একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer pdf download
জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. ঘূর্ণিঝড় কী?
উত্তর: উচ্চচাপে বায়ু ও জলীয় বাষ্পের মিশ্রণ নিম্নচাপের স্থলভাগ অঞ্চলে প্রবল গতিতে চক্রাকারে ঘূর্ণি সৃষ্টি করে, একেই বলা হয় ঘূর্ণিঝড়।
প্রশ্ন-২. সাইক্লোন শব্দের অর্থ কী?
উত্ত: সাইক্লোন শব্দিটি গ্রিক শদ্ব ‘kyklos’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ হলো Coil of snakes বা সাপেরে কুন্ডলী।
প্রশ্ন-৩. R এর ভৌত তাৎপর্য কী?
উত্তর: IK তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য প্রতিমোল আদর্শ গ্যাস থেকে যে পরিমাণ কাজ বা শক্তি পাওয়া যায়, তার মান R এর সমান। এটিই R এর ভৌত তাৎপর্য।
প্রশ্ন-৪. নিঃসরণ কী?
উত্ত: বাহ্যিক চাপের প্রভাবে পাত্রের সূক্ষ ছিদ্র পথা দিয়ে কোনো গ্যাসীয় উপাদানের সজোরে একমুখী বের হওয়ার প্রক্রিয়াই হলো নিঃসরণ বা অনুব্যাপন।
প্রশ্ন-৫. LPG গ্যাসের ক্যালরি মান কত?
উত্তর: LPG গ্যাসের ক্যালরি মান প্রায় 29500 K.Cal.m-3
প্রশ্ন-৬. CNG গ্যাসের স্ফুটনাঙ্ক কত?
উত্তর: CNG গ্যাসের স্ফুটনাঙ্ক- 160° সে.।
প্রশ্ন-৭. প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম কী?
উত্তর: প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাসের নাম হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ।
প্রশ্ন-৮. বায়ুতে এর নিরাপদ সর্বোচ্চ মাত্রা কত?
উত্তর: WHO অনুযায়ী, বায়ুতে SO2 এর নিরাপদ সর্বোচ্চ মাত্রা 0.05 ppm।
প্রশ্ন-৯. মন্ট্রিল প্রোটোকল কী?
উত্তর: 1993 সালে কানাডার মন্ট্রিলে আয়োজিত বিজ্ঞানীদেও সম্মেলনে প্রধান গ্রিন হাউজ গ্যাস CFC এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, একে মন্ট্রিল প্রোটোকল বলা হয়।
প্রশ্ন-১০. চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় নির্গত গ্যাসগুলোর নাম লেখ।
উত্ত: চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় ক্লোরিন SO2, H2O এবং NH3 গ্যাস নির্গত হয়।
প্রশ্ন-১১. HCI এর অনুবন্ধী ক্ষারকের নাম কী?
উত্তর: HCI এর অনুবন্ধী ক্ষারকের নাম ক্লোরাইড (CI) আয়ন।
প্রশ্ন-১২. উভধর্মী পদার্থ কাকে বলে?
উত্তর: যেসব পদার্থ এসিড এবং ক্ষারক উভয় ধর্মই প্রদর্শন করে তাদেরকে উভদর্মী পদার্থ বলে।
প্রশ্ন-১৩. আয়নকে কী এসিড বলা হয়?
উত্তর: আয়নকে লুইস এসিড বলা হয়।
প্রশ্ন-১৪. LP গ্যাসের সংযুক্তি লেখ।
উত্তর: LP গ্যসে বিউটেন ও প্রোপেন থাকে।
প্রশ্ন-১৫. খরপানি কাকে বলে?
উত্তর: মিঠা পানিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়ন দ্রবীভূত থাকলে ঐ পানিকে খর পানি বলে।
প্রশ্ন-১৬. ফেরোইন দ্রবণ কী?
উত্তর: ফেরোইন দ্রবণ = 1.485g অর্থোফেনান থ্রোলিন +0.695gFSO4.7H2O+100mL পানি।
প্রশ্ন: পানির COD কী?
উত্তর: বর্জ্য পানির নমুনায় উপস্থিত জৈব পদার্থের যে অংশ কর্তৃক জারণের প্রতি সংবেদনশীল সে অংশকে জারিত করতে যে পরিমান অক্সিজেন দরকার হয়, তাই মূলত ঐ পানির COD।
প্রশ্ন-১৭. প্লাস্টিক দূষকের উৎস কী?
উত্তর: প্লাষ্টিক দূষকের উৎস হলো খাদ্য বস্তুর প্যাকেট, প্লাষ্টিক বোতল, প্লাস্টিকের ফিতা, নাইলনের মাছ ধরার জাল ইত্যাদি।
প্রশ্ন-১৮. স্করোভাইট এর সংকেত লেখ।
উত্তর: .স্করোভাইট এর সংকেত Fe2O3.Al2O34H2O ।
প্রশ্ন-১৯. ‘‘পালমোনারি ইডিমা’’ সৃষ্টি হয় কোনটির কারণে?
উত্তর: আর্সেনিকের ক্ষণস্খায়ী প্রভাবে মানবদেহের রক্তরস ফুসফুসে সঞ্চিত হয়ে ‘পালমোনারি ইডিমা’ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন-২০. কোন মৌলিকে প্রোটোপ্লাজমিক বিষ বলে?
উত্তর: আর্সেনিক (As) সাধারনত প্রোটোপ্লাজমিক বিষ নামে পরিচিত।
প্রশ্ন-২১. দ্রবণ কী?
উত্তর: দ্রবণ হলো দুই বা ততোধিক কঠিন, তরল বা গ্যাসীয় পদার্থের সমস্থ মিশ্রণ, যার প্রতিটি উপাদানের আপেক্ষক পরিমানকে একটি নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত পরিবর্তন করা যায়।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer pdf download
অনুধাবনমূলক প্রশ্নোত্তরঃ
প্রশ্ন-১. ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির কারণ কী?
উত্তর: ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয় স্থলভাগ থেকে অনেক দূরে গভীল সমুদ্রে। সূর্যের প্রখর তাপ সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাষ্পীভূত হয়ে বায়ুমন্ডলে মিশে জলীয় বাষ্পের অণুর সংখ্যার বৃদ্ধি ঘটায়। ফলে সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর ঘনত্ত হ্রাস পায় এবং নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। গভীর সমুদ্রের পানির উচ্চ তাপমাত্রা ও সমুদ্রের নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি করে। ঘুণিঝড় সৃষ্টি করতে সাগরের পানির তাপমাত্রা 27°C এর উপরে থাকতে হয়।
প্রশ্ন-২. বাস্তব গ্যাসের বৈশিষ্ট্য সমুহ লেখ।
উত্তর: বাস্তব গ্যাসে নিচের উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যসমূহ বর্তমান থাকে-
১. এরা যথাযথভাবে PV = nRT সমীকরণ মেনে চলে না।
২.বাস্তব গ্যাসের অণুসমূহের মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল বিদ্যমান।
৩. বাস্তব গ্যাসের অভ্যন্তরিণ শক্তি আয়তনের উপর মিনর্ভরশীল।
৪. উচ্চ তাপমাত্রা ও নিম্নচাপে বাস্তব গ্যাসেসমূহ মোটামুটিভাবে প্রায় আদর্শ গ্যাসের ন্যায় আচরণ করে থাকে।
প্রশ্ন-৩. গ্যাসের ব্যাপনের হার বলতে কী বোঝ?
উত্তর: স্থিও তাপমাত্রায় কোনো একটি পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্র পথ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমান গ্যাস নির্গত হয়, তাকে ঐ গ্যাসের ব্যাপনের হার বলে। ধরি, স্থির তাপমাত্রয় একটি পাত্রের সূক্ষ্ম ছিদ্রপথ দিয়ে t সেকেন্ডে গ্যাস নির্গত হলো। সুতরাং গ্যাসটির ব্যাপনের হার, r = ।
গ্যাসের ব্যাপনের হার তাপমাত্র, চাপ ও ঘনত্বের উপর নির্ভর করে।
প্রশ্ন-৪. CNG বলতে কী বোঝ?
উত্তর: খনি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলনের পর এ গ্যাস থেকে CO গ্যাসকে অপসারণ করা হয়। অতঃপর একে প্রায় 68 atm বা 6.89 pa চাপ প্রয়োগ করে তরল অবস্থঅয় রূপান্তরিত করা হয় এবং এ তরলকে বিশেষ এক ধরনের স্টিল নির্মিত সিলিন্ডাভেরে ব্যাবহার করা হয়। একে CNG বা কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস বলে। CNG কে মোটর ইঞ্জিনে তরল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। CNG গ্যাসের প্রধান উপাদান মিথেন গ্যাস। CNG ব্যবহারে বায়ু দূষণ কম হয়।
প্রশ্ন-৫. ওজোন গ্যাসের উৎস কী?
উত্তর: মোটরগাড়ির ইঞ্জিন, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়াশা, প্রকৃতিতে বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ, বিভিন্ন্ইন্ডাস্ট্রিতে জীবাশ্ম জ্বালানির দহনের ফলে নাইট্রোজেনের অক্সাইডসমূহ উৎপন্ন হয়। মূলত এরা বায়ুমন্ডলে উপস্থিত হাইড্রোকার্বনসমূহ ও অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে ওজোন গ্যাসের সৃষ্টি করে থাকে।
প্রশ্ন-৬. ইউট্রিফিকেশন বা সুপুষ্টিকরণ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: মাত্রাতিরিক্ত নাইট্রোজেন যুক্ত সার (যেমন- ইউরিয়া, টিএসটি, অ্যামোনিয়াম সালফেট প্রভৃতি ব্যবহারের ফলে) পানিতে মিশে ধুয়ে-মুছে খাল-বিল, নদী-নালায় এসে পড়ে। নাইট্রোজেন সার জলাধারে অধিক পুষ্টি যোগান দেওয়ার ফলে জলজ শেওলা ও আগাছা অত্যধিক পরিমাণে বৃদ্ধি পায় ও পরবর্তী সময়ে মৃত্যু ঘটে, ব্যাকটেরিয়া এসব মৃত আগাছা ও শৈবালের পচন ঘটাতে অীধক পরিমানে পানির দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহন করে। ফলে পানিতে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় এবং অক্সিজেনের অভাবে মাছ মরে যায় জলজ পরিবেশের এ ধরনের দূষণকে ইউট্রিফিকেশন বা সুপুষ্টিকরণ বলে।
You may also read...
HSC Chemistry 2nd Paper
MCQ
Question and Answer pdf download
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
প্রশ্ন-৭. বায়োলজিক্যাল ফিক্সেশন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সবুজ অ্যালগি ও মটর, শিম, ছোলা প্রভৃতি লিগুমিনাস জাতীয় উদ্ভিদের শিকড়ে বসবাসকারী সিমবায়োটিক জীবাণু বায়ুর শোষণ করে। এসব ব্যাকটেরিয়া থেকে নিঃসৃত মলিবডেনোম ধাতু যুক্ত কোন এনজাইম বিজারিত করে গ্যাস ও আয়নে পরিণত করে। মাটির অন্যান্য ব্যাকটেরিয়া দ্বারা কয়েক ধাপ আয়ন জারিত হয়ে প্রথমে ও শেষে আয়নে পরিণত হয়। উদ্ভিদ আয়ন শোষণ ও বিজারিত করে প্রোটিন তৈরি করে। উদ্ভিদেও মরণের পর ব্যাকটেরিয়া প্রোটিনকে জারিত করে আবার আয়নে পরিণত করে। এ প্রক্রিয়াই হলো বায়োলজিক্যাল ফিক্সেশন।
প্রশ্ন-৮. ঔইস মতবাদের সীমাবদ্ধতা লিখ।
উত্তর: লুইস মতবাদেও সীমাবদ্ধতা নিম্নরূপ-
১. এ মতবাদ অনুযায়ী প্রোটনিক এসিড যেমন এদেরকে সরাসরি এসিড শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। যদিও বাস্তবে এরা এসিড।
২. এ মতবাদের সাহায্যে এসিড বা ক্ষারককে তাদের আপেক্ষক তীব্রতা অনুযায়ী সাজানো যায় না। কারণ একই লুইস এসিড যখন ভিন্ন ভিন্ন লুইস ক্ষারকের সাথে যুক্ত হয় তখন ঐ এসিডের তীব্রতার মাত্রা ভিন্ন হয়ে থাকে।
প্রশ্ন-৯. Pb দ্বরা সৃষ্ট মানবদেহের চারটি রোগের নাম লেখ।
উত্তর: Pb দ্বরা সৃষ্ট মানবদেহের চারটি রোগের নাম নিম্নরূপ-
১.মসিত্মস্কেও কোষ বিনষ্ট
২. রক্তচাপ বৃদ্ধি
৩. গর্ভপাত বা মৃত সন্তান প্রসব
৪. শিশুদের আইকিউ (IQ) হ্রাস।
প্রশ্ন-১০. পানির বিশুদ্ধতার মানদন্ডগুলো কী কী?
উত্তর: পানির বিশুদ্ধতার মানদন্ডগুলো নিম্নরুপ-
১. খরতা
২. pH মান
৩. দ্রবীভুত অক্সিজেন (DO)
৪. প্রাণ রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (BOD)
৫. রাসায়নিক অক্সিজেন চাহিদা (COD)
৬. দ্রবীভূত ট্রেস উপাদান (TDS)
প্রশ্ন-১১. পানির প্রাকৃতিক দূষণের উৎস কী কী?
উত্তর: পানির প্রাকৃতিক দূষণের উৎসসমূহ নিম্নরুপ-
১.ভূমি ধ্বস, পাহাড়ের ক্ষয়জনিত পদার্থ;
২. আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যৎপাতে নির্গত পদার্থ;
৩. বিরুপ জলবায়ুর কারণ ও
৪. বন্যা।
প্রশ্ন-১২. খাদ্যশৃঙ্খল বলতে কী বোঝ?
সবুজ উদ্ভিদ দ্বরা উৎপাদিত খাদ্য হলো সৌরশক্তি ও পুষ্টি উপাদানের ভান্ডার। এ খাদ্য উদ্ভিদ থেকে ক্রমান্বয়ে ১ম,২য়, ও ৩য় পর্যায়ভুক্ত খাদক শ্রেণির জীবে প্রবাহিত হয়। প্রতিটি বাস্ত্ততন্ত্রের জীবগুলোর মাধ্যমে শক্তি ও পুষ্টি উপাদানের এরুপ প্রবাহকে জীবের খাদ্যশৃঙ্খল বলা হয়।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer
১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
ধীমনের কলেজটি একটি শিল্প এলাকায় অবস্থিত। সে প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করে। গ্রীষ্মকালে সে বেশ ভালোভাবেই বাসে কলেজে যায়। কিন্তু বর্ষাকালে কয়েকটিন পর পর মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এ সময় সে লক্ষ করল পিচঢালা রাস্তায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগের সুদৃশ্য রাস্তার পিচ উঠে যান-চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
ক. এসিড বৃষ্টি কী?
খ. এসিড বৃষ্টি সৃষ্টিকারী ও এর উৎসসমূহ কী কী?
গ. রাস্তায় এ অবস্থা সৃষ্টি হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা কর।
ঘ. রাস্তার ক্ষতি ছাড়াও এ সময় পরিবেশের কী ক্ষতি হতে পারে বলে তুমি মনে করো।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
বৃষ্টি, শিশির এবং তুষার যেকোনো ধরনের অধঃক্ষপণে এসিডের মান স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলেই অধঃক্ষপণকে এসিহ বৃষ্টি হলা হয়।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
এসিড বৃষ্টি সৃষ্টিকারী এর উৎসসমূহ নিম্নরুপ-
১. যানবাহনের একঝসটস।
২. পাওয়ার হাউস।
৩. ধাতু নিস্কাশনের চুলিস্ন।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
এসিড বৃষ্টির ফলে রাস্তায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
স্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে বায়ুর স্বাভাবিক উপাদান দ্রবীভূত অবস্থায় অর্থাৎ কার্বনিক এসিড হিসেবে উপস্থিত থাকে। কার্বনিক এসিডের বিয়োজনে উৎপন্ন আয়নের উপস্থিতিতে স্বাভাবিক বৃষ্টির পানি সামান্য পরিমাণে এসিডীয় হয়।
স্বাভাবিক বৃষ্টির পানিতে pH এর সর্বনিম্ন মান 5.6 হতে পারে। অধঃক্ষপণে pH এর মান 5.6 হতে পারে। অধঃক্ষপণে pH এর মান 5.6 এর কম হলেই অধঃক্ষপণকে এসিড বৃষ্টি বলা হয়।
এসিড বৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে মনুষ্যসৃষ্ট দূষণ প্রক্রিয়া সালফিউরিক এসিড ও ‘নাইট্রিক এসিডের উপস্থীতির কারণে বৃষ্টির পানির এসিডিটি সৃষ্টি হয়। এ এসিহ দুটি প্রাইমারি বায়ু দূষক ও থেকে সৃষ্ট গৌণ বায়ু দুষক। উৎস থেকে দূষক বায়ুমন্ডলে নিক্ষপ্ত ও বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে বিস্তীর্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। বিস্তারের সময় ও বায়ুর আর্দ্রতা বা পানির বিন্দু সাথে বিক্রিয়ায় ও উৎপন্ন করে। উৎপন্ন এসিড বৃষ্টির মাধ্যমে অধঃক্ষপ্ত হয়। 60% - 70% এসিড বৃষ্টির পানিতে উপস্থিত থাকে এবং 30% - 60% এসিড বৃষ্টি পানিতে উপস্তীত থাকে।
2NO
N
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
এসিড বৃষ্টির ফলেই রাস্তার এ ক্ষতি হয়েছে। রাস্তার ক্ষতি ছাড়াও এ সময় পরিবেশের নিম্নরুপ ক্ষতি সাধিত হতে পারে-
১. নদী, হ্রদ, পুকুর এবং জলপ্রপাতের পানি এসিড করণের ফলে প্রাণী ও উদ্ভিদ আক্রা্ন্ত হয়। অধিক এসিডিটির কারণে মাছ মারা যায়, বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায়।
২. পানির এসিডিটির ফলে ভারী বস্তু যেমন লেড, ক্যালসিয়াম জিংক ও কপারের ঘনত্ব সহ্যসীমা অতিক্রম করে।
৩. এসিড বৃষ্টির প্রভাবে বনভূমির প্রভুত ক্ষতি হয়। এর ফলে উদ্ভিদের পাতা বিনিষ্ট হয়। এছাড়া এসিড বৃষ্টির ফলে বীজের অঙ্কুরোদগমও বাধাগ্রস্ত হয়।
৪. মাটির পুষ্টি উপাদান যেমন পটাসিয়াম, ক্যাসলিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়াম আয়ন এসিড বৃষ্টির প্রভাবে নিষ্কাশিত হয়। এছাড়া মাটিতে দ্রবণীয় অ্যালুমিনিয়াম ও জিংক প্রভূতি বিষাক্ত ধাতুর বিমুক্তির ফলে মাটি থেকে উদ্ভিদের পুষ্টি ও উপকারী আণুবীক্ষণিক জীব মারা যায়। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি কমে যায়।
৫. এসিড বৃষ্টির ফলে মানুষের ত্বক, কোয়ের অস্বাভাবিক পরিবর্তন ঘটে। ফলে মুখমন্ডলের রহিরাকৃতিগত পরিবর্তন দেখা যায়।
৬. এসিড বৃষ্টির প্রভাবে বিভিন্ন ধাতু দ্বারা নির্মিত সেতু, জাহাজ ও যানবাহন প্রভূতি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়।
৭. দালান-কোঠার ক্ষারীয় যেীগের সাথে এসিড বৃষ্টির ক্রিয়ার ফলে দালানের ক্ষয় ঘটে।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer
২নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে বিভিন্ন ভারী ধাতু মানব শরীরে প্রবেশ করে তাদের বিষক্রিয়া দ্বারা বিষাক্ত প্রভাব সৃষ্টি করে। এরুপ দুটি ধাতু ও তাদেও সম্পর্কিত কিছু তথ্যবলি নিম্নরুপ-
ধাতুর প্রতীক ধাতু সম্পর্কিত তথ্য
X X ধাতুর প্রধান জীব রাসায়নিক প্রভাব হলো, হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে বাধা দেয়। এছাড়া এটি শিশুর IQ এর মারাত্মক হ্রাস ঘটায়। জৈব X (TEL) এর প্রভাবে জেনেটিক পরিবর্তন হতে পারে।
Y শিল্পে ক্রোম ট্যানিং এর সময় সবচেয়ে বেশি পরিমাণে যৌগ ব্যবহৃত হয়। কাঠের দীর্ঘমেয়াদি সংরক্ষণ, টেকসই, ব্যবহার উপযোগী করার ক্ষত্রে Y ধাতুর যৌগের ব্যবহার রয়েছে।
ক. ETP কী?
খ. পানির আর্সেনিক দূষণ বলতে কী বোঝ?
গ. উদ্দীপকের X ধাতুটি খাদ্যশৃঙ্খলে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা কর।
ঘ. মানব শরীরে Y-ধাতুর ক্ষতিকর প্রভাব বিশ্লেষণ কর।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
শিল্পের তরল বর্জ্যের বিভিন্ন ভারী ধাতুর আয়নকে রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পৃথক করে শিল্প বর্জ্যকে পরিবেশে ফেলার প্রক্রিয়াই হলো ETP ( Effluent Treatment Plant)।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
WHO ঘোষিত পানীয় জলে আর্সেনিকেরে প্রমাণ মাত্রা 0.05 অনুসাvা একজন লোক দৈনিক 1.6 লিটার পানি পান করলে প্রতিদিন ঐ লোকের শরীবে আর্সেনিক জমা হয় এবং ঐ পরিমাণ আর্সেনিক মানবদেহের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টি করে না। সুতরাং জীবদেহে আর্সেনিক সহ্য সীমার বেশি আর্সেনিক ভূ-গর্বস্থ পানিতে মিশ্রিত থাকলে এ পানির মাধ্যমে অধিক পরিমান আর্সেনিক জীবদেহে সঞ্চিত হতে থাকে এবং এর বিষক্রিয়ায় মারাত্মক রোগের সৃষ্টি হয়। এরুপ পানির মাধ্যমে আর্সেনিক সংক্রামণ দ্বারা মানুষ তথা জীব পরিবেশের ক্ষতিকর পরিবর্তনকে আর্সেনিক দূষণ বলা হয়।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
উদ্দীপকে প্রদত্ব তথ্য অনুসারে, X- ধাতুটি হচ্ছে লেড (Pb)। Pb ধাতি খাদ্যশৃঙ্খলে যুক্ত হওয়ার প্রক্রিয়া নিচে ব্যাখ্যা করা হলো-
লেড-এসিড স্টোরেজ ব্যাটারির ইলেট্রড তৈরিতে লেড পারঅক্সাইড ব্যবহৃত হয়। পরিত্যক্ত স্টোরেজ ব্যাটারির মাটিতে ও সারফেস ওয়াটারে আয়নরুপে মিশে থাকে। কয়লার দহনকালে কয়লার মধ্যস্থ লেড যৌগ থেকে লেড বাষ্পরুপে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া হার্বিসাইড লেড আর্সেনেট যুক্ত পাউডার এবং স্প্রে থেকেও লেড বাতাসে সংক্রমিত হয়। পরে অধঃক্ষপরুপে বাতাস থেকে এসব লেড যৌগ ও লেড কণা মাটিতে, পুকুর ও জলভূমিতে মিশে থাকে। মাটি ও পানি থেকে লেড (II) আয়নরূপে উদ্ভদদেহে প্রবেশ করে। পরে উদ্ভিদ থেকে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগির দেহে চর্বিতে দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
পেট্রোল ইঞ্জিনে ব্যবহৃত জ্বালানির অকটেন নাম্বার বৃদ্ধির জন্য এখনও টেট্রাআলকইল লেড ব্যবহৃত হয়। মোটর ইঞ্জিনে জ্বালানির দহনে সৃষ্ট বর্জ্য গ্যাসে লেড বাষ্প লেড অক্সাইডে পরিনত হয়ে মাটিতে অধঃক্ষপ্ত হয়। এ উভয় উৎসের আয়ন মাটিসহ পুকুর, নদী ও হ্রদের পানিতে মিশে থাকে। মাটি থেকে উদ্ধিদে এবং উদ্ভিদ থেকে গরু ছাগল ও পোল্ট্রির হাঁস মুরগির দেহে তিন ধাপে সঞ্চিত হয়। এসব প্রাণীর মাংস খাদ্যরুপে তৃতীয় স্তরের খাদক মানষ গ্রহণ করলে মানষের দেহে লেডের বিষক্রিয়া ঘটায়। আবার পুকুর, নদী ও হ্রদের পানি লেড দ্বারা দূষিত হলে ঐ লেড প্রথমে পস্ন্যাঙ্কটনে এর পরে মাছ ও পাখির দেহে সঞ্চিত হয়। সবশেষে ঐ মাছ ও পাখির মাংস লেড দূষিত হওয়ায় তা খাদ্যশৃঙ্খলের তৃতীয় পর্যায়ভুক্ত খাদক মানুয়ের দেহে লেডের বিয়ক্রিয়া ঘটায়।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
উদ্দীপকের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে, Y ধাতুটি হলো ক্রোমিয়াম (Cr) । খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে ক্রোমিয়াম ধাতু মানব শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে। নিচে মানব শরীরে Cr এর ক্ষতিকারক কিছু প্রভাব বিশ্লেষণ করা হলো:
১. ক্রোমিয়ামের বিষক্রিয়া বলতে কার্যত Cr (VI) এর বিষক্রিয়া বুঝায়। ক্রোমেট ধূলির সংস্পর্শে বহুদিন ধরে অবস্থান করলে ফুসফুসের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
২. গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়ায় Cr (III) অন্তর্ভুক্ত থাকে এবং বহুমুত্র রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির গ্লুকোজ সহ্য করার ক্ষমতা এটি বাড়িয়ে দেয়।
৩. ক্রোমিয়াম আয়নের বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তি চর্মরোগ, পাকস্থলীর ঘা, ব্রয়কাইটিস প্রভৃতি রোগের শিকার হতে পারে। এমনটি তার ক্যান্সার পার্যন্ত হতে পারে।
৪. এটি বৃক্কের রেনাল টিউবিউলে ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং ত্বকে অ্যালার্জির সৃষ্টি করতে পারে।
৫. গর্ভবতী মায়েরদের ক্ষত্রে গর্ভের শিশু ও ভ্রূনের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
৬. অধীক Cr দূষণের ফলে RBC তে লৌহ শোষণে বাধা পায়। ফলে অ্যানিমিয়া বা রক্ত শূন্যতা রোগ দেখা দেয়। এক্ষত্রে হিমোগ্লোবিনের হিমে এর অষ্টতলকীয় কমপেস্নক্সের কেন্দ্রস্থ Fe আয়নকে আয়ন প্রতিস্থাপান করে। এতে লিগ্যান্ডরুপে যুক্ত হতে বাধা পায়।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
নিচের উদ্দিপক টি লক্ষ করো এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
এবং
ক. STP কী?
খ. চামড়ার ট্যানিং- লবন যুক্ত করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকের নং সমীকরণটি ব্যবহার করে গ্যাস মিশ্রণে গ্যাসের আংশিক চাপ, মোল, ভগ্নাংশ এবং মোট চাপের মধ্যে সম্পর্ক প্রতিপাদন কর।
ঘ. নং সমীকরণটি বাস্তব গ্যাসের ক্ষত্রে যথার্থ- বিশ্লেষণ কর।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
STP এর পূর্নরুপ হচ্ছে Standard Temperature and Pressure। এ পদ্দতিতে তাপমাত্রা বা 273 K ও চাপ l atm বা 101.325 kPa ধরা হয়।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
চামড়াকে পাকা করে দীর্ঘদিন আমাদেও প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করার জন্য চামড়ার ট্যানিং করা হয়ে থাকে। আধুনিক ক্রোম ট্যানিং পদ্ধতিতে ক্ষারকীয় ক্রোমিয়াম সালফেট বা ক্রোমিক এসিডের দ্রবণে চামড়াকে ভিজিয়ে রাখলে চামড়ার মধ্যস্থিত কোলাজেন প্রোটিনের দুটি গ্রুপ অ্যামিন গ্রুপ ও কার্বক্সিলিক গ্রুপ Cr-এর সাথে যুক্ত হয়ে কোলাজেন ক্রোমিয়াম জটিল যৌগ উৎপন্ন করে। ক্লোমিয়াম দুটি প্রেটিন চেইনের মধ্যে একটি শক্তিশালী ব্রিজ লিংক তৈরি করে থাকে। এভাবে বহু সংখ্যক Cr জটিল একে অপরের সাহে অক্সিজেনের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বৃহত্তর ব্রিজ গঠন করে থাকে। ফলে পিকলিং ধাপে প্রোটিনের মধ্যে সৃষ্ট লিংকেজগুলোকে পূর্ণ করে দেয়।
একারণেই চামড়ার ট্যানিং এ লবন যুক্ত হয়।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
উদ্দীপকের নং সমীকরণটি হলো-
বা, PV = nRT
অর্থাৎ এটি আদর্শ গ্যাস সমীকরণের একটি রুপ।
এ সমীকরণ হতে গ্যাস মিশ্রণে গ্যাসের আংশিক চাপ, মোল ভগ্নাংশ ও মোট চাপের সম্পর্ক প্রতিপাদন করা হলো:
মনে করি, স্থির তাপমাত্রায় V আয়নের একyুট পাত্রের মধ্যে পরপস্পর বিক্রিয়াহীন অনেকগুলো গ্যাস মিশ্রিত আছে। মিশ্রণের প্রতিটি গ্যাসে এককভাবে ঐ V আয়তনের পাত্র পূর্ণ করে অবস্খান করেছে। উপাদান গ্যাসগুলোর মোল সংখ্যা n এবং আংশিক চাপ যথাক্রমে
পাত্রের মধ্যে গ্যাস মিশ্রণের মোল সংখ্যা = n = n
প্রথম গ্যাসের ক্ষত্রে :
দ্বিতীয় গ্যাসের ক্ষত্রে:
তৃতীয় গ্যাসের ক্ষত্রে:
মোট চাপ, Pমোট Pমোট =
নং সমীকরণকে নং সমীকরণ দ্বারা ভাগ করলে পাওয়া যায়,
এখানে,
মোট উপাদানের মোল ভগ্নাংশ
অর্থাৎ গ্যাস উপাদানের আংশিক চাপ = মোট চাপ উপাদানের মোল ভগ্নাংশ
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ)..
উদ্দীপকের নং সমীকরণটি হলো-
বা, PV = nRT
এটি আদর্শ গ্যাস সমীকরণ। বাস্তব গ্যাসমূহ আদর্শ গ্যাসের ন্যায় আচরণ করে না তথা PV = nRT সমীকরণটি যথাযথভাবে মেনে চলে না । এর মূখ্য কারণ হলো গ্যাসের গতিতত্ত্বেও স্বীকার্যগুলো আদর্শ গ্যাসের জন্য প্রযোজ্য হলেও দুটি স্বীকার্য বাস্তব গ্যাসের জন্য মোটেও প্রযোজ্য নয়। তাই বিজ্ঞানি ভ্যান্ডার ওয়ালস্ বাস্তব গ্যাসের জন্য আদর্শ গ্যাসের স্বীকার্য দুটি নিম্নরূপ ব্যাখ্যাসহ সংশোধন করেন-
প্রথম ত্রুটি সংশোধন বা গ্যাসের আয়তন সংশোধন: গ্যাসের গতিতত্ত্বে ধরা হয়েছে গ্যাস অণুসমূহের নিজস্ব আয়তন পাত্রের আয়তনের তুলনায় অতি নগন্য। অর্থাৎ গ্যাস অণুসমূহ প্রত্যেকেই জ্যামিতিক বিন্দুর ন্যায়। তাই তাদের নিজস্ব আয়তনকে গন্য করা হয় না। কিন্তু বাস্তব গ্যাসকে আদর্শ গ্যাস হিসেবে আওতায় আনা অতি জরুরিভাবে প্রয়োজন। গ্যাস অণুগুলো আয়তনে যতই নগন্য হোক না কেন তাদের অবশ্যই নিজস্ব কিছু আয়তন থাকবে। উচ্চ চাপ ও নিম্ন তাপমাত্রায় গ্যাসকে তরলে বা কঠিন অবস্থায় পরিবর্তিত করা যায় বলে গ্যাস অণুগুলোর নিজস্ব আয়তন গ্যাসের সামগ্রিক আয়তনের তুলনায় গনণ্য হতে পারে না। তাই অণুসমূহের আয়তন হিসাবের মধ্যে এনে গতিতত্ত্বে যে আদর্শ গ্যাস সমীকরণ প্রতিপাদন করা হয়েছে তা হতে এ মানকে বাদ দিলেই বাস্তব গ্যাস আদর্শ আচরণ করবে।
আদর্শ গ্যাস সমীকরণে গ্যাস অণুসমূহের মুক্ত চলাচলের জন্য আয়তন V ধরা হয়েছে। আদর্শ গ্যাসের ক্ষত্রে এ মান সঠিক হলেও বাস্তব গ্যাসের ক্ষত্রে তা সঠিক নয়। এক মোল বাস্তব গ্যাসের অণুসমূহের কার্যকর নিজস্ব আয়তন b হলে n মোল গ্যাসের ক্ষত্রে এ মান nb. প্রকৃত অর্থে b হলো গ্যাসের আয়তন সংশোধন ধ্রুবক। মোট আয়তন থেকে এ মান বাদ দিলে বাস্তব গ্যাস অণুসমূহের জন্য প্রকৃত মুক্ত স্থান পাওয়া যাবে। অর্থাৎ গ্যাস অণুসমূহের জন্য মুক্ত স্থান =(V-nb) হলে বাস্তব গ্যাসসমূহ আদর্শ আচরণ করবে।
দ্বিতীয় ত্রুটি সংশোধন বা গ্যাসের চাপ সংশোধন: গ্যাসের গতিতত্ত্বেও আরেকটি স্বীকার্য হলো, গ্যাসের অণুসমুহের মধ্যে কোনো আকর্ষণ বা বিকর্ষণ নেই। এ ধারণাও সঠিক নয়। গ্যাসের অণুসমূহের মধ্যে কোনো আকর্ষণ না থাকলে গ্যাসকে তরল বা কঠিন পদার্থে পরিনত করা যেতো না এবং কঠিন ও তরল পদার্থের কোনো অসিত্মত্ব থাকতনা। এ আকর্ষণ না থাকলে আদর্শ অবস্থায় গ্যাসের অণুসমূহ পাত্রের গায়ে যে পরিমান চাপ প্রয়োগ করত, বাস্তব গ্যাসের এ আন্তঃআনবিক আকর্ষণের কারণে তা অপেক্ষা কিছু কম চাপ প্রয়োগ করে। তাই বাস্তব গ্যাসের বেলায় চাপ এর পরিবর্তে (p+ আন্তঃআনবিক আকর্ষণ বল) হবে।
বিজ্ঞানী ভ্যান্ডার ওয়ালস দেখান যে, n মোল গ্যাসের ক্ষত্রে আন্তঃআণবিক আকর্ষণ বলের মান এর সমান। এখানে ভ্যান্ডার ওয়ালস ধ্রুবক। তাহলে বিষয়টি দাড়ায় যে, বাস্তব গ্যাসকে আদর্শ গ্যাস হিসেবে আচরণ করতে হলে গ্যাসের চাপ হবে । বাস্তব গ্যাসসমূহের আদর্শ আচরণ করার শর্ত হিসেবে গ্যাসের নিজস্ব আয়তন ও আন্তঃআণবিক আকর্ষণজনিত চাপ হিসাব করে বিজ্ঞানি ভ্যান্ডার ওয়ালস আদর্শ গ্যাস সমীকরণ এর প্রয়োজনীয় সংশোধন এনে আকারে উপস্থাপন করেন যা উদ্দীপকের (ii) নং সমীকরণ। এ সমীকরনটি বাস্তব গ্যাসের অবস্থার সমীকরণ হিসেবে পরিচিতি।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইড
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ
নিচের চিত্রটি (চিত্র সংক্রান্ত যে কোন তথ্য দেখার জন্য নিচের সংযুক্ত pdf ফাইলটি দেখার জন্য অনুরোধ করছি।) লক্ষ কর:
ক. পরমশূন্য তাপমাত্রা কী?
খ. BF অম্লধর্মী কেন?
গ. উদ্দীপকের পাত্র থেকে STP তে কত `X’ লিটার গ্যাস বের হবে? নির্ণয় কর।
ঘ. উদ্দীপকের X গ্যাসটি বৈশ্বিক উষ্ণতা ও এসিড বৃষ্টির জন্য দায়ী-কারণ ও প্রতিকার প্রয়োজনীয় বিক্রিয়াসহ বিশ্লেষণ কর।
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ক).
যে তাপমাত্রায় চার্লস বা গেলুসাকের সূত্রানুসারে গ্যাসের আয়তনের বিলুপ্তি ঘটে অর্থাৎ আয়তনে শূন্য হয়ে যায়, সে তাপমাত্রাকে পরমমাত্রা বলে।
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (খ).
এসিড ক্ষারক সম্পর্কিত লুইস মতবাদ অনুসারে, এসিড হলো এমন যৌগ বা আয়ন যা অন্য ইলেকট্রন দাতা গ্রুপ হতে দানকৃত ইলেকট্রন যুগলকে গ্রহণ করতে পারে। সাধারণত যেসব যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণুর অস্টক অপুর্ণ থাকে সেগুলো লুইস এসিড হিসেবে কাজ করে। ও এর বিক্রিয়ায় নাইট্রোজেন পরমাণুর ইলেকট্রন যুগলকে গ্রহণ করতে পারে। প্রজন্য অম্লধর্মী হয়।
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (গ).
উদ্দীপক অনুসারে,
100 g চুনাপাথরে CaCO আছে 85 g
” CaCO ”
20 g ” CaCO ”
সংশিস্নষ্ট বিক্রিয়ার সমীকরণ নিম্নরুপ:
1 mol
= 100 g =22.4L(STP তে)
এখানে বিক্রিয়ার উৎপন্ন X গ্যাসটি হলো
এখন, STP তে,
100 g CaCO হতে বা X গ্যাস তৈরি হয় 22.4L
1 g CaCO ” ” X ” ” ”=
17 g CaCO ” ” X ” ” ” =
= 3.808 L
X গ্যাসের পরিমাণ 3.808 L
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: (ঘ).
উদ্দীপকের X গ্যাসটি হলো কার্বন ডাইঅক্সাইড ( )। এটি কোনো দূষক পদার্থ নয়, বরং এটি বায়ুমন্ডলের একটি স্বাভাবিক উপাদান। কিন্তু বায়ুমন্ডলে স্বাভাবিকের তুলনায় কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। IPCC এর এক গবেষণা অনুযায়ী বায়ুমন্ডলে এর পরিমান বছরে 0.3 - 0.4% হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বায়ুমন্ডলে এর আধিক্য ঘটলে তা পৃথিবীপৃষ্ট হতে বিকিরিত তাপকে মহাশূন্যে ফিরে যেতে না দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠ ও ভূ-পৃষ্ঠ সংলগ্ন বায়ুমন্ডলকে অস্বাভাবিকভাবে উত্তপ্ত করে রাখে। বৈশি^ উষ্ণতা বৃদ্ধিতে গ্যাসের আপেক্ষক অংশগ্রহণ প্রায় 50%। এ গ্যাসটির মধ্য দিয়ে সূর্য থেকে আগত ক্ষুদ্রতর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাপ চলাচল করতে পারলেও ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিকিরিত বৃহত্তর তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের তাপ চলাচল কারতে পারে না। ফলে বায়ুমন্ডলের আটকা পড়া তাপ বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করে।
বায়ুতে স্বল্প মাত্রায় বিদ্যমান পানির সাথে বিক্রিয়া করে কার্বনিক এসিড উৎপন্ন করে বলে স্বাভাবিক বৃষ্টির পানি সামান্য অম্লীয় হয়। তবে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি এসিড বৃষ্টির সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তোলে। অবশ্য এতে মনুষ্য সৃষ্ট উৎস হতে নির্গত কিছু গ্যাস যেমন বায়ুমন্ডলের জারণ বিক্রিয়ার মাধ্যমে উৎপন্ন পদার্থ পরবর্তিতে বৃষ্টির পানির সাথে বিক্রয়া করে বিভিন্ন রকম এসিড তৈরি করে এসিড বৃষ্টি রূপে ভ-পৃষ্ঠে পতিত হয়।
প্রতিকার: বিভিন্ন মনুষ্য সৃষ্ট কারণে বায়ুমন্ডলে এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। গ্যাস উৎপাদনের ক্ষত্রগুলোকে কিভাবে যথাসম্ভব নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা চিহ্নিত করতে হবে। এ উদ্দেশ্যে নিমেণাক্ত পদক্ষপ নেওয়া যায়-
১. জীবাশ্ম জাবলানির ব্যবহার যথাসম্ভব কমাতে হবে।
২. ইটের ভাটার চুল্লীর নির্গত ধোঁয়াকে পরিশোধন করতে হবে।
৩. তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মোটর পরিবহন, জেনারেটর, ধাতু নিষ্কাশন চুল্লী থেকে নির্গত গ্যাস বায়ুমন্ডলে মিশে যাওয়ার পূর্বে তা হবে গ্যাসকে অপসারণের যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
রসায়ন ২য় পত্র
অধ্যায়-১
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Chemistry 2nd Paper
Chapter-1
Srijonshil
Question and Answer
PDF Version
✅ HSC রসায়ন ২য় পত্র: ২য় অধ্যায়: সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
0 Comments:
Post a Comment