একুশের বইমেলা সম্পর্কে তোমার প্রবাসী বন্ধুকে চিঠি লেখো।
অথবা, তোমার দেখা কোনো বইমেলার বর্ণনা দিয়ে বন্ধুকে পত্র লেখো। [কু. বো. ০৯, ০৭]
সাভার, ঢাকা
২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২
সুপ্রিয় কথা,
অনেক দিন হয় তুমি কোনো চিঠি লেখোনি। অথচ তোমাকে আমার প্রায়ই মনে পড়ে।
এই তো সেদিন বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলায় গিয়েছিলাম। তুমি এই শহর ছেড়ে গিয়েছ প্রায় তিন বছর, অথচ এরই মধ্যে একুশের বইমেলার যে কতটা পরিবর্তন হয়েছে নিজের চোখে না দেখলে তুমি বিশ্বাসই করতে পারবে না। বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাস্তার ওপর আগে যে স্টলগুলোর বরাদ্দ দেওয়া হতো, সেগুলো এখন আর নেই। দোকান বসে শুধু একাডেমির ভেতরে আর একটি অংশ বসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। মেলার ভেতর কোনো রকম গান-বাজনা চালানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার ব্যাপারটিও প্রশংসার দাবিদার। সর্বোপরি বইমেলাকে এখন আদর্শ বইমেলাই মনে হয়। এসব নিয়মনীতির জন্য ক্রেতা ও দর্শক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বইও বিক্রি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি। বাংলা একাডেমি আয়োজিত মাসব্যাপী এই বইমেলার প্রথম দিন থেকেই নেমেছিল জনতার ঢল। অগণিত মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মেলার সুবিশাল অঙ্গন। পরিণত হয় লেখক-প্রকাশক-পাঠকের মিলনমেলায়। এবারের বইমেলার সবচেয়ে আলোচ্য বিষয় হচ্ছে নতুন লেখকদের প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা এবং বিক্রি ছিল বেশ আশাব্যঞ্জক।
বাংলা একাডেমি ফেব্রুয়ারির পহেলা থেকে একটানা একুশ দিন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। যে কয়দিন মেলায় গিয়েছি উপভোগ করেছি বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানমালা। বইও কিনেছি বেশ কিছু। শীঘ্রই তোমার জন্য কয়েকটি বই পাঠিয়ে দেবো। আজ বিদায় নিচ্ছি। তোমার খবরাখবর জানিয়ে চিঠি দিয়ো।
ইতি
তোমার বান্ধবী
সাথী
[নাম ঠিকানাসহ নমুনা খাম]
প্রেরক, নাম: তারিকুল ইসলাম ঠিকানা: তাজমহল রোড, চট্টগ্রাম। |
ডাকটিকিট |
প্রাপক, নাম: সানজিদা আক্তার ঠিকানা: সাউথ সেন্ট্রাল রোড, খুলনা। |
0 Comments:
Post a Comment