এককথায় প্রকাশ / বাক্য সংকোচন

বাংলা ব্যাকরণ
আলোচ্য বিষয়ঃ
বাক্য সংকোচন
বা
এককথায় প্রকাশ

অল্প ভক্ষণ করে যে প্রাণ ধারণ করে → অন্নগত প্রাণ।
অগ্রে জন্ম গ্রহণ করেছে যে → অগ্রজ।
অতি দীর্ঘ নয় যাহা → নাতিদীর্ঘ।
অসম সাহস যার → অসমসাহসিক।
অগোচরে → পরোক্ষ।
অরিকে দমন করে যে → অরিন্দম।
অক্ষির সম্মুখে → প্রত্যক্ষ।
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় → নাতিশীতোষ্ণ।
অধ্যয়ন করা হয়েছে যাহা → অধীত ।
অনুকরণ করার ইচ্ছা → অনুচিকীর্ষা।
অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছুক → অনুসন্ধিৎসু।
অনেকের মধ্যে একজন → অন্যতম।
অন্য ভাষায় রূপান্তরিত → অনূদিত।
অন্ত নাই যার → অনন্ত।
অনেক কষ্টে লাভ করা যায় যাহা → দুর্লভ।
অপকার করার ইচ্ছা- → অপচিকীর্ষা।
অস্থায়ীভাবে থাকা হয় যেখানে → বাসা।
অপরাধ নাই যার → নিরপরাধ।
অমৃতের মত কাজ করে যা → অমৃতায়ন।
অবশ্য মধুর যে ধ্বনি → কলতান।
অহংকার করে যে → অহংকারী।
অশ্বের ডাক → হ্রেষা।
অপরাধ করেছে যে → অপরাধী।
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায যে → ছিদ্রান্বেষী।
অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে কাজ করে যে → অবিমৃষ্যকারী
অপকার করতে ইচ্ছুক → অপচিকির্ষু।
অভিনয় করে যে → অভিনেতা
অন্য দেশ → দেশান্তর।
অর্থ নাই যার → নিরর্থক।
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায় যে → ছিদ্রান্বেষী।
অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে কাজ করে যে → অবিমৃষ্যকারী।
অপকার করতে ইচ্ছুক → অপচিকির্ষু।
অভিনয় করে যে → অভিনেতা ।
অন্য দেশ → দেশান্তর
অর্থ নাই যার → নিরর্থক।
অনেক দেখেছে যে → বহুদর্শী।
আকাশে গমন করে যে → বিহঙ্গ।
আপনাকে ভুলে থাকে যে → আত্মভোলা।
আচরণের যোগ্য → আচরণীয়।
আপনার রং লুকায় যে → বর্ণচোরা।
আদরের সাথে → সাদরে।
আমিষের অভাব → নিরামিষ।
আনন্দ প্রদান করে যে → আনন্দপ্রাণ।
আয় বুঝে যে ব্যয় করে → মিতব্যয়ী।
আপনাকে পন্ডিত মনে করে যে → পন্ডিতম্মন্য
আয় বুঝে যে ব্যয় করে → অমিতব্যয়ী।
আপনাকে কেন্দ্র করেই যার চিন্তা → আত্মচিন্তা।
আল্লাহকে বিশ্বাস করে যে → আস্তিক।
আরাধনার যোগ্য → আরাধ্য।
আল্লাহকে বিশ্বাস করে না → নাস্তিক।
আসমানের মত রং যার → আসমানী।
আদি হতে অন্ত পর্যন্ত → আদ্যন্ত।
আপনাকে হত্যা করে যে → আত্মঘাতী।
আদব জানে না যে → বেয়াদব।
আট মাসে জন্মেছে যে → আটাশে।
আকাশে চড়ে বেড়ায় যে → খেচর।
আশাকে অতিক্রম করে → আশাতীত।
ইতিহাসে অভিজ্ঞ যিনি → ইতিহাসবেত্তা।
ইহার তুল্য → ঈদৃশ।
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে → ইন্দ্রজিৎ।
ইহকাল সম্পর্কিত যা → ইহলৌকিক।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে → জিতেন্দ্রিয়।
ইতিহাস সম্পর্কিত যা → ঐতিহাসিক।
ইতি মধ্যকার ঘটনা → ইদানীং।
উদরই সর্বস্ব যার → উদরসর্বস্ব।
উপকার করার ইচ্ছা → উপচিকীর্ষা।
উপকার করিতে ইচ্ছুক → উপচিকীর্ষু।
উপায় নাই যার → নিরুপায়।
এক সংগে পাঠ করে যে → সহপাঠী।
একই সময়ে বর্তমান → সমসাময়িক।
এক হতে আরম্ভ করে → একাদিক্রমে।
এ পর্যন্ত শত্রু নাই যার → অজাতশত্রু।
এ পর্যন্ত যার দাড়ি গোঁফ জন্মায় নাই → অজাতশ্মশ্রু
এখন বশে আসিয়াছে যা → বশীভূত।
একই স্বামীর পত্নী যারা → সপত্নী।
একই সময়ে → যুগপৎ
একই মায়ের সন্তান → সহোদর।
এক বিষয়ে নিবিষ্ট চিত্ত যার → একাগ্রচিত্ত।
কষ্টে অতিক্রম করা যায় যা → দুরতিক্রম্য।
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে → দুর্গম।
কুৎসিত আকৃতি যার → কদাকার।
কষ্টে জয় করা যায় যা → দুর্জয়।
কোথাও নত কোথাও উন্নত → বন্ধুর।
কর দান করে যে → করদ।
কারত না হয়ে → অকাতরে।
কথায় যা বর্ণনা করা যায় না → অবর্ণনীয়।
কাঠের দ্বারা নির্মিত → কেঠো / কাঠরা
কি করতে হবে তা বুঝতে পারে না যে → কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
কিছুই পরে যা করে না যে → বেপরোয়া।
কূলের সমীপে → উপকূল।
কন্ঠের সমীপে → উপকন্ঠ।
কোথাও হতে ভয় নাই যার → অকুতোভয়।
কামনা দুর হয়েছে যার → বিতকাম।
কেউ জানতে পারেনা এমনভাবে → অজ্ঞাতসারে।
কর্মে অতিশয় কুশল → কর্মঠ।
খাইবার ইচ্ছা → ক্ষুধা
খ্যাতি আছে যার → খ্যাতিমান।
খুন করেছে যে → খুনী।
গমন করে না যে → নগ।
গোপন করার ইচ্ছা → জুগুপ্সা।
গম্ভীর ধ্বনি → মন্দ্রা।
গ্রীবা যার সুন্দর → সুগ্রীব।
গোলাপের মত রং যার → গোলাপী।
গাছে পাকা → গাছপাকা।
গ্রামে প্রস্তুত → গ্রাম্য।
গলায় কাপড় দিয়া → গলবস্ত্র।
গলায় ফাঁস আঁটিয়ে যে মৃত্যুদন্ড → ফাঁসি।
ঘরে আশ্রিত যে জামাই → ঘর জামাই।
ঘুমাচ্ছে যে → ঘুমন্ত।
ঘৃণার যোগ্য → ঘৃণ্য।
ঘৃতের অল্প গন্ধ যাতে → ঘৃত গন্ধি।
ঘর নাই যার → হা-ঘরে
চর্বন করে খাওয়া যায় যা → চর্ব।
চোরা কারবার করে যে → চোরাকারবারী।
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত → চাক্ষুস।
চৈত্র মাসের ফসল → চৈতালী।
চিরকাল ধরিয়া স্থায়ী → চিরস্থায়ী।
চোখের নিমেষ না ফেলে → অনিমেষ।
চাঁদের মতো → চাঁদপনা।
চিন্তার অতীত → চিন্তাতীত।
চিরকাল স্থায়ী নয় যা → নশ্বর।
চলার শক্তি → চলচ্ছক্তি।
চুষিয়া খাওয়া যায় যা → চোষ্য।
চেটে খাওয়া যায় যা → লেহ্য।
জল পানের জন্য দেয় অর্থ → জলপানি।
জয় করার ইচ্ছা → জিগীষা।
জন্মে নাই যে → অজ।
জয় করতে ইচ্ছুক → জিগীষু।
জন্ম থেকে শুরু করে → আজন্ম।
জটা আছে যার → জটাধর।
জলে চরে যে → জলচর।
জল ও স্থলে চরে যে → উভচর।
জানতে ইচ্ছুক → জিজ্ঞাসা।
জানু পর্যন্ত লম্বিত → আজানুলম্বিত।
জীবিত থাকিয়াও মৃত → জীবন্মৃত।
জীবন পর্যন্ত → আজীবন।
জ্বল্জ্বল্ করছে যা → জাজ্বলামান।
ঝগড়া করতে যে অভ্যস্ত → ঝগড়াটে।
ঠাকাতে অভ্যস্ত যে → ঠগ্।
ডাক আনা নেয় করে যে → ডাক হরকরা।
ঢাকবাজায় যে → ঢাকী।
ডুবে যাচ্ছে যা → ডুবন্ত।
ঢাকায় তৈরী → ঢাকাই।
তুলার তৈরী → তুলট।
তল স্পর্শ করা যায় না যার → অতলর্স্পশ।
তিন ফলের সমাহার → ত্রিফলা।
ত্যাগ করার ইচ্ছা → তিতীর্ষ্ া
তীর ছাড়ে যে → তীরন্দাজ।
তুরায় গমন করে যে → তুরগ।
দিনে একবার আহার করে যে → একাহারী।
দিনের প্রথম ভাগ → পূর্বাহৃ।
দ্বারে থাকে যে → দৌবারিক।
দু’বার জন্মে যা → দ্বিজ।
দিনের শেষ ভাগ → অপরাহৃ।
দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ → গোধূলি।
এককথায় প্রকাশ / বাক্য সংকোচন | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট
দু’বার ফসর জন্মে যাতে → দু’ফসলা।
দুঃখে নিবারণ করা যায় না → দুর্নিবার।
দূর ভবিষ্যৎ ভেবে দেখেন যিনি → দূরদর্শী।
দেখার ইচ্ছা → দিদৃক্ষা।
দেহ সম্বন্ধীয় যাহা → দৈহিক।
দেয়া যায় না যা → অদেয়।
দেখা যায় না যা → অদৃশ্য।
দ্বারা পাহাড়া দেয় যে → দারোয়ানা।
দমন করা কষ্টকর যা → দুর্দমনীয়।
দর্শন শাস্ত্র জানেন যিনি → দার্শনিক।
দমন করা যায় না যা → অদম্য।
ধূম উদগীরণ করছে যা → ধূমায়মান।
ধন নাই যার → নির্ধন।
ধার আছে যাতে → ধারালো।
ধ্যানের যোগ্য → ধেয়।
ধনুকের ধ্বনি → টঙ্কার।
নিন্দা করতে ইচ্ছুক → জুগুন্সু।
নৌকা চালায় যে → নাবিক।
নষ্ট হয় যা → নশ্বর।
নদী মাতা যার → নদীমাতৃক।
নষ্ট হয় না যা → অবিনশ্বর।
নূপুরের ধ্বনি → নিক্কণ।
নিশাকারে চড়ে বেড়ায় যে → নিশাচর।
ন্যায় ভাল জানেন যিনি → নৈয়ায়িক।
নিন্দা করার যোগ্য → নিন্দনীয়।
নিন্দা করার অযোগ্য → অনিন্দ্য।
নিজেকে যে বড় মনে করে → হামবড়া।
নিতান্ত দদ্ধ হয় যে সময়ে → নিদাঘ।
পট আঁকে যে → পটুয়া।
পর্বতের কন্যা → পার্বতী।
পুনঃপুনঃ দুলছে যা → দোদুল্যমান।
পুনঃপুনঃ জ্বলছে যা → জাজ্বল্যমান।
পাখির কলরব → কুজন।
পান করার ইচ্ছা → পিপাসা।
পান করা যায় যা → পেয়।
পাঁচ রকমের জিনিস মিশানো যাতে → পাঁচমিশালী।
পা হতে মাথা পর্যন্ত → আপদমস্তক।
পা দ্বারা পান করে যে → পাদপ।
পরের উন্নতি দেখলে যার হিংসা হয় → পরশ্রীকাতর।
পরে জন্মেছে যে → অনুজ।
পরিহার করা যায় না যা → অপরিহার্য।
পরলোক সম্বন্ধীয় যা → পারলৌকিক।
পঙ্কে জন্মে যা → পঙ্কজ।
পত্নীর সহিত → সপত্নীক।
পূর্বে কখনও যা ঘটে নাই → অভূতপূর্ব।
পূর্বে যা ছিল এখন নাই → ভূতর্পূব।
পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ থাকে যার → জাতিস্মর।
পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা → পার্থিব।
প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যে → পাদ্য।
প্রথমে পথ দেখান যিনি → পথিকৃৎ।
পরিমিত ব্যয় করেন যিনি → মিতব্যয়ী।
প্রশংসার যোগ্য → প্রশংসনীয়।
প্রতিকার করার ইচ্ছা → প্রতিচিকীর্ষা।
প্রাণের চেয়ে প্রিয় যা → প্রাণপ্রিয়।
প্রবেশ করার ইচ্ছা → বিবিক্ষা।
প্রমাণ করা যায় না যা → অপ্রমেয়।
প্রিয় কথা বলে যে রমণী → প্রিয়ংবদা।
প্রমাণ করা যায় যা → প্রমেয়।
প্রেম করে যে বা যিনি → প্রেমিক/প্রেমিকা।
প্রেম করার ইচ্ছা → প্রেমীষা
প্রেমে আসক্ত → প্রেমাসক্ত।
ফুলের তৈরী → ফুলেল।
ফল পাকিলে যে গাছ মরে যায় → ওষধি।
ফুলের আধার → ফূলদানী।
ফাঁস গলায় পড়ে প্রাণ বধ করে যে → ফাঁসুড়ে।
বমি করার ইচছা → বিবমিষা।
ব্যাকরণ জানেন যিনি → বৈয়াকরণ।
বরণ করার যোগ্য → বরণীয়।
বেশী কথা বলে যে → বাচাল।
বহুর মধ্যে প্রধান → শ্রেষ্ঠ।
বীর সন্তান প্রসব করে যে → বীরপ্রসু।
বারি দান করে যে → বারিদ।
বিশ্ব জনেন হিতকর → বিশ্বজনীন।
ব্যাঙের ছানা → ব্যাঙাচি।
বিজ্ঞান জানেন যিনি → বৈজ্ঞানিক।
বিশেষ খ্যাতি আছে যার → বিখ্যাত।
বিনা যত উৎপন্ন → অযত্ন, সন্তুত।
বিনা যত্নে লাভ করা যায় যা → অযত্নলদ্ধ।
বিচার বিবেচনা করে কাজ করে না যে → অবিমৃষ্যকারী।
বিনা আয়াসে লাভ করা যায় যা → অনায়াস লভ্য।
বিষ্ণুর উপাসক- → বৈষ্ণর।
বিবাদ করছে যারা → বিবদমান।
বিদেশ হতে আগত → বৈদেশিক।
বাক্য ও মনের অতীত → অবাঙ্মানসগোচর।
বাস্তু হতে উৎখাত যারা → উদ্বাস্তু।
বিহঙ্গের ধ্বনি → কাকলি।
বিদেশে থাকে যে → প্রবাসী।
নুপুরের ঝঙ্কার → নিক্বণ
বাঘের চামড়া → কৃত্তি
বীরের ধ্বনি → হুঙ্কার
বহুকাল যাবৎ চলে আসছে যা → চিরন্তন।
বুকে হেঁটে গমন করে যে → উরগ।
বলার ইচ্ছা → বিবক্ষা।
বলার যোগ্য নয় যা → অকথ্য।
বক্তৃতা দানে যিনি পটু → বাগ্মী।
বপন করা হয়েছে যা → উপ্ত।
বেদান্ত জানেন যিনি → বৈদান্তিক।
বলা হয় নাই যা → অনুক্ত।
বলা হয়েছে যা → উক্ত।
ভবিষ্যতে কি হবে দেখে যে → পরিমাণদর্শী।
ভয় নাই যার → নির্ভীক।
ভগ্নির পুত্র → ভাগিনা।
ভস্মে পরিণত হয়েছে যা → ভম্মীভূত।
ভদ্রলোক যে রকম ব্যবহার করেন → ভদ্রোচিত।
ভাসছে যা → ভাসমান
ভিক্ষার অভাব → দুর্ভিক্ষ।
ভুত, ভবিষ্যত ও বর্তমান জানেন যিনি → ত্রিকালজ্ঞ।
ভোজন করতে ইচ্ছুক → বুভুক্ষ।
ভাল বুঝা যায় না যা- → দুর্বোধ্য।
ভ্রমণ করে যে → ভ্রমণকারী।
ভ্রমরের ধ্বনি → গুঞ্জন।
মনে যার জন্ম → মনসিক্ত।
মমতা নাই যার → নির্মম।
ময়ূরের ডাক → কেকা।
মর মর অবস্থা হযেছে যার → মুমূর্ষু।
মুষ্টি দ্বারা পরিমাপ করা যায় → মুষ্টিমেয়।
মর্মকে স্পর্শ করে যা → মর্মস্পর্শী।
মর্মকে পীড়া দেয় যা → মর্মন্তুদ।
মাটি ভদ করে উঠে যা → উদ্ভিদ।
মাটির মত রং যার → মেটে।
মাথা পেতে লওয়ার যোগ্য → শিরোধার্য।
মরণ পর্যন্ত → আমরণ।
মৃত্যুকাল পর্যন্ত → আমৃত্যু।
মামলা করতে অভ্যস্ত → মামলাবাজ।
মন হরণ করে যা → মনোহারী।
মৃত গবাদি পশু ফেরা হয় যেখানে → ভাগাড়।
মৃত্তিকা দিয়ে তৈরী → মৃন্বয়।
যে সুন্দরের নিন্দা করা যায় না → অনিন্দ্যসুন্দর।
যা হতে পারে → সম্ভব।
যার কোন ভয় নেই → অকুতোভয়।
যার তল স্পর্শ করা যায় না → অতলস্পর্শী।
যা হতে পারে না → অসম্ভব।
যা উদিত হচ্ছে → উদীয়মান।
যার কোন বিষয়ই নিন্দা নাই → অনিন্দিত।
যা অবশ্যই হবে → অবশ্যম্ভাবী।
যার প্রভাব ক্ষণকাল স্থায়ী → ক্ষণপ্রভা।
যা সহজে ভেঙ্গে যায় → ভঙ্গুর।
যা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায় → যাযাবর।
যা সম্পন্ন করতে অনেক ব্যয় হয় → ব্যয়বহুল।
যে সকল বিষযে স্পৃহা হারিয়েছে → বীতস্পৃহা।
যা পূর্বে কখনও দেখা যায় নাই → অদৃষ্টপূর্ব।
যে নারী গোপনে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হয় → অভিসারিনী।
যা ভাসছে → ভাসমান।
যে সুপথ থেকে বিচলিত হয়েছে → উল্মার্গগামী।
যার কোন সন্তান নাই → নিঃসন্তান।
যিনি বিদ্যা লাভ করেছেন → কৃতবিদ্যা।
যার বংশ পরিচয় জানা নাই → অজ্ঞাতকুলশীল।
যার নাম কেহ জানে না → অজ্ঞাতনামা।
যার পরিমাপ করা যায় না → অপরিমেয়।
যাকে শাসন করা কঠিন → দুঃশাসন।
যার অনুরাগ দূর হয়েছে → বীতরাগ।
যুদ্ধ করে যে → যোদ্ধা
যার কিছু নেই → অকিঞ্চন।
যে গাছ অন্য গাছের উপর জন্মে → পরগাছা।
যা বহুকাল হতে চলে আসছে → চিরন্তন।
যার বসন আলগা → অসংবৃত।
যে গাছ কোন কাজে লাগে না → আগাছা।
যে নারী কখনও সূর্যকে দেখে নাই → অসূর্যম্পশ্যা
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে → প্রত্যুৎপন্নমতি।
যে নারীর সন্তান হয় না → বন্ধ্যা।
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে → প্রোষিতভতৃকা।
যে নারীর একটি মাত্র সন্তান হয়েছে → কাকবদ্ধ্যা।
যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে → প্রোষিতপত্নীক।
যে নারীর সন্তান হয়ে বাঁচে না → মৃতবৎসা।
যে কিছু পরোয়া করে না → বেপরোয়া।
যে নারীর এখনও বিবাহ হয় নাই → অনূঢ়া।
যে নারী স্বয়ং পতিকে বরন করে → স্বয়ংবরা।
যে নারীর সম্প্রতি বিবাহ হয়েছে → নবোঢ়া।
যে নারীর স্বামী আছে → সধবা।
যে নারীর স্বামী মারা গিয়েছে → বিধবা।
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল → অন্যপূর্বা।
যে মেয়ের বিবাহ হয় নাই → কুমারী।
যে বন হিংস্র জীবজন্তুতে পূর্ণ → শ্বাপদ সঙ্কুল।
যে স্বামীর স্ত্রী মারা গিয়াছে → বিপত্নীক।
যে ভিক্ষা করে → ভিক্ষুক।
যে স্বামীর স্ত্রী বর্তমান → সপত্নীক।
যে প্রাণী বুকে হেঁটে গমন করে → সরীসৃপ।
রস আছে যার → রসিক।
রব শুনে আসছে যা → রবাহুত।
রস আছে যাতে → রসাল।
রেশম দিয়ে নির্মিত → রেশমী।
রাত্রির প্রথম ভাগ → পূর্বরাত্রি।
রাত্রির মধ্য ভাগ → মধ্যরাত্রি।
রাত্রির শেষ ভাগ → শেষরাত্রি।
লেখা যায় যার দ্বারা → লেখনি।
লাভ করার ইচ্ছা → লিন্সু।
শত বর্ষের সমাহার → শতাব্দি।
শত্রুকে হনন করে যে → শত্রুঘ্ন।
শক্তিকে অতিক্রম না করে → যথাশক্তি।
শত্রু এখনও জন্মায় নাই যার → অজাতশত্রু।
শক্তির উপাসক → শক্তি।
শিশুর পক্ষে সম্ভবপর যা → শিশু সুলভ।
শোভন হৃদয় যার → সুহৃদ।
শুনিবা মাত্র যিনি মনে রাখতে পারেন → শ্রুতিধর।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post