SSC সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের (Srijonshil) সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর pdf download

সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর | নবম-দশম শ্রেণির গাইড

নবম-দশম শ্রেণি
বাংলা ১ম পত্র গাইড
গল্প/গদ্য

সাহিত্যের রূপ ও রীতি
হায়াৎ মামুদ

SSC Bangla 1st Paper Golpo
Sahitter Rup O Riti
Srijonshil
Question and Answer pdf download
সাহিত্যের রূপ ও রীতি গল্পের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর: নবম-দশম শ্রেণি

১নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
কাহিনির উৎস পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা, আয়তনে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে, সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। এর নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী, আপসহীন দৃঢ়চেতা। কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে।
ক. সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ কোনটি? ১
খ. নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কেন ? ২
গ. উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যে রূপ ও রীতি’ রচনার সাহিত্যের কোন শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান - ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।’ মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো। ৪

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ক
✍ সাহিত্যের প্রধান লক্ষণ সৌন্দর্য সৃষ্টির মাধ্যমে আনন্দ দান।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: খ
✍ নাটককে দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলা হয় কারণ নাটক একই সাথে দেখা ও শোনা যায়।

✍ বিশ্বসাহিত্যে নাটকই সর্বাপেক্ষা প্রাচীন। নাটকের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এর দর্শক সমাজ। নাটক যদি দর্শকের সামনে উপস্থাপিত না হয় তবে এর উদ্দেশ্য সার্থকতা পায় না। সেকালে নাটক পঠিত হতো না, অভিনীত হতো। সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণ নাটককে তাই দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য বলে অভিহিত করেছেন।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: গ
✍ উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

✍ লেখক হায়াৎ মামুদ তাঁর ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলেছেন, কবিতার অন্যতম প্রধান রূপভেদ হচ্ছে মহাকাব্য। মহাকাব্য রচিত হয় যুদ্ধ-বিগ্রহের কোনো কাহিনি অবলম্বন করে। অর্থাৎ মহাকাব্য অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা। মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তা গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখিত হয়। বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশ করেছেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত তাঁর ‘মেঘনাদবধ’ কাব্যে।

✍ আলোচ্য উদ্দীপকে মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, মহাকাব্যের কাহিনির উৎস হবে পৌরাণিক বা ঐতিহাসিক কোনো ঘটনা। এর আয়তন হবে বিশাল। কাহিনি বিভিন্ন সর্গে বা পর্বে বিভক্ত থাকে। এটি সাধারণত পদ্যে রচিত হয় তবে গদ্যেও হতে পারে। আপসহীন, দৃঢ়চেতা, প্রভাবশালী ও বীরচিত হবে নায়ক চরিত্র। এতে কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে। উদ্দীপকে মহাকাব্যের আকার-আকৃতি ও বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া হয়েছে। তাই উদ্দীপকের বক্তব্যে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্যের মহাকাব্য শাখার বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।

১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর: ঘ
✍ ‘উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত’। কারণ উদ্দীপকে সাহিত্যের একটি মাত্র শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য আলোচিত হয়েছে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের রূপ বা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি তাঁর প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন- কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা, প্রবন্ধ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে পৃথক পৃথক আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছেন। সাহিত্যের এই শাখাগুলো কীভাবে গঠিত হয়েছে তার বিশদ পর্যালোচনা করেছেন।

✍ উদ্দীপকে আলোচনা করা হয়েছে সাহিত্যের একটি বিশেষ দিক নিয়ে। আর সেটি হচ্ছে মহাকাব্য; মহাকাব্যের কাহিনি হবে ঐতিহাসিক বা পৌরাণিক। বিশাল আয়তন, সর্গে বা পর্বে বিভক্ত, পদ্যে রচিত, নায়ক হবে বীর, প্রভাবশালী ও দৃঢ়চেতা, কাহিনির উত্থান-পতন থাকবে এগুলোই মূলত মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য। উদ্দীপকে সাহিত্যের মাত্র একটি শাখা মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই আলোচনা করা হয়েছে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে লেখক আলোচনা করেছেন সাহিত্যের সকল শাখা যেমন- কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি নিয়ে। কিন্তু উদ্দীপকে আলোচিত হয়েছে সাহিত্যের একটি শাখা মহাকাব্য (কবিতা) নিয়ে। মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য নিয়েই উদ্দীপকের আলোচনা সীমাবদ্ধ। তাই বলা হয়েছে, উদ্দীপকে বর্ণিত দিকটিই সাহিত্যের একমাত্র দিক নয় বরং এর শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত।
 

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
২নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
অন্তরের জিনিসকে বাহিরের, ভাবের জিনিসকে ভাষায়, নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের ও ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলাই সাহিত্যের কাজ।
ক. নাটকে সাধারণত কয়টি অঙ্ক থাকে? ১
খ. ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’ কথাটি বুঝিয়ে লেখো। ২
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের কোন দিকটির সাদৃশ্য রয়েছে? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের মূল বিষয়বস্তুকেই তুলে ধরেছে- মূল্যায়ন করো। ৪

২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. নাটকে সাধারণত পাঁচটি অঙ্ক থাকে।

খ. শেষ হয়েও হইল না শেষ’ এই অতৃপ্তির মধ্য দিয়েই ছোটগল্পের সমাপ্তি হয় ।

✍ ছোটগল্প জীবনের যে অংশ আমাদের দেখায় গল্পে তার আরম্ভ যেমন নেই, তেমনি শেষও হয় না। জীবন-কাহিনির মাঝখান থেকেই ছোটগল্পের সূচনা। ছোটগল্পের সূচনা কোনো জীবনের আরম্ভ নয়। আর মাঝখান থেকে হঠাৎ শেষ হয়ে যায় বলে একটা মধুর অতৃপ্তি মনে থেকে যায়। এ জন্যই বলা হয়, শেষ হয়েও হইল না শেষ।

গ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে প্রকাশিত সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার অনুভূতির সামগ্রিকভাবে ফুটে উঠেছে উদ্দীপকের উক্তিটিতে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। সাহিত্যের রূপ এবং রীতি আসলে কী সে বিষয়টি লেখক বোঝাতে চেয়েছেন। সাহিত্যের রূপ বলতে বোঝায়, সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা যেমন কবিতা, মহাকাব্য, নাটক, কাব্যনাট্য, ছোটগল্প, উপন্যাস, রম্যরচনা ইত্যাদি। আর রীতি হলো ওই শাখাগুলো কীভাবে নির্মিত হয়েছে, তারই পর্যবেক্ষণ এবং আলোচনা। এই রূপ ও রীতির পর্যালোচনায় দেখা যায় সাহিত্য মনিবের মনের ভাব প্রকাশক। আর তা রচিত হয় মানুষের জন্যই।

✍ উদ্দীপকে সাহিত্যের সমগ্র ভাবটি প্রতিফলিত হয়েছে । সাহিত্য জগৎ ও জীবনকে সুন্দর করে এবং কোনো কোনো সময় সত্যকে পাঠকের নিকট প্রত্যক্ষ করে আনন্দ দান করে। অপূর্ব রসমূর্তিতে পাঠকের নিকট অন্তরের জিনিসকে বাইরে প্রকাশ করে এবং ভাবের জিনিসকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ভাষায় রূপদান করে। এভাবে লেখকেরা তাঁদের নিজের জিনিসকে বিশ্বমানবের এবং ক্ষণকালের জিনিসকে চিরকালের করে তোলেন। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায়ও একই বিষয় ফুটে উঠেছে।

ঘ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের মূল চেতনা উপস্থাপন করা হয়েছে। উদ্দীপকেও আমরা তার উল্লেখ দেখতে পাই।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে হায়াৎ মামুদ সাহিত্যের বিভিন্ন রূপ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছেন। কবিতা, ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ ইত্যাদি হলো সাহিত্যের অন্যতম শাখা। ছন্দময় ভাষায় যা লিখতে হয় সেটিই মূলত কবিতা। কবিতার দুটি প্রধান ভাগ:  মহাকাব্য ও গীতিকবিতা। মহাকাব্যে অতিশয় দীর্ঘ কাহিনি-কবিতা, যেটি গদ্যে না লিখে পদ্যে লেখা হয় । গীতিকবিতা সংক্ষিপ্ত আকারের কবিতা। এখানে কবির অনুভূতিটাই প্রধান। ছোটগল্পে জীবনের স্বল্প পরিসর বর্ণিত হয় এবং উপন্যাসে জীবনের বৃহত্তর অংশ উঠে আসে। নাটকে জীবনের রূপায়ণ ঘটে এবং তা দৃশ্যরূপে অভিনীত হয় দর্শকের দৃষ্টিগোচর হয়। আর সৃজনীশক্তির পরিস্ফুটনের মাধ্যমে প্রবন্ধ রচিত হয়ে থাকে।

✍ উদ্দীপকে চিরকালীন সাহিত্যের অনুভূতির আভাস পাওয়া যায়। সাহিত্যের বিভিন্ন রূপের মধ্য দিয়ে সাহিত্যিক তাঁর কর্মকে প্রকাশ করেন। শিল্পীর বুননে রূপের অদল-বদলের মাধ্যমে সাহিত্য হয় সর্বজনীন। উদ্দীপকের এই ভাব রয়েছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধেও।

✍ মানুষের জীবনের দুঃখ-বেদনা, হাসি-কান্না ও বিচিত্র সমস্যা যে সাহিত্যের উপকরণ সে সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। বিচিত্র রস, আঙ্গিক গঠনের মধ্য দিয়ে সাহিত্য পূর্ণতা লাভ করে এবং বিচিত্র রূপের মধ্য দিয়ে তা উদ্ভাসিত হয় । উদ্দীপকেও এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে। এই বিষয়টি ফুটে উঠেছে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে। উদ্দীপকে বলা হয়েছে একই গভীর অনুভবের কথা। সাহিত্য মানুষের মনকে তুলে ধরে। একের অনুভূতি কালে কালে অনেক মানসিকতা গঠন করে। উদ্দীপক ও প্রবন্ধের এটিই মূলসুর। সুতরাং বলা যায়, ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের বিষয়বস্তু  উদ্দীপকের মূলভাবে প্রত্যক্ষ।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
“বাবুরা, আমাকে একটিবার ছেড়ে দাও আমি রুটিগুলো ঘরে দিয়ে আসি। বাইরে শিয়াল কুকুরে খেয়ে যাবে- রোগা মানুষ সমস্ত রাত খেতে পাবে না।”
ক. হায়াৎ মামুদ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন? ১
খ. ‘যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে’- কথাটি কেন বলা হয়? ২
গ. উদ্দীপক অংশটুকুতে ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত সাহিত্যের কোন শাখাকে নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. ‘উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়’- ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। ৪
 
এসএসসি বোর্ড পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতির জন্য পড়ুন সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনি প্রশ্ন-উত্তরসহ:

৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. হায়াৎ মামুদ ১৯৩৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন।

খ. আলোচ্য উক্তিটির মাধ্যমে মহাভারত রচনার আকার ও বিষয়গত ব্যাপ্তির দিকনির্দেশ করা হয়েছে।

✍ ‘মহাভারত’ হলো ভারত উপমহাদেশের সর্বপ্রাচীন দুটি কাহিনির একটি। এর আয়তন বিশাল। কাহিনির ব্যাপ্তিত্ত অনেক বেশি। এ কারণেই বলা হয়ে থাকে- ‘যা নেই মহাভারতে, তা নেই ভারতে’। যার অর্থ মহাভারত গ্রন্থে যা নেই, তা ভারতবর্ষেও নেই অর্থাৎ ভারতবর্ষেও ঘটেনি বা ঘটতে পারে না।

গ. উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লেখিত সাহিত্যের শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, গল্প বা ছোটগল্পে জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপের আলোচনা থাকে না। জীবনের খণ্ডাংশকে লেখক রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তোলেন। জীবনের কোনো বিশেষ মুহূর্তকে লেখক কীভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন তারই বর্ণনা। এখানে পত্রপত্রিকার সংখ্যা থাকে স্বল্প। আরম্ভ ও উপসংখ্যা হতে হয় নাটকীয়।

✍ উদ্দীপক অংশটুকু সাহিত্যের বিশেষ শাখা ছোটগল্পকে নির্দেশ করে। এটি বিলাসী গল্পের অংশবিশেষ। এতে ছোটগল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান এটিতে ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান থাকায় ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে এটিকে ছোটগল্প হিসেবেই নির্দেশ করে।

ঘ. ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে উল্লিখিত গীতিকবিতার বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী উদ্দীপকটি গীতিকবিতার অংশ নয়।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় গীতিকবিতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে যা লিখিত হয় তাই কবিতা আর গীতিকবিতায় কবির অনুভূতি প্রকাশ হওয়ায় তা দীর্ঘকায় হয় না। ক্ষেত্রবিশেষে দীর্ঘকায় হলেও সেখানে কবিমনের পূর্ণ অভিব্যক্তি প্রকাশ পায়।

✍ উদ্দীপকে উল্লিখিত অংশটি ছোটগল্পের অংশ। ছোটগল্পের কাহিনির মধ্যে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেয়া হয় না। এতে ছোট পরিসরে জীবনের খণ্ডাংশেকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। উদ্দীপকেও এ রকম জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে তুলে ধরা হয়েছে।  ফলে এটি ছোটগল্পের অন্তর্ভুক্ত।

✍ আলোচ্য উদ্দীপকটি ছন্দোবদ্ধ বা পদ্যে লিখিত কোনো রচনা নয়। এটি গদ্যে রচিত এবং গল্পের অংশ। এটিতে গল্পের গুণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। কাজেই উদ্দীপকটি ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত গীতিকবিতা ও গল্পের বৈশিষ্ট্য বিবেচনায়  গীতিকবিতা নয় বরং গল্প।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৪নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
জ্ঞানের কথা জানা হয়ে গেলে আর জানতে ইচ্ছে করে না-তা মেনে মনে আনন্দও জন্মে না। সূর্য পূর্বাকাশে ওঠে- এই তথ্য আমাদের মন জানে না। কিন্তু সূর্যোদয়ের যে সৌন্দর্য ও তা দেখার যে আনন্দ তা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই বিদ্যমান। তাই সৌন্দর্য ও আনন্দানুভূতি পাঠক হৃদয়ে জাগিয়ে তোলাই সাহিত্যের কাজ।
ক. মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য কী? ১
খ. কমেডি নাটক কীভাবে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে? ২
গ. উদ্দীপকের রচনাটি কোন সাহিত্যের অন্তর্গত? ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. উদ্দীপকের সাহিত্যের রূপটির সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার-বিশ্লেষণ করো। ৪

৪নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. মহাকাব্যের মূল লক্ষ্য গল্প বলা, তবে তাকে গদ্যে না লিখে পদ্যে লিখতে হয়।

খ. কমেডি নাটক মানবসুলভ ত্রুটিবিচ্যুতি ও নির্বুদ্ধিতার পরিণাম প্রদর্শন করে অশোভন দুর্বলতার হাত থেকে মুক্তি দিয়ে আমাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক করে তোলে।

✍ কমেডি নাটকে মানবচরিত্রের নানা অসংগতিকে হাস্যরসের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। এই অসংগতি ইচ্ছার সঙ্গে বাস্তব অবস্থার, আকাক্সক্ষার সঙ্গে প্রাপ্তিযোগের, উদ্দেশ্যের সঙ্গে উপায়ের, কথার সঙ্গে কাজের প্রভৃতি। ফলে কমেডি নাটক আমাদের এসব ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে অবগত করে। এসব বিষয়ে আমরা সচেতন হয়ে উঠি। ভুল-ত্রুটি শুধরে সুস্থ-স্বাভাবিক হয়ে উঠি।

গ. উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত। 

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ রচনায় সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা তথা নাটক, উপন্যাস, প্রবন্ধ, ছোটগল্প প্রভৃতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে প্রবন্ধ হলো গদ্যে লিখিত এবং এর উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। তবে এই রচনায় সৃজনশীলতা বিদ্যমান। সাধারণত কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখক কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে যেই নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন, তা-ই প্রবন্ধ।

✍ উদ্দীপকে দেখা যায় একটি বিষয়বস্তুকে আশ্রয় করে লেখক তাঁর কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেছেন। এতে যেমন তথ্য রয়েছে তেমনি সৃজনশীলতাও রয়েছে। ফলে উদ্দীপকটি পাঠের মাধ্যমে পাঠক সহজেই তার জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করতে পারে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখার মধ্যে প্রবন্ধের বৈশিষ্ট্যগুলোই উদ্দীপকের রচনাটি ধারণ করেছে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকটি প্রবন্ধ সাহিত্য।

ঘ. উদ্দীপকের রচনা এবং ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে বর্ণিত উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও উদ্দেশ্য এবং ধরনগত দিক দিয়ে ভিন্ন হওয়ায় এরা সাহিত্যের আলাদা দুটি শাখা।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। এসব শাখার মধ্যে উপন্যাস অংশটিই সর্বাধিক পঠিত এবং পাঠক মহলে জনপ্রিয় উপন্যাসে একটি কাহিনি বর্ণিত থাকে এবং তা গদ্যে লিখিত হয়। এই উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট। এই প্লট বা আখ্যানভাগ তৈরি হয়ে ওঠে গল্প ও তার ভেতরে উপস্থিত বিভিন্ন চরিত্রের সমন্বয়ে।

✍ উদ্দীপকে সাহিত্যের অন্যতম শাখা প্রবন্ধের উল্লেখ রয়েছে। প্রবন্ধ গদ্যে রচিত হয় এবং এতে তথ্যের প্রাধান্য থাকে, যাতে অজানা তথ্যাদি পাঠক জানতে পারে। তাছাড়া প্রবন্ধে বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে কোনো বিষয়বস্তু সম্পর্কে লেখক আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ সাহিত্যরূপ সৃষ্টি করেন। উদ্দীপকে দেখা যায়, সাহিত্যকে বিষয়বস্তু করে একটি বিষয় রচনা করা হয়েছে। এ ধরনের লেখার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা।

✍ উদ্দীপকে উল্লিখিত প্রবন্ধ এবং উপন্যাস উভয়ই গদ্যে লিখিত হলেও এদের বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। উপন্যাসে কাহিনি লিখিত হলেও প্রবন্ধ বিষয়বস্তুর আলোকে লিখিত হয়। তাছাড়া উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য প্লট। অন্যদিকে প্রবন্ধ লেখকের কল্পনাশক্তি ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখা কোনো বিষয়বস্তুর আলোকে রচনা। এসব বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় উদ্দীপকের রচনাটি প্রবন্ধ সাহিত্যের অন্তর্গত। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের রচনার সাথে উপন্যাসের মিল থাকলেও দুটি ভিন্ন ধারার রচনা।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer
৫নং সৃজনশীল প্রশ্নঃ

নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং সৃজনশীল প্রশ্নগুলোর উত্তর দাওঃ
তিশা তার বাবার সাথে জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চনাটক দেখতে যায়। সেখানে মুনীর চৌধুরীর রচিত ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকের মঞ্চায়ন হয়। নাটকের শেষ দৃশ্যে নায়কের করুণ পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারে না।
ক. সাহিত্যের কোন শাখা বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন? ১
খ. ছোটগল্পে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয় কেন? ২
গ. কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা কোন ধরনের নাটক দেখেছে? ব্যাখ্যা করো। ৩ 
ঘ. “উদ্দীপকের নাটকটি দর্শককে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে” ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধের আলোকে মূল্যায়ন করো। ৪

৫নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
ক. সাহিত্যের অন্যতম শাখা নাটক বিশ্বসাহিত্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন।

খ. ছোটগল্পের পরিধি অত্যন্ত ক্ষুদ্র হওয়ার কারণে এতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ উপস্থাপন সম্ভব নয়।

✍ ছোটগল্পের পরিধি ছোট। এতে কেবল একটি কাহিনির ভেতর থেকে বেছে নেওয়া অংশ থাকে। তাই ছোটগল্পের কাহিনীর ভিতরে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বলে দেওয়া হয় না। ছোটগল্পে জীবনের খণ্ডাংশকে রসনিবিড় করে ফুটিয়ে তোলা হয়। আর এই খণ্ডাংশ বর্ণনার কারণে ছোটগল্পের আয়তন থাকে কম। এই কম পরিধিতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরা সম্ভব হয় না।

গ. কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির বিচারে উদ্দীপকের তিশা ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটক দেখেছে।

✍ কাহিনির বিষয়বস্তু ও পরিণতির দিক থেকে বিচার করলে নাটক প্রধানত ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত, কমেডি বা মিলনান্ত এবং প্রহসন- এ তিন ধরনের হয়। এদের মধ্যে ট্র্যাজেডি বা বিয়োগান্ত নাটকই শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়। এই নাটকে রঙ্গমঞ্চে নায়ক বা নায়িকার জীবনকাহিনির দৃশ্য পরম্বরা উপস্থাপনের মাধ্যমে দর্শক হৃদয়ে ভয় ও করুণা প্রশমিত করে তার মনে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্ট করে।

✍ উদ্দীপকে তিশা বাবার সাথে ট্র্যাজেডি নাটক দেখেছে। কেননা ট্র্যাজেডি নাটক দর্শক হৃদয়ে করুণ রসের আনন্দ সৃষ্টি করে। আর তিশার দেখা নাটকও তার মনে একই অনুভূতি সৃষ্টি করেছে। নাটকের নায়কের পরিণতি দেখে তিশা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। তাই বিষয়বস্তু ও পরিণতি বিচারে তিশার দেখা এ ধরনের নাটকই হলো ট্র্যাজেডি নাটক।

ঘ. নাটক মঞ্চে অভিনীত হয় বলে এটি দর্শক এবং সমাজকে প্রভাবিত করতে চায় এবং প্রভাবিত করে। উদ্দীপকেও এই বিষয়টি স্পষ্ট।

✍ ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো নাটকেরও ধারণা দেওয়া হয়েছে। বিশ্বসাহিত্যে এই নাটকই সবচেয়ে প্রাচীন। আর প্রাচীনকালে ছাপানোর ব্যবস্থা না থাকায় মঞ্চে অভিনয়ের মাধ্যমে নাটককে দর্শক মহলে পৌঁছনো হতো। ফলে নাটকের লক্ষ্য সবসময়ই দর্শক সমাজ। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য হওয়ায় তা দর্শকদের প্রভাবিত করে।

✍ উদ্দীপকের নাটক তিশাকে প্রভাবিত করেছে। তিশা ‘রক্তাক্ত প্রান্তর’ নাটকটি দেখে নাটকের সাথে গভীরভাবে একাত্ম হয়েছে। ফলে নায়কের পরিণতিতে সে চোখের পানি ধরে রাখতে পারে নি। এক্ষেত্রে নাটকের দ্বারা প্রভাবিত হওয়ায় তিশার চোখে পানি এসেছে। ফলে উদ্দীপকের নাটকটি রচয়িতার মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে সমর্থ হয়েছে।

✍ নাটক হলো মূলত দৃশ্যকাব্য। ফলে দর্শক নাটককে সরাসরি দেখে। অন্যদিকে সাহিত্যের অন্য শাখাগুলো পাঠককে পড়ে জানতে হয়। ফলে সাহিত্যের অন্যান্য শাখার তুলনায় নাটকই দর্শকদের সবচেয়ে দ্রুত ও সফলভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ‘সাহিত্যের রূপ ও রীতি’ প্রবন্ধে নাটকের বর্ণিত এসব বক্তব্য যে সঠিক তার প্রমাণ পাওয়া যায় উদ্দীপকে তিশার মধ্যে। বিয়োগান্ত একটি নাটক তার মাঝে করুণ রসের সৃষ্টি করে এবং সেই অনুভূতির প্রকাশও আমরা তার মধ্যে লক্ষ করি। তাই প্রশ্নোক্ত বক্তব্যটি সার্থক।

৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
 
১. কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ কী কী?
 উত্তর:  কবিতার প্রধান দুটি রূপভেদ হলো মহাকাব্য ও গীতিকবিতা।

২. বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ কে প্রকাশ করেছেন?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রকাশ করেছেন।

৩. বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে কোন কাব্যে?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় মহাকাব্যের চূড়ান্ত সফল রূপ প্রকাশিত হয়েছে মেঘনাদবধ কাব্যে।

৪. মহাকাব্য কিসের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়?
 উত্তর:  মহাকাব্য যুদ্ধবিগ্রহের কাহিনি অবলম্বন করে রচিত হয়।

৫. রাবণ কাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে?
 উত্তর:  রাবণ সীতাকে হরণ করে লঙ্কায় বাগানবাড়িতে বন্দি করে রাখে।

৬. বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন কোনটি?
 উত্তর:  বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতার আদি নিদর্শন বৈষ্ণব কবিতাবলি।

৭. বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?
 উত্তর:  বাংলা সাহিত্যে ‘বিদ্রোহী কবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কাজী নজরুল ইসলাম।

৮. বাংলা সাহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন কে?
 উত্তর:  বাংলা সহিত্যে ‘পল্লিকবি’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন জসীমউদ্দীন।

৯. নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই কারা?
 উত্তর:  নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শকসমাজ।

১০. কারা নাট্যসাহিত্যকে কাব্যসাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন?
 উত্তর:  সংস্কৃত আলঙ্করিকবৃন্দ নাট্যসাহিত্যকে কাব্য সাহিত্যের মধ্যে গণ্য করেছেন।

১১. নাটক সচরাচর কয় অঙ্কে বিভক্ত থাকে?
 উত্তর:  নাটক সচরাচর পাঁচ অঙ্কে বিভক্ত থাকে।

১২. নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে কোনটিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়?
 উত্তর:  নাটকের বিভাগগুলোর মধ্যে ট্র্যাজেডিকে সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১৩. কোন সাহিত্য থেকে ছোটগল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে?
 উত্তর:  পাশ্চাত্য সাহিত্য থেকে ছোট গল্পের অনুপ্রেরণা এসেছে।

১৪. এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন কত মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত?
 উত্তর:  এইচ.হি.ওয়েলসের মতে ছোটগল্পের আয়তন ১০-৫০ মিনিটের ভেতরে পড়ে শেষ করার মতো হওয়া উচিত।

১৫. পাঠকের সমাজে সাহিত্যের কোন শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে?
 উত্তর:  পাঠকের সমাজে সাহিত্যের উপন্যাস শাখাটি জনপ্রিয়তার শীর্ষে।

১৬. উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য কী?
 উত্তর:  উপন্যাসের প্রধান উপজীব্য হলো প্লট।

১৭. বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক কে?
 উত্তর:  বাংলা ভাষার প্রথম সার্থক ও কালজয়ী ঔপন্যাসিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৮. বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক কে?
 উত্তর:  বাঙালি পাঠকদের মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।

১৯. তন্ময় প্রবন্ধ কাকে বলে?
 উত্তর:  বিষয়বস্তুর প্রাধান্য স্বীকার করে যে সকল বস্তুনিষ্ঠু প্রবন্ধ লিখিত হয় সেগুলোকে তন্ময় প্রবন্ধ বলে।

২০. মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় কোন ধরনের প্রবন্ধে?
 উত্তর:  মেধাশক্তি অপেক্ষা ব্যক্তিহৃদয় প্রাধান্য প্রায় মন্ময় ধরনের প্রবন্ধে।

২১. বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সহিত্যের প্রবহমানতা কবে থেকে শুরু হয়?
 উত্তর:  বাংলা ভাষায় রচিত প্রবন্ধ সাহিত্যের প্রবহমানতা রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু হয়।


৯ম-১০ম শ্রেণির
বাংলা ১ম পত্র গাইড
সাহিত্যের রূপ ও রীতি
গল্প
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
SSC Bangla 1st Paper
Sahitter Rup O Riti
Golpo
Srijonshil
Question-Answer

অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
১. রামায়ণকে মহাকাব্য বলা যায় কেন?
 উত্তর:  আবার, বিষয়বস্তু ও আঙ্গিক বিবেচনায় রামায়ণকে একটি মহাকাব্য বলা যায়।

✍ মহাকাব্যের বৈশিষ্ট্য হলো এটি আকারে বিশাল হতে হবে। রচিত হবে পদ্যে। আর এর উপজীব্য হবে যুদ্ধ বিগ্রহের কোনো কাহিনী। ভারত উপমহাদেশের প্রাচীনতম দুটি কাহিনীর একটি হলো রামায়ণ। উপরে উল্লেখিত সবগুলো বৈশিষ্ট্যই এতে বিদ্যমান। এ কারণেই রামায়ণকে মহাকাব্য বলা হয়।

২. ‘শেষ হয়ে হইল না শেষ’- ছোটগল্পের ক্ষেত্রে এ কথাটি গরুত্বপূর্ণ কেন?
 উত্তর: ছোটগল্প পাঠ শেষে পাঠক হৃদয়ে অতৃপ্তিবোধ জমানোর কারণে প্রশ্নোক্ত কথাটি ছোটগল্প গুরুত্বপূর্ন ছোটগল্পের আঙ্গিক অত্যন্ত ক্ষুদ্র।

এটি কখনোই কাহিনীর ভেতর দিয়ে কোনো ঘটনার শুরু বা শেষ বলে দেয় না। এর ভেতরে একটি কহিনীর বর্ণনা থাকে। তবে তা সম্পূর্ণটা নয় বরং কাহিনীর ভিতর থেকেই বেছে নেওয়া একটি ভগ্নাংশ মাত্র। তাই ছোটগল্পের বৈশিষ্ট্য এমন হওয়া উচিত যেন পড়া শেষেও মনে হবে যেন শেষ হলো না। পাঠকের মনে এটি এক ধরনের অতৃপ্তিবোধের জন্ম দেবে।

৩. সংবাদপত্রের সকল গদ্যকেই প্রবন্ধ বলা যায় না কেন?
 উত্তর: সংবাদপত্রের সকল গদ্যে সৃজনশীলতা থাকে না বলে সবগুলোকেই প্রবন্ধ বলা যায় না।

✍ প্রবন্ধ বলতে আমরা বুঝি গদ্যে লিখিত এমন রচনা যার উদ্দেশ্য পাঠকের জ্ঞানতৃষ্ণাকে পরিতৃপ্ত করা। এই লেখায় তথ্যের প্রাধ্যান্য থাকে। সে বিবেচনায় সংবাদপত্রের গদ্যে লিখিত যাবতীয় খবরা-খবরকেই প্রবন্ধ বলা উচিত। কিন্তু সেটি  সম্ভব নয়। কেননা প্রবন্ধে সৃজনশীলতার পরিচয় ফুটে ওঠা বাঞ্ছণীয়। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সকল গদ্যেই তা থাকেনা। তাই সৃজনশীলতাহীন লেখাগুলো নিছক খবর হিসেবেই বিবেচিত হয়। 

৪. ‘এই শিল্পদৃষ্টি যাহার নাই তার পক্ষে ছোটগল্প লেখা লাঞ্ছনা বই কিছুই নহে।’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
 উত্তর: ছোটগল্প লেখার ক্ষেত্রে লেখককে সূক্ষ পরিমিতিবোধের অধিকারী হতে হয়। এ বিষয়টিই বোঝানো হয়েছে উক্তিটির মাধ্যমে।

✍ বিশিষ্ট সাহিত্য গবেষক শ্রীশচন্দ্র দাশের মতে ছোটগল্পের আকার খুব ছোট বলে এতে জীবনের পূর্ণাবয়ব আলোচনা করা যায় না। জীবনের একটি খণ্ডাংশ ছোটগল্পে রস-নিবিড় করে ফুটিয়ে তুলতে হয়। অত্যন্ত ছোট পরিসরের কাহিনীতে অনেক বেশি নাটকীয়তার সঞ্চার করতে হয়। গল্পের শুরু ও শেষটা হতে হয় খুব চমকপ্রদ। এ কারণেই ছোটগল্পের শুরুটা কোথায় হওয়া উচিত এবং সমাপ্তি কোথায় টানা উচিত সে ব্যাপারে লেখকের তীক্ষ্ণ শিল্পবোধ থাকা আবশ্যক। তা না হালে গল্পটি সার্থকতা লাভ করবেনা।

৫. নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ কেন?
 উত্তর: সাহিত্যের সব শাখাগুলোর মধ্যে একমাত্র নাটকের মাধ্যমে সরাসরি দর্শকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। তাই নাটকের লক্ষ্য সর্বকালেই দর্শক সমাজ।

✍ সংস্কৃত আলঙ্করিকদের মতে কাব্য দুই ধরনের দৃশ্যকাব্য ও শ্রব্যকাব্য। তাঁরা নাট্যসাহিত্যকেও কাব্যসাহিত্যের মধ্যেই গণ্য করেছেন। নাটক প্রধানত দৃশ্যকাব্য। তাই নাটকের অভিনয় লোকজনকে দর্শন করানো না গেলে নাটক রচনার মূল উদ্দেশ্যই ব্যর্থ হয়। তাছাড়া নাটকই সাহিত্যের একমাত্র শাখা যেটি সমাজ ও পাঠকগোষ্ঠীকে সরাসরি প্রভাবিত করতে চায় ও সক্ষমও হয়। এসব কারণেই নাটকের লক্ষ্য সব সময়ই দর্শক সমাজ।
Share:

1 Comments:

  1. Anonymous8:16:00 PM

    Ami apnake live question korte pari oporokto golpo shomporke..

    ReplyDelete

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

HSC Exam Routine

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইডসমূহ
(সকল বিভাগ)
বাংলা ১ম পত্র ১ম পত্র গাইড | বাংলা ২য় পত্র গাইড | লালসালু উপন্যাস গাইড | সিরাজুদ্দৌলা নাটক গাইড | ইংরেজি ১ম পত্র গাইড | ইংরেজি ২য় পত্র গাইড | আইসিটি গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র গাইড | রসায়ন ১ম পত্র গাইড | রসায়ন ২য় পত্র গাইড | পৌরনীতি ১ম পত্র গাইড | পৌরনীতি ২য় পত্র গাইড | অর্থনীতি ১ম পত্র গাইড | অর্থনীতি ২য় পত্র গাইড | ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ১ম পত্র গাইড | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীম ২য় পত্র গাইড | ভুগোল ১ম পত্র গাইড | ভুগোল ২য় পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ১ম পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ২য় পত্র গাইড | ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ১ম পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ১ম পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ২য় পত্র গাইড | সমাজকর্ম ১ম পত্র গাইড | সমাজকর্ম ২য় পত্র গাইড | সমাজবিদ্য ১ম পত্র গাইড | সমাজবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ১ম পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ২য় পত্র গাইড | ইংরেজি শব্দার্থ VOCABULARY

Admission Guide