এক কথায় প্রকাশ

অহং বা আত্ম সম্বন্ধে অতি চেতনার ভাব = অহমিকা
অস্থায়ীভাবে বাস করিবার মত স্থান = বাসা
অস্ত যাইতে উদ্যত = অস্তোন্মুখ, অস্তায়মান
অসম্ভব কান্ড ঘটাইতে অতিশয় পটু = অঘটনঘটনপটিয়সী
অশ্রুর দ্বারা সিক্ত = অশ্রুসিক্ত
অশ্বে আরোহণ করে যে ব্যক্তি বা সৈনিক = অশ্বারোহী
অশ্ব, রথ হস্তী পদাতিক সৈন্যের সমাহার = চতুরঙ্গ
অর্থ নাই যাহার = নিরর্থক 
অরিকে দমন করে যে = অরিন্দম
অভ্র লেহন করে যে = অভ্রংলেহী
অভিজ্ঞতার অভাব = অনভিজ্ঞতা
অবশ্য ঘটিবে যাহা = অবশ্যম্ভাবী
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায় যে = ছিদ্রান্বেষী
অপরাধ নাই যার = নিরপরাধ
অপত্য হইতে বিশেষ পার্থক্য না করিয়া = অপত্যনির্বিশেষে
অপকার করার ইচ্ছা = অপচিকীর্ষা
অন্যদিকে মন যাহার = অন্যমনস্ক
অন্যদিকে মন নাই যাহার = অন্যমনা
অন্য সময়/বার = বারান্তর
অন্য লিপিতে রূপান্তর = লিপান্তর
অন্য ভাষায় রূপান্তরিত = অনূদিত
অন্য দেশ = দেশান্তর
অন্ন ভক্ষণ করিয়া যে প্রাণ ধারণ করে = অনুগতপ্রাণ
অনেকের মধ্যে এক = অন্যতম
অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছুক = অনুসন্ধিৎসু
অনুকরণ করিতে ইচ্ছুক = অনুচিকীষু
অনুকরণ করার ইচ্ছা = অনুচিকীর্ষা
অনায়াসে লাভ করা যায় যাহা = অনায়াসলভ্য
অতি শীতও নয়, গ্রীষ্মও নয় = নাতিশীতোষ্ণ
অতি দীর্ঘ নয় যাহা = নাতিদীর্ঘ
অগ্রে বর্তমান থাকে যে = অগ্রবর্তী
অগ্রে দান গ্রহণ করে যে = অগ্রদানী
অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে = অগ্রজ
অগ্রে গমন করে যে = অগ্রগামী
অগ্রসর হইয়া অভ্যর্থনা = প্রত্যুদগমন
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা করিয়া কাজ করে না যে = অবিমৃষ্যকারী
অক্ষির সম্মুখে = প্রত্যক্ষ
অক্ষির অগোচরে = পরোক্ষ
অকালে যে বোধ = অকালবোধন
কোথাও নত কোথাও উন্নত = বন্ধুর
কূলের সমীপে = উপকূল
কাতর না হয়ে = অকাতরে
কর্মে অতিশয় কুশল = কর্মঠ
কণ্ঠের সমীপে = উপকণ্ঠ
এখন ভস্মে পরিণত হইয়াছে = ভস্মীভূত
এখন বশে আসিয়াছে = বশীভূত
একই স্বামীর পত্নী যারা = সপত্নী
একই সময়ে = যুগপৎ
একই সময় বর্তমান = সমসাময়িক
একই মায়ের সন্তান যাহারা = সহোদর
একই গুরুর শিষ্য যাহারা = সতীর্থ
এক হতে আরম্ভ করে = একাদিক্রমে
এক সঙ্গে পাঠ করে যে = সহপাঠী
এক বিষয়ে নিবিষ্টচিত্ত যার = একাগ্রচিত্ত
এ পর্যন্ত শত্ৰু নাই যার = অজাতশত্রু
এ পর্যন্ত যাহার শত্রু জন্মে নাই = অজাতশত্রু
এ পর্যন্ত দাড়ি গোঁফ জন্মায় নাই যার = অজাতশ্মশ্র
উপায় নাই যাহার = নিরুপায়
উপস্থিত বুদ্ধি আছে যাহার = প্রত্যুৎপন্নমতি
উপকারীর উপকার স্বীকার না করা = অকৃতজ্ঞতা
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে = অকৃতজ্ঞ
উপকারীর উপকার স্বীকার করা-- কৃতজ্ঞতা
উপকারীর অপকার করে যে = কৃতঘ্ন
উপকারীর অপকার করা = কৃতঘ্নতা
উপকার করার ইচ্ছা = উপচিকীর্ষা
উপকার করতে ইচছুক = উপচিকীষু
উদরই সর্বস্ব যার = উদরসর্বস্ব
উড়ে যাচ্ছে যা = উড্ডীয়মান
ঈষৎ শিক্ষিত = শিক্ষিতকল্প
ঈষৎ রুগ্ন = রোগাটে
ঈষৎ উষ্ণ যাহা = ঈষদুষ্ণ, কবোষ্ণ, কদুষ্ণ
ঈষৎ আমিষ্য গন্ধবিশিষ্ট = আঁষটে
ঈশ্বরে (বা পরলোকে) যাহার বিশ্বাস নেই = নাস্তিক
ঈশ্বরে (বা পরলোকে) যাহার বিশ্বাস আছে = আস্তিক
ইহার তুল্য = ঈদৃশ
ইহলোকে যাহা সামান্য বা সাধারণ নয় = আলোক সামান্য
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে = জিতেন্দ্রিয়
ইতিহাস সম্পর্কিত যা = ঐতিহাসিক
ইতিহাস লেখেন যিনি = ঐতিহাসিক
আসমানের মত রঙ = আসমানী
আরাধনার যোগ্য = আরাধ্য
আয়ুর পক্ষে হিতকর = আয়ুষ্য
আয় বুঝে ব্যয় করে না = অমিতব্যয়ী
আয় অনুসারে ব্যয় করেন যিনি = মিতব্যয়ী
আমিষের অভাব = নিরামিষ
আমার তুল্য = সাদৃশ
আপনার রং লুকায় যে = বর্ণচোরা
আপনাকে যে হত্যা করে = আত্মঘাতী
আপনাকে কৃতার্থ মনে করেন যিনি = কৃতাৰ্থমন্য
আচরণের যোগ্য = আচরণীয়
আপনাকে যে ভুলিয়া থাকে = আপনভোলা, আত্মভোলা
আদি হইতে অন্ত পর্যন্ত = আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত
আদরের সহিত = সাদরে
আত্মার সম্বন্ধীয় = আধ্যাত্মিক
আত্ম বা যে নিজে বিষয়কেই সর্বস্ব বলিয়া মনে করে = আত্মসর্বস্ব
আত্ম বা নিজ সম্পর্কে সম্পর্কযুক্ত = আত্মীয়
আতপে শুষ্ক = আতপশুষ্ক
আঠা যুক্ত আছে যাহাতে = আঠাল, আঠালো
আচারে যাহার নিষ্ঠা আছে = আচারনিষ্ঠ
আচরণের যোগ্য = আচরণীয়
আকাশের ন্যায় রঙ = আকাশী
আকাশে চরিয়া বেড়ায় যাহা = খেচর, আকাশচারী
আকাশে গমন করে যে = বিহগ, বিহঙ্গ
অল্প ভক্ষণ করে যে প্রাণ ধারণ করে → অন্নগত প্রাণ।
অগ্রে জন্ম গ্রহণ করেছে যে → অগ্রজ।
অতি দীর্ঘ নয় যাহা → নাতিদীর্ঘ।
অসম সাহস যার → অসমসাহসিক।
অগোচরে → পরোক্ষ।
অরিকে দমন করে যে → অরিন্দম।
অক্ষির সম্মুখে → প্রত্যক্ষ।
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় → নাতিশীতোষ্ণ।
অধ্যয়ন করা হয়েছে যাহা → অধীত ।
অনুকরণ করার ইচ্ছা → অনুচিকীর্ষা।
অনুসন্ধান করিতে ইচ্ছুক → অনুসন্ধিৎসু।
অনেকের মধ্যে একজন → অন্যতম।
অন্য ভাষায় রূপান্তরিত → অনূদিত।
অন্ত নাই যার → অনন্ত।
অনেক কষ্টে লাভ করা যায় যাহা → দুর্লভ।
অপকার করার ইচ্ছা- → অপচিকীর্ষা।
অস্থায়ীভাবে থাকা হয় যেখানে → বাসা।
অপরাধ নাই যার → নিরপরাধ।
অমৃতের মত কাজ করে যা → অমৃতায়ন।
অবশ্য মধুর যে ধ্বনি → কলতান।
অহংকার করে যে → অহংকারী।
অশ্বের ডাক → হ্রেষা।
অপরাধ করেছে যে → অপরাধী।
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায যে → ছিদ্রান্বেষী।
অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে কাজ করে যে → অবিমৃষ্যকারী
অপকার করতে ইচ্ছুক → অপচিকির্ষু।
অভিনয় করে যে → অভিনেতা
অন্য দেশ → দেশান্তর।
অর্থ নাই যার → নিরর্থক।
অপরের দোষ খুঁজে বেড়ায় যে → ছিদ্রান্বেষী।
অগ্র পশ্চাৎ না ভেবে কাজ করে যে → অবিমৃষ্যকারী।
অপকার করতে ইচ্ছুক → অপচিকির্ষু।
অভিনয় করে যে → অভিনেতা ।
অন্য দেশ → দেশান্তর
অর্থ নাই যার → নিরর্থক।
অনেক দেখেছে যে → বহুদর্শী।
আকাশে গমন করে যে → বিহঙ্গ।
আপনাকে ভুলে থাকে যে → আত্মভোলা।
আচরণের যোগ্য → আচরণীয়।
আপনার রং লুকায় যে → বর্ণচোরা।
আদরের সাথে → সাদরে।
আমিষের অভাব → নিরামিষ।
আনন্দ প্রদান করে যে → আনন্দপ্রাণ।
আয় বুঝে যে ব্যয় করে → মিতব্যয়ী।
আপনাকে পন্ডিত মনে করে যে → পন্ডিতম্মন্য
আয় বুঝে যে ব্যয় করে → অমিতব্যয়ী।
আপনাকে কেন্দ্র করেই যার চিন্তা → আত্মচিন্তা।
আল্লাহকে বিশ্বাস করে যে → আস্তিক।
আরাধনার যোগ্য → আরাধ্য।
আল্লাহকে বিশ্বাস করে না → নাস্তিক।
আসমানের মত রং যার → আসমানী।
আদি হতে অন্ত পর্যন্ত → আদ্যন্ত।
আপনাকে হত্যা করে যে → আত্মঘাতী।
আদব জানে না যে → বেয়াদব।
আট মাসে জন্মেছে যে → আটাশে।
আকাশে চড়ে বেড়ায় যে → খেচর।
আশাকে অতিক্রম করে → আশাতীত।
ইতিহাসে অভিজ্ঞ যিনি → ইতিহাসবেত্তা।
ইহার তুল্য → ঈদৃশ।
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে → ইন্দ্রজিৎ।
ইহকাল সম্পর্কিত যা → ইহলৌকিক।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে → জিতেন্দ্রিয়।
ইতিহাস সম্পর্কিত যা → ঐতিহাসিক।
ইতি মধ্যকার ঘটনা → ইদানীং।
উদরই সর্বস্ব যার → উদরসর্বস্ব।
উপকার করার ইচ্ছা → উপচিকীর্ষা।
উপকার করিতে ইচ্ছুক → উপচিকীর্ষু।
উপায় নাই যার → নিরুপায়।
এক সংগে পাঠ করে যে → সহপাঠী।
একই সময়ে বর্তমান → সমসাময়িক।
এক হতে আরম্ভ করে → একাদিক্রমে।
এ পর্যন্ত শত্রু নাই যার → অজাতশত্রু।
এ পর্যন্ত যার দাড়ি গোঁফ জন্মায় নাই → অজাতশ্মশ্রু
এখন বশে আসিয়াছে যা → বশীভূত।
একই স্বামীর পত্নী যারা → সপত্নী।
একই সময়ে → যুগপৎ
একই মায়ের সন্তান → সহোদর।
এক বিষয়ে নিবিষ্ট চিত্ত যার → একাগ্রচিত্ত।
কষ্টে অতিক্রম করা যায় যা → দুরতিক্রম্য।
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে → দুর্গম।
কুৎসিত আকৃতি যার → কদাকার।
কষ্টে জয় করা যায় যা → দুর্জয়।
কোথাও নত কোথাও উন্নত → বন্ধুর।
কর দান করে যে → করদ।
কারত না হয়ে → অকাতরে।
কথায় যা বর্ণনা করা যায় না → অবর্ণনীয়।
কাঠের দ্বারা নির্মিত → কেঠো / কাঠরা
কি করতে হবে তা বুঝতে পারে না যে → কিংকর্তব্যবিমূঢ়।
কিছুই পরে যা করে না যে → বেপরোয়া।
কূলের সমীপে → উপকূল।
কন্ঠের সমীপে → উপকন্ঠ।
কোথাও হতে ভয় নাই যার → অকুতোভয়।
কামনা দুর হয়েছে যার → বিতকাম।
কেউ জানতে পারেনা এমনভাবে → অজ্ঞাতসারে।
কর্মে অতিশয় কুশল → কর্মঠ।
খাইবার ইচ্ছা → ক্ষুধা
খ্যাতি আছে যার → খ্যাতিমান।
খুন করেছে যে → খুনী।
গমন করে না যে → নগ।
গোপন করার ইচ্ছা → জুগুপ্সা।
গম্ভীর ধ্বনি → মন্দ্রা।
গ্রীবা যার সুন্দর → সুগ্রীব।
গোলাপের মত রং যার → গোলাপী।
গাছে পাকা → গাছপাকা।
গ্রামে প্রস্তুত → গ্রাম্য।
গলায় কাপড় দিয়া → গলবস্ত্র।
গলায় ফাঁস আঁটিয়ে যে মৃত্যুদন্ড → ফাঁসি।
ঘরে আশ্রিত যে জামাই → ঘর জামাই।
ঘুমাচ্ছে যে → ঘুমন্ত।
ঘৃণার যোগ্য → ঘৃণ্য।
ঘৃতের অল্প গন্ধ যাতে → ঘৃত গন্ধি।
ঘর নাই যার → হা-ঘরে
চর্বন করে খাওয়া যায় যা → চর্ব।
চোরা কারবার করে যে → চোরাকারবারী।
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত → চাক্ষুস।
চৈত্র মাসের ফসল → চৈতালী।
চিরকাল ধরিয়া স্থায়ী → চিরস্থায়ী।
চোখের নিমেষ না ফেলে → অনিমেষ।
চাঁদের মতো → চাঁদপনা।
চিন্তার অতীত → চিন্তাতীত।
চিরকাল স্থায়ী নয় যা → নশ্বর।
চলার শক্তি → চলচ্ছক্তি।
চুষিয়া খাওয়া যায় যা → চোষ্য।
চেটে খাওয়া যায় যা → লেহ্য।
জল পানের জন্য দেয় অর্থ → জলপানি।
জয় করার ইচ্ছা → জিগীষা।
জন্মে নাই যে → অজ।
জয় করতে ইচ্ছুক → জিগীষু।
জন্ম থেকে শুরু করে → আজন্ম।
জটা আছে যার → জটাধর।
জলে চরে যে → জলচর।
জল ও স্থলে চরে যে → উভচর।
জানতে ইচ্ছুক → জিজ্ঞাসা।
জানু পর্যন্ত লম্বিত → আজানুলম্বিত।
জীবিত থাকিয়াও মৃত → জীবন্মৃত।
জীবন পর্যন্ত → আজীবন।
জ্বল্জ্বল্ করছে যা → জাজ্বলামান।
ঝগড়া করতে যে অভ্যস্ত → ঝগড়াটে।
ঠাকাতে অভ্যস্ত যে → ঠগ্।
ডাক আনা নেয় করে যে → ডাক হরকরা।
ঢাকবাজায় যে → ঢাকী।
ডুবে যাচ্ছে যা → ডুবন্ত।
ঢাকায় তৈরী → ঢাকাই।
তুলার তৈরী → তুলট।
তল স্পর্শ করা যায় না যার → অতলর্স্পশ।
তিন ফলের সমাহার → ত্রিফলা।
ত্যাগ করার ইচ্ছা → তিতীর্ষ্ া
তীর ছাড়ে যে → তীরন্দাজ।
তুরায় গমন করে যে → তুরগ।
দিনে একবার আহার করে যে → একাহারী।
দিনের প্রথম ভাগ → পূর্বাহৃ।
দ্বারে থাকে যে → দৌবারিক।
দু’বার জন্মে যা → দ্বিজ।
দিনের শেষ ভাগ → অপরাহৃ।
দিন ও রাত্রির সন্ধিক্ষণ → গোধূলি।
দু’বার ফসর জন্মে যাতে → দু’ফসলা।
দুঃখে নিবারণ করা যায় না → দুর্নিবার।
দূর ভবিষ্যৎ ভেবে দেখেন যিনি → দূরদর্শী।
দেখার ইচ্ছা → দিদৃক্ষা।
দেহ সম্বন্ধীয় যাহা → দৈহিক।
দেয়া যায় না যা → অদেয়।
দেখা যায় না যা → অদৃশ্য।
দ্বারা পাহাড়া দেয় যে → দারোয়ানা।
দমন করা কষ্টকর যা → দুর্দমনীয়।
দর্শন শাস্ত্র জানেন যিনি → দার্শনিক।
দমন করা যায় না যা → অদম্য।
ধূম উদগীরণ করছে যা → ধূমায়মান।
ধন নাই যার → নির্ধন।
ধার আছে যাতে → ধারালো।
ধ্যানের যোগ্য → ধেয়।
ধনুকের ধ্বনি → টঙ্কার।
নিন্দা করতে ইচ্ছুক → জুগুন্সু।
নৌকা চালায় যে → নাবিক।
নষ্ট হয় যা → নশ্বর।
নদী মাতা যার → নদীমাতৃক।
নষ্ট হয় না যা → অবিনশ্বর।
নূপুরের ধ্বনি → নিক্কণ।
নিশাকারে চড়ে বেড়ায় যে → নিশাচর।
ন্যায় ভাল জানেন যিনি → নৈয়ায়িক।
নিন্দা করার যোগ্য → নিন্দনীয়।
নিন্দা করার অযোগ্য → অনিন্দ্য।
নিজেকে যে বড় মনে করে → হামবড়া।
নিতান্ত দদ্ধ হয় যে সময়ে → নিদাঘ।
পট আঁকে যে → পটুয়া।
পর্বতের কন্যা → পার্বতী।
পুনঃপুনঃ দুলছে যা → দোদুল্যমান।
পুনঃপুনঃ জ্বলছে যা → জাজ্বল্যমান।
পাখির কলরব → কুজন।
পান করার ইচ্ছা → পিপাসা।
পান করা যায় যা → পেয়।
পাঁচ রকমের জিনিস মিশানো যাতে → পাঁচমিশালী।
পা হতে মাথা পর্যন্ত → আপদমস্তক।
পা দ্বারা পান করে যে → পাদপ।
পরের উন্নতি দেখলে যার হিংসা হয় → পরশ্রীকাতর।
পরে জন্মেছে যে → অনুজ।
পরিহার করা যায় না যা → অপরিহার্য।
পরলোক সম্বন্ধীয় যা → পারলৌকিক।
পঙ্কে জন্মে যা → পঙ্কজ।
পত্নীর সহিত → সপত্নীক।
পূর্বে কখনও যা ঘটে নাই → অভূতপূর্ব।
পূর্বে যা ছিল এখন নাই → ভূতর্পূব।
পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ থাকে যার → জাতিস্মর।
পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত যা → পার্থিব।
প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে যে → পাদ্য।
প্রথমে পথ দেখান যিনি → পথিকৃৎ।
পরিমিত ব্যয় করেন যিনি → মিতব্যয়ী।
প্রশংসার যোগ্য → প্রশংসনীয়।
প্রতিকার করার ইচ্ছা → প্রতিচিকীর্ষা।
প্রাণের চেয়ে প্রিয় যা → প্রাণপ্রিয়।
প্রবেশ করার ইচ্ছা → বিবিক্ষা।
প্রমাণ করা যায় না যা → অপ্রমেয়।
প্রিয় কথা বলে যে রমণী → প্রিয়ংবদা।
প্রমাণ করা যায় যা → প্রমেয়।
প্রেম করে যে বা যিনি → প্রেমিক/প্রেমিকা।
প্রেম করার ইচ্ছা → প্রেমীষা
প্রেমে আসক্ত → প্রেমাসক্ত।
ফুলের তৈরী → ফুলেল।
ফল পাকিলে যে গাছ মরে যায় → ওষধি।
ফুলের আধার → ফূলদানী।
ফাঁস গলায় পড়ে প্রাণ বধ করে যে → ফাঁসুড়ে।
বমি করার ইচছা → বিবমিষা।
ব্যাকরণ জানেন যিনি → বৈয়াকরণ।
বরণ করার যোগ্য → বরণীয়।
বেশী কথা বলে যে → বাচাল।
বহুর মধ্যে প্রধান → শ্রেষ্ঠ।
বীর সন্তান প্রসব করে যে → বীরপ্রসু।
বারি দান করে যে → বারিদ।
বিশ্ব জনেন হিতকর → বিশ্বজনীন।
ব্যাঙের ছানা → ব্যাঙাচি।
বিজ্ঞান জানেন যিনি → বৈজ্ঞানিক।
বিশেষ খ্যাতি আছে যার → বিখ্যাত।
বিনা যত উৎপন্ন → অযত্ন, সন্তুত।
বিনা যত্নে লাভ করা যায় যা → অযত্নলদ্ধ।
বিচার বিবেচনা করে কাজ করে না যে → অবিমৃষ্যকারী।
বিনা আয়াসে লাভ করা যায় যা → অনায়াস লভ্য।
বিষ্ণুর উপাসক- → বৈষ্ণর।
বিবাদ করছে যারা → বিবদমান।
বিদেশ হতে আগত → বৈদেশিক।
বাক্য ও মনের অতীত → অবাঙ্মানসগোচর।
বাস্তু হতে উৎখাত যারা → উদ্বাস্তু।
বিহঙ্গের ধ্বনি → কাকলি।
বিদেশে থাকে যে → প্রবাসী।
নুপুরের ঝঙ্কার → নিক্বণ
বাঘের চামড়া → কৃত্তি
বীরের ধ্বনি → হুঙ্কার
বহুকাল যাবৎ চলে আসছে যা → চিরন্তন।
বুকে হেঁটে গমন করে যে → উরগ।
বলার ইচ্ছা → বিবক্ষা।
বলার যোগ্য নয় যা → অকথ্য।
বক্তৃতা দানে যিনি পটু → বাগ্মী।
বপন করা হয়েছে যা → উপ্ত।
বেদান্ত জানেন যিনি → বৈদান্তিক।
বলা হয় নাই যা → অনুক্ত।
বলা হয়েছে যা → উক্ত।
ভবিষ্যতে কি হবে দেখে যে → পরিমাণদর্শী।
ভয় নাই যার → নির্ভীক।
ভগ্নির পুত্র → ভাগিনা।
ভস্মে পরিণত হয়েছে যা → ভম্মীভূত।
ভদ্রলোক যে রকম ব্যবহার করেন → ভদ্রোচিত।
ভাসছে যা → ভাসমান
ভিক্ষার অভাব → দুর্ভিক্ষ।
ভুত, ভবিষ্যত ও বর্তমান জানেন যিনি → ত্রিকালজ্ঞ।
ভোজন করতে ইচ্ছুক → বুভুক্ষ।
ভাল বুঝা যায় না যা- → দুর্বোধ্য।
ভ্রমণ করে যে → ভ্রমণকারী।
ভ্রমরের ধ্বনি → গুঞ্জন।
মনে যার জন্ম → মনসিক্ত।
মমতা নাই যার → নির্মম।
ময়ূরের ডাক → কেকা।
মর মর অবস্থা হযেছে যার → মুমূর্ষু।
মুষ্টি দ্বারা পরিমাপ করা যায় → মুষ্টিমেয়।
মর্মকে স্পর্শ করে যা → মর্মস্পর্শী।
মর্মকে পীড়া দেয় যা → মর্মন্তুদ।
মাটি ভদ করে উঠে যা → উদ্ভিদ।
মাটির মত রং যার → মেটে।
মাথা পেতে লওয়ার যোগ্য → শিরোধার্য।
মরণ পর্যন্ত → আমরণ।
মৃত্যুকাল পর্যন্ত → আমৃত্যু।
মামলা করতে অভ্যস্ত → মামলাবাজ।
মন হরণ করে যা → মনোহারী।
মৃত গবাদি পশু ফেরা হয় যেখানে → ভাগাড়।
মৃত্তিকা দিয়ে তৈরী → মৃন্বয়।
যে সুন্দরের নিন্দা করা যায় না → অনিন্দ্যসুন্দর।
যা হতে পারে → সম্ভব।
যার কোন ভয় নেই → অকুতোভয়।
যার তল স্পর্শ করা যায় না → অতলস্পর্শী।
যা হতে পারে না → অসম্ভব।
যা উদিত হচ্ছে → উদীয়মান।
যার কোন বিষয়ই নিন্দা নাই → অনিন্দিত।
যা অবশ্যই হবে → অবশ্যম্ভাবী।
যার প্রভাব ক্ষণকাল স্থায়ী → ক্ষণপ্রভা।
যা সহজে ভেঙ্গে যায় → ভঙ্গুর।
যা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে বেড়ায় → যাযাবর।
যা সম্পন্ন করতে অনেক ব্যয় হয় → ব্যয়বহুল।
যে সকল বিষযে স্পৃহা হারিয়েছে → বীতস্পৃহা।
যা পূর্বে কখনও দেখা যায় নাই → অদৃষ্টপূর্ব।
যে নারী গোপনে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হয় → অভিসারিনী।
যা ভাসছে → ভাসমান।
যে সুপথ থেকে বিচলিত হয়েছে → উল্মার্গগামী।
যার কোন সন্তান নাই → নিঃসন্তান।
যিনি বিদ্যা লাভ করেছেন → কৃতবিদ্যা।
যার বংশ পরিচয় জানা নাই → অজ্ঞাতকুলশীল।
যার নাম কেহ জানে না → অজ্ঞাতনামা।
যার পরিমাপ করা যায় না → অপরিমেয়।
যাকে শাসন করা কঠিন → দুঃশাসন।
যার অনুরাগ দূর হয়েছে → বীতরাগ।
যুদ্ধ করে যে → যোদ্ধা
যার কিছু নেই → অকিঞ্চন।
যে গাছ অন্য গাছের উপর জন্মে → পরগাছা।
যা বহুকাল হতে চলে আসছে → চিরন্তন।
যার বসন আলগা → অসংবৃত।
যে গাছ কোন কাজে লাগে না → আগাছা।
যে নারী কখনও সূর্যকে দেখে নাই → অসূর্যম্পশ্যা
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে → প্রত্যুৎপন্নমতি।
যে নারীর সন্তান হয় না → বন্ধ্যা।
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে → প্রোষিতভতৃকা।
যে নারীর একটি মাত্র সন্তান হয়েছে → কাকবদ্ধ্যা।
যে স্বামীর স্ত্রী বিদেশে থাকে → প্রোষিতপত্নীক।
যে নারীর সন্তান হয়ে বাঁচে না → মৃতবৎসা।
যে কিছু পরোয়া করে না → বেপরোয়া।
যে নারীর এখনও বিবাহ হয় নাই → অনূঢ়া।
যে নারী স্বয়ং পতিকে বরন করে → স্বয়ংবরা।
যে নারীর সম্প্রতি বিবাহ হয়েছে → নবোঢ়া।
যে নারীর স্বামী আছে → সধবা।
যে নারীর স্বামী মারা গিয়েছে → বিধবা।
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল → অন্যপূর্বা।
যে মেয়ের বিবাহ হয় নাই → কুমারী।
যে বন হিংস্র জীবজন্তুতে পূর্ণ → শ্বাপদ সঙ্কুল।
যে স্বামীর স্ত্রী মারা গিয়াছে → বিপত্নীক।
যে ভিক্ষা করে → ভিক্ষুক।
যে স্বামীর স্ত্রী বর্তমান → সপত্নীক।
যে প্রাণী বুকে হেঁটে গমন করে → সরীসৃপ।
রস আছে যার → রসিক।
রব শুনে আসছে যা → রবাহুত।
রস আছে যাতে → রসাল।
রেশম দিয়ে নির্মিত → রেশমী।
রাত্রির প্রথম ভাগ → পূর্বরাত্রি।
রাত্রির মধ্য ভাগ → মধ্যরাত্রি।
রাত্রির শেষ ভাগ → শেষরাত্রি।
লেখা যায় যার দ্বারা → লেখনি।
লাভ করার ইচ্ছা → লিন্সু।
শত বর্ষের সমাহার → শতাব্দি।
শত্রুকে হনন করে যে → শত্রুঘ্ন।
শক্তিকে অতিক্রম না করে → যথাশক্তি।
শত্রু এখনও জন্মায় নাই যার → অজাতশত্রু।
শক্তির উপাসক → শক্তি।
শিশুর পক্ষে সম্ভবপর যা → শিশু সুলভ।
শোভন হৃদয় যার → সুহৃদ।
শুনিবা মাত্র যিনি মনে রাখতে পারেন → শ্রুতিধর।
কথায় যাহা বর্ণনা করা যায় না = অনির্বচনীয়/অবর্ণনীয়
কোথাও হইতে যাহার ভয় নাই = অকুতোভয়
কন্যার সঙ্গে পৃথক বিচার না করিয়া = কন্যা নির্বিশেষে
কর্মে অতিশয় দক্ষ = কর্মকুশল
কর্মে অতিশয় তৎপর = ত্বরিতকর্মা
কর্মের তত্ত্বাবধান যিনি করেন = কর্মাধ্যক্ষ, কর্মকর্তা
কর্মের জন্য নিয়োজিত ব্যক্তি = কর্মচারী
কম বয়স যাহার = কমবয়সী
কোন ভয় নাই যাহার = অকুতোভয়
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে = দুর্গম
কি করতে হবে তা বুঝতে পারে না যে = কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কেবল নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকে যে = আত্মনিষ্ঠ
কোনটা দিক, কোনটা বিদিক, এই জ্ঞান নাই যাহার = দিগ্বিদিকজ্ঞানশূন্য
কেহ জানিতে না পারে এইরূপভাবে = অজ্ঞাতসারে
ক্রমকে বজায় রাখিয়া = যথাক্রমে, ক্রমান্বয়ে
ক্রমে যাহা আসিয়াছে = ক্রমাগত
খ্যাতি আছে যার = খ্যাতিমান
খাইবার ইচ্ছা = ক্ষুধা
খাইবার যোগ্য = খাদ্য
খাওয়ার জন্য যে খরচ = খাইখরচ
খেলায় দক্ষ যিনি = খেলোয়াড়
খুন করিয়াছে যে = খুনী
গ্রীবা যার সুন্দর = সুগ্রীব
গলায় ফাঁস আটিয়ে যে মৃত্যুদন্ড = ফাঁসি
গোপন করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
গাছে পাকা = গাছপাকা
গাছ হইতে পাড়া = গাছপাড়া
গঙ্গার অপত্য = গাঙ্গেয়
গ্রামে প্রস্তুত = গ্রাম্য বা গ্রাম্যজাত
গোলাপের মত রং যাহার = গোলাপী
গভীর রাত্রি = নিশীথ
গোপন করিবার যোগ্য = গোপনীয়
ঘুমাচ্ছে যে = ঘুমন্ত
ঘরের অভাব = হা ঘর
ঘর নাই যার = হা ঘরে
ঘৃতের অল্প গন্ধ যাহাতে = ঘৃতগন্ধী
ঘৃণার যোগ্য = ঘৃণ্য, ঘৃণার্হ
ঘি মাখা ভাত = ঘিভাত
ঘুমাইয়া আছে যে = সুপ্ত
ঘর্ষণ বা পেষণজাত সুগন্ধ = পরিমল
চৈত্র মাসের ফসল = চৈতালী
চাঁদের মতো = চাঁদপনা
চলার শক্তি = চলচ্ছক্তি
চেটে খাওয়া যায় যা = লেহ্য
চুষিয়া খাওয়া যায় যা = চোষ্য
চোখের নিমেষ না ফেলিয়া = অনিমেশ
চক্ষু দ্বারা গৃহীত = চাক্ষুষ
চক্ষুর দ্বারা নিষ্পন্ন = চাক্ষুষ
চক্ষুর সম্মুখে = প্রত্যক্ষ
চক্ষুর আড়ালে = পরোক্ষ
চক্ষুর দ্বারা দৃষ্ট = প্রত্যক্ষীভূত
চন্দ্রের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত = চান্দ্র
চন্দ্র চূড়ান্তে যাহার = চন্দ্রচূড়
চর্বণ করিয়া খাওয়া যায় যাহা = চৰ্য্য
চাটু করে যে = চাটুকার
চিরস্থায়ী নয় যাহা = নশ্বর
চিরকাল ব্যাপিয়া স্থায়ী = চিরস্থায়ী
ছেলে ধরে যে = ছেলেধরা
ছায়া প্রধান তরু = ছায়াতরু
ছল করিয়া কান্না = মায়াকান্না
জীবন পর্যন্ত = আজীবন
জানার ইচ্ছা = জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক = জিজ্ঞাসু
জলপানের জন্য দেয় অর্থ = জলপানি
জন্ম হতে শুরু করে = আজন্ম
জানু পর্যন্ত লম্বিত = আজানুলম্বিত
জটা আছে যার = জটিল
জয় করিবার ইচ্ছা = জিগীষা
জায়া ও পতি = দম্পতি
জয়সূচক উৎসব = জয়ন্তী
জয়লাভ করিয়াছেন যিনি = জয়ী
জীবন্ত থাকিয়া মৃত = জীবন্ত
জ্বল জ্বল করিতেছে যাহা = জাজ্বল্যমান
জলে ও স্থলে চরে এমন = উভচর
ডুবে যাচ্ছে যা = ডুবন্ত
ঢাকার তৈরি = ঢাকাই
ঢাক বাজায় যে = ঢাকী
তিন ফলের সমাহার = ত্রিফলা
তন্তু দ্বারা বয়ন করে যে = তাঁতী
তিন রাস্তার সমাহার = তেমাথা
ত্বরায় গমন করে যে = তুরগ, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম
তুলার দ্বারা তৈরি = তুলোট, তুলট
দিবসের মধ্যভাগ = মধ্যাহ্ন
দিবসের প্রথম ভাগ = পূর্বাহ্
দিবস ও রজনীর সন্ধিক্ষণ = গোধূলি
দর্শনশাস্ত্র জানেন যিনি = দার্শনিক
দিবসের শেষ ভাগ = অপরাহু
দুবার জন্মে যা = দ্বিজ
দুবার ফসল জন্মে যাতে = দুফসলা/দোফসলা
দমন করা যায় না যা = অদম্য
দুইয়ের মধ্যে একটি = অন্যতম
দিনে একবার আহার করে যে = একাহারী
দান করেন যিনি = দাতা
দিন ও রাত্রি ব্যাপিয়া = দিবারাত্রি, আহোরাত্র
দিনের আলো ও রাত্রির অন্ধকারে = সন্ধিক্ষণ/গোধূলী
দেখিবার ইচ্ছা = দিদৃক্ষা
দুঃখে দমন করা যায় যাহাকে = দুর্দমনীয়
দার পরিগ্রহ করেন নাই যিনি = অকৃতদার
দারে থাকে যে = দৌবারিক
দূর ভবিষ্যৎ ভাবিয়া দেখে না যে = অদূরদর্শী
দ্বার রক্ষা করে যে = দ্বরী, দ্বারবান, দারোয়ান
ধার আছে যাতে = ধারালো
ধনুকের ধ্বনি = টঙ্কার
ধন নাই যার = নির্ধন
ধূম উদগীরণ করেছে যা = ধূমায়মান
নৌকা চালায় যে = নাবিক
নিন্দা করতে ইচ্ছা = জুগুপ্সা
নিজেকে যে বড় মনে করে = হামবড়া
নিন্দা করার যোগ্য = নিন্দনীয়
নূপুরের ধ্বনি = নিক্কণ
নিন্দা করার অযোগ্য = অনিন্দ্য
নিয়মের অধীন = বিধিবদ্ধ
প্রমাণ করা যায় যা = প্রমেয়
প্রিয় কথা বলে যে রমণী = প্রিয়ংবদা
পর্বতের কন্যা = পার্বতী
পরের উন্নতি দেখলে যার হিংসা হয় = পরশ্রীকাতর
পঙ্কে জন্মে যা = পঙ্কজ
প্রেম করিবার ইচ্ছা = প্রেমীষা
প্রমাণ করা যায় না যা = অপ্রমেয়
প্রাণের চেয়ে প্রিয় যা = প্রাণপ্রিয়
পাখির কলরব = কূজন
প্রশংসার যোগ্য = প্রশংসনীয়
পা ধুইবার জল = পাদ্য
পিতার ভ্রাতা = পিতৃব্য
প্রতিকার করিবার ইচ্ছা = প্রতিচিকীর্ষা
প্রতিকার করিতে ইচ্ছুক = প্রতিচিকীষু
প্রথমে মধুর কিন্তু পরিণামে মধুর নহে = আপাতমধুর
প্রাণ যায় তাহাও স্বীকার করিয়া = প্রাণপণে
প্রায় মৃত = মৃতকল্প
প্রিয় বাক্য বলে যে = প্রিয়বাদী
ফল পাকিলে যে উদ্ভিদ মরিয়া যায় = ওষধি
ফাঁস দিয়া মানুষ মারে যে = ফাঁসুড়ে
ফুল হইতে তৈরি = ফুলেল
বরণ করার যোগ্য = বরণীয়
বেশি কথা বলে যে = বাচাল
বহুর মধ্যে প্রধান = শ্রেষ্ঠ
বিনা যত্নে লাভ করা যায় যা = অযত্নলদ্ধ
বাস্তু হতে উৎখাত যারা = উদ্বাস্তু
বিহঙ্গের ধ্বনি = কাকলি
বহুকাল যাবৎ চলে আসছে যা = চিরন্তন
বাঘের চামড়া = কৃত্তি
বলা হয়েছে যা = উক্ত
বপন করা হয়েছে যা = উপ্ত
বেতন লাগেনা এমন = অবৈতনিক
বমি করার ইচ্ছা = বিবমিষা
ব্যাঙের ছানা = ব্যাঙাচি
বিজ্ঞান জানেন যিনি = বৈজ্ঞানিক
বীরের ধ্বনি = হুঙ্কার
বলার যোগ্য নয় যা = অকথ্য
বলা হয় নাই যা = অনুক্ত
বন্দোবস্ত নাই যেখানে = বে বন্দোবস্ত
বনে বাস করে যে = বনবাসী
বরণ করিবার ইচ্ছা = বরণীয়
বন্দনা করিবার যোগ্য = বন্দ্য, বন্দনীয়
বয়সের তুল্য = বয়সী
বহু গৃহ হইতে ভিক্ষা সংগ্রাহক = মাধুকরী
বাক্য ও মনের অগোচর = অবাঙমানসগোচর
বালক হইতে আরম্ভ করিয়া বৃদ্ধ ও স্ত্রীলোক সকলেই = আবালবৃদ্ধবণিতা
বালকের অহিত = বালাই
বিদেশ হইতে আগত = বৈদেশিক
বিদেশে বাস করে যে = প্রবাসী
বিষ্ণুর উপাসক = বৈষ্ণব
বিশ্ববাসীর জন্য হিত/বিশ্বজনের নিমিত্তে হিত = বিশ্বজনীন
বীর সন্তান প্রসব করে যে নারী = বীরপ্রসূ
ভ্রমনের ধ্বনি = গুঞ্জন
ভদ্রলোক যে রকম ব্যবহার করেন = ভদ্রোচিত
ভবিষ্যতে কী হবে দেখে যে = পরিণামদর্শী
ভোজন করার ইচ্ছা = বুভুক্ষা
ভূত, ভবিষ্যত ও বর্তমান জানেন যিনি = ত্রিকালজ্ঞ
ভাবী ঘটনার সংকেত = পূর্বাভাস
ভয় নাই যার = নির্ভীক
ভোজন করতে ইচছুক = বুভুক্ষু
ভগিনীর পুত্র = ভাগেনেয়
ভবিষ্যৎ কী হইবে দেখে না যে = অপরিণামদর্শী
ভষ্মে পরিণত হইয়াছে যাহা = ভস্মীভূত
ভাঙ্গের নেশা করে যে = ভাঙড়
ভিক্ষার অভাব = দুর্ভিক্ষ
ভুজ বা বাহুতে ভর করিয়া চলে যে = ভুজঙ্গ
ভোজন করিবার ইচ্ছা = বুভুক্ষা, ভোজনেচ্ছা
মমতা নাই যার = নির্মম
ময়ুরের ডাক = কেকা
মর্মকে পীড়া দেয় যে = মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে উঠে যা = উদ্ভিদ
মৃত্তিকা দিয়ে তৈরি = মৃন্ময়
মন হরণ করে যা = মনোহরী
মর্মকে স্পর্শ করে যা = মর্মস্পর্শী
মক্ষিকাও প্রবেশ করিতে পারে না যেখানে = নির্মক্ষিক
মরার মত হইয়াছে যে = মুমূর্ষ
মরার মত = মৃতবৎ
মরণ পর্যন্ত/মৃত্যু পর্যন্ত = আমরণ, আমৃত্যু
মনে যাহার জন্ম = মনসিজ
মাথা পাতিয়া লইবার যোগ্য = শিরোধার্য
মুক্তি পাইতে ইচ্ছুক = মুমুক্ষু, মুক্তিকামী
মূর্তির ন্যায় যাহা = প্রতিমূর্তি
ময়ুর কণ্ঠের ন্যায় রঙ যাহার = ময়ূরকণ্ঠী
মদের নেশা করে যে = মাতাল
যাহা অতিক্রম করা যায় না = অনতিক্রম্য, অনতিক্ৰমণীয়
যাহা অতি কষ্টে সাধন করা যায় = দুঃসাধ্য
যাহা অবশ্যই ঘটিবে = অবশ্যম্ভাবী, ভবিতব্য
যাহা অন্য ব্যক্তিতে নাই = অনন্যসাধারণ
যাহা অধ্যয়ন করা হইয়াছে = অধীত
যাহা আঘাত দ্বারা সহজে ভাঙ্গে না = ঘাতসহ
যাহা আশা করা যায় তাহার অধিক = আশাতীত
যাহা উড়িয়া যাইতেছে = উড্ডীয়মান
যাহা উচ্চারণ করিতে কষ্ট হয় = দুরুচ্চার্য, অনুচ্চার্য
যাহা উদিত হইতেছে = উদীয়মান
যাহা কষ্টে নিবারণ করা যায় = দুর্নিবার
যাহা কষ্টে লাভ করা যায় = দুর্লভ
যাহা কষ্টে জয় করা যায় = দুর্জয়
যাহা ঘূর্ণিত হইয়াছে = ঘূর্ণায়মান
যাহা কথায় বর্ণনা করা যায় না = অবর্ণনীয়
যাহা চিবাইয়া খাওয়া যায় = চৰ্য
যাহা চিন্তা করা যায় না = অচিন্তনীয়, চিন্তাতীত
যাহা দিতে পারা যায় না = অদম্য
যাহা দ্বারা ছেদন করা হয় = ছেদনী, ছেনী
যাহা ধ্যানের দ্বারা জানা যায় = ধ্যানগম্য
যাহা নষ্ট হয় = নশ্বর
যাহা নষ্ট হয় না = অবিনশ্বর
যাহা পরিমাণ করা যায় না = অপরিমেয়
যাহা পান করা যায় = পানীয়, পেয়
যাহা পান করা যায় না = অপেয়
যাহা পুনঃ পুনঃ দুলিতেছে = দোদুল্যমান
যাহা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে = জাজ্বল্যমান
যাহা পূর্বে কখনো দেখা যায় নাই বা পূর্বে ঘটে নাই = অদৃষ্টপূর্ব
যাহা পূর্বে কখনো হয় নাই = অভূতপূর্ব
যাহা পূর্বে ছিল এখন নাই = ভূতপূর্ব
যাহা বিনা আয়াসে লাভ করা যায় = অনায়াসলভ্য
যাহা বহুকাল হইতে চলিয়া আসিতেছে = চিরন্তন।
যাহা বিনা যত্নে লাভ করা হইয়াছে = অযত্নলব্ধ
যাহা বলা উচিত নয় = অকথ্য, অবক্তব্য
যাহা বিশ্বাস করা যায় না = অবিশ্বাস্য
যাহা বলা হইবে = বক্ষ্যমান।
যাহা বপন করা হইয়াছে = উপ্ত
যাহা বাষ্প উদগমন করিতেছে = বাষ্পয়মান
যাহা ভেদ করা দুঃসাধ্য = দুর্ভেদ্য
যাহা ভস্ম হইয়াছে = ভস্মীভূত
যাহা মাটি ভেদ করিয়া উঠে = উদ্ভিদ
যাহা মর্মকে স্পর্শ করে = মর্মস্পর্শী
যাহা লংঘন করা উচিত নয় = অলংঘনীয়
যাহা লেহন করিয়া খাওয়া হয় = লেহ্য
যাহার কুলশীল জানা নাই = অজ্ঞাতকুলশীল
যাহার জায়া যুবতী = যুবজানি
যাহার দুই হাত সমান চলে = সব্যসাচী
যাহার পত্নী বিয়োগ হইয়াছে = বিপত্নীক
যাহার পুত্র নাই = অপুত্রক
যাহা লংঘন করা দূরূহ = দুর্লংঘ
যাহা লাফাইয়া চলে = প্লবগ
যাহা লোক বিদিত/লোকে বলিত = লৌকিক
যাহা শব্দ করিতেছে = শব্দায়মান
যাহা শিরে ধারণ করিবার যোগ্য = শিরোধার্য
যাহা সহজে জীর্ণ হয় = সুপ্রাচ্য
যাহা সহজে জীর্ণ হয় না = দুপ্রাচ্য
যাহা সহজে ভাঙ্গিয়া যায় = ভঙ্গুর
যাহা সাধারণত দেখা যায় না = অসাধারণ
যাহা সহজে পরিপাক করিতে পারা যায় না = গুরুপাক, দুষ্প্রাচ্য
যাহা সহজে লাভ করা যায় = সুলভ
যাহা সরোবরে জন্মে = সরোজ, সরসিজ
যাহা অতিক্রম করা যায় না = দুরতিক্রম্য
যাহা সারাদিন ব্যবহার করা হয় = আটপৌরে |
যাহা হইতে পারে না = অসম্ভব
যাহা হইতে ধূম উদগীরণ হইতেছে = ধূমায়মান |
যাহার অন্য উপায় নাই = অনন্যোপায়
যাহার অন্য গতি নাই = অনন্যগতি
যাহার আকার কুৎসিত = কদাকার
যাহার এক বিষয়ে চিত্ত নিবন্ধ = একাগ্রচিত্ত |
যাহার পরিমাণ করা যায় না = অপরিমেয়।
যাহার পূর্বজন্মের কথা স্মরণ থাকে = জাতিস্মর
যাহার প্রভাব ক্ষণকাল স্থায়ী হয় = ক্ষণপ্রভা
যাহার বুদ্ধি পরিপক্ক হয় নাই = অপরিপক্ববুদ্ধি
যাহার বয়স বেশি (পরিণত) হয় নাই = অপরিণতবয়স্ক
যাহার ব্যবহার নম্র = অমায়িক
যাহার ভাতের অভাব = হাভাত
যাহার মমতা নাই = নির্মম
যাহার মূলে ঈর্ষা আছে = ঈর্ষামূলক
যাহার শেষ নাই = অশেষ, সীমাহীন
যাহার সর্ব হারাইয়াছে = সর্বস্বান্ত
যাহাতে হৃদয় বিদীর্ণ হয় = হৃদয়বিদারক
যাহারা এক মাতার গর্ভে জন্মিয়াছে = সহোদর, সোদর
যাহারা দীপ্তি পাইতেছে = দেদীপ্যমান
যাহাকে কোনক্রমেই নিবারণ করা যায় না = অনিবার্য
যার নাম কেহ জানে না = অজ্ঞাতনামা
যার অনুরাগ দূর হয়েছে = বীতরাগ
যার কিছু নেই = অকিঞ্চন
যাহার সকল ধন নষ্ট হইয়া গিয়াছে = সর্বস্বান্ত
যাহার সর্বস্ব হৃত হইয়া গিয়াছে = হৃতসর্বস্ব
যাহার সর্বস্ব চুরি হইয়া গিয়াছে = হৃতসর্বস্ব
যার পরিমাপ করা যায় না = অপরিমেয়
যিনি অল্প কথা বলেন = মিতভাষী
যিনি ন্যায় শাস্ত্রে পন্ডিত = নৈয়ায়িক
যিনি প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন = লব্ধপ্রতিষ্ঠ
যিনি বক্তৃতা দানে পটু = বাপ্পী
যিনি বিদ্যা লাভ করিয়াছেন = কৃতবিদ্য
যিনি যুদ্ধে স্থির থাকেন = যুধিষ্ঠির
যিনি সকল অত্যাচার সহ্য করেন = সর্বংসহা
যিনি সকল কিছু জানেন = সর্বজ্ঞ
যিনি সর্বত্র গমন করেন = সর্বগ্র
যিনি সৃষ্টি করিয়াছেন বা করেন = স্রষ্টা
যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন = স্মার্ত
যে সুন্দরের নিন্দা করা যায় না = অনিন্দ্যসুন্দর
যে নারী গোপনে প্রিয়জনের সাথে মিলিত হয় = অভিসারিণী
যে নারী কখনও সূর্যকে দেখে নাই = অসূর্যম্পৰ্শা
যে নারীর সন্তান হয় না = বন্ধ্যা
যে নারীর একটি মাত্র সন্তান হয়েছে = কাকবন্ধ্যা
যে নারীর এখনও বিয়ে হয়নি = অনূঢ়া
যে নারী পূর্বে অন্যের স্ত্রী ছিল = অন্যপূর্বা
যে নারী সম্প্রতি বিয়ে করেছে = নবোঢ়া
যে স্বামীর স্ত্রী মারা গিয়েছে = বিপত্নীক
যে স্বামীর স্ত্রী বর্তমান = সপত্নীক
যে সকল আপনার লাভ দেখে = স্বার্থপর
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে = বীতস্পৃহ
যে গাছ কোন কাজে লাগে না = আগাছা
যে গাঁজার নেশা করে = গেঁজেল
যে জমিতে দুইবার ফসল হয় = দোফসলী
যে জমিতে ফসল জন্মায় না = উষর, অনুর্বর
যে জমির উৎপাদিকা শক্তি আছে = উর্বরা
যে জমিতে উৎপাদিকা শক্তি নাই = অনুর্বরা।
যে ত্রাণ করে = ত্রাতা
যে তৃণাদি খাইয়া জীবন ধারণ করে = তৃণভুক
যে দেশে বহু নদী আছে = নদীমাতৃক
যে নারী অপরের দ্বারা পালিত = পরভূতিকা
যে নারী স্বয়ং পতিবরণ করে = স্বয়ংবরা
যে নারীর সন্তান মরিয়া যায় = মৃতবৎসা
যে নারীর স্বামী পুত্র নেই = অবীরা
যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভর্তৃকা
যে নারীর হাস্য পবিত্র = সুস্মিতা
যে পুরুষ বিবাহ করিয়াছে = কৃতদার
যে বুকে হাঁটিয়া গমন করে = সরীসৃপ
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ = শ্বাপদসংকুল
যে বৃহৎ বৃক্ষে ফল হয় কিন্তু ফুল হয় না = বনস্পতি
যে বা যাহা প্রবীণ বা প্রাচীন নয় = অর্বাচীন
যে (ভাই) পরে জন্মগ্রহণ করিয়াছে = অনুজ
যে রমণীর অসূহা (হিংসা, পরশ্রীকাতরতা) নাই = অনসূয়া
রেশম দ্বারা নির্মিত = রেশমী
রাত্রির মধ্যভাগ = মধ্যরাত্রি
রাত্রির প্রথম ভাগ = পূর্বরাত্রি
রাত্রির শেষ ভাগ = শেষরাত্রি
রব শুনিয়া যাহারা আসিয়াছে = রবাহুত
লাভ করিবার ইচ্ছা = লিপ্সা, লোভ
শুভক্ষণে জন্ম যাহার = ক্ষণজন্মা
শৈশবকাল অবধি = আশৈশব
শ্রবণের যোগ্য = শ্রবণীয়
শক্তির উপাসক = শাক্ত
শ্রদ্ধার যোগ্য = শ্রদ্ধেয়
শ্রবণ করার ইচ্ছা = শ্রবণেচ্ছা
শহরে থাকে যে = শহুরে
শত্রু এখনও জন্মায় নাই যার = অজাতশত্রু
শোভন হৃদয় যার = সুহৃদ
শত্রুকে পীড়া দেয় যে = অরিন্দ্র
শত্রুকে হনন করে যে = শত্রুঘ্ন
শিশুর পক্ষে যাহা সম্ভবপর = শিশুসুলভ
শুনিবামাত্র স্মরণ রাখিতে পারে যে = শ্রুতিধর
সকল পদার্থ ভক্ষণ করে যে = সর্বভুক
সরোবরে জন্মে যাহা = সরোজ
সকলের জন্য হিতকর = সর্বজনীন
সন্তান প্রসব করে যে = প্রসূতি
সম্মুখে অগ্রসর হইয়া অভ্যর্থনা = প্রত্যুগমন
সর্বজন সম্বন্ধীয় = সর্বজনীন
সমস্ত জীবন ব্যাপিয়া = আজীবন
সমান বয়স যাহাদের—> সমবয়স্ক
সিংহের গর্জন = সিংহনাদ
সকলের জন্য প্রযোজ্য = সর্বজনীন
সহ্য করার স্বভাব যার = সহিষ্ণু
সেবা করার ইচ্ছা = শুশ্রুষা
হিসাব নাই যার = বেহিসাবী
হাতির চিৎকার = বৃংহিত
হৃদয় বিদীর্ণ করে যা = হৃদয়বিদারক
হরিণের চামড়া = অজিন
হনন করিবার ইচ্ছা = জিঘাংসা
হিত কামনা করে যে = হিতাকাঙ্ক্ষী, হিতৈষী
হিরণ্য দ্বারা নির্মিত = হিরন্ময়
হাট করে যে = হাটুরে
হৃদয়ের প্রীতিকর = হৃদ্য
অলংকারের শব্দ = শিঞ্জন, শিঞ্জিত
অশ্বের ধ্বনি = হে
কোকিলের ডাক = কুহু
গম্ভীর ধবনি = মন্দ্র
ঝন ঝন শব্দ = ঝনাৎকার
ধনুকের ধ্বনি = টংকার
নূপুরের ধ্বনি = নিক্কন
বীরের ধ্বনি = হুংকার
ময়ূরের ধ্বনি = কেকা
অতর্কিত অবস্থায় আক্রমণকারী = আততায়ী
অতি আসন্ন = প্রত্যাসন্ন
অতি কর্ম = নিপুণ ব্যক্তি, করিতকর্মা
অতি মূল্য যার = মহার্ঘ্য, অমূল্য
অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ যিনি জানতে পারে = ত্রিকালদর্শী
অনুকরণ করার ইচ্ছা = অনুচিকীর্ষা
অনুকরণে ইচ্ছুক = অনুচিকীর্ষ
অপকার করার ইচ্ছা = অপচিকীর্ষা
অরিকে দমন করে যে = অরিন্দম
অলঙ্কারের শব্দ = শিঞ্জন
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচান করে না যে = অবিমৃষ্যকারী
অন্ত্য যে ইষ্টি = অন্ত্যোষ্টি
অন্য কোনো কর্ম নেই যার = অনন্যকর্মা
অর্থহীন উক্তি = প্রলাপ
অগভীর সতর্ক নিন্দ্রা = কাকনিন্দ্র
অশ্ব, হস্তী, রথ ও পদাতিক = চতুরঙ্গ
আকাশ ও পৃথিবী = ক্রন্দসী
আগে যা চিন্তা করা হয়নি = অচিন্ত্যপূর্ব
আট প্রহর পরার মতো = আটপৌরে
আমৃত্যু যুদ্ধ করে যে = সংশপ্তক
আড়ম্বরের সঙ্গে বর্তমান = সাড়ম্বর
আহবান করা হয়েছে ডাকে = আহূত
আকাশে গমন করে যা = বিহগ, বিহঙ্গ
ইহার তুল্য বা সদৃশ = ঈদৃশ
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে = ইন্দ্রজিৎ
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছেন যিনি = জিতেন্দ্রিয়
ঈষৎ রক্তবর্ণ = আরক্ত
ঈষৎ আমিষ গন্ধবিশিষ্ট = আঁষটে
উপস্থিত বুদ্ধি আছে যার = প্রত্যুৎপন্নমতি
উভয় হাত যার সমান চলে = সব্যসাচী
ঊর্ণা নাভিতে যার = ঊর্ণনাভ
ঋণ শোধে অসমর্থ যে = দেউলিয়া
এক মতের ভাব = ঐকমত্য
এক যুগের সারা, অন্য যুগের শুরু = যুগসন্ধি
একবার সন্তান প্রসব করেন যিনি = কাকবন্ধ্যা
এক দিনের পথ = মঞ্জিল
একা একা কথা বলা = স্বগতোক্তি
ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য = ক্ষমার্হ
ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, বেগম = পঞ্চভূত
খাজনা আদায় করে যে = খাজাঞ্চি
গোপন করতে ইচ্ছুক = জুগুল্লু
গ্রীবা যার সুন্দর = সুগ্রীব
ঘোড়ার ডাক = হ্রেষা
ঘৃণার যোগ্য = ঘৃণ্য, ঘৃণাহ
চতুর্দিকে প্রচার = সম্প্রচার
চৌত্রিশ অক্ষরের স্তব = চৌতিশা
ছয় মাস অন্তর = ষান্মাসিক
রব শুনে এসেছেন যিনি = রবাহুত
জমির জরিপকারী সরকারি কর্মচারী = কানুনগো
জয়সূচক উৎসব = জয়ন্তী
জয়লাভ করার ইচ্ছা = জিগীষা
দার পরিগ্রহ করেননি যিনি = অকৃতদার
দুই পর্বতের মধ্যবর্তী নিম্নভূমি = উপত্যকা
দুই সময়ের মিলনের মুহূর্ত = সন্ধিক্ষণ
দর্শন করতে ইচ্ছুক = দিদৃক্ষু
নূপুরের ধ্বনি = নিক্কণ
নাটকের পাত্রপাত্রী = কুশীলব
ন্যায় শাস্ত্র জানেন যিনি = নৈয়ায়িক
নিন্দা করার ইচ্ছা = জুগুপ্সা
নিমন্ত্রণ না করা সত্ত্বেও যিনি উপস্থিত = অনাহুত
নতুন বিবাহিত স্ত্রী = নবোঢ়া
পঙক্তিতে বসার অযোগ্য = অপাঙক্তেয়
পরস্পরের মধ্যে প্রীতি = সম্প্রীতি
পাঁচশ বছর পূর্তির জন্য যে উৎসব = রজতজয়ন্তী
পঞ্চাশ বছর পূর্তির জন্য যে অনুষ্ঠান = সুবর্ণজয়ন্তী
প্রবেশ ইচ্ছুক = বিবিক্ষু
প্রবেশ করার ইচ্ছা = বিবিক্ষা
প্রতিবিধান করার ইচ্ছা = প্রতিবিধিৎসা
প্রতিবিধান করতে ইচ্ছুক = প্রতিবিধিৎসু
পাখির গান = কুজন
পাখির ডাক = কাকলি
পুজার উপকরণ = অর্ঘ্য
পূজা পাওয়ার যোগ্য = পূজাহ
পূর্বে ছিল এখন নেই = ভূতপূর্ব।
পূর্বে যা ঘটেনি = অভূতপূর্ব
পুনঃ পুনঃ দীপ্তি পাচ্ছে যা = দেদীপ্যমান
পূর্বে সুপ্ত পরে উত্থিত = সুপ্তোথিত
পুনঃ পুনঃ রোদন করে যে = রোরুদ্যমান
পেতে ইচ্ছে করছে যে বস্তু = ঈপ্সিত
পৃথিবী ও পার্থিব সবকিছুর জ্ঞান = ভূয়োদর্শন
প্রতিকার করার ইচ্ছা = প্রতিচিকীর্ষা
প্রতিকার করতে ইচ্ছুক = প্রতিচিকীর্ষ
বকের মতো কপট ধার্মিক = বকধার্মিক
বাইরে আদবকায়দায় দক্ষ অথচ ফাঁকিবাজ = লেফাফাদুরস্ত
বাস্তু হতে উৎখাত হয়েছে যে = উদ্বাস্তু
বিভিন্ন দিক জয় করেছেন যিনি = দিগ্বিজয়ী
বীণার শব্দ = ঝঙ্কার, নিক্কণ
বৃক্ষাদির নতুন কচি শাখা বা পাতা = কিশলয়
বহু গৃহ হতে ভিক্ষা সংগ্রাহক = মাধুকরী
বিচার করে কাজ করে না যে = অবিমৃষ্যকারী
বিশ্ববাসীর জন্য হিত/বিশ্বজনের নিমিত্ত হিত = বিশ্বজনীন
ভাতের অভাব = হা ভাত
ভাতের অভাব আছে যার = হা ভাতে
ভবিষ্যতে যা ঘটবে = ভবিতব্য
ভক্ষণের ইচ্ছা = বুভুক্ষা
ভক্ষণের ইচ্ছুক = বুভুক্ষ
মনে জন্মে যা = মনোজ
মাছের মতো অক্ষি যার = মীনাক্ষী
মুক্তি পেতে ইচ্ছুক = মুমুক্ষু, মুক্তিকামী
যা অধিক উষ্ণ বা অধিক শীতল নয় = নাতিশীতোষ্ণ
যা গতিশীল = জঙ্গম
যা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে = চিরন্তন
যা ছয় মাস অন্তর হয় = ষান্মাসিক
যা পুনঃ পুনঃ জ্বলছে = জাজ্বল্যমান
যা বপন করা হয়েছে = উপ্ত
যা বহুকাল ধরে প্রচলিত = সনাতন
যা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না = দুর্লঙ্ঘ্য
যা সকলের কল্যাণের জন্য রচিত = সর্বজনীন
যার স্বামী বিদেশে থাকে = প্রোষিতভূকা
যার দাড়ি জন্মায়নি = অজাতশত্রু
যার কুলশীল জানা যায়নি = অজ্ঞাতকুলশীল
যার শত্রু জন্মায়নি = অজাতশত্রু
যার পিঠ বেঁকে গিয়েছে = নূজ
যার স্পৃহা দূর হয়েছে = বীতস্পৃহ
যার কোনো কিছু চাওয়ার নেই = অকিঞ্চন
যারা মূর্তি পূজা করে = পৌত্তলিক
যিনি বাক্যে অতি দক্ষ = বাচস্পতি
যিনি বাঘের চামড়া পরিধান করেন = কৃত্তিবাস
যিনি বিদ্যা লাভ করেছেন = কৃতবিদ্যা।
যুদ্ধ হতে পলায়ন করে না যে সৈন্য = সংশপ্তক
যে নারী সূর্যকে দেখেনি = অসূর্যস্পশ্যা
যে নারীর (বিধবা) পুনরায় বিয়ে হয়েছে = পুনর্ভূ
যে নারীর হাসি শুচি = শুচিস্মিতা
যে হাতে কলমে কাজ করে দক্ষতা লাভ করেছে = করিতক
যে স্ত্রীর বশীভূত = স্ত্রৈণ
যা লাফিয়ে চলে = প্লবগ
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে = প্রত্যুৎপন্নমতি
যে অপরের পৃষ্ঠপোষতা করে = পৃষ্ঠপোষক
লিখিত খসড়া = পান্ডুলিপি
শুনার ইচ্ছা = শুশ্রুষা
শুনতে ইচ্ছুক = শুধু
ষাট বছর পূর্তির অনুষ্ঠান = হীরকজয়ন্তী
স্পৃহা দূর হয়েছে যার = বীতস্পৃহ
হস্তী, অশ্ব, রথ ও পদাতিকের সমাহার = চতুরঙ্গ
হত্যা করার ইচ্ছা = জিঘাংসা
হরিণের চামড়া = অজিন
হাতের চতুর্থ অঙুলি = অনামিকা
হাতির বাসস্থান = পিলখানা
Share:

পারিভাষিক শব্দ অর্থসহ

নিম্নে সর্বাধিক কমন বাছাইকৃত পারিভাষিক শব্দ অর্থসহ প্রদান করা হলো।
Abstract → বিমূর্ত
Amendment → সংশোধনী
Ballot → গোপন ভোট
Booklet → পুস্তিকা
Convener → আহবায়ক
Cartoon → ব্যঙ্গচিত্র
Coup → অভ্যূত্থান
Deed → দলীল
Equation → সমীকরণ
Elevator → উত্তোলক
Graduate → স্নাতক
Honorary → অবৈতনিক
Interpreter → দোভাষী
Installment → কিস্তি
Judgment → রায়
Kernel → অন্তর্বীজ
Latitude → অক্ষাংশ
Lease → ইজারা
Ancestor → পূর্বপুরুষ
Memorandum → স্মারক
Manager → তত্ত্বাবধায়ক
Overseer → তত্ত্বাবধায়ক
Aggregate → সমষ্টি
Protocol → সরকারী আদব কায়দা
Agitation → আন্দোলন
Quarter → ত্রৈমাসিক
Record → বিবরণী
Reminder → তাগিদ
Sanction → মঞ্জুরী
Scheme → পরিকল্পনা
Stenographer → সাঁটলিপিকার
Treasury → কোষাগার
Advance → অগ্রীম
Amnesty → সর্বক্ষম
Bail → জামিন
Background → পটভূমি
Cable → তার
Controller → নিয়ন্ত্রক
Deficit → ঘাটতি
Diplomat → কূটনীতিক
Embargo → নিষেধাজ্ঞা
Famine → দুর্ভিক্ষ
Headland → অন্তরীপ
Hydrogen → উদযান
Invigilator → পর্যবেক্ষক
Journal → সাময়িকী
Jurisprudence → আইনবিজ্ঞান
Knavery → প্রতারণা
Leave → ছুটি
Librarian → গ্রন্থাগারিক
Auction → নিলাম
Monogram → অভিজ্ঞান
Addendum → পরিশিষ্ট
Oxygen → অম্লজান
Passage → অনুচ্ছেদ
Public works → গণপূর্ত
Aircraft → বিমান
Relative → আপেক্ষিক
Registration → নিবন্ধন
Recreation → বিনোদন
Salary → বেতন
Secretariat → সচিবালয়
Sculptor → ভাস্কর
Tender → দরপত্র
Vitamin → খাদ্যপ্রাণ
Viva voce → মৌখিক পরীক্ষা
Wages → মজুরী
Yearly → বাৎসরিক
Allowance → ভাতা
Vacancy → খালি
Wrestler → কুস্তিগীর
White paper → শ্বেতপত্র
Zonal → আঞ্চলিক
Art → ললিতকলা

পারিভাষিক শব্দ
Facsimile → প্রতিরূপ, অবিকল
Faculty → অনুষদ
Falls → জলপ্রপাত
Federal → যুক্তরাষ্ট্রীয়
Fiction → কথাসাহিত্য
Fifth Column → পঞ্চম বাহিনী
Farce → প্রহসন
Fortnightly → পাক্ষিক
Forecast → পূর্বাভাস
Forfeited → বাজেয়াপ্ত
Galaxy → ছায়াপথ
Gazetteer → তথ্যকোষ
Genesis → উৎপত্তি
Garrison → সেনাদল
পারিভাষিক শব্দ | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট
Gravitation → মহাকর্ষ
Goodwill → প্রতিষ্ঠানিকার, সুনাম
Global → বিশ্বব্যপি
Glossary → শব্দপঞ্জি
Handbill → প্রচারপত্র
Harbor → পোতাশ্রয়
Hemisphere → গোলার্ধ
Higgin → দরকষাকষি
Horizontal → অনুভূমিক
Humanitarian → মানবপ্রেমী
Hygiene → স্বাস্থ্যবিদ্যা
Hypocrisy → কপটতা
Hypothesis → অনুমান
High Tide → জলোচ্ছাস
Hybrid → উচ্চ ফলনশীল
Share:

ধ্বনি পরিবর্তন বলতে কি বোঝায়? বিস্তারিত আলোচনা

◉ স্বরাগমঃ উচ্চারণকে সহজতর করার জন্য শব্দের স্বরধ্বনির আগমনকে স্বরাগম বলে।

◉ আদি স্বরাগমঃ শব্দের আদিতে বা শুরুতে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে আদি স্বরগম বলে। যেমন-
স্ত্রী>ই + স্ত্রী=ইস্ত্রী, স্কুল>ই + স্কুল= ইস্কুল, স্টিমার>ই + স্টিমার= ইস্টিমার। এরূপ-আস্তাবল, অস্পর্ধা ইস্টিশন ইত্যাদি।

◉ মধ্য স্বরাগমঃ উচ্চারণের সুবিধার জন্য সংযুক্ত ব্যঞ্জনধ্বনির মাঝখানে বা শব্দের  মাঝখানে স্বরধ্বনির আগমন ঘটলে তাকে মধ্য স্বরাগম বলে। যেমন- 
অ-রত্ন>রতন, ধর্ম>ধরম, স্বপ্ন>স্বপন, হর্ষ>হরষ।
ই-প্রীতি>পিরীত, ফিল্ম>ফিলিম, ডাল>ডাইল।
উ-ভ্রু>ভুরু, চাল>চাউল।
এ-স্রেফ>সেরেফ।

◉ অন্ত্য স্বরাগমঃ উচ্চরণের সময় শব্দের শেষে স্বরধ্বনি আসলে তাকে অন্ত্য স্বরাগম বলে। যেমন-
দিশ>দিশা, পোখত>পোক্ত, সত্য>সত্যি
সম্প্রকর্ষ বা স্বরলোপঃ দ্রুত উচ্চরণের জন্য শব্দের কোন স্বরধ্বনি লোপকে সম্প্রকর্ষ বলে। যেমন-
বসতি>বসতি, জানালা>জানলা

◉ আদি স্বরলোপঃ অলাব>লাবু>লাউ, উদ্বার>উধার>ধার।

◉ মধ্য স্বরলোপঃ অগুরু>অগ্রু, সুবর্ণ>স্বর্ণ, গৃহিণী>গিন্নী।

◉ অন্ত্য স্বরলোপঃ অগ্নি>আগুন, চারি>চার্

◉ অপিনিহিতিঃ কোন শব্দের মধ্যকার স্বরধ্বনি যদি যথাস্থানে উচ্চারিত না হয়ে পুর্বে উচ্চারিত হয় তবে তাকে অপনিহিতি বলে।
যেমন-আজি>আইজ, সাধু>সাউধ

◉ অভিশ্রুতিঃ অপিনিহিতি শব্দের স্বরধ্বনিগুলো পরিবর্তিত হয়ে যদি শব্দটি নতুন রূপ ধারণ করে তবে তাকে অভিশ্রুতি বলে।
অন্য কথায়, অপিনিহিতি শব্দের মধ্যস্থিত ই বা্ উ উচ্চারণকালে পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সাথে মিলিত হয়ে যে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটে তাকে অভিশ্রুতি বলে।
মূল শব্দ অপিনিহিত শব্দ অভিশ্রুতি
করিয়া > কইর‌্যা > করে
আজি  > আইজ > আজ
আসিয়া > আইস্যা > এসে

◉ সকল সাধুভাষার ক্রিয়াপদ অভিশ্রুতির মাধ্যমে চলিতরূপ লাভ করে।

◉ স্বরসঙ্গতিঃ এক স্বরের প্রভাবে অন্য স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
দেশি >দিশি, বিলাতি >বিলিতি, বুড়া >বুড়ো।

◉ প্রগত স্বরসঙ্গতিঃ আদি স্বরের প্রভাবে পরবর্তী স্বর পরিবর্তিত হলে তাকে প্রগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
মুলা >মুলো, শিকা >শিকি।

◉ পরাগত স্বরসঙ্গতিঃ পরবর্তী স্বরের প্রভাবে আদিস্বরের পরিবর্তন হলে তাকে পরাগত স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
দেশি >দিশি, আখো >এখো।

◉ মধ্যগত স্বরসঙ্গতিঃ আদিস্বর অথবা অন্ত্যস্বর অনুযায়ী মধ্যস্বর পরিবর্তিত হলে মধ্যগত স্বরসঙ্গতি হয়। যেমন-
বিলাতি >বিলিতি।

◉ অন্যোন্য স্বরসঙ্গতিঃ আদ্য এবং অন্ত্য উভয় স্বর্ই পরস্পর প্রভাবিত হয়ে পরিবর্তিত হলে তাকে অন্যান্য স্বরসঙ্গতি বলে। যেমন-
মোজা >মুজো।

◉ ধ্বনি বিপর্যয়ঃ শব্দের মধ্যকার দুটো ব্যঞ্জন বর্ণের পরস্পরের মধ্যে যদি স্থান পরিবর্তন ঘটে তবে তাকে ধ্বনি বিপর্যয় বলে্। যেমন-
পিশাচ >পিচাশ, বাকস >বাসক, রিকসা >রিসকা, জানালা >জালানা।

◉ বিষমীভবনঃ পদ মধ্যস্থিত দুটি সমবর্ণের মধ্যে একটি পরিবর্তিত হলে তাকে বিষমীভবন বলে। যেমন-
শরীর>শরীল, লাল>নাল।

◉ সমীভবনঃ শব্দ মধ্যস্থিত দুটো ভিন্ন ধ্বনি একে অপরের প্রভাবে অল্পবিস্তর সমতা লাভ করে, ধ্বনি পরিবর্তনের এ রীতিকে বলা হয় সমীভবন। যেমন-
চক্র>চক্ক, পদ্ম>পদ্দ, লগ্ন>লগগ, কাঁদনা>কান্না।

◉ প্রগত সমীভবনঃ পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন ঘটলে প্রগত সমীভবন বলে। যেমন- 
চক্র>চক্ক, পদ্ম>পদ্দ।

◉ পরাগত সমীভবনঃ পরবর্তী ধ্বনির প্রভাবে পূর্ববর্তী ধ্বনির পরিবর্তন হলে পরাগত সমীভবন বলে। যেমন- 
তৎ + জন্য>তজ্জন্য, তৎ + হিত>তদ্বিত, উৎ + মুখ>উন্মুখ।

◉ অন্যান্য সমীভবনঃ যখন পরস্পরের প্রভাবে দুটো ধ্বনিই পরিবর্তিত হয় তখন তাকে অন্যান্য সমীভবন বলে। যেমন-
সংস্কৃত সত্য>প্রাকৃত সচ্ছ, সংস্কৃত বিদ্যা>প্রাকৃত বিজ্জা ইত্যাদি। 

◉ অসমীকরণঃ একই স্বরের পুনরাবৃত্তি দূর করার জন্য মাঝখানে স্বরধ্বনি যুক্ত হলে তাকে অসমীকরণ বলে। যেমন- ধপ + ধপ>ধপাধপ, টপ + টপ>টপাটপ।

ধ্বনি পরিবর্তন | বাংলা ব্যাকরণ লেকচার শীট
Bangla 2nd Paper pdf download
স্বরধ্বনির উচ্চারণ
ধ্বনির অবস্থানভিত্তিক

অ: শব্দে অবস্থানভেদে অ দু রকমে লিখিত হয়
 ১) স্বাধীন ভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন - অমর, অনেক।
২) শব্দের মধ্যে অন্য বর্ণের সঙ্গে বিলীন ভাবে ব্যবহৃত অ। যেমন - কর, বল। এখানে ক এবং র আর ব এবং ল বর্ণের সঙ্গে অ বিলীন  হয়ে আছে। (ক্ + অ +র্  + অ ; ব্ + অ + ল্ + অ) ।

শব্দের অ - ধ্বনির দু রকম উচ্চারণ পাওয়া যায়
 ১) বিবৃত বা স্বাভাবিক উচ্চারণ। যেমন - অমল, অনেক, কত।
 ২) সংবৃত বা ও - ধ্বনির মত উচ্চারণ। 
যথা - অধীর, অতুল, মন। এ উচ্চারণগুলোতে অ-এর উচ্চারণ  অনেকটা ও-এর মত (ওধীর, ওতুল, মোন)।'

১) ‘অ’ - ধ্বনির স্বাভাবিক বা বিবৃত উচ্চারণ

 (ক) শব্দের আদিতে
 ১) শব্দের আদিতে না-বোধক ‘অ’ যেমন - অটল, অনাচার।
২) ‘অ’ কিংবা ‘আ’ - যুক্ত ধ্বনির পূর্ববর্তী অ-ধ্বনি বিবৃত হয়। যেমন - অমানিশা, অনাচার, যত, কথা।

খ) শব্দের মধ্যে ও অন্তে
১) পূর্ব স্বরের সঙ্গে মিল রেখে স্বরসঙ্গতির কারণে বিবৃত ‘অ’। যেমন - কলম, যত, ।
২) ঋ-ধ্বনি, এ-ধ্বনি ঐ-ধ্বনি ও-ধ্বনি এবং ঔ-ধ্বনির পরবর্তী ‘অ’ প্রায়ই বিবৃত হয়। 
 যেমন-তৃণ, দেব, ধৈর্য, নোলক, বৈধতা, শ্রেয়ঃ, মৌন অনেক।
৩) অনেক সময় ই-ধ্বনির পরের ‘অ’ বিবৃত হয়। যেমন - গঠিত, মিত, জনিত ইত্যাদি।

২) অ-ধ্বনির সংবৃত উচ্চারণ
অ-ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণে চোয়াল বেশি ফাঁক হয়। ঠোঁট তত বাঁকা বা গোল হয় না। কিন্তু সংবৃত উচ্চারণে চোয়ালের ফাঁক কম ও ঠোঁট গোলাকৃতি হয়ে ‘ও’ - এর মত উচ্চারিত হয়। সংবৃত উচ্চারণকে ‘বিকৃত’, ‘অপ্রকৃত’ বা ’অস্বাভাবাবিক’ উচ্চারণ বলা ঠিক নয়। সংবৃত উচ্চারণও ‘স্বাভাবিক’, ‘অবিকৃত’ ও ‘প্রকৃত’ উচ্চারণ।

 (ক) শব্দের আদিতে
 ১) পরবর্তী স্বর সংবৃত হলে শব্দের আদি ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন- অতি (ওতি), করুণ (কোরুণ) করে (অসমাপিকা ‘কোরে’)। কিন্তু  সমাপিকা ‘করে’ শব্দের ‘অ’ বিবৃত।
২) পরবর্তী ই,উ - ইত্যাদির প্রভাবে পূর্ববর্তী র - ফলাযুক্ত ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন - প্রতিভা, (প্রোতিভা), প্রচুর (প্রোচুর) ইত্যাদি। কিন্তু,  অ, আ ইত্যাদির প্রভাবে পূর্ব ‘অ’  বিবৃত হয়। যেমন - প্রভাত,প্রত্যয়, প্রণাম ইত্যাদি।

 
(খ) শব্দের মধ্যে ও অন্তে
১) তর, তম, তন প্রত্যয়যুক্ত বিশেষণ পদের অন্ত্য স্বর ‘অ’ সংবৃত হয়। যেমন - প্রিয়তম (প্রিয়তমো), গুরুতর (গুরুতরো) ইত্যাদি।
২) ই, ঈ, উ, ঊ-এর পরবর্তী মধ্য ও অন্ত্য ‘অ’ সংবৃত। যেমন - পিয়, (পিয়ো), যাবতীয় (যাবতীয়ো) ইত্যাদি।

আঃ বাংলায় আ-ধ্বনি একটি বিবৃত স্বর। এর উচ্চারণ হ্রস্ব ও দীর্ঘ দু-ই হতে পারে। এর উচ্চারণ অনেকটা ইংরেজি ফাদার (father) ও কাম (calm) শব্দের আ (ধ) - এর মত। যেমন - আপন, বাড়ি, মা, দাতা ইত্যাদি।
বাংলায় একাক্ষর (monosyllabic) শব্দে আ দীর্ঘ হয়। যেমন- কাজ শব্দের আ দীর্ঘ এবং কাল শব্দের আ হ্রস্ব। এ রূপ - যা, পান, ধান, সাজ, চাল, চাঁদ, বাঁশ। 

এঃ এ-ধ্বনির উচ্চারণ দু রকম : সংবৃত ও বিবৃত। যেমন- মেঘ, সংবৃত/বিবৃত, খেলা-(খ্যালা), বিবৃত।

১) সংবৃতঃ
ক)পদের অন্তে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - পথে, ঘাটে, দোষে, গুণে, আসে ইত্যাদি।
খ)তৎসম শব্দের প্রথমে ব্যঞ্জনধ্বনির সঙ্গে যুক্ত এ - ধ্বনির উচ্চারণ সংবৃত হয়। যেমন - দেশ, প্রেম, শেষ ইত্যাদি।
  গ) একাক্ষর সর্বনাম পদের ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন- কে, সে, যে।
ঘ) ‘হ’ কিংবা আকার বিহীন যুক্তধ্বনি পরে থাকলে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - দেহ, কেহ, কেষ্ট।
ঙ) ‘ই’ বা ‘উ’-কার পরে থাকলে ‘এ’ সংবৃত হয়। যেমন - দেখি, রেণু, বেলুন।

২) বিবৃতঃ ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত উচ্চারণ ইংরেজি ক্যাট (cat) ও ব্যাট (bat) -এর ‘এ’ (a)-এর মত। 
 যেমন - দেখ (দ্যাখ), একা (এ্যাকা) ইত্যাদি।
 এ - ধ্বনির এই বিবৃত উচ্চারণ কেবল শব্দের আদিতেই পাওয়া যায়, শব্দের মধ্যে ও অন্তে পাওয়া যায় না। 
 ক) দু অক্ষর বিশিষ্ট সর্বনাম বা অব্যয় পদে- যেমনঃ এত, এখন, হেন, কেন ইত্যাদি। কিন্তু ব্যতিক্রম -যেথা,  সেথা, হেথা।
 খ) অনুস্বার ও চন্দ্রবিন্দু যুক্ত ধ্বনির আগের - এ ধ্বনি বিবৃত। যেমন - খেংড়া, চেংড়া, স্যাঁতসেতে, গেঁজেল।
 গ) খাঁটি বাংলা শব্দেঃ যেমন - খেমটা, ঢেপসা, তেলাপোকা, তেনা, দেওর।
 ঘ) এক, এগার, তের - এ কটি সংখ্যাবাচক শব্দে, ‘এক’ যুক্ত শব্দেওঃ যেমন- এক চোট, এক তলা, এক ঘরে  ইত্যাদি।
 ঙ) ক্রিয়াপদের বর্তমান কালের অনুজ্ঞায়, তুচ্ছার্থ ও সাধারণ মধ্যম পুরুষের রূপে; যেমন- দেখ্ (দ্যাখ),  দেখ  (দ্যাখো),  খেল্ (খ্যাল), খেল খ্যালো), ফেল্ (ফ্যাল্), ফেল (ফ্যালো) ইত্যাদি। 

বিগত সালের প্রশ্নাবলি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১. ধরিয়া থেকে ধরে ধ্বনি পরিবর্তনের কোন নিয়মে হয়েছে?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. অন্তহীত
খ. অভিশ্রুতি✓
গ. সমীভবন
ঘ. স্বরসঙ্গতি

২. শুনিয়া > শুনে কোন ধরনের ধ্বনি পরিবর্তন?
[ ঘ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. বিধমীভবন
খ. সমীভবন
গ. স্বরলোপ
ঘ. অভিশ্রুতি✓

৩. কোনটি একাক্ষর শব্দ?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. কাকা
খ. চাচা
গ. ভাই✓
ঘ. বোনাই

৪.. ধার শব্দটি যে ধ্বনি পরিবর্তন প্রক্রিয়ার দৃষ্টান্ত-
[ খ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. বিপ্রকর্ষ
খ. স্বরভক্তি
গ. সম্প্রকর্ষ✓
ঘ. অন্তর্হতি

৫. ট্যাক্স> ট্যাকসো এটি ধ্বনির কোন ধরনের পরিবর্তন?
[ ঘ ইউনিট-২০১৭-১৮]
ক. অন্ত্য স্বরাগম✓
খ. অভিশ্রুতি
গ. ধ্বনি বিপর্যয়
ঘ. মধ্য স্বরাগম

৬. মোজ> মুজো এটি কোন ধরনের স্বরসঙ্গতি?
[ খুবি খ ইউনিট-২০১৮-১৯]
ক. প্রগত
খ. পরাগত
গ. মধ্যগত
ঘ. অন্যেন্য✓
 
বাংলা ২য় পত্র লেকচার শীট: সন্ধি
Share:

বাচ্য বলতে কি বোঝ? উহা কত প্রকার ও কি কি?

সুমিত এদের দেখতে পাবে না।
সুমিত কর্তৃক এরা দৃষ্ট হবে না।
সুমিতের যাওয়া হল না।
উপরের প্রথম বাক্যে কর্তার, দ্বিতীয় বাক্যে কর্মের, তৃতীয় বাক্যে ক্রিয়ার প্রাধান্য রয়েছে। 

বাক্যের এই বিভিন্ন ধরনের প্রকাশভঙ্গিই বাচ্য। বাক্যের বাচনভঙ্গি অনুযায়ী কর্তা, কর্ম বা ক্রিয়াপদের প্রাধান্য নির্দেশ করে ক্রিয়াপদের রূপের যে পরিবর্তন ঘটে তাকে বলা হয় বাচ্য। বাক্যেও এই প্রকাশভঙ্গিকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:

১. কর্তৃবাচ্য: যে বাচ্যে কর্তার অর্থের প্রাধান্য থাকে এবং ক্রিয়াপদ কর্তার অনুসারী হয়, তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন- রহিম স্কুলে যাচ্ছে। শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান। 
বৈশিষ্ট্য:
✯ ক্রিয়াপদ সর্বদাই কর্তার অনুসারী হয়।
✯ কর্তায় প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তি হয়। 

২. কর্মবাচ্য: যে বাচ্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়, তাকে কর্মবাচ্য বলে। যেমন- চোরটা ধরা পড়েছে। শিকারি কর্তৃক সিংহ নিহত হয়েছে। 
বৈশিষ্ট্য:
✯ এ বাচ্যে কর্মে প্রথমা, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি এবং দ্বারা, দিয়া, কর্তৃক অনুসর্গেও ব্যবহার এবং ক্রিয়াপদ কর্মের অনুসারী হয়। 
✯ কখনো কখনো কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি হতে পারে। 

৩. ভাববাচ্য: যে বাচ্যে কর্ম থাকে না বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষভাবে ব্যক্ত হয় তাকে ভাববাচ্য বলে। যেমন- আমার খাওয়া হল না। এ পথে চলা যায় না। এ রাস্তা আমার চেনা নেই। 
বৈশিষ্ট্য:
✯ ভাববাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই নাম পুরুষের হয়। ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়। 
✯ কখনো কখনো ভাববাচ্যে কর্তা উহ্য থাকে, কর্ম দ্বারাই ভাববাচ্য গঠিত হয়। 

৪. কর্মকর্তৃবাচ্য: যে বাচ্যে কর্মপদই কর্তৃস্থানীয় হয়ে বাক্য গঠন করে, তাকে কর্মকর্তৃবাচ্য বলে। যেমন বাঁশি বাজে। ঘুড়ি ওড়ে। কাজটা ভাল দেখায় না। 

 বাচ্য পরিবর্তন
কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
নিয়ম: কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
✯ কর্তায় তৃতীয়া 
✯ কর্মে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি
✯ ক্রিয়া কর্মের অনুসারী হবে। তবে কর্তৃবাচ্যের ক্রিয়া অকর্মক হলে সেই বাক্যের কর্মবাচ্য হবে না।

উদাহরণ-
কর্তৃবাচ্য →কর্মবাচ্য
বিদ্বানকে সকলেই আদর করে। → বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
তারা খেলা দেখছে।  →তাদের দ্বারা খেলা দেখা হচ্ছে।
পুলিশ চোরটি ধরেছে →পুলিশ কর্তৃক চোরটি ধৃত হয়েছে।

কর্মবাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
নিয়ম: কর্মবাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
✯ কর্তায় প্রথমা, কর্মে দ্বিতীয়া বা শূন্য বিভক্তি প্রযুক্ত হবে।
✯ ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হবে।

উদাহরণ-
কর্মবাচ্য→কর্তৃবাচ্য
দস্যুদল কর্তৃক গৃহটি লুণ্ঠিত হয়েছে→দস্যুদল গৃহটি লুণ্ঠন করেছে। 
নজরুল কর্তৃক ‘অগ্নিবীণা’ লিখিত হয়েছে।→নজরুল অগ্নিবীণা লিখেছেন। 
জিনিসটা কী ঠিকঠাক পাওয়া যাবে?→জিনিসটা কী ঠিকঠাক পাব?

কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্য
নিয়ম: কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে ভাববাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
✯ কর্তায় ষষ্ঠী বা দ্বিতীয়া বিভক্তি হবে।
✯ ক্রিয়া নাম পুরুষের হবে।

উদাহরণ-
কর্তৃবাচ্য→ভাববাচ্য
তুমিই ঢাকা যাবে।→তোমাকেই ঢাকা যেতে হবে।
অনুগ্রহ করে সবিস্তার বর্ণনা করুন।→অনুগ্রপূর্বক সবিস্তার বর্ণনা করা হোক।  
আপনি শ্রবণ করুন।→আপনার শ্রবণ করা হোক।

ভাববাচ্য থেকে কর্তৃবাচ্য
নিয়ম: ভাববাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
✯ কর্তায় প্রথমা বিভক্তি হবে।
✯ ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হবে।

উদাহরণ-
 ভাববাচ্য→কর্তৃবাচ্য
তার যেন আসা হয়।→সে যেন আসে। 
তবে যাওয়া হোক।→তবে যাও।
তাহলে সেখানেই রাত কাটাবার ব্যবস্থা করা যেত।→তাহলে সেখানেই রাত কাটাবার ব্যবস্থা করতাম।

বাচ্য বাংলা ব্যাকরণ

অনুশীলনী
০১। বাক্যের বিভিন্ন প্রকার প্রকাশ ভঙ্গিকে কী বলে?
ক. উক্তি খ. বাচ্য গ. সমাস ঘ. কোনটিই নয়
০২। বাচ্যের শ্রেণী বিভাগ কয়টি?
ক. ২টি খ. ৩ টি গ. ৪ টি   ঘ. ৫ টি ঙ. কোনটি নয়
০৩। যে বাক্যে কর্তার প্রাধন্য রক্ষিত হয় সেটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
  ক. ভাব বাচ্য খ. কর্মবাচ্য গ. কর্তৃবাচ্য
ঘ. কর্তৃ কর্মবাচ্য ঙ. খ + গ
০৪। যে বাচ্যে ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হয় তাকে কি বলে?
ক. কর্ম বাচ্য খ. ভাব বাচ্য গ. কর্তৃ বাচ্য ঘ. ক + খ
০৫। দেবু পড়ালেখা করছে এটি কোন প্রকার বাচ্য?
ক. কর্তৃ বাচ্য খ. কর্ম বাচ্য গ. ভাব বাচ্য ঘ. কোনটিই নয়
০৬। কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ সূচিত যে বাক্য তাকে কি বলে?
ক. কর্তৃ বাচ্য খ. ভাব বাচ্য গ. কর্ম বাচ্য  ঘ. ক + গ
০৭। যে বাক্যে কর্ম থাকে না এবং ক্রিয়ার অর্থই বিশেষ ভাবে ব্যক্ত হয় তাকে কি বলে?
ক. ভাব বাচ্য খ. কর্মবাচ্য গ. কর্ম-কর্তৃবাচ্য ঘ. সবগুলো
০৮। বিদ্বানকে সকলেই আদর করে-বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে রূপান্তর করলে হয়।
ক. বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হয় 
খ. যিনি বিদ্বান তিনি সকলের আদর পান
গ. বিদ্বানকে সকলেই আদর করে
ঘ. সকল কর্তৃক বিদ্বান আদৃত হন।
০৯। ভাব বাচ্যের ক্রিয়া সর্বদাই কোন পুরুষের হয়?
ক. নাম পুরুষ খ. প্রথম পুরুষ গ. মধ্যম পুরুষ
ঘ. বীর পুরুষ ঙ. কাপুরুষ
১০। ভাব বাচ্যের কর্তায় কোন বিভক্তি যুক্ত হয়?
ক. ষষ্ঠি, দ্বিতীয় অথবা তৃতীয়া খ. ষষ্ঠি, শূণ্য অথবা তৃতীয়
গ. ষষ্ঠি, ৪র্থী অথবা শূন্যে ঘ. ষষ্ঠি, দ্বিতীয়া অথবা ৫মী
১১। “বাঁশি বাজে’ এটি কোন বাচ্যের বাক্য?
ক. কর্তৃবাচ্যের খ. কর্মবাচ্যের  গ. ভাব বাচ্যের ঘ. কর্ম-কর্তৃবাচ্যের
১২। ভাব বাচ্যের উদাহরণ কোনটি ?
  ক. আমি আর গেলাম না
  খ. এবার মাছ ধরা যাক 
গ. কাঁঠালটি বোধ হয় পেকেছে 
ঘ. কুকুর লোকটিকে কামড়ালো
১৩। তার খাওয়া হয়েছে এটি কোন বাচ্যের উদাহরণ?
ক. কর্ম বাচ্য খ. কর্তৃ বাচ্য গ. ভাব বাচ্য ঘ. কোনটিই নয়
১৪। তার যেন আসা হয়-কোন বাচ্যের উদাহরণ?
ক. কর্তৃ বাচ্য খ. ভাব বাচ্য গ. কর্ম বাচ্য ঘ. ক + গ
১৫। কর্মবাচ্যে কর্তায় কোন বিভক্তি হয় ?
ক. প্রথমা খ. দ্বিতীয়া গ. তৃতীয়া ঘ. ষষ্ঠী
১৬। কর্তৃবাচ্যে কর্মে কোন বিভক্তি হয়?
ক. দ্বিতীয়া খ. ষষ্ঠি গ. দ্বিতীয়া ষষ্ঠি বা শূন্য
ঘ. শূন্য    ঙ. ক + খ + ঘ
১৭। কর্ম বাচ্যে কর্মে কোন বিভক্তি হয়?
ক. প্রথমা খ. তৃতীয়া গ. প্রথমা       ঘ. কখন কখন দ্বিতীয়া

১৮। কর্তৃ বাচ্যের ক্রিয়া কি হলে কর্মবাচ্য হয় না?
ক. সমাপিকা খ. অসমাপিকা গ. অকর্মক ঘ. সকর্মক

১৯। হালাকু খাঁ কর্তৃক বাগদাদ বিধ্বস্ত হয়- কর্তৃ বাচ্যের উদাহরণ কোনটি?
ক. হালাকু খাঁর মাধ্যমে বাগদান বিধ্বস্ত হয়।
খ. হালাকু খাঁ বাগদাদ ধ্বংস করেন।
গ. বাগদাদ নগরী যিনি ধ্বংস করেন তার নাম হালাকু খাঁন। 
ঘ. হালাকু খাঁ বাগদাদ ধ্বংসের মূল হোতা।
২০। ভাব বাচ্যের বাক্যকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন করলে কর্তায় কোন বিভক্তি হয়? 
ক. প্রথমা খ. শূন্য গ. দ্বিতীয়া ঘ. তৃতীয়া
২১। ‘করিম পুস্তক পাঠ করছে।’ বাক্যটিকে কর্মবাচ্যে পরিণত করলে হবে-
ক) করিম কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।
খ) পুস্তক করিম কর্তৃক পাঠ হচ্ছে।
গ) পুস্তক কর্তৃক করিম পঠিত হচ্ছে। 
ঘ) করিম কর্তৃক পুস্তক পাঠ করছে।
ঙ) করিম পুস্তক দ্বারা পাঠ করছে।

২২। ‘তুমি কখন এলে?’ বাক্যটিকে ভাববাচ্যে পরিণত করলে হবে-
ক) তোমার কখন আসা হল?
  খ) তোমার দ্বারা কখন আসা হল?
গ) তুমি দ্বারা কখন আসা হল?
ঘ) তুমি কখন আসা হল?
ঙ) তোমার আসা হল কখন?
২৩। আমরা সেদিন পাহাড় থেকে নেমে আসলাম। ভাববাচ্য হবে- 
ক) আমাদের সেদিন পাহাড় থেকে নেমে আসা হল।
খ) আমাদের পাহাড় থেকে নেমে আসা হল।
গ) আমাদের কর্তৃক পাহাড় থেকে নেমে আসা হল।
ঘ) পাহাড় থেকে আমাদের নেমে আসা হল।
ঙ) পাহাড় থেকে আমরা সেদিন নেমে এসেছিলাম।
২৪। মহাজনকে সুদ দিতে হয়। এ বাক্যটি কোন বাচ্যেও উদাহরণ?
ক) কর্মবাচ্য খ) কর্তৃবাচ্য
গ) ভাববাচ্য ঘ) কর্মকর্তৃবাচ্য ঙ) কোনটিই নয়
২৫। শিক্ষক কর্তৃক সে প্রহৃত হয়েছে। বাক্যটিকে কর্তৃবাচ্যে পরিবর্তন করলে হবে-
ক) শিক্ষক তাকে প্রহার করেছেন।
খ) শিক্ষক তাকে মেরেছেন।
গ) শিক্ষকের হাতে সে প্রহৃত হয়েছে।
ঘ) শিক্ষক তাকে প্রহৃত করেছেন। 
ঙ) সে শিক্ষকের হাতে প্রহৃত হয়েছে। 

 উত্তরপত্র-
১০
১১ ১২ ১৩ ১৪ ১৫
১৬ ১৭ ১৮ ১৯ ২০
২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
Share:

২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সময়সূচি

HSC Exam Routine

এইচএসসি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি

একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির গাইডসমূহ
(সকল বিভাগ)
বাংলা ১ম পত্র ১ম পত্র গাইড | বাংলা ২য় পত্র গাইড | লালসালু উপন্যাস গাইড | সিরাজুদ্দৌলা নাটক গাইড | ইংরেজি ১ম পত্র গাইড | ইংরেজি ২য় পত্র গাইড | আইসিটি গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | হিসাব বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | জীববিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ১ম পত্র গাইড | ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র গাইড | রসায়ন ১ম পত্র গাইড | রসায়ন ২য় পত্র গাইড | পৌরনীতি ১ম পত্র গাইড | পৌরনীতি ২য় পত্র গাইড | অর্থনীতি ১ম পত্র গাইড | অর্থনীতি ২য় পত্র গাইড | ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ১ম পত্র গাইড | ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীম ২য় পত্র গাইড | ভুগোল ১ম পত্র গাইড | ভুগোল ২য় পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ১ম পত্র গাইড | উচ্চতর গণিত ২য় পত্র গাইড | ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ১ম পত্র গাইড | ইসলামের ইতিহাস ২য় পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ১ম পত্র গাইড | কৃষি শিক্ষা ২য় পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ১ম পত্র গাইড | যুক্তিবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | মনোবিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ১ম পত্র গাইড | পদার্থ বিজ্ঞান ২য় পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ১ম পত্র গাইড | উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বাজারজাতকরণ ২য় পত্র গাইড | সমাজকর্ম ১ম পত্র গাইড | সমাজকর্ম ২য় পত্র গাইড | সমাজবিদ্য ১ম পত্র গাইড | সমাজবিদ্যা ২য় পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ১ম পত্র গাইড | পরিসংখ্যান ২য় পত্র গাইড | ইংরেজি শব্দার্থ VOCABULARY

Admission Guide