

ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা (অসম্ভব কল্পনা করা) 

ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো (সামান্য কাজের সামান্য পাত্র) 

ছুঁচ হয়ে ঢুকে ফাল হয়ে বেরোনো (দয়াপ্রার্থী হইয়া ঢুকিয়া বিরাট অনিষ্ট করিয়া চলিয়া যাওয়া) 

ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি (কোন অবাঞ্ছিত ঝামেলা হইতে মুক্তি পাইবার আকুলতা) 

জোর যার মুল্লুক তার (শক্তিশালীরাই টিকে থাকে) 

জুতো সেলাই থেকে চন্ডি পাঠ (ছোট-বড় যাবতীয় কাজ করা) 

ঝোপ বুঝে কোপ মারা (সুযোগের সদ্ব্যবহার করা) 
প্রবাদ-প্রবচন | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট
ঝড়ে বক মরে ফকিরের কেরামতি বাড়ে
(অন্যের দ্বারা সম্পাদিত কৃতিত্ব নিজের বলে দাবি করা) 

ঠগ বাছতে গাঁ উজোড় (যেখানে মন্দের সংখ্যাধিক্য, সেখানে ভাল বাছাই করা যায় না)

ঠেলারনাম বাবাজী (চাপে পড়ে নতি স্বীকার করা) 

ডুবে ডুবে জল খাওয়া (গোপনে গোপনে কোন কাজ করা) 

ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার (ক্ষমতা নেই কেন্তু আষ্ফালন আছে)

ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে (সর্বত্রই যে একই রকমের দায়-গায়িত্ব বহন করে) 

তপ্ত ভাতে নুন জোটে না, পান্তা ভাতে ঘি (প্রয়োজনীয় কাজ সামলাইবার সামর্থ্য নাই যখন, তখন অপ্রয়োজনীয় কাজের প্রতি ঝোঁক দেখানো)

তেলা মাথায় তেল দেয়া (যার আছে, তাকে আরও দেওয়া)

তুমি ফের ডালে ডালে, আমি ফিরি পাতায় পাতায় (চালাকের চেয়েও বেশি চালাকি করা) 

দশ চক্রে ভগবান ভূত (একাধিক লোকে মিলে ভালকেও মন্দ বলে প্রতিপন্ন করা) 

দুধের সাধ ঘোলে মেটে না (আসল জিনিসের আনন্দ নকলে পাওয়া যায় না) 

দশের লাঠি একের বোঝা (একজনের পক্ষে যাহা কঠিন, দশজনের পক্ষে তাহা অতি সহজ) 

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না (কোন কিছুর অভাব না হলে সে বিষয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা যায় না) 

দুধ-কলা দিয়ে কালসাপ পোষা (শত্রুকে সযুত্বে প্রতিপালন) 

ধরি মাছ না ছুঁই পানি (কিছু মাত্র বেগ না পেয়ে হয় এমন কৌশলে সিদ্ধি) 

ধরাকে সরাজ্ঞান করা (কাউকে পরোয়া না করা) 

ধর্মের ঢাকা আপনি বাজে (শেষ পর্যন্ত সত্য প্রকাশ পাবেই) 

ধর্মের কল বাতাসে নড়ে (অন্যের সমালোচনা না করিয়া নিজের কাজ নিজে করা) 

নেড়া দুবার বেলতলায় যায় না (একই বিপদে মানুষ অধিকবার পতিত হয় না) 

নানা মুনির নানা মত (বিভিন্ন লোকের বিভিন্ন মত) 

নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভাল (না থাকার চেয়ে সামান্য থাকাই ভাল) 

নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা (অকেজো লোক কাজের অসাফল্যের জন্য অন্যের দোষ দেয়) 

নুন খাই যার, গুণ গাই তার (উপকারীর উপকার করা) 

পেটে খেলে পিঠে সয় (লাভের প্রত্যাশায় কষ্ট সহ্য করা) 

পথ চলবে জেনে, কড়ি নেবে গুণে (পথের ভালোমন্দ জেনেশুনে পথ চলতে হয় এবং কারও কাছ থেকে টাকা পয়সা নেওয়ার সময় গুণে নিতে হয়)

পরের ধনে পোদ্দারি (অপরের অর্থ যথেষচ ব্যয় করা) 

পরের মাথায় কাঁঠাল ভাঙা (অপরকে কষ্ট দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করা) 

পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তের যায় (অসদুপায়ে অর্জিত ধন অসৎ পথেই ব্যয়িত হয়) 

পরের ঘারে বন্দুক রেখে শিকার (অন্যের উপর দায় রাখিয়া স্বার্থ উদ্ধার করা) 

বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় (বাপের চেয়ে ছেলের তেজ বেশি) 

বামুন হয়ে চাঁদে হাত  (ছোটর অতি বড় শখ) 

বসতে পেলে শুতে চায় (কিছু সুবিধা পাইলে আরো অধিক সুবিধা দাবি করা) 

বিনা মেঘে বজ্রপাত (আকস্মিক বিপদ উপস্থিত হওয়া) 

বিষ নেই তার আবার কুলোপনা চক্কর (ক্ষমতাহীনের অহেতুক আষ্ফালন) 

বাঘে ছুলে আঠার ঘা (দুষ্ট লোকের পাল্লায় পড়লে কিছু না কিছু ক্ষতি হবেই) 

বার হাত কাঁকুড়ের তের হাত বীচি (মূল বিষয় অপেক্ষা অপ্রয়োজনীয় বিষয়ের বাড়াবাড়ি) 

বিনা বাতাসে পাতা নড়ে না (কারণ ছাড়া কোন কাজ হয় না) 

বচনে জগৎ তুষ্ট (মিষ্টি কথা বললে সবাই সন্তুষ্ট থাকে) 

ভাগ্যবানের বোঝা ভগবানে বয় (ভাগ্যবান লোকেরা কোথাও আটকায় না) 

ভাত ছড়ালে কাকের অভাব হয় না (টাকা থাকিলে কাজের লোকের অভাব হয় না) 

ভিক্ষের চাল কাঁড়া আর আকাড়া (দয়ার দানের ভাল-মন্দ বিচার চলে না) 

মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত (কার্যক্ষমতার নির্দিষ্ট সীমা)

মরা হাতি লাখ টাকা (মূল্যবান বস্তুর কিছু ক্ষতি হলেও অবশিষ্ট অংশের মূল্য থাকে প্রচুর) 

মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন (কোন কাজ সম্পাদন করার জন্য দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ হওয়া)

মশা মারতে কামান দাগা (সামান্য ব্যাপারে বিরাট আয়োজন) 

যত গর্জে তত বর্ষে না ( আড়ম্বর অনুযায়ী কাজ না হওয়া) 

যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা (যাকে পছন্দ হয় না, তার প্রত্যেক কাজেই দোষ)

যার লাঠি তার মাটি (জোর যার মুল্লুক তার) 

যার জ্বালা সেই জানে (ভূক্তভোগীই যথার্থ দুঃখ উপলদ্ধি করতে পারে) 

যত দোষ নন্দঘোষ (কোন দুর্বল ব্যক্তিকে সব দোষের জন্য দায়ী করা) 

যতক্ষণ শ্বাস, ততক্ষণ আশঁ (শেষ অবধি আশা ত্যাগ না করা)

যার জন্য চুরি করি সেই বলে চোর (যাহার উপকার করা হইল, সে-ই যখন নিন্দা করে) 

যার কর্ম তার সাজে, অন্য লোকের লাঠি বাজে (যে লোক যে কাজের যোগ্য নয়, তাহার দ্বারা সে কাজ হয় না)

যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয় (একাধিক বিপদ একসঙ্গে ঘটা) 

যেমন বুনো ওল, তেমনি বাঘা তেঁতুল (সেয়ানে সেয়ানে মুখোমুখি) 

রথ দেখা কলা বেচা (এক ঢিলে দুই পাখি মারা) 

রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়, উলখাগড়ার প্রাণ যায় (ক্ষমতাবানদের দ্বন্দের ফলে সাধারণ লোকের জীবন বিপন্ন হওয়া)

লাগে টাকা দেবে গৌরীসেন (অন্যের উপর ভরসা করিয়া বেহিসাবে খরচ করা) 

লেবু কচলালে তেতো হয় (যে কোন ব্যাপারে বেশি ঘাঁটাঘাঁটি করিলে অশান্তির উদ্রেক হয়) 

শিকারি বিড়াল গোঁফে চেনা যায় (হাবভাব দেখিয়া বোঝা যায়) 

সাপের হাঁচি বেদে চেনে (প্রকৃত লক্ষণ অভিজ্ঞ লোকই বোঝে) 

সস্তার তিন অবস্থা (সস্তার দ্রব্য প্রায়ই খরাপ থাকে) 

সবুরে মেওয়া ফলে (ধৈর্যে সুফল ফলে) 

সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড় (সময় থাকিতে সাবধান হইলে বিপদকালে রেহাই পাওয়া যায়) 

সাপ হয়ে কাটো তুমি, ওঝা হয় ঝাড়ো (উভয় পক্ষের পরামর্শদাতা হিসেবে যে কপটতা করে) 

সুখে থাকতে ভুতে কিলোয় (বোকামির কারণে ঝামেলায় জড়িত হইয়া পড়া) 

হাতির পাঁচ না দেখা (সৌভাগ্য গর্বে অতিশয় বাড়াবাড়ি) 

হাতে মারে না, ভাতে মারে (প্রত্যক্ষভাবে কোন শত্রুতা না করিয়া অলক্ষ্যে সর্বনাশ সাধন করা)
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post