নবম-দশম শ্রেণি
বাংলা সহপাঠ গাইড
নাটক
বহিপীর
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
নবম-দশম শ্রেণির বাংলা সহপাঠ গাইড
বহিপীর নাটকের গুরুত্বপূর্ণ
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর pdf download
১. তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল কেন?
উত্তর: বহিপীরের সাথে বিয়েতে মত না থাকায় তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল।
তাহেরার তুলনায় বহিপীরের বয়স অনেক বেশি। কিন্তু তাহেরার পিতামাতা বহিপীরের মুরিদ হওয়ায় তারা তার সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তাহেরার এই বিয়েতে কোনোভাবেই মত ছিল না। তাই সে এই বিয়ে থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছিল। এজন্য তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়েছিল।
২. বহিপীর হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন কেন?
উত্তর: ঝড়ের কবলে বহিপীরকে বহনকারী নৌকা ডুবে যাওয়ায় তিনি হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন।
বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে নৌকা নিয়ে তার খাদেমের সাথে বের হন। পথিমধ্যে নৌকাটি ঝড়ের কবলে পড়ে। তখন বহিপীরের নৌকা ও হাতেম আলির নৌকা একই সাথে খালের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করছিল। সে সময় ধাক্কা খেয়ে বহিপীরের নৌকা ডুবে যায়। ফলে সাঁতরে বহিপীর হাতেম আলির নৌকায় আশ্রয় নেন।
৩. হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে কেন?
উত্তর: সান্ধ্য আইনের ফলে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। কিন্তু তিনি এই জমিদারি হারাতে বসেছেন। সান্ধ্য আইনে নির্ধারিত সময়ের আগে খাজনা পরিশোধ না করলে জমিদারি নিলামে উঠত। হাতেম আলি অনেক চেষ্টা করেও খাজনার টাকা জোগাড় করতে পারেননি। এজন্য তিনি শহরে বন্ধুর কাছে গিয়েও খালি হাতে ফিরেছেন। ফলে তার জমিদারি নিলামে উঠতে চলেছে।
৪. বহিপীর নৌকা নিয়ে কদমতলার ঘাটের দিকে গিয়েছিলেন কেন?
উত্তর: বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে নৌকা নিয়ে কদমতলার ঘাটের দিকে গিয়েছিলেন।
বহিপীরের বয়স বেশি হওয়ায় বালিকা তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না। এজন্য সে বিয়ের রাতেই পালিয়ে যায়। বহিপীর তাহেরার পালিয়ে যাওয়ার কথা শুনে তার খাদেমকে নিয়ে নৌকা করে খুঁজতে বের হন। সে সময় বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে কদমতলার ঘাটের দিকেও গিয়েছিলেন।
৫. তাহেরা পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায় কেন?
উত্তর: তাহেরা বহিপীরের সাথে যেতে ইচ্ছুক নয় বলে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায়।
তাহেরা বহিপীরকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় পালিয়ে যায়। কিন্তু তাহেরা যে বজরায় আশ্রয় নেয় ঝড়ের কবলে পড়ে বহিপীরও সেই বজরাতেই আশ্রয় নেয়। সেখানে তাহেরাকে বহিপীর ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে তাহেরা তাতে অস্বীকৃতি জানায় এবং প্রয়োজনে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মরতে চায়।
৬. “চারিদিকে আমি অন্ধকার দেখছি”- হাতেম আলির একথা বলার কারণ কী?
উত্তর: জমিদারির পতন আসন্ন জেনে হতাশায় হাতেম আলি প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছেন।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। সে জমিদারি রক্ষার জন্য বাল্যবন্ধু আনোয়ারের কাছে টাকা কর্জ করতে গিয়েছিল। কিন্তু বন্ধু তাকে নিরাশ করে। ফলে খাজনা শোধ করতে না পারায় হাতেম আলির জমিদারি নিলামে উঠবে। এই দুশ্চিন্তায় হাতেম আলি বলেন ‘চারিদিকে আমি অন্ধকার দেখছি’।
৭. হাশেম তাহেরাকে বিয়ে করে হলেও বাঁচাতে চায় কেন?
উত্তর: তাহেরার প্রতি দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে হাশেম তাকে বিয়ে করে হলেও বহিপীরের হাত থেকে বাঁচাতে চায়।
তাহেরা বালিকা মেয়ে হওয়া সত্ত্বেও তার পরিবার এক বুড়ো পীরের সাথে তার বিয়ে দেয়। কিন্তু তাহেরা এই বিয়ে না মেনে নিয়ে পালিয়ে যায় এবং ঘটনাক্রমে হাশেম আলিদের বজরায় আশ্রয় নেয়। তাহেরার মতো একজন বালিকা মেয়ের এই বিয়ে হাশেম আলিও মেনে নিতে পারেনি। একজন দায়িত্ববোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে সে তাহেরার পক্ষ অবলম্বন করে। বহিপীরের হাত থেকে তাহেরাকে সে বাঁচাতে চায়। প্রয়োজনে বিয়ে করে হলেও সে তাহেরাকে বাঁচাতে চায়।
৮. তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না কেন?
উত্তর: বয়সের ব্যবধান অনেক বেশি হওয়ায় তাহেরা বহিপীরের সাথে বিয়েতে রাজি ছিল না।
তাহেরা একজন স্বাধীনচেতা নারী। তাহেরা বালিকা হলেও বহিপীর ছিলেন বুড়ো। তার পিতা বয়সের ব্যবধানের হিসাব না করে এই বুড়ো পীরের সাথেই বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু তাহেরা বহিপীরের সাথে তার বয়সের ব্যবধান মেনে নিতে পারেনি। তাই সে বিয়েতে রাজি ছিল না।
৯. তাহেরার পিতামাতা বহিপীরের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেন কেন?
উত্তর: তাহেরার পিতামাতা পীরসাহেবকে খুশি করার জন্য বহিপীরের সাথে তাহেরার বিয়ে ঠিক করেন।
তাহেরার পিতামাতা ছিলেন বহিপীরের মুরিদ। বহিপীর অনেক দিন পর পর তাদের বাড়িতে গেলে তারা পীরের খেদমতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। তারা মনে করে পীরের খেদমত করতে পারলেই অনেক অনেক সওয়াব পাওয়া যায়। তাই তারা পীরকে খুশি রাখতে চান। আর পীরকে খুশি রাখার আশায় তারা তাহেরার সাথে পীরসাহেবের বিয়ে দিতে চান।
১০. হাশেম তাহেরাকে হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয় কেন?
উত্তর: তাহেরা নদীতে ঝাঁপ দিতে গেলে তাকে বাঁচানোর জন্য হাশেম হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়।
তাহেরার প্রতি প্রথম থেকেই হাশেমের দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা জাগ্রত হয়। সে বহিপীরের কবল থেকে তাহেরাকে বাঁচানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বহিপীর বিভিন্ন কৌশলে তাহেরাকে নিয়ে যেতে চান। একপর্যায়ে পীরসাহেব পুলিশ ডাকতে পাঠালে তাহেরা নদীতে ঝাঁপ দিতে যায়। তখন তাকে বাঁচানোর জন্য হাশেম হাত ধরে হ্যাঁচকা টান দেয়।
১১. খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয় কেন?
উত্তর: তাহেরাকে বহিপীরের সাথে পাঠানো নিয়ে খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
তাহেরা বাড়ি থেকে পালিয়ে হাতেম আলির বজরায় উঠেছে। অন্যদিকে বহিপীর তাহেরাকে খুঁজতে গিয়ে ঐ বজরায় এসেছে। সেখান থেকে বহিপীর তাহেরাকে নিয়ে যেতে চাইলে তাহেরা তাতে অস্বীকৃতি জানায়। কেননা সে বহিপীরের সাথে সংসার করতে রাজি নয়। সেখানে হাশেম তাহেরার পক্ষ নিলেও খোদেজা তাহেরাকে পাঠিয়ে দিতে চায়। আর এ নিয়ে খোদেজার সাথে হাশেমের বিরোধ সৃষ্টি হয়।
১২. বাবার জমিদারি নিলামে ওঠার কথায় হাশেম কাঁদতে শুরু করে কেন?
উত্তর: বাবার জমিদারি নিলামে ওঠায় তার কষ্ট অনুধাবন করে হাশেম কাঁদতে শুরু করে।
হাশেম একজন অনুভূতিবোধসম্পন্ন মানুষ। অন্যের দুঃখ কষ্ট তাকে ব্যথিত করে। তাহেরার প্রতি সে যেমন সমব্যথী হয়েছে তেমন বাবার জমিদারি হারোনোর কথাও তাকে ব্যথিত করেছে। বাবা জমিদারি হারানোতে তার বুকের মধ্যে কেমন অস্থিরতা কাজ করছে তা ভেবে হাশেম আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। আর এজন্য সে কেঁদে ফেলে।
১৩. খোদেজা খাল কেটে কুমির আনার কথা বলেছে কেন?
উত্তর: হাশেম তাহেরাকে বিয়ে করতে চাওয়ায় খোদেজা মনে করে সে খাল কেটে কুমির এনেছে।
খোদেজা তাহেরাকে বিপদগ্রস্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে তাদের বজরায় আশ্রয় দেয়। তার কাছে সকল ঘটনা শুনে হাশেম তাহেরার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। সে তাহেরাকে বিয়ে করে হলেও উদ্ধার করতে চায়। তখন খোদেজা তাহেরার প্রতি ইঙ্গিত করে খাল কেটে কুমির আনার কথা বলেছে।
১৪. হাতেম আলি বহিপীরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল কেন?
উত্তর: হাতেম আলি নিজের আত্মসম্মান বোধের কারণে বহিপীরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল।
হাতেম আলি রেশমপুরের জমিদার। ফলে তিনি একজন আত্মসম্মানী মানুষ। কিন্তু টাকার অভাবে তিনি জমিদারি হারাতে বসেছেন। এ সময় বহিপীর তাহেরাকে সাথে যেতে রাজি করার বিনিময়ে হাতেম আলিকে জমিদারি রক্ষার টাকা দিতে চায়। কিন্তু এ প্রস্তাব মেনে নিতে হাতেম আলির আত্মসম্মানে বাধে। তাই তিনি বহিপীরের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
১৫. শেষ পর্যায়ে বহিপীর হাতেম আলিকে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া সাহায্য করতে চাইলেন কেন?
উত্তর: বহিপীরের মাঝে মানবতাবোধ জাগ্রত হওয়ায় শেষ পর্যায়ে তিনি হাতেম আলিকে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়া সাহায্য করতে চাইলেন।
বহিপীর তাহেরাকে সাথে নেওয়ার জন্য নানা রকম ফন্দি আঁটেন। কিন্তু কোনো কিছুতে কাজ না হওয়ায় হাতেম আলিকে সাহায্য করার বিনিময়ে তাহেরাকে চান। কিন্তু হাতেম আলি আত্মসম্মান বোধের কারণে বহিপীরের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে বহিপীরের মাঝেও মানবতাবোধ জন্মে। তিনি বুঝতে পারেন তাহেরার মতো বালিকাকে তার বিয়ে করা উচিত হয়নি। তাই তিনি শেষে কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই হাতেম আলিকে সাহায্য করতে চান।
১৬. হাতেম আলি পীরসাহেবকে সাবধানী লোক বলেছে কেন?
উত্তর: কঠিন পরিস্থিতিতেও পীরসাহেবের স্থিরতা দেখে হাশেম আলি তাকে সাবধানী লোক বলেছে।
বহিপীর কৌশলে তাহেরাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান। এজন্য তিনি নানা রকম ফন্দি আঁটেন। কিন্তু কোনো ফন্দি-ফিকিরেই যখন কাজ হচ্ছিল না তখন তিনি উত্তেজিত না হয়ে ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি বুঝে কাজ করছিলেন। হাশেম আলি পীরসাহেবের এই কর্মকাণ্ড দেখে তাকে সাবধানী লোক বলেছে।
১৭. “ঝোঁক কেটে গেলে আপনার ছেলের মনে হতে পারে তিনি ভুল করেছেন” তাহেরা এ উক্তি করেছে কেন?
উত্তর: তাহেরাকে হাশেম বিয়ে করতে চাইলে হাশেমকে যাচাই করার উদ্দেশ্যে তাহেরা প্রশ্নোক্ত উক্তি করেছে।
হাশেম দায়িত্ববোধ ও ভালোবাসা থেকে তাহেরাকে বহিপীরের হাত থেকে রক্ষার জন্য বিয়ে করতে চায়। হাশেম এ কথা তার মায়ের সামনে তাহেরাকে জানায়। কিন্তু তাহেরা যথেষ্ট বুদ্ধিমতি নারী। তাই সে হাশেমকে যাচাই করে নিতে চায় সে কেন বিয়ে করতে চাচ্ছে। আর এ জন্যই তাহেরা প্রশ্নোক্ত উক্তি করে।
১৮. তাহেরা নিজেকে কোরবানির বকরি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন?
উত্তর: মা-বাবা তাহেরার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর করে বুড়ো পীরের সাথে বিয়ে দেওয়ায় সে নিজেকে কোরবানির বকরি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
বহিপীরের সাথে বিয়েতে তাহেরার কোনো মত ছিল না। তার বাবা-মা বহিপীরের ভক্ত হওয়ায় তারা বুড়ো বয়সী পীরের সাথে বিয়ে ঠিক করে। এ ক্ষেত্রে তারা তাহেরার মতামতের কোনো তোয়াক্কা করে না। তাই তাহেরা মনে করে কোরবানির বকরিকে যেমন ক্রেতা-বিক্রেতার ইচ্ছায় কেনাবেচা হয় তার সাথেও তেমন করা হচ্ছে। এজন্য সে নিজেকে কোরবানির বকরি ভেবে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
১৯. বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকানি চুবানি খেয়েছে কেন?
উত্তর: নৌকা ডুবে যাওয়ায় বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকানি চুবানি খেয়েছে।
বহিপীর তার সঙ্গীকে নিয়ে তাহেরাকে খুঁজতে বেরিয়েছিল। পথিমধ্যে ঝড় শুরু হলে তারা দ্রæত খালের মধ্যে ঢুকতে যায়। সে সময় হাতেম আলির বজরার সাথে ধাক্কা লেগে তাদের নৌকা ডুবে যায়। আর এসময়ই বহিপীর ও তার সঙ্গী পানিতে নাকনি চুবানি খেয়েছে।
২০. হাতেম আলি সারা বিকেল বাল্যবন্ধু আনোয়ারের আশায় কাটায় কেন?
উত্তর: হাতেম আলি জমিদারি রক্ষায় বাল্যবন্ধু আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা ধার নেবে বলে তার আশায় সারা বিকেল কাটায়।
হাতেম আলির জমিদারি সূর্যাস্ত আইনে নিলামে উঠতে চলেছে। এজন্য শেষ মুহূর্তে সাহায্যের আশায় হাতেম আলি শহরে বন্ধুর কাছে আসে। কিন্তু সেখানেও নিরাশ হয়। তবুও হাতেম আলি মনে করে তার বন্ধু টাকা নিয়ে তার কাছে আসবে তার জমিদারি রক্ষা পাবে। তাই সে সারা বিকেল বন্ধু আনোয়ারের আশায় কাটায়।
২১. বহিপীর পুলিশে খবর দিতে চান কেন?
উত্তর: তাহেরা বহিপীরের সাথে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বহিপীর পুলিশে খবর দিতে চান।
বহিপীরের সাথে বয়সের ব্যবধান বেশি হওয়ায় তাহেরা বিয়ের দিনই পালিয়ে আসে। তাহেরা বিয়েতে বহিপীরকে পছন্দ করে না। কিন্তু বহিপীর তাহেরাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। সব কৌশলে ব্যর্থ হলে তিনি আইনের মাধ্যমে তাহেরাকে নিয়ে যেতে পুলিশে খবর দিতে চান।
Very helpful
ReplyDelete