তোমার স্কুলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া-প্রতিযোগিতা সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
তারিখ: ২০/০৩/২০২৪
বরাবর
প্রধান শিক্ষক,
মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
মনোহরদি, নরসিংদী
বিষয়: স্কুলে বার্ষিক ক্রীড়ানুষ্ঠান-সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার আদেশক্রমে স্কুলে অনুষ্ঠিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার একটি প্রতিবেদন আপনার সদয় অবগতির জন্য পেশ করছি।
মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে
বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
গত ১৭ই মার্চ মনোহরদি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। ক্রীড়া শিক্ষক সোবহান চৌধুরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের ঐকান্তিক সহযোগিতা ও প্রচেষ্টায় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সুন্দরভাবে পরিচালিত ও সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে। অন্যবারের তুলনায় এবার এই স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিষয় যেমন ছিল অনেক, তেমনি ছিল বৈচিত্র্যপূর্ণ, যে জন্য সব শিক্ষার্থীই কমবেশি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিল।
সকাল নয়টায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের সম্মানিত প্রধান শিক্ষক। প্রধান অতিথি ছিলেন দেশবরেণ্য ক্রীড়াবিদ জোবায়রা রহমান লিনু। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন ঘোষিত হয়।
এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো ছিল বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ। বিশটিরও বেশি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রকমের দৌড়, দীর্ঘলাফ, উচ্চলাফ, বর্শা নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, লৌহগোলক নিক্ষেপ, প্রতিবন্ধক দৌড়, দ্রুত হাঁটা, সাইকেল দৌড় ইত্যাদি ছিল অন্যতম। পুরুষ অতিথিদের জন্য ছিল ‘অন্ধের হাঁড়ি ভাঙা খেলা’ এবং আমন্ত্রিত মহিলাদের জন্য ছিল ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’। এ খেলা দুটি খুবই উপভোগ্য হয়েছে। শিক্ষকগণের জন্য ছিল উল্টো দৌড়। শিক্ষিকাগণের জন্য ছিল ‘সুঁইয়ে সুতা গাঁথা’। সবশেষে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ এবং শিক্ষকগণের মধ্যে ‘রশি টানাটানি’ হয়। এ খেলাটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় শেষ হয়। দর্শকদের মাঝে এটি ভিন্ন মাত্রার আনন্দ দেয়।
প্রতিযোগিতা শেষে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেক বিজয়ীকে একটি করে ক্রেস্ট এবং সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাজা মিয়া চারটি ইভেন্টে প্রথম হয়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীর সম্মান অর্জন করে। মেয়েদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগীর কৃতিত্ব অর্জন করে দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া খাতুন।
ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উপলক্ষে এবার বিদ্যালয়ের বিশাল মাঠ যেভাবে সাজানো হয়েছিল তা সবার দৃষ্টি কেড়েছে। তাছাড়া এবারের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজনও ছিল অত্যন্ত চমৎকার। ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধন, পায়রা ওড়ানো, মশাল প্রজ্বলন, প্রতিযোগীদের কুচকাওয়াজ ইত্যাদি আনুষ্ঠানিকতা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ এই খেলায় যারা অংশ নিয়েছে তারাও অত্যন্ত রুচিবোধের পরিচয় দিয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানের ধারাবর্ণনা ছিল চমৎকার।
অনুষ্ঠানটি সফল করতে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ সকলেই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন তা অবশ্যই তাদেরকে উৎসাহ, আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
এ কথা স্বীকার করতে কোনো দ্বিধা নেই যে, এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান স্কুলে সুনাম বৃদ্ধি করেছে এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমের চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করতে সক্ষম হয়েছে।
বিনীত প্রতিবেদক
কামরুল আহসান
দশম শ্রেণি, বিজ্ঞান বিভাগ
রোল নং- ১৫
[এখানে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানাসংবলিত খাম আঁকতে হবে]
0 Comments:
Post a Comment