এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি
পদার্থবিজ্ঞান ১ম পত্র
৬ষ্ঠ অধ্যায়
সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
HSC Physics 1st Paper pdf download
Chapter-06
Srijonshil
Question and Answer
ক নং প্রশ্ন (জ্ঞানমূলক)
প্রশ্ন-১. পড়ন্ত বস্তুর দ্বিতীয় সূত্র বিবৃত কর।
উত্তর: বাধাহীন পথে পড়ন্ত বস্তুর নির্দিষ্ট সময়ে প্রাপ্ত বেগ ঐ সময়ের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-২. পড়ন্ত বস্তুর তৃতীয় সূত্র বিবৃত কর।
উত্তর: বাধাহীন পথে পড়ন্ত বস্তু নির্দিষ্ট সময়ে অতিক্রান্ত দূরত্ব ঐ সময়ের বর্গের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-৩. কেপলারের ক্ষেত্রফল সূত্র বিবৃত কর।
উত্তর: গ্রহ এবং সূর্যের সংযোগকারী ব্যাসার্ধ রেখা সমান সময়ে সমান ক্ষেত্রফল অতিক্রম করে।
প্রশ্ন-৪. কেপলারের সময়ের সূত্র বিবৃত কর।
উত্তর: প্রতিটি গ্রহের পর্যায় কালের বর্গ সূর্য হতে তার গড় দূরত্বের ঘনফলের সমানুপাতিক।
প্রশ্ন-৫. মহাকর্ষীয় ধ্রুবক কী?
উত্তর: একক ভরবিশিষ্ট দুটি বস্তু কণা একক দূরত্ব থেকে যে পরিমাণ বল দ্বারা পরস্পরকে আকর্ষণ করে তার সংখ্যাগত মানকে মহাকর্ষীয় ধ্রুবক বলে।
প্রশ্ন-৬. মহাকর্ষীয় বিভব কী?
উত্তর: অসীম দূর হতে একক ভরের কোনো বস্তুকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয়, তাকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় বিভব বলে।
প্রশ্ন-৭. মহাকর্ষীয় বিভব পার্থক্য কাকে বলে?
উত্তর: একক ভরের কোনো বস্তুকে মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের এক বিন্দু হতে অন্য বিন্দুতে আনতে যে পরিমাণ কাজ সাধিত হয়, তাকে ঐ বিন্দুর মহাকর্ষীয় বিভব পার্থক্য বলে।
প্রশ্ন-৮. ভর কেন্দ্র কাকে বলে?
উত্তর: বস্তুর কণাগুলোর সমস্ত ভরকে একটি মাত্র বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত মনে করলে ঐ বিন্দুর মধ্যে দিয়েই সমস্ত কণার ওপর তাদের ভরের সমানুপাতিক ক্রিয়ারত সমান্তরাল বলসমূহের লব্ধি ক্রিয়া করে বলে বিবেচিত হয়। ঐ বিন্দুকে বস্তুর ভর কেন্দ্র বলে।
প্রশ্ন-৯. স্বাভাবিক উপগ্রহ কাকে বলে?
উত্তর: যে উপগ্রহ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট তাকে স্বাভাবিক উপগ্রহ বলে।
প্রশ্ন-১০. অভিকর্ষ ঢাল কী?
উত্তর: পরিবর্তনের হার যেদিকে সর্বোচ্চ হয় সেই দিকে প্রতি একক দূরত্বে অভিকর্ষজ ত্বরণ বা মহাকর্ষ প্রাবল্যের পরিবর্তনের হারকে অভিকর্ষ ঢাল বলে।
খ নং প্রশ্ন (অনুধাবনমূলক)
প্রশ্ন-১. সর্বজনীন মহাকর্ষীয় ধ্রুবকের তাৎপর্য কী?
উত্তর: আন্তর্জাতিক বা SI পদ্ধতিতে G-এর মান 6.67 × 10-11 N–m2 / kg2 এর অর্থ 1 kg ভরের দুইটি বস্তুকে পরস্পর থেকে 1m দূরে স্থাপন করলে এরা পরস্পরকে 6.67 × 10–11N বলে আকর্ষণ করবে।
নিউটনের মহাকর্ষীয় সূত্রানুসারে,
F = G
m1 = m2 = 1kg
এবং d = 1m হলে,
G = F = মহাকর্ষ বল = 6.67 × 10-11 N
প্রশ্ন-২. পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ওজনের তারতম্য দেখা যায় কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: আমরা জানি, ওজন W = mg; এখানে m = বস্তুর ভর এবং g = অভিকর্ষজ ত্বরণ। বস্তুর ভর একটি ধ্রুব রাশি, সুতরাং কোনো বস্তুর ওজন অভিকর্ষজ ত্বরণের উপর নির্ভরশীল। তাই অভিকর্ষজ ত্বরণের জন্যই বস্তুর ওজনের তারতম্য দেখা যায়। যে স্থানে অভিকর্ষজ ত্বরণ বেশি, সে স্থানে বস্তুর ওজনও বেশি। আর অভিকর্ষজ ত্বরণ যে স্থানে কম বস্তুর ওজনও সে স্থানে কম। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষজ ত্বরণ বেশি। সুতরাং মেরু অঞ্চলে বস্তুর ওজন বেশি।
প্রশ্ন-৩. মহাকর্ষ বলের প্রকৃতি বর্ণনা কর।
উত্তর: মহাকর্ষ বলের প্রকৃতি:
i. মহাকর্ষ বল দুটি বস্তুর মধ্যকার পারস্পরিক আকর্ষণ বল।
ii. মহাকর্ষ বল বস্তু দুটির সংযোগ সরলরেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
iii. মহাকর্ষ বল বস্তুদ্বয়ের মাধ্যমের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে না।
iv. মহাকর্ষ বল বস্তুদ্বয়ের ভরের গুণফলের সমানুপাতিক হয়।
প্রশ্ন-৪. মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের বিভব পার্থক্য বলতে কী বোঝ?
উত্তর: কোনো মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের দুটি বিন্দুর বিভব পার্থক্য বলতে বুঝায়, একটি একক ভরের বস্তুকে এক বিন্দু থেকে অন্য বিন্দুতে নিতে কোনো বাহ্যিক বল দ্বারা সম্পাদিত কাজের পরিমাণ। যেমন- m ভরকে A বিন্দু থেকে B বিন্দুতে নিতে যদি WAB কাজ করতে হয় তাহলে ঐ দুই বিন্দুর বিভব পার্থক্য হবে, VB – VA = V = eq \f(WAB,m)
বিভব পার্থক্য এবং বিভবের একক অভিন্ন।
প্রশ্ন-৫. স্বাভাবিক উপগ্রহ বলতে কী বোঝ?
উত্তর: যেসব বস্তু বা জ্যোতিষ্ক গ্রহের চারদিকে ঘোরে, তাদেরকে উপগ্রহ বলে। যেসব উপগ্রহ প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট তাদেরকে স্বাভাবিক উপগ্রহ বলে। যেমন চন্দ্র প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে। এটি পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। অতএব চন্দ্র বা চাঁদ পৃথিবীর একটি স্বাভাবিক উপগ্রহ।
প্রশ্ন-৬. কৃত্রিম উপগ্রহের ৪টি ব্যবহার লিখ।
উত্তর: i. টেলিফোন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্তঃমহাদেশীয় যোগাযোগ স্থাপনে ব্যবহৃত হয়।
ii. আবহাওয়ার পূর্বাভাস পাওয়া যায়।
iii. পৃথিবীর আকার সম্পর্কিত ভূ-জরিপ কাজে ব্যবহৃত হয়।
iv. সমুদ্রের গভীরতা নির্ণয় করতে ব্যবহৃত হয়।
0 Comments:
Post a Comment