💕 চিঠি বা পত্র:
চিঠির আভিধানিক অর্থ হলো স্মারক বা চিহ্ন। তবে ব্যবহারিক অর্থে চিঠি বা পত্র লিখন বলতে বোঝায়, একের মনের ভাব বা বক্তব্যকে লিখিতভাবে অন্যের কাছে পৌঁছানোর বিশেষ পদ্ধতিকে। আরও সহজ করে বলা যায়, দূরের কিংবা কাছের কোনো আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধু-বান্ধবের কাছে নিজের প্রয়োজনীয় কথাগুলো লিখে জানানোর পদ্ধতিকে চিঠি বা পত্র লিখন বলে।
💕 চিঠি বা পত্রের বিভিন্ন অংশ:
একটি চিঠি বা পত্রে সাধারণত ছয়টি অংশ থাকে। এগুলো হলো-
১. যেখান থেকে চিঠি লেখা হচ্ছে সে জায়গার নাম ও তারিখ;
২. সম্বোধন বা সম্ভাষণ;
৩. মূল বক্তব্য;
৪. বিদায় সম্ভাষণ;
৫. প্রেরকের (যে চিঠি পাঠাচ্ছে তার) স্বাক্ষর ও
৬. প্রাপকের (যে চিঠি পাবে তার) নাম ও ঠিকানা।
💕 চিঠি বা পত্রের প্রকারভেদ:
বিষয়বস্তু বিবেচনায় চিঠিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। যথা-
১. ব্যক্তিগত চিঠি। যেমন- মা-বাবা বা বন্ধু-বান্ধবকে ব্যক্তিগত বিষয় উল্লেখ করে লেখা চিঠি।
২. সামাজিক চিঠি। যেমন- সামাজিক কোনো সমস্যা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের জন্য কিংবা প্রশাসনকে জানানোর জন্য লেখা চিঠি।
৩. ব্যবহারিক চিঠি। যেমন- ব্যবহারিক প্রয়োজনে লেখা আবেদনপত্র, ব্যবসাপত্র, নিমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি।
💕 চিঠি বা পত্র লেখার নিয়ম:
চিঠি বা পত্র লেখার সময় সাধারণ কয়েকটি নিয়ম পালন করতে হয়। যেমন-
১. সুন্দর ও স্পষ্ট হস্তাক্ষরে লেখা;
২. সহজ, সরল ভাষায় লেখা;
৩. নির্ভুল বানানে লেখা;
৪. চলিত ভাষায় লেখা;
৫. বিরামচিহ্নের যথাযথ ব্যবহার করা;
৬. একই কথার পুনরাবৃত্তি না করা;
৭. পাত্রভেদে সম্মান ও স্নেহসূচক বাক্য ব্যবহার ইত্যাদি।
0 Comments:
Post a Comment