ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম শাসনের সূচনাঃ
১. মুহম্মদ বিন কাসিমঃ উমাইয়া খলিফা প্রথম ওয়ালীদের সময় ইরাক ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের শাসনকর্তা ছিলেন হাজ্জাজ বিন ইউসুফ। হাজ্জাজের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা মুহম্মদ বিন কাসিম ৭১২ খ্রিস্টাব্দে মাত্র সতের বছর বয়সে সিন্ধুর রাজা দাহিরকে পরাজিত করে সিন্ধুর বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করেন। ৭১৫ খ্রিস্টাব্দে উমাইয়া খলিফার পরিবর্তন ঘটলে নতুন খলিফা মুহম্মদ বিন কাসিমকে ডেকে পাঠান এবং অভিযোগ এসে বন্দী করেন। পরবর্তীতে বন্দী অবস্থায় মুহম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যু হয়। বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়ের ফলে ভারতবর্ষে ইসলাম প্রসারের সূচনা ঘটে, আরব ও ভারতীয়দের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপিত হয় এবং মুসলমানগণ ভারতীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের সংস্পর্শে আসে।
২. সুলতান মাহমুদঃ মুহম্মদ বিন কাসিমের অভিযানের প্রায় ৩০০ বছর পর গজনীর সুলতান মাহমুদ ভারতীয় উপমহাদেশে কতিপয় অভিযান পরিচালনা করেন। তিনি ছিলেন গজনীর অধিপতি সবুক্তগীনের পুত্র। ভারতীয় উপমহাদেশের ধনরত্ন লাভের আকাঙ্খায় তিনি মোট ১৭ বার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। ১০২৬ সালে সুলতান মাহমুদ গুজরাটের সেমনাথ মন্দির আক্র ও লুণ্ঠন করেন। বহু রাজপুত মন্দিরটি রক্ষা করতে এগিয়ে আসলেও সুলতান মাহমুদ মন্দিরটি ধবংশ করেন। কথিত যে এ মুন্দির হতে লুণ্ঠনকৃত সোনার মূল্য ছিল তৎকালে প্রায় ২কোটি টাকা। তাঁর সভাকবি ছিলেন পারস্যের কবি ফেরদৌসী। বিখ্যাত দার্শনিক ও জ্যোতির্বিদ আল বিরুনী তাঁর রাজসভা অলংকৃত করেন।
৩. মুইজুদ্দীন মুহম্মদ ঘুরীঃ সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর দেড়শত বছর পর মুহম্মদ ঘুরী ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন। মুহম্মদ ঘুরী ছিলেন গজনীর সুলতান শিহাবুদ্দীন ঘুরীর ভ্রাতা। তিনি বিভিন্ন যুদ্ধের মাধ্যমে সমগ্র পাঞ্জাব দখল করেন। অধিক শক্তি সঞ্চয় করে মুহম্মদ ঘুরী ১১৯২ সালে তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বিরাজের মুখোমুখি হন। পৃথ্বিরাজ দেশীয় শতাধিক রাজার সহযোগিতা নিয়েও মুহম্মদ ঘুরীর নিকট পরাজিত হলে আজমীর ও দিল্লী মুসলমানদের দখলে আসে। তিনি মিরাট, আগ্রা প্রভৃতি জয় করে শাসনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং শাসনভার কুতুবউদ্দিন আইবেকের উপর ন্যস্ত করেন। এপর কুতুবউদ্দিন আইবেকের সহায়তায় বারানসী, গোয়ালিয়র, কালিঞ্জর, বুন্দেলখণ্ড প্রভৃতি জয় করে ভারতবর্ষে মুসলিম শাসনের ভিত প্রতিষ্ঠা করেন।
৪. কুতুব উদ্দিন আইবেকঃ ভারতে তুর্কী সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হলেন কুতুবউদ্দিন আইবেক। তিনি ছিলেন গজনীর সুলতান মুহম্মদ ঘুরীর ক্রীতদাস। মুহম্মদ ঘুরী তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধে পৃথ্বিরাজকে পরাজিত করে কুতুবউদ্দিন আইবেককে অধিকৃত ভারতবর্ষের শাসনকর্তা নিযুক্ত করেন। ১২০৬ সালে মুহম্মদ ঘুরী প্রাণত্যাগ করলে কুতুবউদ্দিন ভারতবর্ষের সম্রাট হন। ঐতিহাসিক ড. শ্রীবাস্তবের মতে, তিনি ছিলেন সমগ্র হিন্দুস্তানের প্রথম মুসলিম সম্রাট।
৫. শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশঃ কুতুবউদ্দিন আইবেকের জামাতা ইলতুৎমিশ ১২১১ সালে দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। তিনি কুতুব মিনার নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করেন। তাঁর পুত্র নাসিরুদ্দীন মাহমুদ বাংলার বিদ্রোহী সুলতান গিয়াসউদ্দিন ইওয়াজ খলজীকে পরাজিত করে বাংলা দিল্লীর শাসনাধীনে আনয়ন করেন।
মুঘল আমলঃ
জহীরুদ্দীন মুহম্মদ বাবরঃ ১৪৮৩ সালে বাবর মধ্য এশিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। পিতার মৃত্যু হলে মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি পিতৃসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন। দিল্লীর শাসনকর্তা ইব্রাহীম লোদীর জ্ঞাতিশত্রু পাঞ্জাবের শাসনকর্তা দৌলত খাল লোদী বাবরকে ভারতবর্ষ আক্রমনের আহবান জানালে বাবর বিনা বাধায় ১৫২৫ সালে পাঞ্জাব দখল করেন। ১৫২৬ সালের ২১ এপ্রিল বাবার পানিপথের প্রান্তরে ইব্রাহীম লোদীর মুখোমুখি হন। এ যুদ্ধে বাবর ভারতীয় উপমহাদেশে প্রথম কামানের ব্যবহার করেন। ইব্রাহীম মেলাদী পরাজিত ও নিহত হলে বাবর দিল্লী অধিকার করেন এবং নিজেকে সমগ্র হিন্দুস্তানের বাদশাহ হিসেবে ঘোষনা করেন।
হুমায়ুনঃ বাবরের মৃত্যুর পর জ্যেষ্ঠপুত্র হুমায়ুন সিংহাসনে আরোহণ করে ছোট খাট বিদ্রোহ দমন করেন। ১৫৪০ সালে কনৌজের যুদ্ধে হুমায়ুন শেরখানের নিকট পরাজিত হলে দিল্লী হুমায়ুনের হাতছাড়া হয়ে যায়। ১৫৫৫ সালে পুনরায় হুমায়ুন দিল্লী দখল করেন। এক বছর পর সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়ে তিনি আহত হন এবং তিনদিন পর মারা যান। হুমায়ুন বাংলার নাম দেন ‘জান্নাতাবাদ’।
আকবরঃ মাত্র তের বছর বয়সে আকবর দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। এ সময় পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধে রাজপুত বীর হিমুর মুখোমুখি হন (১৫৫৬ সালে)। যুদ্ধে জয়লাভের মাধ্যমে আকবর মুঘল সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব রক্ষা করেন। ১৫৭৬ সালে দাউদ খান কররানীকে পরাজিত করে আকবর বাংলার কিয়দাংশ দখল করেন। তিনি বাংলার কৃষকদের নিকট হতে রাজস্ব আদায়ের সুবিধার জন্য বাংলা সাল প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সম্মিলনের জন্য তিনি ‘দীন-ই-ইলাহী’ নামে একটি নতুন ধর্ম প্রচলন করেন। বীরবল, টোডরমল, তানসেন প্রভৃতি গুণী ব্যক্তি তাঁর রাজসভা অলংকৃত করেন।
জাহাঙ্গীরঃ তাঁর সময়ে ভারতবর্ষে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটে। তিনি আগ্রার তাজমহল নির্মাণ করেন। ১৬১৩ সালে তাজমহলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর প্রধান স্থপতি ছিলেন ইস্তাম্বুলের অধিবাসী ওস্তাদ ঈসা। বলদেব দাস ছিলেন তাজমহল নির্মাণকার্যে নিযুক্ত বাঙালি স্থপতি। বিখ্যাত ‘ময়ুর সিংহাসন’ সম্রাটের অমর কীর্তি। এ সময় সম্রাটের অনুমতিক্রমে ইংরেজরা বাংলায় ঙপিপিলাই’ নামক স্থানে প্রথম বাণিজ্য কুছি স্থাপন করে।
বাংলাদেশে বার ভূঁইয়াঃ
বার ভূঁইয়া ছিল পাঠান ও হিন্দু জমিদারদের পরিচিতিমূলক শব্দ। বার ভূঁইয়া কথাটি প্রসিদ্ধি লাভ করলেও ভূঁইয়াদের সংখ্যা বার অপেক্ষা বেশি ছিল এবং তাঁদের কেহ কেহ হিন্দু ছিলেন। ভূঁইয়াদের মধ্যে সোনারগাঁয়ের ঈসা খাঁ ছিলেন শ্রেষ্ঠ ও শক্তিশালী নরপতি। সম্রাট আকবর সেনাপতি মানসিংহকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করলেও তিনি ঈসা খাঁকে পরাজিত করতে পারেননি।
কয়েকজন বার ভূঁইয়াদের নাম: অঞ্চল
ঈসা খাঁ, মসনদ-ই-আলীম, মুসা খাঁ: খিজিরপুর, ঢাকা
মহারাজা প্রতাপাদিত্য: খুলনা-যশোর
চাঁদ রায়, কেদার রায়: বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ
পীতাম্বর রায়, রামচন্দ্র রায়: পুঠিয়া, রাজশাহী
গণেশ রায়, প্রথম রায়: দিনাজপুর
মুকুন্দরাম, রঘুনাথ: ভূষণা, ফরিদপুর
কংস নারায়ণ: তাহিরপুর, নাটোর
পানিপথের যুদ্ধঃ পানিপথের যুদ্ধ হয়েছিল যমুনা নদীল তীরে। পানিপথ নামক স্থানটি বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশের হরিয়ানা নামক স্থানে দিল্লী ও আগ্রার মধ্যবর্তী যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত। পানিপথের প্রথম যুদ্ধ হয়েছিল ১৫২৬ সালে বাবর ও ইব্রাহীম লোদীর মধ্যে, পানিপথের ২য় যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ১৫৫৬ সালে আকবরের সেনাপতি বৈরাম খান ও হিমুর মধ্যে এবং তৃতীয় যুদ্ধ হয় ১৭৬১ সালে আহমেদ শাহ আবদালী ও মারাঠা শক্তির মধ্যে।
সুবাদার আমলে বাংলাঃ
সুবাদার ইসলাম খানঃ মুঘল প্রদেশগুলো সুবা নামে পরিচিত ছিল। সুবার শাসনকর্তাকে বলা হতো সুবাদার। বাংলা ছিল মুঘলদের অন্যতম সুবা। বাংলার বারভূঁইয়াদের দমন করে এ প্রদেশে মুঘল শাসন প্রতিষ্ঠা সম্রাট জাহাঙ্গীরের কৃতিত্বপূর্ণ কাজ। আর এ সাফল্যের দাবিদার সুবাদার ইসলাম খান। তিনি ১৬০৮ সালে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। ইসলাম খান মাত্রাপুর ও ডাকচরা দূর্গ হস্তগত করে ঢাকায় প্রবেশ করেন। (১৬১০ সালে)। এ সময় থেকেই ঢাকা হয় বাংলার রাজধানী। সম্রাটের নামানুষারে তিনি এর নাম রাখেন জাহাঙ্গীরনগর।
শাহজাদা মুহম্মদ সুজাঃ সম্রাট শাহজাহান তার দ্বিতীয় পুত্র মুহাম্মদ সুজাকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত (১৬৩৯) করেন। ১৬৪২ সালে তাকে উড়িষ্যা প্রদেশেরও দায়িত্ব দেয়া হয়। শাহাজাদা সুজার শাসনকাল ছিল বাংলার জন্য স্বর্ণযুগ। এ সময় বাংলায় অভ্যন্তরীণ কোনো গোলযোগ ছিল না, বরং নিরবচ্ছিন্ন শান্তি বজায় ছিল।
মীর জুমলাঃ সুজার আরাকানে পলায়নের পর মীরজুমলাকে সুবাদার হিসেবে নিয়োগ করেন আওরঙ্গজেব। মীরজুমলা একজন দক্ষ, ন্যায়পরায়ণ, সুবিচারক ও সুশাসক ছিলেন। তিনি তিন বছর (১৬৬০-১৬৬৩) বাংলার সুবাদার ছিলেন। তিনি রাজমহল থেকে ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্তানান্তর করেন (১৬৬০)।
শায়েস্তা খানঃ মীর জুমলার মৃত্যুর পর আওরঙ্গজেব তাঁর মামা শায়েস্তা খানকে বাংলার সুবাদার নিযুক্ত করেন। শায়েস্তা খানের আমলকে বাংলায় স্থাপত্য শিল্পের স্বর্ণযুগ বলা হয়। এ সময়ে স্থাপত্য শিল্পের বিকাশ ঘটেছিল। তিনিমগ জলদস্যুদের তাড়িয়ে চট্টগ্রাম দখল করেন এবং নাম রাখেন ‘ইসলামাবাদ’। ১৬৭৮ সালে ৮৪ বছর বয়সে তিনি বাংলা ত্যাগ করলে প্রথমে ফিদাই খান ও পরে শাহজাদা মুহম্মদ আযম বাংলার সুবাদার হন। শাহজাদা আযম ঢাকায় একটি দুর্গ নির্মাণের পরিকল্পনা করে সীমানা দেয়াল স্থাপন করেন এবং নামকরণ করেন ‘কেল্লা আওরঙ্গবাদ’। এক বছরের মাথায় শাহজাদা আযম বাংলা ত্যাগ করলে শায়েস্তা খান পুনরায় বাংলার সুবাদার নিযুক্ত হন। তিনি দুর্গের অধিকাংশ কাজ সম্পন্ন করেন। এ সময় তাঁর কন্যা ‘ইরান দূখত’ (পরী বিবি) মারা গেলে তিনি দুর্গকে অপয়া ভেবে নির্মাণ কাজ স্থগিত করেন।
নবাবী আমলে বাংলাঃ
মুর্শিদকুলী খানঃ তিনি ব্রা²ণের গৃহে জন্মগ্রহণ করেন। হাজী শফী নামক এক ব্যক্তি তাঁকে ক্রয় করে নাম দেন মুহম্মদ হাদী। তিনি হলেন বাংলার প্রথম নবাব। তিনি ১৭০২ সালে মুর্শিদকুলি খান উপাধি পান। ১৭১৭ সালে তিনি বাংলার স্থায়ী সুবাদার নিযুক্ত হন এবং বাংরার রাজধানী ঢাকা থেকে মকসুদাবাদে স্থানান্তরিত করে নাম রাখেন ‘মুর্শিদাবাদে’। তাঁর কোন পুত্রসন্তান না থাকায় মৃত্যুর পর জামাতা সুজাউদ্দিন বাংলার নবাব হন।
আলীবর্দী খানঃ তার প্রকৃত নাম মির্জা মুহম্মদ আলী। বাংলার নবাব সরফরাজ খানের অযোগ্যতার সুযোগে তিনি বাংলা দখল করেন। তিনি প্রথম স্বাধীন নবাব। দিল্লীর দুর্বলতার সুযোগে তিনি স্বাধীনভাবে নবাবী পরিচালনা করেন। তিনি মারাঠা বর্গীদের আক্রমণ হতে বাংলার জনগণকে রক্ষা করেন। ১৭৫৬ সালের এপ্রিল মাসে তিনি মারা গেলে তার দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলা বাংলার সিংহাসনে আরোহণ করেন।
সিরাজউদ্দৌলাঃ সিরাজউদ্দৌলা ১৭৩৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম যইনুদ্দীন এবং মাতার নাম আমিনা। মাতামহ নবাবের মৃত্যু হলে মাত্র তেইশ বছর বয়সে তিনি সিংহাসন লাভ করেন। ১৭৫৬ সালের জুন মাসে তিনি ইংরেজদের কাসিমবাজার দুর্গ অধিকার করেন। একই মাসে তিনি কলকাতা জয় করে না রাখেন ‘আলীনগর’। ১৭৫৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তিনি ইংরেজদের সাথে ‘আলনিগররের সন্ধি’ করেন। দেশী অমাত্য ও নবাব বিরোধীদের ষড়যন্ত্রে এবং মীরজাফরের বিশ্বসঘাতকতায় ১৭৫৭ সলের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে নবাব পরাজিত হন। পলায়নকালে পাটনার পথে রাজমহলের নিকট ধৃত হয়ে মুর্শিদাবাদে নীত হন। ২ জুলাই, ১৭৫৭ মীরজাফরের পুত্র মীরনের নির্দেশে এক সময়ের আশ্রিত মোহাম্মদী বেগের হাতে নিহত হন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব। পলাশীর যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলায় ইংরেজ শাসনের ভিত্তি স্থাপিত হয়। একই সাথে বাংলায় মধ্যযুগের শাসনের সমাপ্তি হয়।
গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও নির্মাতাঃ
স্থাপনা: নির্মাতা
কুতুবমিনার (নির্মাণ শুরু): কুতুবউদ্দিন আইবেক
কুতুবমিনার (নির্মাণ শেষ): শামসুদ্দীন ইলতুৎমিশ
তাজমহাল, ময়ুরসিংহাসন: শাহজাহান
বড় কাটরা, ধানমন্ডি ঈদগাহ মাঠ: মুহম্মদ সুজা
আওলাদ হোসেন জামে মসজিদ: ইসলাম খান
তারা মসজিদ: মীর্জা আহমদ খান
ঢাকা গেইট: মীর জুমলা
ছোট কাটরা, সাতগম্বুজ মসজিদ, চকের শাহী মসজিদ, লালবাগ কেল্লা (নির্মাণ শেষ): শায়েস্তা খান
লালবাগ কেল্লা (নির্মাণ শুরু): শাহজাদা মুহম্মদ আযম
হোসেনী দালান: মীরমুরাদ
বাশেঁর কেল: তিতুমীর
লালবাগ শাহী মসজিদ: ফররুখ মিয়ার
0 Comments:
Post a Comment