সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র আলোচনাঃ মিরমর্দান pdf download - Exam Cares

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র আলোচনাঃ মিরমর্দান pdf download

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি 
বাংলা সহপাঠ গাইড 
নাটক 
সিরাজউদ্দৌলা 
সিকান্দার আবু জাফর

Character discussion of Sirajuddaula play: Mirmardan pdf download

সিরাজউদ্দৌলা নাটকের চরিত্র আলোচনাঃ মিরমর্দান

চরিত্রঃ মিরমর্দান

ভূমিকা: ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের অন্যতম ঐতিহাসিক চরিত্র মিরমর্দান। ফোর্ট উইলিয়াম দুর্গ আক্রমণে সিরাজের অন্যতম সেনাপতি ছিলেন মিরমর্দান।

তিনিই দুর্গে প্রবেশ করে হলওয়েলকে জিজ্ঞেস করেন, তারা আত্মসমর্পণ করছে কিনা। তিনিই ইংরেজদেরকে হাত তুলে দাঁড়াতে হুকুম দেন। দুর্গ জয়ের পর সিরাজ তাঁর এ বিশ্বস্ত সেনাপতির ওপর দায়িত্ব দেন রাজবল্লভের পুত্র কৃষ্ণবল্লভকে ছেড়ে দেবার।

বিশ্বস্ত যোদ্ধা: যুদ্ধের পূর্বরাত্রে পলাশির নবাব শিবিরে নিজেদের সৈন্য বিন্যাস ও প্রস্তুতির নকশা নবাবকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। নবাব মিরমর্দানকে বলেছিলেন, কেমন যেন অঙ্কের হিসাবে শত্রুর সুবিধের পাল্লা ভারি হয়ে উঠেছে। তিনি বিশ্বাসঘাতক সেনাপতিদের প্রতি ইঙ্গিত করেছিলেন। দুঃসাহসী বীর মিরমর্দান বুক উঁচিয়ে নবাবকে বলেছিলেন, ইংরেজদের ঘায়েল করতে সেনাপতি মোহনলাল, সাঁফ্রে আর তাঁর বাহিনীই যথেষ্ট।

সিরাজ তাঁকে বলেছিলেন, মিরমর্দান হারতে থাকলে মিরজাফরদের বাহিনী দু’কদম এগিয়ে ক্লাইভের সাথে হাত মেলাবে বিনা বাধায়। মিরমর্দান বলেছিলেন, তাঁদের হারবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মিরমর্দান চিন্তিত নবাবকে বুকভরা ভরসা দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর চিন্তিত হবার কারণ নেই, তাঁদের প্রাণ থাকতে নবাবের কোনো ক্ষতি হবে না। নবাবকে চিন্তিত দেখে তিনি অবাক হয়েছেন। কারণ আত্মশক্তিতে তিনি ছিলেন পরম বিশ্বাসী।

সাহসী: মিরমর্দান শত্রুপক্ষের গুপ্তচরদের ভালো করেই চিনতেন। যুদ্ধের পূর্বরাত্রে গুপ্তচর কমর বেগ জমাদার ধরা পড়লে তিনিই তাকে শনাক্ত করেন। যুদ্ধের সময় বৃষ্টিতে নবাবের বারুদ ভিজে অকেজো হয়ে গেলেও দুর্দান্ত সাহসী সেনাপতি মিরমর্দান কামানের অপেক্ষা না করে হাতাহাতি লড়বার জন্য দ্রুত এগিয়ে যান। শত্রুকে কামান ছুঁড়বার সময় না দিয়ে তিনি তলোয়ার নিয়েই সামনে এগিয়ে গিয়েছিলেন।

উপসংহার: শত্রুর গোলার আঘাতে মীরমর্দানের পতন সংবাদ শুনে নবাবের বুক ভেঙে গিয়েছিল। আচ্ছন্নভাবে তিনি শুধু প্রশ্ন করতে পেরেছিলেন মিরমর্দান শহিদ হয়েছেন কিনা। ফরাসি সাঁফ্রে বলেছেন, 'The bravest soldier is dead.' মিরমর্দান সত্যিই ছিলেন পলাশি যুদ্ধের সর্বাধিক সাহসী সৈনিক। মিরমর্দানের মৃত্যুতে সিরাজ হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন।

যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগের পূর্ব মুহূর্তে নবাব প্রহরীকে বলে যান, সে যেন মোহনলালকে খবর দেয়, তিনি যেন কয়েকজন ঘোড়সওয়ারের হেফাজতে মিরমর্দানের মৃতদেহ তক্ষুণি রাজধানীতে পাঠাবার ব্যবস্থা করেন। উপযুক্ত মর্যাদার যোগ্য ব্যক্তি ছিলেন মিরমর্দান।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here