নবম-দশম শ্রেণি
বাংলা সহপাঠ গাইড
উপন্যাস
কাকতাড়ুয়া
সেলিনা হোসেন
SSC Bangla 1st Paper Uponnash
Kaktarua
Selina Hossain
Question and Answer pdf download
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সহপাঠ গাইড
কাকতাড়ুয়া উপন্যাসের গুরুত্বপূর্ণ
অনুধাবনমূলক
প্রশ্ন ও উত্তর
১. রাত নিয়ে ওর কোনো ঝামেলা নেই- কেন?
উত্তর: ভবঘুরে বুধার মনে কোনো ভয়ডর নেই বলে রাত নিয়ে ওর কোনো ঝামেলা নেই।
ছোটবেলা থেকেই ভয়ডরের সাথে দেখা হয়নি বুধার। নিজের মতো করেই সে মানুষ হয়েছে। ছন্নছাড়া তার জীবন তাই দিন-রাত সবই তার কাছে সমান। জীবন নিয়ে তার বিশেষ কোনো ভাবনা নেই। রাত হলে ঘরে ফেরার তাড়া নেই। যেখানে ইচ্ছা সেখানেই নির্ভয়ে রাত কাটিয়ে দেয় সে। এ কারণেই আলোচ্য কথাটি বলা হয়েছে।
২. বুধা ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে কেন?
উত্তর: ফুলকলির মাঝে মুক্তির চেতনা রয়েছে বলে বুধা ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে।
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় ¯েøাগান। এর দৃপ্ত উচ্চারণ বাঙালির মাঝে অমিত প্রেরণার সঞ্চার করত। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসের বুধাও ‘জয় বাংলার’ মন্ত্রে উদ্দীপ্ত ছিল। ফুলকলি শত্রুর বিরুদ্ধে তার অবস্থান ও সহযোগিতার কথা জানায় বুধাকে। বুধা তখন ফুলকলিকে ‘জয় বাংলা’ বলে ডাকবে বলে জানায়।
৩. ‘ও পাগল হয় নি। শক্ত হয়ে গেছে।’- কেন?
উত্তর: চোখের সামনে পরিবারের সবাইকে মৃত্যুবরণ করতে দেখেছে বুধা। তার মনের অবস্থার স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য চরণে।
একরাতেই বুধার বাবা-মা ও চার ভাই-বোনের সবাই প্রাণ হারায় কলেরায় আক্রান্ত হয়ে। এত কাছ থেকে আপন মানুষদের এভাবে হারিয়ে যেতে দেখে শোকে পাথর হয়ে যায় বুধা। সেই থেকেই তার আচার-আচরণের কোনো ঠিক নেই। কেউ কেউ ভাবে বুধা বুঝি পাগল হয়ে গেছে। আর সচেতন মানুষেরা জানে বুধা পাগল হয়নি। মৃত্যুশোকের তীব্রতা তার স্বাভাবিক অনুভূতিকে ভোঁতা করে দিয়েছে। মনের ভেতর তৈরি হওয়া স্বজন হারানোর গভীর ক্ষত বুধার মনে স্থায়ী ছাপ তৈরি করেছে।
৪. চাচির প্রতি বুধা মনে মনে কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে কেন?
উত্তর: চাচির ভর্ৎসনার কারণেই বুধা আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়েছিল। এ কারণেই চাচির প্রতি সে কৃতজ্ঞ হয়ে ওঠে।
এক রাত্রির ব্যবধানে পরিবারের সকল সদস্যকে হারানো অসহায় বুধার আশ্রয় জোটে চাচার ঘরে। বেকার চাচা তার আটটি সন্তান নিয়ে অতি কষ্টে দিনযাপন করছিলেন। তাই বিশাল এই পরিবারে বুধা যে একটি বোঝা সেই কথা বুধাকে স্মরণ করিয়ে দেয় চাচি। চাচির কথা শুনে বুধা বুঝতে পারে আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার গুরুত্ব। চাচির সংসার ছেড়ে সে নিজের ভার নিজের কাঁধে নিয়ে নেয়। এভাবে মুক্ত স্বাধীন জীবনের স্বাদ পায়, যা চাচির সংসারে পড়ে থাকলে তার পক্ষে সম্ভব হতো না। এ কারণেই বুধা মনে মনে চাচির প্রতি কৃতজ্ঞ হয়ে উঠেছিল।
৫. বুধা আতঙ্কে ধানক্ষেতের কাদায় মিশে যায় কেন?
উত্তর: পাকবাহিনীর বর্বরতা দেখে বুধা আতঙ্কে ধানক্ষেতের কাদায় মিশে যায়।
১৯৭১ সালের একদিন পাকিস্তানি হানাদাররা বুধাদের গ্রামে এসে উপস্থিত হয়। গ্রামের বাজারটিতে তারা হামলা চালায়। গুলি করে মানুষ হত্যা করে। বাজারে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুনে পুড়ে মারা যায় অনেকে। পাকিস্তানি হানাদারদের নিষ্ঠুরতার পরিচয় জানা ছিল না বুধার। তাছাড়া মানুষ যে মানুষের ওপর এতটা নির্দয় হতে পারে এ বিষয়টিও বুধা প্রথম বুঝতে পারল। এ কারণেই তাকে প্রচণ্ড ভয় ঘিরে ধরেছিল। চোখের সামনে দেখা এমন দৃশ্য তার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না।
৬. বুধার গ্রামের লোকেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিল কেন?
উত্তর: পাকিস্তানি হানাদারদের অত্যাচার থেকে বাঁচতে বুধার গ্রামের লোকেরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছিল।
১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনী এ দেশের মানুষের ওপর বর্বর নির্যাতন চালায়। পাখির মতো মানুষকে হত্যা করে। বাড়ি-ঘর-বাজার জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে উল্লিখিত বুধাদের গ্রামেও একইভাবে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় হানাদাররা। প্রাণ বাঁচাতে গ্রামের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘরবাড়ি ফেলে পালাচ্ছিল।
৭. ‘যেন পুরো একটি বিল ঢুকে আছে ওর চোখে’- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: বুধার বোন বিনুর মায়াঘেরা চোখের সৌন্দর্যের অনুভূতি প্রকাশিত হয়েছে আলোচ্য বক্তব্যে।
বিনু ছিল বুধার পিঠাপিঠি বোন। তার চোখ জোড়া ছিল অসম্ভব সুন্দর। বিলের মতোই গভীর ও স্বচ্ছ ছিল তার চাহনি। সেই বোনটি কলেরায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। মৃত বোনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে বুধা।
৮. বিদেশি মানুষ ও নিজেদের মানুষ সবার ওপর বুধার ঘৃণা বাড়তে থাকে কেন?
উত্তর: বিদেশি মানুষের ধ্বংসলীলা এবং তাতে এদেশের কিছু মানুষের সহযোগিতার বিষয়টি দেখে উভয় শ্রেণির মানুষের প্রতি বুধার প্রবল ঘৃণার সৃষ্টি হয়।
১৯৭১ সালে বাঙালির ওপর নিষ্ঠুর অত্যাচার চালায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। ভিনদেশি বর্বরদের নির্মমতা বুধাকে অত্যন্ত ক্রুদ্ধ করে তোলে। তার ক্ষোভ আরও বাড়ে যখন সে দেখে এ দেশেরই কিছু মানুষ তাদের সমর্থন করছে। তাদের ধ্বংসযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা প্রদান করছে। তাদের এমন বিশ্বাসঘাতকতায় বুধার মনে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা জন্মায়।
৯. “আপনারা কী দুই জন, না এক জন?” বুধা এ কথা বলে কেন?
উত্তর: আলি ও মধুর একাত্মতার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরে বুধা আলোচ্য প্রশ্নটি করে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশকে শত্রুমুক্ত করার প্রত্যয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় আলি ও মধু দুজনেই। বুধাও ছিল একই চেতনায় উদ্দীপ্ত এক কিশোর। ছোট হলেও বুধার অনুভূতিশক্তি ছিল প্রখর। মধু ও আলির মুখ দেখে সে বুঝে যায় যে, তাদের দুজনের মনে একই ভাবনা খেলা করছে। তাদের প্রাণের বাসনা একটি সুতোতে বাঁধা পড়েছে। তারা যে দুটি প্রাণ এক আত্মা এ বিষয়টিই প্রকাশিত হয়েছে বুধার কথায়।
১০. বুধা আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে নেয় কেন?
উত্তর: আহাদ মুন্সির ঘরে আগুন দেওয়ার জন্য বুধা আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে এনেছিল।
১৯৭১ সালে এদেশে পাকিস্তানিদের বর্বরতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগী হয়েছিল এদেশেরই কিছু নরপশু। আহাদ মুন্সি তাদেরই একজন প্রতিনিধি। বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের সে ছিল অন্যতম দোসর। বুধা তাই আহাদ মুন্সিকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার কথা ভাবে। আহাদ মুন্সির ঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য সে আলির কাছ থেকে কেরোসিনের শিশি চেয়ে নেয়।
১১. বুধা আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কেন?
উত্তর: দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করার জন্য আহাদ মুন্সিকে শাস্তি দেওয়ার প্রত্যয়ে বুধা তার বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ক্যাম্প স্থাপন করে। গ্রামে গণহত্যা চালায়। তাদের হত্যাযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আহাদ মুন্সি। আহাদ মুন্সিকে বুধা তাই উচিত শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী সে আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দেয়।
১২. আলী ও মিঠু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায় কেন?
উত্তর: আহাদ মুন্সির আক্রোশ থেকে বাঁচতে এবং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রত্যয়ে আলি ও মিঠু গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
রাজাকার আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দেওয়ার পিছনে বুধার হাত থাকলেও নাবালক ও আপাতদৃষ্টিতে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন হওয়ায় সে ছিল সন্দেহের ঊর্ধ্বে। আহাদ মুন্সির সকল সন্দেহ নিশ্চিতভাবেই এসে পড়ত স্বাধীনতাকামী যুবক আলি ও মধুর ওপর। মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য তাদের গ্রাম ছেড়ে পালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আহাদ মুন্সীর বাড়িতে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তাদের গ্রামে অবস্থান আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তাই তারা মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে সেই রাতেই গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যায়।
১৩. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধার সাথে দেখা করতে আসে কেন?
উত্তর: দেশকে শত্রুমুক্ত করতে বুধার সাহসিকতাকে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে বুধার সাথে দেখা করতে আসে মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধা অসীম সাহসী এক বালকের নাম। পাকিস্তানিদের দোসর আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে সে দেশপ্রেমের অনন্য স্বাক্ষর রাখে। আলি ও মধুর মুখে বুধার দেশপ্রেম ও বীরত্বের কথা শুনে মুগ্ধ হন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন। বুধাকে নিয়ে তিনি আরও বড় পরিকল্পনা করেন। বুধার সাহায্য নিয়ে পাকিস্তানিদের ক্যাম্প নিশ্চিহ্ন করে দিতে চান। এ কথা জানাতেই তিনি বুধার সাথে দেখা করতে আসেন।
১৪. মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাকে বঙ্গবন্ধু, মেশিনগান, যুদ্ধ ইত্যাদি নামে ডাকে কেন?
উত্তর: বুধার মাঝে মুক্তিসংগ্রামের অদম্য চেতনা লক্ষ করে বুধাকে প্রশ্নোক্ত নামগুলো দেয় মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধা স্বদেশপ্রেমের অনন্য এক দৃষ্টান্ত। দুর্দান্ত সাহসিকতার সাথে সে রুখে দেয় শত্রুর গতি। তার মাঝে এমন মুক্তির আকাক্সক্ষা দেখতে পেয়ে অভিভূত হন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন। তার চোখে বুধা যেন দেশের মানুষের মুক্তিচেতনার অনন্য এক প্রতীক। তাই ভালোবেসে বুধাকে মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন নামে ডাকে সে।
১৫. মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় বুধা সাথে করে পেয়ারা নেয় কেন?
উত্তর: পেয়ারার লোভ দেখিয়ে পাকিস্তানিদের সাথে ভাব জমিয়ে তোলার উদ্দেশ্যেই বুধা মিলিটারিদের ক্যাম্পে যাওয়ার সময় সাথে করে পেয়ারা নিয়ে যায়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিনের নির্দেশে পাকিস্তানিদের ক্যাম্পটি রেকি করার দায়িত্ব পড়েছিল বুধার ওপর। তাই ক্যাম্পে সৈনিকদের অবস্থান, অস্ত্রশস্ত্রের অবস্থান ও পরিমাণ ইত্যাদি খুব কাছ থেকে ভালোভাবে দেখা প্রয়োজন ছিল। পাকিস্তানিদের সাথে ভাব জমাতে পারলে কমিটি আরও সহজ হয়ে যেত। পেয়ারা খাওয়ানোর ছলে তাদের সাথে আড্ডা জমিয়ে নিজের কার্যসিদ্ধির পরিকল্পনা করে বুধা। এ কারণেই সে সাথে করে অনেকগুলো পেয়ারা নিয়ে যায়।
১৬. আহাদ মুন্সি বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার নির্দেশ দেয় কেন?
উত্তর: বেয়াদবি করার শাস্তি হিসেবে আহাদ মুন্সি বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখার নির্দেশ দেয়।
পাকিস্তানিদের নির্মম অত্যাচারের সারথী হওয়ায় আহাদ মুন্সিকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করত বুধা। তাই তার সাথে দেখা হলেই অদ্ভুত কথাবার্তা বলে তাকে বিভ্রান্ত করত সে। মিলিটারিদের ক্যাম্পে বুধা আবার একই আচরণ করলে তার ওপর ভীষণ ক্ষিপ্ত হয় আহাদ মুন্সি। সঙ্গী রাজাকার তিনজনকে আদেশ দেয় বুধাকে কাকতাড়ুয়া বানিয়ে রাখতে।
১৭. বুধাকে দেখে রাজাকার তিনজন ভয় পেয়ে যায় কেন?
উত্তর: বুধার যন্ত্রণাক্লিষ্ট, কালিমাখা মুখটি রাজাকার তিনজনকে ভয় পাইয়ে দেয়।
কাকতাড়ুয়া বানানোর জন্য বুধার মুখে রাজাকাররা কালি মেখে দিয়েছিল। প্রচণ্ড জ্বরের কারণে বুধার মুখ কদাকার হয়ে ওঠে। জ্বরের ঘোরে সুনসান পরিবেশে একাকী ছেলেটির কোঁকানোর দৃশ্য দেখে রাজাকাররা ভাবে যেন ভূত দেখছে। এ কারণেই ওরা বিষম ভয় পেয়ে যায়।
১৮. বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায় কেন?
উত্তর: পাকবাহিনীর বাঙ্কারে গোপনে মাইন পুঁতে রাখার জন্য বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায়।
মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন বুধাদের গ্রামে পাকবাহিনীর ক্যাম্পটি ধ্বংস করে দিতে চায়। হানাদাররা বাঙ্কার তৈরির উদ্যোগ নিলে সে বাঙ্কারটি উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধাকে একটি মাইন দেওয়া হয় বাঙ্কারে পুঁতে আসার জন্য। বাঙ্কারের মাটি খোঁড়ার লোকদের সাথে কাজের সুযোগ পেলেই কেবল তা করা সম্ভব। এ কারণেই বুধা মাটি কাটার দলে কাজ নিতে চায়।
১৯. পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাঙ্কার খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন?
উত্তর: মুক্তিবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে পাকিস্তানি মিলিটারিরা বাঙ্কার খোঁড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
যুদ্ধের সময় আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বাঙ্কার বা পরিখা খোঁড়া হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী অসহায় হয়ে পড়েছিল। ‘কাকতাড়ুয়া’ উপন্যাসে বর্ণিত বুধাদের গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করলেও এই ভয়ে স্বস্তিতে ছিল না মিলিটারিরা। নদীপথে যেকোনো সময় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা করছিল তারা। এ জন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তারা বাঙ্কার খোঁড়ার উদ্যোগ নেয়।
২০. মধুর মা বুধাকে রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন কেন?
উত্তর: বুধার মুখের দিকে তাকিয়ে ছেলেকে হারানোর কষ্ট ভুলতে চান বলে মধুর মা বুধাকে রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন।
বুধা ও মধু সমবয়সী বন্ধু ছিল। পাকিস্তানিদের হত্যাযজ্ঞের শিকার হয়ে শহিদ হয় মধু। ছেলের জন্য মধুর মায়ের শোকার্ত বুক হাহাকার করে ওঠে। বুধার মাঝে তিনি যেন মৃত ছেলেরই ছায়া দেখতে পান। এ কারণেই বুধাকে তিনি রোজ এসে ভাত খেয়ে যেতে বলেন।
২১. ‘মরণের কথা মনে করলে যুদ্ধ করা যায় না’- কুন্তি এ কথা বলে কেন?
উত্তর: বুধাকে মানসিকভাবে উদ্দীপ্ত করার জন্যই কুন্তি আলোচ্য উক্তিটি করে।
বুধা অসীম সাহসী এক বালক। দেশকে শত্রুমুক্ত করার প্রত্যয়ে সে তার সাহস ও বুদ্ধি খাটিয়ে যুদ্ধ করে যায়। বাবা-মায়ের কবরের সামনে এসে হঠাৎই বদলে যায় বুধা। ভয়-ডরহীন বুধার মাঝে মৃত্যুভয়ের চিহ্ন দেখা যায়। কিন্তু মৃত্যুভয়ে ভীত হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে নামা যায় না। সে ক্ষেত্রে পরাজয় সুনিশ্চিত। বুধা যাতে তার মনোবল না হারায় সে জন্যই এ কথাটি বলে তার চাচাতো বোন কুন্তি।
২২. ‘চাচা আমি একবার ভেতরটা দেখে আসি?’- বুধা কেন এ কথা বলে?
উত্তর: বাঙ্কার ধ্বংসের পরিকল্পনার মূল কাজটি সুসম্পন্ন করার জন্যই বুধা ফজু মিয়ার কাছে বাঙ্কারের ভেতরটা দেখে আসার ইচ্ছা জানায়।
বুধাদের গ্রামে পাকিস্তানি মিলিটারিদের আস্তানা ধ্বংস করার দায়িত্ব দেওয়া হয় বুধার ওপর। মিলিটারিদের বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার জন্য বুধাকে দেওয়া হয় একটি মাইন। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধা বাঙ্কারের মাটি কাটার লোকদের দলে কাজ জুটিয়ে নেয়। কাজ শেষে সে বাঙ্কারের ভেতরটা দেখে আসার জন্য ফজু মিয়ার কাছে অনুমতি চায়। ভেতরে দেখে আসার ছলে গোপনে মাইন পুঁতে রাখাই ছিল বুধার আসল উদ্দেশ্য।
২৩. ‘রাতের বেলা ওরা বাঙ্কারে শুয়ে হাওইবাজি দেখবে’- বুধা কথাটি কেন বলে?
উত্তর: বাঙ্কারে মাইন বিস্ফোরিত হলে পাকিস্তানি সৈন্যদের যে অসহায় অবস্থা হবে ইঙ্গিতে সে কথাই বুঝিয়েছে বুধা।
পাকিস্তানিদের বাঙ্কার উড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাঙ্কারে গোপনে একটি মাইন স্থাপন করে বুধা। মিলিটারিদের পায়ের চাপে সেটি বিস্ফোরিত হলেই হাউইবাজির মতো আলোর ছটা দেখা যাবে। আহত, অসহায় পাকিস্তানি সেনাদের তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার থাকবে না। এই দৃশ্যটিই কল্পনা করেছে বুধা।
২৪. “তবে কি বঙ্গবন্ধু এই মানুষদের বিরুদ্ধে লড়ার কথা বলেছিলেন?” উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: বঙ্গবন্ধুর ঘোষণায় বাঙালির যে মুক্তির আহবান ছিল তারই অনুধাবনের বিষয়টি ধরা পড়েছে এখানে।
আচার-আচরণে ভাবলেশহীন হলেও ভেতরে ভেতরে এক গভীর অনুভূতিপ্রবণ সত্তা লালন করে বুধা। গ্রামে ভিনদেশি ও স্বদেশি মানুষদের মিলিত অত্যাচারে বিভীষিকার কারণ অনুসন্ধান করতে চায় সে। একসময় বুঝতে পারে এই মানুষগুলো সবার শত্রু। এদের বিরুদ্ধে লড়াই করে প্রতিশোধ গ্রহণের প্রতিজ্ঞা নেয় সে। তখনই তার মনে পড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের কথা। বঙ্গবন্ধু শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই আহবানের সাথে নিজের মনের ভাবনা মিলে যাওয়ায় দারুণভাবে উদ্দীপ্ত হয় বুধা।
২৫. ফুলকলিকে আচ্ছামতো পিটুনি দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: ঘরে আগুন লাগার জন্য ফুলকলির গাফিলতিকে দায়ী করে তাকে আচ্ছামতো পিটুনি দেয় রাজাকার কমান্ডার।
এ দেশের কিছু মানুষ পাকিস্তানি হানাদারদের সাথে হাত মিলিয়ে পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের দোসর হয়েছিল। সেই বিশ্বাসঘাতকদের মনে-প্রাণে ঘৃণা করে বুধা। তাই এক রাতে গোপনে সে রাজাকার কমান্ডারের বাড়িতে আগুন দেয়। কমান্ডারের পরিবার ঘুণাক্ষরেও টের পায় না যে বুধা এ কাজটি করেছে। তারা ধারণা করে কাজের মেয়ে ফুলকলি রান্নার পর পাটখড়ি চুলার পাশে রেখে দেওয়ার কারণেই আগুন লেগেছে। এই সন্দেহ থেকেই তারা ফুলকলিকে নির্মমভাবে পিটুনি দেয়।
২৬. ‘যুদ্ধের সময় আমাদের কত কিছু সইতে হয়’- বুধা কথাটি বলে কেন?
উত্তর: যুদ্ধের সময় মানুষকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়- এ অনুভূতি প্রকাশ পেয়েছে বুধার উক্তিটিতে।
যুদ্ধের সময় একটি দেশের মানুষের ওপর মানবিক বিপর্যয় নেমে আসে। বিনা অপরাধে কষ্ট ভোগ করতে হয় অনেককে। বুধা রাজাকার কমান্ডারের ঘরে আগুন দিলেও সন্দেহ এসে পড়ে গৃহকর্মী ফুলকলির ওপর। তাই তাকে বিনাদোষে প্রহার করা হয়। ফুলকলিকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্যই বুধা কথাটি বলেছে।
২৭. বুধাকে রেকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয় কেন?
উত্তর: বুধার সাহসিকতা ও আপাত মানসিক ভারসাম্যহীন কাজকর্মের জন্য বুধাকে রেকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
বুধা এক অদম্য সাহসী কিশোরের নাম। দেশপ্রেমের গভীর আবেগে যেকোনো কঠিন কাজ সে অনায়াসে করে ফেলে। বয়স বলে তার সাথে মুক্তিবাহিনীর সংযোগের ব্যাপারে কারও মনে সন্দেহ জাগে না। তাছাড়া, বুধার উদ্ভট আচরণ দেখে সবাই ভাবে বুধা বুঝি মানসিক ভারসাম্যহীন। বুধা রেকি করতে গেলে এসব কারণে বিপদের ঝুঁকি কম। তাই বুধাকেই রেকি করার দায়িত্ব দেয় মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
২৮. ‘এখন শব্দটা শোনার জন্য বসে থাকব’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: বাঙ্কারে মাইন লুকিয়ে রাখার উদ্দেশ্য সফল হয়েছে কি না তা জানার জন্যই অপেক্ষা করে থাকবে বুধা।
পাকিস্তানি মিলিটারিদের ক্যাম্প উড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল বুধার ওপর। মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন সেই লক্ষ্যে বুধাকে একটি মাইন দেন। বাঙ্কারের মাটি খোঁড়ার সময় বুধা তা গোপনে মাটির নিচে লুকিয়ে রেখে আসে। মাইনের ওপর পাকিস্তানি সেনাদের কারো পা পড়লেই সেটির বিস্ফোরণ হওয়ার কথা। সেই বিকট শব্দ শোনার অপেক্ষার কথাই বলা হয়েছে আলোচ্য উক্তিতে। শব্দটি বুধার দুঃসাহসিক কাজের সফলতার ঘোষণা দেবে।
২৯. ‘স্বাধীনতা ভীষণ আনন্দের’- বুধা এ কথা বলেছে কেন?
উত্তর: স্বাধীন ও আত্মনির্ভরশীল জীবনযাপনের মর্ম বুঝতে পেরে আলোচ্য উক্তিটি করেছে বুধা।
অনাথ বুধা দীর্ঘদিন চাচা-চাচির সংসারে আশ্রিত ছিল। কিন্তু চাচির সংসারে বোঝা হয়ে না থেকে সে একসময় নিজের মতো করে বাঁচতে শুরু করে। তখনই তার মাঝে মুক্তির বোধ জাগ্রত হয়। সে বুঝতে পারে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার আনন্দের সাথে কোনো কিছুর তুলনা হয় না।
৩০. বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না কেন?
উত্তর: শত্রুদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না।
১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সেনারা হানা দেয় বাংলার গ্রামে-গঞ্জে। গ্রামের পর গ্রাম পুড়ে যায়, প্রাণ হারায় অসংখ্য মানুষ। বুধাদের গ্রামেও একইভাবে ধ্বংসলীলা চালায় হানাদাররা। জীবন বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালাতে থাকে গ্রামের মানুষ। কিন্তু হানাদারদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো না গেলে তাদের তাণ্ডব থামানো যাবে না। আর গ্রামের সবাই পালিয়ে গেলে লড়াই করা সম্ভব হবে না। এ ভাবনা থেকেই বুধা গ্রাম ছেড়ে পালায় না।
৩১. ‘তোকে দেখেই বুঝতে পারছি দেশটা স্বাধীন হবে’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: বুধার নির্ভীক স্বদেশপ্রেমিক মনোভাব আলী ও মধুর মুক্তির চেতনাকে আরো উদ্দীপ্ত করে।
কিশোর বুধা অসীম সাহসের অধিকারী। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে তার মাঝে বিন্দুমাত্র ভয় নেই। অনায়াসে সে জ্বালিয়ে দেয় রাজাকার আহাদ মুন্সির ঘর। বুধার এমন সাহসিকতা ও দেশপ্রেমের অনুভূতি মুক্তির প্রেরণা জোগায় আলী ও মিঠুর মাঝে। দেশমাতৃকার মুক্তির ব্যাপারে তাদের আত্মবিশ্বাস দৃঢ় হয়।
৩২. পাকিস্তানি সৈনিকদের চোখে চোখ পড়লে বুধার দৃষ্টি কেঁপে ওঠে না কেন?
উত্তর: পাকিস্তানি সৈনিকদের চোখে কোনো ভাষা নেই বলে তাদের চোখে চোখ পড়লে বুধার দৃষ্টি কেঁপে ওঠে না।
‘কাকতাড়ুয়া’ গল্পের প্রধান চরিত্র বুধা ভয়-ডরহীন ও অসাধারণ মানসিকতা বোধসম্পন্ন এক কিশোর। মুক্ত জীবনের অভিজ্ঞতায় সে মানুষ চিনতে শিখেছে। পাকিস্তানি সেনারা এদেশে এসেছিল কেবল হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে। মানবিকতার ভাষা সম্পর্কে তারা ছিল অজ্ঞ। তাদের মেরুদণ্ডহীন সৈনিকেরা কেবল জানত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হুকুম তামিল করা। তাদের চোখেও সেটি ফুটে উঠত। বুধা তাই তাদের ভাষাহীন দৃষ্টি দেখে তাদেরকে ভয় পায় না।
৩৩. রাজাকাররা বুধার কাছে মিঠুর অবস্থান জানতে চায় কেন?
উত্তর: মিঠু মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল এবং বুধার সাথে মিঠুর ভালো সম্পর্ক ছিল বলে রাজাকাররা বুধার কাছে মিঠুর খবর জানতে চায়।
মিঠু ছিল মুক্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ। সে পালিয়ে মুক্তিবাহিনীতে যোগ দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সে ছিল রাজাকারদের শত্রু। গ্রামে বুধার সাথে যে কয়েকজনের ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের মধ্যে মিঠু অন্যতম। এসব কারণেই মিঠু গ্রাম থেকে উধাও হয়ে গেলে বুধার কাছে তার খোঁজ চায় রাজাকাররা।
৩৪. ‘এমন খুশি আমার জীবনে আর আসেনি’- বুধা কেন এ কথা বলে?
উত্তর: দেশদ্রোহী রাজাকার আহাদ মুন্সির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পর বুধার হৃদয়ের প্রবল উচ্ছ¡াস প্রকাশ পেয়েছে বুধার উক্তিটির মাধ্যমে।
একরাতের ব্যবধানে পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে অন্য রকম হয়ে গিয়েছিল বুধা। প্রচণ্ড কষ্টের আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছিল তার সব হাসি-আনন্দ। পাকিস্তানি দখলবাজরা যে এদেশের মানুষের মুক্তির অধিকার কেড়ে নিতে চায় তা বুঝতে পারে বুধা। রাজাকাররা ছিল পাকিস্তানিদের সেই অপকর্মের সহযোগী। তাই গ্রামের রাজাকারদের প্রধান নেতা আহাদ মুন্সির বাড়িতে আগুন দিতে পেরে গভীর তৃপ্তি পায় বুধা। বহুদিন পর প্রাণখোলা হাসিতে ফেটে পড়ে সে। এটি বুধার স্বদেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ।
৩৫. “ওই যে বাড়িগুলো পুড়িয়েছিস, এটাও যুদ্ধ।”- কথাটি বুঝিয়ে লেখো।
উত্তর: রাজাকারদের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া যে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামেরই অংশ, এ বিষয়টিই বুধাকে বুঝিয়ে বলেন মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন।
বুধাদের গ্রামের কিছু মানুষ পাকিস্তানিদের ধ্বংসযজ্ঞের প্রত্যক্ষ সহযোগীর ভূমিকা পালন করে। বিশ্বাসঘাতক এই লোকদের শাস্তি দেওয়ার ভার নিজের হাতে নেয় বুধা। গোপনে তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বুধার কাজটি দেশকে শত্রুমুক্ত করারই একটি অংশ। বুধা এত কিছু ভেবে না করলেও সেও এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের অংশ হয়ে উঠেছে- সে কথাটিই বলা হয়েছে উক্তিটিতে।
0 Comments:
Post a Comment