শহরে যানজট নিরসনের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য একটি পত্র লেখো।
তারিখ: ১৭ই মে ২০২৪
বরাবর,
সম্পাদক
দৈনিক প্রথম আলো
১০০ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা-১২১৫।
জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত পত্রিকায় নিম্নলিখিত জনগুরুত্বসম্পন্ন পত্রটি প্রকাশ করে বাধিত করবেন।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
অসহনীয় যানজটে স্থবির নগরজীবন
ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। দেশের সমস্ত কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র। নানা প্রয়োজনে দেশের সকল প্রান্তের মানুষ ঢাকা আসে। অফিস-আদালতের কাজ, ভ্রমণসহ নানা প্রয়োজনের কেন্দ্রস্থল ঢাকা। অথচ দেশের ব্যস্ততম এ শহরটি যানজটের কবলে পড়ে নাকাল। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র ট্রাফিক জ্যাম লক্ষ করা যায়। দুঃসহ যানজটের কবলে পড়ে মানুষকে যখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনের মধ্যে আটকে থাকতে হয় তখন ঢাকা সম্পর্কে মানুষের তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্ম হয়। ফার্মগেট থেকে গুলিস্তান যেতে যেখানে বড়জোর পনেরো মিনিট সময় দরকার, সেখানে যানজটের কারণে কখনো কখনো আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ সবগুলো সড়কেই একই চিত্র। এভাবেই মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান সময়। যেখানে দিনে পাঁচটি কাজ করা সম্ভব যানজটের কারণে হয়তো দুটি কাজ করা যায়। এ অবস্থায় দেশ অর্থনৈতিকভাবে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ দুরবস্থা নিরসনকল্পে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিম্নলিখিত ব্যবস্থাসমূহ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
১. অবৈধ স্থাপনা ও ফুটপাত দখলকারীদের উচ্ছেদ করা;
২. রাস্তাসমূহ প্রয়োজনের অনুপাতে প্রশস্ত করা;
৩. যানবাহন চালকদের ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলতে বাধ্য করা;
৪. পাতাল রেলের ব্যবস্থা করা। এজন্য প্রয়োজনে উন্নত দেশের সাহায্য গ্রহণ করা;
৫. নগরীর চারদিক দিয়ে বিকল্প রেল স্থাপন করা;
৬. ফ্লাইওভারগুলোর নির্মাণ কাজ ত্বরান্বিত করা।
উপরোল্লিখিত ব্যবস্থসমূহ গ্রহণ করলে যানজটের তীব্রতা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।
নিবেদক
বাদল রায়
গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
[এখানে ঠিকানা সংবলিত খাম আঁকতে হবে]
0 Comments:
Post a Comment