এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
১ম অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Physics 1st Paper pdf download
Chapter-01
Srijonshil
Question and Answer
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. বৈজ্ঞানিক সূত্র কাকে বলে?
উত্তর: যখন কোনো তত্ত্ব অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সাহায্যে প্রমাণিত হয় এবং এর মূল কথাগুলো একটি উক্তির সাহায্যে প্রকাশ করা হয় তখনই একে বৈজ্ঞানিক সূত্র বলে।
প্রশ্ন-২. ডেসিমেল সিস্টেম কাকে বলে?
উত্তর: মৌলিক একক হতে যে একক পাওয়া যায় তাকে ডেসিমেল সিস্টেম বলে ।
প্রশ্ন-৩. স্থান বা কাল কাকে বলে?
উত্তর: কোন বস্তু খালি জায়গাকে পূরণ করার জন্য যে কাজ করে থাকে তাকে স্থান বা কাল বলে?
প্রশ্ন-৪. মাত্রা সমীকরণ কাকে বলে?
উত্তর: যে সমীকরণ মৌলিক একক এবং লব্ধ এককের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করে তাকে মাত্রা সমীকরণ বলে।
প্রশ্ন-৫. মাত্রা কাকে বলে?
উত্তর: কোনো একটি রাশি এবং তার মৌলিক এককের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য যে সংকেত ব্যবহার করা হয় তাকে উক্ত রাশির মাত্রা বলে।
প্রশ্ন-৬. রাশির এককের সংজ্ঞা দাও।
উত্তর: কোনো একটি প্রাকৃতিক রাশি পরিমাপ করতে হলে তার একটি নির্দিষ্ট ও সুবিধাজনক অংশ বা খন্ডকে আদর্শ হিসেবে ধরে নিয়ে সেই রাশির পরিমাপ করা হয় এবং সর্বত্র এই নির্দিষ্ট অংশেরই প্রচলন করা হয়। পরিমাপের এই আদর্শকে রাশির একক বলে।
প্রশ্ন-৭. পরিমাপের ত্রুটি কী?
উত্তর: কোনো ভৌত রাশির নির্ভুল পরিমাপ পেতে রাশির সাথে সম্পর্কযুক্ত যে থাকে তার অন্তর্গত সকল রাশির পরিমাপ নির্ভুল হওয়া প্রয়োজন। এর ব্যত্যয় ঘটলে পরিমাপ সঠিক হবে না। একে পরিমাপের ত্রুটি বলে।
প্রশ্ন-৮. নিয়মিত বা পুনরাবৃত্তিক ত্রুটি কাকে বলে?
উত্তর: পরীক্ষাকালে কোনো কোনো ত্রুটির ফলে পরীক্ষাধীন রাশির মান সর্বদাই নিয়মিতভাবে রাশিটির প্রকৃত মান অপেক্ষা কম বা বেশি হতে পারে, একে নিয়মিত বা পুনরাবৃত্তিক ত্রুটি বলে।
প্রশ্ন-৯. ব্যক্তিগত ত্রুটি কাকে বলে?
উত্তর: পর্যবেক্ষকের পর্যবেক্ষণের ভুল এবং সঠিক মূল্যায়নের অভাবে সে ত্রুটি পরিলক্ষিত হয় তাকে পর্যবেক্ষণের ত্রুটি বা ব্যক্তিগত ত্রুটি বলে।
প্রশ্ন -১০ ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন কে?
উত্তর : ক্যালকুলাস নামক গণিত ব্যবস্থার প্রবর্তন করেন স্যার আইজ্যাক নিউটন।
প্রশ্ন -১১ পরমাণু যে ফিশনযোগ্য এটি প্রথম আবিষ্কার করেন কে বা কারা?
উত্তর : পরমাণু ফিশনযোগ্য এটি প্রথম আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী ওটো হান ও স্ট্রেসম্যান।
প্রশ্ন -১২ আলোর বেগ প্রথম কে নির্ণয় করেন?
উত্তর : ১৬৭৫ সালে ডেনমার্কের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ওলফ রোমার সর্বপ্রথম আলোর বেগ নির্ণয় করেন।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. স্বীকার্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব একটি সার্বিক বিবৃতির মাধ্যমে স্বীকার করে নিলে তাকে স্বীকার্য বলে। ঐ স্বীকার্য তত্ত্বটির একটি ভিত্তি প্রদান করে। আর একে স্বীকার্য বলে।
প্রশ্ন-২. তত্ত্ব বলতে কী বোঝ?
উত্তর: বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রে একজন বিজ্ঞানী পরীক্ষাধীন বিষয়ের নির্ভুল ও সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ, ঘটনার কার্যকারণ সম্পর্ক নির্ণয় এবং পরীক্ষার দ্বারা তথ্যের সত্যতা যাচাইপূর্বক ঘটনা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক প্রকল্প গ্রহণ করেন এর শক্তি অনেক বেশি আর তাকে তত্ত্ বলে।
প্রশ্ন-৩. স্থান বা অবস্থানের আধুনিক ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: যদি কোনো বস্তু পর্যবেক্ষকের সাপেক্ষে গতিশীল হয় তবে বেগের অভিমুখে এর অবস্থান বা দৈর্ঘ্য সংকুচিত হয়। চিরায়ত পদার্থবিজ্ঞানের মতে পর্যবেক্ষকের বেগ যাই হোক না কেন সকল পর্যবেক্ষকের নিকট বস্তুর ঘটে।
প্রশ্ন-৪. ভর বা জড়ের আধুনিক ধারণা ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব মতে, স্থান ও কালের মতো ভরও কোনো ধ্রুবক নয়, ইহা আপেক্ষিক। গতিশীল বস্তুর ভর বৃদ্ধি পায়। তবে সাধারণ বেগের বেলায় বস্তুর ভর বৃদ্ধি উপক্ষেণীয় হয়।
প্রশ্ন-৫. লব্ধ একক বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যে সকল একক মৌলিক একক থেকে লাভ করা যায় তাদেরকে লব্ধ একক বলে। সাতটি মৌলিক একক সহ সব একক লব্ধ একক। সমজাতীয় বা ভিন্ন জাতীয় একাধিক মৌলিক এককের সাহায্যে লব্ধ একক গঠিত হয়। এর একে লব্দ একক বলে
প্রশ্ন-৬. লেভেল ত্রুটি বলতে কী বোঝ?
উত্তর: নিক্তি, বিক্ষেপ চৌম্বক মান যন্ত্র ইত্যাদি অনুভূমিক না থাকলে পাঠ ভুল হয়। এ ধরনের ত্রুটিকে লেভেল ত্রুটি বলে। এসব যন্ত্রের নিচে লেভেলিং সক্রু থাকে। স্লিরিট লেভেল বা ওলন সুতা ব্যবহার করে লেভেলিং সক্রুর সাহায্যে যন্ত্রকে লেভেল করা হয়।
প্রশ্ন-৭. পুনরাবৃত্তিক ত্রুটির যান্ত্রিক কারণ ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: পরিমাপ যন্ত্রের নকশা বা দাগাঙ্কন সঠিক না হলে ঐ যন্ত্র পরিমাপ করা হলে পুনরাবৃত্তিক ত্রুটি হয়। যেমন একটি পারদ থার্মোমিটারের ভিতরের কৈশিক নল সুষম হতে হবে। কিন্তু কোনো একটি থার্মোমিটারের কৈশিক নল সুষম না হলে তা দিয়ে নির্ণীত তাপমাত্রা সঠিক হবে না। এ থার্মোমিটার দিয়ে একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা যতবার পরিমাপ করা হবে ততবারই প্রকৃত তাপমাত্রা থেকে তা বেশি বা কম হবে।
প্রশ্ন-৮. নিক্তির সাহায্যে দোলন পদ্ধতিতে বস্তুর ভর নির্ণয়ে কী কী সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়?
উত্তর: সতর্কতা:
i. ওজন নেয়ার পূর্বে পাল্লা মুছে ধুলিবালি মুক্ত করা হয়।
ii. নিক্তির দন্ড নামানো অবস্থায় বিমটি স্টিরাপের সাথে ঠিকমতো লাগে কিনা তা দেখে নেয়া হয়।
iii. নিক্তির দন্ড নামিয়ে বিমটিকে স্টিরাপের সাথে আবদ্ধ না করে পাল্লায় বাটখারা বা বস্তু উঠানো নামানো থেকে বিরত থাকি।
একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
অধ্যায় -১ (ভৌত জগত ও পরিমাপ)
১নং সৃজনশীল প্রশ্ন
সামান্থা একটি মাইক্রোমিটার স্ক্রু-গজের সাহায্যে একটি অতীব সরম্ন তারের ব্যাস পরিমাপ করছে। সে প্রধান স্কেলের পাঠ পেল 0.1cm এবং বৃত্তাকার স্কেলের পাঠ পেল 35. বৃত্তাকার স্কেলে মোট ভাগসংখ্যা ছিল 50.
ক) নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞানের জনক কাকে বলে ?
খ) খেলাধুলার সাথে পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করো।
গ) সামান্থা তারটির ব্যাস কত পরিমাপ করবে ?
ঘ) তারটির প্রকৃত ব্যাস 0.17352 cm হলে ঐ স্ক্রু-গজটি ব্যবহারে তারটির ব্যাস নির্ণয় করলে নূন্যতম কত শতাংশ ভুল হবে ? মতামত দাও।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ক).
আর্নেস্ট রাদারফোর্ড
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (খ).
গতি, বল, ত্বরণ, ভরবেগ, অভিকর্ষ বল, নিক্ষিপ্ত বস্ত্তর গতি, নিউটনের গতিসমূহ, কেন্দ্রমুখী বল, ঘর্ষণ ইত্যাদি সম্পর্কিত পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞানসমূহ খেলাধূলায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। যেমন একজন ক্রিকেটার যদি বুঝতে পারে যে, একটি বলকে 45º কোণে ব্যাট দিয়ে আঘাত করতে পারলে অল্প বল প্রয়োগ করেও এটিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠানো সম্ভব, তাহলে তার পক্ষে বেশ সুবিধে হয়। অন্যান্য খেলাধুলার ক্ষেত্রেও পদার্থবিজ্ঞান সমানভাবে সম্পৃক্ত।
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (গ).
প্রধান স্কেলের পাঠ, L = 0.1cm
বৃত্তাকার স্কেলের পাঠ, n = 35
লঘিষ্ঠ গুন, L.C = পিচ ÷ বৃত্তাকার স্কেলের মোট ভাগসংখ্যা
= 1mm ÷ 50
= 0.02mm
.'. সামান্থা তারটির ব্যাস পরিমাপ করবে = L+L.C×n
= 0.1cm + 0..02mm×35
= 0.1cm + 0.70 mm
= 0.1 cm + 0.07 cm
= 0.17 cm
১নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ঘ).
প্রধান স্কেল ব্যবহারে .. পর্যন্ত পরিমাপ করা সম্ভব।
স্ক্রু গজটিতে কোনো প্রকার যান্ত্রিক ত্রম্নটি না থাকলে এবং সামান্থা ব্যক্তিগত ত্রম্নটি এড়াতে পারলে বৃত্তাকার স্কেলের সর্বোচ্চ সঠিক পাঠ .. হতে পারে।
কারণ, 0.072cm = 0.72 mm = 0.02 mm × 36
এক্ষেত্রে বৃত্তাকর স্কেলের পাঠ হবে 36 ঘর।
সুতরাং নূন্যতম ভুলের পরিমাণ
= (0.17352-0.172) cm
= 0.00152 cm
নূন্যতম এই ভুলের শতকরা পরিমাণ = ভুলের পরিমাণ ÷ প্রকৃত ব্যাস × 100%
= 0.00152cm÷0.17352cm×100%
= 0.88%
যা প্রায় 1% এর কাছাকাছি।
নূন্যতম এই সম্ভাব্য ভুলের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হলে আরো বেশি বিশ্লেষণী ক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র ব্যবহার করতে হবে। যেমন, যেসব স্ক্রু গজের বৃত্তাকার স্কেলে 100টি ভাগ থাকে, সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
২নং সৃজনশীল প্রশ্ন
হেনা হোসেন পদার্থবিজ্ঞানের ল্যাবে বসে স্ফেরোমিটারের সাথে দুটি গোলাকর পেপার ওয়েটার বক্রতার ব্যাসার্ধ নির্ণয় করছে। এ কাজে তাকে স্ক্রুটি ঘুরিয়ে কিছুটা ওপরে উঠাতে হলো। প্রথমে ওয়েটের ক্ষেত্রে প্রধান স্কেলের পাঠ ছিল 1.2 cm এবং বৃত্তাকার স্কেলের পাঠ ছিল 60. বৃত্তাকার স্কেলটিতে মোট 100 ভাগ ছিল। দ্বিতীয় ওয়েটের ক্ষেত্রে স্ক্রুটি সামান্য নিচে নামাতে হলো। উলেস্নখ্য যে, স্ফেরোমিটারের পাগুলো পরষ্পর হতে 5cm দূরত্বে অবস্থান করছিল।
ক) আইনস্টাইন জন্মসূত্রে কোন দেশের নাগরিক ছিলেন ?
খ) লব্ধ একক উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।
গ) প্রথম ওয়েটটি বক্রতার ব্যাসার্ধ কত ?
ঘ) কোন ওয়েটটি আকারে বড় ছিল- গাণিতিক বিশ্লেষণ করে মতামত দাও।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ক).
জার্মানী।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (খ).
যে সকল রাশি প্রকাশ করতে গেলে মৌলিক রাশিগুলোর সাহায্য প্রয়োজন হয়, তাদেরকে লব্ধ রাশি বলে। লব্ধ রাশির একককে লব্ধ একক বলে। যেমন- বল একটি লব্ধ রাশি, এর একক ‘নিউটন’ একটি লব্ধ একক, কারণ N=kg.m.s-²।
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (গ).
স্ফেরোমিটার যেকোনো দুটি পায়ের মধ্যবর্তী গড় দূরত্ব, d = 5cm স্ফেরোমিটারের পা তিনটির সমতল থেকে বক্রতলের উচ্চতা,
H = প্রধান স্কেল পাঠ + বৃত্তাকার স্কেলের পাঠের মান
= প্রধান স্কেল পাঠ + লঘিষ্ঠ গণণ × বৃত্তাকার স্কেলের পাঠ
= প্রধান স্কেল পাঠ + পিচ ÷ বৃত্তাকার স্কেলের ভাগসংখ্যা × বত্তাকরা স্কেলের পাঠ
= 1.2cm+1mm÷100×60
= 1.26cm
.'. পেপার ওয়েটটির বক্রতার ব্যাসার্ধ, R1 = d²÷6h+h÷2
= (5cm)²÷6x1.26cm+1.26cm÷2
=3.94cm
২নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ঘ).
মনে করি, পেপার ওয়েট দুটির বক্রতার ব্যাসাধ্য যথাক্রমে R1 ও R2 ওয়েট দুটির ক্ষেত্রে স্ফেরোমিটারের পা তিনটির সমতল থেকে বক্রতলের উচ্চতা যথাক্রমে h1 ও h2 হলে উদ্দীপক মতে, h2<h1
h2 <h1 বলে, এবং
বা,
বা,
বা,
বা,
এবং রাশিদ্বয়ের প্রত্যেকে একক অপেক্ষা ক্ষুদ্রতর মানের বলে,
সুতরাং দ্বিতীয় ওয়েটটি বক্রতার ব্যাসার্ধ প্রথমটির তুরনায় বেশি। তাই দ্বিতীয় ওয়েটটি প্রথম ওয়েটের তুলনায় আকারে বড়।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্ন
জুয়েল পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র। সে তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবার তার বিষয়ের কোনো একটি শাখায় তাকে ‘বিশেষায়ণ’ করতে হবে। সে পদার্থবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখা উপশাখা সম্পর্কে বিসত্মারিত খোঁজখবর নিতে শুরম্ন করলো।
ক) ‘Physics’ শব্দটির উদ্ভব কীভাবে ?
খ) পদার্থবিজ্ঞান কী নিয়ে আলোচনা করে
গ) উলিস্নখিত শাখা- প্রশাখাগুলো সম্পর্কে আলোচনা কর।
ঘ) ‘গ’ অংশে যে সকল দৈনন্দিন জীবনকে কীভাবে সহজতর করেছে- উদাহরণ সহকারে মতামত দাও।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ক).
‘Physics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ‘ফুসিস’ যার অর্থ ‘প্রকৃত’ এবং ‘ফুসিকে’ যার অর্থ ‘প্রকৃতি’ সম্পার্কিত জ্ঞান’ থেকে।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (খ).
বিজ্ঞানের যে শাখায় জড় বস্ত্তর ধর্ম, আচরণ ও বস্ত্তর ওপর শক্তির প্রভাব এবং বস্ত্ত ও শক্তির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় তাকে পদার্থবিজ্ঞান বলে। তবে পদার্থবিজ্ঞানে ‘সময়’ সম্পর্কেও বিশেষ আলোচনা করা হয়েছে।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (গ).
পদর্থবিজ্ঞানের শাখাগুলো হলো- বলবিদ্যা ও পদার্থের ধর্ম, তাপ বিজ্ঞান, শব্দবিজ্ঞান, আলোকবিজ্ঞান, চুম্বকবিজ্ঞান, তড়িৎবিজ্ঞান, কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞান, পারমানবিক পদার্থবিজ্ঞান, ইলেকট্রনিক্স, কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞান, পস্নাজমা পদার্থবিজ্ঞান।
তবে প্রধান শাখা ছাড়াও পদার্থবিজ্ঞানে বেশ কিছু উপশাখা আছে। যেমন- স্থিতিবিদ্যা, গতি বিদ্যা, তরল গতিবিদ্যা, তাপ গতিবিদ্যা, বিকিরণ পদার্থবিজ্ঞান, নিউক্লিয় পদার্থবিজ্ঞান, স্বাস্থ্য পদার্থবিজ্ঞান, কণা পদার্থবিজ্ঞান ইত্যাদি এগুলো পধান শাখাগুলোর অংশবিশেষ। আবার এশাধিক প্রধান শাখা বা উপশাখা মিলে নতুন শাখা তৈরি হয়েছে। যেমন তড়িৎ ও চুম্বকের ক্রিয়ার তৈরি হয়েছে তড়িৎ গতিবিদ্যা। বিভিন্ন পদার্থের ধর্ম বিশ্লেষণ করতে বস্ত্তবিজ্ঞান ছাড়াও পদার্থবিজ্ঞানের নিত্য নতুন শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত হচ্ছে।
৩নং সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তরঃ (ঘ).
বলবিদ্যার ধারণা ব্যবহার করে বাড়িঘর, সেতু ইত্যাদি নির্মান করা সম্ভবপর হয়েছে। তাপ বিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে তাপরূপে শক্তির ধারণা ব্যবহার করা সম্ভবপর হয়েছে যেমন, থাম্যোফ্লাক্স। শব্দবিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে পরিবেশকে কোলাহলমুক্ত রাখা সম্ভব হয় এবং অবাঞ্চিত শব্দ এড়ানো সম্ভব হয়। যেমন থিয়েটারের দেয়ালে নরম প্যাডের ব্যবহার। আলোকবিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে দর্পণ ও লেন্স (চশমা) নির্মাণ করা সম্ভবপর হয়েছে। চুম্বকবিজ্ঞান এবং তড়িৎবিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে বহু যন্ত্রপাতি নির্মাণ করা সম্ভব হয়েছে। যেমন স্পিকার, মোটর, জেনারেটর। কঠিন অবস্থার পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে ট্রানজিস্টর ও আইসি বানানো সম্ভব হয়েছে, যা ইলেকট্রনিক্সে কাজে লাগে। পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের ধারনা ব্যবহার করে নিউক্লীয় চুলস্নী এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ইলেকট্রনিক্স বিনোদন ও যোগাযেগের বহু উপকরণ প্রস্ত্তত করে দিয়েছে। যেমন- টেলিভিশন, কম্পিউটার ইন্টারনেট। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানের ধারনা ব্যবহার করে সৌরকোষ নির্মান সম্ভবপর হয়েছে। জ্যোতি পদার্থবিজ্ঞানের সাহায্যে বহু গ্রহ- উপগ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। পৃথিবীর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেরে মানবসম্প্রদায় যেখানে যেতে পারবে। পস্নাজমা পদার্থবিজ্ঞানের ধারণা ব্যবহার করে বেশ কিছু আবিষ্কার সম্ভবপর হয়েছে। যেমন টিউবলাইট।
আরো পড়ুনঃ
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র অধ্যায়-১ বহুনির্বাচনি প্রশ্ন ও উত্তর
Na baiya,,,, onek donnobadh❤️👃
ReplyDeleteOnek shundor kore present korechen
ReplyDeleteOnek onek dhonnobad.🫶