নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ: ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০২৪
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক নয়াদিগন্ত
ইডেন কমপ্লেক্স, মতিঝিল, ঢাকা।
জনাব,
আপনার সম্পাদিত ও বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রিকায় নিম্নোক্ত পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ প্রসঙ্গে
কৃষিনির্ভর অর্থনীতির বাংলাদেশের শতকরা ৬০ জন মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বাস করে। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে একদিকে জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও সীমিত হয়ে পড়ছে। এদেশের শিক্ষিত মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ বেকার। এরূপ পরিস্থিতিতে জনজীবনে যখন চলছে টানাপোড়েন, ঠিক তখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম বেড়ে চলেছে। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, জ্বালানি তেল, পিঁয়াজ, রসুন, আদা, মাছ, মাংস, চিনি, শিশুখাদ্য ইত্যাদির দাম রাতারাতি প্রায় বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এরূপ পরিস্থিতিতে নিম্ন আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রয়োজনানুসারে তারা জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে যেকোনো সময় গণবিদ্রোহের ঘটনা ঘটে যেতে পারে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে দেশে বাজার নিয়ন্ত্রকারী কোনো কর্তৃপক্ষ নেই, নেই এ বিষয়ে সরকারের কোনো বিশেষ নজর। ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে নগরজীবন। এ অবস্থার আশু প্রতিকার প্রয়োজন। এ জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো হলো- ১. বাজার নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে সক্রিয় করা, সেই সাথে সরেজমিনে তদন্তের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করা; ২. এ অবস্থার জন্য যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা; ৩. আন্তর্জাতিক বাজারে যে সকল দ্রব্যের মূল্য বেড়ে গেছে সেসব দ্রব্যের ক্ষেত্রে সরকারের বিশেষ ভর্তুকি প্রদান করা; ৪. আমদানি কর প্রত্যাহার করা। আশা করা যায়- এ ব্যাপারগুলোতে নজর দিলে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকবে।
নিবেদক
আতিকুর রহমান রিংকু
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
Nice
ReplyDelete